নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির জন্য বাইডেনের শান্তি প্রস্তাব:

১৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২

৩১ মে ২০২৪ প্রেসিডেন্ট বাইডেন গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির জন্য তিন পর্বে বাস্তবায়ন যোগ্য একটি শান্তি প্রস্তাব পেশ করেছেন।

প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার ধাপগুলি যথাক্রমে --

প্রথম পর্ব:
প্রথম পর্বটি ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে।

এই পর্বে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
(ক) একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি;
(খ) গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার;
(গ) শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের কাছে থাকা নারী, বয়স্ক এবং আহতসহ বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দান। এই জিম্মিদের সাথে কিছু আমেরিকান জিম্মিকে এই পর্যায়ে মুক্তি দিতে হবে;
(ঘ) নিহত জিম্মিদের দেহ বা দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে;
(ঙ) ফিলিস্তিনিরা উত্তর অঞ্চল সহ গাজার সমস্ত অঞ্চলে তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাবে;
(চ) গাজায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক মানবিক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করবে;
(ছ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আবাসন ইউনিট সহ কয়েক হাজার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র সরবরাহ করবে;
(জ) অবিলম্বে এই কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রথম পর্ব চলার সময় অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল এবং হামাস দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে। এই আলোচনৰ মূল লক্ষ্য হবে শত্রুতার স্থায়ী সমাধান বের করা। প্রথম পর্যায়ে আলোচনার জন্য যদি ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লাগে, তাহলে যতক্ষণ আলোচনা চলবে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। আমেরিকা, মিশর এবং কাতার আলোচনা চালিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।

দ্বিতীয় পর্ব:

দ্বিতীয় পর্বে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
(ক) ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে ইসরায়েলি সৈন্যসহ অবশিষ্ট জীবিত জিম্মিদের মুক্তির বিনিময় হবে;
(খ) ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করবে;
(গ) যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে;
(ঘ) স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধ করা।

তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব:
(ক) গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা শুরু হবে;
(খ) নিহত জিম্মিদের যে কোন দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বাইডেনের এই শান্তি প্রস্তাবের আলোকে আমেরিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধ বিরতির জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করে। ১০ জুন, ২০২৪ সালে প্রায় সর্বসম্মতি ক্রমে এই প্রস্তাবটি পাশ হয়। রাশিয়া এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট না দিলেও ভোট দানে বিরত ছিল। চীন সহ বাকি স্থায়ী সদস্যরা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

নেতানিয়াহু কূটনৈতিক ভাষায় এই প্রস্তাব সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করলেও প্রকৃতপক্ষে প্রস্তাবটি মেনে নেয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশ প্রস্তাবটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে স্বাগত জানায়। অন্তত পক্ষে এখন পর্যন্ত কোন দেশ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে কোন মন্তব্য করে নাই।

পক্ষান্তরে, এই প্রস্তাবের পর হামাস একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১২ দিন এই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে তারা কিছুই বলে নাই। এখানে উল্লেখ্য যে বাইডেনের প্রস্তাবটি কাতারের মাধ্যমে ঐদিন অর্থাৎ ৩১ মে হামাস নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১২ দিন নীরব থাকার পর এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর গত ১১ জুন হামাস এই শান্তি প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ না করে পাল্টা অসংখ্য সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করে। এই সংশোধনীগুলি পেশের মাধ্যমে হামাস একটি যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়ার আগে আলোচনা করতে চায় বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বাইডেনের প্রস্তাবিত শান্তি প্রস্তাবের প্রথম পর্বেই আলোচনার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় রাখা হয়েছে। আলোচনার প্রয়োজনে এই সময় আরো বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিরসনের জন্য এমুহূর্তে প্রথমই দরকার যুদ্ধ বিরতি, সেখানে হামাস প্রথমেই যুদ্ধ বিরতিতে না যেয়ে শুরুতেই আলোচনা করতে চাইছে যা ইসরাইলের জন্য সুবিধাজনক। এতে যুদ্ধ বিরতি বিলম্বিত হওয়ার ফলে ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা আরো প্রকট হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

মুসাফির নামা বলেছেন: যুদ্ধবিরতি দরকার ,তবে অতীতে কখনও এত ভাল অবস্থায় ছিলনা।অতীতে ইসরাইল বহুবার শর্ত ভঙ্গ করে সুয়োগ বুঝে আগ্রাসন শুরু করেছে,তখন আমেরিকা আত্মরক্ষা অধিকার আছে বলে তাদের সাপোর্ট করে গেছে।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আরবরা শুরু থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্র মেনে নেয় নাই।
তারা অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে এবং কোন রূপ প্রস্তুতি ছাড়াই বার বার ইসরাইলকে আক্রমণ করে পরাস্ত হয়ে ভূমি হারিয়ে যুদ্ধ বিরতি করেছে।

দ্বিরাষ্ট্র সমাধান আরবরা মেনে নেয় নাই। ইসরাইলের স্বাধীনতার ঘোষণার দিন থেকেই প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়। মিশর (সৌদি আরব, সুদানী এবং ইয়েমেনি সৈন্য দ্বারা সমর্থিত), ইরাক, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়া ইসরায়েল আক্রমণ করে। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত প্রথম যুদ্ধ চলতে থাকে। এই যুদ্ধে আরবরা ইসরাইলের কাছে পরাজিত হয়। মিশর, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এই প্রথম যুদ্ধের পরাজয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের কাছে আরো ভূমি হারায় এবং ৭ লক্ষ ফিলিস্তিনি ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে উদ্বাস্তু হয়। এই ঘটনাকে ইতিহাসে "নাকবা" বা বিপর্যয় বলা হয়।

ছয় দিনের যুদ্ধ। ১৯৬৭ সালের ৫ জুন থেকে ১০ জুন। এই বিপর্যয় কর যুদ্ধও আরবরা শুরু করে এবং যথা নিয়মে পরাজিত হয়ে বিশাল ভূখণ্ড হারায়। ইসরায়েল জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, জেরুজালেমের, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিশরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়।

১৯৭৩ সালের ৩ অক্টোবর আরবরা বিশেষ করে মিশর এবং সিরিয়া তাদের হারানো ভূমি (গোলান মালভূমি এবং সিনাই উপদ্বীপ) ফেরত পাওয়ার জন্য ইসরাইল আক্রমণ করে। যথারীতি এই যুদ্ধেও আরবরা পরাজিত হয় কিন্তু জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবের কারণে নতুন করে আর ভূমি হারানো থেকে বেঁচে যায়।

১৯৭৩ এর যুদ্ধের পর কিছু কিছু আরব নেতা বাস্তবতায় ফিরে আসে, বিশেষ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং মিশর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যা দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে। এই চুক্তির মাধ্যমে মিসর শুধু তার সিনাই উপদ্বীপ ফেরত পায় নাই বরং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা ফিরিয়ে আনে। এই কাজের শাস্তি হিসাবে আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করা হয়।

ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি অনুসারে ১৯৭৯ সালের ২৬ মার্চ ইসরাইল সিনাই উপদ্বীপ মিসরের কাছে ফিরত দিয়ে চলে আসে। কিন্তু বিরোধ দেখা দেয় পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা নিয়ে। কারণ পশ্চিম তীরের মালিক জর্ডান এবং গাজা উপত্যকার মালিক মিশর।

১৯৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর প্রথম ইন্তেফাদা শুরু হয়। "নদী থেকে সাগর -- মুক্ত ফিলিস্তিন" এই স্লোগানের অর্থ হচ্ছে নদী মানে জর্ডান নদী আর সাগর মানে ভূমধ্য সাগর। অর্থাৎ জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর থেকে ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত ভূখণ্ড নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে। এখানে দ্বিরাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন সুযোগ নাই।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের প্রকৃত মালিক জর্ডান। কিন্তু একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জর্ডান ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই এই দুই ভূমির মালিকানা ফিলিস্তিনের কাছে হস্তান্তর করে।

একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ১৯৯১ সালের ৩০ অক্টোবর মাদ্রিদ শান্তি আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা নিয়ে সবাই খুব আশাবাদী ছিল এই কারণে যে আমেরিকা এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যৌথ ভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে। ইসরায়েলি, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিনি এবং সিরিয়ার প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশ নেয়। তবে যথারীতি কোনো অগ্রগতি ছাড়াই দুই বছর ধরে আলোচনা চলে।

অনেক ঘটনা প্রবাহের পর ১৯৯৩ সালে ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রের চেতনা ফিরে আসে। ১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে ওসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ফিলিস্তিনি নেতা আরাফাত, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রাবিন এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেস অসলো চুক্তির জন্য ১৯৯৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন।

ওসলো চুক্তির পথ ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৯৪ সালের ৪ মে গাজা-জেরিকো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে দ্বিরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক অগ্রগতি হয়, এমন কি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কেমন হয়ে, সরকারের ধরণ কেমন হবে ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়। এই চুক্তির ফলে আরাফাত দীর্ঘ দিন পরে গাজা সফর করেন।

প্রথমে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি, তারপর ওসলো চুক্তি, তারপর গাজা-জেরিকো চুক্তির পথ ধরে জর্ডান শান্তির মিছিলে যোগ দেয়। ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর জর্ডান ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি করে।

দ্বিরাষ্ট্রের পথে আরো এক ধাপ অগ্রগতি হয়। ১৯৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী রাবিন, মিশরীয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, জর্ডানের রাজা হুসেইন এবং ফিলিস্তিন নেতা আরাফাত হোয়াইট হাউসে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন অন্তর্বর্তী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এইবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ সম্পন্ন করার জন্য প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক এবং ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতকে ক্যাম্প ডেভিড শীর্ষ আলোচনায় আমন্ত্রণ জানান। ২০০০ সালের ১১ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই আলোচনা চলে। কিন্তু ইতোমধ্যে হামাস ফিলিস্তিনে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাওয়ার এবং পি এল ও দুর্বল হওয়ার কারণে আরাফাতের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। হামাসের চাপের মুখে এই আলোচনা ব্যর্থ হয়।

ক্যাম্প ডেভিড শীর্ষ আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ইন্তেফাদা শুরু হয়। হামাস এবং কট্টরপন্থীদের চাপে ধীরে ধীরে দ্বিরাষ্ট্র ধারণা বিলীন হয়ে যেতে থাকে।

২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আমেরিকা আবার দ্বিরাষ্ট্র ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের ফলে ইসরাইল ২০০৫ সালের ১৫ অগাস্ট ইসরাইল গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। গাজা থেকে ইসরাইল সৈন্য প্রত্যাহার করার পর ২০০৭ সালে হামাস পি এল ওকে সরিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

এরপর থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে গাজায় থেমে থেমে সংঘাত চলতে থাকে, যা এখনো চলমান। ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই আমেরিকা আরো একবার দ্বি রাষ্ট্রের পক্ষে উদ্যোগ নেয়.

২| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৪

মুসাফির নামা বলেছেন: আমি সেটাই বললাম,যুদ্ধে এত ভাল অবস্থায় কখনও ছিল না,কিন্তু য়ুদ্ধ ছাড়া ইসরাইল তার সম্প্রসারণ কি আব্যাহত রাখে নাই।তাই হামাস দু্র্বলদের সাথে নিয়ে শান্তি আলোচনা করে অর্জনটাকে আবার দুর্বল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায় না।তারা শান্তি আলোচনায় চীন,রাশিয়া আর তুরস্ককে চেয়েছে।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আরবদের দ্বারা শুরু করা যুদ্ধের মাধ্যম ইসরায়েল যে ভূমি দখল করেছে সেই ভূমিতেই তারা সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।

গাজায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনের মৃত্যু বা অধিকাংশ বাড়িঘর ধ্বংস যদি হামাসের দৃষ্টিতে যুদ্ধের ভাল অবস্থা হয় -- তো ভাল।

হামাস এবং বিশ্বব্যাপী হামাস সমর্থকরা যুদ্ধের শুরু থেকেই যুদ্ধ বিরতি চেয়ে আসছিল। এখন আমেরিকা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করায় তারা চীন,রাশিয়া এবং তুরস্ককে নিয়ে আলোচনা করতে চায়। প্রকারান্তরে হামাস যুদ্ধ বিরতির দাবি করলেও কৌশলগত কারণে তারা যুদ্ধ বিরতি চায় না। তারা নানা শর্ত আরোপ করে যুদ্ধ প্রলম্বিত করতে চায়।

পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে এই যুদ্ধে চীন,রাশিয়া এবং তুরস্ক কিছু বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোন রূপ সাহায্য নিয়ে হামাসের পক্ষে দাঁড়ায় নাই। রাশিয়া যদি সমগ্র ইউরোপ আমেরিকাকে তোয়াক্কা না করে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে, তুরস্ক কুর্দি মুসলিমদের উপর আক্রমণ করতে পারে অথবা চীন তাইওয়ান প্রশ্নে আমেরিকাকে করা হুঁশিয়ারি দিতে পারে, তাহলে এই দেশগুলি হামাসের ব্যাপারে অন্তত পক্ষে ইসরাইলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই দেশগুলি ইসরায়েলর বিরুদ্ধে কিছু গদ-বাধা কূটনৈতিক বাগাড়ম্বর ছাড়া আর কিছু করে নাই।


আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে এই বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে হবে।

৩| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমেরিকা হলো মূল নায়ক ।
তার সমর্থন বন্ধ হলে ৭দিন ও ইসরাঈল টিকে থাকতে পারবে না ।

...........................................................................................
আর যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার কাজ হলো মধ্যপ্রাচ্যে এই বিষফোড়াঁ
জীবিত থাকবে তাদের স্বার্থে, সুতরাং একটু আধটু অন্যায় তো করবেই ।
এই শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে যে প্রায় ৩৫০০০ হাজার লোক মারা গিয়েছে
তাদের বিষয়ে কি আছে ???
আমেরিকার মতো ধূর্ত , মিথ্যাবাদী রাষ্ট্রর প্রস্তাবনা কখোনই নিরপেক্ষ ও শান্তির পক্ষে হবেনা ।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমেরিকা হলো মূল নায়ক। তার সমর্থন বন্ধ হলে ৭দিন ও ইসরাঈল টিকে থাকতে পারবে না।

তথ্য, প্রমাণ বা যুক্তি ছাড়া কোন মন্তব্য করলে তার জবাব দেয়া কঠিন।

আর যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার কাজ হলো মধ্যপ্রাচ্যে এই বিষফোড়াঁ
জীবিত থাকবে তাদের স্বার্থে, সুতরাং একটু আধটু অন্যায় তো করবেই ।


তাদের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করুন।

এই শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে যে প্রায় ৩৫০০০ হাজার লোক মারা গিয়েছে
তাদের বিষয়ে কি আছে ???


প্রস্তাবটা ভাল করে পড়লেই এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

আমেরিকার মতো ধূর্ত, মিথ্যাবাদী রাষ্ট্রর প্রস্তাবনা কখোনই নিরপেক্ষ ও শান্তির পক্ষে হবেনা।

আমেরিকার প্রস্তাবের মধ্যে কি কি ধূর্ততা আছে অথবা কি মিথ্যা বলেছে তা আলোচনা করুন। কারণ এই প্রস্তাব আমেরিকা প্রকাশ্যে উপস্থাপন করেছে। পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা করে দেখান যে প্রস্তাবের কোন অংশটা গ্রহণ যোগ্য না।

৪| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার কোন প্রস্তাব গ্রহনযোগ্য হবে না। প্রস্তাব আসতে হবে জাতিসেংঘ থেকে বা নিরপেক্ষ কোন দেশ থেকে।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমেরিকার এই প্রস্তাব জাতিসংঘ গ্রহণ করে রেজুলেশন পাশ করেছে।
তাই আমেরিকার এই প্রস্তাবটাই এখন জাতিসংঘের প্রস্তাব।

আমেরিকার অনেক বিরোধিতা সত্ত্বেও পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নাই যার গ্রহণ যোগ্যতা আমেরিকার সমান।


১. আমেরিকা এই প্রস্তাবটি করে ৩১ মে, ২০২৪।
২. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১০ জুন, ২০২৪ তারিখে আমেরিকার প্রস্তাবের আলোকে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করে।
৩. প্রায় সর্বসম্মত ক্রমে আমেরিকার প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। শুধু রাশিয়া ভোট দানে বিরত থাকে। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো প্রদান করে নাই।
৪. অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সাথে চীন এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে।
৫. আরব লীগ সহ সব আরব রাষ্ট্র আমেরিকার প্রস্তাব সমর্থন করে।
৬. ইসরায়েল কৌশল গত কারণে কিছু কূটনৈতিক কথা বললেও জোরালো ভাবে বিরোধিতা করে নাই।
৭. এক কথায় হামাস ছাড়া আর সবাই আমেরিকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।


সবাই আমেরিকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে আপনাকেও গ্রহণ করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই। মানুষ হিসাবে আপনি স্বাধীন।

অবশ্যই হামাসের মত আপনারও স্বাধীনতা আছে আমেরিকার কোন প্রস্তাব গ্রহণ না করার।

৫| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: অবশ্যই ভেটো আসবে এই প্রস্তাবের উপর।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ভেটো ছাড়াই ইতোমধ্যে আমেরিকার প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হয়ে গেছে।

১. আমেরিকা এই প্রস্তাবটি করে ৩১ মে, ২০২৪।
২. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১০ জুন, ২০২৪ তারিখে আমেরিকার প্রস্তাবের আলোকে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করে।
৩. প্রায় সর্বসম্মত ক্রমে আমেরিকার প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। শুধু রাশিয়া ভোট দানে বিরত থাকে। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো প্রদান করে নাই।
৪. অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সাথে চীন এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে।


আমেরিকার প্রস্তাবের আলোকে নিরাপত্তা পরিষদের রেসল্যুশনের লিংকটা দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পোস্ট করা যাচ্ছে না। আপনি UN security council resolutions about Gaza on 10 July, 2024 দিয়ে সার্চ দিলেই লিংকটা পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.