নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
কৃতজ্ঞতা বোধ একটি উচ্চ-স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য। কারণ পরিস্থিতি নির্বিশেষে এতে জ্ঞানের জটিল প্রক্রিয়া যেমন আত্ম-প্রতিফলন, আন্তঃসম্পর্কের স্বীকৃতি এবং জীবনের ইতিবাচক দিকগুলিকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা জড়িয়ে আছে। জীবনের এই দৃষ্টিকোণটির জন্য অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা বোধের জন্য মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং আত্ম-সচেতনতার একটি নির্দিষ্ট গভীরতা প্রয়োজন হয়। এটা একজন মানুষের বৌদ্ধিক পরিপক্বতার বৈশিষ্ট্য। কৃতজ্ঞতা বোধ নিছক সামাজিক ভদ্রতা বা সাংস্কৃতিক প্রত্যাশা নয় বরং প্রত্যাশার স্তরকে এটা অতিক্রম করে এবং মানুষের অভিজ্ঞতার বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে একজনের মানসিক প্রবণতা বোঝার সহায়ক হয়।
অধিকন্তু কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পন্ন হওয়া এবং সেটা প্রকাশ করা একজন ব্যক্তির মূল্যবোধ এবং নৈতিক অবস্থান থেকে উদ্ভূত হয়, যা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিবর্তে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আত্মদর্শন দ্বারা পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিকূলতার মুখোমুখি ব্যক্তিরা ছোটখাটো দয়া, সাহায্য এবং সুযোগের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। এটা থেকে বুঝা যায় যে কৃতজ্ঞতা একাডেমিক শিক্ষার চেয়ে ব্যক্তিগত বিকাশ এবং পরিপক্বতার উপর নির্ভরশীল। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জীবনের ইতিবাচক দিকগুলিকে চিনতে এবং উপলব্ধি করার ক্ষমতা মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের একটি পরিশীলিত স্তর হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
অবশ্য অনেকের মতে কৃতজ্ঞতা বোধ মানুষের একটি অপরিহার্য এবং মূল্যবান বৈশিষ্ট্য, তবে এটি একটি উচ্চ-স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য নয়। বরং এটি মানুষের একটি মানসিক অবস্থা মাত্র। তারা মনে করেন যে কৃতজ্ঞতা বোধ আবেগ গত প্রতিক্রিয়া এবং সামাজিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল। কৃতজ্ঞ মনোভাবের জন্য সহজাতভাবে উচ্চ বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার প্রয়োজন হয় না। ন্যূনতম আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সহ যেকোনো স্তরের শিক্ষিত ব্যক্তিরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। তাদের মতে কৃতজ্ঞতা বোধ বুদ্ধিবৃত্তিক পরিশীলিতার উপর নির্ভরশীল নয়।
উপরন্তু আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পন্ন হওয়ার জন্য একজন মানুষের সততা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং দার্শনিক ধারণাগুলির সাথে পরিচিত হয়, যা তাদের কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পন্ন হওয়া এবং উপলব্ধি গভীর করতে সাহায্য করে। শিক্ষা সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতাও বৃদ্ধি করে। ফলে একজন মানুষ তার জীবনকে পরিষ্কার ভাবে দেখা এবং কৃতজ্ঞতা বোধের গুরুত্ব বুঝতে এবং স্বীকার করতে সহায়তা করে। এইভাবে কৃতজ্ঞতা বোধ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই স্বাধীনভাবে বিদ্যমান থাকতে পারে। আবার শিক্ষার দ্বারা প্রদত্ত বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামো কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পর্কে একজনের ধারণাকে সমৃদ্ধ ও প্রসারিত করতে পারে।
সারসংক্ষেপ:
কৃতজ্ঞতা বোধ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিবর্তে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আত্ম-সচেতনতার মধ্যে নিহিত উচ্চ-স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রকাশ করে। তবে শিক্ষা বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়। শিক্ষার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা বোধের বৈশিষ্ট্যটি উন্নত এবং গভীর হয়। যদিও কৃতজ্ঞতা বোধ আনুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর নির্ভর করে না, তবে শিক্ষার দ্বারা এটি সমৃদ্ধ হতে পারে।
২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক গুণ। তবে, যেকোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা সুস্থতার চিহ্ন নয়।
'কৃতজ্ঞতায় গদ গদ হওয়া' হলো কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি অতিরিক্ত প্রকার। আমার লেখায় কোথাও খুঁজে পাবেন না যে আমি কৃতজ্ঞতায় গদগদ হতে বলেছি।
হ্যাঁ, একটা ধন্যবাদ দিয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায়।
এমনকি আচরণের মাধ্যমেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায়, যেমন হাসি, কথা বলা, বা দেহ ভাষার মাধ্যমে।
বটম লাইন হচ্ছে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।
বরং যারা হীনমন্যতায় ভোগে, তারা অহংকার নামক ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হয়। তারা উপকৃত হওয়ার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দ্বিধা করে। তারা মনে করে যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তারা ছোট হয়ে যাবে এবং উপকারী ব্যক্তি তাদের থেকে বড় হবে। অনেকের মনে হীনমন্যতা এমন প্রবল হয়ে উঠে যে তারা উপকারী ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলে অথবা তাদের সম্মান হানি করে অথবা তারা সাথে শত্রুতা শুরু করে। তাই, প্রতিটা মানুষের উচিত যে ভাবেই হোক, বাড়াবাড়ি না করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:২৭
কামাল১৮ বলেছেন: যে মানুষের মনে সব সময় কৃতজ্ঞতা বোধ কাজ করে সে হীনমন্যতায় ভোগে।কেউ উপকার করনে একটা ধন্যবাদ দিলেই যথেষ্ট।কৃতজ্ঞতায় গদ গদ হওয়া কোন সুস্থ্ মানুষের লক্ষন না।