নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারা কী কোন পাগলকে কখনো মদ খেতে দেখেছেন? আমি আজ এক পাগলের কথা বলবো, যে মদ খেত।
তার নাম পচা পাগলা। বদ্ধ পাগলদের মতো সে কিন্তু দিগম্বর হয়ে ঘুরতো না। বরং ঠিক তার উল্টো। ফুলপ্যান্টের ওপর গিঁট বেঁধে পরা ছেঁড়া ফাটা লুঙ্গি আর নোংরা পাঞ্জাবির ওপর বিবর্ণ ফুলহাতা শার্ট। এই ছিল তার শীত গ্রীষ্ম সারা বছরের পোশাক। অবশ্য তাকে স্যান্ডেল বা জুতা পরতে কেউ দেখেনি। খালি পায়ে হাতে একটা ছড়ি নিয়ে বাজারের কশাইপট্টিতে সে কুকুর তাড়িয়ে বেড়ায়।
সূর্য উঠার আগে থেকে কশাইপট্টির ভেতর গরু ছাগল জবাই করা শুরু হয়ে যায়। পচা পাগলার ডিউটিও তখন থেকে শুরু। সে রাতের বেলা তাড়ি খেয়ে কশাইপট্টির ভেতর শুয়ে থাকে। তাড়ি হলো খেজুর বা তালের রস পচিয়ে তৈরি করা এক ধরণের মদ। এই মদ খেয়ে পচা পাগলা রাতে ঘুমিয়ে থাকে। ডোজ একটু বেশি হলে সে উল্টোপাল্টা বকতে বকতে ঘুমিয়ে যায়। ডোজ কম হলে সারা রাত না ঘুমিয়ে সে ঝিম মেরে বসে থাকে। ভোরে গরু ছাগলের গলায় ছুরি চালানোর সাথে সাথে নেড়ি কুত্তাগুলো রক্তের গন্ধ পেয়ে ছুটে আসে। তখন পচা পাগলার ডাক পড়ে। ‘এই পচা’, ‘এই পচা’, ‘আয় রে’-কশাইদের হাঁক ডাক শুনে পচা পাগলা সাঁই সাঁই করে ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে এসে হাজির। কিন্তু যারা শুধু ‘পচা’ বলে ডাকে, তাদের ডিউটি সে করতে চায় না। তার টাইটেল সহ তাকে ডাকতে হবে। অর্থাৎ, ‘পচা পাগলা’। কশাইদের কেউ কেউ যখন দেখে যে, কুত্তা মুখ লাগিয়ে রক্ত চাটছে অথবা পশুর নাড়িভুঁড়ি নিয়ে টানাটানি করছে অথচ পচা পাগলা ছড়ি হাতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে, তখন তারা বুঝতে পারে যে পচাকে তার টাইটেল সহ ডাকা হয়নি। তারা তখন চিৎকার করে বলে, ‘আবে ওই পচা পাগলা, কুত্তাগুলা তাড়া ভাই, তাড়া!’
ব্যস্, পচা পাগলার প্লে বাটনে চাপ পড়ে যায়। সে মুহূর্তের মধ্যে সাঁই সাঁই করে ছড়ি ঘুরিয়ে ধমক দিয়ে কুত্তা গুলো তাড়িয়ে দেয়। একটু পরে কুত্তা গুলো একটা একটা করে আবার এসে জড়ো হয়। পচা আবার তাড়া করে ওদের। এভাবে মাংস বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেলা বারোটা একটা অব্দি সে ডিউটি করে। কশাইরা তাকে সকালের চা-নাস্তা খাওয়ায়। দুপুরে হোটেলে খাওয়ার জন্য টাকা দেয়। তাড়ি ও বিড়ি–সিগ্রেট খাওয়ার জন্যও কিছু দেয়। পাগলের মাথা ঠাণ্ডা না থাকলে সে ডিউটি করবে কেন?
দুপুরে খাওয়ার পর ছড়ির মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে ঘাড়ে নিয়ে পচা পাগলা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত তার দৃপ্ত পদচারনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু মুখে তার কোন শ্লোগান বা সংলাপ নেই। ফাজিল ছেলেদের ছোঁড়া ইট পাটকেলকে সে ভ্রুক্ষেপ করে না। কঠিন মুখ করে পতাকা হাতে খালি পায়ে সে শহরের রাস্তা দাপিয়ে বেড়ায়। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে শহর ছাড়িয়ে সে চলে যায় তাড়ির ভাটির দিকে। সেখানে সে কখনো মাগনা তাড়ি খায় না। মজিদ ভাটিওয়ালাকে রোজ দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে সে মাটির খোলা ভর্তি এক খোলা তাড়ি নিয়ে বসে যায়। অন্যান্য তাড়িখোররা নেশার ঘোরে পচা পাগলার গান শোনার জন্য তাকে এক আধ গ্লাস তাড়ি অফার করে। পচা সসম্মানে অফার গ্রহন করলেও একটা গানের প্রথম দুটো কলি ছাড়া সে অন্য গান জানে না। “ঝুম বারাবার ঝুম শরাবি, ঝুম বারাবার ঝুম!” গানের এই একই পংক্তি বার বার শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে তাড়িখোররা পচা পাগলাকে তাড়িয়ে দেয়। একে তো পাগল, তার ওপর আবার তাড়ি খেয়ে মাতাল। পচা পাগলা টলতে টলতে রওনা দেয় তার আশ্রমে। আশ্রম বলতে সেই কশাইপট্টি। পাগল হোক আর মাতাল হোক, দুটো জিনিষের কথা সে কখনো ভোলে না। হাতের ছড়ি আর কশাইপট্টির ঠিকানা।
অন্য পাগলদের মতো পচা পাগলা বক বক করে না। একমাত্র কুকুর তাড়ানো ছাড়া তার কোন হিংস্র আচরণও নেই। শোনা যায়, এক সময় নাকি তার বাড়ি ঘর সবই ছিল। একাত্তর সালে যুদ্ধের সময় বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে নৌপথে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবি হয়ে পদ্মার খরস্রোতা জলে সবাই ডুবে যায়। পচা পাগলা সাঁতরে কূলে উঠে নিজের প্রাণ বাঁচায়। কিন্তু পরিবারের সবাইকে হারিয়ে তখন থেকে তার মাথা সামান্য টাল হয়ে যায়। জনশ্রুতি আছে, যুদ্ধের শেষের দিকে রাজাকাররা তার মাথায় রাইফেলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তাকে আরও টাল বানিয়ে দেয়।
তার সম্পর্কে সত্য মিথ্যা অনেক কিছুই জানা যায় না। কেউ বলে, পচা পাগলা হিন্দু, কেউ বলে মুসলমান। মাঝে মাঝে সে দু’একদিনের জন্য কশাইপট্টি থেকে উধাও হয়ে যায়। কোথায় যায়, কে জানে? জিজ্ঞেস করলে সে কোন জবাব দেয় না। কেউ তার সাথে কথা বলতে চাইলে সে বিরক্ত বোধ করে।
তাড়ি খেলে পচা পাগলা দিলদরিয়া হয়ে যায়। হাতের মুঠোয় যা দু’একটাকা থাকে, তা’ সে ভিক্ষুককে দিয়ে দেয়। একবার এক ভিক্ষুকের সাথে এ নিয়ে তার ভীষণ ধ্বস্তাধস্তি হলো। ভিক্ষুক পাগলের ভিক্ষা নেবে না, আর পাগল ভিক্ষা না দিয়ে ছাড়বে না। পচা যতবার দু’টাকার কয়েন ভিক্ষুকের থালায় রাখে, ভিক্ষুক ততবার সেটা তুলে ফেলে দেয়। কয়েন কুড়িয়ে এনে আবার দিতে গেলে ভিক্ষুক পচা পাগলাকে তাড়া করে। পচা দৌড়ে পালিয়ে যায়। দূরে দাঁড়িয়ে বিড় বিড় করে বলে, ‘শালা ফকির না পাগল?’
একবার পচা পাগলাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। কশাইপট্টিতে মাংস কিনতে আসা সিভিল ড্রেসের এক পুলিশ অফিসার তার মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলে পচা পাগলাকে পকেটমার ভেবে ধরে ফেললো। কশাইরা যতই বলে, ‘ও পকেটমার না স্যার, পাগল’, অফিসার ততই ক্ষেপে যায়। পচাকে চড় থাপড় দিয়ে পায়ের কাছে বসিয়ে রেখে অফিসার ওয়াকি টকিতে থানায় খবর দিল। থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ধরে নিয়ে গেল। কশাইরা সবাই একযোগে প্রতিবাদ করলেও কোন ফল হলো না।
বিকেল বেলা সব কশাই এক হয়ে বাজারের আরো লোকজন নিয়ে থানায় গেল পচাকে ছাড়িয়ে আনতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে পচা পাগলার অবস্থা দেখে সবার মন খারাপ। পচাকে মার ধোর করে হাত পা বেঁধে থানার হাজত ঘরের মেঝেতে উপুড় করে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার নোংরা পোশাক আশাক ছিঁড়ে ফালি ফালি। কিন্তু এত কিছু করেও তার কাছ থেকে কোন মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি। পচা পাগলা কশাইদের দেখে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললো। কশাইরা পুলিশের সাথে অনেক কথা কাটাকাটি করে কিছু টাকা পয়সা ভেট দিয়ে পচাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলো।
কিন্তু পরদিন থেকে পচা পাগলার ভিন্নরূপ। কশাইরা তাকে নতুন কাপড় চোপড় কিনে দিলেও সে সেসব গা থেকে খুলে ফেলে দিগম্বর হয়ে বাজারের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। বহু চেষ্টা করেও তাকে কাপড় পরানো গেল না। বাজারের দোকানদাররা মহা বিব্রত। তারা হাই হুই করে পাগলাকে তাড়া করলে সে দৌড়ে বাজারের এক গলি থেকে আর এক গলিতে চলে যায়। সেখানে তাড়া খেয়ে সে আবার অন্যদিকে পালায়। কিন্তু বাজার থেকে সে বেরোয় না। মহা মুশকিল!
বাজার করতে আসা লোকজন লজ্জায় চোখ ঢেকে দোকানদারদের বকাঝকা করে। বাজারে নারী পুরুষ অসংখ্য কাস্টোমার। তাদের মধ্যে এক ন্যাংটো পাগল ছোটাছুটি করছে। এমন হলে তো এ বাজারে আর আসা যাবে না! দোকানদাররা এ পাগলকে তাড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?
অবশ্য দোকানদাররা না পারলেও পচা পাগলা এতদিন যাদের ছড়ি ঘুরিয়ে তাড়িয়ে বেড়াতো, সেই কুকুর গুলোই তাকে বাজার থেকে তাড়িয়ে দিল। পোশাকধারী পুলিশ আর পোশাকবিহীন পাগলকে তাড়া করা কুকুরের সহজাত স্বভাব। রহস্যজনক কারণে তারা এই দুই শ্রেণীর লোককে পছন্দ করে না। পচা পাগলার উদোম দেহ দেখে প্রথমে ভড়কে গেলেও পরে কুকুর গুলো ঘেউ ঘেউ করে তাড়া করলো তাকে। সম্ভবতঃ এতদিন পচাকে পোশাক পরা অবস্থায় দেখে তারা বুঝতে পারেনি যে, সে পাগল। দিগম্বর পচা পাগলাকে তারা কামড়ে হাঁচড়ে রক্তাক্ত করে ফেললো। কুকুরের কবল থেকে বাঁচার জন্য পচা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে পালিয়ে গেল বাজার থেকে।
এরপর আর দেখা যায়নি তাকে। কেউ কেউ বলে, শহর থেকে দূরে ময়লা ফেলার এক ভাগাড়ে পচা পাগলা নাকি উদোম শরীরে মরে পড়ে ছিল। হতেও পারে। কে খোঁজ রাখে এসব পাগল ছাগলের?
********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।
ছবিঃ গুগল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এই গল্পটি পূর্বে প্রকাশিত। এই জন্য গল্পের শেষে রি-পোস্ট কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই শামচুল হক। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এটা কি গল্প না বাস্তব?
আমার কাছে গল্প মনে হলো না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে লেখা গল্প।
ধন্যবাদ ভাই রাজীব নূর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই জোকস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুনেছি সাংবাদিক, পুলিশ আর কুকুর নাকি একই মাটি দিয়ে তৈরী।
এদের সকলের স্বভাব অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবণতা। গন্ধ শুকে শুকে
রহস্য খোঁজা তাদের কাজ। এরা এরা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেনা।
সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে লিখিত গল্প ভালো লাগলো আবুহেনা ভাই
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যুদ্ধের পর, এই ধরণের লোকদের সাহায্য করেনি শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব; শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের মগজ দেশ চলানার জন্য যথেষ্ট ছিলো না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হেনা ভাই, গল্প ভালো লেগেছে | হ্যা, তারাশংকরের "তারিণী মাঝি"-র কথাই মনে হয় ঠিক | জীবন সুন্দর | ভালোবাসার জন্যও জীবনটা দেওয়া যায় না | আপনার এই পঁচা পাগল, পরিবারের সবাইকে হারিয়ে -তাদের ভালোবাসার জন্যই পাগল হলো কিন্তু কারো সহানুভূতি কিন্তু পেলো না জীবনে | সারা জীবন পাগলের অবহেলা সয়েই একদিন সবার অজান্তে মরে যেতে হলো ! দেশের স্বাধীনতার সময় এমন ঘটনা মনে হয় অনেক | সবক্ষেত্রেই গল্প কিন্তু একরকমই | আর একটা কথা, দেশের নোংরা রাজনীতি, রাজনীতিবিদদের নিয়ে খুব ভাবতে ইচ্ছে করে না | কিন্তু কারো কারো মন্তব্য শুনে মাঝে মাঝে মনে হয় একমত হয়ে যাই |একটু এলাবরেশনসহ (পরের সময়গুলোর) চাঁদগাজীর মন্তব্যটা পরেও তেমন মনে হলো | নতুন ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা নেবেন |
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই পঁচা পাগল, পরিবারের সবাইকে হারিয়ে -তাদের ভালোবাসার জন্যই পাগল হলো কিন্তু কারো সহানুভূতি কিন্তু পেলো না জীবনে | সারা জীবন পাগলের অবহেলা সয়েই একদিন সবার অজান্তে মরে যেতে হলো !
ঠিক তাই। এসব অসহায় মানুষদের নিয়ে কেউ লেখালেখি করে না ভাই। সেটাও একটা আক্ষেপ।
ধন্যবাদ ভাই মলাসইলমুইনা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৫
শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, অমানবিকতা নিষ্ঠুরতা এগুলো নিয়ে অনেক অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু.........না থাক কিছুই বলবো না।
রিপোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগ তো কথা বলার জন্যই। বলবেন না কেন? মানবিক মূল্যবোধের স্বপক্ষে যায়, এমন যে কোন কথাকে আমি গুরুত্ব দেই। মানুষের অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা এসব নিয়ে কথা বললে তা' মানবিক মূল্যবোধের স্বপক্ষেই যায়।
ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১২
প্রামানিক বলেছেন: গল্পটি আগেও পড়েছিলাম, আবারও পড়লাম, খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পাগলটি কাপড় ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশি নির্যাতনের পর কিন্তু কুকুরের নির্যাতনের পর জীবনি ছেড়ে দিতে হয়েছে মনে হয়। গুল্পটি পড়ে ভাল লাগলো গুরুজী।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: পচা পাগলার কাহিনী, কিছুটা অংশ কষ্ট গাঁথা। আসলেই পাগল ছাগলের খবর কে রাখে, সুস্থ মানুষের খোঁজই কেউ রাখে না।
লেখা ভালো লাগলো।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ আগেই পড়েছিলাম। তাই ডিটেইলস মন্তব্যে গেলাম না। শুধু + দিয়ে গেলাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৯
সুমন কর বলেছেন: হুম, আগে পড়েছিলাম। ভালো লিখা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রথম দিকে ভালোই লাগছিল, কিন্তু শেষের দিকে মনটা খারাপ হয়ে গেল!!
সত্যি পাগলের খোঁজ কেউ রাখে না!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গল্পকাররা তাদের গল্পের সুত্র জীবন থেকেই সংগ্রহ করেন বলে, গল্পকেই অনেক সময় বাস্তব বলে মনে হয়!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একমাত্র রূপকথার গল্প ছাড়া মানুষকে নিয়ে লেখা সব গল্পই বাস্তব জীবনের প্রতিবিম্ব।
ধন্যবাদ ভাই সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগে পড়িনি। গল্পটা ভালো লেগেছে যদিও করুণ...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি তালগাছ আমার।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যস্ততা বেশী বলেই আজকাল আপনার পোষ্ট আমার হাতে আসে বাসি হলে........নামাজের পড়ে চা খাওয়ামুনে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই পোস্টটাই তো বাসি (মানে রি-পোস্ট)। চায়ের পরিবর্তে কফি খাওয়ানো যায় না?
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেখি জুমার পর কফি ওয়ালাদের পাওয়া যায় কিনা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না পেলে ক্ষতি নাই। এলাচ দেওয়া চা হলেও চলবে।
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
আটলান্টিক বলেছেন: আহারে পচা পাগলার ঘটনা পড়ে দু:খ অনুভব করছি।আপনি খুব সুন্দরভাবে পুরো ঘটনাটা তুলে ধরেছেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই একটি আটলান্টিক।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
প্রতিভাবান অলস বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, অসহায় মানুষদের গল্প মন খারাপ করে দেয়। এই দুনিয়াতে অসহায় দুর্বল মানুষরা কতভাবেই না নির্যাতিত হয়!
গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই প্রতিভাবান অলস। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহ! কফি পাইছি।
২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা খামু না। গুড়ের শরবতে সাদা টুথপেস্ট দিয়া কী একটা ককটেল বানাইছেন! আপনিই খান।
২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নেন পচা পাগলা আপনার জন্য এইগুলো রাইখা গেছিল
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খেজুরের তাড়ি, না তালের তাড়ি?
২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩
কাতিআশা বলেছেন: লেখ পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল..একই মানুষ আমরা, অথচ ভাগ্যের পরিক্রমায় বা সাহায্যের অভাবে কত মানুষ পচা পাগলার মত হারিয়ে যায় ধলোবালির মত!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: .একই মানুষ আমরা, অথচ ভাগ্যের পরিক্রমায় বা সাহায্যের অভাবে কত মানুষ পচা পাগলার মত হারিয়ে যায় ধলোবালির মত!
সঠিক উপলব্ধি। ধন্যবাদ কাতিআশা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
রক বেনন বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার হলো পাগলদের সাথে আমরা নিজেরাই স্বাভাবিক আচরণ করতে পারি না। পাগলকে ক্ষেপানো, ঢিল মারা, কাপড় ধরে টান দেয়া, পানি ছুঁড়ে মারা এইসব আমাদের মতন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষই করে থাকে। আর পাগলীদের সাথে আরও ভয়াবহ অবস্থা হয়। তাহলে অসুস্থ কে? পাগল না আমরা??
চমৎকার লিখেছেন হেনা ভাই। কিছু ব্যাপার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ভালো থাকবেন!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাগলকে ক্ষেপানো, ঢিল মারা, কাপড় ধরে টান দেয়া, পানি ছুঁড়ে মারা এইসব আমাদের মতন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষই করে থাকে। আর পাগলীদের সাথে আরও ভয়াবহ অবস্থা হয়। তাহলে অসুস্থ কে? পাগল না আমরা??
একেবারে সত্য কথা বলেছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ যে কত অসহায়, সেটা আমরা বুঝতেই চাই না।
ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
পুলক ঢালী বলেছেন: হেনা ভাই আপনার গল্প লেখার দক্ষতা প্রশ্নাতীত জীবন ছোঁয়া আপনার সব গল্পই ভাল লাগে বর্ণনার সাথে সাথে সিনেমাটিক ভিউ চলমান থাকে যেন মনে হয় সব চোখের সামনেই সব ঘটছে । গল্পের টারনিং গুলিও চমকপ্রদ ধন্য আপনার অবজারভেশন।
হেনা ভাই আপনি অসন্তুষ্ট হলেও একটা জায়গায় আমার খারাপ লেগেছে তা বলতেই হচ্ছে
কে খোঁজ রাখে এসব পাগল ছাগলের
ছাগলের সাথে তুলনা করায় পাগলের প্রতি যে মমত্ব বোধটা গড়ে উঠেছিল সেখানে কেন জানি মনে হল মানবতাকে হেয় করা হয়েছে । মনে হওয়ার কারন পুরো গল্প পড়ে এখানে এসে আমি যেন হোঁচট খেলাম বলে মনে হল
লেখক তো তার আপন ভাবনায়ই লিখবে আমি শুধু আমার অনুভুতিটুকু শেয়ার করলাম
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কে খোঁজ রাখে এসব পাগল ছাগলের
এই কথাটি আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় মানুষদের প্রতি আমাদের সমাজ যে কতটা নির্দয় ও অবহেলাপ্রবণ, সেটা এই বাক্যটির মাধ্যমে আমি দেখাবার চেষ্টা করেছি। সমাজের অংশ হিসাবে আমরা কেউই এই দায় এড়াতে পারি না। এই বাক্যটি ব্যক্তিগতভাবে বা লেখক হিসাবে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ নয়। গল্পকার এই কথাগুলো প্রবন্ধ বা নিবন্ধের ফরম্যাটে বর্ণনা আকারে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারেন না। তাকে এমন পরোক্ষ বাক্যের মাধ্যমেই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে হয়। আশা করি, আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১১
পুলক ঢালী বলেছেন: গুড়ের শরবতে সাদা টুথপেস্ট দিয়া কী একটা ককটেল বানাইছেন! আপনিই খান।
হা হা হা কি ক্রিয়েটিভ রিপ্লাই
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাদা মন ভাই এরকমই। হাঃ হাঃ হাঃ।
২৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
আটলান্টিক বলেছেন: আপনার জীবনে কি প্যারানরমাল/অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটে নাই?সেগুলো নিয়ে কিছু লিখুন
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার লেখা 'নরক থেকে ফেরা' গল্পটি পড়ুন। এই ব্লগেই আছে। ধন্যবাদ।
২৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
পুলক ঢালী বলেছেন: হেনাভাই গল্প পড়ে তার উন্মাদনায় তাৎক্ষণিক ঐ ২৫ মন্তব্য করে বসেছি ওটা যাওয়ার পরেই মনে হল এটা তো আমজনতার কথাও হতে পারে আপনিও তাই বললেন আপনাকে কষ্ট দিয়ে লাভ হল যে আপনার কাছ থেকে খুব সুন্দর একটা ব্যাখ্যা পেলাম।
বাই দ্যা ওয়ে পচাঁ পাগলা আপনার জন্য যে গিফট রেখে গিয়েছে ২২ সেটা উপভোগ করে আপনার কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল আমজনতা তা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওটা উপভোগ করার বয়স কী আর আছে রে ভাই? হাঃ হাঃ হাঃ। তবে ইয়ং বয়সে তালের তাড়ি খেজুরের তাড়ি দুটোই খেয়েছি।
২৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শীতের সকালে এক কাপ লিকার চা
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিকার চায়ে দুধের ভেজাল। ঠিক আছে, শীতের সকালে ভেজাল খেলে কোন ক্ষতি নাই। ধন্যবাদ কামাল ভাই।
৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০১
মিঃ আতিক বলেছেন: পাগল নিয়ে গল্প ভালো লেগেছে। পাগলের জন্য কষ্ট হচ্ছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মিঃ আতিক।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৩১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন?
৩২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালে মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের মাঝে স্বপ্ন ছিলো না।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।
৩৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: যেখানে থাকুক ভাল থাকুক। দুঃখ ভর্তি সম্মানিত পচা পাগলার স্বর্গ কামনা করি স্রষ্টার কাছে।
এ পচা পাগল তো কুকুর তাড়ায় কিছুদিন পূর্বে এক পাগলকে দেখেছি। তখন রাত ১-২টা হবে। একটা কুকুরকে দেখলাম সেই পাগলের পাশে ঘুমাতে। যখন ক্লিক দিতে গেলাম, অমনি গেউ করে উঠলো। অবাক হলাম, কুকুর দ্বারা পাগলের নিরাপত্তা দেখে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবাক হলাম, কুকুর দ্বারা পাগলের নিরাপত্তা দেখে।
প্রকৃতিতে অসহায় ও অবহেলিতদের নিজেদের মধ্যে এক ধরনের সহমর্মিতা লক্ষ্য করা যায়। কুকুর নিজে অবহেলিত হবার কারণে একজন অসহায় ও অবহেলিত মানুষের প্রতি সে ভালোবাসা অনুভব করে। প্রাকৃতিক কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ ভাই সৈয়দ ইসলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৩৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৪
জুন বলেছেন: হেনা ভাই ব্লগে নিয়মিত আসা হয় না তাই আপনার সহজ সরল ভাষায় লেখা পচা পাগলার করুন জীবনীটি চোখ ফাকি দিয়ে গিয়েছিল । আমি অবশ্য আগে পড়িনি এবারই প্রথম পড়া।
ছোটবেলায় বাবার কর্মসুত্রে এক মফস্বল শহরে থাকার সময় সেখানকার বাজারে এমনি এক পাগল ঘুরে বেড়াতো। কেউ তার পরিচয় জানতো না। দীর্ঘ সুঠাম দেহী সেই পাগল আপন মনে ঘুরে বেড়াতো। একদিন দেখি তার ডান হাতের কব্জী পর্যন্ত পুড়ে চামড়া উঠে বীভৎস অবস্থা। জানলাম ফুটন্ত কড়াই থেকে বেগুনী তুলতে গিয়ে এই অবস্থা। অনেক মায়া লেগেছিল তার জন্য । তারপর একদিন আপনার পচা পাগলার মতই কোথায় জানি হারিয়ে গেল । আর দেখিনি।
আপনার লেখা থেকে অনেক স্মৃতি মনে পরে যায় আর তা মন্তব্যে উল্লেখ করি বলে আশা করি কিছু মনে করেন না ।
অনেক ভালো থাকুন নয়ন তারাকে নিয়ে ।
+
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখা থেকে অনেক স্মৃতি মনে পরে যায় আর তা মন্তব্যে উল্লেখ করি বলে আশা করি কিছু মনে করেন না ।
অনেক ভালো থাকুন নয়ন তারাকে নিয়ে
আপনি আমাকে লজ্জা দিলেন বোন। আপনাদের মন্তব্য আমার কাছে অনেক অনেক মূল্যবান। আমি কিছু মনে করতে যাবো কেন? খোলামেলা মন্তব্য আমাকে বরং আরও ভালো লিখতে উৎসাহিত করে। আমার লেখা পড়ে ভালো মন্দ সব অনুভূতিই নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবেন। গল্পটি পড়ার জন্য এবং আমার নয়নতারাকে মনে রেখেছেন জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৩৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে আমি আছি তো মাত্র আড়াই বছর হলো, আগে পড়ার তাই সুযোগ হয়নি। তবে নতুন হিসেবেই পড়ে খুব অভিভূত হয়েছি। আপনার লেখায় ছবি ফুটে উঠে।সেলুলয়েডের ফিতের মত গল্প এগিয়ে যায়, পাঠককে মোহাবিষ্ট রেখে।
পুলিশ পাগলকেও কোন ছাড় দেয় না- বাস্তবে দেখা এমন বহু ঘটনার প্রতিফলন আপনার এ গল্পেও পেলাম।
একমাত্র রূপকথার গল্প ছাড়া মানুষকে নিয়ে লেখা সব গল্পই বাস্তব জীবনের প্রতিবিম্ব (১৪ নং প্রতিমন্তব্য) - খুব সুন্দর বলেছেন কথাটা!
এখানে ব্লগিং করতে করতে কত ব্লগার যে একে অপরের সাথে বয়সের দূরত্ব অতিক্রম করে নিবিড় বন্ধুত্বে এবং আত্মীয়সম বন্ধনে আবদ্ধ হন, তা আপনার এবং সাদা মনের মানুষ এর মধ্যকার মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলো থেকে বোঝা যায়। আমি খুব উপভোগ করি এগুলো।
জুন এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। উনি অন্যের পোস্ট পড়ে কিংবা নিজের পোস্টে অন্যের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রায়ই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে থাকেন, যা আমার খুব ভাল লাগে। অনেক সময় সেসব অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতার কথাও মনে পড়ে যায়।
সুন্দর গল্পের জন্যে ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।
০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার পিসি বিগড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন অনলাইনে ছিলাম না। তাই আপনার এই মন্তব্যের উত্তর দিতে অনেক দেরি হয়ে গেল। দুঃখিত খায়রুল আহসান ভাই।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৩৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমরাও তো পচা পাগলা কেবল কুকুর তাড়াই!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত। আপনাকে ধন্যবাদ গালিব ভাই।
৩৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩১
সিগন্যাস বলেছেন: আহা পচা পাগলার গল্প শুনে দুঃখ হলো।আমাদের দেশটা এমন কেন?কেউ কারো খবর রাখে না।
বিলম্বে পড়ার জন্য দুঃখিত।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিলম্বে হলেও পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন ভাই সিগন্যাস। শুভেচ্ছা রইল।
৩৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: ভাল হয়েছে। তবে গল্পে কয়েন আর সিভিল ড্রেস না দিয়ে মুদ্রা ও সাধারণ পোষাক হলে ভাল হত। বাংলা ভাষায় যেহুতু রচনা করেছেন সেহেতু পূর্ণতা পেলে আরো ভাল লাগত।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রিফাত হোসেন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
শামচুল হক বলেছেন: এই গল্পটা মনে হয় আগেও পড়েছিলাম। পাগলদের বাস্তব কাহিনী নিয়ে খুব ভালো গল্প।