নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ চৌধুরী সাহেব এক কথার লোক

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৬


চৌধুরী সাহেব এক কথার লোক। না বললে আর কখনো হাঁ করেন না। তাঁর স্ত্রী পুত্র-কন্যাসহ আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, অফিস কলিগ সবাই সে কথা জানে। অতএব, তিনি যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে আজ থেকে আর ধূমপান করবেন না, তখন কার সাধ্য তাঁকে আর ঐ কুকর্মে ফেরায়?

আগের রাতে ভীষণ শ্বাসকষ্টে চৌধুরী সাহেবের ঘুম হয়নি। সকালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ইসিজি, ইটিটি, এক্স রে ইত্যাদি হাফ ডজন টেস্ট করাবার পর বিকেলে ডাক্তার যখন গম্ভীর মুখে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বললেন যে, সিগারেট ছাড়তে না পারলে ওষুধ খেয়ে লাভ হবে না, তখন তিনি বাসায় ফিরে এসে স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালকের সামনে সিগারেটের প্যাকেট জুতার নিচে ফেলে মাড়িয়ে দিলেন। জানালা দিয়ে লাইটার ছুঁড়ে ফেলে দিলেন আরেক বাড়ির ছাদে। স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘এবার খুশি হয়েছ তো?’
চৌধুরী-পত্নী খুশি হবেন না? তিরিশ বছর ধরে চেষ্টা করে তিনি স্বামীর এই বদভ্যাস ছাড়াতে পারেননি, আর আজ এক কথাতেই তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেন! খুশিতে রাহেলার ঠোঁটের কোণে বাসরঘরের হাসি। শ্যালক সুলতান বিড় বিড় করে বললো, ‘ঠেলার নাম বাবাজী!’ সুলতানের অস্পষ্ট কথা বুঝতে না পেরে চৌধুরী সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী বললি রে?’
‘বলবো আর কী? ভাবছি, আপনাকে এবার আমি একটা স্মার্ট ফোন কিনে দেব দুলাভাই। সিগারেট ছাড়ার পুরস্কার।’
‘দিবি?’ চৌধুরী সাহেব শ্যালকের প্রস্তাবে মোমের মতো গলে গেলেন। বললেন, ‘দিতে যখন চাচ্ছিস, দে। কোনদিন তো কিছু দিস না! তবে আমার তো একটা ফোন আছে রে ভাই। খামোকা আর একটা ফোন দিয়ে কী করবো? একটা মুখ দিয়ে কথা বলতে দুইটা ফোনের দরকার কী? থাক। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করিস না।’
মেয়ে জেসমিন এমবিবিএস থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। সে বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো অভিযোগ করে বললো, ‘পাশ করা ডাক্তারের এক কথায় তুমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, আর আমি এখনো পাশ করিনি বলে তুমি কোনদিন আমার কথায় পাত্তা দাওনি। মেয়ের চেয়ে ডাক্তারই তোমার আপন! তোমার ওপর আমার এক ডজন রাগ আছে।’

চৌধুরী সাহেব বক্তা মানুষ। তিনি ফোন করে করে আত্মীয় স্বজন সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। প্রতিবেশী যার সাথে দেখা হলো,তাকেই ব্রেকিং নিউজের মতো প্রথম এই সংবাদটাই দিলেন। অফিসে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে ধূমপান ছাড়ার খবর দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালো করিনি?’ এমন একটা ভালো কাজে কেউ কখনো না বলে? ‘খুব ভালো করেছেন’, ‘ফ্যান্টাস্টিক’, ‘দারুণ’, ‘এতদিনে সত্যিই আপনি একটা কাজ করলেন স্যার’-ইত্যাদি নানারকম প্রশংসাবাক্যে চৌধুরী সাহেব গলে হালুয়া হয়ে গেলেন। মনে মনে ভাবলেন, এত সামান্য ব্যাপারে সবাই এত প্রশংসা করছে! আশ্চর্য তো! আনন্দে সেদিন আর কোন ফাইলই সই করলেন না তিনি। ধূমপায়ী কলিগ ও ঠিকাদাররা তাঁর চেম্বারে ঢুকলে তিনি কড়া গলায় হুকুম দিলেন, ‘মুখে সিগারেটের গন্ধ নিয়ে আমার চেম্বারে কেউ ঢুকবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে তারপরে আসুন।’ ভয়ে ভয়ে সবাই তাঁর চেম্বার থেকে কেটে পড়লো। চৌধুরী সাহেব তাঁর পিওনকে ডেকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই এ্যাশট্রেটা এখুনি অফিসের বাইরে ফেলে দিয়ে আয়।’ পিওন আব্দুল কাদের পড়িমরি করে টেবিলের ওপর থেকে এ্যাশট্রে তুলে নিতে গিয়ে সেটা উল্টে ফেলে দিয়ে ছাই আর পোড়া সিগারেটের টুকরায় টেবিল নোংরা করে ফেললো। চৌধুরী সাহেব ‘ননসেন্স’ বলে পিওনকে গালি দিয়ে নাকে রূমাল চেপে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেলেন। যাবার আগে পিওনকে টেবিল পরিস্কার করে চেম্বারে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করার হুকুম দিয়ে গেলেন।

এভাবে একবেলা কোন মতে কেটে গেল। কিন্তু দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকের পর থেকে চৌধুরী সাহেবের চেহারার দিকে আর তাকানো যায় না। অফিসে আসার আগে চৌধুরী সাহেবের কোষ্ঠ পরিস্কার হয়নি। প্রতিদিন মুখে একটা জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে তাঁর টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস। আজ খালি মুখে কমোডে বসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় গর্জন ছাড়া বর্ষণ তেমন হয়নি। মুখটা তখন থেকেই বিস্বাদ। নাস্তা খেতে বসে রাহেলার বুড়ো গলায় আদুরে কথাবার্তা তাঁর কাছে বিষের মতো লাগছিল। জেসমিন কলেজে যাওয়ার আগে ‘বাবা, থ্যাংক ইউ ফর নট স্মোকিং’ বলে টা টা দিয়ে তাঁর মেজাজ আরও বিগড়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু ধূমপান ছেড়ে দিয়ে মেজাজ দেখালে তো হবে না। তাই সকাল থেকে তিনি কষ্ট করে হাসিমুখেই ছিলেন। কিন্তু লাঞ্চের পর আর মেজাজ ঠিক রাখা গেল না। তিন চারটা ফাইল তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। কম্পিউটারে কচ্ছপগতি নেটের স্পীড আর সার্ভারের ন্যাকামোপনা তাঁকে আরও তাতিয়ে দিল। মাউস খুলে তিনি ছুঁড়ে মারলেন কাদেরের দিকে। সেভেন আপের বোতল খুলে ঢক ঢক করে সবটুকু খেয়ে খালি বোতল ছুঁড়ে ফেললেন কার্পেটের ওপর। তারপর রিভলবিং চেয়ারে বসে ঢেকুর তুলতে তুলতে রাগ কমাবার চেষ্টা করতে লাগলেন তিনি।
কিন্তু ঠাণ্ডা সেভেন আপ খেয়ে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ ঠাণ্ডা না হয়ে আরো গরম হয়ে গেল। কোল্ড ড্রিঙ্কসের নাম সেভেন আপ। অথচ এই ড্রিঙ্কস খেয়ে তাঁর ছয়টা আপ হলো আর একটা ডাউন হলো। তীব্র দুর্গন্ধে চৌধুরী সাহেব নাকে রূমাল চাপা দিলেন। মেজাজ ঠাণ্ডা হবে কীভাবে? ঠিক এই সময় তাঁর বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন করে বললো, ‘বাবা, তুমি নাকি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ? মা বললো।’
চৌধুরী সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘হাঁ, ছেড়ে দিয়েছি। কেন, তোমার মায়ের কথা কী বিশ্বাস হয়নি? আমাকে ফোন দিয়ে সেটা জানতে হবে?’
‘না না বাবা, সে জন্যে না। আমি তোমাকে কংগ্র্যাচুলেশন জানাবার জন্যে ফোন দিয়েছি। কংগ্র্যাচুলেশন এ্যান্ড এ লট অফ থ্যাংকস,পাপা।’
চৌধুরী সাহেব আরো গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘শোন। যে কোন একটা বলবে। হয় বাবা, না হয় পাপা। দেশে থাকতে তো কখনো আমাকে পাপা ডাকোনি। পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?’
‘ও মাই গড! হোয়াট’স্ রং পাপা?
‘আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলবে না। আমি ইংরেজের বাচ্চা না। অলসো ইউ আর নট। হোয়াই আর ইউ টকিং উইথ মি ইন ইংলিশ?’
ফোন বন্ধ করে কঠিন মুখে বসে রইলেন চৌধুরী সাহেব। আব্দুল কাদের চা নিয়ে চেম্বারে ঢুকছিল। লাঞ্চের পর চা খাওয়া চৌধুরী সাহেবের অনেক দিনের অভ্যাস। চায়ের পর একটা বেনসন ধরিয়ে লম্বা সুখটান। কিন্তু আজ কাদেরের হাতে চায়ের পেয়ালা দেখে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। কষে ধমক লাগালেন তিনি, ‘চা নিয়ে যা হারামজাদা!’ কাদেরের হাত থেকে চায়ের পেয়ালা পড়ে কার্পেট ভিজে গেল।

রাতে খেতে বসে জেসমিন জিজ্ঞেস করলো, ‘তোমার কী হয়েছে বাবা? ভাইয়া ফোন দিয়ে বললো তোমার মেজাজ নাকি খুব খারাপ।’
রাহেলা শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘ছেলেটা একা একা বিদেশে পড়ে আছে। তার ওপর বাপের কাছে যদি এমন ব্যবহার পায়.......।’
‘স্টপ! ফুল স্টপ!’ গর্জে উঠলেন চৌধুরী সাহেব, ‘ডোন্ট টক উইথ মি।’
রাহেলা কেঁদে ফেললেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘অফিস থেকে আসার পর থেকে তোর বাবা আমাকে এভাবে ধমকাচ্ছে। ইংরেজিতে ধমকালে আমি কী করে বুঝবো যে আমার কী দোষ?’
জেসমিন মাকে থামতে ইশারা করে বললো, ‘বাবা, তোমার কী হয়েছে বলো তো? অফিসে কোন সমস্যা?’
‘ডোন্ট ট্রাই টু ফাইন্ড আউট প্রবলেম। অফিসে আমার কোনদিন কোন সমস্যা হয়েছে? শুনেছ কোনদিন?’
খাওয়ার পরে চৌধুরী সাহেব বেসিনে ছাড়া হাত ধোন না। আজ তিনি দিব্যি প্লেটে হাত ধুয়ে উঠে পড়লেন। জেসমিন ও রাহেলা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল তাঁর দিকে।

পরদিন চৌধুরী সাহেব মোবাইল ফোন হারিয়ে বাসায় ফিরলেন। রাহেলা স্বামীর প্যান্টের জিপার খোলা দেখে লজ্জিত মুখে ইঙ্গিত করে দেখালেন। চৌধুরী সাহেব থতমত খেয়ে জিপার লাগিয়ে মনে মনে ভাবলেন, জিপারটা কী সারাদিন এভাবেই খোলা ছিল? ছিঃ ছিঃ। ভীষণ লজ্জার কথা! রাহেলাকে বললেন, ‘তোমার ফোনটা একটু দাও তো।’
‘কেন, তোমার ফোন কী হয়েছে?’
‘ফকিরকে দিয়ে দিয়েছি। তোমাকে ফোন দিতে বললাম, দাও। ডোন্ট আসক্ এনি কোয়েশ্চেন।’
রাহেলা ভয়ে ভয়ে নিজের ফোন এনে স্বামীর হাতে দিলেন। চৌধুরী সাহেব ফোন বুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ক্রিমিনাল ভাইটার নম্বর আছে এখানে?’
‘আমার ক্রিমিনাল ভাই? কার কথা বলছ তুমি? সুলতান?’
‘হাঁ হাঁ, ঐ শয়তানটার কথাই বলছি। পেয়েছি, পেয়েছি। থামো।’ চৌধুরী সাহেব শ্যালককে কল দিয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ওর বাপের নাম যদি আজ আমি.......হ্যালো, কে শয়তান?’
‘হাঁ, সুলতান বলছি। কে? দুলাভাই নাকি?’
‘এই হারামখোর, কথা দিয়ে যদি রাখতে না পারিস তো সেই কথা দিস কেন?’
‘কেন দুলাভাই, এ কথা বলছেন কেন?’
‘একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিবি বলে ছয় মাস ধরে ঘোরাচ্ছিস। তোর লজ্জা করে না?’
‘তওবা, তওবা। দুলাভাই আপনি কী বলছেন? আপনার অসুখের খবর শুনে এই তো গত পরশু আপনাকে দেখতে গিয়ে স্মার্ট ফোন কিনে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনিই তো নিতে চাইলেন না। বললেন, একটা মুখে কথা বলার জন্য কয়টা ফোন লাগে? ছিঃ ছিঃ, ছয় মাস ধরে আপনাকে ঘোরাবো কেন? আপনার মাথা টাল হয়ে গেছে দুলাভাই। আমি কালই আপনার জন্য সবচে’ দামী ফোন কিনে নিয়ে আসছি।’
‘আমার মাথা টাল হয়ে গেছে?’ চৌধুরী সাহেব চরম অস্থির ভাবে পায়চারী করতে করতে ফোনটা নাক বরাবর ধরে চিৎকার করে বললেন, ‘লাগবে না তোর দামী ফোন। দামী ফোন তোর.......(অকথ্য শব্দ)-য়ের মধ্যে ঢোকা।’
‘দুলাভাই, শোনেন, শোনেন.......।’

চৌধুরী সাহেব লাইন কেটে দিয়ে ফোনটা স্ত্রীকে ফেরত দিয়ে বললেন, ‘আজ ড্রাইভার হারামজাদাকে রাতে ভাত দিবা না। সারা রাত না খেয়ে থাকুক। ওটা আর একটা ইবলিশ।’
‘কেন, কী হয়েছে?’
‘তোমাকে বলেছি না কোন প্রশ্ন করবা না। ভাত দিবা না বলেছি, ভাত দিবা না। ব্যস্।’
জানা গেল, ড্রাইভার সীট বেল্ট না বাঁধায় আজ ট্রাফিক সার্জেন্টকে জরিমানা দিতে হয়েছে। চৌধুরী সাহেব তখন গাড়িতেই ছিলেন। জরিমানার টাকা শোধ করে তিনি রাস্তায় পুলিশ ও লোকজনের সামনে ড্রাইভারকে চড় থাপড় মেরেছেন। ড্রাইভার এখন নিচ তলার গ্যারেজে বসে নিঃশব্দে কাঁদছে। বাড়ির দারোয়ান চাঁন মিয়া তার পিঠে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। ‘কাঁইন্দেন না ভাই, গরীবের আল্লা আছে।’


‘কে?’
‘আমি জেসমিন, বাবা।’
‘এত রাতে কী চাই?’
দুই রাত হলো চৌধুরী সাহেবের ঠিকমতো ঘুম হয় না। গভীর রাত পর্যন্ত করিডোরে চেয়ার পেতে অন্ধকারে বসে থাকেন তিনি। রাহেলা কাছে গিয়ে শোবার কথা বললে ক্ষেপে যান। বলেন, ‘আউট, আউট!’ রাহেলা ভয়ে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যান। জেসমিনও ভয়ে ভয়ে বললো, ‘কিছু চাই না বাবা। তোমার সাথে একটু কথা বলবো।’
‘সকালে বোলো। এখন যাও। এত রাত পর্যন্ত জেগে আছো কেন? কাল কলেজ নাই?’
‘সকালে বললে হবে না বাবা। এখুনি বলা দরকার।’
চৌধুরী সাহেব কথা না বলে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলেন। তারপর বললেন, ‘বেশ, বলো।’
জেসমিন একটা চেয়ার টেনে নিয়ে ওর বাবার মুখোমুখি বসে বললো, ‘আমার হাতের দিকে তাকাও বাবা।’
অন্ধকারে মেয়ের হাতে সাদা মতো কী একটা দেখে চৌধুরী সাহেব বললেন, ‘কী ওটা?’
জেসমিন জিনিষটা বাবার হাতে দিয়ে বললো, ‘সিগারেট। তুমি যে ব্র্যান্ড খাও, সেটা। তবে প্রতিদিন একটার বেশি না।’
চৌধুরী সাহেব আঁতকে উঠে বললেন, ‘না, না, আমি এক কথার লোক। সিগারেট খাবো না বলেছি, খাবো না। ব্যস্।’
‘আহা!’ জেসমিন চেয়ার ছেড়ে উঠে চৌধুরী সাহেবের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, ‘তুমি এক কথার মানুষ, সেটা সবাই জানে। তুমি তো আর আগের মতো প্যাকেট প্যাকেট খাচ্ছো না। এই যে এখন যদি তুমি এখানে অন্ধকারে বসে একটা সিগারেট খাও তো কে জানতে পারবে বলো? আমরা তো আর কাউকে বলছি না। নাও ধরাও।’ জেসমিন ফস্ করে একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বাবার মুখের সামনে ধরলো।
‘খাবো?’
‘হাঁ, খাবে। আমি প্রতিদিন তোমার জন্য একটা করে সিগারেট নিয়ে আসবো। তুমি রাতে এখানে অন্ধকারে বসে বসে খাবে। কেউ দেখতে পাবে না। ঠিক আছে?’
চৌধুরী সাহেব সিগারেট ধরিয়ে ভুস করে এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বললেন, ‘ঠিক আছে তুই যখন বলছিস, একটা খাই।’ মেয়ের ওপর খুশি হলে চৌধুরী সাহেব ‘তুই’ সম্বোধনে কথা বলেন, অন্য সময় ‘তুমি’।
‘আচ্ছা, সকালে টয়লেটে যাবার সময় আর একটা সিগারেট খেলে কেমন হয়?’
‘মোটেই ভালো হয় না।’ জেসমিন বললো, ‘তবে তুমি যখন বলছো, তখন কাল থেকে তিন দিন সকালের জন্য আর একটা করে বরাদ্দ থাকলো। তিন দিন পর অফ। আর শোন, রাতের সিগারেটও সাত দিনের জন্য। তারপর এটাও অফ। ততদিনে তোমার নেশা অনেক কমে যাবে, বুঝেছ?’
অন্ধকারে রাহেলা স্বামীর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জেসমিন দেখতে পেলেও চৌধুরী সাহেব টের পাননি। রাহেলা খুক খুক করে কেশে বললেন, ‘অন্ধকারে আমি কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছি না। করিডোরের লাইট জ্বালিয়ে কী দেখবো বাপ-বেটি এখানে কী করছে?’
চৌধুরী সাহেব আঁতকে উঠে বললেন, ‘না, না, লাইট জ্বালিও না।’ তিনি অন্ধকারেই স্ত্রীর কাছে সিগারেট আড়াল করার জন্য তাঁর সিগারেট ধরা হাতটা চেয়ারের নিচে লুকিয়ে ফেললেন।
********************************************************************************************************************
ছবিঃ নেট
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

দজিয়েব বলেছেন: প্রত্যেক ধূমপায়ীর বাস্তব জীবন।।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একদম ঠিক। ধূমপানের নেশা ছাড়া খুব কঠিন কাজ।

ধন্যবাদ ভাই দজিয়েব।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

আমি রানা বলেছেন: দিনটাকে ভালো করার জন্য একটা সিগারেট যতেষ্ঠ ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধূমপায়ীদের জন্য কথাটা ঠিক।


ধন্যবাদ ভাই আমি রানা।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চৌধুরী সাহবে ১ কথার মানুষ!

অনেকদিন পর লিখলেন; সব ভালো?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটি রি-পোস্ট। হয়তো আপনি আগে পড়েননি।


হাঁ, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেশ প্রেমিক বাঙালী।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: বাহ ! খুব ভালো লাগলো। যদিও আমি সিগারেট একেবারেই খাই না। তবুও সিগারেট ছাড়ার কষ্টটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি রম্য গল্পের মাধ্যমে।
৥নিশ্চয় ভালো আছেন । ভালো থাকুন সব সময়।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও।


ভালো থাকবেন।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, ধূমপান নিয়ে একটা মজার ঘটনা শেয়ার করি। তখন আমি মিশনারি কলেজে পড়ি। পড়াশুনার প্রচুর চাপ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি ইত্যাদি নানান ক্লাস। দুপুরে একঘণ্টা বিরতির পর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ল্যাব। তার উপর সপ্তাহে দুইদিন কুইজ পরীক্ষা। বাড়ীতে ফিরে রাত পর্যন্ত পড়া। একদম পাগল পাগল (উন্মাদ) অবস্থা। দুপুরের ঐ এক ঘন্টার ব্রেকের সময় মন প্রাণ চাঙ্গা করার জন্য তিন চার বন্ধু মিলে ক্যান্টিনে বিড়ি ফুঁকতাম। আমার মেধাবী বন্ধু তারেক বলছিল "দোস্ত জানস কাল রাত ৩টা দিকে কি হইছে।" আমি বললাম "কি।" তারেকঃ আরে রাত ৩টা দিকে দেখি সিগারেটের প্যাকেটে বিড়ি শেষ। এমন নেশা চাপছে, কি করি কি করি ভাবতেছি। পরে ফুল ঝাড়ু থেকে পাট কাঠির মত একটা কাঠি বের করে তার অগ্রভাগে আগুন লাগিয়ে তার পশ্চাৎ ভাগ থেকে বেরিয়ে আসা ধুয়া টেনে ধূমপানের নেশা মিটিয়েছি। হাহাহাহাহা.....

সত্যি কথা বলতে ধূমপানের নেশাকে আমি ঘৃণা করি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এরকম পাঁড় ধূমপায়ী আমিও দেখেছি। আজকের এই রি-পোস্ট কিন্তু আপনার অনুরোধে।


ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

আহা চৌধুরী সাব!
কি কষ্ট ! কি কষ্ট!!

দারুন তুলে ধরেছেন। যেন নিজেরই অভিজ্ঞতা :P B-) =p~
হা হা হা

সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাস্তবে এরকম মানুষ দেখা যায়। এদের নিয়ে রম্য লেখা কঠিন কাজ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।


আপনিও সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: চৌধুরীসাহেব কি আগে কখরো সিগারেট ছাড়ার অঙাগীকার করেননি, ৩০ বছরের মধ্যে?

আপনি কেমন আছেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধূমপায়ীরা এরকম অঙ্গীকার কতবার করেন আর কতবার ভাঙেন তার হিসাব নাই।


বিজন দাদাকে অনেক দিন পরে দেখছি। ভালো আছেন নিশ্চয়। সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর


এসব ফর্মালিটি ধূমপায়ীরা মানে না। দেখেন না সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে কত ভয়ঙ্কর ছবি থাকে। তারপরেও ধূমপান চলছে, চলবে।

ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: একজন ধুমপায়ীর মানসিক অবস্থাকে অতি নিপুণভাবে তুলে এনেছেন। আমি সেই প্রাইমারি থেকেই ধুমপান (হুকো দিয়ে শুরু) করতাম। তারপর, হাইস্কুলের শেষ পর্যায়ের ৯/১০ ক্লাসে নেশা হযে যায়। তা চলে দীর্ঘসময় ধরে। এর মাঝে ২০১০ হার্টের চিকিৎসার পর একবার ছেড়ে দিয়েছিলাম। প্রায় দেড়/দু বছর খাইনি। আবার, বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে একটি/দুইটি করে শুরু করি, অবশেষে, নেশায় রূপ ধরে দিনে ১৫/২০ পর্যন্ত। এই করোনা কালীন সময়ে 'এক কথার মানুষ' হিসেবে বাদ দিয়েছি। এ পর্যন্ত একটিও না। কারন, আমাকে ঘরে থেকে বের হতেই দিচ্ছে না। এখন ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ আপনাকে। ধুমপায়ির সঠিক চিত্রটা তুলে ধরার দক্ষতার জন্য।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ধূমপান ছাড়া খুব কঠিন কাজ। তবে মানুষের অসাধ্য কিছু নাই।


আপনাকে ধন্যবাদ ভাই কবীর হুমায়ুন। ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: ভাল আছি এখনো, তবে যারা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন পরপারে তাদের জন্য খুব খারাপ লাগছে।

ব্লগে এখন থেকে একটু নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি।

আমাদের নাতির খবর কি?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খারাপ তো সবারই লাগছে। কিন্তু কী আর করা!

ব্লগে নিয়মিত হলে ঘরে বসে সময়টা ভালো কাটবে। নাতি ভালো আছে দাদা। আশীর্বাদ করবেন দাদা।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, ধূমপানকে আমি খুব অপছন্দ করি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত হানিকর। তাই আপনাকে আমি অনুরোধ করেছিলাম, এই লেখাটি আরও একবার রি-পোস্ট দেওয়ার জন্য। ধূমপায়ী পাঠক পড়ে যেন আর একবার অনুধাবন করতে পারেন নেশার কাছে তারা কত অসহায়। আর লেখা পড়ে যদি উদ্বুদ্ধ হয়ে কেহ ধূমপান ছাড়েন তা হলে সেটা লেখকের বাড়তি পাওনা বা হয়তো লেখার সুপ্ত উদ্দেশ্য। সেইজন্যই আপনাকে সচেতনভাবে আপনাকে অনুরোধ করা। অনুরোধে সাড়া দিবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশী করে সিগারেট খেলে তাড়াতাড়ি মরে যাবে। তবু বুঝে না লোক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাড়াতাড়ি আর মরে কই? আমার জানাশোনা এক বৃদ্ধ স্বাধীনতার আগে থেকে বিড়ি খেতে খেতে এখনো বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে। তার এখনকার বয়স ৭৫/৮০ হবে।

ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: করোনার দিন গুলোতে আমার সিগারেট খাওয়া অনেক বেড়ে গেছে। সিগারেট খাওয়া সুরভির অনেক অপছন্দ। আমাকে লিকিয়ে খেতে হয়। কিন্তু আমি ধরা পরে যাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার মধ্যে এক ধরনের আলাদা আনন্দ আছে। হাঃ হাঃ হাঃ।


চলুক ভাই রাজীব নুর।

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমিই মনে হয় একমাত্র যে জীবনে কোনও দিন একটা সিগারেট ও খায় নাই !:#P

আমি এইটারে নিজের একটা বড় গুণ হিসেবে মনে করি B-)) B-))

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জী নিশ্চয়। এটা একটা বড় গুন। তবে জীবনে কখনো সিগারেট না খাওয়া ব্যক্তি একমাত্র আপনি নন। আরো অনেকে আছেন।


ধন্যবাদ ভাই ক্ষুদ্র খাদেম।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা... বেশ মজা পেলাম চৌধুরী সাহেবে স্মোক ছাড়ার গল্প।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরী।


ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: সময় নিয়ে পড়লাম, উপভোগ করেছি।। যাই একটা সিগারেট খেয়ে আসি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, সিগারেট খাওয়ার উপযুক্ত সময়। হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই বিভ্রান্ত পাঠক।

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পিনেআলোকে লিয়েত কুছ বাহানা চাহিয়ে !!
যে কোন বাহানায় তারা পান করবেই তা সে
তরল বা বায়ুবিহ যাই হোকনা কেন!!
আশরাফ ভাই গল্প দারুন জমেছে।
শুভকামনা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: আগে পড়েছিলাম এবং মনে আছে কারন বাবার সাথে মিলে গেলো কিনা ;)

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, এটি রি-পোস্ট। আপনি আগেও পড়েছেন।


ধন্যবাদ বোন সোহানী।

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুঝতে পেরেছি, পুরানা চাউল ভাতে বাড়ে

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই জন্যেই তো পুরনো চালের দাম বেশি। হাঃ হাঃ হাঃ।

২১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটা আপনার নিজেরই গল্প =p~

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নাতি হওয়ার পর আপনার মাথা আউলাইয়া গেছে।

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম,




বেশ চটকদার রম্য। মজা লেগেছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।

২৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার মধ্যে এক ধরনের আলাদা আনন্দ আছে। হাঃ হাঃ হাঃ।
চলুক ভাই রাজীব নুর।

তা কথাটা মন্দ বলেন নি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি সত্যিই একজন খাঁটি ব্লগার। দ্বিতীয় দফায় পোস্টে ফিরে এসে পুনরায় মন্তব্য করার মধ্যে একজন ব্লগারের আন্তরিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৫

মা.হাসান বলেছেন: আগে খালকাটা, কাবিখা এসবে গম দেয়া হইতো। চেয়ারম্যানেরা গম চুরি করিতেন। এরশাদ সাহেবের শাসনামলে সামরিক কোর্টে সাজা খাইয়া চেয়ারম্যানেরা ভবিষ্যতে গম চুরি না করার অঙ্গিকার করিয়াছিলেন। ওনারা এক কথার লোক। গম চুরি ছাড়িয়া দিয়াছেন। চেয়ারম্যানেরা এখন চাউল চুরি করেন।

চৌধুরি সাব এই চেয়ারম্যানদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে পারিতেন। বলিতে পারিতেন -আজ হৈতে বেনসন বাদ দিলাম।
গোল্ড লিফ চালু করিলে এক কথার মানুষ তকমায় কোনো দাগ পড়ে না।

সাদা মনের মানুষের মতো আমার মনেও একই রকমের চিন্তার উদয় হইতেছে :#)

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। সাদা মনের মানুষ আমাকে বুড়ো মনে করেন, আসলে আমি কিন্তু বুড়ো না। দশ বছর ধরে তাকে এই কথাটা বুঝাতে বুঝাতে কিছুটা বুড়ো হয়েই গেলাম।


ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।

২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রম্য পড়ে বেশ মজা পেলাম ভাইয়া।
আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এ পর্যন্ত সপরিবারে ভালোই আছি। লেখাটি আপনার কাছে ভালো লাগায় খুশি হলাম।

সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪১

পুলক ঢালী বলেছেন: উহ্ সিগারেটের গল্প পড়ে নেশা চইড়ে গেইলো ।
হেনা ভাউ তাড়াতাড়ী একটা সিগারেট দেন ! :P :D =p~ =p~

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: করোনার দাপটে মার্কেট থেকে সিগারেট উধাও। আদি ও অকৃত্রিম হুঁকা খান। নিচের মডেলগুলো থেকে একটা হুঁকা বেছে নিন।

২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। সাদা মনের মানুষ আমাকে বুড়ো মনে করেন, আসলে আমি কিন্তু বুড়ো না। দশ বছর ধরে তাকে এই কথাটা বুঝাতে বুঝাতে কিছুটা বুড়ো হয়েই গেলাম।
হা হা হা মজায় মজা।
সাদা ভাই মনে হয় নাতনী নিয়ে ব্যস্ত তাই রনে ভঙ্গ দিয়ে লুকিয়ে পড়েছেন। ;) =p~

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নাতনির জন্য ডায়াপার কিনতে গেছেন।

২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৫

পুলক ঢালী বলেছেন: করোনার দাপটে মার্কেট থেকে সিগারেট উধাও। আদি ও অকৃত্রিম হুঁকা খান। নিচের মডেলগুলো থেকে একটা হুঁকা বেছে নিন।
হুঁক্কা দেওয়ার জন্য অনেক ধইন্যাপাতা। আমি আদি ও অকৃত্রিম বাঙ্গালী হিসাবে একেবারে ডানদিকেরটা বাছিয়া লইলাম, তয় গুরুজী আমনে বোওনি না কইরা দিলে ক্যামনে শুরু করি ???? :D

নাতনির জন্য ডায়াপার কিনতে গেছেন।

হা হা হা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভোম ভোলানাথ হু শ শ শ।

এই নেন, বোওনি করে দিলাম। তামাক পাতা না পাওয়ায় গঞ্জিকা দিয়ে বোওনি করে দিলাম। আপনি তামাক পাতা না পেলে সিদ্ধি ব্যবহার করতে পারেন।

২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৫

মা.হাসান বলেছেন: ৭৪ বছর বয়সে মা আর ৮০ বছর বয়সে বাবা হইবার ঘটনা তো অনেক পূর্বেই শুনিয়াছি। সেই হিসেবে আপনিতো শিশু।

উনি ডায়াপার কিনিতে গিয়াছেন সত্য, তবে তাহার জন্য সেই বিষয়টি লইয়া সন্দেহ আছে। B-))

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাদা মন ভাই নিজের জন্য ডায়াপার কিনতে যান নাই, এতে কোন সন্দেহ নাই হাসান ভাই। উনি এসএসসি পাশের পর থেকে আর ডায়াপার পরেন নাই। আমি নিজের কানে দেখেছি।

৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: উনি এসএসসি পাশের পর থেকে আর ডায়াপার পরেন নাই। আমি নিজের কানে দেখেছি।
হা হা হা সামমা ভাইরে নিয়া যা কইতাছেন উনি তো মনে হয় ভয়ে আর এ পথ মাড়াবেন না। উনি মাঝে মধ্যে চা টা খাওয়াইতো আহারে খুব মিস করতাছি।
আমনের বৌনী খুব পসন্ড অইসে তয় আমনে গঞ্জিকা নিয়া আমারে সিদ্ধি দিলেন ? আমি তো বিষয়টার ব্যাপারে একদম নাদান শিশু। গুরুজী হইয়া ইমুন একটা পরীক্ষায় ফালাইলেন !!?? দিশ পাইতাছিনা ক্যামনে কি করি । :D =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নাদান শিশুদের জন্য নিচের খাদ্য। আপনি খাইতে থাকেন। আমি গঞ্জিকা আর সিদ্ধি নিয়া আসতেছি।

৩১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: ইস্ ছবির বাচ্চাটা কি কিউট! দারুন ছবি দিয়েছেন। একই সাথে শিখলাম গাঁজা, চরস সেবন করার আগে দুগ্ধ সেবন অত্যাবশ্যকীয়।
হা হা হা এই না হলে ওস্তাদ !?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, আপনি ওস্তাদোঁ কা ওস্তাদ।

৩২| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৮:৫২

জাফরুল মবীন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার গল্প পাঠের সুযোগ হলো হেনা ভাই।ব্লগের সেরা গল্পকারকে অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।

০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এমন লজ্জা দিলেন যে সব সময় মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া উপায় নাই। দাঁতের গঠন ভালো না হওয়ার কারণে মাস্ক পরতে ভালোই লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।

৩৩| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের এলাকার কি অবস্হা? সতর্ক থাকুন।

১০ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের এলাকায় করোনার দাপট প্রায় নেই বললেই চলে। তবে সব মানুষকে তো আর টেস্ট করা হয়নি। উপসর্গ ছাড়াও রোগটির প্রাদুর্ভাব আছে। তাই আগামীতে যে করোনা ঝাঁপিয়ে পড়বে না, সেটা বলা মুশকিল। সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

৩৪| ১০ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:০৫

জাফরুল মবীন বলেছেন: হেনা ভাই ব্লগে আপনাকে দেখে মনটা প্রশান্ত হলো।আপনি কী প্রামানিক ভাইয়ের এই পোস্টটা দেখেছেন


একটি শোক সংবাদ

১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, মবীন ভাই, দেখেছি। উনি এই পোস্ট দেওয়ার আগে আমার সঙ্গে মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিল। উনি আমার একজন নির্ভেজাল শুভাকাঙ্খী। পোস্টে আমার মায়ের মৃত্যুসংক্রান্ত খবর পড়ে যারা দোয়া করেছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন, তারা সবাই আমার শুভাকাঙ্খী। সত্যি বলতে কি, সামুর সকল ব্যক্তিই আমাকে ভালোবাসেন। তারা আমার কষ্টে নিজেরাও কষ্ট পান, আর আমার আনন্দে সবাই আনন্দ পান। তাদের সবার জন্য আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা রইল।

ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।

৩৫| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৪

ডি মুন বলেছেন: বাহ, দারুণ গল্প।
এক সিগারেট খাওয়া বন্ধ করে তো দেখছি লঙ্কাকান্ড।


২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডি মুন ভাইয়ের সাথে অনেকদিন পরে দেখা হলো। কেমন আছেন ভাই?

৩৬| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

গল্প পাঠে মুগ্ধ ।
আমিউ একসময় চেইন স্মোকার ছিলাম ।
বছর বিশেক অআগে এটাকে সম্পুর্ণ ভাবে পরিত্যাগ করতে সমর্থ হয়েছি ।
এটা পরিত্যাগ করতে আমার মেয়ে বেশ সহায়তা করেছে। সে তখন খুবই ছোট
তবে আমার মুখ হতে সিগারেটের গন্ধ পেলে সে কুল হতে নেমে দৌড়ে ছুটে যেত ।
এটা দেখে আমার কষ্ট হলেও সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয়ার জন্য মনস্থির করি ।
তবে এটা পরিত্যাগ করা সহজ ছিলনা । গল্পের হক সাহেবের মতই কান্ডকারখানা
ঘটে যেতো ।

করুনায় আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে থাকার কারণে বেশ কিছুদিন সামুতে বিচরণ করতে পারিনি ।
সপ্তাহ দুয়েক পুর্বে করোনামুক্ত হয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর দুইমাস আইসোলেসনে থেকে গতকাল
রাত হতে সামুতে লগিং করেছি । তাই প্রায় মাসাধিককাল অনেকের লেখাই দেখতে পারিনি ।

এই মন্তব্যের উপরের ঘরে থাকা একটি শোক সংবাদের লিংক দেখে সেখানে গিয়ে মহা শোক
সংবাদটি তথা আপনার মাতৃবিয়োগের বিষয় দেখতে পেলাম ।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।আল্লাহ আপনার আম্মাকে জান্নাতবাসি করুন এ
দোয়াই করছি। সৃষ্টি কর্তার অমোঘ বিধানে সকলকেই একদিন চলে যেতে হবে ।
তবে এ শোক কভু ভুলার নয় । আপনি সহ পরিবারের সকলের প্রতি সহমর্মিতা রইল ।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় আপনাকে অভিনন্দন। আমার মাতৃবিয়োগে আপনার সহানুভুতির জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

৩৭| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: ঈদ মোবারক

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক।

৩৮| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হা হা হা, চৌধুরী সাহেব এক কথার লোক! নেশাগ্রস্ত লোকদের এই এক কথার পরিবর্তন হতেই থাকে, হতেই থাকে!
গল্পটা ভাল লেগেছে। + +

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।


ঈদ উত্তর শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.