নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ডাঃ স্যামুয়েল এ. মুড হাউস হল মেরিল্যান্ডের ওয়াল্ডর্ফ এ অবস্থিত একটি যাদুঘর। এই জাদুঘরটি ভ্রমণ করলে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জান যায়। ডাঃ মুড একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি অনিচ্ছাকৃত ভাবে এবং অজান্তে জন উইলকস বুথের চিকিৎসা করেছিলেন, এটা ছিল একটা অপরাধ। কারণ জন উইলকস বুথ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে হত্যা করে ঐ সময় পালাচ্ছিলেন।
স্যামুয়েল মুড ১৮৩৩ সালে মেরিল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড থেকে মেডিকেল পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ১৮৫৬ সাল থেকে মেরিল্যান্ডের ব্রায়ানটাউনে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১৮৬০ সালে মুড মার্থা প্রেস্টনকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে ওয়াল্ডর্ফের কাছে একটি খামার বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
.
১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইলকস বুথ ওয়াশিংটন, ডিসি-তে ফোর্ড'স থিয়েটারে নাটক দেখার সময় প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনকে গুলি করে হত্যা করেন। তিনি ঘটনার পর পর ডিসি থেকে পালিয়ে পোটোম্যাক নদী পার হয়ে মেরিল্যান্ডে চলে আসেন। পালানোর সময় ঘোড়া থেকে পরে যেয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়।
ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসার জন্য ঘটনার পরের দিন বুথ ডাঃ মুডের খামারে পৌঁছান। বুথ তার ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার মুডকে অনুরোধ করেন। জন উইলকস বুথ যে প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনকে হত্যা করে পালাচ্ছেন এই ব্যাপারে ডক্টর মুডের কোনো ধারণা ছিল না। ডক্টর মুড বুথের ভাঙা পায়ের চিকিৎসা করে ছিলেন। এরপর বুথ সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে ইউনিয়ন সৈন্যরা প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের হত্যাকারী জন উইলকস বুথকে হন্য হয়ে খুঁজছিল। অবশেষে ইউনিয়ন সৈন্যরা বুথকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বুথ তার পায়ের চিকিৎসার ব্যাপারে ডাঃ মুডের সাহায্যের কথা বলে। ইউনিয়ন সৈন্যরা এই সূত্র ধরে বুথকে সাহায্য করা ও মদদ দেওয়ার অভিযোগে ডাক্তার মুডকে গ্রেফতার করে।
একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল ডাক্তার মুডের বিচার করা হয়। এতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।
চার বছর জেল খাটার পর ১৮৬৯ সালে ডাঃ মুড কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি তার ওয়াল্ডর্ফের কাছে খামারে ফিরে এসে আবার চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত হন। তিনি ১৮৮৩ সালে মারা যান এবং খামারের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে কবর দেয়া হয়। পরে তার এই খাবার বাড়িটি অর্থাৎ ডাক্তার স্যামুয়েল এ. মুড হাউসকে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। এই জাদুঘর ভ্রমণ করলে প্রেসিডেন্ট লিঙ্কন হত্যাকাণ্ড এবং এর পরবর্তী ঘটনাগুলি সহ ডাঃ মুডের জীবনের গল্প জানা যায়।
শেষকথা:
ডাক্তার স্যামুয়েল এ. মুড হাউস, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন হত্যাকাণ্ড এবং এর পরবর্তী ঘটনা সমূহের একটি ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। একজন চিকিৎসক না জেনে একজন হত্যাকারীর চিকিৎসা করেছিল ফলে তার কি করুন পরিণতি হতে পারে এই জাদুঘর এটারও একটা প্রমাণ। এই জাদুঘরটি আমেরিকার ইতিহাস জানা এবং আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনার একটিতে ভূমিকা পালনকারী একজন ব্যক্তির জীবনকে স্মরণ করার জন্য একটি চমৎকার জায়গা।
ছবি: মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তোলা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমার মনে হয়, একজন সাধারণ বাঙালি গেলে হবে না।
সোনাগাজীর মত একজন বিখ্যাত ব্যক্তির যাওয়া প্রয়োজন।
সোনাগাজীকে ভ্রমণের আমন্ত্রণ রইল।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৫
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আরে না @ সোনা, একদমই ঠিক নয়।
একমাত্র ….. বাঙালি হিসেবে “একমাত্র সোনাগাজীর" পদধূলি যেখানে যেখানে পড়বে, সেই সব জায়গা অদূর ভবিষ্যতে আপামর জনসাধারণের তীর্থভূমিতে পরিণত হবে - এটা আমি লিখে দিতে পারি।
জ্যাকসন হাইটস এর টঙের দোকানগুলিতে তাই এত ভিড় থাকে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনার কথার সাথে একমত।
তাই সোনাগাজীকে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
জানতে পারাটাই বড় কথা।
তাই সংকর লিখেছিলেন, কত অজানা রে।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
এম ডি মুসা বলেছেন: সেই সেই লাগছে
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
জানতে পারাটাই বড় কথা।
তাই সংকর লিখেছিলেন, কত অজানা রে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এডউইন বুথকে অনেকেই ১৯ শতকের অন্যতম সেরা মঞ্চ অভিনেতা হিসাবে বিবেচনা করেন। তিনি একবার ট্রেন ভ্রমণকালে আব্রাহাম লিংকনের ছেলের জীবন বাঁচান।
আবার এডউইন বুথের ভাই উইলকিস বুথ, তিনিও এক দারুণ অভিনেতা ছিলেন। আব্রাহাম লিংকনের সাথে এই উইলকিস বুথের নামও জড়িত। এবার আর জীবন বাঁচাবার ব্যাপার স্যাপার নাই। আব্রাহাম লিংকনের হত্যাকারীই উইলকিস বুথ।
২৬ বছর বয়সে এপ্রিলের ২৬ তারিখ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হন উইলকিস বুথ।
পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে লিখলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
তথ্য সংযোজন করে লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: ইতিহাস জানলাম।
আব্রাহাম লিংকনকে আমি অনেক বিষয়ে ফলো করি।
আপনাকে ধন্যবাদ এটা নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আমার মনে হয়, ইহা এখন থেকে অন্য কারণে বিখ্যাত হবে; কারণটা হলো, ১ জন বাংগালী ওখানে গিয়েছিলেন।