নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘুদের মাঝেও সংখ্যালঘুতরের কিচ্ছা!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০



বিগাল-মংলু-শুকরা-গেদু এইগুলো শুধু আমার কাছে নাম নয়। নামের থেকেও অনেক বড় কিছু।

বিগাল ওঁরাও। আমার শৈশবের গুরু। কারণ সে আমাকে কোলে পিঠে করে বড় করেছে। জানিয়েছে কার সাথে মিশতে হবে। কোথায় যাওয়া যাবে কোথায় যাওয়া যাবে না। মংলু ও শুকরা আমার কিশোর কালের মাস্টার। কারণ তারা আমাকে শিখিয়েছে কি খেলা যাবে কি খেলা যাবে না। কি করা যাবে কি করা যাবে না। গেদু ও অন্যান্যরা আমার তরুণ বয়সের চলার পথের সঙ্গী। আমি তাদের কাছ থেকে কিছু জীবন দর্শন শিখেছি। তাদেরকে পড়ালেখার প্রাথমিক পাঠ নিতে সাহায্য করেছি। এই লোকগুলোর সাথে আমি সবসময় একধরণের আত্নীক সম্পর্ক অনুভব করি।

কিছুদিন আগে ঈদে সাঁওতাল (ওঁরাও হলেও সাঁওতাল নামে পরিচিত) পাড়ার দিকে গেলে নেশাগ্রস্ত(তালের তারির নেশা করা ওদের ট্রেডিশন)বিগাল দা (দাদা) আমাকে চিনতে পারে (প্রায় তিন-চার বছর পর দেখা)। নাম ধরে ডেকে বলে ‘অ্যাব্বাবা,(উচ্ছ্বাস প্রকাশে সাধারণত এ ধরণের উচ্চারণ করা হয়)তুই কখোন আলু(এসেছিস)। ম্যালাদিন(অনেকদিন) পর তোর সাথে দ্যাখা হল নয়’। তার এই সহজ-সরল উক্তির আবেদন অসামান্য। প্রায় হাড় জিরজিরে খেটে খাওয়া মানুষটিকে চেনায় যায় না। যদিও এখন সে কিছুটা আর্থিকভাবে সচ্ছল। ছেলেটা মিশনে থেকে পড়াশুনা করছে। তারপরের কিছু খারাপ মানুষের কারণে সবসময় আতংকগ্রস্ত।

কিন্তু যখন শুনি এই লোকগুলো পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তখন ভীষণ কষ্ট অনুভূত হয়। জীবনের এই চলার কঠিন বাস্তবতায় হৃদয়ে একটু হলেও রক্ত ক্ষরণ হয়। ঐতিহাসিকদের মতে যদিও তারায় এই দেশের ভূমিপুত্র। অথচ তাদের এই করুণ কিংবা নিদারূণ পরিণতি সহজে মেনে নেওয়া ভীষণ শক্ত।

তারচেয়েও যা বেশি কষ্ট তা হচ্ছে এ দেশের সরকার-মিডিয়া-জনগণের তাদেরকে সংখ্যালঘুদের মাঝে সংখ্যালঘুতর বানানোর কসরত। এই কথার অর্থ একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার।

নাসিরনগর বনাম গোবিন্দগঞ্জ

নাসিরনগর ধর্মীয় জিগির তুলে (কিছুটা প্রশাসনের সহায়তায়) সেই জঘন্য (সংখ্যাগরিষ্ট কর্তৃক সংখ্যালঘিষ্টের(সংখ্যালঘিষ্টের মধ্যে আবার তারা সংখ্যাগরিষ্ট) উপর হামলা, লুটপাট। যদিও প্রথম থেকেই জানা যাচ্ছিল যে এই হামলা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে রাজনীতি, ভূমিদখল, আধিপত্য বিস্তার ও দুপক্ষের বিবাদ জড়িত।

গোবিন্দগঞ্জে প্রশাসনের সহায়তায় সংখ্যাগরিষ্ট কর্তৃক (সংখ্যালঘিষ্টের মধ্যে আবার তারা সংখ্যালঘিষ্টতর) সংখ্যালঘিষ্টের প্রতি দমন-পীড়ণ, লুটপাট, ধ্বংস এবং হত্যা।

দুইটা হামলার একটি অভিন্ন দিক হচ্ছে আতঙ্কের মাধ্যমে সংখ্যালঘুর অস্তিত্ব বিনাশ কিংবা বিতাড়ন। একটাতে ধর্মকে ঢাল করে আর একটাতে প্রশাসনকে ঢাল করে। প্রথমটার ক্ষেত্রে ক্ষতি মারাত্নক না হলেও দ্বিতীয়টার ক্ষেত্রে ক্ষতিটা ভয়ংকর। কারণ এক্ষেত্রে তিনটা খুন, কয়েকশ বাড়ী-ঘর উচ্ছেদ এবং ভিটাছাড়া করা, শত শত মামলা, জেল জরিমানা, আহতদের হাসপাতালে ধুঁকেধুকে মৃত্যুর প্রহর গণনা।
এগুলোর কোনটায় কিন্তু প্রথমটার ক্ষেত্রে ঘটে নি। তবুও মিডিয়া-সরকার(কিছুটা হলেও)-প্রতিবেশী দেশের উদ্বেগ ফেসবুক-ব্লগে হাওকাউ অনেক অনেক বেশি।

এটার কারণ কি তাহলে সংখ্যালঘুদের মাঝেও সংখ্যালঘুতর-সংখ্যাগুরুতর হেজিমনি বিদ্যমান। আমরা যেটা কিছু চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা(সংখ্যালঘুদের মাঝে সংখ্যাগরিষ্ট)ও অন্যান্য পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বৈষম্যের কথা জানি। সমতল ভূমির ক্ষেত্রেও কি সেই একই ফর্মুলা ব্যবহার হচ্ছে?

তা না হলে এ ধরণের বিমাতাসুলভ আচরণ কেন হয়েছিল? কয়েকটা লাশ পড়ার পরেও কেন নাসিরনগরের মতো মিডিয়া কাভারেজ পায় নি?

গতকাল সাপাহারে এক আদিবাসী পরিবারের দুইশ আমগাছ এলাকার প্রভাবশালীরা কেটে দিয়ে ঐ পরিবারকে স্বর্বসান্ত করেছে। এর আগে ঐ পরিবারের একজনকে খুন করা হয়েছে। অথচ এগুলো আমাদের জাতীয় পত্রিকাতে ছোট করে খবর আছে। কোনো কোনো জাতির বিবেক পত্রিকা খবরটুকু ছাপানোরও প্রয়োজন বোধ করে না। ভাবখানা এমন যে সমাজের এই অচ্ছুৎ লোকদের কথা বললেই কি আর না বললেই কি। কারণ তারা এখানে সংখ্যালঘুদের মাঝে সংখ্যালঘুতর। তাদের পাশে কোনো প্রতিবেশী দেশ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারকাতের ‘পলিটক্যিাল ইকোনমি অব আনপিপলিং অব ইন্ডিজিনাস পিপলস: দ্য কেইস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে তথ্যপ্রমাণ সহ উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশে ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৪ এই ৬৭ বছরে সাঁওতালদের ১,১৬,৪০০ একর জমি দখল করা হয়েছে, ২০১৪ সালে যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫,১৯০ কোটি টাকা। প্রতিবারই এই উচ্ছেদের নেতৃত্বে ছিলেন সরকারি ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা, নেপথ্যে ছিলেন রাজনৈতিক নেতারা। তাদের ‍ উচ্ছেদ করা হয়েছে শত্রু সম্পত্তি আইন প্রয়োগ করে, ভুয়া দলিল দেখিয়ে, গুজব ছড়িয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে, সরকারি বনায়ন ও খাস সম্পত্তি রক্ষার নামে, ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের নামে, সামাজিক বনায়ন, ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ইকো পার্ক তৈরির নামে। কাগজে কলমে থাকলেও কখনো সবার জন্য এক নীতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পালিত হয়নি। অন্যসব নাগরিকের মতো তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়নি। অথচ সাঁওতালদের প্রধান পেশা ছিল পশুপালন ও কৃষি। বনজঙ্গল পরিষ্কার করে এ দেশের অধিকাংশ জমি চাষ উপযোগী করেছে তারা। এভাবে করে বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশ বর্তমানে ভূমিহীন এবং ৫১.৩ শতাংশ গৃহহীন। ১৯৪১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে সাঁওতালদের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ, ১৯৯১ সালের শুমারিতে ছিল ২,০২,১৬২ জন, ২০১১ সালের শুমারিতে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১,৪৩,৪২৫-এ। অন্য উল্লেখযোগ্য বৈষম্যগুলো হলো: সরকারি সেবা পেতে সাধারণ মানুষের চেয়ে আদিবাসীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়, সাহেবগঞ্জ গ্রামের ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেলেও একই গ্রামে বসবাসকারী সাঁওতাল আদিবাসীদের বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়নি। সরকার নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিলেও আদিবাসী নারীদের জীবনযাত্রার মানের কোন উন্নয়ন হয়নি। মাত্র ১০ শতাংশ সাঁওতাল লিখতে ও পড়তে পারেন।

এভাবেই হয়ত আলফ্রেড সোরেনদের মতো বিগাল দা’রাও হারিয়ে যাবে এই মাটি থেকে। অথচ এই মাটিতেই তারাই প্রথম শিকড়টা গেড়েছিল, ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে বসবাস উপযোগী করেছিল, আমরা নই!!!

ছবি: প্রথমটা আমার তোলা, দ্বিতীয়টা পত্রিকা থেকে নেওয়া।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ভালো লাগল।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার ঠ্যঠা মফিজ।

শুভকামনা। ভালো থাকুন।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সংখ্যালঘু শব্দটি না থাকলেই মনে হয় ভাল হত।
সরকারকেই আদিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আঈন প্রয়োগ করতে হবে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আসলে সংখ্যালঘু শব্দটিই অনেক পীড়াদায়ক। দেশে দেশে এর অভিন্ন রূপ। এদের মধ্যেও যখন নিপীড়নের মাত্রার তারতম্য থাকার পরেও যথেষ্ট পরিমাণে অালোচনায় অাসে না তখন এটা মেনে নেওয়া যায় না।

সরকারকেই আদিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আঈন প্রয়োগ করতে হবে। -- সাথে মানুষের মানবিক দিকগুলোরও কিছুটা উন্নতি দরকার।

ভালো থাকুন।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

মোহাম্মদ জন চক্রবর্ত্তী বলেছেন: সরকার কি এদের থেকে ভোট পায়???????????????????????????

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভোটের রাজনীতি এদের উপরও রোলার কোস্টার চালায়। তবে এরা বিচ্ছিন্নভাবে বাস করায় দলগুলোর তেমন অাশির্বাদ পায় না। বরং স্থানীয় চেলারা এদের হুমকীর মাধ্যমে ভোট দিতে কিংবা না দিতে বাধ্য করে। করুণ এদের অবস্থা!

ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "যদিও প্রথম থেকেই জানা যাচ্ছিল যে এই হামলা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে রাজনীতি, ভূমিদখল, আধিপত্য বিস্তার ও দুপক্ষের বিবাদ জড়িত " আপনার মন্তব্যের মতোই আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে ঘটনাগুলোকে সংখ্যালঘুদের উপর ধর্মীয় আক্রমণ বলা হয় সেগুলো আসলে তাদের জমি জমা দখল করার ধান্দাবাজি |আর এর সাথে বেশিরভাগ সময় যুক্ত থাকে সরকারি চ্যালা চামুন্ডারা | আর এ'জন্যই এসব ঘটনার খুব একটা বিহিত হয় না বরং ধর্মীয় উন্মাদনা বলে চালিয়ে কাল্প্রিটগুলোকে রক্ষায় করা হয় সবসময় | আপনার লেখা পরে অনেক কিছু জানা হলো | ধন্যবাদ নেবেন |

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: অাসলে এটা দেশে দেশে প্রায় একই রূপ। ধর্মীয় বিবাদটা যতটা না ধর্মীয় তারচেয়ে রাজনীতি। তবে ধর্মান্ধ মানুষের জিঘাংসাকে একেবারে ফেলে দিতে পারবেন না। এদের সংখ্যাও নিতান্তই কম নয়।

ধর্ম মানুষক্বে ন্যায়পরায়ণ হতে শেখায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মানুষ এর বিপরীতটাই শিখছে বেশি।

উগ্র মুসলিমরা চাচ্ছে গোটা বিশ্ব মেরে কেটে ইসলামের পতাকাতলে অাসুক, এরা আবার ইসলামের সংজ্ঞাটাকেই পাল্টে ফেলেছে নিজেদের ধর্মের লোকদেরও কতলের মাধ্যমে। উগ্র খ্রিশ্চিয়ানরা চাচ্ছে সবাই খ্রিস্টান হোক, তারা এজন্য দেশে দেশে মিশন ফিট করে দেদার টাকা ঢালছে। উগ্র হিন্দুরা চাচ্ছে গোটা বিশ্ব না হলেও যারা ভারতে বাস করছে তারা তাদের বাপ-দাদার ধর্মে ফিরে যাক, এরজন্য তারা দেশের এক ধর্মান্ধকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে। আর উগ্র বৌদ্ধরা কি চাচ্ছে তা তো আমরা মায়ানমার আর শ্রীলংকাতে দেখছি।

এই যে ধর্মান্ধ মানুষদের একপক্ষীয় চাওয়া এবং এর জন্য উগ্র মনোভাব। এটাই গোটা বিশ্বের সমস্যা। এটা কেউ প্রকাশ্যে অানছে আর কেউ গোপনে কাজ করছে।

যার কারণে 'মানবিকতা' শব্দটি বড়ই খেলো হয়ে গেছে অাজকাল।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐতিহাসিকদের মতে যদিও তারায় এই দেশের ভূমিপুত্র। অথচ তাদের এই করুণ কিংবা নিদারূণ পরিণতি সহজে মেনে নেওয়া ভীষণ শক্ত - সরকারের কাছে সকল সম্প্রদায়ের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবী জানানোটা নাগরিক হিসেবে আমাদের সমষ্টিগত নৈতিক দায়িত্ব।
অথচ এই মাটিতেই তারাই প্রথম শিকড়টা গেড়েছিল, ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে বসবাস উপযোগী করেছিল, আমরা নই!!! - এটা বোধকরি ইতিহাসেরই একটি ধারা। পৃথিবীর সব অঞ্চলেই মূল আদিবাসীরা আগন্তুক অভিবাসীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছে। যেমন আমেকিরাতে, অস্ট্রেলিয়াতে, কানাডায় এবং অন্যান্য অঞ্চলে।
পোস্টে প্রথম ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসান আপনার সুচিন্তিত মতামত দেওয়া ও এই অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য।

সরকারের কাছে সকল সম্প্রদায়ের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবী জানানোটা নাগরিক হিসেবে আমাদের সমষ্টিগত নৈতিক দায়িত্ব। -- বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯ ও ২৩ক অনুচ্ছেদে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা শুধু ওখানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

পৃথিবীর সব অঞ্চলেই মূল আদিবাসীরা আগন্তুক অভিবাসীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছে। - চরম সত্য। কিন্তু বর্তমানে তারা এগুলো কমপেনসেইট করার চেষ্টা করছে। যদিও তাদের ক্ষতির তুলনায় তা নিতান্তই নগণ্য।

আসলে আমাদের মানসিকতারও কিছু পরিবর্তন দরকার। আপনি হয়ত জানেন না যে এই অাদিবাসী লোকগুলোর জন্য অনেক জায়গায় অালাদাভাবে হোটেলে থালা-বাটি, কাপ-পিরিচ রাখা হয়। এগুলো শুধু তারাই ব্যবহার করবে। কি পরিমাণ ঘৃণা মনে জমা থাকলে মানুষ এমনটা করতে পারে। এগুলোর আগে পরিবর্তন হওয়া দরকার।

অথচ আমার স্পষ্ট মনে অাছে বাবা গ্রামের প্রধান ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও এক হাঁড়ি থেকে মাঠে বসে একসাথে পান্তা খাওয়ার দৃশ্য।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক কাছে থেকে সাঁওতালদের দেখা ওরা খুবই পরিশ্রমী এবং শান্তিপ্রিয়। ওদেরকে রক্ষা করা আমাদের সকলেই দায়িত্ব তা না হলে ওরা একসময় ইতিহাসের পাতায় চলে যাবে বাস্তবে ওদেরকে পাওয়া যাবেনা।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক কাছে থেকে সাঁওতালদের দেখা ওরা খুবই পরিশ্রমী এবং শান্তিপ্রিয়। -- এদের মতো নির্ঝন্ঝাট ও শান্তিপ্রিয় মানুষ পাওয়া দুস্কর। মনে কোনো হিংসা, দ্বেষ, ঘৃণা নেই। কারণ তারা অল্পতেই তুষ্ট ছিল। তবে এখন তাদের সমাজেও কিছুটা পরিবর্তনের অাভাস দেখা যাচ্ছে।

সভ্যতার উন্নতি মানুষকে সভ্য করতে শেখাচ্ছে নাকি কুটিল হতে শেখাচ্ছে তা বলা মুশকিল।


ভালো থাকুন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: সুবিধাভোগীরা যার যার অবস্থান থেকেই সুবিধা নিয়ে থাকে। দেশ-কাল-পাত্রের শুধুমাত্র তারতম্য।

তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হোক এই কামনা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সবদেশ কম-বেশি সংখ্যলুঘুরা সুবিধাবঞ্চিত ! বিশেষ করে,আমাদের দেশে এখনো সংখ্যালুঘুদের উপরে নিযাতনের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। সরকার তাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে থাকলেও বাস্তবে তার লক্ষণ দেখা যায় না। সাঁওতালদেরেএ দেশে অনেক পুরাতন ;বরং একটা সময় অন্যরা সংখ্যালুঘু ছিল ।।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: সংখ্যালুঘুদের মাঝে এই সংখ্যালঘুতর মানুষদের অবস্থা যে অারো সঙ্গীন। প্রান্তিক এই মানুষদের নিয়ে অালোচনা খুবই কম হয় যতটা হয় বড় বড় সংখ্যালঘুদের নিয়ে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

কানিজ রিনা বলেছেন: ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই মানুষ আমরা
দেশের মানুষ। সংখ্যালঘু বলতেও খারাপ
লাগে। তবে সংখ্যালঘু বলতে হিন্দুরা সংখ্যায়
কম। হিন্দুরা যদি এদেশ থেকে ভারতে চলে
না যেত তাহলে হয়ত সংখ্যায় বেশী থাকত।
হিন্দুরা যদি মনে করে এদেশে তারা নির্যাতিত
বলে চলে যাচ্ছে তাহলে ভুল।
আমাদের গ্রামটা হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি
বাস করত ছোট থেকে দেখতাম একঘর
করে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে, কোন কারনে
কেউ জানেনা। আমার এক হিন্দু বান্ধবী
আমাকে বলল। তারা চলে যাবে ইন্ডয়ায়
কেন? জিজ্ঞাস করতে বলল বাবা ওইদেশে
মৃত্যু বরন করতে চায় তাহলে স্বর্গ পাবে।
ঠিক একথা বলা যাবেনা সবাই নির্যাতনের
ভয়ে চলে যায়। এক কাকা আমাদের জমি
চাষ করত। ভাই ভাই গোলমাল লেগে
প্রথম শশুরবাড়ি যায় সেখানে শশুরবাড়ির
আত্বিয় ধরে ইন্ডিয়া চলে যায়।
আসলে এরকম অনেক কারন আছে।
অথচ ইন্ডিয়াতে মুসলিমরা নির্যাতিত হলেও
তারা ইন্ডিয়া দেশটাকে নিজের মাতৃভুমি
ভাবে তাই কোথায়ও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা
করেনা। ধন্যবাদ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি মনে হয় এর পরের পোষ্টের মন্তব্য এখানে করে ফেলেছেন।

এই পোষ্টের অালোচ্য বিষয় ছিল সাঁওতাল, ওঁরাও'রা এদেশের প্রকৃত আদিবাসী হলেও তাদের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ, বড় সংখ্যালঘু সকলেরই একটা বিমাতাসুলভ আচরণ রয়েছে সকলক্ষেত্রে। হিন্দুদের কিন্তু মুসলিমরা অচ্ছুৎ ভাবছে না। তারা একসাথে খাচ্ছে, কাজ করছে। ওদের কিন্তু হিন্দু, মুসলিম সকলেই অন্য চোখে দেখে। তাই তাদের নিপীড়নে মিডিয়া কাভারেজও কম পাচ্ছে।

ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এভাবেই হয়ত আলফ্রেড সোরেনদের মতো বিগাল দা’রাও হারিয়ে যাবে এই মাটি থেকে। অথচ এই মাটিতেই তারাই প্রথম শিকড়টা গেড়েছিল, ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে বসবাস উপযোগী করেছিল, আমরা নই!!! - মন ছুয়ে গের কথাটায়।
সত্যি যে কেন দেশে যারা আদিবাসী তারাই একদিন উচ্ছেদ হয়ে যায় মাতৃভূমি থেকে-এটাই বড় ট্যাজেডি।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: সত্যি যে কেন দেশে যারা আদিবাসী তারাই একদিন উচ্ছেদ হয়ে যায় মাতৃভূমি থেকে-এটাই বড় ট্যাজেডি। --- ভালো বলেছেন।

অামাদের অনেকেই এদের কালচার, অাচার-আচরণ ঘৃণার চোখে দেখে। হীন মানসিকতার পরিচায়ক। নিজ দেশে বাস করেও পরবাসী যেন এরা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার মো: মাইদুল সরকার।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২২

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাঙালি, আদিবাসী কিংবা উপজাতি বলেন যদি তারা গরীব হয় তাহলে পদে পদে বঞ্চনার শিকার হতে হবে।
ভালো লাগল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগগুলো নিয়ে লিখেছেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: এই পিছিয়ে পড়া কর্মজীবী মানুষগুলো নি:স্বার্থভাবে দিয়ে যাচ্ছে দেশকে। বিনিময়ে কী পাচ্ছে তারা?

ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,




অতি পুরাতন কিন্তু চির সত্য একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।

অধ্যাপক আবুল বারকাতের সাথে তাল মিলিয়েই আবার বলি, এসব সংখ্যালঘুদের সব সময়ই উচ্ছেদ করা হয় শত্রু সম্পত্তি আইন প্রয়োগ করে, ভুয়া দলিল দেখিয়ে, গুজব ছড়িয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে, সরকারি বনায়ন ও খাস সম্পত্তি রক্ষার নামে, ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের নামে, সামাজিক বনায়ন, ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ইকো পার্ক তৈরির নামে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার অাহমেদ জী এস আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।

এদের নিয়ে ভাবনা করার লোক দিন দিন কমে যাচ্ছে, যেমনটা কমে যাচ্ছে তাদের সংখ্যা।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

ওমেরা বলেছেন: শাওতালদের সম্পর্কে কিছু জানা হল, শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু জেনেছেন জেনে ভালো লাগল।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২২

জাহিদ অনিক বলেছেন: অথচ এই মাটিতেই তারাই প্রথম শিকড়টা গেড়েছিল, ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে বসবাস উপযোগী করেছিল, আমরা নই!!!

সভ্যতার সূচনা করতে গিয়ে এভাবেই হারিয়ে যায় অনেক কিছু

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: সভ্যতার সূচনা করতে গিয়ে এভাবেই হারিয়ে যায় অনেক কিছু -- ভালো বলেছেন।

ভালো থাকুক এই সদাহাসিমুখ পরিশ্রমী মানুষগুলো।

ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্লগার জাহিদ অনিক।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, "নিজদেশেই পরবাসী" আর সংখ্যালুঘুতরের অসহনীয় দুর্দশার কথা।। জীবনের অভিশাপ এটা আর এটাই সংখ্যাগরিষ্ঠরা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে শত্রু সম্পত্তি আইন প্রয়োগ করে, ভুয়া দলিল দেখিয়ে, গুজব ছড়িয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে, সরকারি বনায়ন ও খাস সম্পত্তি রক্ষার নামে, ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের নামে, সামাজিক বনায়ন, ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ইকো পার্ক তৈরির নামে। ।।ধিক্কারই কি যথেষ্ঠ!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: কঠোর পরিশ্রমী এই মানুষগুলো পদে পদে মার খেয়ে যাচ্ছে। অথচ গোটা সমাজব্যবস্থা এদের সাথে কিছুটা বিমাতাসুলভ অাচরণ করে চলেছে।

প্রান্তিক এই মানুষদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় কোথায়।

ধন্যবাদ ব্লগার সচেতনহ্যাপী আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা। সত্যিইতো আমরা কখনো কি ভেবেছি ওদের নিয়ে??

অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি সামনে আনার জন্য। +++++++++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: তাইতো এই সব মানুষদের নিয়ে ভাবনার সময় কই আমাদের? না রাষ্ট্রযন্ত্র না সমাজ না ব্যক্তি কারো কাছেই এই কোল-চামুণ্ডারা প্রিয়পা্ত্র নয়।

লেখা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

শুভকামনা রইল অাপনার মতামত দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: "এই যে ধর্মান্ধ মানুষদের একপক্ষীয় চাওয়া এবং এর জন্য উগ্র মনোভাব। এটাই গোটা বিশ্বের সমস্যা" এটা ব্লগের ও সমস্যা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: খারাপ বলেন নি।

তবে পোষ্টটি ছিল। বড় সংখ্যালঘু ও ছোট সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন এবং ছোটদের প্রতি সকলের বিমাতাসুলভ অাচরণ।

আপনি এই বিষয়টি নিয়ে অালোচনা করলেই বেশি খুশি হতাম।

ধন্যবাদ পোষ্টে মন্তব্য ও লাইক রেখে যাওয়ার জন্য।


১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম প্রচারের সময় আরব সাম্রাজ্যের জন্ম নেয়; কোনটা কোনটার বাই-প্রোডাক্ট কে জানে; সেই কারণে ইসলামের লোকেরা সবকিছু শক্তি দ্বারা সমাধান করে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: অামার পোষ্টের সাথে এর রিল্বেশন কি খুলে বললে প্রীত হতাম। :(

অাশা করি সুন্দর একটি ব্যাখ্যা দিবেন। আপনার একটি কোমল হৃদয় আছে আমার তাই মনে হয়।


ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ব্লগার চাঁদগাজী।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: গাজী সাহেব মনে হয় লেখাটি এখনো বুঝতে পারে নি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: বুঝলাম না অাপনি আমার পোষ্ট ফলো করেছ্বেন নাকি গাজী সাহেব্বের মন্তব্য ফলো করেক্সছ্বেন। :P


তারপরেৃও এৃখান্বেৃ এৃস্বে কিক্সছু বল্বেছক্স্বেন সে্বজন্য ষধন্যবাষদ।

*কি বোর্সড্বের কয়্বেকটি কি সঠিক কাজ করক্সছ্বে না। সে্বজন্য ষদুঃখিত।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সাওতালদের উপলক্ষে খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখছেন । এই পোষ্টের লেখা এবং আমাদের বিজ্ঞ পাঠকদের মতামতে এদের বিষয়ে অনেক মুল্যবান কথা উঠে এসেছে । এ বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু কাজ করতে ছিলাম আমার একটি পোষ্টের জন্য । প্রাথমিক খসড়া তথ্যমালা হতে কিছু এখানে তুলে তুলে দিলাম সাওতালদের পরিচিতি, অতীত ইতিহাস ও ভবিষ্যত স্বম্ভাবনা একটু তুলে ধরতে ।

সাঁওতালগন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নৃগোষ্ঠীগুলির একটি তাতে কোন সন্দেহ নাই । এরা নিজেদেরকে কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ রচিত মহাভারতেবর্ণিত কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের প্রত্যাখ্যিত-ভাবশিষ্য একলব্যের বংশধর ব'লে বিশ্বাস করে ।
সাঁওতালী ভাষাটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত থাকায় এদেরকে অস্ট্রেশীয় নৃতাত্বিক উৎস বলেই নির্দেশ করে । ফলে ধারণা করা হয় যে এই গোষ্ঠির মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল দ্রাবিড়দেরও আগে অস্ট্রেলিয়া এবং সন্নিহিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালা থেকে । দেহ কাঠামোর বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে সাঁওতালদেরকে বিশুদ্ধ প্রাক-দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে মনে করা হয় । প্রাচনিকাল থেকেই সাঁওতালরা এদেশে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে সাঁওতালদের আগমন ঘটেছে নানা কারণে। এর মধ্যে জমিদার-মহাজনেরা যেমন তাদের কাজের প্রয়োজনে সাঁওতালদের উত্তরবঙ্গে এনেছেন, তেমনি এরা নিজেরাই জীবিকার সন্ধানে, খাদ্য ও বাসস্থল সংকটে, এমনি কি ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে ইংরেজ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে এ অঞ্চলে বাসস্থান গড়েছেন।

সাঁওতালরা দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলেই বেশী বাস করে। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট , ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দর , কাহারোল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে। রাজশাহী এবং বগুড়া অঞ্চলে কিছু সংখ্যক সাঁওতাল আছে। এদের ঘরগুলো ছোট এবং মাটির তৈরি। ঘরে সাধারণত কোনো জানালা থাকে না । পুরুষ সকলে হাতে উল্কির ছাপ দেয় । মেয়েরা রূপার তৈরি গহনা যেমন- বালা, ঝুমকা, আংটি, মল, হাঁসুলি ইত্যাদি ব্যবহার করে এবং খোঁপায় ফুল গুঁজতে ভালোবাসে । সাঁওতাল সমাজে বহিঃগোত্র বিবাহ প্রচলিত। এমনকি উপগোত্রের মধ্যেও বিবাহ হয় না। রংপুরের নিভৃত গ্রামে সে এলাকার এক সংসদ সদন্যের সাথে সাওতালদের এক বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম বছর পয়ত্রিশেক আগে । বিয়ে অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় ভাতের সাথে ছিল মাছ, কাঁকড়া, শুকর, মোরগ, মুরগি, পাখি, খরগোশ, গুইসাপ, ইঁদুর বেঁজির মাংস সমৃদ্ধ অনেক পদের খাবারের সমারোহ, যে যার পছন্দমত খাবার খেয়েছে ।

আদিকাল থেকেই কৃষিই এদের প্রধান পেশা , নারী পুরুষ সবাই জমিতে কাজ করে এক সাথে । পুরুষেরা হাল চাষ এবং নারীরা বীজ বোনা ও ফসল তোলার কাজ করে। । শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। বাংলাদেশে বন জঙগল কমে যাওয়ার কারণে তাদেও এই পেশায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অনেক সাঁওতাল নারী পুরুষ কুলি, মজুর, মাটি কাটার শ্রমিক ও অন্যান্য কাজ করে জীবিকার টানে ।পিতৃতান্ত্রিক সাঁওতাল সমাজে সম্পত্তিতে পুত্রদের অধিকার সমান, কিন্তু মেয়েদের কোন অধিকার নেই। তবে পিতা ইচ্ছা করলে মেয়েকে কিছু দিয়ে যেতে পারে।

এদের প্রধান উপাস্য যদিও সূর্য তবু পর্বত দেবতাও (মারাং বুরু) তাদের জন্য যথেষ্ট মর্যাদাব্যঞ্জক হয়ে গ্রামদেবতায় পরিণত । সাঁওতালদের বিশ্বাস আত্মা অমর এবং সেই অনৈসর্গিক আত্মাই (বোঙ্গা) সব ঐহিক ভালমন্দ নির্ধারণ করে থাকে। সাঁওতাল নর-নারী আসলে ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে সর্বপ্রাণবাদী ও প্রকৃতি উপাসক, আবার তারা ‘ঠাকুরজিউ’-কে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মান্য করে। তাদের ধর্মাচরণে মূর্তিপূজার প্রচলন নেই ।

সাঁওতালরা খুবই উৎসবপ্রিয় জাতি।তাদের বভিন্ন উৎসবে সাঁওতাল তরুণীদের দলবদ্ধ ভাবে করে নৃত্য।


কিন্তু বর্তমানে এদের জীবন হয়ে গেছে দুর্বিসহ যা পোষ্টের লেখাটতে ফুটে উঠেছে । এরা "নিজ দেশেই পরবাসী" আর সংখ্যালুঘুতরের অসহনীয় দুর্দশা নেমে এসেছে তাদের পরে ।। জীবনের অভিশাপ , সংখ্যাগরিষ্ঠরা তাদের আজ করছে উচ্ছেদ শত্রু সম্পত্তি আইন প্রয়োগ করে, ভুয়া দলিল দেখিয়ে, গুজব ছড়িয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে, সরকারি বনায়ন ও খাস সম্পত্তি রক্ষার নামে, ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের নামে, সামাজিক বনায়ন, ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ইকো পার্ক তৈরির নামে।

কিন্তু সাওতালদের ইতিহাস অনেকেই জানেনা যে বিশাল এক সাওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুরে। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে।এটি ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র গণসংগ্রাম। ১৮৫২ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের ফলে তাদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। তাই সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা সোচ্চার হয়েছিল।নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় সান্তাল আদিবাসিরা ভারত বর্ষে জেগে উঠেছিল প্রতিবাদের দাবানল ।

সেই বিদ্রোহ ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিলো বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা বৃটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

১৮৫৫ খ্রি. ৩০শে জুন প্রায় ত্রিশ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বীরভূমের ভগনাডিহি থেকে সমতলভূমির উপর দিয়ে কলিকাতাভিমুখে পদযাত্রাটি ছিল ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম গণ পদযাত্রা। সাঁওতাল জাতির এই বিদ্রোহই ভারতবর্ষে স্বাধীনতার বীজ বপন করে গিয়েছিল।

বর্তমান সাঁওতালদের দেখে অনুমান করাই দুঃসাধ্য যে এ সান্তালরা একদিন ইংরেজ শাসকদের কঠিন বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল । ক্রমাগত শোষন, বঞ্চনা , নির্যাতন , দাসত্ব এবং নারীদের অবমানোনা যখন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দেয় তখন শান্তিপ্রিয় সান্তালদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল যে জ্বলে উঠে এবং প্রতবিাদের ঝড় উঠে তা হয়ত আমাদের অনেকেই জানেনা । এদের হাতে এখনো উঠে আসতে পারে সুতিক্ষ্ন তীর ধনুক এফোর উফুর করে দিতে পারে তাদের ভুমি দখল কারীদের বুকের পাজর । অতএব সাওতাল নির্যাতনকারীরা হয়ে যাও সাবধান , এখনো সময় আছে, কেও জানেনা কখন যে এরা দ্বাবানল হয়ে জ্বলে উঠবে ।


অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পোষ্টকে আরো শক্তিশালী করেছে। আপনি নিজেও এ বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছেন শুনে ভালো লাগল।

এদের নিয়ে সামাজিক সচেতনতায় হয়তবা এদের জীবনমানের জন্যও কিছুটা হলেও উন্নতির কারণ হবে।

ভালো থাকুক এই প্রান্তিক মানুষগুলো।

আপনার এই তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৬

কালীদাস বলেছেন: সাঁওতালদের শান্তিপ্রিয়ই জানতাম :|

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: এখনো তারা শান্তিপ্রিয়ই। তবে সমাজের সর্বক্ষেত্রে যেভাবে পচন ধরেছে সেখানে তাদের গায়েও কিছু অাঁচ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।

এরপরও তারা এখনো সমাজের কুটিলরূপগুলো থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে।


এতোদিন পর ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার কালীদাস।

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সংখ্যালগঘু সুবিধাটা কি শুধু হিন্দুদের জন্যই প্রযোজ্য? সাওতাল সম্প্রদায় কি রোহিংগাদের মত?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২০

আখেনাটেন বলেছেন: বৈষম্য সমাজের পরতে পরতে। খালি চোখে দেখা না গেলেও একটু ভিতরে প্রবেশ করলে এর অস্থিচর্মসার কংকালটা চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি খুব ভালোভাবে ব্যাপারটা লিখেছেন ;
ধন্যবাদ !

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সরকার আদিবাসী নাকি অনাদিবাসী; সংখ্যালঘু নাকি গুরু এসব প্রশ্ন আমার কাছে অনর্থক! আসলে সবাই মানুষ। তাই প্রত্যেকেরই ইক্যুয়াল রাইটস পাওয়ার অধিকার রয়েছে!


আপনার পোস্ট বেশ সুন্দর ও গোছানো হয়েছে!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: প্রত্যেকেরই ইক্যুয়াল রাইটস পাওয়ার অধিকার রয়েছে! -- এটা এখন সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের একটি মনভুলানো উক্তি হয়ে গেছে। সংবিধানের এই পাতাগুলো সরকার মশায় পড়ে টিনের চশমা চোখে লাগিয়ে।

পোস্ট ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

শুভকামনা।

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সংবিধানের এই পাতাগুলো সরকার মশায় পড়ে টিনের চশমা চোখে লাগিয়ে।

হাসির ইমো দিতে ইচ্ছে হয়েছে তবুও দিলাম না! কেন দিলাম না সেটি হয়তো আপনিও বুঝেছেন!

আপনার প্রতি উত্তরের সাথে আমি প্রায় একমত!:)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার প্রতি উত্তরের সাথে আমি প্রায় একমত! ----- প্রায় কেন ভাই? কেন পুরোপুরি নয়? খুলে বললে টিনের চশমার বদলে অন্য চশমা লাগিয়ে দিতাম। হাসির ইমো হলেও হতে পারে।

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রায় একমত কারন কিছু বিষয়ে সরকারকে ইকুয়াল রাইট দিতেই হয় সেটি মিডিয়া বা বর্হির বিশ্ব যার চাপেই হোক না কেন! তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্যণীয়! এ কারনেই প্রায় একমত কথাটা লিখেছি!:)


ভালো থাকুন! শুভকামনা!:)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: তাহলে তো টিনের চশমার বদলে অন্য কিছুর চশমা পরাতে হবে। যা দিয়ে সরকার মশায় আবছা আবছা দেখতে পায়। :P


ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যের জন্য।

২৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: সাঁওতালদের ভুমি রক্ষায় এগিয়ে আসা দরকার। আমি দিনাজপুরের রানীগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে গিয়েছিলাম। এরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: সাঁওতালদের ভুমি রক্ষায় এগিয়ে আসা দরকার। --- সহমত।

কিন্তু প্রশাসন পর্যন্ত এদের সাথে বিমাতাসুলভ অাচরণ করে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার প্রামানিক ভাই।

২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

অপ্‌সরা বলেছেন: :(


এই সব অন্যায় জোর জুলুম অত্যাচার বন্ধ হোক।:(

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: এই সব অন্যায় জোর জুলুম অত্যাচার বন্ধ হোক। -- যত দ্রুত এই সব দুষ্টুক্ষত সমাজ থেকে বিদূরিত হবে তত তাড়াতাড়ি আমরা অন্তত মানুষের কাতারে সামিল হব।

ধন্যবাদ এই প্রান্তিক মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য।

৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

শামচুল হক বলেছেন: যতটুকু জানি সঁওতালরা ধান্দাবাজ নয়।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: হুম, ঠিক জানেন। এখনও তাদের কিছুটা হলেও মনের শুভ্রতা বজায় আছে।

ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.