নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ নকল নবিস

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

আজ দু’জন নকল নবিস (মূহুরি বা দলিল লেখক)-এর কথা মনে পড়ছে। এরা হলেন আসগর আলি ও সুধিরচন্দ্র পাল। স্বাধীনতার আগে থেকে এই দু’জন নকল নবিস আমার আব্বার সেরেস্তায় কাজ করতেন। আব্বা ছিলেন রাজশাহী বারের এ্যাডভোকেট। তিনি এ দু’জনকে নিয়ে খুব পেরেশানির মধ্যে থাকতেন। আসগর আলি ছিলেন অবাঙ্গালী মোহাজির, আর সুধিরচন্দ্র পাল ছিলেন স্থানীয় লোক। কিন্তু একই সেরেস্তায় কাজ করা সত্ত্বেও তাদের দু’জনের মধ্যে কোন সদ্ভাব ছিল না। দলিল বা পিটিশন লেখা, দলিলের সার্টিফায়েড কপি লেখা, ওকালতনামা মুসাবিদা করা, বেল বন্ডের ফরম পূরণ করা ইত্যাদি কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কাড়াকাড়ি ও ঝগড়া বিবাদ ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই তাদের একজনের বিরুদ্ধে অন্য জনের নালিশ আব্বাকে শুনতে হতো। দু’জনেই খুব ভালো নকল নবিস ছিল বলে আব্বা তাদেরকে সেরেস্তা থেকে বাদ দিতে পারতেন না। এটা ওটা বলে আপোষ রফা করে দিতেন।

ঘটনাচক্রে দু’জনেরই পেশাগত কাজে একটা সমস্যা ছিল। আর তা’ হলো মক্কেলের নাম লিখতে ভুল করা। দলিল লিখতে গিয়ে কোন হিন্দু মক্কেলের নাম হলে আসগর আলির ভুল হবেই। তবে তার আর দোষ কী? সে তো বিহারী মানুষ। আমরা বাঙ্গালীরাই অনেকে এখনো বন্দ্যোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, চক্রবর্তী ইত্যাদি লিখতে গিয়ে কলম ভেঙ্গে ফেলি। আসগর আলি ঠিক মতো বাংলা লিখতে পারতেন না বলে ইংরেজিতে দলিল লিখতেন। আব্বার কাছে শুনেছি, তার ইংরেজি ড্রাফ্‌ট ছিল খুব উচ্চমানের। ওদিকে সুধির বাবু স্থানীয় লোক হলেও মুসলমান মক্কেলের নাম লিখতে গিয়ে প্রায়ই বানান ভুল করে ফেলতেন। যেমন, তার মুসাবিদায় রাজ্জাক হয়ে যেত রজ্জাক, কলিমউল্লাহ হয়ে যেত কালিমুল্লা। তবে তিনি ইংরেজি বাংলা দুই ভাষাতেই দলিল লিখতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। আব্বা দু’জনকেই ধমক ধামক দিয়ে নাম ঠিক করিয়ে নিতেন।

অন্যান্য অবাঙ্গালীদের মতো আসগর আলিরও মৌখিক বাংলা উচ্চারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তার উচ্চারণের সবচেয়ে খারাপ দিক ছিল, তিনি ‘স’ বা ‘শ’ উচ্চারণ করতেন ‘চ’ দিয়ে। বাংলা লিখতে গেলেও তিনি একই কাজ করতেন। এই কারণে আব্বার ধমক খেয়ে তিনি বাংলায় দলিল লেখা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।

কিন্তু মক্কেলের সাথে তো বাংলায় কথা বলতে হয়। মক্কেলকে সাক্ষী আনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলতেন, ‘আগলা ডেটে চাক্ষি আনবেন। ওকিল চাব বলিয়ে দিয়েছে।’ অথবা চা খাওয়ার আগে দোকানদারকে বলতেন, ‘এক গেলাচ পানি দে চম্ভু (শম্ভু)।’
তো এদের এক কীর্তির কথা শুনুন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের ঘটনা। আমি নিজে এক ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে জেলে গেলাম। ছয় মাস জেল খাটার পর আব্বার প্রাণান্তকর চেষ্টায় জামিন পেলাম ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন পর জামিন বাতিল করে আমার নামে আবার ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলো। গ্রেপ্তারের ভয়ে আমি রাজশাহী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে গেলাম। পুলিশ আমাকে খুঁজতে লাগলো। ওয়ারেন্ট ইস্যুকারি ম্যাজিস্ট্রেট বদলী হয়ে যাওয়ার পর নতুন ম্যাজিস্ট্রেট আব্বাকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘ছেলেকে কোর্টে হাজির করে বেল পিটিশন দেন। আমি জামিন দিয়ে দেব। বারের একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেট হিসাবে আপনাকে আমি এটুকু সম্মান করতে পারি।’

আব্বা আমাকে কোর্ট স্যারেন্ডার করিয়ে জামিন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই মোতাবেক আমি নির্ধারিত দিনে কোর্টে হাজির হলে আব্বা ওকালতনামা ও বেল বন্ড তৈরির কাগজপত্র আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘তুমি সুধিরের কাছে চলে যাও। ওকে এগুলো লিখে নিয়ে আমার কাছে আসতে বলো। তোমার কেস নিয়ে আমি আমার কলিগদের সাথে এখন আলোচনায় বসবো। ঠিক আছে?’

কোর্টের ভেতর বিশাল বটতলার নিচে মূহুরিদের বসার জন্য টানা লম্বা টিনের শেড। সামনে একটা করে কাঠের বাক্স নিয়ে বসে অসংখ্য মূহুরি মক্কেল পরিবেষ্টিত হয়ে দলিল লেখায় ব্যস্ত। আমি সুধির বাবুকে খুঁজে বের করে আব্বার দেওয়া কাগজপত্র গুলো তাকে দিলাম। সুধির বাবু সব কাজ ফেলে রেখে আমার কাজ শুরু করে দিলেন। কাগজপত্র লেখা শেষ হলে তিনি একটা ছোট্ট চিরকুটে কয়েকটা কথা লিখে চিরকুটসহ সব কাগজপত্র আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘বাবু, আপনি এগুলো নিয়ে একটু আজগর বাবুর কাছে যান। উনি দেখে দিলে আবার আমার কাছে নিয়ে আসেন। আজগর বাবু কোথায় বসে, জানেন তো?’
আমি বললাম, ‘জানি কাকা।’
‘ঠিক আছে, যান।’

আসগর আলি ও সুধিরচন্দ্র পালের মধ্যে সদ্ভাব না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উকিল সাহেবের হাতে দেওয়ার আগে তারা একে অন্যকে দেখিয়ে নিত। আমি আসগর আলির কাছে যেতে যেতে সুধির বাবুর চিরকুট খুলে দেখলাম, লেখা আছে, “প্রিয় অজগর বাবু, উকিল সাহেবের ছেলের কাগজপত্র পাঠালাম। ঠিক আছে কী না একটু দেখে দেন।”
আসগর আলি কাগজপত্র খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে আমাকে ফেরত দিলেন। তারপর তিনিও এক খানা চিরকুট লিখে আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘চব ঠিক আছে। কোয়ি ডর নেহি। জামিন হইয়ে যাবে। ওকিল চাবের লাড়কার জামিন না হইবে, এটা কোন কথা হইল?’

আমি কাগজপত্র গুলো নিয়ে সুধির পালের কাছে যেতে যেতে আসগর আলির চিরকুট খুলে দেখলাম, ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে লেখা আছে, “Dear ুদির বাবু, চব ঠিক আছে। আপনি ওস্তাদ লোগ আছেন।”
চিরকুটে লেখা সুধির বাবুর নামের প্রথম অংশে হ্রস্ব উ-কারের ওপর একটা হরফ ছিল। এই রম্যরচনার শ্লীলতাহানির ভয়ে সেটি আমি বৃত্তাকার ডট দিয়ে উহ্য রেখেছি। আশা করি, পাঠকরা ঠিকই বুঝতে পারছেন হরফটি কী ছিল?
*******************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: রিপোষ্ট হলেও ভালো। কারন এই পোষ্ট আমি আগে পড়িনি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: " আগলা ডেটে চাক্ষী আনবেন। ওকিল চাব বলিয়ে দিয়েছে।'"হাহাহা..... বেশ মজা পাইলাম ।

"এক গ্লাচ পানি দে চম্ভু।"

Dear - !!! দির বাবু - এটা হাইট হয়েছে । হা হা হা হা হা......

"চব ঠিক আছে।"

দারুন মজা পাইলুম ভাইজান।

বৈশারী শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরী। লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হেনা ভাই , মজা পাইলাম ! অজগর আর সুদির ভাইয়ের কাজিয়া মজাই মজা !
জেলে কেন গিয়েছিলেন, অভিজ্ঞতার বর্ণনা পাইলে আরও প্রীত হইতাম !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের পাশাপাশি দুই মহল্লার ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। তাতে আমাদের প্রতিপক্ষ দলের একটি ছেলে মারাত্মকভাবে চোখে আঘাত পায় এবং তাকে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। ছেলেটির বাবা ছিলেন একজন উঁচু পদের পুলিশ অফিসার। তার ক্ষমতা ও দাপটের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। আমার বাবা বারের একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেট হওয়া সত্ত্বেও একই কারণে আমার জামিন করাতে বেগ পাচ্ছিলেন।

যাই হোক, লেখাটি আপনার কাছে ভালো লাগায় খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই টারজান০০০০৭। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: চুনন্দর।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পবিত্র হোসাইন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সুন্দর । পড়ে বিমোহিত হয়ে গেলাম।
কাউকে বিমোহিত করা খুব কঠিন কাজ।
সেই কাজটি আপনি পারেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



রম্য মোটামুটি! গ্রামের ফুটবল খেলায় প্রায়ই মারামারি হতো; এখন গ্রামে ফুটবল নেই বললেই চলে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। গ্রামে তো ফুটবল নেই, শহরেও না থাকার মতো। এখন সবাই ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রসঙ্গক্রমে একটা ঘটনা মনে পড়লো। সম্ভবত ২০১৬ সালে ভারত বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচে দু দেশের দর্শকদের মাঝে ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। ঘটনা ধাওয়া পালটা ধাওা,মারামারি থেকে শুরু করে কূটনৈতিক পর্যায় পর্যন্ত গড়ায়।
ঘটনার উৎপত্তি হয়েছিল ভারতীয় কৃড়া সাংবাদিক সুধীর গৌতমকে নিয়ে। খেলা শেষে বাংলাদেশী একদল দর্শক সুধীর গৌতমের সাথে সেলফি তোলার জন্য 'সুধীর ভাই' ডাক দিয়ে তার দিকে দৌড়ে আসছিল।
ডাক শুনে সুধিরবাবু দিলেন উর্ধশ্বাসে দৌড়! কারন তিনি 'স' কে 'চ' শুনেছিলেন!! :P :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। মজার ঘটনা।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

করুণাধারা বলেছেন: আড্ডা দিতে গিয়ে নতুন পোস্ট একেবারেই দেন না! না দিলেন, এরকম পুরান রিপোস্ট দিলেওতো পারেন........

ভালো লাগলো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আড্ডা নয়, নতুন পোস্ট না দেওয়ার ভিন্ন কারণ আছে। যাই হোক, নতুন পোস্টও দেব ইনশাআল্লাহ।


ধন্যবাদ করুণাধারা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা পড়ি নাই আগে। মজার ছিল।
আপনি রাজশাহীর লোক? একটা সত্যি ঘটনা বলি।

আমাদের সাথে ঢাবিতে এক ছেলে পড়তো রাজশাহীর। 'স্যার' কে বলতো 'ষ্যাড়'। কোন এক শীতের একদিন আমরা ক্লাশ ফাকি দিয়ে রেজিষ্ট্রার বিল্ডিং এর মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছি। আমাদের সাথে কয়েকজন বান্ধবীও ছিল, যার মধ্যে একজন লাল স্যুয়েটার পড়া।
হঠাৎ ওই বন্ধু বলে উঠলো, ওই, ষ্যাড় আসছে! (যার ক্লাশ ফাকি দিচ্ছিলাম)।
তো, ওই বান্ধবী মনে করলো ষাড় আসছে। সে আবার শুনেছে, ষাড় নাকি লাল কিছু দেখলে তাড়া করে। সে 'ষ্যাড়' শুনেই ভয়ে রেজিষ্ট্রার বিল্ডিং এর দিকে দৌড় দেয়।
স্যার ভাবলেন, উনাকে দেখে লজ্জায় পালাচ্ছে। উনি আমাদের কাছে এসে বললেন, ওর যখন এতোই লজ্জা, তাহলে ক্লাশ ফাকি দেয় কেন? ক্লাশে গেলেই পারে!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। 'ড়'-এর ব্যবহারটা স্বাভাবিক নয়। কেননা, স্যারকে আমরা স্যারই বলি। তবে শব্দের সাথে অহেতুক একটা '্য'-ফলা যোগ করার প্রবণতা রাজশাহীর মানুষের আছে, এটা সত্য। অঞ্চল ভেদে দেশের প্রায় সব জেলারই আঞ্চলিক টান আছে।

ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সব পাঠক তো আপনার মতো গেয়ানী নন যে, বৃত্তাকার ডট দেখে বুঝে নেবে। লেখাটা কিলিয়ার করেন তাড়াতাড়ি :D

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন নামাজ পড়তে যাবো। খারাপ কথা উচ্চারণ করে ওজু নষ্ট করতে চাই না।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা চত্যি দারুণ হয়েছে হেনা ভাই, অনেক মজা পেলাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যদি চত্যিই মজা পেয়ে থাকেন, তাহলে আমার চ্রম চার্থক হয়েছে।


ধন্যবাদ ভাই তারেক_মাহমুদ। ভালো থাকুন। চুভকামনা রইল।

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: চুন্দর হইচে। এক দোস্ত আসে, সুদীপ নাম। তারে আইজকা মেসেজ দিতে হইবো এই নাম লেইখা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমারে গালি দিব তো! এই কাম কইরেন না ভাই।


ধন্যবাদ ভাই অজ্ঞ বালক। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

শুকরিয়া।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুকরিয়া আপনার জন্যেও।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা আপনার পোষ্ট আর লিটন ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে জান শেষ কারন মনে হলো কল্পনায় সব দেখতে পাচ্ছি। :D =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে আপনি আছেন কেমন সেটা আগে বলেন। হাসাহাসি পরে। অনেকদিন পর আপনাকে পাওয়া গেল।


ভালো আছেন আশা করি।

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

হাবিব বলেছেন: উকিল বাবু কি উত্তর দিয়েছেন?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উকিল বাবুর উত্তরের কোন ব্যাপার তো নাই এই পোস্টে। মুহুরী আসগর আলি ও সুধীরচন্দ্র পালের মধ্যে চিরকুটের মাধ্যমে বাক্য বিনিময় হচ্ছিল। চিরকুটে সুধীর বাবু আসগর আলির নাম লিখেছিলেন, অজগর বাবু। আর আসগর আলি সুধীর বাবুর নাম লিখেছিলেন, ুদির বাবু। এই তো ব্যাপার।

ধন্যবাদ হাবিব স্যার। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেচ বেচ B-))

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ব্যাপার কি! এই পোস্ট পড়ার পর সবাই কী 'স', 'ষ', 'শ' এইসব হরফ উচ্চারণ করা ভুলে গেল?


ধন্যবাদ ভাই আর্কিওপটেরিক্স। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম,




হা...হা... তা আপনার নাম কি লিকিয়েচিলো দলিলে - আবুহেনা মোঃ আচরাফুল ইচলাম ? :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, তাহলে তো আমি জামিনই পেতাম না। হাঃ হাঃ হাঃ। আমার বেল বন্ড তো লিখেছিলেন সুধীর বাবু। তিনি 'চ' লিখতেন না, লিখতেন আসগর আলি। সুধীর বাবু বেল বন্ড সহ অন্যান্য কাগজপত্র লিখে চেক করার জন্য আসগর আলির কাছে পাঠিয়েছিলেন।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১২

কিশোর মাইনু বলেছেন: হা হা হা।।।
সুধীর বাবুর রিয়েক্ট টা দেখতে খুব ইচ্ছা করতেছে এই ম্যাসেজ পড়ার পর।।।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই তার প্রতিক্রিয়া নিশ্চয় দেখার মতো ছিল। বহুদিন আগের কথা তো, এখন আর আমার মনে নাই। তবে চিরকুট খুলে পড়ার পর সুধীর বাবু নিশ্চয় আসগর আলিকে মনে মনে গালি দিয়েছিলেন।

ধন্যবাদ ভাই কিশোর মাইনু। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রম্য ভাল লেগেছে।

আসলেই কারো কারো উচ্চারনগত সমস্যা থাকে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

জুন বলেছেন: সকাল বেলা আপনার রম্য পড়ে খুব হাসতে হাসতে শেষ হেনা ভাই =p~
আশাকরি সারাদিন আমার হাসি খুশীতেই কাটবে।
ভালোলাগা রইলো অনেক অনেক।
+

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দোয়া করি, সারাদিন আপনার হাসি খুশিতেই কাটুক। মানুষ যখন আনন্দে থাকে, তখন আমিও আনন্দ পাই।


ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হাহাহা! গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ের সাথে আমিও যোগ করতে চাই। চট্টগ্রামে 'সধু চৌধরী লেইন' উচ্চারণ করতে গিয়েও বেশীর ভাগ স্থানীয়রা ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় একই ভুল করে...

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুর্ভাগা সধু চৌধুরী! হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ বিচার মানি তালগাছ আমার। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ২৩ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

আরাফআহনাফ বলেছেন:
চাব্বাশ!!!
শরম লিকা লিকেচেন!!! (চরম লেখা লিখেছেন) :D :D

ুধির বাবুর রোগ আপনাকেও রেহাই দেয় নাই মনে হয় - নকল নবিস না হয়ে নকল নবিশই যথার্থ হবে। :P :P

অনেক অনেক মজা পেলাম +++++ ইনফ্যাক্ট সবার মন্তব্যগুলোও মজার ছিলো! ! !
কামাল ভাইয়ের মতো আমারও অজানা রইলো হারিয়ে যাওয়া অক্ষরটি(ু) কী? :-B :-B !:#P


ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন।

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখাটা তো রি-পোস্ট। তুমি এর আগে পড়নি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.