![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত যৌতুকের বলিতে কোরবানী হচ্ছে হাজার হাজার মেয়ে, নষ্ট হচ্ছে তাদের জীবন সংসার। প্রতিনিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখতে পাওয়া যায় এরকম আট দশটা খবর। এমনদিন নেই যে দিনে একটু শান্তি ভাবে পত্রিকার পাতা উল্টাতে পারবো। খুন, ধর্ষণ তো লেগেই আছে। পাড়ার বন্ধু থেকে শুরু করে শিক্ষক ও নিজের বাবা ভাইয়ের হাতেও নষ্ট হচ্ছে আমাদের সমাজের মেয়েরা। শুধু ধর্ষণ নয় লোভ আর নিজেদের ভুল সিন্ধান্তের কারণে নষ্ট হয়ে যায় ছোট ছোট মেয়েদের জীবন। যদিও আইন অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮। কিন্তু কে শুনে কার কথা, কে মানে কার আইন। আমাদের দেশের গরিব পরিবারগুলো অধিক ছেলে সন্তানের আশায় অধিক কন্যা শিশুও জন্ম দেয়। তারপর তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার পরিবর্তে তাদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে পাষুন্ড স্বামী আর স্বামীর পরিবার মিলে নামে বেনামে টাকা আদায় করে থাকে। আর টাকা আদায় না করতে পারলে শারিরিক ভাবে নির্যাতন চালায়। এরপরেও না পারলে হত্যা করার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। শারীরিক নির্যাতন করার ফলে অনেক সময় গর্ভে থাকা শিশু মারা যায়। আর মারা না গেলেও ঐ শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্¥ নেয়। আর কেন প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছে তার অজুহাত দেখিয়ে তালাক দেয়, নির্যাতন চালায়। প্রতিবন্ধী শিশুর কোন দায় দায়িত্ব নেয় না। যদিও এটা শিশু নির্যাতন আইনের অধিনে পড়ে। কিন্তু টাকা আর ক্ষমতার দাপটে ভিকটিম তার সুবিচার পায় না। উল্টা তার উপর সব দোষ চাপিয়ে দেয়। ঠিক এমননি একটা ঘটনা ঘটেছে মীরসরাই উপজেলার এক নং করেরহাট ইউনিয়নের ফারজানা আক্তার পেন্সির সাথে। খুব চটপটে মেয়েটি। জন্ম নেয়ছে এক গরিব পরিবারে। এসএসসি পাশ করে ভর্তি হয়েছে কলেজে। খুব সন্দুর ও ছাত্রী ভালো হওয়াতে কলেজ থেকে বাড়ি পেরার পথে অনেক সময় অনেক ভখাটে পেন্সিকে ইভটিজিং করতো। বাবা মা এ ব্যাপারে জানতে পারলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। তখন থেকে পাত্র খুঁজা শুরু। কিন্তু ফারজানা এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেনা। সে আরো অনেক পড়া লেখা করবে। ফারজানার মা ও তার বাবা অনেকটা জোর করে বিয়েতে রাজি করাল। পাত্র ও খুঁজে পেলো। শিক্ষিত। সরকারি চাকুরি করে। পারিবারিক অবস্থানও ভালো। এইচ.এস. সি পরিক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে রেজাল্ট আসার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের সময় দেন মহর হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা লেখা হয়। ( সাধারণত এই টাকা গুলো লেখা হয় মেয়েটির সংসার যদি কোন দিন ভেঙ্গে যায় তাহলে এই টাকা গুলো দিয়ে মেয়েটিও তার সন্তান নিয়ে জীবন কাটাতে পারে) আর মেয়ে পক্ষ যৌতুক হিসেবে প্রায় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন জিনিস পত্র দেয়। বেশ ভালোই যাচ্ছিলো তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ একদিন স্বামীর পরিবার বেশ কিছু টাকা চেয়ে বসে। টাকা আনতে দেরি হচ্ছে দেখে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে শুরু করে। আর ফারজানা প্রতিবাদ করলে স্বামীর পরিবার স্বামীকে ফারজানার বিরুদ্ধে এটা সেটা বলে স্বামীর হাতেও নির্যাতন করাতো। এভাবে প্রায় এক বছর কেটে গেল। নির্যাতনের আঘাতে গর্ভে থাকা সুন্দর পুটপুটে মেয়ে শিশুটি জন্মানোর সময় প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিলো। শিশু প্রতিবন্ধী হওয়ারও অভিযোগ তার উপর আনে। প্রতিবন্ধী শিশুর দায়িত্ব নিবেনা বলে ঔ শিশুকে গলা টিপে হত্যা করারও চেষ্টা করেছিলো পাষুন্ড শাশুড়ী। এক পর্যায়ে তাকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। সামাজিক ভাবে মেয়ের বাবা মা কয়েক জন গন্য মান্য ব্যাক্তিকে নিয়ে সুবিচার পাওয়ার জন্য শালিসের আয়োজন করেছিল। কিন্তু টাকা ও ক্ষমতাসীন দলের দাপটে ফারজানার উপর সব দোষ নিয়ে আসলো। যেন স্বামীর পরিবার দোয়া তুলসী পাতা। মেয়েটির সংসার ভেঙ্গেছে প্রায় ৫ মাস। আর শিশুটির বয়স ১৬ মাস। এখন পর্যন্ত কোনো রকম খোঁজ খবর নিলো না তার স্বামী ও স্বামীর পরিবার। ফারজানার উপর এই নির্যাতন ও সন্তানের উপর এত বড় দায়িত্বহীনতার কারণে ফারজানা সিদ্ধান্ত নিলো আইন আদালতের মাধ্যমে যেভাবে হোক সঠিক বিচার করাবে। কিন্তু এদিকে ফারজানার পরিবার তার পাশে থাকছে না। যদিও এর পেছনে কারণ আছে। পরিবার চাপসৃষ্টি করেছে তাকে তার এই সিন্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াতে। কিন্তু ফারজানা তার সিদ্ধান্তে অনড়। সেই জন্য সাংবাদিক থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের ও আইনের আশ্রয় নিতে তাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাতে ফারজানা সঠিক বিচার পায়। এদিকে ফারজানা তার ফেসবুক ওয়ালে বার বার লিখে আসছে তার প্রতি অন্যায়ের সঠিক বিচার পেতে।
অনেক গুলো সাংবাদিক তার প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখা লেখিও শুরু করেছে।
আমি প্রশাসন ও সরকারের কাছে অনুরোধ করছিযে ফারজানার উপর অত্যাচার এবং শিশু সাইফার প্রতি এমন অন্যায়ের সুবিচার করে। ফারজানা ও শিশু সাইফা যেন তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
আকাশ ইকবালট বলেছেন: হুম। এই লেখাটি ফেসবুকেও লেখেছি। কিছু মানুষ ফারজানাকে সমর্থন করছে। লাইক কমেন্ট কিংবা শেয়ার করেও অন্যদের জানিয়ে দিচ্ছে। সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছে ফারজানা ও তার সন্তানের প্রতি অন্যায় ও দায়িত্বহীনতার কারণে ন্যায় বিচারের দাবী নিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: যৌতুক একটি অভিশাপ। একটি অমানবিক ও বিবেকহীন দাবি। এই লিপ্সার অবলোপনে সবার এগিয়ে আসা উচিত। ফারজানার ব্যাপারে আপনি ফেসবুকে প্রচারণা চালাতে পারেন। আশা করি ভাল ফল হবে।