নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-৬)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১২



আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-৫)

এ প্রলয়-মাঝখানে--অবলা জননী প্রাণে
স্নেহ মৃত্যুজয়ী
এ স্নেহ জাগায়ে রাখে কোন্ স্নেহময়ী?

এক সপ্তাহ ধরে জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগে আমি বেশ কাহিল হয়ে গেলাম। বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টের মতো হলো। বড় চাচীমা আমাদের গ্রাম থেকে এক ক্রোশ পথ দূরের এক গ্রাম থেকে একজন পীরের দেওয়া তাবিজ আর পানি পড়া নিয়ে এলেন। মনি ডাক্তারের মিকশ্চারের পাশাপাশি সেই পানি পড়া আমাকে খেতে হলো। বড় চাচীমা দোয়া দরূদ পড়ে আমার ডান হাতে তাবিজ বেঁধে দিলেন। রসুন ছেঁচে শর্ষের তেলে মেখে সেই তেল দিয়ে বুক পিঠ আর হাত পা মালিশের বিরাম নাই। সাতদিন ধরে গোসল নাই, তার ওপর সারা গায়ে রসুনের উৎকট গন্ধ। সেই গন্ধে মাঝে মাঝে আমারই নাক জ্বালা করে, অথচ আলেয়া ও বড় চাচীমার কোন সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয়না।

একটু আরাম পেলে বারান্দায় এসে বসি। খারাপ বোধ করলে আবার ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি। ছায়াসঙ্গীর মতো আলেয়াও প্রায় সব সময় আমার সাথে। মাথা টিপে দেয়, হাতে পায়ে তেল ডলে দেয়, ওষুধ খাবার সময় হলে ওষুধ আর পানির গ্লাস হাতে সে হাজির। বারান্দায় বসলে যত্ন করে চাদর দিয়ে গা ঢেকে দেয়। ঘরে কেউ না থাকলে আমার গলা জড়িয়ে ধরে মুখের কাছে মুখ নিয়ে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে, ‘একটু কী আরাম পাচ্ছো মেজভাই?’ ‘পাচ্ছি’ বললে আলেয়ার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ‘না রে, ভালো লাগছে না’ বললে ওর মুখে নেমে আসে রাজ্যের অন্ধকার।

আমার অসুখ নিয়ে মায়ের তেমন কোন দুঃশ্চিন্তা নাই। দেখাশুনার জন্য আমার আর এক মা তো আছেই। মা তাঁর পাড়া বেড়ানো আর পান আলাপাতা খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। মাঝে মাঝে আমাকে দেখতে এসে কঠিন গলায় বলেন, ‘যা, বেশি করে বৃষ্টিতে ভিজগে, যা! বদমাশ ছেলে কোথাকার!’
মায়ের কথা শুনে আলেয়া কুঁকড়ে যায়। পাথরের মূর্তির মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে সে।

এক সপ্তাহ পর থেকে আমার অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করলো। জ্বর চলে গেল। সর্দি কাশিও কমে গেল। কিন্তু শরীর খুব দুর্বল হয়ে গেল। বিছানা থেকে নেমে বারান্দায় বসতে গেলে মাথা ঘুরে ওঠে। কষ্ট থেকে রেহাই পেয়ে আমার একটু ভালো লাগছে দেখে আলেয়ার ছটফটানি আবার নতুন করে শুরু হলো। কাঁচা মরিচ আর শর্ষের তেল দিয়ে মাখানো চাল ভাজা নিয়ে সে হাজির। বাড়ির পেছনে একটা ডালিম গাছ ছিল। সেই গাছের পাকা, আধা পাকা সব ডালিম পেড়ে নিয়ে এল সে।
শিং মাছের ঝোল দিয়ে আমার দুপুরের ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে কাকে যেন উচ্চ স্বরে ধমকাচ্ছে আলেয়া। যাকে ধমকানো হচ্ছে, সে যদি এক ঘণ্টার মধ্যে শিং মাছ নিয়ে না ফিরে আসে তো তার মাথা কামিয়ে তাতে চুন কালি মাখিয়ে দেওয়া দেওয়া হবে। শাস্তি অবশ্য সেখানেই শেষ না। এরপর তার গলায় গরুর দড়ি পরিয়ে গোয়াল ঘরে গরুদের সাথে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হবে।
লোকটি এই ভয়ংকর শাস্তির ভয়ে মাটির হাঁড়ি ভর্তি শিং মাছ নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই হাঁপাতে হাঁপাতে সরকার বাড়িতে ফিরে এল। আলেয়া ইতিমধ্যে বাড়ির চাকর বাকরদের নিয়ে ছুটাছুটি করে চালকুমড়া, কাঁচা পেঁপে, করলা ও কচুর লতি জোগাড় করে ফেলেছে। সে এখন উঠানে রান্নাঘরের সামনে কোমরে দু’হাত রেখে দাঁড়িয়ে শিং মাছের ঝোল কী দিয়ে রান্না করা হবে তা’ নিয়ে চাচীদের সাথে শলা পরামর্শে ব্যস্ত। বারান্দায় আমার সামনে কফ ফেলার জন্য একটা চিলিমচি রাখা হয়েছে। আমি খুক খুক করে কেশে চিলিমচিতে কফ ফেলে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখি, আলেয়া নেই। আমার ঘরে ঢুকে সে এখন বিছানার চাদর, বালিশের কভার, গামছা, লুঙ্গি সব বদলে দিতে ব্যস্ত। তার এখন কথা বলার সময় নেই।

বারান্দায় বসিয়ে রেখে আমার মাথা ধোয়ানো হলো। বড় চাচীমা গামছা দিয়ে আমার ভেজা মাথা যথাসম্ভব ঘষে ঘষে মুছে চুল আঁচড়ানোর জন্য একটা চিরুনী আলেয়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আলেয়া চুল আঁচড়াতে গিয়ে সিঁথি উল্টা পাল্টা করে ফেললো। ঘর থেকে একটা হাত আয়না নিয়ে এসে আমার সামনে ধরে সে জিজ্ঞেস করলো, ‘ঠিক আছে মেজভাই?’
সাত দিনের জ্বরে গাল মুখ বসে গেছে। চোখের নিচে কালি। তার ওপর আবার উল্টা পাল্টা সিঁথির জন্য মাথার চুল উদ্ভট দেখাচ্ছে। নিজেকে চিনতে আমার কষ্ট হলো। তবু আলেয়াকে খুশি করার জন্য বললাম, ‘হাঁ, ঠিক আছে।’ আলেয়া মহা খুশি। বললো, ‘এখন থেকে তোমার চুল আমি আঁচড়ে দেব।’

দুপুরে খেতে বসে কী যে হলো, বড় চাচীমাকে মা বলে ডেকে ফেললাম। বললাম, ‘মা, তুমি আর আলেয়া আমার সাথেই খাও না!’
বড় চাচীমার দুই চোখ সাথে সাথে জলে ভরে গেল। আলেয়া বললো, ‘আমরা তো খেতে পারবো না মেজভাই। মা আর আমি দু’জনেই রোজা আছি।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কেন, রোজা কেন?’
আলেয়া বললো, ‘মা তো তোমার অসুখ হওয়ার পরদিন থেকেই রোজা করছে। আর আমি তিনটা রোজা মানত করেছিলাম। আজকেরটাই শেষ।’

বড় চাচীমা নামাজে বসে মানত করেছিলেন, যতদিন আমার অসুখ ভালো না হবে ততদিন তিনি রোজা থাকবেন। অসুখ ভালো হলে তিনি পীরের দরগায় শিরনি দেবেন। ওদের মা-মেয়ের এই রোজা থাকার কথা আমাকে কেউ বলেনি। ওদের চাল চলন ও চেহারার মধ্যে সারাদিন অনাহারে থাকার কোন লক্ষণও আমি টের পাইনি। অথবা হয়তো নিজের অসুস্থতাজনিত কষ্টের কারণে ওদের এই কষ্টের ব্যাপারটা আমি বুঝতেই পারিনি।

কিন্তু এটা শোনার পর এখন আর আমার গলা দিয়ে ভাত নামছে না। দুষ্টামি করার জন্য আমার নিজের মায়ের হাতে কতদিন মার খেয়েছি। কিন্তু কোনদিন কেঁদেছি বলে মনে পড়েনা। অথচ এখন আমার খুব কান্না পাচ্ছে। নিজেকে সামলে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। ভালোবাসাও যে মানুষকে কাঁদাতে পারে, জীবনে সেদিনই প্রথম সে অভিজ্ঞতা হলো আমার। ওদের ভালোবাসা আর মমত্ববোধের কাছে হেরে গিয়ে আমার দুই চোখ ঝাপসা হয়ে এল। আমার চোখে পানি দেখে আলেয়াও নিঃশব্দে কাঁদছে। বড় চাচীমা আমার কপালে চুমু দিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে বললেন, ‘তুমি অসুস্থ মানুষ, বাবা। সবে একটু সুস্থ হয়ে উঠেছ। এখন পেট ভরে না খেলে আবার অসুখ বেড়ে যাবে। আজ সাত আটদিন হলো তেমন কিছু খেতে পারোনি। আজ দু’মুঠো ভাত পেট ভরে খাও, বাবা। দেখে আমার জানটা ঠাণ্ডা হোক। সোনা মানিক আমার।’
আমি কান্না সামাল দিতে দিতে বললাম, ‘তোমরাও আমার সাথে খাও না, মা। আমার তো এখন অসুখ ভালো হয়ে গেছে। আর রোজা রাখার দরকার কী?’
‘না, বাবা। নিয়ত করা রোজা ভাঙ্গতে হয় না। আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমার ছেলে সুস্থ হয়েছে। আল্লাহ রহমানুর রহিম। কাল থেকে নিশ্চয় খাবো।’

আমি আর কিছুতেই খেতে পারি না। চোখের জলে মাছের ঝোলে ভাতের থালা একাকার হয়ে যায়। বুকের ভেতর থেকে দলা পাকানো কান্না উঠে আসে গলায়। আমার তিন মাসের পালক মা আমার জন্ম জন্মান্তরের মা হয়ে তাঁর অন্তরের সবটুকু দরদ ঢেলে দিয়ে আদর করছেন আমাকে। হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে বলছেন, ‘খাও বাবা, খাও।’

আলেয়া তার স্বভাব মতো উধাও হয়ে হয়ে গেছে। হয়তো কোথাও কোন আড়ালে বসে কাঁদছে। আমি নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে ভাত খাচ্ছি। বড় চাচীমা আমার পিঠে তাঁর স্নেহময় হাত বুলিয়ে আদর করছেন। এই আদরের কাছে রক্তের সম্পর্কও ফিকে হয়ে যায়। সত্যি, কী বিচিত্র এই পৃথিবী!
*********************************************************
আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-৭)

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ সকাল

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। এক কাপ কফি চাই।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার লিখার হাত খুব ভাল ...সব দিক খেয়াল রাখেন.।খুটিনাটি ব্যাপার ও কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে উত্তাল ১৯৭১ আপনাকে তেমন স্পর্স করে নাই...। ৭১ এ সবাই জীবন বাচাতেই ব্যস্ত ছিল...মিলিটারির কথা একবার বলেছেন মনে হয়...ঐ পটভুমি টা আপনার লিখায় ভীষন ভাবে অনুপস্হিত। আপনি শহর থেকে গ্রামে গিয়েছিলেন মিলিটারীদর হাত থেকে বাচার জন্যই ...কিন্তু সেই ব্যাপারটা একেবারেই এড়িয়ে যাচ্ছেন.....অবশ্য আপনি লেখক...আপনার উদ্দেশ্য রোমান্টিক উপ্যনাস লিখা.....কিন্তু যুদ্ধের মাঝে ....

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, এই উপন্যাসের ভুমিকাতেই স্পষ্টভাবে বলা আছে, উপন্যাসের সময়কাল ১৯৭১ সাল হলেও এটি কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস নয়। এটি একটি নিখাদ প্রেমের গল্প। আনুসাঙ্গিকভাবে সেই সময়ের পাকিস্তানি বাহিনীর কিছু নির্যাতনের ঘটনা এই উপন্যাসে আছে। তার জন্য আপনাকে পুরো উপন্যাসটা পড়তে হবে। এ ছাড়া আমার অন্যান্য কয়েকটি লেখায় পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের কথা বিস্তারিতভাবে বলা আছে। রাজাকার আলবদরদের কথাও বলা হয়েছে। আমার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে 'বেঁচে আছি আজও' লেখাটি পড়তে পারেন।
আর মিলিটারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে যাওয়ার কথা যেটা বলেছেন সে প্রসঙ্গে বলি সে সময়ে তো কোটি কোটি লোক পালিয়ে গিয়েছিল। শুধু আমি ও আমার পরিবার নয়।
আর একটা কথা মনে রাখা দরকার। তখনকার এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। তাহলে কত পারসেন্ট লোক সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি আপনিই বলুন। তারা কী খুব অপরাধ করে ফেলেছে? আমার ব্যাপারে যেদিকে আপনি ইঙ্গিত করেছেন, তা' যৌক্তিক নয়। মুক্তিযুদ্ধে আমারও পরোক্ষ অবদান আছে। গেরিলাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং রেকি করার কাজে আমি ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করেছি। কিন্তু সে অন্য কাহিনী। শহরের ঘটনা। এখানে এই উপন্যাসে সেসব প্রসঙ্গ টেনে আনার অবকাশ নাই। মধুপুরের মত অজ পাড়াগাঁয়ে থেকে মুক্তিযুদ্ধে জড়ানোরই কোন সুযোগ ছিল না।
আমি আবারও বলছি, সময়কাল ১৯৭১ হলেও এটি কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস নয়। এটি একটি নিখাদ প্রেমের গল্প। আর এই গল্প আমি ৭১ সালে সেসব দুর্যোগের দিনগুলোর মধ্যে লিখিনি। ২০১১ সালে, অর্থাৎ ঘটনার ৪০ বছর পর লিখেছি।
সবচেয়ে ভালো হয় আগে পুরো উপন্যাসটি পড়া। তাহলে ভুল বুঝাবুঝি থাকবে না।

ধন্যবাদ ভাই কলাবাগান১।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২০

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে আপনার উপন্যাসটি...।
শুভকামনা রইলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সুরল ভষায়, সহজ সরল ভাবেই লিখে যাচ্ছেন।
পড়তে ভালো লাগছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কফির ডিব্বা খালি, বুলবুল বাহিনীর জন্য ঘর থেকে বের হতে পারছি না B-))

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: তাহলে এই আলেয়াটাই?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, এই আলেয়াই।


ধন্যবাদ ভাই শহিদুল ইসলাম মৃধা।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: কামাল ভাইরে কফি দেন আমারে বিস্কুট দিলেই চলবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি তো কামাল ভাইয়ের কাছে কফি চাইলাম। উনি বুলবুলের ভয় দেখাইয়া কানাকে হাইকোর্ট দেখালেন।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হ, প্রামানিক ভাইরে বিস্কুট দেন, নইলে আন্দোলন হইবো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিস্কুটের ডিব্বা খালি। প্যাকেটটা যত্ন কইরা রাখছি। আপনি কইলে প্যাকেটটা বিকাশে প্রামানিক ভাইকে পাঠাইয়া দিতে পারি।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। B-)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বুলবুলের ভয়ে সত্যি মিথ্যা সব উল্টা পাল্টা হইয়া গেছে।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

মা.হাসান বলেছেন: চোখের জলে মাছের ঝোলে ভাতের থালা একাকার হয়ে যায়।
আর আমার পুরাতন মনিটরে লেখা ঝাপসা হয়ে আসে।
আমর কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার জন্মদাত্রী মা ইচ্ছে করেই এসময়টায় একটু দূরে ছিলেন যাতে আপনাদের মাঝে বন্ডিংটা আরো দৃঢ় হয়।
রোগীর সুস্থতা কামনায় গ্রামদেশে মিলাদ, সদকা মানত এসবই বেশি করে। বড় টান না থাকলে রোজার মতো কাজ কেউ করে না। অনুমান করি আপনার বড় চাচী কি বেঁচে আছেন?
অনেক ভালোলাগা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমর কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার জন্মদাত্রী মা ইচ্ছে করেই এসময়টায় একটু দূরে ছিলেন যাতে আপনাদের মাঝে বন্ডিংটা আরো দৃঢ় হয়।

অবশ্যই। আপনার প্রেডিকশন ১০০% সঠিক। উপন্যাসে কথাটা যদিও আমি উল্লেখ করিনি, কিন্তু সচেতন পাঠক সহজেই সেটা বুঝতে পারবেন।

যেহেতু এটি একটি উপন্যাস এবং তা' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, তাই কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর উহ্য থাকলে ভালো হয়। শেষ পর্যন্ত আপনি সবই জানতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
আর কি বলব,চোখের জল আমিও রাখতে পারলাম না ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চোখের জল ধরে রাখতে পারার কথা না।



ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন লাগছে !

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

কয়েকদিন ব্লগে থাকবো না। আপনার পোষ্ট মিস করবো। তবে ফিরে এসে সব পড়ে নিব ইনশাল্লাহ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খাঁটি কথা ভায়া
অমন মাতৃত্বের কাছে, বাকী সব মিছে!

পাঠকের চোখওতো ঝাপসা করে দিলেন ভায়া :)

+++++

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাতৃত্ব পৃথিবীর সব কিছুর উর্ধে। আমি এত ভাগ্যবান যে আমি দুই মায়ের এক সন্তান। সব সময় এটা আমাকে প্রেরনা যোগায়। মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।


ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুগ্ধতা নিয়ে পাঠ করলাম ।
পরের পর্ব পাঠের অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: পেটে না ধরলেও মা, সেই মায়ের ভালোবাসার যে ছবি এঁকেছেন তা অনবদ্য। পড়তে পড়তে চোখ জলে ভরে গেল।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি দুই মায়ের এক সন্তান। দুই মায়ের কাউকেই আমি বিন্দুমাত্র খাটো করে দেখিনি কোনদিন। এক মা আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন। আর এক মা না থাকলে তো আমি নিজেই বাঁচতাম না। বড় চাচীমা আমার জন্ম জন্মান্তরের মা। আমার প্রতি তার ভালোবাসা একেবারে অবিশ্বাস্য। পাঠকের চোখে জল আসারই কথা।

ধন্যবাদ বোন করুণাধারা।

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সত্যিকারের ভালবাসা আসলেও কাঁদায়। এমন ভালবাসা যারা পেয়েছে তাদের জীবন ধন্য।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্যিকারের ভালবাসা আসলেও কাঁদায়। এমন ভালবাসা যারা পেয়েছে তাদের জীবন ধন্য।


হাঁ, আমি এমন সত্যিকারের ভালোবাসাই পেয়েছিলাম।

ধন্যবাদ ভাই সম্রাট ইজ বেস্ট।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অকৃত্রিম আদর ভালবাসায় ভরা একটি গল্পাংশ, যা পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়, মনকে আর্দ্র করে তোলে।

আমি এত ভাগ্যবান যে আমি দুই মায়ের এক সন্তান। সব সময় এটা আমাকে প্রেরনা যোগায়। মানুষকে ভালোবাসতে শেখায় - এত চমৎকার করে কথাটা বলতে পারলেন, সত্যিই আপনি শব্দের যাদুকর!

"আমি দুই মায়ের এক সন্তান। দুই মায়ের কাউকেই আমি বিন্দুমাত্র খাটো করে দেখিনি কোনদিন। এক মা আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন। আর এক মা না থাকলে তো আমি নিজেই বাঁচতাম না। বড় চাচীমা আমার জন্ম জন্মান্তরের মা। আমার প্রতি তার ভালোবাসা একেবারে অবিশ্বাস্য। পাঠকের চোখে জল আসারই কথা" - ১৬ নং প্রতিমন্তব্যে বলা আপনার এ কথাটাও একেবারে হৃদয়ের মর্মমূল স্পর্শ করে গেল!

হেনা ভাই, আমি জানি আপনি আমার এ কথাগুলো আর কোনদিন পড়বেন না। তবুও, আমি আপনার এ সিরিজের গল্পগুলো সব পড়ে যাব, ইন শা আল্লাহ! পড়ে আমার কথাও এখানে লিখে যাব, আপনার পোস্টে আমারও স্মৃতি থাকুক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.