নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ একজন রাগী মানুষের গল্প

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩



আজ একজন রাগী মানুষের গল্প শুনুন। ১৯৭৮ সালের ঘটনা। আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স পড়ি। ঐ সময় আমার সাবসিডিয়ারি পরীক্ষা চলছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করি। একদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে আমার বাড়ির কাছাকাছি একটা স্টপেজে নেমে দেখা হয়ে গেল আসগর চাচার সাথে।

আসগর চাচা আমার প্রতিবেশি। তিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শাখায় লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের পদে চাকরি করেন। ছোটখাটো মাঝ বয়সী মানুষ। আমাদের মহল্লায় ভাড়া থাকেন। স্ত্রী ও সাত ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর টানাটানির সংসার। তারপরেও তিনি কোন দোকানে বাঁকি খান না। কারো সাথে দু’নম্বরী করেন না। ভীষণ সৎ মানুষ। সততার কারণে অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী। আর অভাবের কারণে তাঁর মেজাজ সব সময় তুঙ্গে থাকে। সম্ভবতঃ প্রকৃতিগতভাবেও তিনি খুব রাগী ও বদমেজাজি স্বভাবের। সততার সাথে রাগের বোধহয় একটা সম্পর্ক আছে।

আসগর চাচার এই রাগী স্বভাবের কারণে অন্যান্যদের সাথে তাঁর প্রায়ই খিটিমিটি লেগে যায়। বিশেষ করে মুদি দোকান এবং বাজারের মাছ মাংস ও সব্জি বিক্রেতাদের সাথে তাঁর প্রায়ই তর্কাতর্কি, হাতাহাতি, এমনকি ঘুষোঘুষি পর্যন্ত হয়ে যায়। বাসাতেও স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সাথে তাঁর গালাগালি ও ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। মহল্লার লোকজন পারতপক্ষে আসগর চাচাকে এড়িয়েই চলে। খামোকা ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়তে কে চায়, বলুন?

আমি বাস থেকে নেমে তাঁকে সালাম দিতেই তিনি সালামের কোন উত্তর না দিয়ে চড়া গলায় বললেন, ‘আমার কী হয়েছে, এ প্রশ্ন করবেনা। ঠিক আছে?’
আসগর চাচা বাজার করে ফিরছিলেন। তাঁর শার্টের পকেট ও ডান হাতা ছেঁড়া। বোতামগুলো উধাও। কপালের এক অংশ আলুর মতো ফোলা। চোখের নিচে কালশিটে দাগ। ভুরুর ওপর দিকে কেটে রক্ত ঝরছে।
এমন চেহারার একজন মানুষকে (বিশেষ করে প্রতিবেশি মুরুব্বী শ্রেনীর মানুষকে) কী হয়েছে জিজ্ঞেস করা যাবে না, এমন নিষেধাজ্ঞা আপনারা পেয়েছেন কোনদিন? আমার মনে হয় না। কিন্তু আসগর চাচা বলে কথা। আমি তাঁকে ঘাঁটাতে চাইনা। তাঁর নিষেধাজ্ঞার পরেও কিছু বললে দক্ষযজ্ঞ বেধে যাবে। তাই তিনি চলে যাবার পর আমি বাড়ি না ফিরে কাঁচাবাজারের কাছাকাছি আমার পাড়ার এক বন্ধুর তৈজসপত্রের দোকানে গেলাম। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতেই সব জানা গেল। প্রতিদিনের ঘটনা। বাজার করার সময় জিনিষপত্রের দাম নিয়ে দোকানিদের সাথে আসগর চাচার বাক বিতণ্ডা। গতকাল আলুর দাম ছিল পৌনে দু’টাকা, আজ দুই টাকা দিতে হবে কেন? আলু কী রাতারাতি আপেল হয়ে গেছে? কাচকি মাছের ভাগা গতকাল ছিল তিন টাকা, আজ সাড়ে তিন টাকা দিতে হবে কেন? এক দিনের মধ্যে কাচকি মাছ কী সব বোয়াল মাছ হয়ে গেছে? আসগর চাচার এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দোকানিরা প্রতিদিন হিমশিম খায়। তর্কাতর্কি হয়, ঝগড়াঝাঁটি হয়। আজ একটু বাড়াবাড়ি রকমের ঝগড়াঝাঁটি হয়ে গেছে, যা শেষ পর্যন্ত জামা ধরে টানাটানি ও ঘুষি বিনিময় পর্যায়ে চলে গেছে। মাসে তিন চারবার এমন বাড়াবাড়ি রকমের ঝগড়াঝাঁটি হয়ে থাকে। আমাদের মহল্লার অনেক লোক বাজারে ব্যবসা করে। তারাই মিটমাট করে দেয়। মিটমাট করতে গিয়ে অনেক সময় দোকানিদের কেনা দামে মাল বেঁচে আসগর চাচাকে শান্ত করতে হয়।

আজ থেকে পঁয়ত্রিশ বছর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এত দুর্নীতি ছিল না। তারপরেও কিছু এ হাত ও হাত যে হতো না, তা’ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শাখার অনেক কর্মচারী ঐতিহ্যগত ভাবেই কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এই কর্মগুলোর মধ্যে একটি ছিল বাসায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য অফিসের কাগজ, কলম, পেন্সিল, কাটার, কার্বন, ইরেজার ইত্যাদি চুরি করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া। এ যুগের হিসাবে খুবই সামান্য অপরাধ। সে যুগের হিসাবে অতটা সামান্য নয়, বিশেষ করে আসগর চাচার মতো মানুষের চোখে পড়লে তো নয়ই। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করার পাত্র নন। তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি সরল। চোর কর্মচারীর জামার কলার ধরে বাঁ হাতে ঠাস্ ঠাস্ করে আধা ডজন চড় বসিয়ে দেওয়া (বলতে ভুলে গেছি, আসগর চাচা ছিলেন ন্যাটা। তাঁর সব কাজ ছিল বাঁ হাতে)। এ নিয়ে প্রায়ই অফিসের মধ্যে হৈ চৈ হতো। অফিস ডেকোরাম ভাঙ্গার অপরাধে আসগর চাচা দু’একবার সাসপেন্ডও হয়েছেন। আর শো-কজের তো হিসাব নাই। কিন্তু চোর কর্মচারীরা কোনদিন পাল্টা আঘাত করার সাহস করেনি। মনের ভেতর অপরাধবোধ থাকলে যা হয় আর কী!

কিন্তু একদিন এর ব্যাতিক্রম হলো। আমি দুপুরের ক্লাস শেষে কয়েকজন বন্ধুসহ বাস ধরার জন্য মমতাজউদ্দিন কলাভবন থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখলাম, রক্তাক্ত নাক চেপে ধরে দু’জন কর্মচারীর সাহায্যে আসগর চাচা প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের দিকে যাচ্ছেন আর চরম উত্তেজিত কণ্ঠে কাকে যেন গালাগাল করছেন। তাঁর প্যান্ট শার্টে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ।
জানা গেল, সেই কাগজ চুরির মামলা। আসগর চাচা এমনিতে ছোটখাটো গড়নের দুর্বল মানুষ। দেহে তেমন বল শক্তি নেই। পাল্টা মার খেতে হয়না বলে বেশিরভাগ সময় তিনিই জেতেন। কিন্তু আজকের মামলায় তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল দশাসই চেহারার এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। আসগর চাচার চড় খেতে খেতে অতিষ্ঠ হয়ে সে একটা ঘুষি বসিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই আসগর চাচার নাক ফেটে চৌচির।

সেই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দু’জনকেই সাসপেন্ড করে দিল। আসগর চাচা এর আগেও সাসপেন্ড হয়েছেন। তিনি যতদিন সাসপেন্ড থাকেন, ততদিন আমাদের মহল্লার মসজিদে মোয়াজ্জিনের কাজ করেন। তাঁর আজানের সুর খুব চমৎকার। মহল্লার সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে যে, আসগর চাচার আজান শুনলে মসজিদে যেতে ইচ্ছে করে। এমন সুরেলা গলার মিষ্টি আজান রাজশাহী শহরের আর কোন মসজিদে শোনা যায় না। আমাদের মসজিদের একজন বেতনভুক মোয়াজ্জিন ছিল। আসগর চাচা আজান দিলে তার তো কোন কাজ থাকে না। কিন্তু তার বেতন নেওয়া যাতে হালাল হয়, সেজন্য আসগর চাচা সারাদিন তাকে মসজিদের কাজে খাটিয়ে মারেন। মসজিদের মেঝে ঝাড়ু দেওয়া, জায়নামাজগুলো ঝাড় পোঁছ করে রোদে দেওয়া, মইয়ে চড়ে ফ্যান মোছা, দেয়ালের ঝুল ঝাড়া, ওযুর জায়গা পাক সাফ রাখা ইত্যাদি হেন কাজ নেই, যা তাকে দিয়ে তিনি করান না। সাথে অবশ্য আসগর চাচা নিজেও হাত লাগান। তবে এসব কাজ ও আজান দেওয়ার জন্য তিনি মসজিদ থেকে একটি পয়সাও নেন না। কিন্তু তারপরেও একদিন মসজিদ থেকে আসগর চাচাকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো।

বেতনভোগী মোয়াজ্জিন মসজিদের দানবাক্স থেকে মাঝে মধ্যে টাকা পয়সা সরাতো। একদিন এ কাজ করতে গিয়ে সে সরাসরি আসগর চাচার হাতে ধরা পড়ে যায়। আসগর চাচা তাঁর স্বভাব অনুযায়ী মোয়াজ্জিনকে চড় থাপড় দিতে দিতে মসজিদ সংলগ্ন হুজরাখানায় ইমাম সাহেবের কাছে নিয়ে হাজির করেন। ইমাম সাহেব সব শুনে মসজিদ কমিটির সভা ডাকলেন। পাড়ার মুরুব্বীরাই মসজিদ কমিটির সদস্য। সভায় আসগর চাচা চুরির ঘটনা বর্ণনা করলেন। মোয়াজ্জিনকে জবাব দিতে বলা হলে সে টাকা চুরির কথা বেমালুম অস্বীকার করে উল্টো এই বলে অভিযোগ করলো যে, আসগর চাচার এখন চাকরি না থাকায় তিনি মোয়াজ্জিনের চাকরিটা বাগানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছেন। মোয়াজ্জিনের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘সে তো এই মসজিদে দশ বারো বছর থেকে আছে। আমি তো তাকে কখনো এ কাজ করতে দেখিনি বা শুনিওনি। এখন আল্লাই ভালো জানেন।’

মসজিদ কমিটির লোকজন দু’পক্ষের বক্তব্য ও ইমাম সাহেবের কথা বিবেচনায় নিয়ে মোয়াজ্জিনের বক্তব্যকে যুক্তিসঙ্গত মনে করলো এবং আসগর চাচাকে শুধু নামাজ পড়া ছাড়া মসজিদের সকল কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিল। সেদিন থেকে আসগর চাচার সুরেলা কণ্ঠের আজান শোনা বন্ধ হয়ে গেল।

এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর আসগর চাচা ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তাঁর দেশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় চলে যান। যাওয়ার আগের দিন তৈজসপত্রের দোকান মালিক আমার সেই বন্ধুর কাছে তিনি দুটো পুরাতন পিতলের কলস ও চারখানা কাঁসার থালা বিক্রি করে গাড়ি ভাড়ার টাকা জোগাড় করেছিলেন। সাসপেনসন উইথড্র হয়ে পরে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছিলেন কী না তা’ বলতে পারবো না। কারণ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নয়, রাজশাহী শহরেই তাঁকে আর কখনো দেখিনি আমি। সম্ভবতঃ বার বার শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সেবার আর তিনি চাকরি ফিরে পাননি।

অর্থনীতিতে একটা কথা আছে, Bad money drives good money out of circulation. একই ভাষায় এ কথা বললে কী খুব বেশি অন্যায় হবে যে, Bad man drives good man out of existence?

একটা তথ্য দিয়ে রাগী মানুষের গল্পটি শেষ করি। আসগর চাচা চুয়াডাঙ্গা চলে যাবার মাস তিনেক পর একই অপরাধে স্বয়ং ইমাম সাহেবের হাতে ধরা পড়ে সেই মোয়াজ্জিনের চাকরি চলে যায়।
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
*****************************************************************************************************************
ছবিঃ নেট
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল মানুষের এই পৃথিবীতে সম্মান সব সময়ই মনে হয় কম।
গল্প ভাল লেগেছে হেনা ভাই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার লেখনি অসাধারন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সারাফাত রাজ।



ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

ওমেরা বলেছেন: আহারে বেচারা - সততার কোন মূল পেল না ।

ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এই দুনিয়ায় সৎ মানুষেরা চিরকাল অবহেলিত। অসৎ মানুষরাই সম্মান পায়।


ধন্যবাদ ওমেরা বুবু। ভালো থেকো। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল মানুষদের জীবন সচারাচর ভাল যায় না। আপনার গল্পগুলো হাস্যরসাত্মক ভঙ্গীতে উপস্থাপিত হলেও মর্মে তার গভীর কষ্ট লুকায়িত থাকে। দক্ষ গল্প লেখক না হলে এটা সম্ভব না।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন সেই কামনা হেনা ভাই ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাল মানুষদের জীবন সচারাচর ভাল যায় না


চিরন্তন সত্য। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

আ্যাডোনিস. বলেছেন: অসাাধারণ খারাপ মানুষ,অসাধারণ ভালো মানুষের অসাধারণত্বকে হরণ করে তাকে একরাশ দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত করে।

অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
ভালো থাকবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এ্যাডোনিস।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

কানিজ রিনা বলেছেন: সৎ মানুষ রাগাম্বিত হয়। বেশ ভাল লাগল
গল্পটা। ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, সততার সাথে রাগের একটা সম্পর্ক আছে। ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: জীবনঘণিষ্ট গল্প। ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বি এম বরকতউল্লাহ।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গুরুজি পোস্টখানি ভাল লাগল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সততা বিফলে যায় না,
সততার পুরস্কার মিলবেই
যদি এ জীবনে না হয় পরবর্তী
জীবনে নিশ্চিত পাওয়া যাবে।
গল্পচ্ছলে বাস্তব কাহিনী তুলে
ধরার জন্য আপানাকে ধন্যবাদ
হেনা ভাই। ভালো থাকবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, আপনি ঠিকই বলেছেন। সততা এ জীবনে মুল্যায়িত না হলেও পরবর্তী জীবনে নিশ্চয় মুল্যায়িত হবে।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আজকাল সততায় আছে শত বিপদ লুকিয়ে!!!! কথায় আছে -সৎ লোকের ভাত নেই.....


গল্পে বাস্তবতার কিছু চিত্র ওঠে এসেছে।ভালো লিখেছেন,ভাই ।


শুভকামনা রইল ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সৎ লোকের বিপদ পায়ে পায়ে। কোন সন্দেহ নাই। তারপরেও সৎ থাকতে হবে।


ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

জুন বলেছেন: আপনার সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পগুলো সত্যি মন ছুয়ে যায় । একজন সৎ মানুষের কি করুন পরিনতি ।
সততার সাথে রাগের বোধহয় একটা সম্পর্ক আছে। ভালোই বলেছেন কথাটি ।
অনেক ভালোলাগা রইলো হেনা ভাই ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।


ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো মানুষের দাম নাই

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।



ধন্যবাদ বোন ফেরদৌসা রুহী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বে গল্পটি খুব ভালো লাগলো পড়ে।
বর্তমান জগতে সৎ মানুষ হেয়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বর্তমান জগতে সৎ মানুষ হেয়


হাঁ ভাই, এই গল্পের মূল থিম সেটাই। ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বে গল্পটি খুব ভালো লাগলো পড়ে।
বর্তমান জগতে সৎ মানুষ হেয়।
পৃথিবী ক্ষনিকের। সৎ মানুষের পুরস্কার পরকালে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সৎ মানুষের পুরস্কার পরকালে


আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই কথাটা বিশ্বাস করতে হবে। ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন:

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হয়তো কথাটা ঠিক। তবু আমরা এই দুনিয়াতে সুখ খুঁজি।


সবাই তো সুখি হতে চায়
কেউ সুখি হয়, কেউ হয় না।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: শেষের কথাটাই এখন সব খানে দেখা যাচ্ছে । বড় আফসোসের কথা ।
গল্পে শেয়ার জন্য ধন্যবাদ ! :)


যাই হোক, চুয়াডাঙ্গা আমার জেলা শহর !

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার জেলা শহরের একজন খাঁটি মানুষের সাথে আমার পরিচয় ছিল, এটা আমার সৌভাগ্য।


ধন্যবাদ ভাই অপু তানভীর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি অর্থনীতির ছাত্র জেনে ভালো লাগল। যদিও আমি অর্থনীতির খারাপ ছাত্র কিন্তু তারপরও টান তো থাকেই।
গ্রেশাম'স ল এখন সর্বত্রই প্রকট। আজকের দিনে কেউ সৎ থাকলেই বরং বিপদ। ভালো মানুষের, ভালো উদ্যোগের মূল্য নেই। তবুও কিছু মানুষ থাকে যারা সততা নিয়েই বেঁচে থাকতে চায়।

আপনার লেখাটা পড়ে যেন সত্তরের দশকের বাংলাদেশ থেকে ঘুরে আসলাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি অর্থনীতির ছাত্র জেনে ভালো লাগল। যদিও আমি অর্থনীতির খারাপ ছাত্র কিন্তু তারপরও টান তো থাকেই।


হাঃ হাঃ হাঃ। টান তো আমিও অনুভব করি।


আপনার লেখাটা পড়ে যেন সত্তরের দশকের বাংলাদেশ থেকে ঘুরে আসলাম।

ভাই, পুরনো দিনের অনেক মূল্যবোধ দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি সেসব মূল্যবোধের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার।

ধন্যবাদ ভাই আরিফ রুবেল। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

সোহানী বলেছেন: সৎ মানুষের কোন মূল্যই নেই দেশে সেটা বিশ্বাস করুক আর না করুক............

ভালো লাগলো ও অনেক কিছুর সাথে রিলেট করতে পারলাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বেশী রাগও ভালো না। যত সৎ হোক না কেন, সব ক্ষেত্রে রাগ ভালো না। অবশ্য ঐ সময়কার সবারই মানসিকতা এরকম খিটখিটে ছিল মনে হয়...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বেশী রাগও ভালো না। যত সৎ হোক না কেন, সব ক্ষেত্রে রাগ ভালো না। অবশ্য ঐ সময়কার সবারই মানসিকতা এরকম খিটখিটে ছিল মনে হয়..

একমত। তবে ঐ সময় বলে নয়, সব কালেই কিছু মানুষ থাকে যারা রাগী ও খিটখিটে মেজাজের হয়।


ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি তালগাছ আমার। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো লাগল।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

নায়না নাসরিন বলেছেন: ভালোলাগা ভাইয়া +++++++

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন নায়না নাসরিন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: উদ্ভুত ভালো লাগা আর খারাপ লাগার মিশ্র অনুভূতি হলো সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা এই গল্পটি পড়ে। আপনার লেখনীর ভক্ত অনেক আগে থেকেই, তারপরেও এটা পড়ে হৃদয়ে হাহাকারের একটা ঝড় উঠল, আহারে! জীবন এমন কেন?

শুভকামনা রইল প্রিয় লেখক।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জীবন এমন কেন?


বিলিয়ন ডলার কোয়েশ্চেন। কিন্তু উত্তর নাই।


ধন্যবাদ ভাই শান্তির দেবদূত। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কেন যে সৎ মানুষদের জীবন এত কষ্টের হয় বুঝিনা। সে যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক। লেখা পড়ে ভাল লাগলো। ভাল আছেন তো ?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আমি ভালো আছি।


আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। গল্পে একটি বার্তা ছিল।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহাদাৎ হোসাইন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

শেরপুর মেইল বলেছেন: শেরপুরের সব খবর আপডেট পেতে ভিসিট করুন http://sherpurmail24.net

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক।

২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সততার সাথে রাগের একটা সম্পর্ক থাকে কেন জানি। আড্ডাঘরে দেখা যাচ্ছে না আপনাকে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওখানে ঝগড়া ঝাটি চলছে। আমি এসব থেকে শত হাত দূরে থাকি।


ধন্যবাদ ভাই মোহেবুল্লাহ অয়ন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

প্রামানিক বলেছেন: গল্পটি আগেও পড়া ছিল আবার পড়লাম। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।



ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

রন৬৬৬ বলেছেন: You are cent percent correct on that issue of an angry verses honesty. My father was a DGM in a Nationalized Bank (1960-1985). After retirement, he has gone back to his ancestral village because he did not have land or house at Dhaka. By the way, he was a terribly angry man too. There were ample opportunities to become rich after 1972 but he boldly refused to take kickbacks or bribe. The price was heavy. He did not get promotion. His promotion was withheld. Most of his batch mates from U.B.L. 1960 became at least, General Manager of Nationalized Banks eventually. He paid ultimate price later on that is, my Mom divorced him in 1975 with three children! However, being an honest man you can survive in Europe, USA, Canada or Australia but not in Africa, South Asia. People in developed countries do not have problem. Their society based on accountability and transparency. I have been in Australia for 5 years and I have witnessed this particular issue. You can survive entire life without doing any corruption! You will have house and pension at the end of the day. Good life for you if you choose to continue an honest way of life. No worries at all. Your wife won't leave you for that reason of being an honest person. You children will get decent education. Around 5 to 10 percentage of people are corrupt in the Western world. In contrast, 90% or more people are corrupt in Bangladesh or in South Asia and Africa.

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: Around 5 to 10 percentage of people are corrupt in the Western world. In contrast, 90% or more people are corrupt in Bangladesh or in South Asia and Africa.


আপনার এই কথাটির সাথে আমি একমত। আপনার পিতার জীবন থেকে এটা বুঝা যায় যে, সততার সাথে রাগের একটা সম্পর্ক আছে এবং আমাদের মতো দেশে সৎ ভাবে বেঁচে থাকা সত্যিই খুব কঠিন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে যেহেতু আমার জীবনের সব কাজে আল্লাহর উপর নির্ভর করি, সেহেতু এই কঠিন কাজটাই গত ৬৩ বছর ধরে করে আসছি। কিন্তু ন্যাচারালি আমি রাগী মানুষ নই।

ধন্যবাদ ভাই রন৬৬৬। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




আবার নতুন করে ভালো লাগলো ।
কাচকি মাছের ভাগা গতকাল ছিল তিন টাকা ............... এখন কতো ? কেজি ৪ থেকে ৫শ ঠাকা । অসততাও তেমনি চড়চড় করে আকাশ ছুঁয়েছে । কেবল সততার ভাগা এখন একটাকা । আগের কালে হলে দু'পয়সা ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাচকি মাছের ভাগা গতকাল ছিল তিন টাকা ............... এখন কতো ? কেজি ৪ থেকে ৫শ ঠাকা । অসততাও তেমনি চড়চড় করে আকাশ ছুঁয়েছে । কেবল সততার ভাগা এখন একটাকা । আগের কালে হলে দু'পয়সা ।


ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একবার রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) এ অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে যোগ দিতে রাজশাহী গিয়েছিলাম । সে সময়কার অনেক কথাই মনে পড়ে তবে বেশী করে মনে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্যগুলির কথা । সেখানে থাকা দৃস্টি নন্দন শহীদ মিনার কমপ্লেক্স, যেখানে আছে রাবি শহীদ মিনার, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা দুটি মুরাল ও উন্মুক্ত মঞ্চ একটি ওয়াই ফাই জোন। সিনেট ভবনের দক্ষিণ চত্বরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সাবাশ বাংলাদেশ দেখে মনটা ভরে গিয়েছল । শহীদ হবিবুর রহমান হল চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ গণিত বিভাগের শিক্ষক হবিবুর রহমান স্মরনে "বিদ্যার্ঘ" স্মারকসৌধটি দেখে গুনীজনদের প্রতি রাজশাহী বাসীর শ্রদ্ধা দেখে ভাল লেগেছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাশে শহীদ শামসুজ্জোহা হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ডঃ শামসুজ্জোহা স্মরনে নির্মিত স্ফুলিঙ্গ ভাস্কর্যটি দেখে হিদয়ে সত্য সত্যই স্ফুলিঙ্গ অনুভুত হয়েছিল । প্রধান ফটক পেরিয়ে সড়ক দ্বীপের ডানে প্রশাসন ভবনের সামনে গোল চত্বরের দক্ষিণপূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তির স্মারক 'সুবর্ণ জয়ন্তি টাওয়ার' পাশে দাড়িয়ে এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের অনেক কথাই শুনছিলাম অর্থনীতি বিভাগের ( নামটি মনে পড়ছেনা তবে সম্ভবত আবদুল হামিদ স্যার) অধ্যাপকের এর কাছ হতে ।

ধন্যবাদ, লেখাটির মাঝে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের কথা ও সেখানকার একজন সৎচরিত্রবান কর্মচারী আসগর চাচার জীবনালেখ্য তুলে ধরার জন্য । সুকণ্ঠে আযান দেয়ার অধিকারী এই জান্নাতি লোকটির জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে কোনকালে হয়ত হবেনা কোন স্মৃতি স্তম্ভ কিংবা তার নামে কোন ভবন কিংবা হলের নাম, তবে এই গল্পে তাকে নিয়ে গর্ব করার মত কাহিণী উঠে আসায় ইতিহাসের পাতায় তিনি পেয়েছেন ঠাই এই শান্তনাটুকু নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল । লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি পড়ে ভালো লাগলো। অর্থনীতি বিভাগের যে শিক্ষকের কথা আপনি বলেছেন, তিনি যদি আবদুল হামিদ স্যার হন তাহলে আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে তিনি সরাসরি আমার শিক্ষক ছিলেন। ক্লাসে তিনি 'ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড' পড়াতেন। অত্যন্ত জ্ঞানী শিক্ষক। তিনি আমাদের ডিনও ছিলেন। পরে আমি পাশ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর শুনেছিলাম যে, হামিদ স্যার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে জয়েন করেছেন।

অসুস্থ শরীরে কষ্ট করে এই স্মৃতিচারণমূলক গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। আপনার শরীর এখন কেমন আছে?

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: গল্প উপন্যাস আমি পড়ি না বললেই চলে। আপনার এই গল্পটি পড়ে অসম্ভব ভাল লাগলো। অসাধারণ লিখেছেন। আপনার গল্পে সচরাচর একটা ম্যাসেজ বা moral থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। Simply অনবদ্য!

একটা শব্দ ন্যাটা /Left handed (অনেকদিন পর শব্দটা শুনলাম বা পড়লাম।) আর একটা বাক্য বেশ ভাল লাগলো মনের ভেতর অপরাধবোধ থাকলে যা হয় আর কী!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কিন্তু আমার লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'স্বপ্ন বাসর' পড়েছেন। তাই না? এই স্মৃতিচারণামূলক গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।


ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আরাফআহনাফ বলেছেন: "Bad man drives good man out of existence?"

সুবোধ, সুনীতি নির্বাসিত! ! !!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুবোধ, সুনীতি নির্বাসিত! ! !!


তাই আমার সুবচন নির্বাসনে। হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ ভাই আরাফআহনাফ। অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৩৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

ফয়সাল রকি বলেছেন: টাইটেল টা "একজন সৎ মানুষের গল্প" হতে পারতো।
খুবই দুঃখজনক পরিণতি, তবে এযুগে এরকম মানুষ নেই বললেই চলে।
পোষ্টে +++

রি-পোস্ট।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টাইটেল টা "একজন সৎ মানুষের গল্প" হতে পারতো।


হাঁ, তা' হতে পারতো। ধন্যবাদ ভাই ফয়সাল রকি।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৭

মুহাম্মাদ সালাহ উদ্দিন বাবু। বলেছেন: যে ক্য়জন লেখকের লেখা পড়ার জন্য ব্লগে আসি আপনি তার মধ্যে অন্যতম।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যে ক্য়জন লেখকের লেখা পড়ার জন্য ব্লগে আসি আপনি তার মধ্যে অন্যতম।


জেনে খুশি হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই মুহাম্মাদ সালাহ উদ্দিন বাবু। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সৎ মানুষরা আমাদের সমাজে কদর পায়না।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.