নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১. বিয়ারে এলকোহল থাকে। মনে রাখবেন "এলকোহল ফ্রি" বিয়ারেও ০.০৫% এলকোহল থাকে।
২. ব্লাড সুগার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। লিভার সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে গ্লোকোজ রূপান্তর করে রক্তে প্রবাহিত করে। বিয়ারে থাকা এলকোহল এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। ফলে ক্ষুধার মাত্রা বেড়ে যায় এবং বেশি খাওয়া হয়। এতে ওজন বাড়তে থাকে।
৩. বিয়ারে অধিক মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। আবার বিয়ারে থাকা এলকোহল এই ক্যালরিকে ব্যবহার করতে দেয় না। এলকোহলের কারণে লিভার বিয়ারকে এসিটাইট (acetate) এ রূপান্তর করে। তখন শরীর এই এসিটাইট (acetate) কে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। আর এইদিকে অতিরিক্ত চর্বি পেটে আর পাছায় জমা হতে থাকে।
৪. বিয়ার প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই এন্টিডাওরেটিক (Antidiuretic) হরমোন শরীরের পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বিয়ার এই হরমোনের নিঃসরণকে বাধা দেয়। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং অনেক ঘাম হয়। যারা বেশি পরিশ্রম করে এতে তাদের শরীরের ক্ষতি হয়।
৫. বিয়ারে গ্লুটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে এলার্জি এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
৬. বিয়ার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৭. বিয়ার ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়।
৮. বিয়ার বুকজ্বালা বাড়িয়ে দেয়। বিয়ার গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গেস্ট্রো-এসোফেগাল রিফ্লেক্স (gastro-oesophageal reflux) শুরু হয়, যা বুক জ্বালার কারণ।
৯. বিয়ার কদাকার বিয়ার বেলী (Beer Belly) সৃষ্টি করে। কেউ যদি "ভুরিওলা", "জালা ওলা" বা "ড্র্যাম্বল" না হতে চান, তা হলে বিয়ার খাবেন না। মনে রাখবেন একবার ভুঁড়ি হয়ে গেলে এটা দূর করা অনেক কঠিন।
১০. বিয়ার পান একধরণের নেশা এবং এর প্রভাব আছে। যেহেতু এর মধ্যে এলকোহল আছে তাই বিয়ার স্নায়ু এবং মটর স্কিলের উপর প্রভাব ফেলে। যারা গাড়ি চালান বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ মেশিন চালান তাদের এক্সিডেন্ট হতে পারে।
১১. বিয়ার কোন কোন ওষুধের উপরও প্রভাব ফেলে। সব ধরণের ঘুমের ঔষধ, এরিথ্রোমাইসিন এইগুলির উপর বিয়ারের প্রভাব আছে। এই ঔষধগুলি সাথে বিয়ার খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও আরো অনেক এন্টিবায়োটিকের সাথে প্রতিক্রিয়া করে।
সর্বশেষ:
কেউ কেউ বলবেন আমি তো মাঝে মাঝে সামান্য খাই।
মনে রাখবেন, যে কোন নেশা মাঝে মাঝে সামান্য দিয়েই শুরু হয়।
যারা দিনে দুই প্যাকেট সিগারেট খান, তারা কিন্তু মাঝে মাঝে দুই এক টান দিয়েই শুরু করে ছিলেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
নানান ধরণের মানুষ আছে।
কেউ এই পোস্ট পড়ে সচেতন হবে, আবার কেউ না পড়েই সচেতন আছে।
আবার কিছু মানুষ আছে তাদেরকে যতই সচেতন করার চেষ্টা করেন তারা সচেতন হবে না।
আপনি দেখেছেন, সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে সতর্কবাণী লেখা আছে।
"ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক"
"ধূমপানে ক্যান্সার সহ অনেক রোগ হয়" ইত্যাদি।
এই কথাগুলি লেখা থাকা সত্ত্বেও যারা সিগারেট খান তারা কিন্তু ঠিকই সিগারেট কিনছেন এবং খাচ্ছেন।
সুতরাং এই লেখা পড়েই একজন সতর্ক কয়ে বেয়ার খাওয়া ছেড়ে দিবে এটা ভাবা ঠিক না।
২| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিয়ার কখনো খাইনি। শেষ বয়সে আর খাওয়ার ইচ্ছাও নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এটা আপনার একটা ভাল অভ্যাস।
না খেয়ে ভাল কাজ করেছেন।
আর খাওয়ায় ইচ্ছা নাই, এটাও অনেক ভাল।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিয়ার টিয়ার খাই না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
খান না সেটা ভাল।
আর খেলেও আমার কিছু করার নেই।
আমি খারাপ ভালটা বলে দিলাম।
তারপর যার যার ইচ্ছা।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: সহমত স্যার। আমিও একে মনেপ্রাণে ঘৃণা করি। সিগারেট, পান ও গুটকা পান মসলা
এগুলোও কিন্তু বিয়ারের চেয়েও ভয়ংকর। সময় থাকতে সাবধান হোন।
আসুন, আমরা সমাজকে নেশামুক্ত করে তোলার জন্য সংগ্রাম করি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন।
সব নেশা জাতীয় দ্রব্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৩
কূকরা বলেছেন: ইউনুস আলী আকন্দ আর আপনে কি একই লোক?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
না, ইউনুস আলী আকন্দ আর আমি একই লোক না।
আমার নাম মোহাম্মদ আলী আকন্দ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উপকারী পোস্ট। মানুষগুলো কেনো যে সচেতন হয় না