নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং নাগরিকত্ব লাভের বিধিবিধান:
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গভর্নমেন্টের কাছে একাধিক বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। অভিবাসন সংক্রান্ত বিধিবিধানগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হওয়ার ফলে এই প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে পড়েছে। অভিবাসন আইন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ছাড়া ব্যক্তি নিজে থেকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক তার আত্ময়ের জন্য দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। একজন মার্কিন নাগরিক তার স্বামী বা স্ত্রী, পিতা-মাতা, অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে, যাদের বয়স ২১ বছরের কম, এবং ১৬ বছরের কম বয়সের দত্তক সন্তানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আত্মীয়তা সূত্রে অভিবাসন ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার বাৎসরিক সংখ্যা সীমা নির্ধারণ করে নাই। ফলে যেকোনো সংখ্যক লোক প্রতিবছরই আত্মীয়তা সূত্রে অভিবাসন ভিসা পেতে পারে, এজন্য কোন অপেক্ষমাণ সময় বলে কিছু নাই। তবে ভিসা দরখাস্ত প্রক্রিয়াকরণ করতে যে সময়টুকু লাগবে সেই সময়টুকু ছাড়া।
পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক তার দূর সম্পর্কের আত্ময়ের জন্য দরখাস্ত দাখিল করলে তা বাৎসরিক কোটা অনুযায়ী এবং অগ্রাধিকার ধরণ হিসাব হবে। যেমন-অবিবাহিত সন্তান যার বয়স ২১ বছর বা তার বেশি, তাদের অগ্রাধিকার প্রথম। আবার ভাই-বোনের অগ্রাধিকার সবচেয়ে পরে।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব আইন (8 U.S.C., chapter 12) বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতি বছর ৬,৭৫,০০০ জনকে অভিবাসন ভিসা প্রদান করে। কংগ্রেস এবং প্রেসিডেন্ট এর বাইরে কতজন রিফিউজিকে আসার অনুমতি দেয়া হবে তার সংখ্যা নির্ধারণ করেন। ঐতিহাসিক ভাবেই পরিবারের সদস্যদের পুনরেকত্রীকরণ, অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে এমন দক্ষ লোক নিয়ে আসা এবং রিফিউজিদের আশ্রয় দেয়ার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন ও নীতি ঠিক করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন – ১
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন – ২
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন – ৩
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন – ৫
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমার কিছু কথা ঢাকার লোক বলে দিয়েছেন।
জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন দেশ ভাল, কোন দেশ খারাপ এটা আমার আলোচনার বিষয় না।
আয়-রোজগারের বিষয়টা ব্যক্তির নিজস্ব উদ্যোগ এবং আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশে যেমন হাজার কোটি টাকার মালিক আছে, আবার রাস্তায় ভিক্ষা করে এমন লোকও আছে। আমিরিকাতেও তাই, সৌদি আরবেও তাই।
তবে অন্য দেশের তুলনায় আমেরিকাতে ব্যক্তি উদ্যোগের সুযোগটা বেশি। কেউ যদি সঠিক ভাবে চেষ্টা করে তার উন্নতির অনেক সুযোগ এখানে আছে।
বুয়েট থেকে পাশ করা তুখোড় প্রকৌশলী হয়তো সঠিক লাইনটা খুঁজে পাননি।
২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ঢাকার লোক বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদকে বলছি,
ভালো বা খারাপ থাকা একজন বা দুইজনের ব্যাক্তিগত অবস্থা দেখে বিচার করা মনে হয় না ঠিক , সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা এখনো Saudi আরবের তুলনায় থাকার জন্য অনেক বেশি পছন্দনীয় ( ধর্মীয় বিবেচনায় হয়তো বা নয় ), এখনো অনেক Bangladeshi প্রফেশনালস সৌদি বা অন্যান্য আরব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায অভিবাসন নিয়ে আসেন . একটা বড় পার্থক্য হলো ঐসব দেশে স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি দেয় না যা যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা এখনো দেয় . এবং লেখক এখানে সেই অভিবাসন আইন সম্বন্ধেই আলোকপাত করছেন মাত্র । কে কোথায় ভালো থাকবেন সে আল্লাহই ভালো জানেন ।
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার কথাগুলিই আপনি বলে দিয়েছেন।
আমেরিকাতে অনেকেই খুব ভাল করছে, ভাল আয় করছে।
আবার অনেকেই তেমন ভাল করতে পারছে না।
যে ভাল করছে তাকে দিয়ে যেমন সব বিচার করা যাবে না, তেমনি যে খারাপ করছে তাকে দিয়েও সব বিচার করা যাবে না।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভিসার অপেক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি।
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
কি ধরণের ভিসা?
৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখাটি জনগুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ।
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
একটা সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য, খুব সাধারণ ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এক জীবন ও তার সমস্ত কর্মক্ষমতা ব্যায় করে যুক্তরাষ্টের জীবন মোটেও আনন্দময় নয়, আমরা জানি বাংলাদেশে রাজনৈতিক কলহ সহ যাতায়াত ব্যাবস্থা খারাপ ও খাদ্যদ্রব্য ভেজাল তবে আমার নিজে দেখা যুক্তরাষ্টে অবস্থিত একজন বুয়েট থেকে পাশ করা তুখোড় প্রকৌশলী যেমন আছেন তার চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ গুন ভালো আছেন একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আদমের দেশ সাউদি আরবে ।