নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
মনটা ভীষণ আঁকুপাঁকু করছে। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাব। কখন খুলব। কি লেখা আছে ভিতরে? মারাত্মক অস্থিরতা পেয়ে বসেছে আমাকে। এখন মকবুল ডাক্তার আমার হার্টবিট মাপলে নিশ্চিত নিজেই হার্টফেল করবে।
ঘটনাটা খুলে বলি। বিংশ শতকের বিদায়ের গান গেয়ে একবিংশ শতকের মায়াবী যুগ শুরুর দিনগুলোতে এই উথাল-পাথাল পিচ্চি প্রেম কাহিনি। এই আমি যার নায়ক। আর নায়িকা হচ্ছে বিড়ালচোখী ওরফে ধলী ওরফে তাশফিয়া জরী।
গ্রাম থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। এর মধ্যে আবার অর্ধেকটা পথ আল (মাঠের মাঝ দিয়ে মাটির সরু পায়ে হাঁটা) রাস্তা। বাকি মাটির বড় কাঁচা রাস্তা।
বর্ষাকাল। আল পথ কিছু কিছু জায়গায় পানিতে ডুবে আছে। মাটির রাস্তাটুকু কাদায় থকথকে। বেশ যত্ন করে পা টিপে টিপে যাতায়াত করতে হয়। সামান্য অসতর্কতায় কাদামাটির সাথে কোলাকুলি করার সমূহ সম্ভাবনা। কোলাকুলিজম এই ভয়ঙ্কর পিচ্ছিল রাস্তায় একটি নিত্যকার ঘটনা।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই সেদিন ক্লাসে উপস্থিত আমি ও চাচাতো ভাই রাসেল। এক ক্লাসেই পড়ি। প্রেম-ট্রেম কিছু হল না। এই নিয়ে মনঃকষ্টে দিনানিপাত করছি। সেদিন ক্লাসে দেরীতে গিয়ে দেখি অপরুপ রুপবতী এক অচেনা কন্যা সামনের সারিতে বসে ক্লাস করছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ের স্কুলে নতুন মেয়ে ভর্তি হয় না বললেই চলে। এখানে প্রায় সবাই সবাইকে চেনা। পাশে বসা রাসেল দেখছি বার বার ক্লাসের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে। আমিও সাধু ছিলাম না।
ক্লাস শেষ হলে রাসেল ঝাঁপ দিয়ে আমাকে ধরে বলল। ওরে ছুট্টু (ভাইবোনের সবার ছোট হওয়াতে এই পিছলা বাতাসি নামটায় আমার আসল নামকে চাবকিয়ে সরিয়ে স্থান দখল করেছে। অনেক চেষ্টা করেও এর থেকে মুক্ত হতে পারি নি।)
-‘আমাকে কিন্তু তোর একটুসখানি সাহায্য করতে হবে’।
-‘কি সাহায্য?’
-‘পরে বলছি’।
এভাবে কয়দিন ক্লাসে চোখাচোখি, হাসাহাসি, কাশাকাশি পাশাপাশি চলল। মেয়ের ঠিকুজিও বের হল। নয়া ফুড অফিসারের মেয়ে।
ইতোমধ্যে জরী উষ্ণ পানির ঝর্ণাধারার প্রস্রবণ হয়ে আমার চৈতালি মাঠে কুলকুল করে বইতে শুরু করেছে। আমি মনে মনে ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ করছি। যেন কোনভাবেই জলাবদ্ধতা না লাগে। যতই নিম্নচাপীয় বৃষ্টি শুরু হোক। যদিও সম্ভাবনা দেখি না।
সবেমাত্র বিমল করের ‘বালিকা বধূ’ শেষ করেছি। মনে মনে খায়েস হয়েছে ইস, আমার যদি এমন একটি বালিকা বধূ থাকত। বালক আমি এই চিন্তায় দিনে আট ঘন্টার নিদ্রা পাঁচ ঘন্টায় নামিয়ে এনেছি। বিড়ালচোখীকে সেই আসনে বসিয়ে দিয়েছি। হায়-হায় রোগে পেয়ে বসেছে আমাকে। ভয়, যদি আমার না সে হয়।
কয়দিন পরেই রাসেল বলল, ‘ওরে, আমাকে একটি চিঠি লিখে দে’। আমি একটু অবাকই হলাম। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম। ‘চিঠি কেন’?
আমার প্রাণের পাখি জরীরে দেবে প্রেমের প্রথম নজরানা হিসেবে। আমি তো শুনে থ। বলে কি এই ধাড়ি রামছাগল। যার জন্য আমি খাল কেটে কেটে ঝর্নার পানির মসৃণ রাস্তা তৈরি করছি, সেই খাল দিয়ে দেখছি কুমির ঢুকে পড়ার পাঁয়তারা করছে। মনে মনে বললাম ‘দাঁড়া, এখনি খালের মুখ বন্ধ করছি’।
কিন্তু মুখে আমার সোজাসাপ্টা জবাব। ‘না, আমি পারব না’। রাসেল নাছোড়বান্দা।
বললাম, ‘তা তুই লিখে দে না’। আমি জানি সে কখনই তা লিখবে না। কারণ তাঁর হায়ারোগ্লেফিক হাতের লেখা সুন্দরীকে পাঠোদ্ধার করতে হলে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে।
শেষে গফুর মিষ্টিওয়ালার বালিশ মিষ্টি, এক প্যাকেট বাটার কুকিজ বিস্কুট ও একটি সিনেমার টিকেটের বিনিময়ে রাজি করাল। আর আমি রাজি হলাম এই কারণে যে ধলী কখনই বিট্টু রাসেলের প্রেমে পড়বে না।
তাই মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবনের প্রথম প্রেমপত্র লিখলাম।
‘আমার ময়না পাখি। যখন আমি তোমায় প্রথম দেখি, তখনই আমার হল একি! (কোনো একটা বাংলা গানের সুর মেরে দিয়েছিলাম মনে হচ্ছে) তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমার পড়াশুনা শিকায় উঠেছে। রানী, তুমিই পারো এই অবস্থা থেকে টেনে তুলতে। এসো, দুজনে হারিয়ে যাই দূর আকাশে’।
আমার এই চিঠি রাসেলকে দিলাম। শেষে কি লিখব? রাসেল বলল ইতি ‘R’ লিখে দে। ক্লাস শেষে বাড়ি রওয়ানা হওয়ার আগের মূহুর্তে রাসেল জরীর হাতে চিঠি গুঁজে দিয়ে ভোঁ দৌড়।
রাসেলের চিঠি। অথচ আমার সারারাত ঘুম হল না। আসলে রাসেলের হলেও কথাগুলো তো আমার। এর প্রতিউত্তর কি হয়? এই নিয়েও দুশ্চিন্তা ছিল। শেষে ব্যাটা রাসেল মুখের গ্রাস কেড়ে খাবে নাকি। খাটে সারারাত উষ্ঠাউষ্ঠি করে সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই রওয়ানা হলাম।
টান টান অপেক্ষার পালা। টোপ ফেলেছে রাসেল। যদিও সেটা আমার বানানো। ভয়, গিলে ফেলবে নাতো। ভুল করলাম কি?
প্রথম ক্লাস রাম মজিদ স্যারের। রাম মজিদ স্যারের নামের সামনে ‘রাম’ মাজেজা হচ্ছে উনি ছাত্রদের পড়াশুনার গাফিলতি ও বেয়াদবীতে যে শাস্তির ব্যবস্থা করেন তা একটু ভিন্ন প্রকৃতির। যেমন উনি যে চড়টা ছাত্রদের দেন তার নাম ‘রামচড়’। উনার হাতের থাবা খেয়ে সপ্তাহান্তে দু-একজন অজ্ঞান হন নি এরকম ঘটনা বিরল। শোনা কথা এমনও দেখা গেছে উনি উনার বিশাল হাতের থাবাটা উঠিয়েছেন কাউকে মারার জন্য। তাতেই নাকি ছাত্ররা ফিট খেয়েছে। এইসব কিংবদন্তি শুনা থাকায় উনার পড়া বা ক্লাসে কেউই বেগড়বাই করতাম না। কাপড় ধোলাইয়ের মতো উল্টে পাল্টে ধোলাই করেন বলে নাম হয়েছে ‘রামধোলাই’। প্রচণ্ড রোদে মাঠের মাঝখানে এক ঠ্যাং-এর উপর দাঁড়িয়ে উচ্চশব্দে হাসতে হবে, এটাকে নাম দিয়েছেন ‘রামহাসি’। একটু উল্টা-পাল্টা দেখলেই এসবের সফল ব্যবহার হত।
রাসেলকে দেখলাম সে তো মহা আনন্দে। সুন্দরী বার বার তাঁর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে। আমি হতাশ!। মনে মনে নিজের চুল নিজেই ছিড়তে ইচ্ছে করছে। আমি বিশাল ভুল করেছি রাসেলকে চিঠি লিখে দিয়ে। আমার চিঠি দিয়ে রাসেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে সুন্দরী! অামি মহা হতাশ!!
একটু পরেই বিড়ালচোখী মিষ্টি মিষ্টি হেসে নিজের আসন থেকে উঠে স্যারের টেবিলে গিয়ে কি যেন দিয়ে আসল। আমার একটু আগেই মরচে ধরা গিটারে আবার নতুন রাগের সঞ্চার হতে শুরু করল। ভিতরে আমার ভালোলাগার সুনামী। কেন? কি জন্য? তা কিন্তু বলছি না। আমি নিশ্চিত কি ওটা। রাসেলের দিকে তাকালাম। ওর চোখ-মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। আমি মনে মনে মজাই পেলাম। যাক, সুন্দরী রাসেল মিঞাকে পছন্দ করে নি।
স্যার চিঠিটি পড়ে হুংকার ছাড়লেন। ‘কোন নচ্ছার পাজির পা ঝাড়া এই কুকাজ করেছে’। আমি রাসেলকে ঠেলা দিয়ে বললাম, ‘বল’। অভয় দিলাম ওকে। ‘’স্যার বেশি মারবে না। খুব বেশি হলে ‘রামহাসি’তেই পার পেয়ে যাবি।‘’
ও ব্যাটা দেখছি সমানে ঘামছে। জরী দেবীর দিকে তাকালাম। মিঠি মিঠি হাসছে। স্যার এদিকে গর্জন করতেই আছে। রাসেল স্বীকার করছে না। ইতিমধ্যে স্যার বলল, ‘‘এই কার কার নাম ‘আর’ দিয়ে শুরু’’।
আমিসহ মোট চারজন দাড়ালাম। আমি রাসেলকে গুঁতোই। বলে দে। কিন্তু ও ব্যাটা নিশ্চল। এদিকে স্যার হাতের লেখা চারজনকেই নিয়ে যেতে বলল। এই কথা শুনে আমার বুকে আফ্রিকান জংলী স্টাইলে ড্রাম বাজাতে শুরু করেছে। আমি রাসেলকে ঝাঁকাতে থাকি। বলে দে। বলে দে বিলায়ের ছাও। বলে দে তুই সেই নচ্ছার!
স্যার খাতা চেক করে কেউটে সাপের মতো চোখ ছোট ছোট করে আমাকে বলল ‘চল, ব্যাটা, অফিসে। কিছু খানাপিনা করি’। আমি নিজের ভেতর সাত রিকটার স্কেলের ভূমিকম্পের টের পেলাম।
কিছুক্ষণ পর নরকের দরজা দিয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বিধ্বস্ত দেহ ও মন নিয়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করলাম। কোনো কথা না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে পা বাড়িয়ে বই-খাতা নিয়ে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
রাসেলের সাথেও কথা-টথা আর বলি না। সুন্দরীর চিন্তা তো দূরে থাক, পারলে দশ হাত দূর দিয়ে চলাচল করি। পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে নাকি আমারে! আবার বেল তলা! একবার বেল তলার পাশ দিয়ে যেতে গিয়েই মাথা ফাটার দশা! মাফ চাই!
বেশ কয় দিন পর রাসেল বলল বিড়ালচোখী আমাকে কি যেন বলবে। স্কুল ছুটি হলে যেন গেটের বাইরে অপেক্ষা করি। মনে মনে ভাবলাম আবার নতুন কোনো প্যাঁচে ফেলবে নাতো। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়! আমার অবস্থাও এখন তেমন।
স্কুল ছুটির পরে গেটের কাছে আসতেই বিড়ালচোখী আমার হাতে কি একটা গুঁজে দিয়ে হনহন করে চলে গেল। তাকাতেই দেখি এক টুকরো মোড়ানো কাগজ। সাথে সাথে পকেটে চালান করে দিলাম। কেউ যেন দেখে না ফেলে। রাসেল কিছু একটা সন্দেহ করে বলল, ‘কি দিল রে তোকে, চিঠি নিশ্চয়’। আমি না সূচক জবাব দিলাম। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা। তাকে দেখাতে হবে। তা না হলে বাড়িতে বড় আপাকে বলে দেবে। ভয়ে কথা দিলাম।
হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আগেই বলেছি স্কুল থেকে বাড়ি গোটাটায় মাটির রাস্তা। যেখানে মাটির বড় উঁচু রাস্তা শেষ আর আল জমির রাস্তা শুরু সে জায়গাটা বেশ ঢালু। এঁটেল মাটি হওয়ায় বর্ষাকালে বেশ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে গ্রামের খুব কম লোক আছে যারা বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে যে সে বর্ষাকালে এখানে পিছলে পড়ে নি। আমিও সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন। আমি নিজেও অনেক সময় হালকা পানি দিয়ে আরো পিচ্ছিল করে রাখতাম। যেন অন্যরা ধপাস খায়। বিশেষ করে স্কুলের মেয়েদের ফেলার ধান্ধা।
সৃষ্টিকর্তা হয়ত এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল। টেনশনে আছি। কি লিখেছে আমার জরী সোনা। এই অবস্থায় বেখেয়ালে পা ফেলা মাত্র রাস্তার উপর মাথা থেকে জমিতে পপাতধরণীতল। মনে হল মিগ-২৯ এর মতো ল্যান্ড করলাম পানিতে। পানিতে ভিজে কাদা-টাদা মেখে একাকার। হঠাৎ মনে হল আরে পকেটে চিঠি আছে তো। বের করে দেখি ভিজে জোড়া লাগার মতো হয়ে গেছে।
রাসেল পরামর্শ দিল বাড়িতে গিয়ে শুকিয়ে তারপর খুলতে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা। ফ্রেশ হয়ে মাগরিবের নামাজের পর পড়তে বসা। যেহেতু যৌথ পরিবারে থাকি। সকলেই পাটি বিছিয়ে হারিকেনের আলোই পড়াশুনা করতাম। গ্রামে বিদ্যুৎ তখনও যায় নি। পড়ার মাঝে ভেজা চিঠিটা হারিকেনের মাথায় দিয়েছি শুকানোর জন্য।
এদিকে শিক্ষক বড় আপা মাঝে মাঝেই খোঁজ খবর নেয়। পড়াশুনা কেমন চলছে। উনি এসে দেখতে পায় হারিকেনের মাথায় কিছু একটা দেওয়া।
-‘’কিরে ওটা।‘’
-‘‘না কিছু না’।-আমতা আমতা করে বললাম।
-‘না কিছু না মানে। নিশ্চয় কিছু’।
-‘’ওই মানে স্যার রচনা লিখে দিয়েছে ‘ছাত্রজীবন’। ওটা আজকে আসতে ভিজে গেছে। তাই শুকাতে দিয়েছি।‘’
আমার মনে হল কথাটা বিশ্বাস হয় নি আপার।
-‘’দেখি কেমন লিখেছে।‘’
আমি ঝাপ দিয়ে উঠে বললাম, ‘ওটা ছাত্রজীবন রচনায়। অন্য কিছু নয়। ভাল রচনা। এবার পরীক্ষায় আসবে।‘
-তাও দেখি। কেমন লিখেছে? বলে হাতে নিয়ে এখনো আধা ভেজা আধা শুকনো কাগজটা খুলতে শুরু করল। আমার তো আত্নারাম খাঁচাছাড়া। যদি আপা জানতে পারে ওটা ‘ছাত্রজীবন রচনা’ নয় ‘ছাত্রজীবনে প্রেমপত্র’। নিশ্চিত আমার পিঠে বাঁশ ভাঙবে। আমার ছাত্রজীবনের এখানেই দফারফা। আপা খুলছে। আর আমি ভেতরে ভাঙছি। ভীত হরিণের মতো এক পা খাড়া করে রেখেছি। দৌড় লাগাব বাড়ির বাইরে। আর শুকুনের মতো লম্বা গলা করে দেখার চেষ্টা করছি কি লিখেছে আমার জরী সোনা।
গোটাটায় খোলা হলে আপা বলল, ‘কিরে, কিছুই তো বুঝা যাচ্ছে না’।
-‘বুঝা যাচ্ছে না’। আমি ও রাসেল ভয়ে ভয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার একই সাথে আনন্দ, হতাশা, বেদনার এক অদ্ভুত অনুভূতি হল। আনন্দ কারণ মার খেতে হবে না, চিঠি পড়া যাচ্ছে না বলে। আর হতাশা ও বেদনা কারণ আমি জানতেই পারলাম না আমার জরী সোনা কি লিখেছিল চিঠিতে এই জন্যে।
আসলে চিঠিটি লেখা হয়েছিল জেল কলম দিয়ে। পানিতে ভিজে সেই কালি গোটা কাগজে ছড়িয়ে পড়েছে। কোন শব্দই আর বোঝা যাচ্ছে না।
হতাশায় আমি হাত-পা ছুড়ে বলতে লাগলাম আপাকে, ‘‘তুমি আমার ‘ছাত্রজীবন’ রচনা পড়তে দিলে না। তুমি আমার ছাত্রজীবন শেষ করে দিলে’’। আমার গোপন বিশ্বাস পুরোপুরি শুকোলে হয়তবা এর মানে উদ্ধার করা যেত। যতই ভাবছি ততই আমার কান্নার বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি চিল্লাতে চিল্লাতে বলতে শুরু করলাম, ‘’আমার ‘ছাত্রজীবন’ তুমি পড়তে দিলে না। আমি শেষ হয়ে গেলাম। গজব নেমে আসুক চারিদিকে।’’।
আমি চোখ বন্ধ করে কেঁদে কেঁদে অভিযোগ দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পরে সপাৎ করে পিঠে লাঠির বাড়ি পড়াতে সম্বিৎ ফিরে এল। দেখলাম আপা রূদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। আর পাশে রাসেল মিঞা মিচকি মিচকি হাসছে। যা বুঝার বুঝে নিলাম। কিন্তু বুঝলে কি হবে। জানি আজকে গ্রামে একটি বাঁশ ভাঙা হবে।
এভাবেই একটি নিস্পাপ, নিটোল প্রেমের অবগাহনের শুরুতেই এক নিষ্ঠুর পরিসমাপ্তি ঘটেছিল।
পুনশ্চঃ মিশরের স্ফিংসের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সাথে বছরখানেক হলো বিয়ে করা বউ। পাশ থেকে মিষ্টি একটি বাচ্চার শুদ্ধ বাংলা কণ্ঠস্বর শুনে চট করে মাথা ঘুরিয়ে তাকালাম দুজনে। তিরিশের কোঠার মহিলা ও তাঁর হাজবেন্ড সাথে ফুটফুটে বাচ্চা। দুটি চোখ অন্য দুটি চোখে কিছু খুঁজে ফিরছে কি? ও, হ্যাঁ- মেয়েটার চোখ বিড়ালের...।
‘’প্রথমও প্রেমের স্মৃতি ভোলা যায় না, ভোলা যায় না।‘’ -- এখন মুড়ি খান আর শুনুন তপুর কণ্ঠে--------
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: মজা নিচ্ছেন!! আমার সে সময়ের দুঃখটা তো দেখলেন না।
আপনাদের মতোই এক হিটলার বড় অাপার কারণে কচি প্রেমের সমাপ্তি।
সব হিটলারের মনে ভালোবাসার সমুদ্র মজুদ হোক। আর যেন কোন মন্দির না ভাঙে (শুনেছি মন ভাঙা নাকি মন্দির ভাঙারই সমান)
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: আহালে ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
প্রেমের এই করুণ পরিনতি শুনেও হাসি ঠেকাটে পারলাম না!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: আপনাদের হাসিতে কিন্তু আমার কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা লাগছে কয়ে দিলাম কিন্তু।
এত নিষ্ঠুর কেন বড় আপা!!!!!!!!!!
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ভালো হয়েছে লেখাটা
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
আখেনাটেন বলেছেন: খুশিতে গদগদ হলুম।
ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: মাত্রই ভাবছিলাম বলবো ক্র্যাশ ল্যান্ড করা মিগ-২৯ তা আবার মেরামত করার উপায় আছে কি না | তখনি আপনার স্ফীঙসের সামনে নিরাপদে ল্যান্ড করার খবরাখবর | থাক আর মিগ-২৯ সম্পর্কিত কথা বলে কয়ে কি হবে ?
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। যে ভেঙে গেছে তা কি আর জোড়া লাগে...।
ভালো থাকুক ভালোবাসারা........।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বহমান লেখা, পড়ে আনন্দ পেলাম; তবে আমি হলে, সাথে সাথে খুলে পড়ে ফেলতাম।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: বহমান লেখা, পড়ে আনন্দ পেলাম; তবে আমি হলে, সাথে সাথে খুলে পড়ে ফেলতাম। -- আপনি তো মশায় ভীষণ প্রাকটিক্যাল। সালাম।
এইটা ছিল জীবনে প্রেমের প্রথম ভুল পদক্ষেপ। এর পরের গুলোতে আর ভুল হয় নি।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কষ্টে তো বুক ফাডি ফাডি যায় অবস্থা দেখি!
মজার হয়েছে লেখাটা
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: ফাডি ফাডি যখন গেছিল তখন যদি দেখাতে পারতাম......।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: আহালে ভাইয়া!
নিষ্ঠুর কই হলাম!!!!!!
বিড়াল সুন্দরীর চিঠিতে কি লেখা ছিলো জানলে তুমিও হয়তো দুঃখ পেতে সেটা দেখতে হলো না সেটা কি কম খুশির কথা বলো !
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২
আখেনাটেন বলেছেন: বিড়াল সুন্দরীর চিঠিতে কি লেখা ছিলো জানলে তুমিও হয়তো দুঃখ পেতে সেটা দেখতে হলো না সেটা কি কম খুশির কথা বলো ! -- কি ছিল সেখানে? এই দুঃখ তো পদ্মার বহমান জলের মতো বছরের পর বছর বয়েই চলছে। ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়েও আটকানো যায় নি।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
শায়মা বলেছেন: ৫. ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯ ০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বহমান লেখা, পড়ে আনন্দ পেলাম; তবে আমি হলে, সাথে সাথে খুলে পড়ে ফেলতাম।
ভাইয়ার লক্ষন আজকে সুবিধার মনে হচ্ছে না!!!!!! ভাইয়ারও পূর্ব কাব্য স্মৃতি মনে পড়েছে বুঝাই যাচ্ছে। চাঁদগাজী ভাইয়ার প্রথম প্রেম পত্রের গল্প শুনিতে চাহি!!!!!!!!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬
আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগার চাঁদগাজীর একটি মারাত্নক রোমান্টিক মন আছে বুঝা যায়।
সেন্স অব হিউমার তো কিংবদন্তি পর্যায়ের।
কিছু বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও শুভকামনা এই হেভিওয়েট ব্লগারের জন্য।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মন্দ লেখেনি !!
বৃষ্টি মোবারক !!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: শীত শীত অবস্থায় ব্লগিং মন্দ লাগছে না।
মাঝে মাঝে ফান না হলে কেমন যেন জমে না।
ধন্যবাদ।
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯
ক্লে ডল বলেছেন: আহারে!!
চাঁদগাজী যথার্থ বলেছেন! সাথে সাথে খুলেই আপনাকে পড়তে হত। প্রেমে সাহসী না হলে তো নিষ্ঠুর পরিণতি হবেই!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: এই আক্ষেপ আজিবনেও যাবে না।
আহা! আবার যদি ফিরে পেতাম সেই দিনটিকে..............।
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে। প্রথম প্রেম মাঝে মাঝে নাড়া দেয়।
ভাল থাকবেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: ভাইজানকেও কি নাড়া দিয়েছিল নাকি। খুলে বলেন। আমরাও শুনে প্রীত হই।
১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বেশ কয়েকটা শহর ঘুরে, আমি এখন ঢাকার শহরে !!!!! ঢাকা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।।
তবে আপনার গল্প জমে ওঠেছে বেশ মিঃ চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্যর কারণে!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: মি: চাঁদগাজীর সুক্ষ্ম হিউমার মারাত্মক।
ভালো থাকুন।
১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার জন্য ভেরি স্যাড।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: যে পাখি উড়ে গেছে, এখন আর কেঁদে কী হবে ভাইজান।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)
১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে। শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে গেল
সাবলীল লেখা। ভালো লেগেছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে গেল -- হুম। সব শ্যাষ। এক হিটলার বড় আপার কারণে নাকি প্রকৃতির লীলাখেলায়।
১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কপাল বুঝি এমনই হয়! পরে আর কথা হয়নি? নাকি বাবার ট্রান্সফারের কারণে বিদায়...
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: যে যায় সে কি আর ফিরে আসে...। নব্য এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে নতুন সুখের সন্ধানে...।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: পরে আর সে সাহস হয়!!!!! একদিকে হিটলার বড় অাপা, আরেকদিকে রামমজিদ স্যারের রামপ্যাদানি খাওয়ার ভয়। ওখানেই সব দফারফা। শুধু কাঙালের মতো চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করা সম্ভব। বছরখানেক পর পাখির উড়াল...।
১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,
বিড়ালচোখির প্রেমপত্র না হয় পড়তে পারেননি কিন্তু পরে হরিনচোখাদের প্রেমপত্রগুলো তো পড়েছেন ভুল না করে , মন্তব্যে তো তেমনই বললেন ; তা সেগুলোতেও কি ছাত্রজীবনের রচনা লেখা ছিলো ? নাকি ময়না পাখির গীত ছিলো ?
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। আপনি বিচক্ষণ ব্লগার। ধরে ফেলেছেন। সাবধানে মন্তব্য করত্বে হবেক।
সে হরিণচোখাদের কথা না হয় অন্য কোন দিন শুনব আমরা। শুধু এইটুকুই বলি ময়না পাখির গীত মিষ্টিও হয় না মাঝে মাঝে কর্কশও শুনায়।
আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম।
১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
কালীদাস বলেছেন: ফিনিশিংএ না হেসে পারলাম না ছোটবেলার ক্রাশ একটা নির্দিষ্ট বয়সের আগে স্বীকার করতে লজ্জা লাগে আসলে
চোর ঠেকানোর ভাল বুদ্ধি বের করেছেন, লেখার যন্ত্রণায় যাবে না। লেখবে কেমনে, একলাইন শুদ্ধ বাংলা লেখতে কান্নাকাটির যোগাড় হয় এদের। মেধাহীন ইন্টারনেট জেনারেশনের পরণতি কি হবে তাই ভাবি মাঝে মাঝে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি হাসছেন। আর বেচারার সে সময়ের কথাটা একটু ভাবুন। জীবনের প্রথম।
চোর ঠেকানোর ভাল বুদ্ধি বের করেছেন, লেখার যন্ত্রণায় যাবে না। লেখবে কেমনে, একলাইন শুদ্ধ বাংলা লেখতে কান্নাকাটির যোগাড় হয় এদের। মেধাহীন ইন্টারনেট জেনারেশনের পরণতি কি হবে তাই ভাবি মাঝে মাঝে। -- হুম। দেখি।
এখন এক লাইন পড়ার বদলে নতুন জেনারেশন দশ লাইন বেশি বুঝে ফেলে। আর হাউকাউ স্যোসাল সাইটে।
১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মন খারাপ কি হবে! আপুরা একটু ওরকমই! এরচেয়ে আসুন নেচে-গেয়ে রাতটা উদযাপন করি।
একটা গান শুনিয়েছেন। তার বদলে একটি সুপার-ডুপার গান শুনা আপনার প্রাপ্য।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২২
আখেনাটেন বলেছেন: নাচা গানা চাইলে এইটা শুনুন।
১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩০
সুমন কর বলেছেন: আহা রে !! চমৎকার রসালো বর্ণনা। ভালো লাগা রইলো।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
আপনার জন্য এই গানটি। আমার প্রিয়।
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সরেস প্রেমের নিরস পরিণতি! একরাশ দুঃখ। মজা পেলাম না। তবে বর্ণনা ভাল হয়েছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০০
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনি জমির আল লিখেছিলেন। কিন্তু ঐটা আল হবে না আইল হবে। আমার ভুল হলে জানাবেন☺☺☺
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের ওখানে 'আইল' কে 'অাল' বলে। দুইটাই মনে হয়ে চলে।
ধন্যবাদ মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই তো জিনিয়াস রা একই রকম ভাবে
উপরে শায়মা যা বলেছে ঠিক তাই ....
বিড়াল চোখি এবারে হয়ত বলেছে বড় ভাইকে বলে ঠ্যাং ই ভেংগে দেবে !!!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: সে সম্ভাবনা ছিল না। বিড়ালচোখীর কোনো বড় ভাই ছিল না। তা থাকলে কি আমি ও পথ মাড়াই।
আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে অাপনাকেও আমার বড় আপার প্রতিরূপ মনে হচ্ছে। আপনিও কি ছোটভাইকে এরকম ঠ্যাঙ্গানি দিয়েছেন নাকি আবার। আপনাকে ডর পাই।
২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন, ভালো লাগলো পুড়নো গল্প নতুন করে পড়লাম।
আমি সে পথে হেটেছি বহুদিন বহু বছর
বুঝেছি এ কেমন যন্ত্রণা কতটুকু সুখকর।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: আমি সে পথে হেটেছি বহুদিন বহু বছর
বুঝেছি এ কেমন যন্ত্রণা কতটুকু সুখকর। -- আপনি পোড়খাওয়া পাবলিক মনে হচ্ছে। আসুন কোলাকুলি করি।
লেখা ভালো লাগার জন্য শুভকামনা।
২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার ছাত্র জীবনের প্রেম কাহিনি পড়ে বেশ মজা লেগেছে।
পোষ্টে +++
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: পিচ্চি প্রেমকাহানি পড়ে মজা পেয়েছেন শুনে প্রীত হলাম।
এখন আপনারটাও আমাদের শুনান।
২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: “ও ব্যাটা দেখছি সমানে ঘামছে। জরী দেবীর দিকে তাকালাম। মিঠি মিঠি হাসছে। স্যার এদিকে গর্জন করতেই আছে। রাসেল স্বীকার করছে না। ইতিমধ্যে স্যার বলল, ‘‘এই কার কার নাম ‘আর’ দিয়ে শুরু’’।
আমিসহ মোট চারজন দাড়ালাম। আমি রাসেলকে গুঁতোই। বলে দে। কিন্তু ও ব্যাটা নিশ্চল। এদিকে স্যার হাতের লেখা চারজনকেই নিয়ে যেতে বলল। এই কথা শুনে আমার বুকে আফ্রিকান জংলী স্টাইলে ড্রাম বাজাতে শুরু করেছে। আমি রাসেলকে ঝাঁকাতে থাকি। বলে দে। বলে দে বিলায়ের ছাও। বলে দে তুই সেই নচ্ছার!
স্যার খাতা চেক করে কেউটে সাপের মতো চোখ ছোট ছোট করে আমাকে বলল ‘চল, ব্যাটা, অফিসে। কিছু খানাপিনা করি’। আমি নিজের ভেতর সাত রিকটার স্কেলের ভূমিকম্পের টের পেলাম।”
হা হা হা
সেই রম্য মেয়া বাই!
তিনশো প্লাস!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১১
আখেনাটেন বলেছেন: পড়ে আনন্দ পেয়েছেন জেনে খুশিতে ডগোমগো হলুম ভাইজান।
বুকে সাত রিকটার স্কেলের ভূমিকম্পের টের আগে কখনও পাইছেন নি? পাইলে জানান দেন।
২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: লেখা এবং মন্তব্যে বেশ জমে উঠেছে। প্রথম জীবনের ইয়েগুলো এমনই হয় ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: ভাইজান যেভাবে বলছেন মনে হচ্ছে পোড়খাওয়া পাবলিক। থাকলে ঝেড়ে কাশুন। আমরাও শুনি।
২৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্প কিংবা ঘটনা যাই হোক সুখ পাঠ্য হয়েছে।
খুব ভাল লাগলো।
শুভ কামনা।
সেই বিড়ালচোখীর আর কোন খবর কি নেই আপনার কাছে ?
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প কিংবা ঘটনা যাই হোক সুখ পাঠ্য হয়েছে। -- ভালো জায়গায় হিট করেছেন। যাইহোক আপনার ভালো লেগেছে জেনে অাপ্লুত হলাম।
থাকলেও আপনাকে বলমু ক্যানে?
২৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ মজা করে লিখেছেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার লেখাগুলো পড়ে কিন্তু আরো মজা পাই।
২৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মু হা হা হা হা কেউ যখন বলে আমাকে ডর পায় ;আমি সেই লেবেলের আনন্দিত হই ।
না রে ভাই দুঃখের কথা আর কি কমু ,আমার কোন ছোটভাই ছিল না
একটা ছোট বোন আছে ,কিন্তু তারে আমি ই ডর পাই ( খোদা দড়ি ফালাও আমি বাইয়া উঠির আহাজারি হবে )
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
আখেনাটেন বলেছেন:
হা হা হা। আপনি নিজেই তো দেখছি ছোট বোনের ডরে আছেন।
কিছু ডরপুক দেওয়া লোকজন চারপাশে থাকেই। এদের কাজই হচ্ছে ডর দেখানো। খোদা এ জন্যেই এদের ধরাধামে পাঠিয়েছেন।
৩০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
নীলপরি বলেছেন: বাহ , বাহ দারুণ ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন:
৩১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
বিষাদ সময় বলেছেন: "এই দুঃখ তো পদ্মার বহমান জলের মতো বছরের পর বছর বয়েই চলছে। ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়েও আটকানো যায় নি। "
এখন তো উপরোক্ত কথা বলছেন। চিঠি পড়ে যদি দেখতেন তাতে লেখা-
"সেদিন রাম মজিদ স্যারের কাছে কেমন রাম ধোলাই খাইলা...আর কোনদিন আমারে চিঠি লিখবা?"
তখন তো বলতেন,
" এই চিঠি পড়িয়া আমার মন সাহারা মরুভূমি হইয়া গেল গোটা আমাজনের জল এর ভিতর দিয়া প্রবাহিত করিলেও এর ভিতর হইতে আর এক ফোটা রস বাহির হইবে না"
তাই বলি সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালোর জন্যই করেন.......হাঃ হাঃ হাঃ
চমৎকার রম্য। ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন সব সময় সেই কামনা।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
আখেনাটেন বলেছেন: " এই চিঠি পড়িয়া আমার মন সাহারা মরুভূমি হইয়া গেল গোটা আমাজনের জল এর ভিতর দিয়া প্রবাহিত করিলেও এর ভিতর হইতে আর এক ফোটা রস বাহির হইবে না" -- হা হা হা। একদম সাচ্চা লিখেছেন।
কি ছিল সেখানে, এতো গুপ্ত ধনের মতো আজীবনের জন্য অজানা এক রহস্য হয়েই থাকল। যদি জানতে পারতুম।
রম্য ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। শুভকামনা রইল।
৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হাহা! বেশ মজার হয়েছে আপনার জীবন থেকে নেয়া রম্যগল্প!
...হতাশায় আমি হাত-পা ছুড়ে বলতে লাগলাম আপাকে, ‘‘তুমি আমার ‘ছাত্রজীবন’ রচনা পড়তে দিলে না। তুমি আমার ছাত্রজীবন শেষ করে দিলে’’।
এই লাইনটা পড়েতো হাসতে হাসতে শেষ।
গল্পটা যদি সত্য হয়,তাহলে আপনার বয়স তিরিশ।কিছু মনে করবেন না,অঙ্ক কষে বের করলুম।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: রম্যগল্প পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে আমিও মজৎকৃত হলুম।
মিঞাভাই অল্পের জন্য এ-প্লাস বাগাতে পারলেন না।
ভালো থাকুন।
৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
নিয়াজ সুমন বলেছেন: আহা রে ! আহা রে !
কোথায় পাব তাহারে !
ভালো লাগলো---
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: আর তাহারে পাওয়া যাবার লয়...। সে এখন সাত-সমুদ্র তের নদী পারে...। পাইতে গেলে সাথে বাচ্চাও ফ্রিতে আনতে হব্বে।
৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
এক বর্ষায় বালকের প্রথম প্রেমের সিক্ত চিঠি হ্যারিকেনেন নিভু নিভু আলোতে সেঁকা দিয়ে গিয়া শেষমেশ ছ্যাকাই হইয়া গেল।
বড় আপা ভিলেন হয়ে রইলেন
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: ছ্যাঁকা তো বড় আপার ভিলেনিতে বাস্তবে রূপ নিল। এরকম পরিবারে একটি বড় আপারা থাকলে প্রেম-ট্রেমের গোষ্ঠী উদ্ধার হত টিনেজ বয়সে।
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটানে পড়ে ফেলার মতো লেখা! সেরাম মজা পাইলাম।
ঘটনা সত্যি-মিথ্যা যাই হোক, খুব মজার....... । এরকম রম্য আরো চাই।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
আখেনাটেন বলেছেন: সেরাম মজাতে আমি সেরাম খুশি হলুম।
আসিতেছে আরো রম্য...।
৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
শিশির আহমেদ শিশির বলেছেন: আহারে বেচারা! সেই ছোট কালের কথা আজও মনের মধ্যে পুষিয়া রাখিয়াছে।
এখন যদি তাহাকে দেখেন তাহলে কি আজ ও বুকে আফ্রিকান জংলী স্টাইলে ড্রাম বাজাতে শুরু করে।
আমার বেলায় বাজে তাই বললাম আর কি।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
আখেনাটেন বলেছেন: কী আর করা ভাইজান! প্রথমও ভালোবাসিয়াছি যারে, এত সহজে ভুলি ক্যামতে তারে!!!!!!!!
বলমু না! বুইজা লন!!!!!!
৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
চমৎকার প্রেম স্মৃতি গল্প ! বেশ রম্যভাব এনে বলেছেন, তখনকার সময় ছোটদের কিভাবে শাসনে রাখা হতো তা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । এখন তো বুলি ফোটার আগেই হাতে, মোবাইল, ট্যাব । নোংরা প্রেম পিরিতের জন্য আর কী লাগে !!
আপনার প্রেম নিয়ে তো দেখছি জল ঘোলা কম হলো না ! হা হা । কিন্তু পরিনতি পড়লো পীঠের উপরে । হা হা
অনেক ভাল লাগলো ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
আখেনাটেন বলেছেন: তখনকার সময় ছোটদের কিভাবে শাসনে রাখা হতো তা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । এখন তো বুলি ফোটার আগেই হাতে, মোবাইল, ট্যাব । --- ভালো জিনিস ক্যাচ করেছেন।
এখন তো পরিবার মনে নয় এত ঝামেলার মধ্যে যেতেও চায় না। আর এরকম কিছু হলে এখন পরিবারের জানারও কথা না ঐ মোবাইলের কারণে। আর এতেই বাড়ছে অবক্ষয়।
জল কি শুধু ঘোলায় হয়েছে। রীতিমত থকথকে কাদা বানিয়ে ফেলেছে।
৩৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ছিল সেখানে, এতো গুপ্ত ধনের মতো আজীবনের জন্য অজানা এক রহস্য হয়েই থাকল। যদি জানতে পারতুম।
সমাপনীতে তো সম্ভাবনার ইশারা আছেই জেনে নিয়ে না হয় লিখে ফেলুন আরেক মহাকাব্য
আহা! সেই তিরতিরানি কম্পনের সে সূখ কোথা হারাল?????
একনজর দেখার সেই শান্তি! একটু কথা বলায় বিশ্বজয়!
অজানিত স্পর্শে স্বর্গ লাভ
হায়! সময় কেন পালিয়ে যায়
পোষ্টে++++++++++
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। আরেক মহাকাব্য। মন্দ বলেন নি।
আহা! সেই তিরতিরানি কম্পনের সে সূখ কোথা হারাল?????
একনজর দেখার সেই শান্তি! একটু কথা বলায় বিশ্বজয়!
অজানিত স্পর্শে স্বর্গ লাভ
হায়! সময় কেন পালিয়ে যায় ( -- সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। এখন অসুরেরা তার দখল নিয়েছে। তাই এখন
ভালোবাসা জবর দখল হয়, নিটোল হৃদয় নয়।
আপনার প্রাণস্পর্শী মন্তব্যে যারপরনাই আমোদিত হলুম।
৩৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: কত তম ক্লাসের প্রেম?
পরে বিষয়টা জানতে পারতেন
মেয়েটার কাছ থেকে।
লেখাটা খুব সুন্দর।
উপন্যাস লিখেন নাকি?
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: কচিকাঁচার প্রেমগুলো মনে হয় নবম-দশমেই হয়।
আবার জানতে চাওয়া। ভয়-ডর কিছু মিঞাভাইয়ের কম নাহি। রাম মজিদ স্যার আপনার এ কথা শুনলে আমাক্বে অফিসে অাবার খানাপিনার ব্যবস্থা করবে।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
না ভাইজান। ভালো থাকুন।
৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১
সামিয়া বলেছেন: এত মন্তব্য দেখে বুঝতে পারছিলাম লেখাটি ভালো লাগবে তাই না পড়েই লাইক দিয়ে রেখেছিলাম পড়ে পড়বো ভেবে।
পড়ার পর সত্যিকার অর্থেই দারুন লাগলো। বেশ কয়বার হেসে উঠেছি অজান্তে। এরকম সফল নির্মল মৌলিক রম্য গল্প এই প্রথম পড়লাম ব্লগে । আমার পক্ষ থেকে সেরা রম্য গল্পকার হিসেবে আপনাকে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে দিলাম। +++++++++++++ অসংখ্য প্লাস।। প্রিয়তে নিলাম।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই প্রশংসাটুকু শুনে খুশিতে আমার লেখাটুকু আবার পড়লাম। সত্যিই কি তাই। আপনার জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে শুভকামনা রইল।
তবে আপনার এই প্রশংসার যোগ্য আমি নই। এখানে আরো ভালো ভালো রম্য লেখিয়ে রয়েছে। আপনার লেখাও বেশ সুখপাঠ্য।
এটা অনেক আগের লেখা ছিল। পরে একটু ঘোঁষা-মাঝা করা হয়েছে। আপনাদের উৎসাহ পেয়ে আরেকটা রম্য লেখায় যায়।
রম্য হিসেবে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ অাপ্লুত হলুম। আর প্রিয়তে নেওয়ার জন্য অসংখ্যা মোবারকবাদ। ভালো থাকুন।
৪১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: রিতীমত রম্য মনে হলো।
ছাত্র জীবনে এইটুকুও বেশি মনে হয়
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
আখেনাটেন বলেছেন: রম্য মনে হলে তাই।
কচিকাচার প্রেম মারের উপর দিয়েই যায়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গল্পটা পষেই দৌড় দিলাম রান্নাঘরে, ঝালমুড়ি বানাতে খুশীতে।। যাক এতদিনেতো একজনকে পেলাম......
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। মজা পেলুম জেনে।
ঝালমুড়ির নিমন্ত্রণ তো দিলেন না।
৪৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: অাপনিও আমার মত একই ব্যাধিতে ভুগছিলেন দাদা
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: তা আপনার কাহিনিটা আমাদের শোনান। পাঠকেরা পড়ুক আরেকটি পিচ্চি উপাখ্যান।
৪৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: হুঁম, দাদা শোনানোর ইচ্ছে আছে বটে কিন্তু অলস ব্লগারের ক্ষেত্রে যা হয় তা, আরকী
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২
আখেনাটেন বলেছেন: অালসেমী ছেড়ে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠুন।
এরপর একগ্লাস করলার শরবত খেয়ে মাঠে নেমে পড়ুন। দেখবেন ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন।
৪৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৩
প্রামানিক বলেছেন: গল্পের শুরু সমাপ্তি ভালই লাগল। ধন্যবাদ
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: উৎসাহ পেলাম ।
ধন্যবাদ আপনাকেও ব্লগার প্রামানিক ভাই।
ভালো থাকুন।
৪৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাল্য প্রেমের করুন পরিনতি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: হুম। বড়ই করুণ!!! বড়ই হতাশার!!!!!!!!
ধন্যবাদ দুঃখটুকু শেয়ার করার জন্য।
৪৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
জুন বলেছেন: আপনার ছাত্র জীবনের প্রেম ও তার করুন পরিনতিতে মনটা ব্যাথিত হয়ে উঠলো আখেনাটেন।
অনেক মজা করে লিখেছেন কাহিনীটি, ভালোলাগা রইলো
আমি যখন ব্লগে প্রথম আসি তখন প্রায়ই এ ধরনের পোষ্ট আসতো । তাদের নায়ক নায়িকারা সব সেইরকম সুন্দরী যাকে তুলনা করা চলে আপনার জরীর সাথে । এসব দেখে অনেক দুঃখ নিয়ে আমিও এমন একটি ক্ষুদ্রাকৃতির রচনা লিখেছিলাম
দেখতে পারেন সময় হলে
প্রেম নয় !!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০২
আখেনাটেন বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে খুশি হলাম।
পিচ্চিকালের ভালোলাগাগুলোর পরিণতি মনে হয় বিরহেই সমাপ্তি ঘটে। (
ঐ ছোট ছোট চোখ দিয়ে সকলকেই তো রাজকুমার-রাজকন্যা লাগাই স্বাভাবিক।
আপনার গল্পটিও পড়লাম। মন্তব্য রেখে এসেছি।
ভালো থাকুন জুনাপু।
৪৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধুর! মনটাই খারাপ করে দিলেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক অাছে। এর পরেরবার ফেবিকল দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দেব। কষ্টের কোনো সিন থাকবার লয় !!!
৪৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ‘‘এই কার কার নাম ‘আর’ দিয়ে শুরু’’ - কি ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতি!
টীন এজ ক্রাশ-
কোমল হৃদয়ের প্রেম প্রকাশ
অবশেষে পিঠে লাঠির বাড়ি
বিড়ালচোখাও দিল পাড়ি!!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা!!
ছোটকালের লাঠির বাড়ির ভয় রীতিমত এক আতঙ্কের ব্যাপার ছিল।
মন্তব্যে প্রীত হলাম। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৫০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর সাবলিল হয়েছে ছাত্র জীবনের প্রথম রচনা ,
এমন রচনা মনে হয় লিখে ছিল সব জনায়
কেহ বলে আর কেহ তা বলতে চায়না
মনের কোনায় ডুবায়ে রাখে আর
শুধু ভাবে জানাবে কি
জানাবেনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: সুন্দর সাবলিল হয়েছে ছাত্র জীবনের প্রথম রচনা ,
এমন রচনা মনে হয় লিখে ছিল সব জনায়
কেহ বলে আর কেহ তা বলতে চায়না
মনের কোনায় ডুবায়ে রাখে আর
শুধু ভাবে জানাবে কি
জানাবেনা । --বেশ বলেছেন প্রিয় ব্লগার ড: এম এ আলী ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৫১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
ওমেরা বলেছেন: বিড়ালের চোখ খুব সুন্দর আপনার লিখাটাও খুব সুন্দর হয়েছে ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ওমেরা।
৫২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'পলিথিন দে ট্রেন ধরুম' জোকসটা মনে পড়ল এটা মনে হয় জানিনা। বলেন দেখি!! 'পলিথিন দে ট্রেন ধরুম' কথাটা শুনেই মজা পাচ্ছি........ ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
এক লোক হন্তদন্ত করে ট্রেন স্টেশনে যাচ্ছে। কারণ ট্রেনের ছাড়ার প্রায় সময় হয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে মনে হয় বিশেষ কাজে একটি পলিথিন দরকার। তাই হাঁপাতে হাঁপাতে রাস্তার পাশের দোকানিকে বলে, 'তাড়াতাড়ি পলিথিন দেন ট্রেন ধরুম'।
দোকানি ভড়কে গিয়ে বলে, 'ভাই, আমার কাছে তো অত বড় পলিথিন নেই যা দিয়ে ট্রেন ধরা যাবে'।
৫৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
অচেনা হৃদি বলেছেন: পড়ে আমার কাছে খারাপ লেগেছে। সিরিয়াসলি খারাপ লেগেছে!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
আখেনাটেন বলেছেন:
জীবন বহিয়া চলে জীবনের নিয়মে...
৫৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা আখেনাটেন ভাই আপনার লেখার যাদুতে বুদঁ হয়ে ছিলাম যতক্ষন পড়ছিলাম। কি দারুন ভাবে গল্পটাকে বিন্যস্ত করেছেন প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মনে কৌতুহল ইস! যদি লেখাটা পড়া যেতো!
ভাল থাকবেন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২
আখেনাটেন বলেছেন: ঢালী ভাইয়ের হালি গেঁথে প্রশংসার বন্যায় ভাসানো বেশ উপভোগ করলুম।
মনে কৌতুহল ইস! যদি লেখাটা পড়া যেতো! -- কী অার করা!!
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য পুলক ঢালী ভাইকে সাদা গোলাপ শুভেচ্ছা।
৫৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৩৬
আনমোনা বলেছেন: ঠকলামনা। খুব মজার বাল্যপ্রেম। আপনার পার্শ্ববর্তিনীকে বলেছিলেন বিড়ালচোখীর কথা?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম।
সেটা কি কেউ বলে?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার আনমোনা।
৫৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: আহা কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে আমারো আগ্রহবোধ হচ্ছে। দূর এটা কোন কাজ হল!
একটি বাল্য প্রেমের করুন পরিনতি! হা হা
লিখছেন জমপেশ, পয়সা উসুল টাইপ, পড়া উসুল। বিড়াল চোখি মেয়েটা হয়তবা হতাশ হয়েছে নিশ্চই!
১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: কাছের-মানুষ বলেছেন: আহা কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে আমারো আগ্রহবোধ হচ্ছে। দূর এটা কোন কাজ হল! -- হা হা হা। এ আপসোস তো লেখার প্রোটাগনিস্টের মনে হয়...
পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল ব্লগার কাছের-মানুষ। ভালো থাকুন।
৫৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
আনার রম্য দারুন !!!!!!!!!!
রাসেলের হয়ে যখন চিঠি লেখা হয়, ইচ্ছে করে ভুলভাল করলে হতো যেন রাসেল সেই মেয়ের হাতে মার খায়
'বলে দে বিলায়ের ছাও' হা হা হা
'মনে হল মিগ-২৯ এর মতো ল্যান্ড করলাম পানিতে'
চমৎকার লেখা খুবই মজা পেলাম পড়ে । আহারে কতো মনোকষ্ট
টিপুর গানটা শুনলাম , আরও কিছু গান পেলাম কমেন্ট এর মধ্যে মিডল ইস্টার্ন , ওগুলো অনেক রিদ্মিক হয় ।
এরকম রম্য আর কি কি আছে স্টকে
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: রাসেলের হয়ে যখন চিঠি লেখা হয়, ইচ্ছে করে ভুলভাল করলে হতো যেন রাসেল সেই মেয়ের হাতে মার খায় -- তখন কি সে জানত যে এই রকম এক আজব পরিস্থিতির খপ্পরে পড়বে। হায় প্রেম!!!!!!
এরকম রম্য আর কি কি আছে স্টকে -- আপনার পোস্টে লিংক দিয়েছি.........
অনেক ভালো থাকুন ব্লগার মিড।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছিঃ প্রেম ভালু না ,তারুপর আবার অল্প বয়সের