নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ বাবার গায়ের ঘাম কখনো শুকায় না

০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৮



১৯৮৩ সালে আমার বিয়ের মাত্র এক বছর পর আমার প্রথম পুত্রের জন্ম হয়। তবে দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম হয় তার আট বছর পর। আমার এই দুটিই সন্তান। প্রথম পুত্রের জন্মের পর আমি এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি, যা জীবনে কোনদিন মোকাবিলা করতে হয়নি। এ সম্পর্কে আমার তেমন ধারনাও ছিল না। এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি হয় আমার জীবনে।

গ্রাম থেকে শহরে চলে আসা আমাদের পরিবারে পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে আমি ছিলাম তৃতীয়। জন্মের প্রায় তিন মাস পর থেকেই আমি শহরে মানুষ হয়েছি। বাবা শহরে সাড়ে পাঁচ কাঠা (আনুমানিক দশ শতাংশ) জমি সহ একটা বাড়ি কিনেছিলেন এবং সেখানে পরে আরও একটা বাড়ি তৈরি করেছিলেন। গ্রামের জমি জমা থেকে প্রাপ্ত আয় এবং আমার বাবার ওকালতি পেশার সূত্রে পাওয়া রোজগারের টাকায় আমাদের সংসার বেশ ভালোভাবেই চলে যেত। আমরা কোনদিন কোন অভাব অনটনে পড়িনি। কিন্তু আমার প্রথম পুত্রের জন্মের পর মুদ্রার এই পিঠটা আমি জীবনে প্রথম দেখতে পেলাম।

সরকারি চাকরি করলেও খুব বেশি বেতন পেতাম না। তখনকার দিনে সরকারি চাকরির বেতনও কম ছিল। কিন্তু সেই টাকা স্বামী স্ত্রীর স্বচ্ছন্দে চলে যাওয়ার জন্য যথেষ্টই ছিল। তা’ ছাড়া একান্নবর্তী সংসারে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে সব কিছুই বাবা জোগান দিতেন। আমরা জমির ধানের ভাত খেতাম এবং বাড়ি ভাড়ার কোন ব্যাপার তো ছিলই না। আমার বিবাহিত বড় ভাই এবং আমার কাছ থেকে তিনি কোনদিন একটি পয়সাও নেননি। বরং আমরা কনট্রিবিউট করতে চাইলে তিনি হাসি মুখে বলতেন, তোমাদের নিজেদের খরচের জন্য পর্যাপ্ত টাকা পয়সা রেখে যদি কিছু বাঁচে তো তোমাদের মায়ের হাতে তুলে দিও। আমি বেঁচে থাকতে সংসার খরচের টাকা নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না।

তো আমরা প্রতি মাসেই মায়ের হাতে কিছু না কিছু টাকা তুলে দিতাম। আমাদের অর্থ বিত্তের অভাব ছিল না বলে মা সেই টাকা থেকে একটি পয়সাও খরচ করতেন না। তিনি আমাদের দুই ভাইয়ের নামে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা জমা করে রাখতেন। আমরা দুই ভাই কেউ সেটা জানতাম না। অনেক দিন পরে আমরা সেটা জানতে পারি। এই টাকা গুলো পরে আমাদের দুজনেরই খুব কাজে লেগেছিল।

আমার প্রথম সন্তানের জন্মের পর দুটো সমস্যা দেখা দিল। সে ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ না পাওয়ায় গরুর দুধ কিনে খাওয়ানো শুরু করতে হলো। কিন্তু গরুর দুধ হজম করতে না পারায় বাজার থেকে বিদেশী গুঁড়ো দুধ কিনে খাওয়াতে হতো। উচ্চমূল্যের কারণে এই দুধ কিনে খাওয়ানো আমার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। দ্বিতীয় সমস্যা হলো বাচ্চার ঘন ঘন অসুখ বিসুখ। মাসে তিন চারবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হতো। কোন কোন মাসে ছয় সাতবারও নিতে হয়েছে। এ ছাড়া বাচ্চার অন্যান্য খরচ তো আছেই। এসব কারণে আমার বেতনের প্রায় পুরো টাকাটাই বাচ্চার জন্য খরচ হয়ে যেত। মাসের দশ পনের দিন যেতে না যেতেই আমার পকেট ফাঁকা হয়ে যেতো। জরুরী প্রয়োজন হলে বাধ্য হয়ে মায়ের কাছে হাত পাততে হতো। তবুও বাচ্চার দুধ ও চিকিৎসার ব্যাপারে আমি কোন অবহেলা করিনি। ওর মায়ের মুখে কখনো অনিশ্চয়তার ছায়া পড়তে দেইনি। কিন্তু এরকম পরিস্থিতির মধ্যে জীবনে এই প্রথম পড়ার কারণে আমি নিজেই সব সময় অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতাম।

এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার এক বন্ধুর পরামর্শে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। চাকরির নির্দিষ্ট বেতনের টাকায় যে বেশিদিন এভাবে চলা যাবে না, সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু ব্যবসার অভিজ্ঞতা না থাকায় ভয় ভয়ও লাগছিল। তবু একদিন সাহস করে মা বাবা দুজনকে আমার ইচ্ছার কথা খুলে বললাম। মা রাজি হলেন না। কিন্তু বাবা কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে দুটো প্রশ্ন করলেন আমাকে। আমি কী ব্যবসা করবো এবং চাকরি ঠিক রেখে ব্যবসা করতে পারবো কী না। আমার উত্তরে বাবা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন কী না জানি না। তবে তার তৃতীয় প্রশ্ন শোনার পর মনে হলো নিমরাজি হলেও তিনি রাজি আছেন। তার তৃতীয় প্রশ্নটা ছিল, ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিকভাবে কত টাকার প্রয়োজন?

আমার সেই বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে প্লাস্টিক আইটেমের ব্যবসা করার জন্য শহরের কেন্দ্রস্থলে পঞ্চাশ হাজার টাকা অগ্রীম দিয়ে পাঁচ বছরের চুক্তিতে একটা দোকান ভাড়া নিলাম। সেই সময় ঢাকার ইমামগঞ্জ, মিটফোর্ড ও সদরঘাট ছিল প্লাস্টিক আইটেমের পাইকারি মোকাম। বন্ধু নিজে ব্যবসায়ী ছিল বলে এসব তথ্য তার জানা ছিল। প্রথম দফায় তাকে সাথে নিয়ে ঢাকার ইমামগঞ্জ থেকে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে এক ট্রাক মাল নিয়ে এলাম। চাকরিজীবী মানুষের পক্ষে দোকানে বসা সম্ভব নয় বলে একজন ম্যানেজার ও একজন কর্মচারী নিয়োগ দিলাম। তারা সকাল আটটায় দোকান খুলে সারাদিন বেঁচাকেনা করবে আর আমি বিকেল পাঁচটায় অফিস শেষ করে দোকানে গিয়ে বসবো। রাত নয়টা পর্যন্ত দোকানদারি করে হিসাব নিকাশ শেষে দোকান বন্ধ করে যে যার বাড়ি চলে যাবো।

মোটামুটি এই নিয়মে তিন চার মাস ব্যবসা করার পর একদিন চূড়ান্ত হিসাব করে দেখলাম, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারী খরচ বাদ দিয়ে আমার নিট ১৭ হাজার টাকা মুনাফা হয়েছে। মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। তখনকার সময়ে এই মুনাফা যথেষ্ট সন্তোষজনক ছিল। বিশেষ করে নতুন দোকানের পক্ষে। কিন্তু আমার শরীর খারাপ হয়ে গেল। অফিস ও দোকান মিলিয়ে প্রতিদিন সকাল সাতটা আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত একটানা পরিশ্রমে কাহিল হয়ে পড়লাম। তখন সরকারি অফিসে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। নিজে দেখে শুনে মাল না কিনলে সমস্যা হয় বলে মাসে দুই তিনবার আমাকে ঢাকা যেতে হতো। কিন্তু প্রতি মাসে তো অফিস আমাকে দুই তিনবার ছুটি দিবে না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন সরাসরি অফিস থেকে দোকান হয়ে বাস স্ট্যান্ডে চলে যেতাম এবং নাইট কোচে ঢাকা রওনা হয়ে যেতাম। পরদিন মোকাম থেকে মাল কিনে ট্রান্সপোর্টে বুকিং দিয়ে আবার নাইট কোচে ফিরে আসতাম। সকালে বাস থেকে নেমে আর বাড়ি যাওয়ার সময় থাকতো না। তাই রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেয়ে সরাসরি অফিসে চলে যেতাম। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা ও চাকরি করার ফলে শরীর খারাপ হয়ে গেল। শরীরে শক্তি পেতাম না। কিন্তু বাচ্চার চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে ওঠার সাথে সাথে নতুন করে এনার্জি পেয়ে যেতাম। ব্যবসাটাও ভালো চলছিল। পরিশ্রমকে আর পরিশ্রম মনে হতো না।

এইভাবে দুই বছর যাওয়ার পর আল্লাহর রহমতে আমার সামনে আরও একটা দারুন অফার এলো। আমার খালু শশুর অত্যন্ত ধনী মানুষ ছিলেন। উত্তর বঙ্গের প্রথম ও বৃহত্তম কোল্ড স্টোরেজ ‘উত্তরা কোল্ড স্টোরেজ’ ও ‘উত্তরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি’র মালিক ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও তার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে আরও অনেক ব্যবসা ছিল। তিনি একদিন আমাকে একটা প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘তুমি যদি আলুর ব্যবসা কর, তাহলে আমি তোমাকে হেল্প করতে পারি।’ বিস্তারিত আলোচনার পর তিনি বললেন, ‘বর্তমানে তুমি যে ব্যবসা করছো, সেটা বন্ধ করতে হবে না। চাকরিও ছাড়তে হবে না। তুমি আলু কিনে আমার কোল্ড স্টোরেজে রেখে দেবে। বিক্রির সময় হলে আমার ম্যানেজার তোমাকে ফোন করে জানিয়ে দেবে। তখন তুমি একটু সময় করে এসে আলু বিক্রি করে দিও। এতে তোমার লাভ হবে।’ তিনি আরও বললেন যে, ‘তুমি যেহেতু এই ব্যবসা করনি, তাই আলু চিনতে পারবে না। তোমার হয়ে আমার ম্যানেজারই হাট থেকে আলু কিনে দেবে। সেই আলু পরিস্কার করা, শুকানো এবং মেডিসিন দিয়ে বস্তাবন্দী করে ষ্টোরে রাখা এই সমস্ত কাজ লেবার দিয়ে আমার ম্যানেজারই করে দেবে। আমার এ্যাকাউন্টেন্ট তোমাকে ফোন দিলে তুমি স্টোরের অফিসে এসে আলুর দাম, বস্তার দাম, মেডিসিন ও লেবার খরচ বাবদ যা হবে সেই টাকাটা দিয়ে দিও। আর স্টোরের ভাড়া তুমি আলু বিক্রি হবার পরে দিও। আশা করি এতে তোমার চাকরি ও প্লাস্টিকের ব্যবসার কোন ক্ষতি হবে না।’ খালু শশুর আন্তরিকভাবেই চাইছিলেন যে আমার আয় রোজগার আরও বৃদ্ধি পাক। আমি রাজি হয়ে গেলাম এবং আলুর ব্যবসায় এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলাম।

দুই সিজন ব্যবসা করার পর আমার মনে হলো বিনিয়োগ অনুপাতে যথেষ্ট মুনাফা হচ্ছে না। কিছুটা সংকোচের সাথে খালুকে কথাটা বলতেই তিনি হেসে বললেন, ‘তুমি ভুল বলনি। আমি যাচাই করে দেখলাম তোমার ধৈর্য কেমন এবং তুমি ব্যবসা করতে পারবে কী না। এখন আলুর আসল ব্যবসার কথা বলি। মোকাম (হাট) থেকে আলু কিনে স্টোরে রাখলে খুব বেশি লাভ হয় না। কখনো কখনো লসও যায়। তোমাকে আলুর আবাদ করে সেই আলু স্টোরে রাখতে হবে।’ আমি বললাম, ‘এটা তো আমার পক্ষে সম্ভব নয় খালু। চাকরি ও দোকানদারি করে এই চাষাবাদের কাজ করবো কখন? তা’ ছাড়া আমার তো সেরকম জমি জমা নেই (যদিও গ্রামে বিঘা পাঁচেক জমি ছিল। কিন্তু সে জমি অনেক দূরে এবং ধান চাষের জন্য বর্গা দেওয়া ছিল)।’ খালু বললেন, ‘এসব নিয়ে ভেবো না। কোল্ড স্টোরের কাছাকাছি আমার তিনশো বিঘা জমি আছে, যেখানে আলুর আবাদ হয়। আমার জমির আশেপাশে কুড়ি পঁচিশ বিঘা জমি তোমাকে লিজ নিয়ে দেব। এই এলাকার মানুষ খুব অলস। তারা নিজেরা পরিশ্রম না করে তাদের জমি বিঘাপ্রতি এক হাজার টাকায় লিজ দিয়ে দেয়। তুমি জমি লিজ নিয়ে আমার ম্যানেজারকে বুঝিয়ে দেবে। তারপর যা করার আমার ম্যানেজারই করবে। জমি চাষ করানো থেকে শুরু করে আলু বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ সমস্ত কাজ লেবার দিয়ে সে করিয়ে দেবে। শুধু আলু উঠার সময় তুমি একবার এসে কত বস্তা আলু স্টোরে উঠলো সেটা দেখে স্টোর থেকে শ্লিপ নিয়ে যাবে। বীজ, সার কীটনাশক, পানি সেচ, লেবার খরচ ইত্যাদি বাবদ যত টাকা খরচ হবে, তা’ এ্যাকাউন্টেন্ট সাহেবকে পেমেন্ট দিয়ে একটা পেইড ভাউচার নিয়ে যাবে। হয়তো একদিনে কাজগুলো হবে না। তুমি দুই দিন সময় হাতে নিয়ে এসো। ঠিক আছে?’

ইতিমধ্যে আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে। বড় ছেলেটাকে স্কুলে পৌঁছানো, অফিস ও দোকানে যাওয়া, কোল্ড স্টোরেজে যাওয়া ইত্যাদি কাজে সময় বাঁচানোর জন্য একটা মোটর সাইকেলও কিনে ফেলেছি। দোকানে একটা ল্যান্ডফোনও নিয়েছি (তখন মোবাইল ফোন ছিল না)। খরচ ও দায়িত্ববোধ আরও বেড়েছে। বিশ্রামের কোন সুযোগ নাই। সাপ্তাহিক ছুটির একটা দিনও বাড়িতে থাকতে পারি না। কারণ, ঢাকায় মাল কিনে ট্রান্সপোর্টে এমনভাবে বুকিং দেই যে ছুটির দিনে যেন ট্রাক এসে পৌঁছায়। তাতে সুবিধা হয় এই যে ট্রান্সপোর্ট থেকে মাল ছাড়িয়ে নিয়ে ভ্যান যোগে আমার গোডাউনে তুলে (ব্যবসা ভালো চলায় দোকানের কাছাকাছি একটা গোডাউন ভাড়া নিয়েছিলাম) চালান অনুযায়ী মিলিয়ে নিতে পারি। আমার দোকানের ম্যানেজারকেও এ জন্য কষ্ট করতে হতো।

যাই হোক, খালু শশুরের পরামর্শ অনুযায়ী আল্লাহর নামে ২৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ফেললাম। আর উনি যেভাবে বলেছিলেন, সেভাবে আলুর ব্যবসা শুরু করে দিলাম। সেই দিনগুলোতে আমার গায়ের ঘাম কখনো শুকাতো না। বাড়িতে আরাম করে বসে এক বেলা ভাতও ঠিকমতো খেতে পারিনি। গায়ে ১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে সময়ের অভাবে ডাক্তারের কাছেও যেতে পারিনি। এ জন্য আমার স্ত্রী ও মা যে কত বকাঝকা করেছেন আমাকে ভাবলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। আমি শুধু ভাবতাম, আমার বাবা কোনদিন আমাদেরকে ভাড়া বাসায় রাখেননি। আমাকেও আমার সন্তানদের জন্য নিজের বাড়ি করতে হবে, যেন ওদেরকে অন্যের বাসায় ভাড়া থাকতে না হয়। আমার বাবা কোনদিন আমাদেরকে বাজার থেকে চাল কিনে খাওয়াননি। আমাকেও আমার সন্তানদের জন্য জমি কিনে রেখে যেতে হবে। পড়াশুনা, পোশাক আশাক ও চিকিৎসার জন্য আমার বাবা কোনদিন আমাদেরকে অসুবিধায় পড়তে দেননি। আমি কেন আমার সন্তানদেরকে অসুবিধায় ফেলবো।

পরম করুণাময় আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে আমি উপরের সবগুলো কর্তব্য ও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছি। আমার দুই পুত্রের একজন এ্যাকাউন্টিং-এ মাস্টার্স ও এমবিএ করে এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে চাকরি করে। আর এক পুত্র ইংলিশে মাস্টার্স করার পর ঢাকার একটি ইউএসএ-কানাডিয়ান ফার্মে চাকরি করে। শুধু আমি নিজে অত্যাধিক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০০৬ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছি। দোকানের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। শুধু আলুর ব্যবসাটা এখনো সীমিত আকারে চালু আছে। একবার স্ট্রোক আর একবার হার্ট এ্যাটাক হওয়ায় ডাক্তার মোটর সাইকেল চালানো নিষেধ করে দিয়েছেন। জমির আয়, পেনশন এবং ছয়টি এক হাজার স্কয়ার ফুটের বাসা থেকে প্রাপ্ত ভাড়া দিয়ে আমার সংসার বেশ ভালোভাবেই চলে যায়। কষ্ট শুধু একটাই। মোটর সাইকেল চালাতে পারি না। হাঃ হাঃ হাঃ।

ছবিঃ নেট।
********************************************************************************************************************

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়ভাইজান,

বিশাল পোস্ট। আগে হাজিরা দেই পরে পড়াশোনা করে আবার আসছি।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয়। ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরী।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জীবন মানেই যুদ্ধ। গুরুজীও যে কিছুটা যুদ্ধ করেছেন এই যুদ্ধে জয়ী বীর আপনি। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ্যতা দান করুন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ২:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মেহনথ কা ফল মিঠা হোতা হ্যায়।
আপনি একজন সফল বাবা। জীবনে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। উপরওয়ালা আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন। ফলে আজ একটা বিশেষ জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন। সেদিনে নতুন বাবার যে অধ্যাবসায়, পরবর্তীতে সন্তানের সাফল্যের মধ্যেই আজ পুরানো বাবার সাফল্যের চাবিকাঠি। এমনি করেই বাবারা যুগযুগান্তরে উত্তরসূরীকে শেখায় নিতে অঙ্গীকার আরো এক নুতন ভোরের।

পরিবার-পরিজন নিয়ে আপনার সুখানুভূতি বয়ে চলুক জীবনভর।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেহনথ কা ফল মিঠা হোতা হ্যায়।

চিরকালীন সত্য। তবে এই কাহিনীতে শুধু উত্থানের কথা আছে, পতনের কথা নেই। পতনের কথাগুলো এত সামান্য যে লিখার প্রয়োজন অনুভব করিনি। যেমন, আমার কর্মচারী একবার দোকানের কিছু টাকা চুরি করে নিয়ে পালিয়েছিল। আলুর ব্যবসায় একবার লোকসানও দিয়েছি (প্রাকৃতিক কারণে)। এগুলো এত সামান্য ও স্বাভাবিক বিষয় ছিল যে এখানে উল্লেখ করতে ইচ্ছা হয়নি। আসলে উত্থান পতনের মধ্যে দিয়েই মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। নিরঙ্কুশ সফলতা বলে কিছু নেই।

সেদিনে নতুন বাবার যে অধ্যাবসায়, পরবর্তীতে সন্তানের সাফল্যের মধ্যেই আজ পুরানো বাবার সাফল্যের চাবিকাঠি।

অতি সত্য কথা। সব বাবারাই এমনটা আশা করে। আপনি সঠিক ভাবেই অনুধাবন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরী।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পরিশ্রমের ফল যায় না বিফলে। পরিশ্রমই আপনাকে আজ এ অবস্থায় এনেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের বরাবরই বহুত ঝুটঝামেলা পোহাতে হয়।

আপনি একজন সফল পিতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য আপনাকে জানাই স্যালুট।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আর্কিওপটেরিক্স। পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি কোন সন্দেহ নাই। যথাযথ সাপোর্টিংটাও জরুরী।


আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কতজন বাংগালীর এমন খালু শ্বশুর আছে?

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও যথার্থ প্রশ্ন। এমন খালু শ্বশুর কত জনের আছে? লাখে দু'একজনের থাকতে পারে। আমার উন্নতির পেছনে আমার খালু শ্বশুরের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। উনি নিঃস্বার্থভাবে হেল্প না করলে আমি এ পর্যন্ত উঠে আসতে পারতাম না। এ ছাড়াও আমার বাবা, ব্যবসায়ী বন্ধু এদের ভুমিকাও অনস্বীকার্য।

ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: পারিবারিক বৃত্তান্ত এবং আপনার অগ্রগতি পড়ে ভালেই লাগছে।

আসলে এখন সঠিক দিক নিদের্শনা দেয়ার মানুষ পাওয়া যায় না। :((

পরিশ্রম সৌভাগ্যের ছাবি, তা আর বলতে হয় B-)

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে এখন সঠিক দিক নিদের্শনা দেয়ার মানুষ পাওয়া যায় না।


সত্য কথা। সঠিক দিক নির্দেশনা না পেলে উন্নতি করা কঠিন। একজন ব্যক্তি যতই বুদ্ধিমান হন না কেন, সব সময় নিজের ভুল বুঝতে পারেন না। এজন্য শুভাকাঙ্ক্ষী কারো সঠিক দিক নির্দেশনার প্রয়োজন হয়।

ধন্যবাদ ভাই তারেক ফাহিম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার জীবনযুদ্ধের কাহিনী পড়ে শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল। কামনা করি এমন বাবা প্রতিটি সন্তানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ উপহার হিসেবে আসুক!

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্যতিক্রম ছাড়া সব বাবাদের গল্পই এক। সন্তানের জন্য তারা জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত থাকেন।


ধন্যবাদ ভাই সম্রাট ইজ বেষ্ট। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইহুদীদের খালু শ্বশুরের দরকার হয় না, প্রতিটি ইহুদী অন্যকে আপনার খালু শ্বশুর থেকে বেশী সাহায্য করেন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ওদের মধ্যে স্বজাতি প্রেম বেশি বলে শুনেছি। সেটা তো খারাপ নয়।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটি স্বার্থক জীবন বোধের গল্প কথা । পাঠে ভাল লাগল ।
আপনার গল্পের সাথে কিছু কিছু জায়গায় বেশ মিলে গেছে তাই শেয়ার করার বাসনা এড়াতে পারলামনা ।
শুধু বিয়েটা হয়ছে এক বছর পরে , প্রথম মেয়ে সন্তানটি বিয়ের আট বছর পরে , পরেরটি ছেলে, ৬ বছর পরে ।
১৯৮০ সনে কপালগুনে সিনিয়র স্কেলে সরকারী চাকরী পাওয়ায় তেমন একটি মন্দ যাচ্ছিল না। আট ভাই বোনের
একান্নবর্তী সংসারের অনেক দায় টানতে হওয়ায় কিছুটা টানাটানির কারণে চাকুরী ঠিক রেখে খালু শশুরের উৎসাহে
ঢাকা শহরের উপকন্ঠে একটি মাঝারী গোছের পলট্রি ফার্ম করেছিলাম, ম্যানেজার কর্মচারীরাই সেটা দেখাশুনা করত, আয় ভালই আসত , ৮৮ এর বন্যায় ফার্মটি ডুবে যায় ,পরে একে আর দাঁড় করাইনি , উচ্চ শিক্ষার তরে বার কয়েক বিদেশ যাওয়া আসার কারণে খন্ডকালীন বানিজ্য আর করা হয়নি তবে বেশ কিছু প্রাইভেট কনসালটেন্সিতে নিয়োজিত থাকতে হওয়ায় কাজের মধ্যে দিন রাত্রী একাকার হয়ে যেত । আপনি যতার্থই বলেছেন , বাবাদের গায়ের কাপড় হয় গাম না হয় বৃস্টিতে ভেজা থাকে , এটা স্বাসত এক সত্য কথা । আর হ্যাঁঁ বিবিধ কারনে ২০০৬ এ আমারো সরকারী চাকুরী হতে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া । মেয়েটা ইউকে হতে ডাক্তারী পড়াশুনা করে এখন সেখানেই ডাক্তারী করছে , ছেলেটার পড়াশুনা নিয়ে এখনো সংগ্রামে আছি। মাঝে কঠীন অসুখে পরে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে । ফ্রিল্যান্স রাইটার ও পরামর্শক হিসাবে দিনকাল এখন আল্লার রহমতে মোটামুটি ভালই চলছে । সামুর পাতায় মাঝে মাঝে এসে দেখে যাই প্রিয় লেখকদের মুল্যবান প্রাণবন্ত লেখাগুলি ।

পরিবারের সকলের জন্য শুভাশীষ রইল । লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ঘটনাগুলোর সাথে আমার ঘটনাগুলো কাকতালীয়ভাবে অনেক ক্ষেত্রেই মিলে গেছে আলী ভাই। যেমন, আমিও ১৯৮০ সালে চাকরিতে যোগদান করি। আমার খালু শশুরের মতো আপনার খালু শশুরও চাকরি ঠিক রেখে ব্যবসা করতে আপনাকে উৎসাহিত করেছিলেন। আমার মতো আপনিও ২০০৬ সালে স্বেচ্ছা অবসরে গিয়েছেন। আমার মতো আপনিও কঠিন অসুখের মোকাবিলা করেছেন। জীবন সংগ্রামে এত মিল সাধারণত দেখা যায় না। খুব ভালো লাগলো আপনার ঘটনাগুলো জেনে।

আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই সময় হলে ব্যবসা করে উঠতে পারতেন না। কারণ, এখনকার বেশীরভাগ ব্যবসায়ীই মিথ্যা কথা ও দুই নম্বরী করা ছাড়া থাকতে পারে না। আর আত্মীয় স্বজনও টাকা ধার/ব্যবসার জন্য নিয়ে আর ফেরত দিতে চায় না...

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এখন ব্যবসা ক্ষেত্রে এসব খুবই কমন ব্যাপার হয়ে গেছে। তবে আমার ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা পয়সা ধার নেওয়ার কোন ব্যাপার ছিল না। আমার বাবা ব্যবসার প্রথম দিকে যে পুঁজির জোগান দিয়েছিলেন, সেটা দিয়েই আমি একটু একটু করে ব্যবসা বাড়িয়েছি। আমার খালু শশুর সব রকম সহযোগিতা করেছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু তার কাছ থেকে আমি কোন টাকা পয়সা ধার নেইনি। তার আন্তরিক সহযোগিতাই আমার কাছে অনেক বড় ছিল।

ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি তালগাছ আমার। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একজন সফল পিতার প্রতিকৃতি পাঠে ভাললাগা।

আর আপনার উছিলায় প্রিয় ড. এম এ আলী ভাইও যে একজন সফল পিতা জানতে পেলাম।:)
এ জণ্যে আপনাকে ডাবল বোনাস শুভেচ্ছা :)

অনুপ্রেরণা দায়ী আত্মকাহিনীতে মুগ্ধতা

+++++

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বয়স্ক মানুষদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী শুনে এই জেনারেশনের মানুষরা যাতে অনুপ্রেরণা পান, সেই উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট দেওয়া।

ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার জীবন কাহিনী পড়লাম। আরো পড়তে হবে । আরো বুঝতে হবে। প্রতিটি মানুষের জীবন কাহিনী আছে। সেগুলো জানা খুব দরকার। মানুষ সম্পর্কে অনেক জানা সম্ভব। সুন্দর লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি কিন্তু আপনার স্ত্রীর পরিশ্রমের কথা
একবারও বলেন নাই। নিশ্চয় আপনি ব্যবসা
চাকুরী করে সংশারে সময় দিতে পারেন নাই
সংশারে যত ঝুটঝামেলা আপনার স্ত্রীর পোহাতে
হয়েছে। আপনার সন্তানের লেখাপড়ার দায়ীত্ব
হয়ত আপনার স্ত্রীর অধিন্যাস্ত ছিল।
সংশারে রান্না খাওয়ার দায়দায়ীত্ব সারাদিনের
গায়ের ঘাম স্ত্রীদেরও সুখায়। কিন্তু আপনি
টাকা উপার্যন করেছেন আপনার স্ত্রী টাকা
উপার্জন করে নাই এটাই পার্থক্য। নিশ্চয়
স্ত্রীর পরিশ্রমের সম্মান টুকু আপনি দিয়েছেন।
আপনাদের মত বাবারা যাদের আছে তারা
অত্যান্ত ভাগ্যবান। আপনার মত বাবা ঘরে
ঘরে গড়ে উঠুক এই কামনা শ্রদ্ধায় ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার ভাগ্যোন্নয়নের পেছনে আমার স্ত্রীর বিশাল ভুমিকা ছিল। একসাথে চাকরি ও ব্যবসা করতে গিয়ে যে আমি সংসারে সময় দিতে পারতাম না, সেটা না বললেও আমার স্ত্রী ঠিকই বুঝতে পারতো। বাচ্চাদের লেখাপড়াও সে দেখভাল করতো। রান্নাবান্না ও সংসারের অন্যান্য কাজকর্ম তো আছেই। খাওয়া পরার কষ্ট না থাকলেও আমার সঙ্গ সে মিস করতো। পারিবারিক বা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে অনেক দিন আমাকে ছাড়াই তাকে যেতে হয়েছে। কিন্তু তা' সত্ত্বেও সে কোনদিন আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেনি। বরং সব সময় সে হাসি মুখে কথা বলেছে। আমার শারীরিক সুস্থতার দিকে তার কড়া নজর ছিল। এই একটা জায়গায় সে আমাকে কোন খাতির করেনি। সুতরাং আমার স্ত্রীর অবদানের কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এই পোস্টে তার এসব কথা উল্লেখ করতে গেলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যেত। আর জানেনই তো বেশি বড় পোস্ট ব্লগে অনেকে পড়তে চান না।

ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

ANIKAT KAMAL বলেছেন: স‌ত্যি অাপ‌নি একজন সফল ও স্বার্থক মানুষ। বিনম্র শ্রদ্ধায় অাপনা‌কে ম‌নে রাখার ম‌তো মানুষ অাপ‌নি।অনন্য সাধারণ যাদুকরী লেখা সব সময় অামা‌কে মুগ্ধ ক‌রে অার অামার নাম অাবু হেনা মোঃ কামাল হে‌া‌সেন এ এইচ এম কামাল হো‌সেন একটু নি‌জের ম‌তো ক‌রে অাকাশ হাসনাত মোহাম্মদ কামাল হো‌সেন যা হোক নং দিলাম য‌দি দয়া ক‌রে এক মি‌নিট কথা বল‌তেন ধন্য হতাম ০১৯৩১২১২৩২৪

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই কথা বলবো ভাই। এক মিনিট কেন, অনেক সময় নিয়েই কথা বলবো। তবে আজ নয়, কাল অথবা পরশু। কিছু মনে করবেন না প্লিজ!

ধন্যবাদ ভাই ANIKAT KAMAL । ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হারাধণ০২ বলেছেন: পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি কি আপনার বাবার সঙ্গে শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছিলেন?

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, পেয়েছিলাম। বাবা ১৯৯৯ সালে মারা যান। সে সময় আমি উন্নতির মধ্যগগনে অবস্থান করছিলাম। একটা জমি কিনবো বলে মনস্থির করে বাবার সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়েছিলাম। তখন তাকে সব খুলে বলেছিলাম। আমাকে দেওয়া ব্যবসার প্রাথমিক পুঁজির টাকাটাও তাকে ফেরত দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে টাকা তিনি নেননি। তবে আমার উন্নতির কথা শুনে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। বলেছিলেন, বৌমার (মানে আমার স্ত্রীর) খালুর সাথে তো তাহলে আমার একবার দেখা করতে যেতে হয়।

কিন্তু আফসোস। সেই সুযোগ তার হয়নি। আমার সাথে কথা হবার কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান।

ধন্যবাদ ভাই হারাধণ০২। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে নাকি সৎ ভাবে ব্যবসা করার কোন সুযোগই নাই....বাংলাদেশ নাকি একটা মাফিয়া/লুটপাঠ/অরাজকতা/হত্যা/চাদাবাজি দের স্বর্গরাজ্য। অনেক ব্লগার কথায় কথায় বাংলাদেশ কে ছোট করে দেখায় ....আর কোথাও পান থেকে চুন খসলে সেটা কে জেনেরালাইজড করে ফেলে...যখন পড়ছিলাম তখন মনে করছিলাম যে শেষে এসে দেখব যে কেমন করে খালু শ্বশুর আপনার মাথায় বাড়ী দিল।
অভিনন্দন এমন সৎভাবে এই অবস্হানে আসার জন্য...

কানিজ রিনার মন্তব্যে প্লাস দিলাম...বাবাতো হাটিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে...মা হলে কোলে তুলে নিত বৃস্টিতে...মার অবদানের কথা না থাকায় পোস্টে প্লাস দিতে গিয়েই দিলাম না....।

Do not walk on water......tease water enough so that water will allow you to walk on it- My quote

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, আমার খালু শশুর অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি এরকম কাজ করবেন ভাবাই যায় না। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য যে কোন শব্দই অপর্যাপ্ত। ধনীরা যে গরীবের টাকা মেরে দেয় না, তা' নয়। কিন্তু তিনি এরকম মানুষ নন।

ধন্যবাদ ভাই কলাবাগান১। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন:

বাহ বাহ সাব্বাশ । অভিনন্দন আপনাকে । একজন সফল বাবা বলতেই হয় । সত্যি লেখাটা একটু বড় হলেও আমার পড়তে বোর লাগেনি । আমি আপনার পরিশ্রম দেখে অবাক হচ্ছি । আসলে বাবারা এমনই হয় । শিরোনাম,ছবি এবং বর্ণনা চমৎকার লাগছে । তবে আপনার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তথ্যগুলো আমাকে ব্যয়িত করেছে । আমি জানতাম না । আল্লাহ্ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক। তবে আপনার শেষ কথায় হাসি পেল । গুরুজী আমাদের । ভালো থাকুন সব সময় ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, লেখাটা একটু বড়ই হয়ে গেছে। সন্তানদের মঙ্গলের জন্য জীবন সংগ্রামের আরও অনেক ঘটনা ছিল, যা এই পোস্টে যুক্ত করলে একটা বইয়ের মতো হয়ে যেত। তাহলে ব্লগের কেউ এই পোস্ট পড়তো না। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ ভাই রাকু হাসান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার জীবনের অজানা একটা দিক জানতে পারলাম। আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন । আপনি সৌভাগ্যবান যে সৎ পরামর্শ,উপদেশ, বন্ধুর সহায়তা এবং উপকারী মুরুব্বী পেয়েছিলেন । আপনার সততা, আত্মবিশ্বাস, সন্তানদের প্রতি স্নেহ মায়া মমতা এবং দায়িত্ববোধ আপনার প্রেরনা হিসাবে কাজ করেছে। একজন সফল মানুষ হিসাবে অভিনন্দন রইলো। ভাল থাকুন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলায় পড়া একটা রম্য কবিতা মনে পড়লো, যার শুরুটা ছিল এমন-
আমার চালাক চতুর খালুর
ব্যবসা ছিল পটল আলুর,
তাইতো সেজে প্রডিউসার,
ডিসুম, ডিসুম লাত্থি ঘুতার
করেন ছবি গড়েন পুঁজি
আমরা দেখে চক্ষু বুজি । =p~
যাক একজন পরিশ্রমী ও সফল মানুষের কাহিনী পড়ে বেশ ভাল লাগলো। শুভ কামনা জানবেন।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:২৯

প্রামানিক বলেছেন: নিজের সাত বিঘা জমিতে আলু করে তিন বছর আগে লোকসান খেয়ে এখন চাষ করাই ছেড়ে দিয়েছি। আপনি তো দেখি এখনও আলুর চাষ ধরে রেখেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।

০৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আলুর ব্যবসা আসলে খুবই স্পর্শকাতর। পচনশীল পন্যের ক্ষেত্রে লোকসান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমার নিজেরও একবার লোকসান হয়েছে। কিন্তু আত্মীয়তার কারণে কোল্ড স্টোরেজের মালিক স্বয়ং আমার ব্যবসা দেখভাল করেছেন বিধায় আমি খুব ভালোভাবেই এই ব্যবসায় টিকে আছি। তবে এখন ব্যবসাটা খুব সীমিত আকারে করি।

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




একজন আলাদা আবুহেনার দেখা মিললো যিনি কোল্ডষ্টোরেজে রাখা আলুর মিষ্টি হয়ে যাওয়ার মতো মিষ্টি গল্পও লিখতে জানেন। প্লাষ্টিকের মতো নমনীয় মানসিকতার হয়েও যিনি প্লাষ্টিক তৈজসপত্রের মতো কঠিন সঙ্কল্প নিয়ে লক্ষীর পেছনে ছুটে গেছেন অবলীলায়। সংসারকে মসৃন এক পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন একজন দায়িত্বশীল স্বামীর মতো, একজন বৃষ্টি ও ঘামে ভেজা বাবা হয়ে সুরক্ষিত করে গেছেন তার প্রজন্মের ভবিষ্যত।

অকপট লেখায় ++++++++

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পৃথিবীর সকল বাবাই তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জান বাজি রেখে লড়াই করুন, এটাই আমার চাওয়া।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮

করুণাধারা বলেছেন: ছবিটা লেখার সাথে চমৎকার মানিয়েছে!

বিশেষ করে আজকালকার দিনে সন্তানেরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে আর তারা সমস্ত কিছু সহজেই পেয়ে যায় বলে, কখনো ভেবে দেখার সময় পায় না যে এগুলোর যোগান দিতে তার বাবা- মায়েদের কতটা ঘাম আর অশ্রু বিসর্জন দিতে হয়েছে। এই লেখাটা পড়ে তাদের অনেকেই পিছন ফিরে তাকাবে, ভাববে তার জীবন গড়ে দিতে মা-বাবা কতটুকু কষ্ট সয়েছেন..........

চমৎকার পোস্টে লাইক।

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তারা সমস্ত কিছু সহজেই পেয়ে যায় বলে, কখনো ভেবে দেখার সময় পায় না যে এগুলোর যোগান দিতে তার বাবা- মায়েদের কতটা ঘাম আর অশ্রু বিসর্জন দিতে হয়েছে। এই লেখাটা পড়ে তাদের অনেকেই পিছন ফিরে তাকাবে, ভাববে তার জীবন গড়ে দিতে মা-বাবা কতটুকু কষ্ট সয়েছেন..........


একেবারে যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ করুণাধারা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৩| ০৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: একজন সফল বাবার জীবনযুদ্ধ পড়ে অভিভূত! সততা ও পরিশ্রম, সেই সাথে স্বজনদের সামান্য সহযোগিতা আল্লাহর রহমতে একজনকে সত্যি সাফল্য এনে দিতে পারে। আল্লাহ পাক আপনার পরিবারের সবার উপর তাঁর অসীম রহমত বর্ষন করুন।

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার দোয়া আমার ও আমার পরিবারের চলার পাথেয়। করুনাময় আল্লাহ তায়ালা আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতিও রহমত বর্ষণ করুন।

ধন্যবাদ ভাই ঢাকার লোক। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।


২৪| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

জুন বলেছেন: হেনা ভাই আপনার স্মৃতির কথাগুলো পড়ে কেমন যেন মন খারাপ লাগছে। আমরা শুধু সন্তান পালনে মায়েদের আত্নত্যাগের কথাই বলি, বাবাদের ঘাম ঝরানো গল্পের কথা অনুচ্চারিতই থাকে। আমার বাবা একজন উচচ পদস্থ সৎ পুলিশ অফিসার অল্পবয়সে বিপত্নীক হয়ে আমাদের চার ভাই বোনকে নিয়ে কঠিন সংসার সমুদ্রে কি কষ্টে যে সাতরে পার করেছেন তা ভাবতেই আমার শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। এখনো আফসোস হয় আব্বার জন্য কেন আরো করি নি। মা আমাদের অনেক অল্প বয়সে মারা যান তাই বাবার কথাই বেশি মনে পড়ে। বিশেষ করে আপনার এই লেখাটি পড়ে।
+

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা শুধু সন্তান পালনে মায়েদের আত্নত্যাগের কথাই বলি, বাবাদের ঘাম ঝরানো গল্পের কথা অনুচ্চারিতই থাকে।

আসলেই তাই। সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বাবা মা উভয়েরই অবদান অনস্বীকার্য। আপনার বাবার ঘটনা শুনে তো আঁতকে উঠার কথা। চার চারটি ছেলে মেয়ে নিয়ে তিনি জীবন সংগ্রামে কত প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করেছেন, তা' একমাত্র তিনি আর উপরওয়ালা জানেন। অন্যেরা সেটা কল্পনাও করতে পারবে না। আপনার আব্বার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা।

ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৫| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাবারা এমনই হয়। নিজে সয়ে যায় আর সন্তানকে সুখে রাখার চেষ্টা করে।

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাবারা এমনই হয়। নিজে সয়ে যায় আর সন্তানকে সুখে রাখার চেষ্টা করে।

ব্যতিক্রম বাদে পৃথিবীর সকল বাবাদের ক্ষেত্রে এই কথা ১০০% প্রযোজ্য। ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল।

২৬| ০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সন্তানের জন্য আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমের কাহিনি পড়ে খুব ভালো লাগলো।

আপনার ছেলেরা মানুষের মতো মানুষ হয়েছে- এটাই আপনার সৎ-পরিশ্রমী জীবনের সার্থকতা।

আপনি সুস্থ থাকুন, লিখতে থাকুন - এই কামনা করি।

০৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ছেলেরা মানুষের মতো মানুষ হয়েছে- এটাই আপনার সৎ-পরিশ্রমী জীবনের সার্থকতা।


একদম ঠিক বলেছেন। সব বাবারাই সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ হতে দেখতে চায়।

ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৭| ০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পড়তে পারিনি। ছবি আর শিরোনামটাই এই লেখাটা পড়তে সবাইকে উৎসাহিত করবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু তবু আমি পড়তে পারিনি। এখন পড়তাম। সমস্যা হল একটা বই পড়ছি। জহির রায়হানের শেষ বিকেলের মেয়ে। রাতে আসব আবার। পড়তে এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাতে।

ভালো থাকুন
সুস্থ থাকুন।

শুভকামনা।

০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শেষ বিকেলের মেয়ে অনেক দিন আগে পড়েছিলাম। ভালো উপন্যাস।


ঠিক আছে ভাই আকতার আর হোসাইন, এই লেখাটি পরে সময় পেলে পড়বেন। ধন্যবাদ।

২৮| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৩১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষটি হচ্ছেন বাবা।

০৬ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যথার্থ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।


২৯| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৯

সুমন কর বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন এবং সফল হয়েছেন, এটাই আসল কথা। আজকাল সাহায্য করার মতো লোকের অনেক অভাব। আপনি সাপোর্ট পেয়েছেন এবং সেটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন।

লেখায় ভালো লাগা রইলো।

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আমি সাপোর্ট পেয়েছি এবং কিছু ছোটখাটো ক্ষয় ক্ষতি ছাড়া আমার ব্যবসা মোটামুটি মসৃণ ভাবেই এগিয়ে গেছে। তবে একসাথে চাকরি এবং দুই দুটো ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন ছিল।


ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩০| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বলেছিলাম আবার।তাই ব্লগে ঢুকে প্রথমেই আপনার পোস্টে চলে আসলাম।

আত্মজীবনী মূলক লেখা পড়ার তেমন অভ্যাস আমার নেই। হয়তো কিছুটা অপছন্দও করি।

প্রথমে ভেবেছিলাম এটা একটা গল্প মাত্র। পরে শেষে এসে দেখি যে না, এটা আপনার জীবনের বাস্তব গল্প। গল্প বড় হয়েছে ঠিক কিন্তু পড়াতে বিরক্তবোধ আসেনি। ভালো লেগেছে। এবং আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছে।

বাবাদের শার্টের ঘাম কখনো শুকায় না। ভিজে থাকে। বৃষ্টির পানি অথবা ঘামে। বাহ! চমৎকার কথা। অত্যন্ত চমৎকার কথা।

বাবারা বটবৃক্ষের মতো নিজে রোদে পুড়ে অথচ সন্তানকে দেয় ছায়া। বাবা মায়ের ত্যাগ তিতিক্ষার ফলেই সন্তানের জীবন হয় সুখের। আফসোস আমাদের এই যুগের ছেলেপুলেরা তা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারে না।

মাঝে একটা প্রশ্ন করি...? আলি কিনে কোল্ড স্টোরেজে রেখে পরে বিক্রি করে? এটা কি আইনিভাবে বৈধ..?? জাস্ট প্রশ্ন করলাম। মনে কিচ্ছু নেবেন না।


শেষ কথা:

ভালবাসা। এই ছোট্ট শব্দটার অর্থ আমরা সবাই জানিনে। পৃথিবীতে মাত্র দুটি জিনিষ স্বর্গীয়। একটি হল ঘুম, অন্যটি হল ভালবাসা।

এই ভালবাসার ডেফিনিশনটাও খুব কম মানুষ বুঝে। যাইহোল, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে ভালবাসা সেটা হল নির্ভেজাল, একদম খাঁটি ভালবাসা।


আপনার ভালবাসার গল্পে ভালোলাগা রেখে গেলাম। প্রতিটি বাবাই যেন এমন আদর্শবান ও দায়িত্ববান হয় সেই কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।


পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ রাত্রি..

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিই। আপনি জিজ্ঞেস করেছেন, আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রেখে পরে বিক্রি করে? এটা কি আইনিভাবে বৈধ..??
ভাই এটাই তো কোল্ড স্টোরেজ এবং আলু চাষিদের ব্যবসা। এই কারণেই পৃথিবীর সব দেশে লক্ষ লক্ষ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপিত হয়েছে। আলু ছাড়াও অন্যান্য সবজি ও ফলমুল সেখানে সংরক্ষণ করা হয়। এই সব পচনশীল কৃষি পন্য সারা বছর কোল্ড স্টোরেজে রেখে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। তারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। এটা সম্পূর্ণ ভাবে বৈধ ও আইনসম্মত ব্যবসা। তা' না হলে সরকার কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের অনুমতি দিত না এবং লক্ষ লক্ষ টন কৃষি পন্য পচে নষ্ট হয়ে যেত। আশা করি, আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।

সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে ভালবাসা সেটা হল নির্ভেজাল, একদম খাঁটি ভালবাসা।
হাঁ ভাই, এতে তিলমাত্র সন্দেহ নাই। এক সাথে চাকরি এবং দুই দুটো ব্যবসা করতে গিয়ে আমাকে যে কী পরিমান কষ্ট করতে হয়েছে, তা' ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু যখনই আমার সন্তানদের মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতো, তখনই সব কষ্ট দূর হয়ে যেত। জীবন সংগ্রামে লড়াই করার মতো এনার্জি ফিরে পেতাম। অত্যাধিক পরিশ্রম ও টেনশনের কারণেই আমার একবার স্ট্রোক এবং একবার হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। কিন্তু সন্তানরা মানুষ হয়েছে দেখে আমি রোগ যন্ত্রণাও ভুলে যাই। এটাই তো নির্ভেজাল খাঁটি ভালোবাসা।

ধন্যবাদ ভাই আকতার আর হোসাইন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩১| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ/ প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি।

অনেকে আছে না , পন্য রেখে দিয়ে পরে যখন দাম বৃদ্ধি পায় তখন বিক্রি করে। যেটা অবৈধ। আমি আসলে সেটা ভেবেছিলাম। কোল্ড স্টোরেজ সম্পর্কে আগে জানতাম না।

ধন্যবাদ আপনাকে...

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২৯

বলেছেন: একজন আদর্শ বাবার জীবন দর্শনে বিমোহিত হলাম।

আপনার মঙ্গল কামনা করছি।


আসসালামু আলাইকুম।

১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওয়ালাই কুম আস সালাম।

ধন্যবাদ ভাই ল। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

জুন বলেছেন: নয়নতারা সহ ব্লগের সবার বাড়ির ছোট ছোট সদস্যদের জন্য ঈদ উপহার দিয়েছি হেনা ভাই। আসলেন না তো। চটজলদি এসে নাত্নীকে শুনিয়ে দিন। তারপর ফিডব্যাক B-)

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ঠিক বুঝলাম না বোন। দুঃখিত।

৩৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

জুন বলেছেন: হায় হায়। আচ্ছা আমার ব্লগ বাড়িতে আসুন না হয় :)

২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইয়ে হুয়ি না বাত! আসলে লেখাটা না পড়ায় ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। আমি সত্যিই দুঃখিত। আপনার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে লেখাটা পড়লাম এবং একটা মন্তব্যও রেখে এলাম। দয়া করে মন্তব্যটি দেখবেন।

আর্জেন্টিনার রূপকথার গল্প আমাদের দেশের মতোই মনে হলো। আপনার অনুবাদ চমৎকার হয়েছে। অনুবাদে বাচ্চাদের জন্য যে সাবলিলতা থাকা দরকার, তা' পুরোমাত্রায় রয়েছে। ধন্যবাদ বোন জুন।

৩৫| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একেবারেই কঠিন বাস্তব !
সত্যি ই বাবা' দের ঘাম শুকায় না। মন ছোঁয়া লেখা ভাইয়া।

২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা। জীবন সংগ্রামে কষ্টকর লড়াই এবং দুইবার হার্ট এ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কষ্ট পেলেও একটা কথা ভাবলে আমার সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। আর তা' হলো, ছেলেদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পেরেছি, তারা কর্ম জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ওদের দুই ভাইয়ের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিতে পেরেছি। বড় ছেলের বিয়ে দিয়ে প্রাণ জুড়ানো এক নাতনিও পেয়েছি। আর কি চাই? আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া।

ভালো থাকবেন বোন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৬| ২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পরিবারের সকলের প্রতি মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইল ।

২৫ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের প্রতি।

৩৭| ০১ লা জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: আপনার মত অতি অসাধারণ মানুষ এর জীবনের একটা সংগ্রাময় দিক জানতে পেরে আপনার প্রতি আরো শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। কি অসাধারণ কথা "বাবার গায়ের ঘাম কখনো শুকায় না"!!! তবে আপনার জন্য আপনার সহধর্মিণী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা অনস্বীকার্য। অল্প করে হলেও তার কথা উল্লেখ করলে লেখাটা পূর্ণতা পেত। যাই হোক, আপনার জন্য রাশি রাশি ভালবাসা।

০১ লা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তবে আপনার জন্য আপনার সহধর্মিণী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা অনস্বীকার্য। অল্প করে হলেও তার কথা উল্লেখ করলে লেখাটা পূর্ণতা পেত।

আপনার কথা ঠিক। স্বামীর সাফল্যের পেছনে স্ত্রীর ভুমিকা অনস্বীকার্য। আমার স্ত্রীও আমাকে প্রাণশক্তির জোগান দিয়েছেন। আসলে আত্মজীবনী আকারে লিখলে তার কথা উল্লেখ করতেই হতো। কিন্তু এই লেখাটি আত্মজৈবনিক হলেও আত্মজীবনী নয়। বড় লেখা ব্লগে কেউ পড়তে চান না। তাই লেখার আকার সীমিত রাখার জন্য শুধু আমার স্ত্রী নন, আরও অনেকের অবদান এবং আরও অনেক ঘটনা ছাঁটাই করতে হয়েছে। এই লেখাটি আসলে আমার সম্পর্কে একজন ব্লগার বন্ধুর ভুল ধারনা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য লেখা। লেখার মধ্যে আমি অবশ্য সেটা উল্লেখ করিনি। তবে তিনি লেখাটি পড়েছেন এবং আশা করছি মাই লাইফ ইজ নট দ্যা বেড অফ রোজেস সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

স্মৃতিচারণাটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ০৫ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

০৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক আলী ভাই।

৩৯| ২৩ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

আরাফআহনাফ বলেছেন: সফল স্বার্থক এক বাবার প্রতিচ্ছবি এঁকে গেলেন লেখনীর পরতে পরতে।
আদতে কিছু ব্যতিক্রম বাদে পৃথিবীর সব বাবাদেরই লক্ষ্য থাকে সন্তানদের সুখী দেখা, তাদেরকে সুখী রাখার। আপনার বাবা সেটা দেখে গেছেন - সফল পিতা তিনি, আপনিও সন্তানদের সফলতা দেখছেন-উপভোগ করছেন - দিন শেষে আপনিও সফল। আমি চাক্ষুস দেখে এসেছি - আমি জানি আপনার এই সফলতা, আপনার এই অর্জন। এই যে এত শ্রম সেটা বিফলে যায়নি আপনার। আপনার সফলতাই আমাদের অনুপ্রেরনা , আমাদের শিক্ষা। আমার সন্তানদের জন্য যখন অনেক পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখনি সামনে চলার ভরসা পাই আপনাকে দেখে - এটাই সত্যি।

ভালো থাকুন অনেক অনেক।

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার সন্তানদের জন্য যখন অনেক পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখনি সামনে চলার ভরসা পাই আপনাকে দেখে - এটাই সত্যি।


খুব ভালো লাগলো কথাটা শুনে। এই স্মৃতিচারণামূলক লেখাটি আসলে নিজের সাফল্য বর্ণনা করার জন্য নয়। ৩৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে এটি লেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে বলেছি। সম্ভব হলে একটু দেখে নিও।

তোমাকে অনেকদিন পর পোস্টে পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আরাফআহনাফ। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৪০| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জীবনে লড়তে হবে। বেঁচে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত।

২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক উপলব্ধি। জীবন মানেই সংগ্রাম।


ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪১| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি খুব কর্মঠ।

২৮ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রিফাত হোসেন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.