নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ ক্যামেরা ফেস

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৯


খুব ছোট বেলায় আমাদের শহরে স্টার স্টুডিও নামে ছবি তোলার একটা দোকান ছিল। সেটা পঞ্চাশের দশকের কথা। সে সময় সম্ভবত সেটিই ছিল এই শহরের একমাত্র ছবি তোলার দোকান। আধা ডজন ভাই বোনের মধ্যে আমাদের পিঠেপিঠি দুই ভাইকে সেই স্টুডিওর একটা অন্ধকার ঘরে বসিয়ে ছবি তোলা হল। একটা টুলে দুই ভাই পাশাপাশি বসে আছি। আমার বয়স চার পাঁচ বছর, ছোট ভাইটির বয়স তিন চার। দুজনের পরনে হাফ প্যান্ট আর রঙিন জামা। আমাদের সামনে লম্বা লম্বা লোহার স্ট্যান্ডের ওপর বসানো বিকট আকৃতির কয়েকটা ইলেকট্রিক বাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। আমাদের দুই ভাইয়ের চোখ ধাঁধিয়ে গেল। আমি ভয় পেয়ে কেঁদে ফেললাম। আমার ছোট ভাইটি আমার চেয়ে শক্ত। সে কিছুক্ষণ চোখ পিট্ পিট্ করে সামলে নিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল বাতি গুলোর দিকে।

ক্যামেরাম্যান আমাদের সামনে একটা কাঠের স্ট্যান্ডের ওপর রাখা কালো কাপড়ে ঢাকা বাক্সের মতো বিশাল ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে আমার কান্না থামানোর জন্য ‘চু, চু, বাবু কাঁদেনা, সোনা কাঁদেনা’ এই জাতীয় কথাবার্তা বলছে আর কালো কাপড়ের ভেতর ঘন ঘন মাথা ঢুকিয়ে ও বের করে আমাদের ছবি তোলার কসরত করছে। ক্যামেরাম্যানের দুপাশে দাঁড়িয়ে আমাদের বাবা-মাও চুক চুক করছেন আর বলছেন, ‘ছি, ছি, কাঁদেনা বাবা, কাঁদেনা। ভয় কিসের? তোমাদের ছবি তোলা হচ্ছে তো! সামনে তাকাও বাবা, সামনে তাকাও।’
এভাবে অনেক কায়দা কসরত করার পর ছবি তোলার কাজ শেষ হল।

সেই সাদা কালো ছবি এক সপ্তাহ পর বাসায় এনে দেখা গেল, আমার ছোট ভাইটি চোখ বড় বড় করে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে আর আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কাঁদো কাঁদো মুখে তাকিয়ে আছি। আমার চোখের কাজল ধুয়ে মুখের ওপর ছোপ্ ছোপ্ কালো দাগ। বাবা-মা ও অন্য ভাই বোনরা ছবি দেখে খুব খুশি হল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে সরকারি চাকরিতে ঢোকার পরেও আমাদের পারিবারিক এ্যালবামে ছবিটি দেখেছি। এমনকি বিয়ের পরে আমার স্ত্রীও ছবিটি দেখেছেন এবং আমার কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে খুশি হয়ে তিনি আমাকে নানারকম টীকা-টিপ্পনী উপহার দিয়েছেন। ছবিটি এখন আর আছে কি না জানিনা। প্রায় পঞ্চাশ বাহান্ন বছর পর সেটি আর না থাকারই কথা।

একটু বড় হবার পর আমি যখন ক্লাস এইটের ছাত্র তখন স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপানোর জন্য একটা গ্রুপ ছবি তোলা হল। ততদিনে অবশ্য বাক্সের মত বড় সড় ক্যামেরার বদলে হাতে বহনযোগ্য ক্যামেরার যুগ এসে গেছে। এই ছবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা সামনের সারিতে চেয়ারে বসে আছেন আর ছাত্ররা তাঁদের পেছনে তিন চার সারিতে সামান্য বিশৃঙ্খল ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও তাদের মধ্যে একজন। ম্যাগাজিন হাতে পাওয়ার পর দেখা গেল, ছবিতে একটি তাল ঢ্যাংগা লম্বা ছেলের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার মুখটা দেখা যাচ্ছেনা। শুধু আমার ডানহাত দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরা বই খাতার অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে।

এর ঠিক এক বছর পর উনসত্তরের গন আন্দোলনের সময় আমার একটা ছবি রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিল। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। রাজশাহীতে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পিকেটিং করছে। পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। অন্যান্য ছাত্রদের সাথে সাথে আমিও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ছি। কোন এক ফটো সাংবাদিক সেই ছবি তুলে ঢাকার ইত্তেফাক পত্রিকায় ছাপিয়ে দিল। ছবি দেখে আমার বাবা এমন বেয়াদব সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে আমার মাকে যথেচ্ছ গালাগাল করলেন এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মা রান্নাঘর থেকে লাকড়ি এনে আমার পা থেকে গর্দান পর্যন্ত (মাথা বাদে) নিপুন ভাবে দুরমুশ করে দিলেন। আমি রাগে রাতের খানা বয়কট করলাম। কিন্তু এতে ফল হল উল্টো। গায়ের ব্যথা আর ক্ষিধের জ্বালায় সারারাত ঘুম হল না। সকালে মা ধমক দিয়ে নাস্তা খেতে বললেন। আমি ‘খাবোনা’ বলে মুখ ভারি করে বসে রইলাম। আর একবার বললেই খাবো- এমন একটা চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছি। কিন্তু মা আর কিছু না বলে অন্য কাজে চলে গেলেন। সকালের নাস্তাটাও খাওয়া হলনা। আমার সেই ছোট ভাইটি তখন ক্লাস এইটের ছাত্র। সে বারান্দায় অন্যান্য ভাইবোনদের সাথে মাদুরের ওপর বসে জোরে জোরে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা মুখস্ত করছিল, ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির......।’ আমি ঠাশ্ করে ওর গালে একটা চড় কষিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম।

দিনে দিনে ক্যামেরার মান আরও উন্নত হল। কিন্তু আমার ছবির মান খারাপ হতে লাগলো। অল্প বয়সে বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খাওয়া রপ্ত করে দাঁত কালচে করে ফেলেছিলাম। তাছাড়া আমার দাঁতগুলোর মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব থাকায় হাসলে ছবি ভালো আসতো না। এদিকে ক্যামেরাম্যানরা আমার মনের দুঃখ বোঝে না। তারা ছবি তোলার সময় বলে, ‘হাসুন’। কেউ কেউ বলে, ‘না, না, মুচকি হাসি নয়। প্রাণ খুলে হাসুন।’

১৯৭৭ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে তোলা আমার প্রাণখোলা হাসির এমন একটা গ্রুপ ছবিতে আমি ছিলাম সবার ডানে। বন্ধুরা কাঁচি দিয়ে নিখুঁতভাবে আমার ছবিটি কেটে বাদ দিয়ে দোকান থেকে ফ্রেমে বাঁধিয়ে এনে শেরে বাংলা হলের ডাইনিংয়ে ঝুলিয়ে দিল। পাশে অন্যান্য ব্যাচেরও ছবি ছিল। সবাই হাসছে। অথচ হাসার অপরাধে আমার ছবি কাটা গেল। বন্ধুরা যে এমন শত্রুর মত আচরণ করতে পারে ভাবা যায়না।

সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হল ১৯৮৩ সালে আমার বিয়ের সময়। এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ। মেয়ে দেখে আমার মায়ের পছন্দ হয়েছে। মেয়েপক্ষেরও তিন চারজন এসেছেন ছেলেপক্ষের ঘর বর দেখতে। তাদের সামনে আমি চুপচাপ বসে আছি। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি, সরকারি চাকরি করি সবই তারা জানেন, তবু প্রশ্ন করতে হয় তাই করা। আমি মাথা নিচু করে লিপ সেপারেশন যথাসম্ভব এড়িয়ে সংক্ষেপে উত্তর দিচ্ছি। মেয়েপক্ষ ভাবলো, ছেলে খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, কথা কম বলে। যাবার সময় তারা আমার গম্ভীর মুখের একখানা সাদাকালো ছবি নিয়ে গেল অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে দেখাবে বলে (সম্ভবত মেয়ের নিজেরও দেখার ইচ্ছা ছিল)। বিয়ের অনেক পরে জানতে পারলাম, ছবি দেখে আমার স্ত্রী ও তার আত্মীয়স্বজনের ধারনা হয়েছিল যে ছেলে খুব গম্ভীর ও রাগী।

এরপর তো রঙিন ছবির যুগ। বিয়ের পরে আমরা স্বামী স্ত্রী একসাথে অনেক রঙ বেরঙের ছবি তুললাম। বেশিরভাগ ছবিতেই আমার স্ত্রী দাঁত বের করে হাসছেন, কিন্তু আমার মুখে দাঁত লুকানো মুচকি হাসি। পরে অবশ্য এ দৃশ্য বদলে যায়। আমার স্ত্রীর ওপর পাটির দাঁতগুলো সামান্য উঁচু থাকায় তাঁর হাসিতে মুক্তোঝরা ভাবটা তেমন আসছিলনা। ফলে তিনি স্বামীর অনুকরণে মুচকি হাসির আশ্রয় নিলেন। শ্যালক শ্যালিকাদের সাথেও অনেক ছবি তোলা হল। সবাই হাসিখুশি, কিন্তু আমার মুখে হাসি নাই। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ক্যামেরাম্যানের ওপর নাখোশ। একবার শ্বশুরবাড়ির শাক সব্জির বাগানে এরকম একটা গ্রুপ ছবি তোলার সময় ক্যামেরাম্যান ছিলেন আমার চাচাশশুর। তিনি বললেন, ‘মুখে একটু হাসি আনো তো বাবা।’
আমি হাসলাম, তবে দাঁত আড়ালে রেখে।
‘না, না, আর একটু। হাঁ, হাঁ, ঠিক আছে। না, না, অত না।’
হাসি বেশি হয়ে গেলে উঁচু নিচু ফাঁক ফাঁক দাঁতের কারণে চেহারা খারাপ আসছে, আবার একেবারে না হাসলে বা মুচকি হাসলে চাচাশশুরের পছন্দ হচ্ছেনা। শেষ পর্যন্ত নানা রকম কসরত করে মাঝামাঝি অবস্থার একটা ছবি তোলা হল। ছবি দেখে শশুর বাড়ির লোকজন বলল, ‘জামাইয়ের ক্যামেরা ফেস ভালো না।’

বিভিন্ন কাজের জন্য স্টুডিওতে পাসপোর্ট বা স্ট্যাম্প সাইজের ছবি তুলতে গেলে আমার সবচেয়ে বেশি অসুবিধা যেটা হয়, সেটা হল ভাস্কর্যের মতো স্থির হয়ে বসে থাকা। ক্যামেরাম্যান হয়তো বলছে, ‘মুখটা সোজা রাখেন।’
রাখলাম।
‘মাথাটা একটু নিচু করেন।’
করলাম।
‘আহা! বেশি নিচু হয়ে গেল। একটু তোলেন।’
তুললাম।
‘আর একটু, আর একটু .........।’ বলতে বলতে ক্যামেরাম্যান নিজে এসে আমার মাথাটা সাইজ করে দিয়ে একলাফে চলে গেল ক্যামেরার পিছনে।
‘আহা, নড়বেন না। একদম নড়বেন না।’
আমি পাথরের মূর্তির মতো স্থির হয়ে বসে আছি।
‘ক্যামেরার দিকে তাকান।’
তাকালাম। তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যাচ্ছে।
‘রেডি!’
আরে বাবা, আমি তো স্টুডিওতে ঢোকার পর থেকেই রেডি।
‘ক্লিক্!’ শাটার টেপার সাথে সাথে আমার মাথাটা কেঁপে গেল। পরে ছবি হাতে পেয়ে দেখলাম, বাংলা ছায়াছবির ভিলেনদের মতো আমি ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। এই ছবিসহ পাসপোর্টের আবেদন করলে পুলিশ ভেরিফিকেশন নির্ঘাত খুব কড়া হবে।
এরপর তো এল ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ। একদিন স্ত্রীর ছোট বোনের সাথে শখ করে ডিজিটাল ক্যামেরায় একটা ছবি তুললাম। আমার এই শ্যালিকাটি সুন্দরী। চোখ দুটো ভারি সুন্দর। রান্নাঘরের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘পটল চেরা’। শ্যালিকা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে। সাথে নিয়ে ছবি তোলার জন্য একেবারে আদর্শ মেয়ে। কিন্তু ছবি পাওয়ার পর দেখা গেল চশমা পরে থাকায় আমার চোখ দুটো ঠিকই আছে, কিন্তু শ্যালিকার পটল চেরা চোখ দুটোর কালো মনি ভয়াবহ রকমের লাল হয়ে গেছে। তাকে অনেকটা হরর ছবির রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারের মতো দেখাচ্ছে। ছবি দেখে শ্যালিকা কেঁদে ফেলল।

ক্যামেরায় ছবি তোলা বিষয়ে আমার জীবনের এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা লিখে এবার শেষ করবো। বুড়ো বয়সে আমি আর আমার মিসেস কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেছি। সাথে আমার ‘পটল চেরা’ চোখের শ্যালিকা ও তার স্বামী এবং আমাদের ছেলেমেয়ে। সমুদ্রে সবাই মিলে হৈ চৈ করতে করতে গোসল করা হচ্ছে। পেশাদার ক্যামেরাম্যানরা ছবি তুলে দেওয়ার জন্য ক্যামেরা হাতে সৈকতে ঘোরাফেরা করছে। তখনও মোবাইল ফোনে ক্যামেরার যুগ আসেনি। কিছু পেশাদার সহিস তাদের ঘোড়ায় চড়ার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ করছে। কুড়ি টাকা দিলে তারা তাদের ঘোড়ায় চড়িয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে কিছুক্ষণ পর্যটককে ঘুড়িয়ে আনবে। এতে যারা জীবনে কখনো অশ্বারোহণ করেনি, তাদের সে অভিজ্ঞতা হবে।

বুড়ো বয়সে আমার ঘোড়ায় চড়ার শখ হল। স্ত্রীকে সে কথা বলতেই, মহা আশ্চর্য, তিনি রাজি হয়ে গেলেন। সমুদ্রের নোনা জলে ভিজে সম্ভবত তাঁর মন নরম হয়ে গেছে। আমার দুই ছেলে এবং শ্যালিকার মেয়েটিও ঘোড়ায় চড়তে চায়। কিন্তু সহিস তার ঘোড়ার পিঠে একজনের বেশি লোক তুলতে রাজি নয়। তাই সিদ্ধান্ত হল পর্যায়ক্রমে একজন একজন করে চড়বে। এদিকে আমি বুড়ো মানুষ। তাগড়া ঘোড়ায় চড়ে ছোটার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলে হাড় গোড় ভেঙে অনাসৃষ্টি হতে পারে। আমার জন্য একটা ছোটখাটো দুর্বল ঘোড়া বাছাই করা হল। ঘোড়ায় চড়ে ছুটন্ত অবস্থায় আমার ছবি তোলা হবে। এ জন্য একজন পেশাদার ক্যামেরাম্যানও ঠিক করা হল।
আমি হাঁচরে পাঁচরে কোন রকমে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলাম। হাড় জিরজিরে দুর্বল ঘোড়াটা আমার ভারে সামান্য নুয়ে পড়লো। সহিসের চাবুক খেয়ে সে এক পা এক পা করে এগোচ্ছে বটে, তবে দৌড়াতে পারছে না। সহিস তার লাগাম ধরে পাশাপাশি হাঁটছে। সহিসের আপ্রাণ চেষ্টা স্বত্বেও তাকে দৌড়ানো সম্ভব হলনা। আমার অবস্থা হল অনেকটা ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল’র মতো।
এদিকে ক্যামেরাম্যান সিনেমার শুটিং করার মতো অত্যাধুনিক কায়দায় ক্যামেরাকে একাত ওকাত করে অশ্বারোহিত অবস্থায় তার ক্লায়েন্টের ছবি তুলে নিয়েছে। ঘোড়ার সামনে ও দুপাশ থেকে তোলা ছবি গুলো পতেঙ্গার এক স্টুডিও থেকে প্রিন্ট হয়ে আসার পর আমরা সবাই হতবাক। আমি যে প্রাণীটির পিঠে বসে আছি, সেটি ঘোড়া না গাধা তা নিয়ে রেস্ট হাউসে আমাদের মধ্যে তুমুল তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। এই দু’নম্বরি দুনিয়ায় গাধাকে ঘোড়া বলে চালিয়ে দেওয়া মোটেই অসম্ভব নয়। চিড়িয়াখানায় এক নজর দেখা ছাড়া গাধাকে কে কবে ভালো করে দেখেছে, বলুন! অনেকে তো গাধা নামের প্রাণীটি চোখেই দেখেনি।
আর আশ্চর্য কি জানেন? আমাদের পারিবারিক এ্যালবামে রাখা সেই ছবিগুলো দেখে প্রাণীটি গাধা ছিল না ঘোড়া ছিল তা’ নিয়ে আমাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আজও তর্ক বিতর্ক হয়।

******************************************************************************************************************
রিপোস্ট।
ছবিঃ নেট।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ছবি তোলার বিড়ম্বনা তো মেলা দেখি ;)
ক্যামেরা ফেস যেমন তেমন শেষ পর্যন্ত ঘোড়া না গাধার ইনফিনিট লুপে পড়ে গেলেন ;)

রম্যে ভাললাগা

+++

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫০

কল্পদ্রুম বলেছেন: এখন তো ইন্সট্যান্ট ছবির যুগ।ফোনের ক্যামেরাতে ছবি তুলে বাইরে থেকে প্রিন্ট আউট করে নিয়ে আসা হয়।স্টুডিওতেও আগের মতো এত কিছু বলে না।মাথাটা একটু ডানে বামে ঠিক করে নিয়েই ছবি তুলে ফেলে।বাকিটা ফটোশপে ঠিক করে দেয়।আপনাদের ছোট বেলায় ছবি তোলাটাও একটা আয়োজনের ব্যাপার ছিলো।এখন এটা কোন বিষয় না।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে পঞ্চাশের দশকে ছবি তোলা মহা আয়োজনের ব্যাপার ছিল। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অনেক কিছুই সহজ হয়ে আসছে।

ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আজ সকালে দেরি হয়ে গেল উঠতে । প্রথমেই আপনার গল্প পড়ে সত্যি হেসে ফেললাম । করোনাকালে হাসির বিষয় আশয় ম্যানেজ করাও মুশকিল । মনটা উৎফুল্ল এখন । ভাল থাকুন হেনা ভাই ।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহ আজিজ। ভালো থাকবেন।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগে কামেরার ফিল্মের শেষ পর্যায়ে যে ছবি গুলি তোলা হত সেগুলি নিয়েও ঝামেলা হত। অনেক স্টাইল করে ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে ফটো তোলা হল। পরে ওয়াশ করার পর দেখা গেল ছবির অর্ধেক আসছে এর পর ফিল্ম শেষ।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। সেই অভিজ্ঞতাও আমার হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই সাড়ে চুয়াত্তর।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৩

নজসু বলেছেন:



অনেকদিন পর প্রাণ খুলে হাসলাম। বর্তমান বাজারের প্রচলিত রম্য ভেবে এড়িয়ে গেছিলাম আপনার লেখাটা কি মনে করে ক্লিক করলাম। এখন মনে হচ্ছে আপনার লেখাটা না পড়লে অনেক সুন্দর একটা লেখা থেকে বঞ্চিত হতাম। গল্পের চেয়ে গল্পের খাতিরে আপনার যোগ করা কিছু বাক্যতে প্রচন্ড হেসেছি। একা শব্দ করে হেসেছি। সময় থাকলে সেগুলো উল্লেখ করতাম। এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যেন চোখের সামনে প্রতিটি দৃশ্য দেখতে পেলাম। লাইক তো বটেই, প্রিয়তে নিলাম। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাক্যগুলো উল্লেখ করলে আমার উপকার হতো। কেননা পাঠকের পছন্দ ও চাহিদা সম্পর্কে একটা ধারনা পেতাম। পাঠককে বুঝতে পারাটা লেখকের জন্য ফার্স্ট প্রায়োরিটি।

যাই হোক, লেখাটি আপনার ভালো লাগায় আমি খুশি। ধন্যবাদ ভাই নজসু। ভালো থাকুন।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হেনা ভাই আগেও একবার পাঠ করে ছিলাম
তবে পুঃন পাঠেও মজার কমতি হয় নাই।
ছবি বিড়ম্বনা সত্যি্ই দারুন উপভোগ
করলাম আবার। তবে ব্যামেরার যা
ছবি দিছেন সেটাতো আধুনিক
ক্যামেরা!! ওটা দেখতে ছিলো এমন


১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে ফেস ভালো না হলে পুরাতন বা নতুন কোন ক্যামেরাতেই ছবি ভালো আসে না। হাঃ হাঃ হাঃ। আপনি যে ক্যামেরার ছবি দিয়েছেন, ওটাই আমি খুঁজছিলাম। কিন্তু খুঁজে না পেয়ে অগত্যা এটার ছবি দিয়েছি।

পুনরায় পাঠের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই। ভালো থাকবেন।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখা

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

আকিব ইজাজ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ ছবি তোলা নিয়ে বিড়ম্বনাময় দারুন এক স্মৃতিচারন। পড়তে পড়তে মুচকি হাসি নিয়ে আসলো। আমার নিজেরও ক্যামেরা ফেস সুবিধার না। তার উপর লম্বা সময় ধরে চশমা ব্যবহারের ফলে চশমা ছাড়া ছবি তুললে নিজেকেই নিজের কাছে অচেনা ঠেকে। তার উপর আবার ক্যামেরার সামনে শক্ত হয়ে বসে থাকা দারুন প্যারাদায়ক কাজ। যদিও এখন সবকিছুই অনেক সহজ হয়ে গেছে। ইন্সট্যান্ট ছবি তোলার সাথে সাথে মর্জি মাফিক ছবিকে পরিবর্তন করে নেয়ার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

লেখাটি ভালো ছিলো+++

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিয়মিত চশমা পরা মানুষের চশমা ছাড়া ছবি ভালো আসে না। আপনি যথার্থই বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই আকিব ইজাজ।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা। এরকম পোষ্ট পড়তে আমার ভীষন ভালো লাগে। অতীত বড় আনন্দময়।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুলিও আমি খুব উপভোগ করি।


ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেশ লাগল লেখাটা পড়ে। ফিক ফিক হাসি না শুধু হা হা হা হাসিও বেরিয়ে এলো অনায়াসে অনেক সময় পড়তে গিয়ে।
স্টুডিওর ছবি আর একটা মাত্র ছবি তুলে ভালো ছবি পাওয়ার আশা করা কি যে কঠিন সময় ছিল।

ধন্যবাদ মন ভালো করে দেয়া লেখার জন্য

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি পড়ে আপনার মন ভালো হয়েছে জেনে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করছি। রম্যরচনা তো পাঠকের মন ভালো করবার জন্যই, তাই না?

ধন্যবাদ বোন রোকসানা লেইস।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: মনে আছে ছোটবেলায় সাদাকালো ছবি তুলতে হতো মাথায় তেল না দিয়ে। ভুল করে একবার ছবি তুলে দেখি চুল সাদা হয়ে গেছে। তখনকার সাদাকালো ছবি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভাল থাকতো।

সকালে প্রথম পড়া গল্পটা দারুন লাগলো এবং আপনার পোস্টে আমার প্রথম মন্তব্য ভাল লাগা দিয়ে শুরু হলো।

শুভেচ্ছা রইল ।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমার আগামী লেখাগুলিও পড়বেন আশা করি।


ধন্যবাদ ঢুকিচেপা। জেন্ডার জানা থাকলে ভাই/বোন কিছু একটা সম্বোধন নিশ্চয় করতাম।

১২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৪

MD_AKASH বলেছেন: আপনাদের সেই ছবিটা দেখতে চাই। সুন্দর

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দুই ভাইয়ের সেই ছবিটা? ওটা আর খুঁজে পাচ্ছি না ভাই। দুইবার বাসা বদল করায় এ্যালবামটা যে কোথায় হারালো হদিশ নাই।


ধন্যবাদ ভাই MD_ AKASH

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গুরুজী দিলেনতো হাসিয়ে।
এই সময়ে হাসতে পারাও যেনো ভাগ্যের ব্যাপার। ভাল থাকবেন সবসময়।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এই সময়ে হাসতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার।

আড্ডাঘরে যাই না। তাই আপনাদের খোঁজ খবরও পাই না। কেমন আছেন আপনারা?

ধন্যবাদ সুজন ভাই।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একবার তরুন বয়সে বাবা মার সাথে ভিডিও ক্যামেরা কেনার জন্য গেলাম দোকানে। দোকানের সেলসম্যান অনেকভাবে আমাদের বুঝালেন তাদের পণ্য সম্পর্কে। এক পর্যায়ে ক্যামেরা টেস্ট করার জন্য আমার কিছু ভিডিও করে দেখালেন। সেলসম্যান ভিডিও দেখে বলল আপনার চেহারা ফটোজেনিক। আমি খুশিতে গদ গদ হয়ে বাবা মা কে বুঝিয়ে অন্য কোনও দোকানে না যেয়ে ক্যামেরাটা কিনে ফেললাম। আমার বাবা মাঝে মাঝে বলত ভালো সেলসম্যান ছাইও ভালো দামে বেচে দিতে পারে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেলসের উপরে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে রীতিমতো গবেষণা হয়। ভালো সেলসম্যান কখনো কাস্টোমার হাতছাড়া করে না। সেলসের কলা কৌশল সম্পর্কে তারা অভিজ্ঞ ও দক্ষ। আপনার বাবা ঠিকই বলেছেন। দক্ষ সেলসম্যান অচল জিনিষও ভালো দামে বেচে দিতে পারে।
দ্বিতীয়বার পোস্টে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ক্ল্যাসিক লেখা। লেখক হিসাবে আপনার অসাধারণ শক্তিমত্তায় মুগ্ধ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় আবু হেনা ভাই।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সোনাবীজ-। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে আবার এলাম আপনার ব্লগে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনি সর্বদাই সুস্বাগত।

১৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছবি তুলতে গিয়ে ঘোড়া-গাধা সব একসাথ হয়ে গেল দেখি :)

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেকটা সেরকমই।


ধন্যবাদ ভাই তারেক ফাহিম।

১৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: বাহ চমৎকার স্মৃতিকথা। হাসলাম। আমার নিজেরও ক্যামেরা ফেস ভালোনা। কত ছবি যে ছিড়ে কুটি কুটি করেছি মনের দুঃখে।
নিরন্তর শুভকামনা হেনা ভাই্ ।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। যাক, আমার দুঃখের সাথী একজন পেলাম।


ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক।

১৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা ... চমৎকার স্মৃতিচারণ।ক্যামেরার একাল সেকাল নিয়ে আপনার জীবনের সাতকাহন পড়ে পুলকিত হলাম। তবে একেবারে শেষে কক্সবাজার সৈকতে আপনি কিন্তু খচ্চরের পিঠে উঠেছিলেন বলে আমার বদ্ধমূল ধারণা।

শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয়।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয়, আপনার ধারনাই ঠিক। খচ্চর তো ঘোড়া ও গাধার ক্রস, তাই না? এত বছর পর মনে হচ্ছে, ওটা খচ্চরই হবে। হায় আল্লাহ! আমরা কী বোকা!


হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরি। ভালো থাকবেন।

২০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে গাধায় ছড়ানো হয়েছিলো, গাধা রাগে গেলে, কিংবা ভয় পেলে দৌঁড়ে, পিটালে দৌঁড়ে না।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হায় আল্লাহ! এ আবার কেমন প্রানী? রেগে গেলে বা ভয় পেলে দৌড়ায়। পিটালে দৌড়ায় না। উহ! এই বুড়ো বয়সেও কত কি জানার আছে! হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।


২১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা ভাইয়া হাসতে হাসতে মরেই গেছি। গাধায় চড়লে শেষ মেষ ভাইয়ামনি!!!

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন কেউ কেউ বলছে, ওটা নাকি গাধা নয়, খচ্চর ছিল। কি বিড়ম্বনা! আসলে যে কিসের পিঠে চড়েছিলাম, তা' নিয়ে এত বছর পরেও কনফিউশন গেল না। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ বোন শায়মা। ভালো থেকো।

২২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




ওয়াও......... "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল, কিছুদূর যাইয়া মর্দ রওয়ানা হইল।"
এই অভাজন পাঠককেও আপনার বাক্স ক্যামেরার সাথে সাথে হাটিয়া হাটিয়া চলিতে হইয়াছে। ছবি রহস্য বুঝিতে গিয়া দৌঁড়ানো সম্ভব হয় নাই। আর লেখাতে যে জীবনের ছবি ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহাতে নিজের ছবি খুঁজিতেও বারংবার পিছনে ফিরিয়া গিয়া আবার নতুন করিয়া লেখার সাথে রওয়ানা হইতে হইয়াছে। B-) :(

নষ্টালজিক।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি নস্টালজিয়াতে ভুগেছেন, এটাই আমার লেখার সাফল্য।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকবেন।

২৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৪

লরুজন বলেছেন: আপনে সামু পাগলার ঘরতে বাইরইতে পারছেন? আপনারে বাইরইতে দিছে? এহন তো আর হেই ঘরে ডুকবার পারবাইন না!!! ভুইল্যা গেছিগা আপনে সামু ব্লগের ব্লগার!!! আপনে হইলেন গিয়া সামু পাগলার ব্লগার!!! ঘরের কতা পরে জানলো কেমনে???

১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আড্ডাঘরে আড্ডা দেওয়ার সময়েও আমি ব্লগে পোস্ট দিতাম। তবে তা' তুলনামুলকভাবে কম ছিল। আবার এখনো আমি আড্ডাঘর ছাড়ি নাই। নদীর পানি প্রবাহ সব সময় একরকম থাকে না।

ধন্যবাদ ভাই লরুজন।

২৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......... ক্যামেরা ফেইস নিয়েতো দেখি আসলেই বিড়ম্বনা ;)

ছবিগুলো লিখার এড করলে আমরা ১০০% সাপোর্ট করতে পারতাম। B:-/

১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখাটা প্রথম পোস্ট দেওয়ার সময় আপনি পড়েন নাই? আমার তো মনে হচ্ছে আপনি পড়েছিলেন।


যাই হোক, ১০০% সাপোর্টের আশ্বাস পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকুন।

২৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা দারুন মজা পাইলাম, তয় নিপুন দুরমুশের একডা ছবি জদি থাকতো তাইলে মজায় আরো মজা যোগ হইতো ;)
আমনে আসলে লোক ভালা না, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাঢ়ের মত হুদা হুদা ছুডো বাইডারে ঠাশ্। X((
পটলচেরা জানতাম ভাবুক কবি লেখকদের উপমা, আন্নে গিয়ানী মানুষ তাই জানলাম উহা রান্না ঘরের ভাষা, তাইলে হরিণ চক্ষু মনে হয় জঙ্গলের ভাষা অইবো! আর কাকচক্ষু যে কি অইবো হেইডা আন্নের কাছ থিক্যা শিখতে মুঞ্চায় ;) :D
আন্নের শালিকরে ভ্যাম্পায়ার বানাইয়া দিছে হা হা হা মজায় মজা। :D
চোখের লোনা জলে জানতাম মনের ভার লাঘব হইয়া মন নরম অয়, তয় সমুদ্রের লোনা জল ঠ্যাং বাহিত হইয়া যে মনের দরজা খুলিয়া উহাকে তুলার মত নরম করিয়া দেয় তাহা এখন জানিলাম ! এমুন মজাদার চমকপ্রদ উপমা ! আহা মারহাবা ! মারহাবা ! :D =p~
আমনের ঘোড়াটা মনে হয় ঘোড়াই ছিলো।
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্যবার গিয়েছি, রোগা দুর্বল ঘোড়া দেখেছি, বেচারাদের পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে ধুকতে দেখেছি কিন্তু গাধা কখনোই দেখিনি।
তবে গাধা থাকবেনা তা বলা যায়না, স্মৃতির গভীরে ডুব দিয়ে দেখুন তো ওটার নাকের থেকে একটু উপরের চামড়ায় সাদা গোল সার্কেল ছিল কিনা থাকলে গাধা।
তবে মাঝে মাঝে কিন্তু খচ্চরও দেখা যায় গাধ+ঘোড়ার ক্রস ব্রিডিং।
যাইহোক আপনার সিনেমাটিক বর্নণায় বিয়াপুক বিনুদিতু হৈলুম। :D
আন্নের পোষ্টে সামমা ভাইকে মিস করতাছি। ;)

(হেনা ভাই কেমন আছেন? শরীর স্বাস্থ্য ভাল আছে? নয়নতারাদের নিয়ে বেশ আনন্দেই আছেন নিশ্চয়ই। করোনার আতঙ্ক নিয়ে আর কতদিন যে চলতে হবে আল্লাহ্ মালুম। সাবধানে থাকুন ভাল থাকুন।)

১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে পুলক ঢালী ভাই যে! আপনারে অনেকদিন আড্ডাঘরে দেখি না। অবশ্য আমি নিজেও আড্ডাঘরে যাই না। শরীর স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নাই ভাই।

হাঁ, নয়নতারারা দুই বোনই এখন আমার বেঁচে থাকার রসদ। সকালে নয়নতারা ঘুম ভাঙ্গার পর ওর ঘর থেকে সোজা চলে আসে আমার ঘরে। আমার অথবা ওর দাদীর গলা জড়িয়ে ধরে আবার কিছুক্ষণ ঘুমায়। ওই সময়টা আমরা বেহেশতের শান্তি অনুভব করি। আর ছোটটা ওর মা ছাড়া আর কিছু বুঝে না। হাঃ হাঃ হাঃ।

ভালো থাকবেন পুলক ঢালী ভাই। নয়নতারাদের জন্য দোয়া করবেন।

২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটি পড়ে দাঁত লুকিয়ে মুচকি হাসি হাসলাম। :>

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ঠিক একসময় যেভাবে হাসতাম আমি।


ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.