নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৮



মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের টাকা রয়ে যায়। কিন্তু আমাদের জীবদ্দশায় আমরা সেই টাকাগুলো খরচ করতে পারি না। অথচ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেবার পরও বহু মানুষের প্রচুর টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ দীর্ঘ জীবন লাভ করা বেশি জরুরী। তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত।

টাকা দিয়ে সবকিছু কেনা যায় না। টাকা দিয়ে সবসময় সুখ, শান্তি, ভালোবাসা কেনা যায় না। তাই টাকাকে আমাদের জীবনের লক্ষ্য হিসেবে না ধরে, জীবনকে উপভোগ করাই শ্রেয়।



আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেও এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

১. একটি দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

২. একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

৩. প্রাসাদতুল্য মহা মূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

৪. কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোন দিনই পরা হয়ে উঠে না।

৫. সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই।

এই সব ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা আমাদের জীবনে অনেক কিছু অর্জন করি, কিন্তু সেগুলোর বেশির ভাগই আমরা উপভোগ করতে পারি না। তাই আমাদের জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করার জন্য আমাদের জীবনের লক্ষ্যকে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।



কি করনীয়?

জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করার জন্য আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারি:

(ক) অসুস্থ না হলেও মেডিকেল চেকআপ করুন।
(খ) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।
(গ) মানুষকে ক্ষমা করে দিন। রাগ পুষে রাখবেন না।
(ঘ) পিপাসার্ত না হলেও পানি পান করুন।
(ঙ) গুরুতর সমস্যা না হলে ছেড়ে দিন, যেতে দিন।
(চ) সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছেড়ে দিতে হয়, ছাড় দিতে হয়।
(ছ) যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবন সঙ্গীকে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও নিয়ে হাত ধরে হাঁটুন, আর বুঝতে দিন সেই আপনার সবচেয়ে আপন কারণ আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেইই পাশে থাকে বা থাকবে।
(জ) ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।
(ঞ) সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের দেশকে এমনকি ভিন্ন দেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন।
(ট) ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন।
(ঠ)মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।
(ড) মহা-ব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন আর ৩০ মিনিট হাঁটুন।
(ঢ) সর্বদা হাসি খুশি থাকুন।



শেষকথা:

জীবন একটি মাত্র। তাই এই জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না করে, দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সুন্দর সব পয়েন্ট বলেছেন। এসব মেনে চললে যথেষ্ট মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে মনে হয়।

সারাজীবনে পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% অন্যের জন্য, কিংবা আরও বেশি অন্যের জন্য। এই অন্য মানুষগুলোর বেশিরভাগই তো কাছের মানুষ। এই মানুষ গুলোও তো আমার উপর নির্ভরশীল। এখন শুধু নিজের চিন্তা করে, শুধু আমার যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই যদি উপার্জন করি, বাকি মানুষগুলোর কী হবে। আবার বাকি মানুষগুলোর চিন্তা করলে, আমার জীবনের শখ আহ্লাদ পূরণ হবে না।

কী এক মুসিবতের বিষয়!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


নিশ্চয়ই। এইগুলি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সত্য যে এসব মেনে চললে যথেষ্ট মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে।

ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নাই। বাবা মায়ের দায়িত্ব হচ্ছে সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, যাতে তারা নিজেরাই সক্ষম হয় নিজেদের দায়িত্ব নিতে।

প্রথমত: যেসব পিতা স্নেহান্ধ হয়ে সন্তানের জন্য অগাধ টাকা সঞ্চয় করে যায় তারা প্রকৃতপক্ষে সন্তানের শত্রু। তারা সন্তানের প্রকৃত বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।

দ্বিতীয়ত: সারাজীবনের উপার্জনের ৭০% তো নির্ভরশীলদের জন্য রাখার দরকার নেই। মানুষ কিছু তো নিজের জন্যেও সঞ্চয় করে, এইগুলিও তো নির্ভরশীলরাই পাবে।

তৃতীয়ত: যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই উপার্জন করার কথা বলা হয় নাই। এখানে বুঝানো হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি উপার্জনের কথা। খাওয়াদাওয়া, ঘুম বাদ দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত উপার্জনের কথা বলা হয়েছে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


লাইফ ইজ বিউটিফুল।

সত্যিই তাই।
তবে সুন্দর বা ভাল জিনিস এমনি এমনি আসে না।

সুন্দর এবং ভালোর জন্য সাধনা এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়।

আসুন সুন্দরের জন্য সাধনা করি।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

বিজন রয় বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা। আজকাল আমি অনেক কিছু মেনে চলি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মেনে চললে ভাল চলবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.