নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ মোবাইল-ম্যানিয়া

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

ল্যান্ডফোনে কথা বলা সবার জন্য সহজলভ্য ছিলনা বলে একযুগ আগে আমাদের দেশে যখন মোবাইল ফোন এলো, তখন ধনী গরিব নির্বিশেষে সবাই এই যন্ত্রটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। আমার মনে আছে, ২০০০ সালের দিকে আমি যখন প্রথম এই যন্ত্রটি কিনি তখন তিনশো টাকার কার্ড কিনে মাত্র একুশ দিনের মধ্যে কথা বলে শেষ করতে হতো। তাও আবার প্রতি মিনিট ভ্যাট ট্যাক্স সহ প্রায় সাত টাকা রেটে।
কিছুদিনের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন হল। হাওয়া বেঁচে এত লাভ হচ্ছে দেখে আরও অনেক মোবাইল অপারেটর দেশে এলো। দশ বারো হাজার টাকা দামের মোস্ট অর্ডিনারি সাদাকালো পর্দার সেটের বদলে দু’তিন হাজার টাকা দামের রঙিন পর্দাওয়ালা নানারকম অপশনের হ্যান্ডসেট বাজারে এলো। অপারেটর কোম্পানিগুলো খদ্দের ধরার জন্য গ্রাহকদের নানারকম অফার দিয়ে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু করলো। কল রেট ভীষণভাবে কমে গেল। রাত জেগে কথা বলার জন্য কল রেট আরও কমিয়ে দেওয়া হল। তরুন তরুণীরা সারারাত নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেল। অনেকে একাধিক কোম্পানির সংযোগ এবং নিত্য নতুন হ্যান্ডসেট কিনে স্ট্যাটাস বাড়িয়ে নিল। ডুয়েল সিম, ট্রিপল সিম, এমনকি কোয়াড্রপল সিম পর্যন্ত একই সেটে ব্যবহারের সুবিধা এসে গেল। টু-জি থেকে থ্রি-জিতে ড্রাইভ। আগামিতে হয়তো ফোর-জি সুবিধাও এসে যাবে।
এখন এই এক যুগে এই ছোট যন্ত্রটি নিয়ে কী কী হল, তার একটা তালিকা দেখুন।

১) হাই, হ্যালো, ইয়া, বাট, সো, থ্যাংকস –এইসব ইংরেজি শব্দের ব্যবহার বেড়ে গেল। তবে ইংরেজি ভাষাটা ঠিক মতো জানা না থাকায় মোবাইল ফোনে ইংরেজি হরফে বাংলা চিঠি(এস এম এস) লেখার প্রচলন হল।

২) রিংটোনে নানা রকম গান বাজনা ও পশুপাখির ডাক শোনা যেতে লাগলো। আমার এক মামাশশুরের সেলফোনে রিং দিয়ে আজান পর্যন্ত শুনতে পেলাম – যদিও তিনি নিজে কখনো নামায পড়েন না।

৩) ‘মিসকল’ নামের এক মহা উপদ্রব চালু হয়ে গেল। মেয়েরা তাদের ছেলে বন্ধুদের ফোনে মিসকল দিয়ে ব্যয় সাশ্রয়ে যত্নবান হল (মেয়েরা সঞ্চয়ী মনোভাবাপন্ন সেটা তো জানেনই)। অন্যদিকে ছেলেদের মোবাইল খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের ‘মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল’ দশা। অবশ্য মিসকলের কিছু ভাল দিকও আছে। যেমন, এই সেদিন দেখলাম আমার ছোট ছেলেটি সন্ধ্যের পরেও বাড়ি ফিরছে না দেখে তার মা তাকে ঘন ঘন মিসকল দিচ্ছে। অর্থাৎ মিসকলের মধ্যমে মা তার ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য বার বার তাগাদা দিচ্ছে। মা ও ছেলের মধ্যে কি চমৎকার বোঝাপড়া!

৪) মেয়েরা রান্নাবান্নায় পারদর্শী হয়ে উঠলো। যেমন, সেদিন দেখলাম আমার ছেলেদের খালা ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ফোন করে তার বড় বোনের (মানে আমার স্ত্রীর) কাছ থেকে রান্নাবান্নার লাইভ রেসিপি সংগ্রহ করছে। আমার স্ত্রী বলছেন, ‘এবার দুই চা চামচ লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢেকে দে।’
‘জিরা বাটা দিয়েছিস ?’
‘আহা, পানি অতো কম দিলি কেন ? সেদ্ধ হওয়ার আগেই তো ধরে যাবে!’
‘তেল ওপরে উঠেছে ? ওঠেনি ? তাহলে আর একটু থাম্।’
এভাবে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে লাইভ রেসিপি সরবরাহ করা হল।

৫) সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের খুব সুবিধা হল। তারা চান্দিছিলা রহিম, ডাইল ডাবলু, হিজড়া সেলিম ইত্যাদি নামে চাঁদা চাইতে লাগলো। তাদের ক্লায়েন্টরা মোবাইলের স্ক্রীনে অপরিচিত নম্বর দেখে আঁতকে উঠতে লাগলো।

৬) পুলিশ বা বিজিবির লোক কে কোথায় আছে, মাদক ব্যবসায়ীরা তা আগেভাগেই জেনে ফেলে সাবধান হয়ে গেল। ফলে তাদের ব্যবসায় লোকসান কমে গেল।

৭) বিদেশে থাকা পাত্রদের সাথে দেশে থাকা পাত্রীদের বেশ কিছু বিয়ে মোবাইল ফোনে কবুল ফরমান হয়ে গেল।

৮) তোরা যে যা বলিস ভাই/ আমার সোনার হরিণ চাইঃ- তবে সবচে’ বড় যে ঘটনাটা ঘটলো, তা’ হল বাংলাদেশে অন্ততঃ টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এক ধরনের সাম্যবাদী বিপ্লব ঘটে গেল। নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, ছোট-বড়, চাকর-বাকর, ড্রাইভার- মালি, দারোয়ান-গাড়োয়ান, রাজমিস্ত্রি-রংমিস্ত্রি, নিজ স্ত্রী-পরস্ত্রী, শ্যালক-শ্যালিকা, বালক-বালিকা, গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা, জমির দালাল, গরুর দালাল, হাফ ম্যাড, ফুল ম্যাড সবার হাতেই মোবাইল ফোন চলে এলো। এই কমিউনিস্ট ব্যবস্থাপনা কিভাবে আমাদের সমাজে বহাল হল, তা জানতে হলে উইকিপিডিয়ায় সার্চ দেওয়ার দরকার নাই। সালেহার ঘটনাটা শুনলেই আপনি তা’ বুঝতে পারবেন।




চালের আড়তের পালাদার গফুরের মেয়ে সালেহা মাত্র এক বছর আগে যৌবনে পা দিয়েছে। হাতে হাতে মোবাইল ফোন দেখে তারও মোবাইলে কথা বলার শখ হল। কিন্তু সংযোগসহ সবচে’ কমদামী সেট কেনারও সামর্থ্য নাই তার। অগত্যা যা হয়! বস্তির রিকশাওয়ালা মজিদের গাঁজাখোর ছেলে সবুরকে দেখলে সালেহা আগে নাক সিটকাতো। মোবাইল-ম্যানিয়া হবার পর তাকে দেখেই সালেহা ‘ভাইয়া কেমন আছেন ?’ বলে নানা রকম ‘আই-থেরাপি’ প্রয়োগ করা শুরু করলো। সবুর গাঁজার নেশায় এমনিতেই সারাদিন কাত হয়ে থাকে, তার ওপর সালেহার নয়ন তীরে বিদ্ধ হয়ে সে আরও কাত হয়ে গেল। চুরি চামারি করে সে সালেহাকে একখানা মোবাইল ফোন কিনে দিল।




কিন্তু সমস্যা হল, সবুরের নিজেরই মোবাইল ফোন নাই। আগে একটা ছিল। হাফ দামে বেঁচে দিয়ে সে নেশা করেছে। সালেহা মোবাইল ফোনে কথা বলবে কার সাথে ? আর তাকে ফোনই বা করবে কে ? বস্তিতে ঢোকা বা বেরনোর সময় সে কিছুদিন অন্যদের দেখিয়ে দেখিয়ে মোবাইল সেট কানে ধরে কথা বলার অভিনয় করলো। কিন্তু মাছের স্বাদ কি আর মাছের আঁশ চুষে পাওয়া যায় ?
অগত্যা যা হয়! সালেহা মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য অস্থির হয়ে শেষে বস্তির পান সিগারেটের দোকানদার তিন সন্তানের বাপ জলিল মিয়ার ফোনে যখন তখন মিসকল দিতে লাগলো। আর জলিল মিয়াও দোকান থেকে নেমে দূরে গিয়ে রিং ব্যাক করে সালেহার সাথে ফিস ফিস করে কথা বলে আবার দোকানে এসে বসতে লাগলো।

এভাবে ছয়মাস যাওয়ার পর জানা গেল সালেহা সন্তান সম্ভবা। ছিঃ ছিঃ কী লজ্জার কথা! বিয়ের আগেই গর্ভবতী ? পালাদার গফুরকে পঞ্চাশ ঘা জুতাপেটা করে সপরিবারে বস্তি থেকে উচ্ছেদ করা হল। আর দোকানদার জলিল মিয়ার পাঁচশ টাকা ফাইন। জলিল মিয়া বকেয়া টাকার জন্য বস্তির খদ্দেরদের সাথে এখন আর হম্বি তম্বি করে না। হাসিমুখে বলে, ‘ভাইজান, আগের বোধহয় পনের টাকা ছিল......।’
*********************************************************************************************************************
[এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার ডিসেম্বর/২০১২ সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।]
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার এই লেখাটা পড়ে চিন্তিত হয়ে গেছি!
কষ্ট লেগেছে বেচারী সালেহার জন্য, সামান্য ফোনে কথা বলতে গিয়ে অবশেষে করুণভাবে মা হয়ে গেলো!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সামর্থ্যহীন মানুষের উচিৎ নিজের সীমার মধ্যে থাকা।


ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২০১২ এর লেখা। এটা ২০১৯।

এই সাত বছরে নদীর পানি অনেক ঘোলা হয়েছে হেনাভাই। পরিস্থিতি এখন আরো অনেক জটিল। তবে আপনার লেখাটিও জটিল....সন্দেহ নাই। :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এই সাত বছরে পরিস্থিতি আরও অনেক জটিল হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। অনেক কিছুই বদলে গেছে।


ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার এক কলিগ ২০০৩/২০০৪-এর দিকে সৌদি আরব থেকে তেনার স্ত্রীকে 'মিসড কল' দিতেন, আবার স্ত্রীও সেই 'মিসড কলে'র জবাব 'মিসড কল' দিয়ে দিতেন। তখনও ভিওআইপি, নেট এসব মোবাইলে চালু হয়নি, আর কলরেট ছিল বেশী। আমি বলতাম, এসএমএস দিলেই তো হয়! উনি বলতেন, এসএমএস লিখতে ভাল লাগে না। তার চেয়ে রিং পড়া শুনাটাই ভাল লাগে...

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তখন কল রেট অনেক বেশি ছিল। খুব হিসেব করে কথা বলতে হতো। বেহুদা প্যাচাল পাড়ার উপায় ছিল না।


ধন্যবাদ ভাই বি মা তা আ।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
হায়রে মোবাইল
দেখাইলি কি খেইল
রানতে গেল খিচুরী
হইয়া গেলো ডাইল ;)

পুরানা চাইল ভাতে বাড়ে
পুরান লেখায় কি হয় ভাইজান ;) :P

আসলেই খতরনাক ম্যানিয়া!!!!!!!!!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই খতরনাক ম্যানিয়া!!!!!!!!!


হাঃ হাঃ হাঃ। ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রথম যখন মোবাইল হাতে পেলাম, নাম্বার বানিয়ে লোকজনকে মিসকল দিতাম।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিসকল জিন্দাবাদ। কত সালের দিকের ঘটনা?


ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু।

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজেই এক সময় সারারাত জেগে মোবাইলে কথা বলেছি। এখন বুঝি কত বোকামি না করেছি!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অভিজ্ঞতা মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।


ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক মেয়েকে বিরক্ত হয়ে বললাম- কল দিতে পারেননা, মিস কল দেন কেন?
মেয়েটি জানালো- মেয়েদের মিস কলও কল ! =p~

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেয়েটি জানালো- মেয়েদের মিস কলও কল !


হাঃ হাঃ হাঃ। মেয়েটি চালাক। ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

সোহানী বলেছেন: হেনা ভাই লিখাটা ২০১২ তে লিখা বলে তখনকার বাস্তবতা লিখেছেন আর এখন ২০১৯............ কঠিন অবস্থা এখন। মনে পড়ে তখন গ্রামীনের ৭ টাকা মিনিট আর মিসকলের কাহিনী। সবচেয়ে বড় কথা একটা মোবাইল কেনার জন্য যে মারামারি কাটাকাটি.......... সে এক কঠিন অবস্থা ছিল।

ভালোলাগলো সে পুরোনো কাহিনী.....................

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: মিস কল নিয়ে রঙ্গটা ভালো লাগলো, হেনা ভাই। :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সত্যপথিক শাইয়্যান।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ২০১০-০১২তে আমার মাও আমাকে মিসকল দিতেন। সময়ের সাথে সাথে মিসকলের সংখ্যাও বাড়তো। কল ব্যাক করলেও ধরতেন না। ধরলে যদি বলে ফেলি, লেইট হবে!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ছেলেকে তো মাই সবচেয়ে ভালো চিনেন।


ধন্যবাদ ভাই জুনায়েদ বি রাহমান।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।
মোবাইল আর ইন্টারনেট খোদ শয়তানের আবিষ্কার।
এখন দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ অপকর্ম এই ২টার মাধ্যমে হয়।
ধন্যবাদ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে সব কিছুরই ভালো মন্দ দুটি দিক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকটা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না, এটা আমাদের ব্যর্থতা।

ধন্যবাদ নীল আকাশ।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা আছে তবে অসুবিধাই সম্ভবত বেশী। কলরেট বেশী ছিলো সেটা দেশের জন্য মঙ্গল ছিলো। আমি সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে লিখতাম কোনো এক কালে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। কে কিভাবে ব্যবহার করছে, সেটার ওপর মোবাইল ফোনের ভালো মন্দ নির্ভর করে।


ধন্যবাদ ভাই ঠাকুরমাহমুদ।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি দিন গেল, আর কি দিন আইলো ?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কথাটা ঠিক। সেই দিন আর এই দিনের মধ্যে অনেক পার্থক্য।


ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার।

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারন একটি যন্ত্র। এক সময় প্রবাসী ছেলেদের সাথে টেলিফোনে বিয়ে হতো দেশে অবস্থানরত মেয়েদের। এখন বিয়ে হয় ইমুতে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আগে প্রবাসীদের সাথে মোবাইল ফোনে অনেক বিয়ে হয়েছে।



ধন্যবাদ ভাই সাজ্জাদ হোসেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.