নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ইন্ডিয়াতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি অরুণাচল প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন। চীন অরুণাচল প্রদেশকে "দক্ষিণ তিব্বত" বলে দাবি করে। এই সফর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের একটা ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত। এই অঞ্চল নিয়ে ইন্ডিয়া-চীন বিরোধে আমেরিকার ভবিষ্যৎ অবস্থানের একটা ইঙ্গিত। আমেরিকা জানে এই সফর নিয়ে চীন তার স্বভাব সুলভ ভাবে কঠোর এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আশ্চর্যের বিষয় গারসেটির সর্বশেষ সফরে চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই অঞ্চলে সর্বশেষ আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সফর ছিল ২০১৯ সালে। তখন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী তাওয়াং সফর করেছিলেন। অতীতে চীন আমেরিকার কূটনৈতিক সফরের কঠোর সমালোচনা করেছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভার্মার ২০১৬ সালে অরুণাচল প্রদেশ সফরের পরে চীন বলেছিল, "আমেরিকার হস্তক্ষেপ কেবল বিরোধকে আরও জটিল করে তুলবে, সীমান্ত অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করবে এবং এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।"
এই সফরের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় আমেরিকার যুদ্ধ বিমানগুলি হিমালয় পর্বতের উপর দিয়ে উড়ে এসে চীনকে সাহায্য করতো। কিন্তু এই রুট ছিল বিপদজনক। বেশ কয়েকটা আমেরিকান বিমান এই দুর্গম পথে জঙ্গল এবং পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এখানে জাদুঘরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অরুণাচল প্রদেশে বিধ্বস্ত আমেরিকান বিমানের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। সুতরাং আমেরিকার কাছে এই পথের একটা গুরুত্ব আছে, যা চীন জানে।
২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা [Line of Actual Control (LAC)] বরাবর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এর ইয়াংটস অঞ্চলে ইন্ডিয়া ও চীনা সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রায় এক বছর পর আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সফর এই অঞ্চলের স্পর্শকাতর বিষয়টি স্পষ্ট করে। ঐ সংঘর্ষে চীনা সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। খবরে বলা হয় ওই সময় আমেরিকা অরুণাচল প্রদেশে চীনের অনুপ্রবেশকে ব্যর্থ করার জন্য ইন্ডিয়াকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল।
[তথ্য যাচাই এবং গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।]
সূত্র: নিউজউইক, পিপলস ডেইলি অনলাইন, নিউজ টুডে, ডন, ডেইলি পাকিস্তান।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ কার পক্ষে থাকবে এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. বাংলাদেশের স্বার্থ: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এবং এর নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের কোন স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
২. বাংলাদেশের নিরাপত্তা: বাংলাদেশের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
৩. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের কারণে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করতে বাধ্য হতে পারে।
বাংলাদেশের স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বিবেচনা করে বলা যায় যে, চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করতে পারে। যেমন, যদি যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের স্বার্থ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথবা যদি যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
যদি চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগে, তাহলে বাংলাদেশকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
১. যুদ্ধের অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা।
২. যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা।
৩. যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করা।
বাংলাদেশের এই পদক্ষেপগুলি যুদ্ধের ক্ষতি কমাতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫২
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমেরিকা চীনের চারপাশে গন্ডগোল পাকিয়ে তাকে খোঁচাতে মজা পায়, দুইদিন পর বাংলাদেশ ও সেই খোঁচানোর ক্ষেত হিসেবে আবির্ভূত হবার সম্ভবনা আছে
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে সত্য নয়। আমেরিকা চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করে, কিন্তু এটি চীনের চারপাশে গন্ডগোল পাকিয়ে তাকে খোঁচাতে মজা পায় এমন নয়। আমেরিকা চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় সফল হতে চায়, এবং এর জন্য এটি চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং কূটনৈতিক শক্তিকে হ্রাস করতে চায়।
আমেরিকা চীনের সাথে প্রতিযোগিতার জন্য যে পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে:
১. চীনের অর্থনীতিকে হ্রাস করার জন্য বাণিজ্য যুদ্ধ পরিচালনা করা।
২. চীনের সামরিক শক্তিকে হ্রাস করার জন্য সামরিক জোট গঠন করা।
৩. চীনের কূটনৈতিক প্রভাবকে হ্রাস করার জন্য অন্যান্য দেশগুলিকে চীনের বিরুদ্ধে ঝুঁকিয়ে নেওয়া।
বাংলাদেশ আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি, এবং এটি ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে অবস্থিত। আমেরিকা এবং চীন উভয়ই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়।
তবে, বাংলাদেশ আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র হয়ে উঠবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এবং এটি কোনও দেশের উপর নির্ভরশীল নয়। বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থ অনুসারে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেবে।
আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে বাংলাদেশ যে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
১. বাংলাদেশের উপর আমেরিকা এবং চীনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া।
২. বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া।
৩. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়া।
বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
১. আমেরিকা এবং চীনের সাথে সমান দূরত্ব বজায় রাখা।
২. জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।
৩. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা করা।
বাংলাদেশের এই পদক্ষেপগুলি আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: শূন্য সারমর্ম বলেছেন: চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ কার পক্ষে থাকবে?
অবশ্যই ভারতের পক্ষ নেবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ কার পক্ষে থাকবে এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. বাংলাদেশের স্বার্থ: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এবং এর নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের কোন স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
২. বাংলাদেশের নিরাপত্তা: বাংলাদেশের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
৩. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের কারণে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করতে বাধ্য হতে পারে।
বাংলাদেশের স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বিবেচনা করে বলা যায় যে, চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করবে না।
তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িত কোনও দেশকে সমর্থন করতে পারে। যেমন, যদি যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের স্বার্থ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথবা যদি যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
যদি চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগে, তাহলে বাংলাদেশকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
১. যুদ্ধের অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা।
২. যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা।
৩. যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করা।
বাংলাদেশের এই পদক্ষেপগুলি যুদ্ধের ক্ষতি কমাতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
চীন ও ভারত যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশ কার পক্ষে থাকবে?