নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ একটি জাল নোটের আত্মকাহিনী

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৮



আমি একশো টাকার একটি বাংলাদেশী জাল নোট। বাংলাদেশী হলেও আমার জন্ম কিন্তু পাকিস্তানে। এক বছর আগে সে দেশের এক শহরে একটি দোতলা বাড়ির ওপর তলার এক ঘরে আমার জন্ম। সে ঘরের দরজা জানালা সব সময় বন্ধ থাকে। ভেতরে বসে তিন চারজন লোক আমাদের জন্ম দেয়। সেখানে কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টারসহ অত্যাধুনিক আরও অনেক যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল নিয়ে তারা কাজ করে। আমার আরো হাজার হাজার যমজ ভাইয়ের জন্ম হচ্ছে সেই ঘরে। আমার মেজভাই পাঁচশো টাকা ও বড়ভাই হাজার টাকারও জন্ম হচ্ছে সেখানে। আরো আশ্চর্য কি জানেন? রূপি দাদা ও ডলার আংকেলেরও জন্ম হচ্ছে একই ঘরে।

আমার জন্মের মাত্র পনের দিন পর আমার অন্যান্য ভাইদের সাথে প্যাকেটবন্দী হয়ে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। ব্যাগের মধ্যে অন্ধকারে পড়ে থাকলেও আমরা যে বিমানে চড়ে আকাশপথে বাংলাদেশে আসছি সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। একজন পাকিস্তানি সুন্দরী মহিলা শাহজালাল বিমান বন্দরের বাইরে অন্য একজন সুন্দরী বাংলাদেশি মহিলার কাছে আমাদের ব্যাগটা হস্তান্তর করে ঢাকার একটি পাঁচ তারা হোটেলে চলে যান।

এরপর নানারকম লোকের হাত ঘুরে আমি এক পাইকারি গরু বিক্রেতার হাতে এসে পড়ি। আমার অন্যান্য ভাইরা এ হাত ও হাত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাঝে মধ্যে তাদের কারো কারো সাথে দেখা হলেও বেশিক্ষণ একসাথে থাকার সুযোগ হয়নি। গরু বিক্রেতার সৌজন্যে অল্পদিনের মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় আমার সফর করা হয়ে যায়। সফরের এক পর্যায়ে আবার ঢাকায় ফিরে এলে মতিঝিলের এক ব্যাংকের লোকেরা কি একরকম যন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং আমাকে আনফিট ঘোষণা করে টাকার বান্ডিল থেকে বের করে দেয়। যে লোকটি আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সে আমাকে দু’ভাঁজ করে পকেটে ভরে বাসায় নিয়ে আসে। কিছুদিন তার বাসায় আলমারির মধ্যে থাকার পর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আমার সাথে আরো একটি কুড়ি টাকার আসল নোট দিয়ে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনে লোকটি কেটে পড়ে। সিগারেট বিক্রেতা ছোকরা পরে বুঝতে পারলেও চাল ডাল তেল লবণ কেনার সময় সে এক মুদি দোকানদারের কাছে আমাকে চালান করে দেয়। দিনশেষে ক্যাশ মেলানোর সময় আমি ঐ দোকানের কর্মচারীদের হাতে ধরা পড়লেও পরদিন আমি কিভাবে কিভাবে যেন বাবুবাজারের এক পাইকারি চালের আড়তদারের হাতে এসে পড়ি। আড়তদার একশো টাকার বান্ডিলের মধ্যে লুকিয়ে আমাকে ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ব্যাংকের লোকেরা আমাকে চিনতে পেরে আবার বের করে দেয়।

উপায়ন্তর না দেখে আড়তদার লোকটি তার ঠিকাদার ছোট ভাইয়ের হাতে আমাকে তুলে দিয়ে আমার একটা গতি করতে বলে। ছোট ভাই আরো এক কাঠি সরেস। রোড এন্ড হাইওয়েজের এক ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে ঘুষ দেয়ার সময় একতাড়া নোটের মধ্যে লুকিয়ে আমাকে সে চালান করে দেয়। পরদিন তার ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার কথা।

কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ওয়ার্ক অর্ডারে সই না করে ঠিকাদারকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠালেন। টেবিলের ড্রয়ার থেকে আমাকে বের করে নোংরা ফেলার মতো করে ঠিকাদারের সামনে ফেলে দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার সাথে দু’নম্বরি? এই নোটটা এখনই বদলে দেন।’ ঠিকাদার ছেলেটি লাইটের আলোয় আমাকে ভালো করে উল্টে পাল্টে দেখে লজ্জিত হবার ভান করে বলল, ‘সরি, স্যার। আজকাল ব্যাংক থেকেও জাল নোট দিচ্ছে। আমরা কি করবো স্যার বলেন? আমি এখুনি বদলে দিচ্ছি, স্যার।’

এরপর ঠিকাদারের সাইট ম্যানেজারের হাত ঘুরে আমি এসে পড়লাম দৌলতদিয়ার এক পতিতার হাতে। দেহ বিক্রির টাকায় সে পতিতাপল্লীর মুদি দোকানে চাল ডাল কিনতে গেলে দোকানদার আমাকে নিতে রাজি হলনা। পতিতা মেয়েটি কেঁদে কেটে অস্থির। তবে এই পল্লীতে থেকে সে ইতিমধ্যে অনেক ছলা কলা শিখে ফেলেছে। পরদিন মোটাসোটা এক খদ্দেরের কাছ থেকে ফি পাওয়ার পর সে একটা আসল একশো টাকার নোট কৌশলে সরিয়ে ফেলে আমাকে খদ্দেরের হাতে দিয়ে বলল, ‘ফুর্তি করবার আইছেন জাল নোট নিয়া? বদলায়া দ্যান মিয়া!’

মোটা লোকটি সেতুর টোল আদায় করে। অতিরিক্ত ওজনের মালবাহী ট্রাক ছেড়ে দেয়ার জন্য সে ড্রাইভারদের কাছ থেকে চা পানি খাওয়ার পয়সা পায়। নিশ্চয় কোন হারামজাদা ড্রাইভার তাকে জাল নোটটি গছিয়ে দিয়েছে। সে আমাকে পকেটে রেখে পতিতা মেয়েটিকে একখানা আসল নোট দিয়ে মনে মনে বলল, ঠিক আছে, ব্যাটা তোদের টাকা আমি তোদের কাছেই উগরে দেব। দু’নম্বরি কাজে আমিও কম না।

এভাবে সত্যি সত্যিই আমি এক ড্রাইভারের হাতে এসে পড়লাম। ড্রাইভার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিল। পথে যাত্রা বিরতির ফাঁকে টিনের ছাউনি দেওয়া এক হোটেলের পেছন দিকের ঘরে এক হিজড়াকে দিয়ে গা মালিশ করিয়ে আমাকে তার হাতে গছিয়ে দিল সে। হিজড়া খুব খুশি। গা মালিশ করে সে পঞ্চাশ টাকার বেশি পায়না। আজ পেয়েছে একশো টাকা। সে আনন্দে ড্রাইভারের দেহের স্পর্শকাতর অঙ্গে আদর করে সুড়সুড়ি দিয়ে দিল এবং নিজের দু’হাতের তালুতে চাটা মেরে আমাকে চুমু দিয়ে ব্লাউজের ফাঁক গলিয়ে তার সমতল বুকের মধ্যে রেখে দিল।

এরপর আবার এক বোকা দোকানদারের হাত ঘুরে আমি চলে এলাম এক প্রাইমারী শিক্ষকের মানিব্যাগে। ভদ্রলোক পরে জাল নোট বুঝতে পেরে দোকানদারকে ফেরত দিতে গেলে দোকানদার ‘আমি দেইনি’ বলে মুখ ঘুরিয়ে বসে রইল। অনেক ঝগড়াঝাঁটি করেও যখন কোন কাজ হলনা, তখন ‘ঠিক আছে, এই নোট কিভাবে চালাতে হয় আমি জানি’ বলে প্রাইমারী শিক্ষক নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে আমাকে ক’দিন তার নিজের কাছে রেখে দিলেন। তারপর একদিন ভ্যানগাড়িতে শাক সবজী, পিঁয়াজ রসুন নিয়ে এক হকার তাঁর বাড়িতে এলে তাঁর স্ত্রী শাক সবজী আর পিঁয়াজ রসুন কিনে আমাকে দিয়ে হকারের দাম শোধ করলেন। হকার লোকটা চোখে একটু কম দেখে। আমাকে এপিঠ ওপিঠ উল্টে দেখে হাসিমুখে পকেটে রেখে সে সালাম দিয়ে চলে গেল।

কিন্তু পরদিন ভোরে সে পাইকারি রেটে মাল কেনার জন্য মোকামে গেলে তার মহাজন বলল, ‘জয়নাল, এই জাল নোটটা তুমি পাইলা কই?’
‘জাল নোট!’ আমাকে হাতে নিয়ে প্রায় চোখের সাথে ঠেকিয়ে আবার ভালো করে দেখে জয়নাল বলল, ‘এইডা জাল নোট?’
মহাজন পানের পিক ফেলে হাসতে হাসতে বলল, ‘তুমি আধাকানা মানুষ। কেউ না কেউ চালায়া দিছে। তুমি বুঝবার পার নাই। নোটটা বদলায়া দাও। এরপর থাইকা সাবধানে ট্যাকা পয়সা নিও জয়নাল। দিনকাল ভালো না।’

জয়নাল গরিব মানুষ। বাড়িতে আটটা মুখ। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে শাক সবজী বেঁচে আটটা মুখে ভাতের যোগান দিতে হয় তাকে। আমি জাল নোট শুনে সে কেঁদে ফেলল। মহাজন সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘আরে, তুমি কাঁনতাছ ক্যান্? তোমারে যেমন চালায়া দিছে, তুমিও তেমনি কারো কাছে চালায়া দিবা। দুনিয়ায় কত বোকা লোক আছে না!’
‘না, মহাজন।’ জয়নাল জামার আস্তিন দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল, ‘এই কাম আমি করবার পারুম না। আমি ঠকছি বইলা আর একজনরে ঠকাইতে পারুম না। এই নোট আমি অহনই পুড়াইয়া ফেলুম।’

জয়নাল হকারের কথা শুনে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে গেল। সর্বনাশ! আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে? গরু ব্যবসায়ী, সিগারেট বিক্রেতা, দোকানদার, আড়তদার, ব্যাংকের লোক, ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার, সাইট ম্যানেজার, টোল কর্মচারী, ড্রাইভার, শিক্ষক এমনকি বেশ্যা ও হিজড়াও এই ব্যাটা হকারের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। আমি জাল নোট হলেও ওরা আমাকে মেরে ফেলেনি। আর এই কানা হকার লোকটা কি বদমাশ্! বলছে, আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে!

আর সত্যি সত্যিই বদমাশটা তাই করলো। পকেট থেকে ম্যাচ বের করে আগুন জ্বালিয়ে আমাকে পুড়িয়ে দিল। আমি পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই না হওয়া পর্যন্ত বদমাশটা অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই দেখলো সে দৃশ্য। অথচ কেউ ‘ইন্নালিল্লাহ’ পর্যন্ত পড়লো না।
*****************************************************************************************************************
রি-পোস্ট
ছবিঃ নেট

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে চেনার উপায় সম্পর্কে কিছু বললে ভালো হত।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চেনার ব্যাপারে আগ্রহী থাকলে চেনা যায়।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা আমি আগে পড়ি নাই।
তবে এক শ' টাকার নোট জাল কম হয়। ৫ শ' বা এক হাজার টাকার নোট জাল বেশি হয়।
জাল নোট তো দেশেই হয়, আপনি পাকিস্তানের কথা বললেন কেন?

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যারা নোট জাল করে, তারা এটাও জানে যে পাঁচশো বা এক হাজার টাকার নোট মানুষ বেশি বেশি পরীক্ষা করে দেখে। ওগুলোতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় বেশি। তারপরেও এটা ঠিক যে, একশো টাকার নোটের চেয়ে অধিক মূল্যমানের নোটগুলো বেশি জাল হয়। আপনার কথা ঠিক।

একটা সময় ছিল, যখন পাকিস্তানে বাংলাদেশি জাল নোট সবচেয়ে বেশি ছাপা হতো। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ওদের হাত থেকে ফসকে যাওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া। প্রতিশোধস্পৃহা আর কি! বাংলাদেশেও কিছু কিছু জাল নোট ছাপা হতো না তা' নয়। এই গল্পটি সেই সময়ে লেখা। তাই সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আত্মকাহিনী টা চমৎকার হয়েছে।
খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা অসাধারণ। একটানে পড়ে গেছি।

একটা মতামত দিতে চাই প্রিয় আবুহেনা ভাই। 'শিক্ষক' আমাদের মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের অবস্থান সমুন্নত রাখতে হবে যে-কোনো উপায়ে। এ গল্পটা মহৎ একটা বার্তা দিতে পারে যদি জাল নোটটা একজন প্রাইমারি শিক্ষকের হাতে পোড়ানো হয়। তাতে একজন শিক্ষকের মাহাত্ম্য যেমন বাড়বে, গল্পটাও একটা সার্বজনীনতা পাবে। গল্পে এ শিক্ষকের হাত দিয়ে নোটটি হকারের হাতে দেয়ায় শিক্ষকের মান হানি হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে, যেটা নৈতিকভাবে আমাদের করা উচিত না। শিক্ষকের অংশটা নিতান্তই মোডিফাই করা না গেলে ঐ অংশটা বাদও দিয়া দিতে পারেন।

আরেকটা মতামত দিচ্ছি। জাল নোটের ব্যাপারে গ্রাউন্ড নলেজ পুরাই ভিন্নতর। এজন্য, কোনো সুনির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ না করে 'একটা প্রতিবেশী দেশ' বললে তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

শুভ কামনা থাকলো প্রিয় আবুহেনা ভাই সুন্দর এ গল্পটার জন্য।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষিত মানুষ অপকর্ম করে না, এই ধারনার সাথে আমি একমত নই। বরং আজকাল শিক্ষিত শ্রেনির মধ্যেই অপকর্মের প্রবণতা বেশি। আমাদের সমাজে বাস্তবে যা ঘটে চলেছে, সেটাই তুলে ধরেছি। অতএব, কারো কোন মানহানি হয়নি।


আরেকটা মতামত দিচ্ছি। জাল নোটের ব্যাপারে গ্রাউন্ড নলেজ পুরাই ভিন্নতর। এজন্য, কোনো সুনির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ না করে 'একটা প্রতিবেশী দেশ' বললে তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।


ভাই, ২ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা যাবে না কেন আমার বোধগম্য নয়। তারা আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপকর্ম করেছে। সেসব কথা বলতে পারছি। কিন্তু তারা আমাদের নোট জাল করে আমাদের অর্থনীতিকে ধংস করার চেষ্টা করছে, এ কথা বলতে পারবো না কেন? আপনি অনুসন্ধান করে দেখুন, এক সময় পাকিস্তান থেকে বহু লোক জাল নোট নিয়ে শাহজালাল বিমান বন্দর ও পাঁচ তারকা হোটেল গুলোতে ধরা পড়তো।

ধন্যবাদ ভাই সোনাবীজ।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটি জালনোটের অসাধারন ভ্রমন কাহিনী ....

সোনা ভাইর সাথে সহমত।
আর সবশেষে সবচে অসহায় লোকটার হাতেই ন্যায় সমাধা চলমান সমাজের বাস্তবতারই ছায়া!
সো কলড চালাকরা সবসময়ই অপকৌশলেই চলে। বোকা আর সৎ গরীবের মাঝেই প্রকৃত কাজ করার ইচ্ছে বেঁচে থাকে।

+++

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বোকা আর সৎ গরীবের মাঝেই প্রকৃত কাজ করার ইচ্ছে বেঁচে থাকে।


আপনি যথার্থই বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আজকাল শিক্ষিত শ্রেনির মধ্যেই অপকর্মের প্রবণতা বেশি। প্রিয় আবুহেনা ভাই, শিক্ষিত মানুষ আর 'শিক্ষক' কথাটা এক না। 'শিক্ষকদের' এভাবে গল্পে হেয় করতে হয়ত আপনি পারেন, তবে, আমার স্বল্প-অধীত বাংলাসাহিত্যে শিক্ষকদের কোথাও হেয় করতে দেখি নি।

আর প্রিয় আবুহেনা ভাই, আপনি হয়ত খেয়াল করেন নি, যে আপনার রিপ্লাইটা অনেক হার্ড হয়েছে, যা অন্য অনেক ব্লগারের কাছ থেকে আশা করা গেলেও অন্তত আপনার কাছ থেকে এত হার্ড রিপ্লাই পাব, এটা আমি ভাবি নি।

ভালো থাকবেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, অহেতুক তর্ক বিতর্ক আমি মোটেই পছন্দ করি না। আমার রিপ্লাই যদি আপনার কাছে হার্ড মনে হয়ে থাকে, তাহলে আমি দুঃখিত।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই নোট দেখি বহুতই চাল্লু মাল! মুখের কথা বুঝে তো বুঝেই, আবার মনের কথাও বুঝে! একে পোড়ানো ঠিক হয় নাই। একটু ডলা দিলেই বাবাজি সুড়সুড় করে তার জন্মস্থানের নাড়ি-নক্ষত্র সব বলে দিতো! বিরাট সুযোগ মিস হয়ে গেল। :-B

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডলা দিয়ে কথা বের করতে গেলে নোটের দফা রফা হয়ে যেত। হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: রি-পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই। এই চমৎকার গল্পটি আগে পড়া হয়নি। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলছি। আপনি কোন পেশাকেই রেয়াত করেননি বা প্রতিবেশী বলে কোন vague term ব্যবহার করেননি বলে গল্পটি আরও ভাল লাগলো। সত্য অধিকতর সুন্দর।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এই কারনেই (সম্ভবত রাজকাপুর) মুভি বানিয়েছিলেন, সত্যম শিবম সুন্দরম। জিনাত আমানের ছবি। দেখেছেন হয়তো। দেখে থাকলে ডাইরেক্টরের নাম মনে আছে কী? রাজকাপুর, নাকি দেবানন্দ?


ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আর্কিওপটেরিক্স।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফ্রিকার কিছু নাগরিক বাংলাদেশে প্রায়ই জাল নোট তৈরি করে ।
এই ধরনের চক্র মাঝে মাঝে পুলিশ ধরে ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয় কে জানে।

আফ্রিকানদেরকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত নয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। এটা নিকট অতীতেরই ঘটনা। শেষ পর্যন্ত কি হয়, ফলো আপ না থাকার কারণে আমি নিজেও বুঝি না।


আফ্রিকানদেরকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত নয়।

আমি আপনার সাথে একমত। তবে সরকারি পর্যায়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা না থাকাই উচিৎ।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জাল নোট তৈরি করলে 500 ও 1000 টাকার জাল নোট তৈরি করা বেশি লাভজনক।
এর একটা নোট চালিয়ে দিতে পারলেই অনেক লাভ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেটা ঠিক। তবে বড় নোট মানুষ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। ধরা পড়ে গেলে লাভের পরিবর্তে লোকসানের ঝুঁকিও আছে।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি যদি জাল নোট নাও তৈরি করেন জালনোট আপনার সাথে পেলে আপনাকেও শাস্তি দিবে কর্তৃপক্ষ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, অবশ্যই। আপনি সঠিক আইনের কথাই বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

ইসিয়াক বলেছেন: অসাধারণ লাগলো আপনার একটি জাল নোটের আত্মকাহিনী

শুভকামনা রইলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক।

শুভকামনা আপনার জন্যেও।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: দুর্দান্ত গল্প লিখেছেন । সৃষ্টিশীলতা বিদ্যমান গল্পতে । একটা জালনোটের সময়কালে এরকমটাই ঘটে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আজিজ ভাই।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: বিদেশে ব্যাংকে জাল নোট জমা দিলে মেশিনে ধরা পড়া মাত্রই তা পাঞ্চ করে একাধিক ফুটো করে দেয়। বাংলাদেশে এখন কিছু না করে জাল টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত দেয় কিনা জানিনা।

গুগল করে জানলাম সত্যম শিবম সুন্দরম ফিল্মটা ডাইরেক্টর রাজ কাপুর। এই ছবির দু একটা গান শুনলেও মুভিটি দেখিনি হেনা ভাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওটা আমিও জানি না। পাঞ্চ করার সিস্টেমটা ভালো।

এই যে দেখুন, আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে কোলকাতার মেট্রো সিনেমা হলে বসে ছবিটা দেখেছিলাম। ডাইরেক্টরের নাম এখনো মনে আছে। তার মানে আমার মেমোরি এই বয়সেও ভালো আছে। তাই না? হাঃ হাঃ হাঃ। (এক গাল অট্টহাসির ইমো হবে)

গুগল করে তথ্যটা বের করার ঝক্কি পোহানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই শুভ_ ঢাকা।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: একেবারেই অন্যরকম একটি আত্মকাহিনী। ছোটবেলায় একটা কথা শুনতাম যে টাকার মাঝে একটা সুতা দেখা যেত। সেই সুতা যদি দেখা না যায় তবে সেটা জাল নোট। সত্যমিথ্যা জানি না।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিকই শুনেছিলেন। কিন্তু আজকাল সেই সুতাও দেখা যায়। যারা তৈরি করে, তারা যথাসম্ভব নিখুঁত করে তৈরি করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মাঝে জাল নোট চেনার সুবিধার্থে ঐ নোটের ত্রুটি বিচ্যুতি গুলো ডিকটেট করে ছবি সহকারে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করে থাকে।

ধন্যবাদ ভাই ঢাবিয়ান।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: যাক রিপোস্টের কারণে দারুণ একটা গল্প পড়া হলো।
ইউনিক আইডিয়ায় গল্প লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাস্তবতার ছাপ আছে।আমিও টাকা জমা দিতে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়েছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মতো অনেকেই এমন সমস্যায় পড়েন।


ধন্যবাদ ভাই নুরুলইসলা০৬০৪।

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম এবং আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৩

শোভ বলেছেন: এই জাল নোটটা পতিতা বা হিজড়ার হাতে পুড়ালে ভাল হত , পাকিস্তানে তৈরী তো তাই বলছিলাম আর কি ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সকালে উঠে আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে হাসলাম কিছুক্ষণ। ভালোই বলেছেন।


ধন্যবাদ শোভ। ভালো থাকবেন।

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বেচারা জাল নোট। শেষ পর্যন্ত এই ছিলো তার ভালে? ভেবেছিলো খুব এক হাত দেখে নেবে বোকা মানুষগুলোকে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জাল তো জালই, তাই না? মানুষের মধ্যে যারা জাল, তাদেরও এই অবস্থা হয় শেষ পর্যন্ত।


ধন্যবাদ কবিতা পড়ার প্রহর। ভালো থাকবেন।

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২

জোবাইর বলেছেন: গল্পটা সুন্দর হয়েছে। এটা তো গল্প নয়, সত্যিই। জাল টাকার ব্যাপারে তাই তো হয়। আপনি শুরুতে বন্ধনীর মধ্যে লিখতে পারতেন "সত্য কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে" :)। জাল নোট প্রায় সব দেশেই কমবেশি তৈরি হয়। তবে পাকিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবেশি ও শত্রু দেশের আর্থিক ক্ষতি করার জন্য সেসব দেশের জাল নোট তৈরি করা হয়। গল্পে ++

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ওরা ভারতের রূপিও জাল করে। আর এটাও সত্যি কথা যে, ওদের এই অপকর্মের পেছনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকে।


ধন্যবাদ ভাই জোবাইর। ভালো থাকুন।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জারজ টাকার আত্মকাহিনী পড়ে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ আশরাফ ভাই আপনি পারেনওওওওওওওওও!

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নুর মোহাম্মদ ভাই।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.