![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
থাকি আমি নিজের ভুবনে, এক হেঁটে বেড়ানো আমার নেশা। যোজন যোজন দূরের নখত্রলোক আমার আবাস।
আমাদের গ্রামের পাশে একটা বড় পুকুর আছে, নাম শেনিহারিদীঘি।সেই পুকুরে নাকি থাকতো এক জীন বাবা, আর জীন বাবা ছিল দাস্তানে হাতেমতাই। তাই মানুষের দুঃখ দেখলে সে থাকতে পারতোনা।
সেই পুকুর অনেক বড় কোন সন্দেহ নাই কেননা হাতেম তাই তো আর ছোট খাটো যায়গায় থাকবেনা । ছোট বেলায় সেই পুকুর নিয়ে অনেক কাহিনি শুনতাম। আগেকার দিনে নাকি সেই পুকুরে অনেক সোনাদানা পাওয়া যেত। অবশ্য সে সোনা-দানা সবার ভাগ্যে জুটতো না। গ্রামে কোন বিয়ে হলেই নাকি সেই সোনা-দানার খোঁজ পাওয়া যেত। যার বাসায় বিয়ে সে বাড়ির কর্তাকে সেই পুকুরে গিয়ে বলতে হতো , আমার বাসায় বিয়ে । আমাকে কিছু হাড়ি-পাতিল দেন। তো বলার সাথে সাথে নাকি সেই পুকুর থেকে সোনার হাড়ি-পাতিল ভেসে উঠতো।(তাজ্জব ব্যাপার!!)
হাতিম তাইর দিল ছিল অনেক উজার। কিন্তু তার একটা শর্ত ছিল এই যে, হাড়ি-পাতিল কাজ শেষে ভালো মতো ধুয়ে এনে দিতে হতো।
ফ্রি ফ্রি হাড়ি-পাতিল পেয়ে বাড়ির কর্তা খুব ধুম ধাম করে মেয়ে-ছেলের বিয়ে দিত, সাড়া গ্রামে খুশির আমেজ বইতো।কিন্তু সেই খুশিতে মনে হয় কারো নজর পড়ে গেসলো। একদিন এক কর্তা হাড়ি-পাতিল নিসলো ভালো ভালই কিন্তু দেওার সময় আর ভালো মত ধুয়ে দেয়নি। তার কিউরিয়াস মাইন্ড মনে হয় জানতে চাইসলো , জীন বাবা হাতেম তাই। তিনি সোনাদানা দিতে পারেন কিন্তু ধুতে পারবেননা এটা হতে পারেনা। তাই অধুয়া অবস্থায় সেগুলো পুকুরে ফেরত দিসলো।
জীন বাবা হাতেম তাই হলে কি হবে, হাজার হইলেও রেসপ্যাক্ট বলেতো একটা কথা আছে তাইনা?
জীন বাবা সেইদিনের পর থেকে হাড়ি-পাতিল দেওয়া বন্দ করে দেয়। মানুষ কান্দে মরে তবুও লাভ নাই, হাতেম তায়ের দিল আর উদার হয়না।
কাকে জানি আবার স্বপ্নেও কিসলো, বিবিসির খবর যেমন একবর হয় হাতেম তাইও যা একবার কইসে তাই করে, আর কোনদিন হাড়ি পাতিল দেয়না।
শুনেছি আজো নাকি কার বাসায় বিয়ে হলে সেই বাসার কর্তা ব্যক্তি সে পুকুরে গিয়ে হাড়ি-পাতিলের জন্য কান্না করে আসে ।
©somewhere in net ltd.