নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-১১)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৩




আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-১০)


কেহ উঁকি মারে নাই তাহাদের প্রাণে
ভাঙ্গিয়া দেখে নি কেহ, হৃদয়- গোপন-গেহ
আপন মরম তারা আপনি না জানে।

দুপুর আড়াইটার মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম আলমডাঙ্গায়। আগে থেকে খবর দেওয়া ছিল। আলেয়ার বড় মামা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন গ্রামে ঢোকার মুখে একটা মোড়ের মতো জায়গায়। দু’জন লোক নিয়ে আমাদের গরুর গাড়ির সাথে সাথে হেঁটে বাড়ি পর্যন্ত এলেন তিনি। আলেয়া ঘুম থেকে উঠে বোরখা পরে নিয়েছে। বাড়ি পর্যন্ত পথের দু’পাশে নারকেল আর সুপারি গাছের সারি। চারদিক আম কাঁঠালের গাছে ঘেরা ছায়া সুশীতল ছোট খাটো মাটির দোতলা বাড়ি। পাশে শান বাঁধানো পুকুর ঘাট। পুকুরের পানি স্বচ্ছ টলটলে। ছবির মতো সুন্দর পরিবেশ দেখে আপনা আপনি মন ভালো হয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে কোমর ও পিঠের আড়ষ্টতা ছাড়াচ্ছি আমি। আলেয়ার বড়মামার সাথে আসা লোক দু’জন গাড়োয়ানদের সাথে সাথে মালামাল নামাচ্ছে গাড়ি থেকে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম করে গাড়োয়ানরা গাড়ি নিয়ে ফিরে যাবে মধুপুর। আলেয়ার বড়মামা আমার কাছে এসে বললেন, ‘এত পথ আসতে বাবাজীর খুব কষ্ট হলো, তাই না?’ আমি সালাম দিয়ে হেসে বললাম, ‘না, কষ্ট কিসের?’

আলেয়ার দুই মামা। বড়মামা আলেয়ার নানীকে নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ছোটমামা পাশেই পৈতৃক ভিটায় আলাদা বাড়ি করে পৃথক সংসার পেতেছেন। তিন খালার সবার বিয়ে হয়ে চলে গেছেন দূরের গ্রামে। বড়মামার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাশের গাঁয়ে। আমাদের আসার সংবাদ পেয়ে সে তার দু’বছরের ছেলে কোলে নিয়ে চলে এসেছে দেখতে। গ্রামে এই এক ব্যাপার। আত্মীয়স্বজন কারো আসার সংবাদ পেলে সবাই ছুটে আসে। বড়মামার পরের মেয়েটি ক্লাস নাইনে পড়ে। তারপরের দুটি যমজ ভাইয়ের বয়স মোটে সাত বছর। ছোটমামার এক ছেলে, দুই মেয়ে। সবাই খুব ছোট।
দুই মামার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রতিবেশি কিছু নারী পুরুষ বাচ্চা কাচ্চাসহ আমাদের দেখতে ভিড় জমিয়েছে বাড়িতে। আমার বাবা মা ভাই বোনরা কেউ আসেনি দেখে সবারই বেশ আক্ষেপ। সব গ্রামেই একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়। অপ্রত্যাশিত কেউ, বিশেষ করে শহর থেকে কোন আত্মীয়স্বজন গ্রামে এলে সবারই এক নজর দেখার কৌতূহল থাকে।

বাড়িতে ঢোকার পর কাঁসার গ্লাসে ঠাণ্ডা ডাবের পানি খেতে দেওয়া হলো আমাদের। আলেয়ার বড় মামী ননদ অন্তঃপ্রাণ সরল মানুষ। তিনি বড় চাচীমাকে জড়িয়ে ধরে অহেতুক কান্নাকাটি করছেন। আলেয়ার নানী সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা বারান্দায় মাটির দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন। দেখেই বোঝা যায় চলৎশক্তিহীন। চোখেও কম দেখেন। বৃদ্ধার বোধশক্তিতে আমাদের আগমন ধরা পড়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। আলেয়া আমাকে ইশারা করে ওর নানীর পাশে গিয়ে বসলো। আমিও গেলাম ওর পিছু পিছু। বড় চাচীমা তাঁর ভাবীর কবল থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুত তাঁর মায়ের কাছে এসে বসলেন। বললেন, ‘মা, ওরা তোকে দেখতে এসেছে।’
বৃদ্ধা থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে হাত বাড়ালেন সামনের দিকে। আলেয়া বোরখা খুলে ওর নানীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বললো, ‘এই যে নানী, আমি আলেয়া।’ বৃদ্ধা কাঁপা কাঁপা হাতে আলেয়ার চিবুক ছুঁয়ে সেই হাত নিজের মুখে ঠেকিয়ে চুমো খেতে লাগলেন। বারান্দায় ভিড় করে থাকা নারী পুরুষ সবার দৃষ্টি ছিল এতক্ষণ আমার দিকে। আলেয়া বোরখা খোলার পর তাদের দৃষ্টি সরে গেল আলেয়ার দিকে। স্তম্ভিত হয়ে তারা দেখছে আলেয়াকে। তারা সবাই চেনে ওকে। তবু মনে হলো নতুন এক আলেয়াকে দেখছে তারা। আলেয়ার নাইনে পড়া মামাতো বোন চোখ বড় বড় করে দেখছে ওকে।
এরপর আমার পালা। বৃদ্ধা একইভাবে আমার চিবুক ছুঁয়ে চুমো খেতে খেতে কাঁদতে লাগলেন। বড় চাচীমা বললেন, ‘কাঁদিস না, মা। দোয়া কর ওদের জন্যে।’

আলেয়ার বড়মামা এসে তাড়া দিলেন হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসার জন্য। অনেক বেলা হয়ে গেছে। তার ওপর এত লম্বা পথের ধকল। ক্ষিধে পেয়েছে সবারই। বাড়ির ভেতর টিউবওয়েল। সেখানে হাত মুখ ধুয়ে সবাই খেতে বসলাম বড়মামার ঘরে। মেঝের ওপর শতরঞ্জি ও দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আলেয়ার দুই মামী খাওয়ার তদারকি করছেন। তাঁরা ‘এটা একটু নাও বাবা, ওটা একটু দিই বাবা’ এই জাতীয় কথাবার্তা বলছেন আর আড়চোখে একবার আমাকে আর একবার আলেয়াকে দেখছেন। বড় চাচীমা বোরখা খুলে বসে আছেন খাটে। তিনি পরে মামীদের সাথে খাবেন। আলেয়া হাত মুখ ধুলেও গয়নাগাঁটি গা থেকে খোলে নি। ওর নাইনে পড়া মামাতো বোন দরজার পাশে দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখছে ওকে।
খাওয়া দাওয়া শেষে দোতলার একটা ঘরে আমার বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘরে চেয়ার টেবিল আর বাঁশের তৈরি বুক সেলফে মাধ্যমিকের বইপত্র দেখে আমার ধারণা হলো, সম্ভবত এই ঘরে আলেয়ার মামাতো বোনটি থাকে। খাটে শুয়ে বিশ্রাম নিতে নিতে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি। এমন সময় মামাতো বোনকে সাথে নিয়ে আলেয়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে ঘরে ঢুকে বললো, ‘মেজভাই, একটা মজার কথা তো তোমাকে বলাই হয়নি। এই যে আমার মামাতো বোনকে দেখছো, এর নাম আর তোমার নাম একই। এর নামও হেনা, তোমার নামও হেনা। কী দারুণ ব্যাপার, তাই না?’
আমি বিছানার ওপর উঠে বসে চোখ কচলে বললাম, ‘তাই নাকি? তাহলে তো তোর মামাতো বোন আমার মিতান হয়ে গেল আর আমি হয়ে গেলাম ওর মিতা। কী মিতান, তাই তো?’
আলেয়ার হাসি খুশি মুখ মুহূর্তের মধ্যে কালো হয়ে গেল। গয়নাগাঁটি খুলে পোশাক বদলে এসেছে সে। আমার কথায় ওর চেহারাটাও যেন বদলে গেল। হেনাকে ইশারায় চেয়ারে বসতে বলে আলেয়া সরাসরি বিছানায় আমার পাশে এসে বসলো। বললো, ‘ও ক্লাস নাইনে পড়ে।’
বললাম, ‘জানি।’
আলেয়া বললো, ‘এখানে আসার আগেই সব জেনে বসে আছো? তাহলে নিশ্চয় এটাও জানো যে হেনা নাইনে পড়লেও আমার মতো ভালো ছাত্রী না। ইংরেজিতে কাঁচা।’
আমি বললাম, ‘তাই নাকি? ও!’
এমনিতে গরমের দিন। তার ওপর ঘরের পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট। আমার কপালে ও গলায় ঘাম দেখা দিল। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা নকশা করা তালপাখা নামিয়ে এনে আমাকে বাতাস করতে শুরু করলো হেনা।
আলেয়া বললো, ‘পাখাটা আমাকে দে। আমি বাতাস করি।’
হেনা বললো, ‘তুইও তো ঘামছিস আলেয়া। আমি তোদের দু’জনকেই বাতাস করি।’
‘না, আমার বাতাস লাগবে না। পাখাটা আমাকে দে।’
হেনার হাত থেকে পাখাটা একরকম কেড়ে নিল আলেয়া। তারপর আমাকে জোরে জোরে বাতাস করা শুরু করলো সে। কিন্তু পাখার বাতাসে আমার ঘাম না শুকিয়ে আরো বেড়ে যেতে লাগলো।

বিকেল বেলা বাড়ির পাশে পুকুর ঘাটে বসে গল্প করছি আমরা তিনজন। রাজশাহী শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ হেনার। সে এ বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব জানতে চাইছে আমার কাছে। আমিও যথাসম্ভব ওর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। ফলে কথাবার্তা মূলত আমাদের দু’জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আলেয়া এসব আলোচনায় খুব একটা উৎসাহ পাচ্ছে না। আমার আর হেনার কথাবার্তা ওর পছন্দ হচ্ছে না। সম্ভবত কথাবার্তার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজে নেই বলে ওর অস্বস্তি হচ্ছে। ফোকাসটা নিজের ওপর আনার জন্য এক পর্যায়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সে বললো, ‘হেনা জানিস, মেজভাই সাঁতার জানে না।’
‘ওমা! তাই নাকি?’ হেনা হেসে ফেললো। বললো, শহরের ছেলেরা অনেকেই সাঁতার জানে না। সেখানে তো গ্রামের মতো খালবিল পুকুর টুকুর নাই। সাঁতার শিখবে কোত্থেকে?
‘সে তো আমিও জানি।’ আলেয়া বললো, ‘কিন্তু মেজভাই সাঁতার জানে না শুনে তুই হাসলি কেন? এর মধ্যে হাসার কী আছে?’
হেনা গম্ভীর হবার চেষ্টা করেও আবার হেসে ফেললো। আলেয়া বিরক্ত হয়ে বললো, ‘ধুর ঘোড়ার ডিম! মেজভাই, চলো তো বাড়ির ভেতর যাই। এখানে বসতে ভালো লাগছে না। পুকুরের পানি থেকে বোঁটকা গন্ধ আসছে। চলো, ওঠো।’
আমি বললাম, ‘এই জায়গাটা খোলামেলা। আর কিছুক্ষণ বসে যাই না! বাড়ির ভেতর গিয়ে এখন কী করবি?’
আলেয়া ইতিমধ্যেই উঠে দাঁড়িয়েছে। আমার হাত ধরে টান দিয়ে সে বললো, ‘না, না, চলো। ওঠো তো! এখানে বসে পুকুরের পচা পানির গন্ধ শোঁকার চেয়ে বাড়ির ভেতরে যাওয়া ভালো।’
হেনার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আমি উঠে পড়লাম। বললাম, ‘বেশ চল।’
আলেয়া বিড় বিড় করে বললো, ‘আমাদের পদ্মপুকুরের পানি কত পরিস্কার! এটা কোন পুকুর হলো? এটা তো ডোবারও অধম। পচা পানির গন্ধে ভূত পালায়।’

রাতে ভাত খেতে বসে আলেয়া খুব আনন্দের সাথে বললো, ‘মেজভাই, আমার বড় মামীর হাতের রান্না যে একবার খায় সে জীবনে কোনদিন ভুলতে পারে না। আশে পাশের এক কুড়ি গ্রামের মধ্যে এমন রান্না কেউ রাঁধতে পারে না। এই মুড়োঘণ্টটা খেয়ে দেখ, মনে হবে তুমি ফেরেশতাদের রান্না করা বেহেশতের মুড়োঘণ্ট খাচ্ছো।’
‘তাই নাকি? আমি বললাম, ‘তাহলে একটু দে তো খাই।’
আলেয়া দেওয়ার আগেই বড় মামী মাছের মাথাসহ পুরো এক বাটি মুড়োঘণ্ট আমার পাতে ঢেলে দিলেন। বললেন, ‘খাও বাবা, তোমাদের জন্যেই তো রান্না করা।’
আলেয়া বাড়িয়ে বলেনি। আসলেই খুব চমৎকার। গাওয়া ঘিয়ে ভাজা সোনামুগ ডাল দিয়ে রান্না করা মুড়োঘণ্টের স্বাদ সত্যি অতুলনীয়। ফেরেশতাদের রান্না করা বেহেশতের মুড়োঘণ্ট বলে কথা। আমি বললাম, ‘হাঁ রে আলেয়া, তুই ঠিকই বলেছিস। খুব স্বাদ।’
আলেয়া বিজয়ের হাসি হেসে বললো, ‘বলেছিলাম না! বড় মামীর হাতের রান্না যে একদিন খাবে, সে কোনদিন ভুলতে পারবে না। আমার কথা ঠিক হলো?’ বলে সে নিজেও মুড়োঘণ্ট দিয়ে ভাত মেখে অভদ্রের মতো হাপুস হুপুস করে খেতে লাগলো।
বড় মামী বললেন, ‘আজকের মুড়োঘণ্ট কিন্তু আমি রাঁধিনি মা। এই মুড়োঘণ্ট আর কাঁচা আমের টকটা হেনা রেঁধেছে।’

মেয়ের রন্ধনশৈলীর কৃতিত্বে বড় মামীর মুখে তৃপ্তির হাসি। কিন্তু ওদিকে আলেয়ার খাওয়া থেমে গেছে। হারিকেনের আলোয় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হেনার মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তার অভিব্যক্তি বোঝা মুশকিল। আলেয়া বিড় বিড় করে কিছু বলে থেমে গেল। বড় মামী বললেন, ‘আলেয়া, তুই কিছু বললি মা?’
‘বলছি মুড়োঘণ্টতে লবন একটু চড়া হয়ে গেছে মামী। তা’ ছাড়া ডালটা বোধহয় ভালো করে ভাজা হয়নি। কাঁচা ডালের গন্ধ আসছে নাকে।’
আগেই বলেছি, আলেয়ার বড় মামী সাদা সরল মানুষ। একটু আলা ভোলা টাইপের। তিনি থতমত খেয়ে বললেন, ‘তাই? তাহলে থাক, খাওয়ার দরকার নাই।’
দুটো আলাদা থালায় নতুন করে ভাত বেড়ে আমাদের দিকে এগিয়ে দিয়ে তিনি বললেন, ‘মুরগির ঝোল আর মাছভাজা দিয়ে খাও বাবা। এগুলো আমার রাঁধা।’
আলেয়া চট করে আমাদের আগের থালা দুটো একপাশে সরিয়ে রেখে মুরগির ঝোল দিয়ে নতুন করে ভাত খাওয়া শুরু করলো এবং খেতে খেতে ‘উফ্ কী দারুন! মেজভাই, খাও খাও’ বলতে লাগলো। আমি কোন রকমে কিছু খেলাম বটে, তবে আলেয়ার মতো ‘কী দারুন’ মনে হলো না। আমার জিভ থেকে খাওয়ার স্বাদ আগেই উবে গেছে।
**************************************************************
আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-১২)

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম ।
সুপ্রভাত

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুপ্রভাত। ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গুড মর্নিং :D

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গুড মর্নিং।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শুভ সকাল ।
পর্ব -১০ পাঠের পর মন্তব্য লিখে শেষ না করতেই এটার দেখা পেলাম ।
আপনার লেখা একটি পোষ্ট পাঠ করতে আমার অনেকটা সময় লেগে যায় ।
লেখায় থাকা কোন কোন কথা নিয়ে যায় স্মৃতির অনেক গভীরে ,অনেক কিছুই
মনে হয় ইতিহাস যেন কথা বলে । কথার পিঠে অনেক কথাই বলতে ইচ্ছা
করে, হাত চালু থাকলে গড়গড়ায়ে লিখে যেতে পারতাম। কিন্তু বাংলা লেখার
হাত বড় দুর্বল । কিছুতেই স্পীড উঠেনা। একটি অক্ষর লিখতে (যথা ক্ষ লিখতে
চাপতে হয় কম্পিউটারের কি বোর্ডের চারটি চাবী )।যাহোক পরে সময় করে
আবার আসব ইনসাল্লাহ )

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শরীর সাপোর্ট না দিলে লেখালেখি করা সত্যিই কঠিন। তারপরেও আপনি যে লিখে যাচ্ছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কষ্ট হলে মন্তব্য লেখার দরকার নাই আলী ভাই।


ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
সমস্ত মহিলারা ভালবাসার ক্ষেত্রে একই রকম ।এমনকি তিনি যদি কিশোরী, যুবতী বা পরিপক্ক মহিলাও হন ।
তারা সর্বদা আশা করে, স্বামী বা প্রেমিকের সমস্ত ফোকাস কেবল তাদের উপর থাকবে এবং সেই সব থেকে প্রিয় হবে ।
এমনকি তারা সেখানে যদি তার বোনও হয় তবু তা সহ্য করেনা ।যদিও, হতে পারে এটি কেবল একটি নিরপেক্ষ এবং
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ।


নানির সাথে এবং তার পরিবারের সকল সদস্যের সাথে ভ্রমণ উপভোগ করুন তবে হেনার সাথে আর বেশী বেশী :-P যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন না শান্তি বজায় রাখার জন্য ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই কামরুজ্জামান, এই উপন্যাসটি ২০১১ সালে লিখিত এবং ঐ বছরের অক্টোবর মাসে বই আকারে প্রকাশিত। সুতরাং কোন কিছুই আর বদলানোর সুযোগ নাই। ব্লগে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশনার ক্ষেত্রে হার্ড কপির প্রতিটি অক্ষর হুবহু তুলে দিচ্ছি। আর উপন্যাসের ভুমিকাতেই আমি বলেছি যে, এটি একটি সত্য ঘটনাভিত্তিক আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এখানে কল্পনাশ্রিত কোন ঘটনা নাই। সুতরাং হেনা সংক্রান্ত ঘটনায় যা যা ঘটেছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে। পরবর্তী পর্বে হেনা অধ্যায়ের বাকিটুকু জানতে পারবেন।

সমস্ত মহিলারা ভালবাসার ক্ষেত্রে একই রকম ।এমনকি তিনি যদি কিশোরী, যুবতী বা পরিপক্ক মহিলাও হন ।
তারা সর্বদা আশা করে, স্বামী বা প্রেমিকের সমস্ত ফোকাস কেবল তাদের উপর থাকবে এবং সেই সব থেকে প্রিয় হবে ।


আমি একমত। আমার অভিজ্ঞতাও একই কথা বলে। ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
আমি জানি এটি একটি সত্য প্রেমের গল্প ।এখন কোনও কিছু পরিবর্তনযোগ্য নয় ।

এর পরেও, আমি কেবল প্রাসঙ্গিক অংশে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে চাই যাতে আপনি এটি অনুভব করতে পারেন যে আমরা এটি পড়েছি এবং আপনি সে সময়টিতে যা অনুভব করেছেন তা আমরা আপনার লেখার মাধ্যম সেটি অনুভব এর চেষ্টা করছি ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

মা.হাসান বলেছেন: প্রেম জমে উঠেছে। আরেক হেনার আগমনে আলেয়া ভাবির ছটফটানিতে সত্যিই মজা পেলাম। আমার মনে হচ্ছে এই কারনেই আপনার বড় চাচির পক্ষে মায়ের বাড়ি বেশিদিন থাকা সম্ভব হবে না। আপনি নিপাট ভালোমানুষ, না হলে এখানে দুষ্টুমি করার অনেক সুযোগ কিন্তু ছিলো।

গতকাল কয়েকবার অনলাইনে এসে আপনাকে না পেয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কি না ভেবে। আই এস পির সমস্যা জেনে ভার নেমে গেছে।

ডঃ আলী ভাইয়ের কথা পড়ে আবার চিন্তা করে দেখলাম- আসলেই তো 'ক্ষ' লিখতে চারটা কি চাপতে হয়। অনেক স্পিচ টু টেক্সট সফটওয়্যার আছে, মুখে পড়লে অটোমেটিক টাইপ হয়ে যায়। অনেকেই ব্যবহার করেন। আমি পুরোপুরি অভ্যস্থ হতে পারি নি। চিন্তা করে দেখলাম, অনেক সিনিয়র ব্লগার আছেন যারা এত কষ্ট উপেক্ষা করেও প্রতিদিন ব্লগে সময় দেন। আপনাদের সবাইকে অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, পরিশ্রম একটু হচ্ছে বটে, তবে পাঠকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে সেই কষ্ট ভুলে যাই।


আচ্ছা হাসান ভাই, এই স্পিচ টু টেক্সট সফটওয়্যার ব্যাপারটা কী? এটার নাম আমি আগেও শুনেছি। কিন্তু কিভাবে এটা কাজ করে জানি না। এটা ডাউনলোড কোত্থেকে করতে হবে জানাবেন কী? এর সুবিধা ও সমস্যাগুলো বলবেন প্লিজ!

ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: দারুন সুখপাঠ্য - খুব ভালোলাগা.....

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কিরমানী লিটন।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

দারুন ফুটিয়েছেন! হেনার প্রতি আলেয়ার আচরণ।

অযাচিত ভয় আর শংকা থেকে সবকিছুতেই উল্টো বলা, উল্টো করা!
পড়তে পড়তে হাসছিলাম আনমনে।

এই বয়সটাই এমন যায়! নিষ্পাপ, নির্দোষ হিংসা! আর তা যদি হয় ভালবাসার মানুষের সামনে
তবেতো কথাই নেই। রীতিমতো পাগলামির পর্যায়ে যায় ;)

++++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অযাচিত ভয় আর শংকা থেকে সবকিছুতেই উল্টো বলা, উল্টো করা!
পড়তে পড়তে হাসছিলাম আনমনে।

এই বয়সটাই এমন যায়! নিষ্পাপ, নির্দোষ হিংসা! আর তা যদি হয় ভালবাসার মানুষের সামনে
তবেতো কথাই নেই। রীতিমতো পাগলামির পর্যায়ে যায়


একদম ঠিক বলেছেন। সে সময় এরকমটাই ঘটেছিল। আসলে মানুষের জন্য শিক্ষা দীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাম কা ওয়াস্তে ক্লাস সিক্সে পড়া একজন নাবালিকা মেয়ে বুঝতেই পারে না যে, সে যা বলছে বা করছে তা' মোটেই সঙ্গত ও যৌক্তিক নয়। আবার দেখুন, আলেয়ার চেয়ে শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে থাকা প্রায় একই বয়সী হেনার আচরণ কত সংযত।

আপনি চমৎকারভাবে সমস্যাটা ফাইন্ড আউট পেরেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

মা.হাসান বলেছেন: হেনা ভাই, স্পিচ টু টেক্সট সফটওয়ার ব্যবহার করলে আপনি মুখে যা বলবেনঅটোমেটিকালি তা টাইপ হয়ে যাবে।

আপনি যদি ডেস্কটপ পিসি ব্যবহার করেন, তাহলে গুগুল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে এই লিংকে যানঃ

https://speechtyping.com/voice-typing/speech-to-text-bengali

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার , এজ বা ফায়ারফক্স ব্রাউজারে এটা কাজ করবে না, শুধু ক্রোম ব্রাউজারেই কাজ করবে।

আপনার লাগবে একটা মাইক্রোফোন। মাইক্রোফোন টা কম্পিউটারে কানেক্ট করবেন।





আপনার ব্রাউজারে উপরের ছবির মত একটা উইন্ডো আসবে। এই উইন্ডোতে মাইক্রোফোনের ব চিহ্নের উপরে ক্লিক করলে লাল আলোর মত বৃত্ত দেখাবে। এর পরে কথা বললে টাইপ হতে থাকবে । যতক্ষণ কথা বলবেন, লাল আলো জ্বলবে, ততক্ষণ টাইপ হতে থাকবে । কথা বলায় বড় বিরতী দিলে লাল বৃত্ত দূর হবে, টাইপ বন্ধ হবে। এ অবস্থায় সেভ না করে আবার ক্লিক করে টাইপ করতে পারবেন, কিন্তু আগের লেখা মুছে যাবে।

টাইপ শেষ হয়ে গেলে টাইপ হওয়া লেখার নিচে 'ওপেন ইন এডিটর' লেখার উপর ক্লিক করলে নিচের ছবির মত আরেকটি উইন্ডো আসবে। ওখানে টাইপ হওয়া লেখাগুলো দেখতে পাবেন । মাউস দিয়ে লেখা সিলেক্ট করে নেন। উপরের দিকের বাম কোনায় কাঁচি চিহ্ন তে ক্লিক করেন, সব লেখা কপি হয়ে যাবে। এরপর সামুতে ঢুকে আপনি আপনার ব্লগের পাতায় মাউস রাইট ক্লিক করে এটা পেস্ট করতে পারবেন



যদি আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, তবে জিবোর্ড ব্যবহার করতে পারেন । জিবোর্ডের উপরে ব্লগার করুনাধারা আপার একটা পোস্ট আছে , নিচে লিঙ্ক দিলামঃ

জিবোর্ড


প্লে স্টোরে যেয়ে আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে জিবোর্ড ইন্সটল করে নিতে পারবেন।

জিবোর্ড ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডে আরো অনেকগুলো অ্যাপ আছ। প্লে স্টোরে যেয়ে বাংলা ভয়েস টু টেক্সট টাইপ করলে অনেক অ্যাপ পাবেন, যেকোনোটা ডাউনলোড করে ট্রাই করতে পারেন।

সুবিধাঃ ফার্স্ট, কি বোর্ডে কম সময় দিতে হয়।
সমস্যাঃ ১) মাঝেমাঝেই উল্টাপাল্টা টাইপ করে ফেলে, কি বলছে ধরতে পারে না। কয়েকদিন আগে আমি 'ব্রিজটি' পড়েছি, এটা 'বৃষ্টি' লিখেছে।
২) পাংকচুয়েশন বা যতি চিহ্ন ঠিক থাকে না। ১) আর ২) এর জন্য ভালো করে প্রুফ রিডিং করতে হয়।
৩)গুগুলের সমস্ত সার্ভিস আপনার উপর আড়ি পেতে থাকে।

ট্রাই করতে কোনো সমস্যা হলে জানাবেন, আমি প্রয়োজনে আরো ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা করবো।

সতত শুভ কামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে বাবা! আপনি যে প্রায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে সব দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে সাহায্য করতে রাজি আছেন। ওএমজি। এত পরিশ্রম করে মন্তব্যটি লিখেছেন দেখে আমার মনে হচ্ছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার মতো মানুষ এখনও দুনিয়াতে আছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা। অশেষ ধন্যবাদ।

ব্লগে ধারাবাহিক উপন্যাসটি শেষ করার পর ট্রাই করবো। কারণ আমাকে ব্রাউজার বদলাতে হবে। অন্যান্য সেট আপেও হয়তো কিছু পরিবর্তন আনতে হতে পারে। তা' ছাড়া আমার ছোট ছেলেটি ঢাকায় চাকরি করে। আগামী মাসে সে বাড়ি আসবে। আমার ডেস্কটপের নাড়ি নক্ষত্র সে জানে। কম্পিউটারে সে হাফেজ বললেই চলে। আমার ধীরগতির কাজ তার পছন্দ নয়। দুমদাম করে সে কী কী সব করে, কাজ হয়ে যায়। আর ঐ কাজ করতে আমার একবেলা লাগে। প্রচুর ভুলও হয়। তো ছেলেটা এলে ওকে আপনার এই মন্তব্যটি দেখিয়ে বাপ বেটা শলা পরামর্শ করে কাজটা করবো। আর করার পর কমফর্ট ফিল না করলে ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন। হাঃ হাঃ হাঃ।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

আনমোনা বলেছেন: ভালোলাগার মধ্যে কেমন আশংকা অনুভব করছি। আপনার স-নামিকা ক্লাশ নাইনে পড়ে বলেই কি? দেখা যাক কি হয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রায় সমবয়সী কিন্তু পড়াশুনায় এগিয়ে থাকা মামাতো বোন। আলেয়ার অপরিণত মস্তিস্কে আশংকা দেখা দিয়েছিল। শিক্ষা দীক্ষা বুদ্ধি সুদ্ধি কম বলেই। কিন্তু আমাদের আশংকার কী আছে? হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ বোন আনমনা।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৮

সোহানী বলেছেন: হিংসুটে আলেয়া..............হাহাহাহা। আসলে ভালোবাসার হিংসা..............

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হিংসুটে আলেয়া..............হাহাহাহা। আসলে ভালোবাসার হিংসা.............


এক কথায় সহমত প্রকাশ করছি।

ধন্যবাদ বোন সোহানী।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টটি পড়লাম । জিভ থেকে খাওয়ার স্বাদ আগেই উবে গেছে পাঠে মনে হচ্ছে আলেয়ার নানীর বাড়ীতে বেড়ানোর পাঠ আজ কালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে !!

যাহোক আবার দেখতে এসে পেয়ে গেলাম মা.হাসান ভাই এর মুল্যবান তথ্য ও ব্যবহারিক নির্দেশিকা সম্বলিত গুরুত্বপুর্ণ speech-to-text-bengali লিংকটি । এটা আমি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিলাম , কিছুতেই মুল বিষয়টির হদিছ করতে পারছিলাম না । এখন আপনার এই পোষ্টে এটা পেয়ে সেটা নিয়ে সাথে সাথেই আমার কম্পিউটারে পরখ করে ভাল ফল পেয়েছি । মাইক্রোফোনের আইকনে ক্লিক করে কথা বলার সাথে সাথে যে ফল পেলাম তা কপি করে এখানে মা,হাসান ভাই এর জন্য নিয়ে এসে নীচে তুলে দিলাম । কিসের থেকে কি পাওয়া যায় ভাবতেই অবাক লাগছে । 'ক্ষ ' লিখতে চারবার বোতাম চাপতে হয় লিখার কারনে এমন মুল্যবান সহায়ক বিষয় পেয়ে যাব ভাবতেই পারিনি ।

@ মা.হাসান
আসসালামু আলাইকুম, খুব খুশি হলাম এটা পেয়ে । বিষয়টি জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এটা অনেকের উপকারে আসবে । আমি এখনো ভাল করে এটা এক্সসারসাইজ করেনি। ঠেকে গেলে আপনার স্মরনাপন্য হব । কৃতজ্ঞতা জানবেন । কপি করে এনে সামান্য দাড়ি কমা এডিট করেছি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আলী ভাই, এই জন্য ব্লগে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে, মন্তব্যের মাধ্যমে সবাই উপকৃত হয়ে থাকেন। এই টেক্সটটা আমার চেয়ে আপনার বেশি প্রয়োজন। সৌভাগ্যক্রমে মা, হাসান ভাইয়ের সৌজন্যে শুধু আপনার নয়, অনেকেরই উপকারে লাগবে এটা। আপনার কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে আশা করি।

আপনাকে ধন্যবাদ। মা, হাসান ভাইয়ের প্রতি আবারো কৃতজ্ঞতা।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কয়েকদিন ঢাকায় ছিলাম না। তাই লেখাটা যথাসময়ে পড়তে পারিনি।
তবে এখন পড়ে নিলাম।
এই ধারাবাহিকটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমি থাকবো ইনশাল্লাহ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৯

মা.হাসান বলেছেন: ডঃ আলী ভাই, হেনা ভাই-- আমি নিঃস্বার্থ ভাবে কিছু করিনি, আপনারা সকলে স্পিডে লিখলে ব্লগে আরো বেশি ভালো লেখা আসবে। আমিও সুফল ভোগি হবো।
ব্লগে প্রথম যেদিন লেখা দেই, এর পর বেশ কয়েকদিন হাতে ব্যথা ছিলো।

স্পিচ-টু-টেক্সটে এখনো পুরোপুরি অভ্যস্থ হতে পারি নি, কম্পিউটর প্রচুর উল্টা পাল্টা টাইপ করে। অবশ্য ঘরে ডান বললে হোম মিনিস্টার বাম শোনে, কাজেই দোষ কম্পিউটরের না, দোষ আমার মুখেরই ।
পদ্ধতি ডঃ আলী ভাইয়ের কাজে লেগেছে জেনে আনন্দিত হোলাম। হেনা ভাইয়ের কাজে লাগলে আরো খুশি হবো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্য ঘরে ডান বললে হোম মিনিস্টার বাম শোনে, কাজেই দোষ কম্পিউটরের না, দোষ আমার মুখেরই ।


হাঃ হাঃ হাঃ। আমাকে কাজে লাগাতেই হবে। কেননা, স্ট্রোকের পর থেকে আমার বাঁ হাত দুর্বল হয়ে যাওয়ায় আমি শুধু ডান হাতে টাইপ করি। এতে স্পিডও বাড়ে না, কষ্টও হয়। অবশ্য মেডিসিন ও ফিজিওথেরাপীর কল্যানে বাঁ দিকটার অনেক উন্নতি হয়েছে। আঙ্গুল গুলো এখন একটু একটু মুভ করতে পারি। দেখা যাক, স্পিচ টু টেক্সটে উপকার পেলে ওটাই কন্টিনিউ করবো।

ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.