নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নিষ্কলুষ পাপী

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩০


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবেশী জনৈক ব্যবসায়ী তার নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা সুন্দর বাংলা নাম চান। বাংলা কবিতা লিখে নোবেল প্রাইজ পাওয়া কবিগুরুর চেয়ে এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি আর কে আছে? ব্যবসায়ী কবিগুরুর শরণাপন্ন হলেন। কবিগুরু জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কি ব্যবসা,হে?’
‘আজ্ঞে, জুতোর দোকান।’
কবিগুরু একমুহূর্ত ভেবে নিয়ে বললেন, ‘দোকানের নাম দাও শ্রীচরণেষু।’
তাই হলো। জুতার দোকানের নাম হলো ‘শ্রীচরণেষু’।

ব্যবসার সাথে দোকানের নামের এমন চমৎকার সাদৃশ্যের কথা আমার বইয়ে পড়া। তবে চোখে দেখাও একটি আছে। এবং সেটি আমাদের এই শহরেই। দোকানের নাম ‘শেষ বিদায়’। সাইনবোর্ডে বাংলা নামের নিচে আরবী ও বাংলাতে লেখা ‘কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মওত। দুনিয়ার সকল জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করিতে হইবে।’ মুসলমানদের মৃত্যু পরবর্তী দাফন কাফনের যাবতীয় সরঞ্জাম এই দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। কাফনের কাপড়, ফিতা, আগরবাতি, মোমবাতি, দিয়াশলাই, গোলাপজল, বাঁশের তৈরি মাচা, টুকরা করে কাটা বাঁশ, চাটাই, পলিথিন, কোদাল, বেলচা, সাবান, টিস্যু পেপার সবই পাওয়া যায়।

এই দোকানের মালিক আব্দুর রহমান। মাঝবয়সী পরহেজগার মানুষ। পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, মুখে দাড়ি, মাথায় গোল টুপি। আর একজন পরহেজগার লোককে কর্মচারী নিয়ে তিনি দোকান চালান। নানারকম ব্যবসা করে লোকসান দিয়ে শেষে আব্দুর রহমান বুদ্ধি করে এই ব্যবসা খুলেছেন। শহরে এমন দোকান আর দ্বিতীয়টি নেই। দোকানের বেঁচাকেনার নিয়ম কানুন আর পাঁচটা দোকানের মতো নয়। প্রতিটি দ্রব্যের নির্ধারিত দাম। দ্রব্যটির গায়ে সাঁটানো কাগজে দাম লেখা থাকে। যেমন- কাফনের কাপড়ঃ ঢাকা হইতে ক্রয়মূল্য ২৮০/-টাকা, পরিবহন ও কুলি খরচ ৮/৬০টাকা, কাপড় কাটা ও ফিতা তৈরির দর্জি খরচ ১০/-টাকা, প্যাকিং খরচ ৩/৪০টাকা, সর্বমোট ৩০২/-টাকা। ৫% হারে মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য ৩১৭/১০টাকা। ০/১০টাকা ছাড়ে চূড়ান্ত বিক্রয়মূল্য ৩১৭/-টাকা।

দোকানের এসব নিয়ম কানুন মেনে চলার ব্যাপারে আব্দুর রহমান খুব সচেতন লোক। তার কাছে পান থেকে চুন খসানোর উপায় নেই। কোন আইটেমেই তিনি পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ করেন না। তাই দর কষাকষির কোন সুযোগ নেই। তবে কাস্টোমারের সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি ও তার কর্মচারী খুবই আন্তরিক। তাদের কোন কথা বা ব্যবহারে কাস্টোমার যাতে কষ্ট না পায়, সেদিকে তাদের কড়া নজর থাকে। বিশেষ করে এসব পন্য যারা কিনতে আসে, তাদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় আব্দুর রহমান ও তার কর্মচারীকে কথাবার্তা ও আচার আচরনে যথাসম্ভব সতর্ক থাকতে হয়। পন্য বিক্রি ছাড়াও আব্দুর রহমান ক্রেতাদের নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। যেমন, গোরখোদকের প্রয়োজন হলে তার মোবাইল নম্বর সরবরাহ করা অথবা নিজে সরাসরি কথা বলে ব্যবস্থা করে দেওয়া। কর্মচারীকে সিটি কর্পোরেশনে পাঠিয়ে কবরের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহের ব্যবস্থা করা। গোরস্থানের তত্ত্বাবধায়ককে ফোন করে কবরের জন্য ভালো জায়গার অনুরোধ করা। ব্যবসায়ীকপ্রয়োজনে এসব লোকজনের সাথে আব্দুর রহমানকে সুসম্পর্ক রেখে চলতে হয়। আর আব্দুর রহমানের অমায়িক ব্যবহারের কারণে তারাও তার কথা ফেলতে পারে না।

তবে আশ্চর্য হলো, এতো কিছুর পরেও আব্দুর রহমানকে তার মহল্লার লোকজন এড়িয়ে চলে। তাদের ধারনা, আব্দুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ হওয়া শুভ লক্ষণ নয়। এমন ধারনার অবশ্য কিছু ভিত্তি আছে। কিছু কাকতালীয় ঘটনা তাদের মনে আব্দুর রহমান সম্পর্কে এমন বিরূপ ধারনার জন্ম দিয়েছে। যেমন- আব্দুর রহমানের দোকানে বসে গল্পগুজব করে সন্ধ্যের পর বাড়ি ফিরে প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক আমানউল্লাহ বুকে ব্যথা অনুভব করলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে নিতে সব শেষ। আমানউল্লাহ মোটাসোটা বয়স্ক মানুষ। তাঁর ব্যাপারটা না হয় স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু ইউনুস আলির ব্যাপারটাকে কি বলবেন? ইলেকট্রিক মালামালের দোকানদার চল্লিশ বছর বয়সী ইউনুস আলি এক শুক্রবার মসজিদে আব্দুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে পরের শুক্রবার সকাল দশটায় হাসপাতালে ভর্তি হলো। পেটে তীব্র ব্যথা। এ্যাপেনডিক্স ফেটে ঐ দিন দুপুরেই সে মারা গেল। ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে অপারেশন করার সুযোগ পেলেন না। এই ঘটনার পর মসজিদে আব্দুর রহমানের পাশে কেউ দাঁড়াতে চায় না। তিনি মসজিদে না এলে বরং মুসল্লিরা আরো খুশি হয়। ফিরোজ ইকবাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। ছটফটে হাসিখুশি তরুণ। কোম্পানি থেকে সে নতুন মোটর সাইকেল পেয়েছে। সেটি চালিয়ে সে অফিসে যাওয়ার সময় কি মনে করে ‘শেষ বিদায়’এর সামনে একটু থামলো। আব্দুর রহমানকে সালাম দিয়ে বললো, ‘চাচা, এটা কোম্পানি থেকে পেলাম।’
‘তাই নাকি?’ আব্দুর রহমান খুশি হয়ে বললেন, ‘খুব ভালো হয়েছে,বাবা। তোমার দূর দূরান্তে যাতায়াতের খুব সুবিধা হলো।’
‘জি, চাচা। দোয়া করবেন।’
লোকে বলে, আব্দুর রহমান দোয়ার বদলে বদদোয়া করেছিলেন। সেদিন বিকেলেই মোটর সাইকেল নিয়ে দ্রুতগামী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ফিরোজ মারা গেল। স্পট ডেড।

মহল্লার গৃহবধূরা বলে, যত মানুষ মরবে, আব্দুর রহমানের তত লাভ। এই লোক সাক্ষাৎ আজরাইল। এর সাথে কথা বলা তো দূরে থাক, দেখা হলেও বিপদ আছে। আত্মীয়স্বজনরাও তাকে এড়িয়ে চলে। বিয়ে শাদি, শালিস বৈঠক কোথাও তাকে ডাকা হয় না। ভোটের সময় ভোট চাইতে কেউ তার বাড়ি যায় না। চেনা জানা ভিক্ষুকরাও তার বাড়ি এড়িয়ে চলে।
আব্দুর রহমানের বউ ছেলেমেয়েরা এই ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করে। আব্দুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে দিলে তোমাদের খাওয়াবো কি?’
‘অন্য ব্যবসা করো।’
‘অন্য ব্যবসার হাল তো দেখলে! ঠিকাদারি করতে গিয়ে বাপ দাদার রেখে যাওয়া জমি জমা তো সব গেল। পোলট্রি খামার করে নগদ টাকা যা ছিল তা’ তো গেলই, মানুষের কাছেও দেনা হয়ে গেলাম। খড়ির আড়ত করে লোকসান হলো। পাড়ার লোকজন বাঁকি খেয়ে আমার মুদিখানায় লাল বাতি জ্বালিয়ে দিল। এখন আমি কি করবো,বলো?’
বউ হাত জোড় করে অনুরোধ করে, ‘আল্লার দোহাই লাগে। এই ব্যবসা তুমি ছেড়ে দাও। তোমার জন্য তোমার ছেলেমেয়েরা পর্যন্ত পাড়ায় একঘরে হয়ে গেছে। আমিও কারো সাথে মিশতে পারি না। দরকার হলে আমরা একবেলা খাবো, একবেলা খাবো না।’
‘আরে পাগল, সেই একবেলার খাবারই বা আসবে কোত্থেকে?’

আব্দুর রহমান বউ ছেলেমেয়েকে বোঝাতে পারেন না। এই ব্যবসা করে পেটের ভাতটা অন্ততঃ হচ্ছে। ছেড়ে দিলে কি হবে, সে চিন্তায় তার মাথা ঘোরে। তার তিন মেয়ের বড়টির বিয়ে ঠিক হলো দূরের এক গ্রামে। ছেলে সৌদি আরব থাকে। বিস্তর কাঁচা পয়সা রোজগার করে। দেশে তার বৃদ্ধা মা আর এক বিধবা বোন ছাড়া আর কেউ নেই। বিয়ে করে সে বউকে সৌদি আরবে নিয়ে যেতে চায়। আব্দুর রহমান ঘটককে আগাম কিছু টাকা দিয়ে খুশি করলেন। কিন্তু সেই বিয়ে হলো না। ছেলে দেশে আসার এক সপ্তাহ আগে রোড এ্যাকসিডেন্টে মারা গেল।

আব্দুর রহমান দোকানের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলে নতুন সাইনবোর্ড লাগালেন। ‘রহমান এন্টারপ্রাইজ।’ ভুষিমালের দোকান। খেসারি, মসুর, ছোলা ও গমের ভুষির সাথে সরিষা, তিল, তিসি ও মসিনার খৈল বিক্রির ব্যবসা। কিন্তু খদ্দের আসে না। রাস্তার ওপাশে নিবারন দাসের ভুষিমালের দোকানে সারাদিন ভিড়, অথচ আব্দুর রহমানের দোকান ফাঁকা। কর্মচারীকে দু’মাস বসিয়ে বেতন দেওয়ার পর তাকে ছাঁটাই করে তিনি একাই দোকান চালাতে লাগলেন। এভাবে কয়েক মাস পুঁজি ভাঙ্গিয়ে চলতে চলতে যখন তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেল, তখন তিনি আবার ব্যবসা পরিবর্তন করলেন। দোকানের সাইনবোর্ড ঠিকই থাকলো, কিন্তু এবার খাতা, কাগজ, কলম, পেনসিল এসবের ব্যবসা। ‘রহমান এন্টারপ্রাইজের’ কাছাকাছি কিছু স্কুল কলেজ আছে। অনেক ছাত্র ছাত্রী তার দোকানের সামনে দিয়ে যায়। এবার নিশ্চয় ব্যবসা হবে। আব্দুর রহমান আশায় বুক বাঁধলেন।

কিন্তু পনের দিনেও একটা খাতা বা এক দিস্তা কাগজ বিক্রি হলো না। আব্দুর রহমান সারাদিন খদ্দেরের আশায় চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকেন। চার মাসে তিনটা খাতা, এক দিস্তা কাগজ আর দুটো বল পেন বিক্রি হলো। মুনাফা হলো সাড়ে সাত টাকা। আব্দুর রহমান তবু দোকান খুলে বসে থাকেন। ইদানিং আর শুধু বসে থাকেন না, দোকানের কাগজ ও খাতায় নিবিষ্টচিত্তে লেখালেখি করেন। কি লেখেন, কেউ জানে না। কারো জানারও আগ্রহ নেই।

অগ্রহায়ন মাস শেষ হয়ে পৌষ মাস এলো। আব্দুর রহমান রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় গায়ে চাদর জড়িয়েও ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে যান। মাঘ মাসে গায়ে চাদর জড়িয়ে কান ঢাকা উলের টুপি পরে সকালে ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে দোকানে যান। বেঁচাকেনা নেই। তবু দোকান খুলে তিনি জবুথুবু হয়ে বসে থাকেন। খুব শীত। ঠাণ্ডায় হাত পা থর থর করে কাঁপে। আজ ক’দিন থেকে সকালে বাড়িতে নাস্তা হয় না। এক কাপ গরম চা খেতে পেলেও ভালো হতো। কিন্তু চা খাওয়া হয় না। দোকানের ভাড়া বকেয়া পড়ায় মালিক দোকান ছেড়ে দিতে বলেছে। কয়েক মাস বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় পিডিবির লোক এসে সংযোগ কেটে দিয়ে গেছে। আজ সন্ধ্যের আগে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে হবে। ঘরে চাল না থাকায় দুপুরের আগে চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার তাগিদ আছে। কিন্তু তা’ বোধহয় আর হবে না।

আব্দুর রহমান দোকানের তাক থেকে খাতা কলম নামিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে লিখতে থাকেন। মাথা নিচু করে বিরামহীন শুধু লিখেই চলেন তিনি। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, তারপর সন্ধ্যের আঁধার নেমে এলে তার লেখালেখি বন্ধ হয়। দোকানের সাটারিংপাল্লা টেনে নামিয়ে তালা লাগিয়ে আব্দুর রহমান হাঁপিয়ে ওঠেন। দোকানের বারান্দায় বসে একটু জিরিয়ে নিয়ে তিনি ধীর পায়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। তার হাত পা ঠাণ্ডায় অসাড় হয়ে আসে। শুধু চোখ দুটো খোলা রেখে আপাদমস্তক চাদর জড়িয়ে হাঁটতে থাকেন তিনি। বুকের ভেতর দুর্বল হৃৎপিণ্ডটা তখনো ধুক ধুক করে জানান দিচ্ছে যে, আব্দুর রহমান বেঁচে আছেন।

এক সপ্তাহ পর আব্দুর রহমানের ছেলে ও আশেপাশের দোকানদারদের সাক্ষী রেখে দোকান মালিক তালা ভেঙ্গে ‘রহমান এন্টারপ্রাইজ’ খুললেন। দেখা গেল, দোকানের কাগজ, কলম, খাতা, পেনসিল সব মেঝের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। খাতা ও কাগজে অসংখ্যবার শুধু একটা কথাই লেখাঃ কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মওত। দুনিয়ার সকল জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করিতে হইবে।
(সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)
*********************** *******************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি মিহি সুন্দর গল্প! তাড়িয়ে তাড়িয়ে পড়লাম।
খুঁটিনাটিগুলো চমৎকার।
প্রথম প্লাস।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু।

২| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক দোকানের নাম দেওয়া হয় মায়ের দোয়া, বাবার দোয়া ইত্যাদি।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: কারো নজর লাগার কারণে অন্যের ক্ষতি হয় এই জাতীয় চিন্তাভাবনা আমাদের ভিতর এখনো আছে।

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আমাদের সমাজে এরকম বহু কুসংস্কার এ যুগেও চালু আছে। ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি গল্প। সমাজের তৃতীয় চক্ষু কিংবা অবান্তর বিশ্বাস ডাল পালা মেলতে মেলতে একটা সময় বটবৃক্ষ হয়ে পাখা মেলে। কাকতালীয় অনেক বিষয় ঘটে যা ঘটনায় সীমাবদ্ধ না হয়ে আর অনেক বিস্তৃত হয়। আব্দুর রহমান সাহেবের বেলায়ও তাই হয়েছে। ভূমিকাটা ব্যতিক্রম এবং গল্পের প্লটের সাথে চমৎকার মিলে গেছে। তবে একটু সমালোচনা করবো, আশা করি কিছু মনে করবেন না। গল্প হিসাবে প্লট আরো সমৃদ্ধ হলে ভালো হতো। আব্দুর রহমানের চলমান গল্পটা আরেকটু টুইস্ট করলে ভালো হতো। হঠাৎ চমকিত করে নতুন কোন চরিত্রের উপস্থিতি কিংবা ঘটনার নতুন কোন মোড় পরিবর্তন হলে ভালো লাগতো। শেষের টুইস্টটা ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না করতে পারার জন্য দুঃখিত। আশা করি, আমার অন্য কোন লেখায় আপনার মনস্কামনা পূরণ করতে পারবো।

ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে।
আমাদের এখানে একটি দোকান আছে, নাম বিদায় বেলা স্টোর।

মসিনার খৈল কি জিনিষ?

ওই সত্য ঘটনা কোথায়, কবে ঘটেছিল?

আপনি ভাল আছেন তো?

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মসিনা হলো তিলের আর একটা প্রজাতি। এ থেকে তেল ও খৈল দুটোই পাওয়া যায়। সাধারণত নদী চরের পরিত্যাক্ত জমিতে বিনা চাষেই মসিনা জন্মায়।

এই ঘটনাটি রাজশাহী শহরে আজ থেকে প্রায় ২৫/৩০ বছর আগে ঘটেছিল, যদিও গল্পের মতো হুবহু নয়।

হাঁ দাদা, আমি ভালো আছি। আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর গল্প।

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আবুহেনা ভাই
আপনাকে ধন্যবাদ হৃদয় বিদারক একটি
সত্য ও বাস্তবতা পূর্ণ গল্পের জন্য। আমরা
আসলে ভুলে যাই যে্ আমাদের সবাইকে
মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে । কিছু কিছু
মানুষ হয়তো পৃথিবীতে কোন কাজে সফল
হতে পারেনা এ কারনে যে তার জন্য আখেরাতে
রয়েছে অজস্র পুরস্কার। তাই হতাশ হওয়া যাবেনা।
আল্রাহ যা করেন তা অবশ্যই বান্দার মঙ্গলের জন্য
এই বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে। আব্দুর রহমানের জন্য
প্রার্থনা তিনি যেন পরকালে শান্তিতে থাকেন। আমিন

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আগে পড়েছি কিনা মনে নেই, কারণ পড়ার সময় নতুন মনে হয়েছে। এতো চমৎকার এবং বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনা কেবল হেনা ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব। আমাদের সমাজ এখনও এরকমই আছে - খালি যুক্ত হয়েয়ে মোবাইল ফোন। মনমানসিকতা, চিন্তার কাঠামে সবই এক।

শেষ বিদায় সবারই আছে। করোনাভাইরাসের আমলে একটি আরও বাস্তব হয়ে এসেছে।

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সমাজ এখনও এরকমই আছে - খালি যুক্ত হয়েয়ে মোবাইল ফোন। মনমানসিকতা, চিন্তার কাঠামে সবই এক।


একেবারে সঠিক বলেছেন মইনুল ভাই। মানুষের চিন্তা ভাবনার কাঠামোতে কোন পরিবর্তন আসেনি। অনেক শিক্ষিত মানুষকেও দেখেছি কুসংস্কারে ভুগতে। শিক্ষা দীক্ষা ও আধুনিকতা আমাদেরকে এতটুকুও নড়াতে পারেনি। আফসোস!

ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা । সমাজের চলমান চিত্র

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই পোস্টের সবই সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
কেবল মাত্র ছবিটা বাদে।
ছবিটা বাদ দিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো হতো।
মৃতদেহের ছবি ব্যবহার করে আসলে কোনও ভালো কাজ নয়।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবিটি মৃতদেহের নয়। একজন ক্লান্ত শ্রান্ত ক্ষুধার্ত ও হতাশ বৃদ্ধ মানুষের ছবি।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন বাস্তবতার ক্রম বিবর্তন যেন শেষ হলো বাস্তবতার চূড়ান্ত উপলব্ধির মধ্য দিয়ে ।

সুন্দর ।+

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার।

১২| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: ছবিটি মৃতদেহের নয়। একজন ক্লান্ত শ্রান্ত ক্ষুধার্ত ও হতাশ বৃদ্ধ মানুষের ছবি।

ক্লান্ত শ্রমিক তো গাছের ছায়ার নিচে বসে বিশ্রাম করবে।
ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। মরা।

সুন্দর দেখে একটা ক্লান্ত বুড়োর ছবিও তো দেওয়া যেত।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ক্লান্ত শ্রমিক তো গাছের ছায়ার নিচে বসে বিশ্রাম করবে।


গল্প পড়ে আব্দুর রহমানকে কী আপনার কাছে শ্রমিক মনে হয়েছে?

১৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কুল্লু নাফছিন জায়িকাতুল মাউত- সবচে চিরন্তন সত্য অথচ যাকে সকলেই ভুলে থাকতে চায় ..


গল্পে ভাল লাগা
+++

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। অপরিহার্য জেনেও মানুষ মৃত্যুকে ভুলে থাকতে চায়।

ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

ওমেরা বলেছেন: মানুষ তো মরবে আর এগুলেও লাগবে তাহলে আব্দুর রহমান যে দোকান বন্ধ করে দিল তাহলে মানুষ ওগুলো কিনবে কোথা থেকে ।
গল্পটা ভালো লাগলো ।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাই তো! তুমি ভালো কথা মনে করিয়ে দিলে।


তুমি কেমন আছো ওমেরা? অনেক দিন পর পেলাম তোমাকে।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: হেনা ভাই কেমন আছেন? আপনার নামটি দেখেই লগইন করলাম।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি কৃতজ্ঞ প্রামানিক ভাই। আপনি কেমন আছেন? লেখালেখি যে একেবারে বন্ধ করে দিলেন!

১৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ ! আমি ভালো আছি দাদু ভাইয়া । আপনারা সবাই কেমন আছেন ?

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: করোনার চোখ রাঙ্গানীর মধ্যে যতটা ভালো থাকা যায়, ততটাই ভালো আছি। আমার দুই নাতনি আমাকে খুব জ্বালাতন করে। নিচে দেখ সারাদিন ওরা কী করে।

১৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন গল্প যেন গল্পই থেকে যায় বলতে গিয়ে দেখলাম যে সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। আহারে জীবন!

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখা ব্লগে খুব কম দেখছি। আমাদের জন্য কিছু লিখুন হা মা ভাই। মানসম্মত লেখা আজকাল কমে গেছে।

১৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এক নজর দেখে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
পরে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার গল্প । বিশেষ করে গল্পের বর্ণনা সব থেকে মনমুগ্ধকর !

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অপু তানভীর। ভালো থাকবেন।

২০| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৭

শের শায়রী বলেছেন: অনেকেই বলছেন, কিন্তু আমার বলা মানে আমার বলা, আপনার ডিটেইলস গুলো এত চমৎকার যে ব্লগে খুব গল্পকারদের গল্পেই দেখছি। দারুন এক গল্প পড়লাম, অতি সাধারন ঘটনা আপনার বর্ননার গুনে মোহাবিষ্ট করে রাখল।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম। আশা করি,আমার অন্য লেখাগুলিও পড়বেন।


ধন্যবাদ ভাই শের শায়রী।

২১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভয়ংকর কাহিনী

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

২২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সহজ সরলভাবে কি অসাধারণ গল্প লিখেছেন হেনা ভাই। আর কি ভাবেই না শেষ করলেন। মাই গুডনেস!

আপনার ছোট গল্পগুলো নিয়ে প্রচার, প্রসার বা সংরক্ষণ নিয়ে কোন বিশেষ চিন্তা ভাবনা আছে।

চাঁদগাজী ভাই যথার্থই বলেছেনঃ ভয়ংকর কাহিনী।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগে বলুন, আপনার হাতের অবস্থা কী?

ছোট গল্পগুলো কোন প্রকাশক যদি বই আকারে প্রকাশ করতেন, তাহলে হয়তো এগুলোর একটা গতি হতো। কিন্তু আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ ব্যাপারে ছুটাছুটি করতে পারছি না। তার ওপর প্রকাশকদের অনৈতিক শর্ত বা দাবীর কাছে আমি মাথা নত করতে রাজি না। এই কারণেই আমার লেখা স্বপ্ন বাসর উপন্যাসটি আমি নিজেই প্রকাশ করেছিলাম। তখন আমি সুস্থ সবল ছিলাম। অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন আমার পক্ষে সম্ভব না ভাই।

ভালো থাকবেন।

২৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !
আমি আপনার স্বপ্ন বাসর থেকে ই সরে আসতে পারি নাই ।
সারাক্ষণ মন টা হায় হায় করে :(

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আলেয়ার জন্য একটু দোয়া করবেন বোন। অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু বলতে গেলেই চোখে পানি আসে। তাই বলতে পারি না।


ভালো থাকবেন। এই গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হেনা ভাই আর একটু তথ্য দেয়া যায় এ ব্যাপারে !

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, নিশ্চয় দেওয়া যায়। একটু অপেক্ষা করুন। যতটুকু সম্ভব বলবো আপনাকে।

ধন্যবাদ বোন।

২৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনার হাতের অবস্থা কী?

আমার হাতের অবস্থা ভাল। হাড় জোড়া লেগেছে। ব্যথাও কমে গেছে। আরও এক মাস পর আশা করি পুরোপুরিভাবে হাড় জোড়া লেগে যাবে।

জীবন মরণের কথা কেহ বলতে পারে না। আমরা এইও জানি না, সামু কতদিন বা আরও কত বছর জীবন্ত থাকবে। আমরা নিশ্চয়ই চাইবো সামু অনন্ত কাল যাবত চলুক। যদি তাই হয় আপনি কাউকে নিযুক্ত করে যাবেন যে আপনার অবর্তমানে আপনার সমস্ত লেখা including স্বপ্ন বাসর উপন্যাস কয়েকদিন বিরতির পরপর সামুতে রি-পোস্ট দিয়ে যাবে। আপনার লেখা, আপনার সৃষ্টি নতুন নতুন ব্লগার-রা পড়বেন এবং উদ্বুদ্ধ হবেন।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। হাসালেন। আমার মতো ঘষে মেজে যারা লেখক হয়েছে, তাদের জন্য কে এসব করতে যাবে বলুন?

২৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

এরকম গল্প আরো লিখুন। ভালো লাগে।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় লিখবো। উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাকু হাসান বলেছেন:


গুরুজী অনেক দিন পর গল্প লিখলেন :) । ঝরঝরে । আমাদের সমাজেরই যেন চিত্রায়ন। ভেবেছিলাম গল্প টল্প ,কবিতা লেখা শুরু করেছিলো নাকি । শেষে সে প্রশ্নের উত্তর পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে । আরও গল্প চাই :-B

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা নতুন গল্প নয়, রিপোস্ট। আগে প্রায় প্রতিদিনই একটা করে গল্প লিখতাম। এখন অসুখ বিসুখে কাহিল হয়ে পড়ায় সেভাবে আর লেখা হয় না। তবে আবার লেখা শুরু করবো।

ধন্যবাদ ভাই রাকু হাসান।

২৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম, কষ্টের কাহিনী। মাঝে মাঝে কষ্টের কাহিনী পড়তে মন্দ লাগে না। আপনি বরাবরই বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে গল্প ভাল লিখেন, এটা তেমন ভাল লাগল।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের জীবনেই কত শত সহস্র হাসি কান্নার গল্প আছে। কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে গল্প লেখার প্রয়োজনই পড়ে না। আমি বরাবরই মানুষের জীবন নিয়ে লেখালেখি করি। পৃথিবীতে বিধাতার সৃষ্ট সবচেয়ে জটিল সৃষ্টি হলো মানুষ। তাকে নিয়ে লেখাও সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি এই কঠিন কাজটা করতেই পছন্দ করি। সহজ কাজের মধ্যে কোন আনন্দ পাই না।

ধন্যবাদ ভাই কাছের-মানুষ।

২৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। হাসালেন। আমার মতো ঘষে মেজে যারা লেখক হয়েছে, তাদের জন্য কে এসব করতে যাবে বলুন?

গুরুজী, আপনে হেসে উড়িয়ে দিলেও আমি কিন্তু হুট করে কথাটা বলিনি। এটা আমার অনেক দিনের ভাবনা বা চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ছিল। উপযুক্ত ব্যক্তি আপনি নিজের ঘরে বা আপনার অনুরাগী বা ভক্তদের থেকে পেয়ে যাবেন। কে জানে ভবিষৎতে বর্তমান সামু বা সামুর থেকেও আরও উন্নত প্রভাবশালী বাংলা ব্লগ আসতে পারে। এখনই পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীদের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি। প্রযুক্তি, social media যতই রমরমা হোক না কেন এক শ্রেণী মানুষ ছাপা অক্ষর বা ব্লগের লেখা পড়বেই। সেখানে আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার লিখা দেওয়ার ব্যবস্থা তো করে যেতেই হবে। আপনার লেখার মান কেমন তা তো এই জ্ঞানী গুণী ব্লগারদের মন্তব্য থেকেই বুঝতে পারেন। এখনই এ নিয়ে ভাবতে হবে না। কিন্তু ভবিষৎতে অবশ্যই ভাববেন। আমরা আপনার লেখা অনেক আনন্দের সাথে পড়ি। আমাদের সময়টা ভাল কাটে। নতুন চিন্তার খোরাক পাই।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রস্তাব ভেবে দেখবো। ব্লগার বন্ধুরা কেউ সহযোগিতা করলে এটা হতে পারে। এরকম ব্লগার কয়েকজন আছেন, যারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে নিশ্চিতভাবে রাজি হয়ে যাবেন।
বর্তমানে আমি একটু অসুস্থ আছি। সেরে উঠার পর আপনার প্রস্তাবের পজিটিভ ও নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে ভেবে চিন্তে আপনাকে অবশ্যই জানাবো।
ধন্যবাদ ভাই শুভ-ঢাকা।

৩০| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার গল্প!

কেমন আছেন?

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই। গল্প ভালো লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ।

৩১| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আবারও ত্যক্ত করতে আসলাম, গুরুজী। এক সময় প্রায় সবাই ভেবেছিল রেডিও মৃত্যু হেয়ে গেছে। কিন্তু দেখুন কিভাবে কি জোরালোভাবে এফএম রেডিও ফিরে এসেছে। আমি বিদেশে এর দারুণ প্রভাব দেখেছি। ব্লগও যে কোন দিন সেইভাবে ফিরে আসবে না কে জানে। আপনে হয়তো থাকবেন না। আপনে লেখা ব্লগে ফিরে ফিরে আসবে। নতুন নতুন ব্লগার-রা পাঠকরা আপনার লেখা পড়বে। আর সিক্ত চোখে আপনার জন্য শূন্যে দুই হাত তুলবে। অবশ্য এগুলো চিন্তা করা যাবে নয়নতারার বিয়ে টিয়ে দেওয়ার পর। আমি কেন এত আগে এগুলো বলছি। কে জানে আমি যদি না থাকি। তাই আমার মনের কথা জানিয়ে গেলাম অগ্রিম।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গত দশ বছর যাবত পত্র পত্রিকায়, ব্লগে এবং বিভিন্ন সাময়িকীতে লেখালেখি করছি। এ ছাড়াও উপন্যাস (যদিও মাত্র একটি) লিখেছি। প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পেলেও পরের দিকে পাঠক সমাজে আমার লেখাগুলো ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছে। আমি জানি, আমি না থাকলেও লেখাগুলো পাঠকদের সামনে থাকলে অবশ্যই তারা পড়বেন। শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্য মানুষ আজও আগ্রহ নিয়ে পড়ে। রবি ঠাকুরের গান আজও মানুষ সমান ভালবাসা নিয়ে শোনে। তাই আমি বিশ্বাস করি, দশ বিশ বছর পরে, যখন আমি থাকবো না, তখন আপনারাই হয়তো বলবেন, 'তুমি রবে নিরবে হৃদয়ে মম'

তবে লেখাগুলো হারিয়ে গেলে তা' হবে না। এসব আমি বুঝি ভাই। আপনি অবশ্যই নিখাদ আন্তরিকতা নিয়ে আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সকলের জন্য দোয়া করি কারো যেন এমন পরিত্যক্ত জীবন ভোগ করতে না হয়। কি যে হবে এই অমানবিক মনব সভ্যতার কে জানে।

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গোঁড়ামি ও কুসংস্কারই মানুষের জীবনকে পরিত্যক্ত করেছে। আগামীতে হয়তো মানবতা বলে আর কিছু থাকবে না।


ধন্যবাদ ভাই মোঃ খুরশীদ আলম।

৩৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী গল্প।

ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ভাই।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জাফরুল মবীন।

৩৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৩

জুন বলেছেন: হেনা ভাই কি মর্মান্তিক গল্প। মনটা বিষাদে ভরে উঠলো আমার। সমাজের এইসব কুসংস্কারে কত পরিবারে কত দুর্যোগই না ঘনিয়ে আসে। মন খারাপ করা ভালো লাগা রইলো।
+

২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটির মূল প্রতিপাদ্যই হলো কুসংস্কার ও গোঁড়ামি কিভাবে মানুষকে ধংস করে দেয়,তার এক ফালি চিত্র পাঠকের সামনে তুলে ধরা। আপনি সঠিকভাবেই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন।

ধন্যবাদ বোন জুন।

৩৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেনাভাই, আরো আলোচনা করার জন্যে আপনাকে ইমেইল করেছি। প্লিজ আমার আড্ডাঘর রিলেটেড মন্তব্যগুলো মুছে দিয়েন, যেহেতু পোস্টটির সাথে যায়না। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মুছে দিলাম। ধন্যবাদ ম্যাডাম।

৩৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সত্য কাহিনী অবলম্বনে অপনার গল্প উপন্যাস সবগুলিই হৃদয় গ্রাহী হয় ।
এ গল্পটি মনযোগ দিয়ে পড়লাম। কাকতালীয় কোন ঘটনাকে মানুষ
নীজের অবিচক ও অযৌক্তিক ধারনার বসে প্রয়োগ করে কিভাবে একটি
গোটা পরিবরকে বিপর্যয়ে ফেলে দেয় গল্পটি তার চাক্ষুষ প্রমান ।

আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেন না ।
হয় কাওকে দিয়ে পরীক্ষায় ফেলেন,
নয়তো কাওকে না দিয়ে ধৈর্যের পরিক্ষা করেন ।
একবার ''কুল্লু নাফসিন যাইক্বাতুল মাউত”-
(সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৮৫ )পাঠে
এক জনের জীবনের যত পাপ হরে
জীবের কি সাধ্য আছে তত পাপ করে ।
তিনি আগে যত পাপি তাপিই হন না কেন
সং পথে জীবন যাপনের সাথে আল্লার পবিত্র
এই কালামকে অন্তরে বাহিরে ধারন করে
নিস্কলুষ হয়েই হয়তবা ইহধাম ত্যাগ করেছেন ।
তিনি সব হারিয়েও সৌভাগ্যবান কোন সন্দেহ নাই।
তবে কে পাপি কে নিষ্কলুষ তা কেবল অল্লাই জানেন ।
আমরা তার সন্নিধানে থেকে বাহ্যিক লাইফ স্টাইল দেখে
কিছুটা ধারনা করতেই পারি তিনি কেমনতর মানুষ ছিলেন ।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততার সাথে স্বল্প লাভে ব্যবসা করেছেন,
সৎ ও নির্লোভ ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই । তিনি কিছু
না পেয়েও পরম ধৈর্যের সাথে ঈমানি পরিক্ষায় মনে হয়
উত্তীর্ণ হয়েছেন । এমন একজন মানুষকে নিস্কলুষ না
ভাবলে যে নীজেই পাপী হয়ে যাব ।

সুন্দর গল্পটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল


৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্য। আপনার সুচিন্তিত এই মন্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আরও একটা বিষয় উল্লেখ করতে হয়। সেটা হলো ব্যবসা সবাইকে দিয়ে হয় না। বিশেষ করে সৎ মানুষদের অধিকাংশই ব্যবসা করে সফল হতে পারেন না। এই গল্পের আব্দুর রহমান চরিত্রটি বাস্তবের যে ব্যক্তির অনুসরণে আমি গঠন করেছি, তিনি শতকরা একশো ভাগ সৎ মানুষ ছিলেন এবং তাকে আমি কোনদিন মিথ্যা কথা বলতে শুনিনি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশতে নসিব করুন এই দোয়া করি।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

৩৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুপ্রিয় অআশরাফুল ভাই , প্রতিমন্তব্যে মুল্যবান কথা উঠে এসেছে , ঠিকই বলেছেন সৎ মানুষদের অধিকাংশই ব্যবসা করে সফল হতে পারেন না।আল্লাহ তাঁকে বেহেশতে নসিব করুন এই দোয়া আমিও করি।

আমার 'পরশ পাথর প্রাপ্তি : পর্ব-১ - বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘরের পুণরুজ্জীবন প্রসঙ্গ' শীর্ষক পোষ্টটিতে আপনাকে কামনা করছি । পোষ্টের মাটির ঘরের ধারাবাহিকতায় আমি ২য় পর্বটি লিখতেছি ।আমি জানি আপনি রাজশাহীর মানুষ , সেএলাকার মাটির ঘরের কথা কিছুটা উঠে এসেছে আমার লেখায় , সেখানে আপনার মুল্যবান মতামত আমার ২য় পর্বের জন্য মুল্যবান উপাদান হতে পারে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বস করি। জানি এই ভয়ংকর করুনার দিনগুলিতে সকলের ভয়াবহ সময় কাটছে। তারপরেও যদি হাতে একটু সময় পান তাহলে গিয়ে দেখলে বাধিত হব ।

ভাল থাকুন ,পরিবারের সকলেই সুস্থ থাকুন এ কামনা রইল ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই দেখব আলী ভাই। আপাতত একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি। এর মধ্যে একটু সুযোগ সুবিধা হলেই দেখবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.