নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ডাঃ সেমিউল আলেক্সান্ডার মাড
ডাঃ মাডের বাড়ি বর্তমানে মিউজিয়াম
জন উইলক্স বুথ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে হত্যা করে পালানোর সময় ঘোড়া থেকে পরে যেয়ে তার পা ভেঙে যায়। ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসার জন্য সে ভোর চারটার দিকে ডাঃ মাডের এই বাড়িতে আসে। ডাঃ মাড তারা চিকিৎসা করেন এবং রাতে তার বাড়িতে থাকতে দেন। পরে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার যাবতজীবন কারাদণ্ড হয়।
ভাঙা পায়ে বেন্ডিস করার পর ডাঃ মাডের বাড়ির দোতালার প্রথম রুমের এই বিছানায় জন উইলক্স বুথ রাত্রিযাপন করে।
ডাঃ মাডের ডাইনিং টেবিল
বেডরুম
হলওয়ে
বাচ্চাদের বেডরুম
তবে এই বিচারের রায় নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যেহেতু আগ্রহ দেখিয়েছেন তাই আরো কিছু তথ্য সংযোজন করলাম।
১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে হত্যা করা হয়। আর ২৬ এপ্রিল ডাঃ মাডকে গ্রেফতার করা হয়।
এই বছরেই ১ মে প্রেসিডেন্ট জনসন লিংকন হত্যা বিচারের জন্য নয় সদস্যের একটা সামরিক কমিশন ঘটনা করেন। ১০ মে বিচার শুরু হয়। অন্যান্য আসামিরা হলেন, মেরি সুরাট, লুইস পাওয়েল, জর্জ এটজিরোড, ডেভিড হেরাল্ড, মাইকেল ও'লাউঘলান, এডমান্ড স্প্যাংলার এবং স্যামুয়েল আর্নল্ড। এই মামলায় ৩৬৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া হয়।
২| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিউত্তর।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনিও যেহেতু আগ্রহ দেখিয়েছে, তাই আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য।
নয় জন বিচারকের মধ্যে ৪ জন ডাঃ মাডকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং ৫ জন যাবতজীবন দণ্ড দেন। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে তার যাবতজীবন হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তারপর আরো অনেক ঘটনা তার জীবনে ঘটে।
৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৫
বিজন রয় বলেছেন: জানলাম।
আমি কিন্তু আগ্রহ দেখাইনি।
৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আগ্রহ না দেখিয়েই যেহেতু কিছুটা জেনে ফেলেছেন, তাই আরেকটুকু জানুন।
কারাদণ্ড ভোগ করার জন্য ডাঃ মাডকে ফ্লোরিডার ফোর্ট জেফার্সনে পাঠানো হয়।
১৮৬৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ডাঃ মাড কারাগার থেকে পালতে চেষ্টা করে ধরা পরেন। ফলে পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে একটা অন্ধ প্রকোষ্ঠে তাকে বন্দি করে রাখা হয়। এই বিষয়টা জানিয়ে তার স্ত্রী প্রেসিডেন্ট জনসনের কাছে চিঠি লিখেন। এই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের আদেশে তার ডাণ্ডাবেড়ি খুলে দেয়া হয়।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যেহেতু ভাল লেগেছে, তাহলে আরো একটুকু শুনুন।
যেহেতু তিনি ডাক্তার ছিলেন, তাই তাকে কাজ দেয়া হয়েছিল কারাগার হাসপাতালে। কিন্তু পালানোর ব্যর্থ চেষ্টার পর তাকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে কাঠমিস্ত্রির কাজ দেয়া হয়। ১৮৬৭ সালে কারাগারে পীতজ্বর মহামারী আকারে দেখা দিলে অনেক কয়েদি এতে মারা যায়, এমনকি কারাগারের ডাক্তারও মারা যায়। ওই সময়ে তাকে কারাগারের ডাক্তার হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তিনি সফল ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। দুর্গের সৈনিকরা এই কথা চিঠি লিখে প্রেসিডেন্ট জনসনকে জানায়। এরপর কয়েদি থাকা অবস্থায় তাকে প্রভোস্ট মার্শাল অফিসের কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয় এবং পরে দণ্ড মৌকুফ করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০২
শামচুল হক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ