নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত জন্ম ইতিহাস

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১০



ব্রিটিশ যুগে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষাদীক্ষা উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ৷ সে সময়ে রাজশাহী কলেজে আইন বিভাগসহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু করা হয়৷ কিন্ত এর কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এসব কার্যক্রম৷ সে সময়েই রাজশাহীতে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন অনুভূত হয়৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে৷ রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়৷
ভাষা আন্দোলনের কিছুদিন আগ থেকেই মূলত রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়৷ ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে ৷ প্রথম দাবি অবশ্য ওঠে রাজশাহী কলেজেই৷ ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পাস করার দাবি তোলে৷

পরবর্তীতে ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কেই আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আরও একটি জনসভা৷ উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ইদ্রিস আহমেদ এমএলএ, প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী, খোরশেদ আলম, আনসার আলী, আব্দুল জব্বার প্রমূখ৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ক্রমেই তীব্র হতে থাকে৷ এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৫ ছাত্রনেতা ৷ পরে ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয়৷ ওই ডেলিগেশনের সদস্যদের মধ্যে মরহুম আবুল কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য৷ এভাবে একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়৷ এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী মাদার বখশ৷

১৯৫৩ সালের ফেব্রুয়ারি ৬ ভুবন মোহন পার্কে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাদার বখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব৷ মাদার বখশের এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে এবং সাথে সাথে টনক নড়ে সরকারেরও৷ অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়। নতুন উপাচার্য প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকেসঙ্গে নিয়ে মাদারবখশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করে৷ এ দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক করে মোট ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়৷ এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তত্কালীন বিভাগীয় কমিশনার এম এ খুরশীদ৷ একই বছর ৬ জুলাই প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ১৬১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।[১] প্রথম ক্লাস শুরু হয় রাজশাহী কলেজে৷ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দফতর প্রতিষ্ঠা করা হয় পদ্মার তীরের বড়কুঠি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রেশম কুঠি বা নীল কুঠির উপর তলায়৷ বড়কুঠির কাছেই তত্কালীন ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমিতে চিকিত্সাকেন্দ্র ও পাঠাগার তেরি করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর স্থাপন করা হয় জমিদার কুঞ্জমোহন মৈত্রের বাড়িতে৷ বড়কুঠি পাড়ার মাতৃধাম এ স্থাপন করা হয় কলেজ পরিদর্শক দফতর৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন ওসমান গনি ও প্রথম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিযুক্ত হন অধ্যাপক আব্দুল করিম৷ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা বাড়িতে গড়ে ওঠে ছাত্রাবাস৷ রাজশাহী কলেজ সংলগ্ন ফুলার হোস্টেলকে রুপান্তরিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে৷ বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবন ও আরেকটি ভাড়া করা ভবনে ছাত্রী নিবাস স্থাপন করা হয়৷

১৯৫৮ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়।[৩] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এবং ১৯৬৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস ও বিভাগ এখানে স্থানান্তরিত হয়৷ এই ক্যাম্পাসটি গড়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায়৷

উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ কলোনী থেকে বের হওয়ার পর, বাংলা অন্চলে অনেক পন্ডিত লোকজন ছিলেন; এঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল চেয়েছিলেন, প্রতিষ্টা করেছিলেন। তবে, এঁরা ২/৩টি ইউনিভার্সিটি করতে পেরেছিলেন ২৪ বছরে।

আজকে এসব পন্ডিতদের সংখ্যা কোটী গুণে বেড়ে গেছে, এরা নর্থ-সাউথ, ইষ্ট-ওয়েষ্ট, আপস-ডাউন নামে দিনরাত ইউনিভার্সিটি বানিয়ে ফেলছেন, অনেকটা ডিম পাড়ার মতো; বাংলার বুকে দুষ্ট পন্ডিতের সংখ্যা বেড়ে গেছে!

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বৃটিশ কলোনী থেকে বের হওয়ার পর, বাংলা অন্চলে অনেক পন্ডিত লোকজন ছিলেন; এঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল চেয়েছিলেন, প্রতিষ্টা করেছিলেন। তবে, এঁরা ২/৩টি ইউনিভার্সিটি করতে পেরেছিলেন ২৪ বছরে।

হাঁ, এটা ঠিক। তবে এখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির নামে সার্টিফিকেট বিক্রির যে প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নের পরিবর্তে আরও অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের শিক্ষিত শ্রেণী কখনো এসব "চাইনীজ রেষ্টুরেন্ট" ষ্টাইলের ইউনিভার্সিটিগুলোর ( নর্থ-সাউথ, ইষ্ট-ওয়েষ্ট, আপস-ডাউন, ইনস-আউট) বিপক্ষে অবস্হান নেয়নি; এসব ইউনিভার্সিটিগুলো জাতিকে পংগু গ্রেজুয়েট উপহার দিচ্ছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় জানা গেল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম বৃত্তান্ত অনেকেই জানেন না। আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম বলে প্রায় সবই জানতাম। তারপরেও উইকিপিডিয়ার সাথে যাচাই বাছাই করে ১০০% সাদৃশ্য পাওয়ায় ওখান থেকেই আপনাদের জন্য পেশ করলাম।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। অত্যন্ত সুন্দরভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম বৃত্তান্ত তুলে এনেছেন যে পড়ে আনন্দ পেলাম।
আমাদের অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ব্লগার তারেক ভাইও রাবির প্রাক্তনী।
আশা করি উনিও এই পোস্টে এসে ওনার সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
রাবির কিছু সুন্দর ছবিও দিতে পারেন।
পোস্টে তৃতীয় লাইক।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা খুবই সংক্ষিপ্ত বিবরন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত বর্ণনা নয়। শুধু জন্ম বৃত্তান্ত। গতকাল ৬ জুলাই রা বির ৬৬ তম জন্মবার্ষিকী ছিল।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছোট্ট পরিসরে হলেও রাবির অনেক কিছু জানলাম।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক। শুভকামনা আপনার জন্যেও।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক বার গিয়েছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে । খুবই সুন্দর । তবে সবচেয়ে ভালো হতো যদি পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ক্যাম্পাস টি হত।

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে আসতে পারেন। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত অনিন্দ্য সুন্দর ক্যাম্পাসটি দেখতে আপনার খুবই ভালো লাগবে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার এক আত্মীয়ের ছেলের ভর্তির কাজে একবার ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। হা, ক্যাম্পাসটি মনোমুগ্ধকর।


ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় না হয়ে উত্তর বঙ্গ আলাদা বিভাগ হতো তাহলে বৈষম্য অনেক কম হতো।
প্রফেসর জুবেরীর অবদান জানা ছিল, মাদার বখশের বিষয়ে ধারনা কম ছিল। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে তৎকালীন এমএলএ আইনজীবী মাদার বখশের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। সৌভাগ্যক্রমে তিনি ছিলেন আমার বাবার (তিনিও আইনজীবী) ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ ইতরাত হোসেন জুবেরী (যার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী হাউস) সাহেবের সর্বকনিষ্ঠ ভাই মাহমুদ জামাল কাদেরী আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মাদার বখশ সাহেবের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র হলের নামকরণ করা হয়েছে মাদার বখশ হল। এ ছাড়াও রাজশাহী শহরে মাদার বখশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ নামে একটি সরকারী কলেজও রয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২১

নীল আকাশ বলেছেন: চাদগাজী বলেছেনঃঃ আজকে এসব পন্ডিতদের সংখ্যা কোটী গুণে বেড়ে গেছে, এরা নর্থ-সাউথ, ইষ্ট-ওয়েষ্ট, আপস-ডাউন নামে দিনরাত ইউনিভার্সিটি বানিয়ে ফেলছেন, অনেকটা ডিম পাড়ার মতো; বাংলার বুকে দুষ্ট পন্ডিতের সংখ্যা বেড়ে গেছে! আজকে এসব পন্ডিতদের সংখ্যা কোটী গুণে বেড়ে গেছে, এরা নর্থ-সাউথ, ইষ্ট-ওয়েষ্ট, আপস-ডাউন নামে দিনরাত ইউনিভার্সিটি বানিয়ে ফেলছেন, অনেকটা ডিম পাড়ার মতো; বাংলার বুকে দুষ্ট পন্ডিতের সংখ্যা বেড়ে গেছে! - ১০০% সহমত। এখনকার ভার্সিটিগুলি হলো ব্যবসা করার প্রতিষ্ঠান। এইগুলি শিক্ষা দেয়ার জন্য খুলা হয় না।

আমাদের ভার্সিটির সিনিয়র একজন প্রফেসর আমাদের ক্লাসে বলেছিলেনঃ যেই হারে ভার্সিটি খুলা হচ্ছে কিছুদিন পরে পিপড়ারাও ভার্সিটি খুলতে চাবে।

রাজশাহী ভার্সিটি আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম স্টুডেন্ট থাকার সময়। খুব সুন্দর একটা জায়গায়। দেখার মতো। অনেক বড় জায়গা নিয়ে।

ধন্যবাদ ভাল বিষয়ে লেখার জন্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, প্রায় ৯০০ একর জমির উপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। উইকিপিডিয়ায় অবশ্য ৭৪৩ একর দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডে ৯০০ একর (সামান্য কম) জমির তথ্য আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে এটিকে একটি 'বিশ্ববিদ্যালয় নগরী'(ইউনিভারসিটি সিটি) হিসাবে গড়ে তোলার রূপরেখা দেওয়া আছে, যা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র। পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র ছাত্রী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীদেরকে কোন প্রয়োজনেই আর ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার দরকার হতো না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষনিক সময়ের জন্য যাওয়া হয়েছিলো,তবে এতকিছু জানার সুযোগ হয়নি,অনেক কিছুই জানলাম আপনার পোস্ট থেকে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মেঘ প্রিয় বালক।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রাবির ইতিহাস নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই,রাবির জন্মদিনে আমিও একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সামুতে বেশিরভাগ সময়ই ঢুকতে পারছি না তাই দিন দিন আগ্রহ মরে যাচ্ছে।

রাবির মতিহারের ওই সবুজ চত্ত্বরে একদিন আমরাও পা পড়েছিল এটা ভাবতেই নিজেকে গর্বিত মনে করি। মরুহুম মাদারবক্সসহ যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রেখেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মরহুম মাদারবক্সের আ.ন.ম সালেহ স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক। সালেহ স্যারে ২০১১ সালে ঢাকায় আমার দেখা হয়েছিল তার কিছুদিন পরই স্যার মারা যান। আজকের এইদিনে সালেহ স্যারকে গভীরভাবে স্বরণ করছি।
রাবির ইতিহাস নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই,রাবির জন্মদিনে আমিও একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সামুতে বেশিরভাগ সময়ই ঢুকতে পারছি না তাই দিন দিন আগ্রহ মরে যাচ্ছে।

রাবির মতিহারের ওই সবুজ চত্ত্বরে একদিন আমরাও পা পড়েছিল এটা ভাবতেই নিজেকে গর্বিত মনে করি। মরুহুম মাদারবক্সসহ যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রেখেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মরহুম মাদারবক্সের আ.ন.ম সালেহ স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক। সালেহ স্যারে ২০১১ সালে ঢাকায় আমার দেখা হয়েছিল তার কিছুদিন পরই স্যার মারা যান। আজকের এইদিনে সালেহ স্যারকে গভীরভাবে স্বরণ করছি।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তারা এমন একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য সবাই গর্ব বোধ করি। মতিহারের সবুজ চত্বরে যার পা পড়েছে, সে নিশ্চয় সৌভাগ্যবান। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি, কিন্তু কোথাও এমন মনোমুগ্ধকর ক্যাম্পাস দেখিনি। আর এত বিশাল এলাকা নিয়ে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ও দেখিনি। রা বি তার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখুক আগামী দিনের শিক্ষার্থীদের জন্য।

ধন্যবাদ ভাই তারেক_ মাহমুদ।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একই কমেন্ট ২ বার এসেছে

কারেকশনঃ ২য় প্যারার ৩য় লাইন হবে মরহুম মাদার বক্সের ছেলে আ.ন.ম সালেহ স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আ ন ম সালেহ স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। উনার বাবা মরহুম মাদার বখশ সাহেব আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আপনি কোন সাবজেক্টে পড়তেন?

অপেরা ব্রাউজার থেকে ভিপিএন প্রক্সির মাধ্যমে সামুতে অনায়াসে ঢুকতে পারবেন। চেষ্টা করে দেখুন।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের বিনা পয়সায় পড়াচ্ছেন রা বির শিক্ষার্থী আরেফিন মেহেদী।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে অনেক কিছু জানলাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। যা কিনা অজানুকদের জন্য তথ্য ভান্ডার। আমরাও গর্ভ বোধ করি আমাদের প্রিয় গুরুজি এই ভার্সিটির একজন ছাত্রছিলেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এই পোস্টে খুব কম বলা হয়েছে। শুধু রা বির জন্ম বৃত্তান্ত সংক্ষেপে বলা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক দিক রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে বলতে গেলে একটি ডিকশনারির মতো ভলিউম হয়ে যাবে।

ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।

১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আদ্যপান্ত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ , সরাসরি প্রিয়তে ।
অনেক অজনা তথ্য জানা হল । এ বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যারা আন্দোলন করেছেন ও নির্যাতন ভোগ করেছেন তাদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও ভালবাসা । এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কল্পে মানুষজনদেরকে করতে হয়েছিল বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন , করতে হয়েছিল কারা ভোগ । আর এখন পাড়ায় পাড়ায় মুদি দেকানের মত গজিয়ে উঠছে বিশ্ব বিদ্যালয় ভাবতেও অবাক লাগে , এদের নামের আগে পরে আবার বিদেশী নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটিও জড়িত থাকে। এগুলি হতে আবার নাকি পিএইচডি ডিগ্রিও দেয়া হয়।সরকারী পৃষ্ট পোষকতায় শিক্ষার মান আর কোথায় নামবে । তার চেয়ে মনে হয় বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করে তার পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত যথাযথ মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাই ভাল ।

যাহোক ,১৯৫৩ সনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর পদ্মা নদীর পারে স্থাপিত ঐতিয্যবাহী বড়কুঠি ভবনটিতে এর প্রশাসনিক ভবন চললেও পরবর্তীতে চলছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব।

মনে পরে গত কয়েক বছর আগে সমকালের একটি সংবাদ ভাষ্যে দেখেছিলাম রাবির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত ওই ভবনটির মালিকানা নাকি চেয়ে বসেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। রাসিকের মেয়র বড়কুঠি ভবনে নগর হেরিটেজ করার জন্য ভবনটির মালিকানা তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এর আগেও নাকি ওই ভবনটিতে পুলিশ ফাঁড়ির জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ছাত্র-শিক্ষকদের বাধার মুখে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছিল। এমনটি হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি চিরতরে হারাতে হবে।এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সম্পদ ও জাতীয় ঐতিহ্য। এর মালিকানা অন্যের কাছে তুলে দেওয়া ঠিক হবে না। পদ্মা নদীর উত্তর পাড়ে এই ইমারতটি ১৭২৫ সনের পূর্বে ওলন্দাজ রেশম ব্যবসায়ীদের নির্মিত এক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। প্রকৃতপক্ষে ওলন্দাজ বাবসায়িরা জরুরী সময়ে ইমারতটি দুর্গ হিসাবে ব্যবহার করত। এজন্য ইমারতের ছাদে এবং নিচে বেশকটি কামান শত্রুদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকত বলে জানা যায় । ১৮৩৩ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে আসলে কামানগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ভবনটিতে থাকা তিনটি পুরাতন কামান এখনও নাকি রাজশাহী পুলিশ লাইন এ সংরক্ষিত আছে। পুলিশের হাতে থাকা এই কমান গুলি এখন কার স্বার্থে ব্যবহার হয়েছে তা জানা প্রয়োজন? পুলিশ কামান দাগিয়ে বড় কুঠির মালিকানা কি সিটি করপোরেশনের হাতে তুলে দিয়েছে নাকি এটি এখনো বিশ্ব বিদ্যালয়ের হাতে আছে তা একটু খুঁজ নিয়ে জানালে খুশী হব ।

শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই মাত্র কিছুদিন আগে বড়কুঠি ভবন সহ আশে পাশের সাত একর জায়গা সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। খবরটি পড়ে আমার খুবই মন খারাপ হয়েছিল। কারণ, আমি নিশ্চিত যে তিনশত বছরেরও বেশি পুরাতন এই বড়কুঠি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। এর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য বুঝার সক্ষমতা সিটি কর্পোরেশনের নাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা বুঝতো বলে এই ভবনের যৎসামান্য জরুরী সংস্কার কাজ ছাড়া ভবনটি অবিকৃত অবস্থায় এতদিন রক্ষা করে এসেছে। এই পোস্টে বড়কুঠি ভবনের যে ছবিটি আপনি দিয়েছেন, সম্ভবত সেটাই আমার দেখা এই ভবনের শেষ ছবি হবে। কেননা নানা কারণে ওদিকে আর যাওয়া হয় না। পদ্মায় পানি না থাকায় পদ্মার পাড়ে বেড়াতে যেতেও মন চায় না। অথচ এক সময় এই বড়কুঠি ভবনের ভেতর বিশাল হলঘরে টেবিল টেনিস খেলেছি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কতবার ভেতরে ঢুকেছি আমি নিজেও জানি না।

যাই হোক, লেখাটি পড়ে সংবেদনশীল মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: মতিহারের সবুজ এই চত্বরে যাওয়া হয়নি কখনও। যাবার ইচ্ছে আছে একবার।

অটঃ ব্লগার চাদ্গাঁজী বলেছেন আমাদের শিক্ষিত শ্রেণী কখনো এসব "চাইনীজ রেষ্টুরেন্ট" ষ্টাইলের ইউনিভার্সিটিগুলোর ( নর্থ-সাউথ, ইষ্ট-ওয়েষ্ট, আপস-ডাউন, ইনস-আউট) বিপক্ষে অবস্হান নেয়নি। =p~ =p~ =p~ । হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, যাবেন ভাই। ভালো লাগবে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পদ্মা নদী হতে বাড়ী কত দুরে
এখনতো আছি পদ্মার পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.