নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কিসমতের ভাগ্য

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

মানুষের নামের সাথে তার স্বভাব চরিত্র বা মন মানসিকতার মিল খুব একটা দেখা যায় না। আনন্দ নামের কাউকে হয়তো প্রায়ই নিরানন্দে থাকতে দেখা যায়। শান্ত নামের কেউ যে সব সময় শান্তশিষ্ট থাকবে, এমন গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। আবার মমতা নামের কোন মহিলা কখনো কখনো মায়া-মমতাহীন একরোখা হয়ে উঠতে পারে। এই যেমন, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু কিসমতের ব্যাপারটা একদমই আলাদা। তার নামের সাথে কাজ কামের মিল অবিশ্বাস্য। রাশিফল গণনায় কিসমতের অগাধ বিশ্বাস। এমনিতে সে খবরের কাগজ খুব একটা পড়েনা। কিন্তু ‘আজকের দিনটি কেমন যাবে’ না পড়ে সে কোনদিন বাসা থেকে বেরোয় না। হকার কাগজ না দেওয়া পর্যন্ত সে বাসাতেই থাকে। কাজের তাড়া থাকলে ‘ধনু’ রাশির অংশটুকু কাঁচি দিয়ে কেটে পকেটে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ে এবং সারাদিনের ঘটনার সাথে মিলিয়ে দেখে। এতে সে খুব তৃপ্তি পায়। ২৭ নভেম্বর তার জন্ম হওয়ায় সে ধনু রাশির জাতক। তার ধারণা, এই রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান ও সৌভাগ্যের দিক থেকে এরা এলিট শ্রেণীর। ধারণাটা অবশ্য তার আপনা আপনি হয়নি। বন্ধুদের সাথে একবার কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে একজন দাড়িওয়ালা বাবরি চুলের লোক তার হাত দেখে এ কথা বলেছিল। মাত্র দুশো টাকা খরচা করে তার কাছ থেকে এই মূল্যবান তথ্য সে জানতে পেরেছে।

কিসমতের একাডেমিক রেকর্ড অবশ্য আহামরি গোছের কিছু নয়। মাস্টার্সে তলানিতে পড়া সেকেন্ড ক্লাস। এর আগের রেজাল্টগুলোও টানা হেঁচড়া টাইপের। সৌভাগ্যের দিক থেকে এলিট শ্রেণীর হলেও চাকরির বাজারে হন্যে হয়ে ঘুরছে সে। দেড় বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরলেও চাকরি হচ্ছেনা তার। বাড়িতে রিটায়ার্ড বাবার হম্বি তম্বি, মায়ের আহাজারি আর জ্ঞান বুদ্ধিহীন দুই বোনের অসার কথাবার্তা কিসমতকে মাঝে মাঝে বিমর্ষ করে তোলে। এরা কেউ ধনু রাশির জাতক-জাতিকা নয় বলে কিসমতের ওজন বুঝতে পারেনা। কিসমত যে একদিন বড় কিছু করে দেখিয়ে দেবে, সে বিশ্বাস এদের নেই।

যাই হোক, একদিন পত্রিকায় ধনু রাশির বর্ণনা পড়ে কিসমতের মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। প্রথমেই লেখা আছে, ‘বেকারদের কারো কারো জন্য আজ সুখবর আছে।’ আহা, কি আনন্দ আকাশে বাতাসে! আয়কর অফিসের পরিদর্শক পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা আজই অনলাইনে প্রকাশ করার কথা আছে। বেহিসাবি ঘুষের চাকরি। এই চাকরি সোনার নয়, হীরার হরিণ। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটে খোঁচাখুঁচি করে লাভ হলো না। সম্ভবতঃ এখনো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বেলা এগারোটার দিকে বন্ধু আসলাম ফোন করে জানালো, তাদের দু’জনের কারো চাকরি হয়নি।
‘কি বলছিস তুই?’
‘হাঁ, ঠিকই বলছি। আমার ল্যাপটপে এনবিআরের ওয়েব সাইটে ঢুকেছিলাম। সেখানে একটু আগে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তোর আমার দুজনেরই নাম্বার নেই।’
‘ভালো করে দেখেছিস?’
‘বিশ্বাস না হলে এসে দেখে যা।’
‘না, না, বিশ্বাস হবেনা কেন? তুই আর একবার ভালো করে দেখ। ভুলও তো হতে পারে!’
একে তো চাকরি হয়নি, তার ওপর তাকে আন্ডার এস্টিমেট করছে কিসমত। তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো আসলাম। শুরু হয়ে গেল দু’বন্ধুতে তুমুল ঝগড়া। কথাবার্তা চাকরি থেকে সরে গিয়ে দু’জনের বংশ ঠিকুজি পর্যন্ত পৌঁছে গেল। কিসমত মাথামোটা নির্বোধ। আসলাম একটা আহাম্মক ছাড়া আর কিছুই নয়। কিসমতের গুষ্টি বেকুব। আসলামের বংশ পাগল। ইত্যাদি, ইত্যাদি।

দুপুরে বাসায় খেতে এসে কিসমত পকেট থেকে ধনু রাশির পেপার কাটিংটা বের করে আবার পড়তে গিয়ে দেখলো ‘বেকারদের কারো কারো জন্য আজ সুখবর আছে’ কথাটার পরেই লেখা আছে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা নিকটজনের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।’
‘মাই গড!’ কিসমত মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। পুরোটা আগেই পড়া উচিৎ ছিল তার। আসলাম তার জিগরি দোস্ত। এমন দোস্তের সাথে তার এত বছরের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেল! ছিঃ ছিঃ। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে কিসমত কল দিল আসলামকে। মাফ চাওয়ার মতো করে কিছু একটা বলতে হবে তাকে। কিন্তু আসলাম বার বার কল কেটে দিতে লাগলো। শেষে ওর ফোন বন্ধ পেয়ে কিসমত বুঝলো, ডাল গলবে না। গেল এতদিনের সম্পর্কটা!

ধনু রাশির বর্ণনায় আরও লেখা আছে, ‘অর্থভাগ্য শুভ। পুরাতন পাওনা টাকা আদায়ের সম্ভাবনা উজ্জল। দিনের শেষে সম্মানিত হতে পারেন।’ কিসমতের হঠাৎ মনে পড়ে গেল ইলিয়াসের কথা। এক হাজার টাকা ধার নিয়ে সে দু’বছর ধরে কিসমতকে ঘোরাচ্ছে। আজ না কাল, কাল না পরশু-এভাবে দু’বছর ধরে কিসমতকে নাস্তানাবুদ করার পর ইদানিং সে কিসমতকে দেখলেই লুকিয়ে পড়ে। ক’দিন আগে চায়ের দোকানে এমন কাণ্ড হয়েছে। কিসমতকে দেখে চায়ের কাপ হাতে টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েছে সে। আপন খালাতো ভাই। নেশা টেশা করে। বেশি কিছু বলাও যায় না। খালা-খালুকে বলেও লাভ হয়নি। তাঁদের সাফ কথা, ‘ডাইলখোরটাকে টাকা ধার দেয়ার আগে আমাদের বলেছিলি?’

না, তা’ অবশ্য বলা হয়নি। তাই বলে আপন খালা-খালু কিছু করবেনা? আত্মীয়স্বজনরাও সব কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে! যাকগে, আজ টাকাটা পাওয়া যেতে পারে। ইলিয়াসের খোঁজে দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সম্ভাব্য সব জায়গায় টো টো করে ঘুরে বেড়ালো কিসমত। কোথাও পাওয়া গেল না তাকে। তবে একজন এক পার্কের সূত্র দিয়ে জানালো, ইলিয়াসকে সে বিকেলবেলা সেখানে বসে গাঁজা খেতে দেখেছে। সাথে আরও তিন চারজন আছে। একটা আসরের মতো হচ্ছে সেখানে।

কিসমত তড়িঘড়ি করে তিরিশ টাকা রিক্সাভাড়া দিয়ে পার্কে এসে হাজির। গাছ-গাছালি আর ফুলে ভরা এক সময়ের সুন্দর পার্কটি এখন হতশ্রী। বসার আসনগুলো সব ভেঙ্গে গেছে, ফোয়ারায় জল নেই, ভেতরে নোংরা আবর্জনা আর মনুষ্যবর্জ্যের দুর্গন্ধ। এই পার্কে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে লোকজন তেমন আর আসেনা। সন্ধ্যের পর পার্কটি মাদকসেবী ও পতিতাদের স্বর্গরাজ্য হয়ে যায়। কিসমত পার্কে ঢুকে চোরের মতো নিঃশব্দে খুঁজতে লাগলো ইলিয়াসকে। ওর উপস্থিতি টের পেলে ইলিয়াস নির্ঘাত পালিয়ে যাবে। খপ্ করে মুরগী ধরার মতো করে ধরতে হবে তাকে।

কিন্তু সন্ধ্যের পর শুধু মাদকসেবী আর পতিতারাই নয়, পুলিশের আনাগোনাও যে বেড়ে যায় জানা ছিলনা কিসমতের। অন্ধকারের মধ্যে গাছপালা ভেদ করে কোত্থেকে যে দু’জন পুলিশ এসে ওর জামার কলার চেপে ধরে ‘বানচোত’ বলে গালি দিল, বুঝতেই পারেনি সে। হুইশেলের আওয়াজ আর হিপ পকেটের ওপর লাঠির বাড়ি খেয়ে সে বুঝতে পারলো যে, সে পুলিশের খপ্পরে পড়েছে। তার মানে সে গ্রেপ্তার হয়ে গেছে। দু’হাত ওপরে তুলে সে সাথে সাথে স্যারেন্ডার করলো। হাত তুলে স্যারেন্ডার করলে সাধারণতঃ পুলিশ ভাইয়েরা আর মারেনা। কিন্তু এই পুলিশগুলো বড়ই নিষ্ঠুর। তারা ওকে মারতে মারতে পার্কের বাইরে এনে অপেক্ষমান একটা পুলিশ ভ্যানে তুলে দিল। ভ্যানে তার মতো আরো পাঁচজন যুবকের সাথে মুখে রং চং মাখা দু’জন পতিতা আগে থেকেই বসে আছে। তাদের ঢুলু ঢুলু চোখ দেখে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে, এরা পার্কে বসে নেশা করার সাথে সাথে অসভ্য কাজ করছিল। কিন্তু এদের মধ্যে ইলিয়াস নেই। বেয়াদবটাকে পুলিশ পর্যন্ত ধরতে পারেনি, কিসমত ধরবে কিভাবে? নিশ্চয় পার্কের কোন পাঁচিল টপকে সে পালিয়েছে।
ভ্যানে তোলার আগে পুলিশ ভাইয়েরা কিসমতের পকেটে থাকা অবশিষ্ট দেড়শো টাকা এবং মোবাইল ফোনটা হাপিশ করে দিয়েছে। ওগুলোর কথা বলতে গিয়ে কিসমত তলপেটে রুলের গুঁতো খেয়ে চুপচাপ বসে রইল।

থানায় আনার পর দুই পতিতাকে মাঝখানে রেখে কিসমতসহ যুবকদের ছবি তোলা হলো। সম্ভবতঃ ‘পতিতা ও মাদকসহ ছয় যুবক গ্রেপ্তার’ এই জাতীয় শিরোনাম দিয়ে আগামীকালের পত্রিকায় এই ছবি ছাপা হবে। মান সম্মান সব গেল। দিনের শেষে এভাবে সম্মানিত হতে হবে ভাবা যায়না।

সারা রাত মশার কামড় খেয়ে থানার হাজতে নেশাখোরদের সাথে নির্ঘুম কাটানোর পর সকালে কোর্টে চালান হবার সময় কিসমত ধনু রাশির পেপার কাটিংটা ফেলে দিতে গিয়ে এক সেপাইয়ের হাতে ধরা পড়ে গেল।
‘এই ব্যাটা, দেখি দেখি কি ফেললি?’ দুমড়ে মুচড়ে ফেলা কাগজের টুকরাটা মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে সেপাইটি সোজা চলে গেল ওসি সাহেবের কাছে। ফিস ফিস করে বললো, ‘স্যার, এই কাগজের মধ্যে নিশ্চয় হেরোইন ছিল। আমাদের ফাঁকি দিয়ে ওরা হাজত ঘরে বসে হেরোইন খেয়েছে। এক ব্যাটা আসামী লুকিয়ে কাগজটা ফেলে দিচ্ছিল। আমি ধরে ফেলেছি।’
‘তাই নাকি?’ ওসি সাহেব হুংকার দিয়ে বললেন, ‘আলামত হিসাবে জব্দ তালিকায় এন্ট্রি করে অন্য মালামালের সাথে কোর্টে জমা দাও। আর শোনো, মাগী দুটার মধ্যে কম বয়সীটাকে আজ চালান দিওনা। ঠিক আছে?’
মেঝের ওপর পা ঠুকে ওসি সাহেবকে স্যালুট করে সেপাই বললো, ‘ইয়েস, স্যার!’
*****************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ওহ!!!!


কিসমতের এরকম তেরোটা বেজে গেলো!!!!!

হায় ধনুরাশির যাতক!:)

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।

শুভকামনা রইল।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




ওয়াও .......... ‘ইয়েস, স্যার!’

আমাদের রাশিচক্রে কি একথা লেখা আছে যে , মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়তে পারেন ( আমরা কিসমতের জামিন আনতে কোর্টে হাজির হবো ) ?????????????? :(

+++

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। রসালো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।


শুভকামনা রইল।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ঠিক আছে?’ :P
‘ইয়েস, স্যার!’
বড় কঠিন সত্য কথা বলেছেন ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ব্লগ সার্চম্যান।

শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

খালিদ আহসান বলেছেন: কিসমতের কিসমত সেদিন ভাল ছিলনা।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই খালিদ আহসান।


শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

প্রামানিক বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হলো বাস্তবেই ঘটে যাচ্ছে। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।


শুভকামনা রইল।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মাস্টার্সে তলানিতে পড়া সেকেন্ড ক্লাস। এর আগের রেজাল্টগুলোও টানা হেঁচড়া টাইপের।
দুটার মধ্যে কম বয়সীটাকে আজ চালান দিওনা। বড্ড মজা করে লিখেছেন।

লিখা দেখে বুঝতে পারছি চোখের আপনাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।
শুভ কামনা জানবেন হেনা ভাই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।


শুভকামনা আপনার জন্যেও।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০০

সোহানী বলেছেন: অনেক দিন নিজ মহীমায় ফিরে এসেছেন হেনা ভাই। অনেক ভালোলাগলো...........

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।

শুভকামনা রইল।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখা দেখে বুঝতে পারছি চোখের ডাক্তার আপনাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।
বোল্ড লিখাটা বাদ পড়ে গেছিল ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওটা কিন্তু আমি অনুমানেই বুঝেছিলাম লিটন ভাই। এরকম আমার নিজেরই কত হয়। কোন ব্যাপার না।

কষ্ট করে আবার সংশোধিত মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: গতানুগতিক গল্প । এমন গল্প আগেও পড়েছি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চিটাগং এক্সপ্রেস।


শুভেচ্ছা রইল।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৮

সুমন কর বলেছেন: এখন কেমন আছেন?

আহা রে, বেচারা কিসমত !! গল্প ভালো লাগল। +।

১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন ভালো আছি ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।


শুভকামনা রইল।

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: চমৎকার গল্প। অনেক অনেক ভালোলাগা।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এস, এম, মনিরুজ্জামান মিন্টু।


শুভকামনা রইল।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২০

কল্পদ্রুম বলেছেন: রাশিফলে বিশ্বাসী নই।তবে জন্মতারিখ অনুযায়ী নিজেনধনু রাশির জাতক বলে কিসমতের জন্য একরকম খারাপই লাগলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম।


শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিসমত সত্যিই ভাগ্যবান বটে!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, দোয়া করি যেন এমন ভাগ্য আপনারও হয়।

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চোখ তো ভালো হয়েছে, এমন মজাদার লেখাগুলো বেশি বেশি চালিয়ে যান, এখনি তো সময়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, এখনো সময় হয়নি। কারণ, এক চোখ ভালো হওয়ায় এখন লিখলে অর্ধেক লেখা হবে। আমার আর এক চোখের অপারেশন এই মাসের ২০ তারিখে। তারপরে লিখলে পুরো লেখা হবে। তখন সবাই আগ্রহ নিয়ে পড়বে। অর্ধেক লেখা পড়ে সবাই 'তারপরে কী হলো', 'তারপরে কী হলো' বলতে বলতে আমাকে জেরবার করে ফেলবে। হে হে হে। =p~

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: "কিসমত" শব্দের আরেক অথ সম্ভবত "ভাগ্য" ৷ গল্পের নামকরণ খুবই চমৎকার ৷

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি ভাই, 'কিসমত' শব্দের অর্থ ভাগ্য। এটি একটি উর্দু / হিন্দি শব্দ। মানুষের নাম হিসাবেও এই শব্দটির ব্যপক ব্যবহার আছে। গল্পের হিউমারের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে আমি সচেতনভাবেই এই নামটি ব্যবহার করেছি।


ধন্যবাদ ভাই শাহিন-৯৯। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: হেনা ভাই আপনার ছবিটা চেঞ্জ কড়ে, সাম্প্রতিক সময়ের একটা ছবি দেন। আপনার অপারেশন সময় কে যেন আপনার একটা ছবি দিয়েছিল। আপনার বর্তমান লুকে একটা লেখক লেখক আর পরিন্নতা আর মায়া প্রকাশ পায়। আপনার গল্প আর ছবি দেখে পাঠক হিসেবে অনেক কিছু কল্পনা করি। তাই বল্লাম।

আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার নাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বর্তমান লুকে একটা লেখক লেখক আর পরিন্নতা আর মায়া প্রকাশ পায়।



হাঃ হাঃ হাঃ। আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। ব্লগার সাদা মনের মানুষ ( কামাল ভাই ) আমার চোখ অপারেশনের খবর জানিয়ে সামুতে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টে ছবিটা ছিল। তিনি বছর খানেক আগে যখন আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন, তখন ঐ ছবিটা তুলেছিলেন। উনি ক্যামেরার যাদুকর। অসুন্দর মানুষেরও সুন্দর ছবি তুলতে পারেন। সব কৃতিত্ব তাঁর।

ধন্যবাদ ভাই ফেল কড়ি মাখ তেল। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

ওমেরা বলেছেন: আহারে কিসমত -------বেচারা ।ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে, ওমেরা বুবু যে! এতদিন কই আছিলা?


গল্পটি পড়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০০

ওমেরা বলেছেন: আমার ক্লাস শুরু হয়েছে , আমার কাজ তাই একটু বিজি দাদু ভাইয়া ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ও কে। স্টাডি ইজ দ্যা ফার্স্ট প্রায়োরিটি। ধন্যবাদ ওমেরা।

১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

রক বেনন বলেছেন: হা হা হা হেনা ভাই। চরম মজার হয়েছে। কিসমতের কিসমত কানেকশন একেবারে ক্রস কানেকশন হয়ে গেছে। =p~ =p~ =p~ আপনি কেমন আছেন হেনা ভাই। আশা করি সুস্থ আছেন। আপনার লিখা আবার পেয়ে অনেক খুশি লাগছে। ভাল থাকবেন হেনা ভাই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আমি সুস্থ আছি। আমার আর এক চোখের অপারেশন এই মাসের ২০ তারিখে। দোয়া করবেন।


ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি ভাই রাশি বিহীন মানুষ। মানে আমার রাশি চক্রে বিশ্বাস নেই। তবে আপনার লেখাটি অসাধারণ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।


শুভেচ্ছা রইল।

২১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আবার পড়লাম এবং আবার মজা পেলাম। মর্মকথা হলো: পড়লে পুরোটাই পড়তে হবে,তাই তো?

গল্পের মধ্যে আরেকটি বার্তা হলো: রাশি দেখো কিন্তু পুরোটা বিশ্বাস করো না.... হাহাহা ;)

শুভেচ্ছা জানবেন... আবুহেনা ভাই! আশা করছি এতদিনে দু'চোখেই দেখতে শুরু করেছেন :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত মইনুল ভাই।

হাঁ ভাই, আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমি এখন দুই চোখেই পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আফসুস!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেরী হয়ে গেল লেখাটি পড়তে , আমি নিজেও বেশ অসুস্থ ছিলাম কিছু দিন । ব্লগে বেশী সময় নিয়ে বিচরণ করতে পারিনি ।
সুস্থ হয়ে আবার লেখার জগতে ফিরে এসেছেন দেখে অনেক খুশি হয়েছি । লেখাটি পড়লাম । জ্যোতিষি এবং এতসংক্রান্ত বিষয়াবলীকে আপনার নিপুন হাতে গল্প আকারে এখানে তুলে ধরে কিসমত তথা ভাগ্য বিষয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর কথা মালা তুলে ধরে অনেককেই বিষয়টি সম্পর্কে ভাবনার অনুভুতি জাগিয়ে দিয়েছেন দেখে ভাল লাগল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

আপনার অসুস্থতা বিষয়ে আপনারই একটি পোস্টের প্রতিমন্তব্য থেকে জানতে পারলাম। অসুবিধা না থাকলে কী অসুখটার বিষয়ে বলবেন? এখন কেমন আছেন?

২৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জানতে চাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । কি যে বলেন, বলতে কোন অসুবিধা থাকার কোন কারণ নেই । আপনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, আমি কি তা না জানিয়ে পারি । সম্পুর্ণ অজানা কারণে একদিন রাতের বেলায় হঠাৎ করে পেটে ব্যথা শুরু হয়। মনে করেছি হয়তবা শক্ত কোন খাবার দাবার থেকে হতে পারে । তেমন গুরুত্ব দেইনি । মনে করেছিলাম পানি, হজমী , কোক এবং ঠান্ডা জাতীয় কিছু খেলে ভাল হয়ে যাবে । কিন্তু ক্রমে ক্রমে তা বাড়তেই থাকে । কোন মতে রাত পার করি । মনে করে ছিলাম সকালের মধ্যে ব্যাথা কমে যাবে কিন্তু না ব্যথা কমেনা তা ক্রমেই বাড়তে থাকে । তার পরেও মনে করতে থাকি ভাল হয়ে যাবে । আমি সহজে রোগ শোকের জন্য ডাক্তারের কাছে যাইনা পরিবারের সকলের চাপাচাপিতে বিকালে ডাক্তারের কাছে যাই । ডাক্তার আমার ব্যথার প্রকৃতির কথা শুনেন , আমাকে বসিয়ে রেখে তার পাশের চেম্বারে গিয়ে সিনিয়র ডাক্তারের সাথে কথা বলেন । ফিরে এসে বলেন হসপিটাল বুকিং দেয়া হয়ে গেছে এখনই যেন আমি সেখানে যাই কিছু পরীক্ষা করতে হবে । দেরী না করে চলে যাই । তাদের পরীক্ষা পরব শুরু হয়ে যায় । ব্যথা কমেনা । রাতেই পেট স্কেনিং করে । ব্যাথা নাশক ওষধ দেয় । আমি মনে করেছি কি আর হবে , পেটের বিষয়ে আমারতো কোন কমপ্লিকেসি কোন কালেই আগে ধরা পরেনি , ভাবছিলাম আল্লার রহমতে সিরিয়াস কোন কিছু পবেনা , ব্যথা সেরে যাবে । তাই পরিবারের লোকজনদেকে বাসায় ফিরে যেতে বলেছিলাম , হসপিটালের ডাক্তারও বলেছে সকালে রিপোর্ট দেখে তারা আমাকে ছেড়ে দিবে । কিন্তু সকালে ৮ টার সময় এসে বলে আধ ঘন্টার মধ্যে আমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে । কারণটা জানতে চাইলে বলল রিপোর্টে দেখা যায় আমার লোয়ার ইন্স‌টাইনটেন্টে ক্লট বেধে গেছে, মানে তলপেটের নারীভূরীতে গিট্ট বেধে গেছে । বললাম আমার ফ্যামিলির লোকজনদেকে খবর দিন , তারা আসলে পরে অপারেশন করুন । তারা ফোন করে খবর দিল, আমিউ ফোনে বলেছি আধগন্টার মধ্যে আমার একটি অপারেশন হবে , তাই তারা যেন তারাতারি চলে আসে । তবে আমার জন্য মভিং ট্রলি ততক্ষনে চলে এসেছে । বিভিন্ন কথা বলে তাদের আসা পর্যন্ত সময় নেয়ার চেষ্টা করি । কিন্তু না , তারা আমাকে নিয়ে চলল , ঠেলে নিয়ে যাওয়ার সময় করিডোরে পরিবাবের লোকজনদের সাথে দেখা হয় । শুধু বলেছি বাইরে অপেক্ষা কর । অপারেশন থিয়েটারে ডুকানোর পরে তাদের প্রস্তুতি দেখে ঘাবরিয়ে যাই । সার্জন এর সাথে দেখা যায় বড় একদল ডাকতার , তারা ছুরি কাচি নিয়ে প্রস্তুত, জটিল অপারেশন টিভি ফিল্মে দেখেছি , নীজে এমন জায়গায় যাব জীবনেও ভাবি নাই । মনে হলো সার্জেন্টের সাথের এত লোকজন তার সহকারী কিংবা মেডিকেল স্টুডেন্ট হবে তারা অপারেশন পর্বটা দেখবে শিখার জন্য । আমাকে কমপ্লিট এনেসথাসিয়া করা হলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় । আর কিছু বলতে পারবনা , জ্ঞান যখন ফিরল তখন বলা হল অপারেশন সাকসেসফুল । তাদের কথায় জানা গেল প্রায় চার ঘন্টা লেগেছে অপারেশনে । আপরেশনে আর কিছু দেরী হলে সিরিয়াস কিছু ঘটে যেতে পারতো বলে জানানো হল । যাহোক, নিয়ে গেল হাই কেয়ার ইউনিটে , আপারেশনের পরের সময়টাই দু:সহ , সবকিছু নলে চলে, সেলাইন আর ইনজেকশনে , কিছুক্ষন পরে পরেই পরীক্ষা , মাঝে মাঝে রাতে হেচকী উঠে, মনে হয় এই বুঝি শেষ যাত্রা । যাহোক , সেখানে সপ্তাহখানেক থাকার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরি । কিন্তু কেন এমন হলো তার কারণ তারা বের করতে পারে নাই । মনে হলো আমার কেসটা নিয়ে বেশ স্টাডি চলছে , হসপিটাল লিংক ইউভার্সিটির মেডিকেল স্টুডেন্টরা এটাকে কেস স্টাডি হিসাবে নিয়েছে । তারা মাঝে মাঝে এসে আমাকে দেখে যায় আলোচনা করে আমার মেডিকেল কেস হিস্ট্র জানতে চায় , আমার মেয়েটাও ঐখানকার ইউনিভার্সিটর ফাইনাল ইয়ার মেডিকেল স্টুডেন্ট বিধায় সেও আসে যায় , অন্যেরাও একটু খাতির যত্ন করেছে । অপারেশনকারী সার্জন আমার মেয়ের টিচার বিধায় তিনি যথেষ্ট খুঁজ খবর নিয়েছেন । যাহোক, বাসয় ফিরার পরেও বেশ কিছু দিন ফলো আপে ছিলাম । কারণটা এখনো বের হয়নি কেন এমন হলো, শুধু ধারনা করছে খাবার জনিত কোন কিছু হতে এমনটা হতে পারে । তবে জানানো হলো আমার বিষয়ে ইনভেস্টিগেশন শেষ , ভয়ের কোন কারণ নেই , এবনরমাল কিছুই ধরা পরে নাই । দেশের বাইরের হসপিটাল বলে বিষয়টা এত সহজে হতে পেরেছে , তা নাহলে কি যে বেগ পেতে হতো আল্লাহই জানেন । যাহোক আল্লার রহমতে এখন পুর্ণ সুস্থ আছি , পেটের ভিতর ও বাইরে কাটাকাটির জন্য সম্পুর্ণ নীজের মানসিক কারণে ( যদিও ডাক্তার বলেছে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করার জন্য) কিছুটা সংযত হয়ে চলতে হচ্ছে এই যা অসুবিধা । চলাফেরার মধ্যে নিয়মিত মসজিদে যাই , ১০ মিনিটের হাটার রাস্তা । লেপটপ পায়ের উপরে নিয়ে পিছনে বালিশে হেলান দিয়ে আধাশোয়া অবস্থায় লেখালেখি কিছু করতে পারি , সময়টা ভাল কাটে, তবে পরকালের চিন্তায় পেয়ে বসেছে, ভুল ভ্রান্তি কিছু হয়ে থাকলে, নীজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন । দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন ।

আপনার শারিরিক অবস্থা কেমন জানাবেন , অপর চোখের অপারেশন কি হয়ে গেছে ? দোআ করি আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ রাখেন ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার অসুখের বর্ণনা পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করা ছাড়া কিছু করার নেই। আল্লাহ আপনাকে সর্বদা সুস্থ রাখেন এই দোয়া করছি। মেডিক্যাল সাইন্স এখনো মানুষের শরীরের সকল রোগ ব্যধির কারণ জানতে পারেনি। তারপরেও অপারেশনের ফলে আপনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এ জন্য আল্লাহ্‌র দরবারে হাজারো শুকরিয়া।

গত মাসের ২০ তারিখে আমার ২য় চোখের অপারেশনও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমি দুই চোখেই পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহ্‌র অশেষ মেহেরবানী এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি এখন সুস্থ। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পরকালের চিন্তা মানুষ মাত্রেরই থাকে। কম অথবা বেশি। কিন্তু ভাই আমি যেটা বিশ্বাস করি তা' হলো আল্লাহ তাঁর নির্ধারিত সময়েই আমাকে তুলে নিবেন। এক সেকেন্ড আগেও নয়, পরেও নয়। তাই আমি কখনোই মৃত্যু ভয়ে ভীত থাকি না। আমি জানি, আমার আমলনামাই পরকালে আমার ভাগ্য নির্ধারণ করে দিবে। তাই দুনিয়াতে আমি জীবনে কখনো সজ্ঞানে কোন খারাপ কাজ করিনি। বাঁকি জীবনেও করবো না। মৃত্যু ভয়ে সব সময় ভীত থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মন ও শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই আপনাকে অনুরোধ করছি, দয়া করে পরকালের চিন্তা ও মৃত্যু ভীতি ন্যুনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনুন। ভালো থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। সব সময় ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনার চোখের সফল অপারেশনের কথা শুনে খুশি হলাম ।
মৃত্যুর ভয় তেমন করিনা তবে আমলটা কি নিয়ে যাচ্ছি সে ভয়টা করি ।
যাহোক, আপনার সুপরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.