নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
গ্রাফোলজি নিয়ে জানতে চাইলে গুণী ব্লগার শায়মা'র এই লেখাটি দেখতে পারেন। কারণ ঐ লেখার অনুপ্রেরণাতে এই অাদিভৌতিক? রম্যগল্পের পয়দা।
১
‘তা ধিন ধিন তা। ধিন তা ধিন তা। ধিন ধিন তা তা’। সেই সকাল থেকে কানের ভিতরে বেসুরো এই নৃত্য-গীত বেজে চলেছে। ছুটির দিন একটু আরাম আয়েশে ঘুমাবো সেটাও আর হল না। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকেই এসপার-ওসপার হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। টিশার্টটা গায়ে চেপে উপরের ফ্লোরে উঠে গেলাম। কাজের মেয়ে দরজা খুলতেই, ‘ওস্তাত হ্যারিপ্রসাদ বাজনেওয়ালা খাঁ ও তাঁর শিষ্যদেরকে একটু ডেকে দেওয়া যাবে’ মিষ্টি স্বরে জানতে চাইলাম। কাজের মেয়েটি ভড়কে গেছে। সে আমতা আমতা করে বলল, ‘এহানে ত অস্তাত হ্যারিপ্রসাদ বাজোনওয়ালা কাকু থাহেন না’। সাথেই একজন সুশ্রী মাঝবয়েসী ভদ্রমহিলা এসে ঘটনা জানতে চাইল।
আমি উনাকে জানালাম ওস্তাত হ্যারিপ্রসাদ বাজনেওয়ালা খাঁ ও তার শিষ্যদের সাথে আমার একটু মোলাকাত করা দরকার। জানালাম আমি নিচের ফ্লোরে নতুন উঠেছি। উনি আমাকে ডেকে ভিতরে নিয়ে বসালেন। তারপর আমার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার দশা। ভদ্রমহিলার আন্তরিক ব্যবহারে আমিও মুগ্ধ। উনি কথা দিলেন ‘তা ধিন ধিন তা’ সমস্যার সমাধান করা হবে শীঘ্রই। বেশ ফুরফুরা মেজাজে ফিরে আসলাম নিজের ডেরাতে।
সন্ধ্যায় জিম থেকে বাসায় ফিরছি। ধুম করে দুজন রূপবতী মেয়ে লিফটের সামনে মুখোমুখি এসে দাঁড়াল। চোখ মুখ বেঁকিয়ে জানতে চাইল আমিই মিঃ অয়ন কি না? হ্যাঁ, বলাটা আমার তখনও শেষ হয় নি। মাইরি বলছি,তাতেই শুরু হয়ে গেল কথার ইট-পাথর নিক্ষেপ। আমার ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। শানে নুযুল হচ্ছে আমি নাকি উনাদের গানের মাস্টারকে ওস্তাত হ্যারিপ্রসাদ বাজনেওয়ালাা খাঁ বলে ব্যঙ্গ করেছি। গুরুর নিষ্ঠাবান শিষ্য হিসেবে তাদের তা আঁতে লেগেছে। তাই আমাকে ওস্তাতের কাছে গিয়ে অতি সত্তর ক্ষমা মার্জনা চাইতে হবে। আমি ভিতুর ডিম মিসাইল সদৃশ বাক্যবাণ থেকে বাঁচার জন্য রাজি হয়ে গেলাম। কথা দিলাম ওস্তাতের পায়ে ধরে হলেও ক্ষমা চেয়ে নিব। মানির মান আমি কিছুতেই ক্ষুন্ন হতে দিতে পারি না। রূপবতীরা প্লিজড আমার উদার ব্যবহারে।
২
আর আমি প্লিজড অন্য কারণে। সে গল্পে পরে আসছি। আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই। বাবা-মা-আপা-দুলাভাই মিলে আমাকে উত্তরার সদ্য কেনা ফ্লাটে পাঠিয়েছে। বয়স তিরিশ ছুঁই ছুঁই করছে। বাবা-মা এখনও নাতি-পুতির মুখ দেখল না। এই হতাশায় বাবা প্রতিদিন আমার উদ্দেশ্যে বগুড়া থেকে বাহুবলী স্টাইলে একসঙ্গে চকচকে তিনটে তীর বিচিত্র কায়দায় নিক্ষেপ করে চলেছে।
এই সব কিছুর জন্য দায়ী আক্কাস ভাই। এই বদটা ভার্সিটিতে পড়ার সময় আমার রুমমেট ছিল। একদিন আক্কাস ভাই তার এক বদখত দেখতে টাক্লু বন্ধুর হাতের লেখা দেখে জানাল তার নাকি বিরাট রূপসী বউ ভাগ্য। আমি ভাবলাম ছেঃ। সত্যি সত্যি বছর খানেক পরে পড়াশুনা শেষ হতে না হতেই টাকলু মশাই বিদেশ যাওয়ার আগে অতীব রূপসী একটি মেয়েকে বিয়ে করে বগলদাবা করে বিদেশ পাড়ি দিল। আমি তো টাস্কি খেয়ে গেছি মাইরি! এই টাকলু, ভুড়িওয়ালারা এত সুন্দর বউ পায় কই! দুষ্টু মেয়েগুলোও ক্যামন যেন?
সাথে সাথে আক্কাস ভাইরে গিয়ে ধরলাম। কীভাবে, ভাই? উনি হাতের লেখা মানে গ্রাফোলজির কিছু বিষয় খুঁটিনাটি জানাল। আমিও তড়িঘড়ি করে আমার হাতের লেখা দেখালাম। আমার লেখা দেখে আক্কাসইসা মুখটা কুট কুট করে কামড়ানো আমাশয় রোগীর মতো করে বলল, ‘ছেলে হিসেবে তুই বেফাজিল হলেও ভোলাভালা, তবে তোর রূপসী সৎচ্চরিত্র বউ ভাগ্য মনে হচ্ছে বেশ গোলযোগপূর্ণ হবে। ‘জ’ ও ‘প’ বর্ণ দুটি বেশ গণ্ডগোলে ঠেকছে’।
এর কিছুদিন পরেই আক্কাস ভাইও বিদেশ চলে গেলেন আমার ভোলাভালা ভাগ্যাকাশে বিশাল এক কাল মেঘের গণ্ডগোলে ছাতা টানিয়ে দিয়ে। এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ‘জ’ ও ‘প’র জন্যই আমার প্রেম জমে ক্ষীর হওয়ার আগেই ফাঙাসের আক্রমণে গন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ আমি ছাত্র হিসেবে প্রথম সারির। চেহারা-সুরতে খোদা কি খাস্তা মাশাল্লা। ধনী বাপের একমাত্র পোলা। আচার-আচরণেও পাশের বাড়ির ভালো ছেলেটির মতো। তারপরও দুষ্টু মেয়েগুলো আমাকে এড়িয়ে চলে। এবার কারণটা খুঁজে পেলাম। ‘প’ ও ‘জ’র সমস্যা। সেদিন থেকেই লেখার সংশোধনে উঠে পড়ে লাগলাম। গ্রাফোলজির খুঁটিনাটি নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলাম। একটাই স্বপ্ন বউভাগ্য পাল্টাতে হবে।
দুই বছরের সাধনায় লেখাকে ত্রুটিমুক্ত করলাম। এরপরে দুলাভাইয়ের এক রূপসী মেয়ে কাজিনের সাথে বেশ ভাব হয়ে গেল। টানা কয়েক মাস চুটিয়ে প্রেম। গ্রাফোলজির বিদ্যা বেশ কাজ দিচ্ছে মনে হচ্ছে। এদিকে পাশ করে আমিও স্বাবলম্বী। বাবা-মা ধরলেন বিয়ে করতে হবে। প্রেমিকাকে জানালাম। সে তো মহা খুশি। আমিও খুশি। সবাই খুশি। দুলাভাই খুশি। বগুড়া খুশি। যাক এতদিনে কাজের মতো একটি কাজ হয়েছে। এবার আমার গ্রাফোলজির বিদ্যাটা একটু জাহির করতে মন চাইল। ওর হাতের লেখা দেখাতে বললাম। বিয়ের কয়দিন আগে ও আমাকে কয়েকটা বাক্য লিখে দিল। যদিও ও জানে না আমি লেখা বিশারদ।
বাসায় এসে ভয়ে ভয়ে খুললাম লেখার কাগজটি। শুরুতেই ‘ক’ বর্ণটি দেখে চেয়ার থেকে ঠাস করে পড়ে যাওয়ার দশা। ‘ক’র মাথাসহ ঠোট এতটাই নিচে নেমে গেছে, মনে হচ্ছে এই মেয়ে দোতলার বেলকনিতে দাঁড়িয়ে নিচতলা থেকে টপাটপ রসের নাগর তুলে ঘরে নিচ্ছে ফস্টিনস্টি জন্য। আমি হতাশ! এই মেয়েকে বিয়ে করা কিছুতেই সম্ভব না। আমাকে কত নম্বর হিসেবে তোলার জন্য বেলকনিতে দাড়াইছে আল্লাহ মালুম! বিয়ে ক্যানসেল।
কয়েক মাস ‘ক’র লম্বা ঠোঁটের শোকে পাথর হয়ে থাকলাম। রাজশাহী শহরের সাহেব বাজারে একটি আইটি ফার্ম দিয়েছি। বেশ জমজমাট অবস্থা। একদিন দেখি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই’র একটি মেয়ে ইন্টার্নি করতে এসেছে। নাটোর বাড়ি। রূপে বনলতা সেনের ছোটবোন। প্রথম দেখাতেই মনে হল এই সেই মেয়ে যাকে আমি খুঁজে চলেছি। কি চোখ! কি ঠোঁট! কি…! খাসা মাইরি! অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেশ ভাব হয়ে গেল।
মুচি ভাইয়েরা যেমন পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকেদের জুতার দিকে তাকিয়ে থাকে, ঠিক আমার অবস্থাও হয়েছে এমন যে মেয়ে দেখলেই হাতের লেখা পরীক্ষা করার জন্য খাতা-বইপত্র দেখতে মন চায়। এই মেয়ের সিভিতে শুধু সাইনটা দেখেছি। প্যাঁচানো তিনটা ইংলিশ আলফাবেটের সাইন। নিচে লম্বা টান ও ফোটা দেখে বুঝা যাচ্ছে মেয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী। এই সকল মেয়ে জীবনে সফল হয়। এর বেশি কিছু জানতে পারি নি। যদিও আমি বাংলা লেখার স্ট্রোকগুলো বেশি ভালো পড়তে পারি।
কয়েকদিন পরে বাংলা লেখা হাতে আসল। এরপর ঐ মেয়ের ছায়া মাড়াতেও আমার ভয় লাগছিল। বিশেষ করে ‘ঘ’ বর্ণের উপর দিকের মাত্রাতে ছোট্ট ফুটোটি সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুটোটি জানিয়ে দিচ্ছে খিড়কির দরজা দিয়ে কেউ একজন প্রতিদিন ঘরে ঢুকে হা-ডু-ডু খেলে ট্রফি নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। খিড়কির রাস্তাটাও বেশ মসৃন। মানে নিয়মিতই খেলাধুলার আয়োজন হয়। মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেল। এ জীবনে বিয়ে আর করা হল না রে মনু!!
৩
এভাবে আরো সাতটা মেয়ে ‘ন’, ‘দ’, ‘ব’, ‘চ’, ‘ম’, ‘ঝ’, ও ‘’ত’র পাল্লায় পড়ে বিদায় হয়েছে। আর রাজশাহীতে আমার নামও ছড়িয়ে পড়েছে কুখ্যাত গ্রাফোলজিস্ট হিসেবে। প্রতিদিন গড়ে বিশজন যুবক-যুবতী-মধ্যবয়সীরা আমার কাছে আসছে নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকা ও হাসবেন্ড-ওয়াইফদের লেখা নিয়ে রহস্য উদঘাটনে। প্রায় আশিভাগ সফলতায় আমি এখন কিছুটা জ্যোতিষবাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি। আমারও খারাপ লাগে না বিষয়টি। হা-ডু-ডু খেলোয়াড়েরা এখন আমাকে দেখলে দশহাত দূর দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যাপারটি আমিও বেশ উপভোগ করি।
কথায় আছে সুখ বেশি দিন সয় না। এই উপভোগ করাটাই কাল হল। একদিন একটি মেয়ে আসল তার প্রেমিকের লেখা নিয়ে। ‘ঙ’ বর্ণের উলটাপালটা প্যাঁচানো স্ট্রোক দেখে মনে হল এই হারামজাদা কমপক্ষে চারজনের সাথে একইসঙ্গে নৌকাবাইচে নেমেছে। ‘ঙ’র উপরের বেশ লম্বা টান দেখে বুঝা যাচ্ছে এ ব্যাটা বৈঠা ফার্স্টক্লাস চালাতে পারে। মেয়েটিকে জানাতেই কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেল।
সন্ধ্যায় ষণ্ডামার্কা এক যুবক দলবল নিয়ে অফিসে এসে কোনো কথা ছাড়ায় অফিসের সব স্টাফদের তামিল রজনীকান্ত স্টাইলে মার শুরু করে দিল। দুই রাউন্ড মার শেষে শাসিয়ে গেল সাত দিনেই এখান থেকে বিদায় নিতে। হুমকী দিল, না হলে পদ্মার জলে জ্যোতিষীর তেলতেলে দেহখান কুমীর দিয়ে খাওয়ানো হবে। মনে মনে ভাবলাম এই রজনীকান্ত গর্দভকে কে জানাবে পদ্মার জলে কুমীর নেই!
যাহোক, জানের মায়া। পাতাতাড়ি গুটিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে মানে বগুড়াতে ফিরে আসলাম। বিয়ে নিয়ে বেশ টেনশনে আছে পরিবার। গ্রাফোলজি আমার জীবনে শনি হয়ে এসেছে। নতুন করে সব শুরু করার উদ্দেশ্যে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল আমাকে ঢাকা পাঠাবে। উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরের এই ফ্লাট কিনে এখানেই থাকছি এই মাস থেকে। পাশেই আইটি ফার্মটি আবার চালু করেছি। এরপরই সেই তা ধিন ধিন তা সমস্যা। আর আমার বিয়ে নামক জটিল প্রোগ্রামিং এর সমাধানের সূত্র খুঁজে ফেরা। যদিও সেই শুরু থেকেই লুপের মধ্য আটকে আছি।
ইতোমধ্যে আমার বর্তমান অবস্থানও কিছু পুরাতন খরিদ্দার জেনে গেছে। ঢাকাতেও লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়েছে। গ্রাফোলজিস্টের এত কদর! রাজশাহীর হা-ডু-ডু খেলোয়াড়গুলো তো একটা দুটাতেই সীমাবদ্ধ থাকত। ঢাকারগুলো মদনরাজ কিংবা শিলা কি জওয়ানী। এরা ডাবল ডিজিটে বিশ্বাসী মনে হচ্ছে। আরো হতাশ হয়ে পড়লাম। মনে মনে বললাম, বিয়ে আর হল না রে মনু, বিয়ে আর হল না!!!
তা ধিন ধিন তা’র সুত্রে ওস্তাত হ্যারিপ্রসাদ বাজনেওয়ালা খাঁ’র বড় শিষ্য পরমা’র সাথে ইদানিং বেশ ভাব হয়েছে। একা একা ফ্লাটে থাকি। মাঝে মাঝে আন্টি দেখি খাবার-টাবার পাঠায়। ওস্তাতের শিষ্যরাও গল্প-গুজব করার জন্য আসে। আমি তক্কে তক্কে আছি এর ফাঁকে পরমার হাতের লেখাটা চেক করা। পরমাকে আমার পারফেক্ট ম্যাচ মনে হচ্ছে। হাঁটার সময় কি ছন্দ মাইরি! এই মেয়ে আমার বউ না হলে জীবন কুরবান করে দিমু এরকম একটা মনে মনে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। তারপরেই ভোজবাজীর মতো সবকিছু ঘটে গেল। বাবা-মা বগুড়া থেকে এসে আট দিন ধরে আছে। সারাদিন দেখি পরমাদের ফ্লোরে গিয়ে পড়ে থাকে। কী নুটুঘুটু করে আল্লাহ মালুম!
কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবা-মা, আপা-দুলাভাইয়েরা এসে পরমার সাথে আমার বিয়ে পড়ে দিল। আমি চিৎকার চ্যাঁচামেচি করলাম। হাত-পা ছুঁড়লাম। অন্ততঃ একবার পরমার হাতের লেখাটি দেখতে দেওয়া হোক। আমার কথায় কেউ কর্ণপাত করল না।
খুঁতখুঁতানি থাকলেও মনে মনে একদিক থেকে আমিও বেশ খুশিই হলাম। যাক, এতদিনে ফাঁড়া কাটল।
৪
বিয়ের দিন পরমাকে জানিয়ে দিয়েছি ওর লেখা দেখা ছাড়া খাটে উঠুম না। সন্ধ্যার পরে ওকে ফোন দিলাম লেখা কই?
পরমা তখন উপর তলাতে। ফোনে জানাল লেখাটি নাকি ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখেছে। দুরু দুরু বুকে তাড়াতাড়ি বের করলাম। শুরুতেই কয়েকটি স্ট্রোক দেখে আমার ভীষণ তৃষ্ণা পেল। আমি ফাঁদে পড়েছি রে বগা। আমি ফাঁদে পড়েছি। কেউ আমারে আর বাঁচাতে পারবে না! এই ছিল শেষে আমার কপালে। হায়, হায়, এ আমি কাকে বিয়ে করলাম! ‘ভ’, ‘থ’, আর ‘গ’র স্ট্রোক দেখে আমার অজ্ঞান হওয়ার দশা। ‘ভ’র পেট এত নিচে…’থ’র বিশাল ফাঁক…’গ’ ঠ্যাং মেলে দিয়ে পড়ে আছে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ। সবগুলো বর্ণের স্ট্রোক দেখে হিসেব করলাম অসংখ্য নাগরের কোলে উঠে কুতকুত খেলেছে পরমা। ও মাই কাউ। আমার কান্না পাচ্ছে। এ আমি কাকে বিয়ে করলুম?
নিশুতি রাতে ও ঘরে ঢুকল। আমি ওর মুখের দিকে ঘৃণায় তাকাতে পারছি না। আড়চোখে দেখে বুঝতে পারছি শয়তানী মেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। আমার গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে এখনি বেলকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে ভবলীলা সাঙ্গ করি।
ও ধীরে ধীরে আমার পাশে এসে বসল। আর আমার গায়ে হুলের মতো ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। ও দেখি আমার মুখটা টেনে ঘুরিয়ে নিচ্ছে। শয়তান মেয়ে। বিচ্ছু মেয়ে। আমার জীবন মাটি করে দিল, তামাতামা করে দিল।
-’গ্রাফোলজিস্ট সাহেব বউয়ের কতগুলো প্রেমিক সন্দেহ করছেন, জানতে পারি কি?’ নির্লজ্জ মেয়ের প্রশ্নের ধরণ দেখে মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে।
উত্তর না দিয়ে কড়া চোখে তাকালাম। কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছে চাহনি কড়া না হয়ে মনে হয় পুষি বিড়ালের মতো মিউ মিউ টাইপের হয়ে গেছে। শয়তান মেয়ে তা দেখে ফিক করে হেসে দিল।
আমার অসহায় অবস্থা দেখে পরমা আমার হাতে আরেকটা কাগজ গুঁজে দিল। অনিচ্ছায় খুলে দেখলাম। ঝকঝকে মুক্তোর মতো লেখা। প্রতিটা স্ট্রোক পারফেক্ট, নিষ্কলুষ। ওর দিকে তাকালাম বিস্মিতভাবে।
-’আমার লেখা’-- বলে পরমা কোমর দোলাতে দোলাতে বাথরুমে প্রবেশ করল। আর আমি অধিক বিস্ময় নিয়ে পিছু পিছু বাথরুমের দরজাতে গিয়ে থাবা দিয়ে ঢোক গিলে জানতে চাইলাম তাহলে আগের লেখাটি কার? বেশ কিছুক্ষণ পর পরমা বের হয়ে জানাল আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ড্রাইভারকে দিয়ে একটি মেয়ের লেখা আনতে বলেছিল। সেই ড্রাইভারের পরিচিত মেয়ের লেখা ঐটি। আমার আনন্দে চোখে পানি চলে এসেছে। ঝাঁপ দিয়ে হা-ডু-ডু খেলার ছলে পরমাকে জড়িয়ে ধরতে গেলাম।
কিন্তু ও আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে জানাল আমার হাতের লেখাও সে দেখবে। সেও নাকি এই কিছুদিনে গ্রাফোলজি নিয়ে বেশ জেনেছে। আমিও এরকম কিছুই একটা সন্দেহ করছিলাম। আগেই একটি লেখা লিখে রেখেছিলাম। ড্রয়ার খুলে একটি কাগজ এগিয়ে দিলাম। পরমা লেখা দেখে মুখটা কালো করে ফেলল। অনেক স্ট্রোকের গণ্ডগোল।
তাড়াতাড়ি আমি লেখাটি দেখলাম। আরে এত আমার লেখা নয়। কার লেখা এটি। পরমা বিশ্বাস করে না। কাঁদাকাটি শুরু করেছে। শেষে আমার লেখাটি খুঁজে বের করলাম। তাহলে ঐটি কার লেখা? অবশেষে জানা গেল ড্রাইভারকে ও যখন লেখা আনতে বলে প্রথমে ড্রাইভার নিজের লেখাই দিয়েছিল কাজের লোকের হাতে। পরে মেয়ের লেখা দিলেও ড্রাইভারের লেখাটি ড্রয়ারেই ছিল।
ড্রাইভারের লেখার স্ট্রোকগুলো খুঁটিয়ে দেখলাম। হালার পো কমপক্ষে এগার জনের সাথে কুতকুত খেলেছে। মনে হচ্ছে খচ্চরটার রেড লাইট এরিয়াতে নিয়মিত যাতায়াত আছে। পরমাকে আদর করতে করতে সিদ্ধান্ত নিলাম ড্রাইভারের চাকরি নট। বারতমের ঝুঁকির মুখে পরমাকে রাখা যাবে না।
‘বারতম’ শব্দটা মনে হয় জোরেই উচ্চারণ করেছিলাম। পরমা জিজ্ঞেস করল, ‘বারতম নিয়ে কি বলছ’? আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘না, মানে আমাদের একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারসহ একডজন বাচ্চার ক্রিকেট টিম হলে ক্যামন হয়’? ফিসফিস করে বলেই ‘ক’ য়ের মাথাসহ ঠোঁটটা নামিয়ে দিলাম দুতলার বেলকনি থেকে গভীর গিরিখাদে!!!!
*************************************************************************************************************
আখেনাটেন/অক্টো-২০১৮
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: মামুন ভাই কি ভুই পাইলেন নি।
শুভকামনা রইল।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বেশ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম ব্লগার মাহমুদুর রহমান।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
অন্তরন্তর বলেছেন: হাহাহাহাহা। মন খুলে হাসলাম অনেকক্ষণ। শায়মার গ্রাফলজির দফা রফা, এমন ছেরা বেরা করেছেন শায়মার গ্রাফলজি যে তিনি কি বলেন দেখবার মঞ্ছায়। রম্য গল্প অসাধারণ হয়েছে। ভাল থাকুন সর্বদা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: শায়মার গ্রাফলজির দফা রফা, এমন ছেরা বেরা করেছেন শায়মার গ্রাফলজি যে তিনি কি বলেন দেখবার মঞ্ছায়। --আমিও অপেক্ষায় আছি। হা হা হা।
শুভকামনা ব্লগার অন্তরন্তর নিরন্তর।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি ভূতকে ডরাই!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: নূরু ভাই কি অাদিভৌতিক দেখে ডরাইছেন নাকি! তাইলে জলসা পুরাই মিস করবেন কিন্তু কয়ে দিলুম।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঝাঁপ দিয়ে হা-ডু-ডু খেলার ছলে পরমাকে জড়িয়ে ধরতে গেলাম
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
আখেনাটেন বলেছেন:
জুরাসিক পিরিয়ডের অার্কিওপটেরিক্স ভাই কি অন্য কিছু দেখতে চাচ্ছিলেন নাকি!! ঝেড়ে কাশুন।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
আরোগ্য বলেছেন: শায়মা আপুকে অনেক ধন্যবাদ। অন্যথায় এই দারুণ গল্পটি পেতাম না।
এবার আখেনাটেন ভাই আপনার সাথে ঝগড়া হবে। কই গায়েব হয়ে যান।বগুড়ার নাম নেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। এখন আমার বগুড়ার দই খাওয়ার ইচ্ছা করছে। মহা মুশকিল!!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: আরোগ্য বলেছেন: শায়মা আপুকে অনেক ধন্যবাদ। অন্যথায় এই দারুণ গল্পটি পেতাম না। --ব্লগার শায়মার অবশ্যই ধন্যবাদ।
বগুড়ার নাম নেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। এখন আমার বগুড়ার দই খাওয়ার ইচ্ছা করছে। মহা মুশকিল!!! --বগুড়ার দই খেতে চাইলে ঠিকানা দিন। গ্রাফোলজিস্ট ভায়াকে বলমু নে পাঠানোর জন্য।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জুরাসিক পিরিয়ডের অার্কিওপটেরিক্স ভাই কি অন্য কিছু দেখতে চাচ্ছিলেন নাকি
কি দেখব
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: কি দেখব --সেটাই তো আমারও প্রশ্ন? হিসটোরিক্যাল ব্যক্তি হয়ে আপনারা যেটা দেখবেন সেটা আমাদের মতো নাদানরা জানুম ক্যামনে?
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রথম যখন দেখলাম বগুড়া বাসী আপনার খুশিতে পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার অবস্থা, তখনই ভাবলাম, না এদের কাছেই একদিন ধরা দিবে সুদিন! তা নাটোরের আর ভাল কোন উর্বশীর সাথে আপনার পরিচয় আছে নাকি? থাকলে একটু জানাইয়েব! বনলতা সেনের বোন না পাই, আপনার অল্ড গোল্ডের বোন পেলেই চলবে
রাজশাহীতে আমাদের দাদাভাই নয়নতারার বন্ধুর বাড়ি, উনাকে আপনার সমস্যা বললে এতো দেরি হত না! ৩০ বয়স কম না কিন্তু!
আমার বাসা বোর্ডবাজার, উত্তরার খুব বেশি দূরে না! আপনার পরমার কোন বোন থাকলে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে গ্রাফোলজিস্ট হয়ে যামু! গ্রাফোলজিস্ট হওয়ার শুরুতেই চ্যাকা খেতে চাই না আর কি!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: রাজশাহীতে আমাদের দাদাভাই নয়নতারার বন্ধুর বাড়ি, উনাকে আপনার সমস্যা বললে এতো দেরি হত না! -- অামি একবার গ্রাফোলজিস্টরে পরামর্শ দিবার চাইছিলাম যে ওখানে নয়নতারার দাদাভাইকে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে। কিন্তু বেচারা!! রজনীকান্তের ফ্লাইং কিক খেয়ে বিদায়।
আপনার পরমার কোন বোন থাকলে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে গ্রাফোলজিস্ট হয়ে যামু! --ভুলেও ওপথ মাড়াবেন না। কি সমস্যায় না পড়েছিল গ্রাফোলজিস্ট ভায়া দেখলেন না?
তয় পরমার ছুটু একটা আছে। ওস্তাতের শিষ্য দুজন দ্যাখেন নাই। লাইনে দাঁড়ান।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ওমেরা বলেছেন: আর হাসতে পারুম না —————— ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন:
হাসি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ব্লগার ওমেরা। চারিদিকে গোমড়ামুখো খবরের মাঝে একটু না হয় বেশিই হেসে নিলেন।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
হাবিব বলেছেন: পরে পড়ে নিবো। প্রিয়তে রাখিলাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: হাবিব স্যার, অাসসালামু আলাইকুম।
স্যার তো দেখছি মহা ফাঁকিবাজ। একে তো লেখা পড়িলই না আবার প্রিয়তে রাখিলাম বলিয়া সেখানেও গণ্ডগোল।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আরোগ্য বলেছেন: না ভাই দইও দরকার নাই আর গ্রাফোলজিস্ট ভাইয়ের ও আসার দরকার নাই। তার চক্করে পরলে জীবন তামাতামা হয়ে যাবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০২
আখেনাটেন বলেছেন: তার চক্করে পরলে জীবন তামাতামা হয়ে যাবে। -- রহস্যজনক। হাতের লেখা পাঠিয়ে দিন তো। গ্রাফোলজিস্ট দ্বারা টেস্ট করায়ে নেই।
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১২
আরোগ্য বলেছেন: গ্রাফোলজিস্টের খেতায় আগুন।আপনি এখন আমার ব্লগে আসেন। আপাতত আমার পোস্টখানা টেস্ট করে যান।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন:
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আর তর সইছে না! ভাই, আর তর সইছে না!
লন আগেই মিষ্টিমুখ কইরা লন!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: এগুলো আমাদের নেতাদের মস্তিষ্কে সরবরাহ করতে হবে। তবুও যদি ভালো কিছুর চাষবাস হয়।
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
চরি! ভাটিগুলোতে মিষ্টি রাখা হয়েছিল! কেউ দুর্নীতি কচ্চে!
লন এখন খান, আর ব্যবস্থাটা কইরা দেন! আপনি যা বলবেন তাই পাবেন! ডিস ইজন'ট ঘুষ
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: লন এখন খান, আর ব্যবস্থাটা কইরা দেন! আপনি যা বলবেন তাই পাবেন! ডিস ইজন'ট ঘুষ -----বুঝি রে ভাই। সবি বুঝি। আগে বাড়ুন। লাইনে থাকুন। কাস্টোমার অনেক।
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
হা হা! শেষ পর্যন্ত গতি হলো এতো গন্ডগোলের মধ্যে!! ড্রাইভারকে তাড়াতাড়ি বিদায় করেন!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা! শেষ পর্যন্ত গতি হলো এতো গন্ডগোলের মধ্যে!! -- সব দোষ অাক্কাইসসার।
ড্রাইভারকে তাড়াতাড়ি বিদায় করেন!! -- গ্রাফোলজিস্ট ভোলাভালা হলে কি হবে সেয়ানা আছে? রিস্কে নেই মনে কয়?
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা
ভাইয়া প্রথমে গল্প পড়ে হাসছিলাম শেষে এসে বুঝলাম তুমিই সেই ড্রাইভার!!!
থাক থাক ড্রাইভার বলে কি গল্প লিখতে পারবেনা!!
বরং সত্য ঘটনা একদম সত্যিকারের মতনই সুন্দর লাগে তাইনা ভাইয়ামনি!!!!!!!
আমরা সত্যিঘটনাময় গল্প পড়ে বড়ই মজা পেয়েছি।
আরও সত্য ঘটনা নিয়ে আমিও আসছি!! হা হা হি হি
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন:
ভাইয়া প্রথমে গল্প পড়ে হাসছিলাম শেষে এসে বুঝলাম তুমিই সেই ড্রাইভার!!! -- চাকরী নটের পর দেনা-পাওনা নিয়ে ড্রাইভার কিন্তু আমার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। বেচারার জন্য আমারও মন খারাপ হচ্ছে। কিন্তু কি আর করা বলুন? কে চায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে?
যাই পরমা'টা উপরে একা একা আছে!!!!!!!!!!!!
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
রাকু হাসান বলেছেন:
হাহাহা আপনি শায়মা আপুর গ্রাফোলজির প্যাঁচে পড়লেন । তাই তো আমি শায়মা আপুকে লেখা দেখাইনি
দেখালে সব বের হয়ে যেত ।হাস্যরস তো ভালো পেলাম । ক্রিয়েটিভি আছে আপনার ,গ্রাফোলজি আয়ত্ত করে মেয়ে টেয়ে পঠিয়ে চেরাবেরা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি শায়মা আপুর গ্রাফোলজির প্যাঁচে পড়লেন -- রাকু ভাই কে যে কার প্যাঁচে পড়ছে অাল্লাহ মালুম!! গ্রাফোলজিস্টের বিরুদ্ধে গভীর ও সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে।
তাই তো আমি শায়মা আপুকে লেখা দেখাইনি
দেখালে সব বের হয়ে যেত --আপনি উত্তরায় লেখা নিয়ে চলে আসুন না।
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
নজসু বলেছেন: সোনালী বালির প্রাচীর
কখনই ভুলতে পারবো না আমি।
আমার ধারণা আপনার গল্প মানেই অন্যরকম কিছু।
পাঠ করার ইচ্ছে রইল।
তখন মন্তব্য করবো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: অাপনার কথায় অাপ্লুত হলুম।
তয় এইখান পুরোপুরি রম্য ও ফান লেখা। অাশা করি পড়ার সময় মুখের হাসিটা চওড়া থাকবে।
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১২
রাকু হাসান বলেছেন:
গ্রাফোলজিস্টের বিরুদ্ধে গভীর ও সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে।
আপনি উত্তরায় লেখা নিয়ে চলে আসুন না। ----হাহাহাহা ভাইয়া আপনি দেখছি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলেন
ব্লগে গ্রাফোলোজির জনককে হার মানাবেন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগে গ্রাফোলোজির জনককে হার মানাবেন -- ভুল করলেন রাকু সাহেব। গ্রাফোলজির জননী বলতে হত!!!
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
শায়মা আপু কয় কী?
শায়মা আপুর কথা মিছাই তো নাকি!
শায়মা আপু, আপনি একজন নিষ্পাপ বিবাহিত সুপুরুষককে কলঙ্কিত করছেন! আরে ভাই এই মানুষটার সাথে এখন আমার মানসম্মান যুক্ত!
আর এখানে তো কোন হস্তলিখন নেই যে আপনি ড্রাইভার সনাক্ত করবেন!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: গ্রাফোলজিস্টের বিরুদ্ধে গভীর ও সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে।
আরে ভাই এই মানুষটার সাথে এখন আমার মানসম্মান যুক্ত! -- রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। মশায় ধীরে চলুন। পিছলে গেলে আমার দোষ নেই। সবুরে মেওয়া ফলে।
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা
মজার লিখছেন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম মনিরা'পা।
------------------------
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্লগার।
পরিশ্রমী ব্লগার।
পোষ্ট সুন্দর হয়েছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: পরিশ্রমী ব্লগার। -- কী ধরণের পরিশ্রমী একটু যদি খুলে বলতেন হুজুরে আলা?
শুভকামনা।
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
শায়মা বলেছেন: কেউ ভুল করোনা এই গল্প পড়ে!!!
আমি হাড়ে হাড়ে চিনি এই ড্রাইভারকে!
আমার গ্রাফোলজী শিক্ষা দীক্ষার রাফ খাতা নিয়ে সে পালাইসে।
এখন নাকি উত্তরা জব নিয়েছে!!!
নো প্রবলেমো ...... পরমা না শরমা আমি বের করছি !
পুলিশে খবর দিসি। ডিটেকটিভ লাগাচ্ছি। রোজ ক্রাইম পেট্রল সি আই ডি সব দেখা শুরু করে দিসি.....
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: আমি হাড়ে হাড়ে চিনি এই ড্রাইভারকে! -- ডাল মে কুছ কালা হ্যায়???????????? ঝেড়ে কাশুন মাননীয়া।
নো প্রবলেমো ...... পরমা না শরমা আমি বের করছি ! ডিটেকটিভ লাগাচ্ছি। রোজ ক্রাইম পেট্রল সি আই ডি সব দেখা শুরু করে দিসি... -- ওখে! ওখে! অাসুক ডিটেকটিভ। নতুন ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিচ্ছি অপেক্ষা করুক বড় বাবু মোড়ের গলিতে।
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মাইচ্ছে ! এই প্রক্রিয়ায় মাইয়া বাছিতে গেইলে গাঁ উজাড় হইয়া যাইবে !! যাইতেছিলো বোধহয় ! তাই আফনেরে বাইন্ধা কুরবানী দেওন ভালা হইছে !
মাইয়া গ্রাফোলজিস্ট হইলে প্রায় সকল ডাক্তার , অফিসের বস বাতিল হইয়া যাইবেক ! উহাদের লেখা মাঝে মাঝেই যাইয়া পড়িয়া দিতে হয় ! প্রেমপত্রের মতন ফার্মাসিস্ট বা অধিনস্তরা ছাড়া কেহ বোঝে না !!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: এই প্রক্রিয়ায় মাইয়া বাছিতে গেইলে গাঁ উজাড় হইয়া যাইবে !! যাইতেছিলো বোধহয় ! তাই আফনেরে বাইন্ধা কুরবানী দেওন ভালা হইছে ! ---হা হা হা। কলিকাল। সব কলিকাল।
মাইয়া গ্রাফোলজিস্ট হইলে প্রায় সকল ডাক্তার , অফিসের বস বাতিল হইয়া যাইবেক ! উহাদের লেখা মাঝে মাঝেই যাইয়া পড়িয়া দিতে হয় ! ---
ঠক বাছতে শেষে গাঁ উজাড় হওয়ার দশা হবে নি।
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা প্রচুর হেসেছি । আদৌ বিয়েটা কি হলো ? আমার কিন্তু এখনো সন্দেহ রয়ে গেল । শায়মা আপুর ফাঁদে তাহলে আপনিও শেষ পথে পা দিলেন । ++++
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ফ্যারাও ভাইকে ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: আদৌ বিয়েটা কি হলো ? আমার কিন্তু এখনো সন্দেহ রয়ে গেল । -- হায়! হায়! পদাতিক দা কিতা কন? এতবড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল গ্রাফোলজিস্টের জীবনে আর আপনি কিনা সন্দেহ করেন। না, আপনাদের নিয়ে আর পারা গেল না।
আপনার শায়মা'পুর জন্য একটি গান 'ফান্দে পড়িয়া বগি কান্দে রে' শুনার ব্যবস্থা করেন।
২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
সুমন কর বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ছিঃ ............আপনি ওমন করে সব কথা ফাঁস করে দিলেন !!! মেয়ে'রা পঁচা !!!
পোস্ট থেকে গল্প। মন্দ হয়নি তবে ..............
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এরকম গ্রাফোলজিস্টের পাল্লায় পড়লে হা-ডু-ডু খেলোয়াড়দের খবর আছে। হা হা হা।
২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০১
সূর্যালোক । বলেছেন: শায়মা আপুনরি পোস্ট ছিলো মজার । আপনার রম্যও মজার হয়েছে ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১২
আখেনাটেন বলেছেন: সূর্যালোক । বলেছেন: শায়মা আপুনরি পোস্ট ছিলো মজার । -- হুম; নিঃসন্দেহে চমৎকার পোস্ট।
মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ব্লগার সূর্যালোক। ভালো থাকুন।
২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পরম খুশিতে মিষ্টি খামু কিন্তু সুগার লেভেল সুবিধা টেকেনা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১১
আখেনাটেন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পরম খুশিতে মিষ্টি খামু কিন্তু সুগার লেভেল সুবিধা টেকেনা। --হা হা হা। একদিন গলাধঃকরণে তেমন ক্ষতি-বৃদ্ধি হওয়ার কথা না সুজন ভাই।
শুভকামনা রইল।
২৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৯
মা.হাসান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখার জন্য। আরো চাই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলুম ব্লগার মা. হাসান।
ভালো থাকুন।
৩০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খুবই জটিল পোষ্ট, লেখা দেখে মানুষের চরিত্র বুঝা। আসলে কি এমনটা সম্ভব!! ...........ভাইটামিন সমৃদ্ধ লেখায় ভালো লাগা একরাশ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: লেখা দেখে মানুষের চরিত্র বুঝা। আসলে কি এমনটা সম্ভব!! --- তেনারা তো বলে সম্ভব। শতভাগ না হলেও কিছুটা সম্ভব মনে হয়। কাউকে সন্দেহ থাকলে তাঁর লেখা নিয়ে অাসুন না উত্তরাতে। হাতে নাতেই প্রমাণ হয়ে যেত।
ভাইটামিনযুক্ত লেখায় সাদা মনের মানুষের পদচারণায় ধন্য। শুভকামনা।
৩১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার বাড়ি কি বগুড়ায় নাকি? হলে কোথায়? বগুরা আমার খুব পছন্দের জায়গা, খুব ভালো লাগে ঘুরতে। আমার বাসাও কাছাকাছি জেলায়......।
আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, আমি আপনাকে আপনার একটা পোষ্টে এই ব্লগের অন্যতম সেরা একজন রম্য লেখক বলেছিলাম, আপনি বলেছিলেন আমি চাপাবাজি করছি, আমি যে চাপাবাজি করিনি, এই লেখাটাই সেটার প্রমান। এই লেখা নিয়ে কোন মন্তব্য করার দু:সাহস আমার নেই, এই সাবজেক্ট আমার মাথার এন্টিনার উপর দিয়ে যায়।
তবে এটা সাবজেক্ট নিয়ে আমার মনে বেজায় দু:স্ক আছে! ভার্সিটির প্রথম ইয়ারে আমার হাত আর লেখা দেখে আশু ৩ টা দুর্দান্ত রুপসীর সাথে প্রেমের আশার বানী শুনানো হয়েছিল! আমি তো পারলে সেই গ্রাফোলজিস্ট পায়ে হাত দিয়ে সালাম করি অবস্থা। দিন যায়, রাত যায়, বছরও তো ভাই অনেক অনেক কেটে গেল, কোনটাই তো এলো না? মাঝখানে কোথা থেকে উড়ে এসে এক জাদরেল ফিল্ড মার্শাল সব দখল করে নিল! আমার এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! আমি এখনো কিন্তু সেই গ্রাফোলজিস্টের কথার আশায় বসে আছি গত ১২ বছর ধরে..........
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: এই লেখা ও ২৯ নম্বর মন্তব্য দেখতে পারেন ব্লগার নীল আকাশ।
সারাদিন গোমড়ামুখো কাজের মাঝে একটু রম্য-টম্য হলে...। কংক্রিটের জঞ্জালে বাস করে নানারকম বিড়ম্বনায় মানুষের মুখ থেকে হাসিগুলো উবে গেছে। তাই মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজে একটু-অাধটু কাতুূকুতু দেওয়ার চেষ্টা করলে মন্দ হয় না!
আপনার করুণ কাহিনি শুনে চউক্ষে জলের বন্যা অাসার উপক্রম। এমনিতে আর আকাশ বেদনায় নীল হয় না।
অাপনার ফিল্ড মার্শালকেও লেখাটি পড়ান। অবশ্য রিস্কটুকুও আপনার।
৩২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া অসাম হইছে।আমার হাতের লেখা পাঠিয়ে দিমু সাথে বৌয়েরটাও একটু দেখে দিয়েন প্লিজ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
বৌয়েরটাও একটু দেখে দিয়েন প্লিজ। --- ব্লগার মোস্তফা সোহেল অাগ বাড়িয়ে ক্যানে বিপদ ঘরে ঢুকাতে চান। এই পাগলু গ্রাফোলজিস্টের হাতে লেখা পড়লে আপনার চোখের পানি-নাকের পানি এক হয়ে যাবে। তারচেয়ে আপনি বরং ব্লগার শায়মা'পুর সাথে বোঝাপড়ায় যান।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা।
৩৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
ফোয়ারা বলেছেন:
গ্রাফোলজিস্টে বিশ্বাস করা আর কুসংস্কারে ডুবে থাকা একই......
সু... এসব আমার ইন্টেরেস্টিং কমই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: ফোয়ারা বলেছেন:
গ্রাফোলজিস্টে বিশ্বাস করা আর কুসংস্কারে ডুবে থাকা একই...সু... এসব আমার ইন্টেরেস্টিং কমই। -- ভাইজান দেখছি, মারাত্মক প্র্যাকটিক্যাল। আপনার লেখাটি যদি একটু দেখাতেন আমাদের গ্রাফোলজিস্টরে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার ফোয়ারা।
৩৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই ভয়ঙ্কর বিদ্যা না জানাই ভাল। জানলে আর কেউ বিয়ার মুখ দেখবনা।
যাক শেষ পর্যন্ত প্রনয় হলো।
রসে রসায়িত গল্প।
+++++++++++++++++++++ লন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই ভয়ঙ্কর বিদ্যা না জানাই ভাল। জানলে আর কেউ বিয়ার মুখ দেখবনা। -- হা হা হা। তা যা বলেছেন।
রসের হাঁড়িতে ঢুকে চমচম খেয়ে যাওয়ার শুভেচ্ছা। ভাবীকেও দু-চার পিস দিবেন।
৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
ও এম জি!!!!!!!!!!!!!!
করেছেন কি? ফাটাফাটি রম্য। ধন্যবাদ শায়মাপুর পোষ্টে! ধন্যবাদ আপনার অসাধারন ক্রিয়েটিভিটিকে
মুগ্ধতা মুগ্ধতা মুগ্ধতা
+++++++++++++++
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: শায়মাপু পোস্ট না করলে এই পোস্টও পয়দা হয় না। সেজন্য উনাকে তিনশ তোরণের শুভেচ্ছা।
এখন গ্রাফোলজি নিয়ে মানুষ ভাবুক। সনাক্ত হোক পাকা হা-ডু-ডু খেলোয়াড়।
৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,
হুমমমমমমমম সে কারনেই মনে হয় উত্তরায় আমার বাসায় বসে "তা ধিন ধিন তা / তেরে কেটে তাক" শুনতে পা্চ্ছিলুম গত কদিন থেকে রোজ রোজ । তাহলে আখেরে ঘটনা হলো এই !
তা 'ক' এর মাথা সহ লম্বা ঠোটটা যে নামিয়ে দিলেন দোতালার ব্যালকনি থেকে গিরিখাতে , এখন যে সে ঠোট বেয়ে বেয়ে 'ক' ফর 'কই মাছ' উঠে এসে গিরিখাতে সুড়সুড়ি দেবে ; তার কি হবে ? সেটা সামাল দেয়ার ক্ষমতা আছে কিনা আপনার, তা কি গ্রাফোলজী দেখে বলা যাবে ? ( কইমাছ নাকি রিমঝিম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে লং ড্রাইভে নামে , শুনেছি ! )
কিন্তু মাথায় ঢুকছেনা , আপনার যদি এই অবস্থা হয় হস্তরেখার ( পামিষ্ট্রি নয় ) গ্রাফের কারনে , তবে আমার হাতের লেখায় যে
৩৯ মাত্রার সিসমোগ্রাফ ধরা পড়বে তাতে কত 'তম" বিলাসীনি জীবনে সর্বনাশিনী হয়ে আসবে ????
এনজয়েড দ্য হিউমার ..................
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। আপনার মন্তব্য মানেই অন্য কিছু।
পরমা তাহলে আপনার কথায় বলছিল। পাশের বাড়ির ডাক্তার সাহেবের লেখা দেখে গ্রাফোলজিস্ট যেন জ্ঞান না হারায়। অবশ্য গ্রাফোলজিস্ট স্বঘোষিত অাইন করে নিয়েছে যে সে ডাক্তার আর মুহুরীর লেখা দ্যাখে না।
অবশ্য লোকে নিন্দা করে বলে উনাদের লেখা বুঝার মতো ক্ষ্যামতা নাকি গ্রাফোলজিস্টের নেই। সব শুনেও আমি চুপ আছি।
শায়মাপু ভালো বলতে পারবে ৩৯ মাত্রার হেরফের।
৩৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
লাবণ্য ২ বলেছেন: মজা পাইলাম পড়ে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হইলাম জেনে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ব্লগার লাবণ্য ২।
৩৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষামূলক গল্প । মরাল অফ দ্য শিক্ষামূলক গল্প, হাতের লেখা বিষয়ে সাবধান, বিশেষ করে কখনো উত্তরা গেলে।
শায়মা ফুল বানানো, জিলাপি বানানো শেখাচ্ছিল ভালোই ছিল, কি এক গ্রাফোলজি শেখাতে গেল!! এখন হাতের লেখার ডট আর টানের কারণে কতজন যে বিপদে পড়বেন। ভাবছি........
কাহিনী ভালই লাগলো। +++++++
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। করুণাধারা'পা, আপনার মন্তব্য পড়ে বিকট একটা হাসি দিলুম। হা হা হা।
গল্পের গ্রাফোলজিস্টের পাল্লায় পড়লে আর রক্ষা নেই।
অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
৩৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
হাবিব বলেছেন: ভাই এতো রম্য কই পান বলেন তো ? আমি কি সেই দেশের সন্ধান পেতে পারি?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: স্যার আবার এসেছেন। শুভেচ্ছা নিন।
কিছু মনে না করলে স্যারের লেখাখান যদি একটু দেখাতেন। 'ঙ', কিংবা 'ঞ' স্ট্রোকে কোনো ঝামেলা আছে কিনা<
৪০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
শিখা রহমান বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন। আমার অবশ্য মাঝরাত। ব্লগে এসেই আপনার লেখা পড়লাম। হাসতে হচ্ছে কষ্ট করে নিঃশব্দে, পুরো বাড়ি ঘুমে।
বরাবরের মতোই দুর্দান্ত রম্য লেখা। আপনি আসলেই ভালো রম্য লেখেন। মানুষকে হাসানো কঠিন আর আপনি সেই কঠিন কাজটা খুব আবলীলায় করেন।
শুভকামনা। ভালোলাগা প্রিয় ফারাও।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১২
আখেনাটেন বলেছেন: হাসতে হচ্ছে কষ্ট করে নিঃশব্দে ---আমি কিন্তু এই লাইন পড়ে বিকট হাসিই দিলাম। হা হা হা।
প্রশংসার জন্য অশেষ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল শিখা'পা।
৪১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্!
যাক্!
আমিতো ভাবলাম গ্রাফোলজিস্ট মশাইয়ের কপালে বুঝি আর বউ নেই!
কি নখড়া রে বাবা!
একটা ডাক্তার বউ কপালে জুটলে উচিত শিক্ষা হতো!
হাহাহা।
কি যে মজা করে লিখেন না আপনি!!!
আমিতো হাসতে হাসতে শেষ!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা হা হা
একটা ডাক্তার বউ কপালে জুটলে উচিত শিক্ষা হতো! -- গ্রাফোলজিস্ট এ ব্যাপারে সাবধান আছে মনে কয়। হা হা হা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য রাশি রাশি শুভকামনা রইল।
৪২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হাতের লেখা ভালো হইলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যায়, ইহা জানতাম-
অধিক সোহাগও যে পাওয়া যায় সেটা তো ভাই জানা ছিল না
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: এইবার তো জানলেন কবি সাব! টেরাই করতে ভুলবেন না কিন্তু।
পরে পস্তালে আমারে দোষ দিতে পারবেক লাই কয়ে দিলাম।
শুভকামনা কবিকে।
৪৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কী হল ভাই!
আপনি তো কোন ঠিকানা দেন নাই
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: ধীরে বৎস! ধীরে!
অাগে গেলে বাঘে খায়। পিছে থাকুন। ধৈর্য ধরুন। সবুরে জাম্বুরা ফলে।
৪৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা
আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে বউয়ে খায়
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে বউয়ে খায় -- মিঞা এই যদি আপনার দর্শন, তাইলে বউ-বউ করে দেশি মুরগীর মতো ব্লগ পাড়া মাতিয়ে ফেলছেনা ক্যান। (
অাপনার জন্য শীঘ্রই 'জামাই ডিম' এর ব্যবস্থা করছি। জাম্বুরা'র কথা স্মরণ করে এবার একটা পরিষ্কার ঘুম দ্যান। খোদা খেদমতগার জাম্বুরার অছিলায় আপনার নেক নিয়ত পুরুন করবেন ইনশাল্লাহ।
শুভেচ্ছা ব্লগার তাজুল।
৪৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ক এর মাথা সহ ঠোট.
চ্রম মজাক হইছে
১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
৪৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: গল্প এবং কমেন্টে অনেক দিন পর ব্লগে আদি অকৃত্রিম এবং খাঁটি ফ্লেভার পেলাম।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে প্রীত হলুম।
শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার নীল-দর্পণ। ভালো থাকুন।
৪৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মজাদার গল্প। ++++
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায়।
শুভকামনা।
৪৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
হ্যারিপ্রসাদ বাজনেওয়ালা... হা হা হা
কেনো যে রাজি হয়েছে ওস্তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে সে আমরা জানি ।
ওই মেয়েদুটির সাথে আবার সাক্ষাত হবে তখন সেইজন্য
চারজনের সাথে একইসঙ্গে নৌকাবাইচ
ওর লেখা দেখা ছাড়া খাটে উঠুম না
হা হা হা... ওহ গড !
আনা ইউ আর হিলারিয়াস ম্যান
ভীষণ ভীষণ ফানি !
খুবই মজা পেয়েছি
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন:
শুনে আপ্লুত হলুম।
আর যেগুলোর রেফার করা আছে ওগুলোও সমান মজার.........। মজা লুট করুন, আনন্দে থাকুন।
শুভকামনা ব্লগার মিড।
৪৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে নীচতলা থেকে টপাটপ রসের নাগর তুলে নেয়ার চিত্রটা লা-জাওয়াব হয়েছে!
আপনার রম্যরচনা এর আগেও বেশ কয়েকটা পড়েছি। যতই পড়ি, ততই নিশ্চিত হই, আপনি এ ব্লগের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ রম্যলেখক। খুবই ন্যাচারাল ফ্লোতে আপনার কলম দিয়ে রম্য প্রবাহিত হয়।
১০ নং প্রতিমন্তব্যটা চমৎকার লাগল। এ ছাড়াও নজসু, নীল আকাশ, আহমেদ জী এস, করুণাধারা, শিখা রহমান, মিথী_মারজান, নীল-দর্পণ, মিরোরডডল, প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।
পোস্টে ২২তম প্লাস রেখে গেলাম। + +
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২
আখেনাটেন বলেছেন: দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে নীচতলা থেকে টপাটপ রসের নাগর তুলে নেয়ার চিত্রটা লা-জাওয়াব হয়েছে! ----
আপনার অকৃত্রিম প্রশংসাতে যারপরনাই খুশি হলুম।
অনেক অনেক ভালোবাসা জানবেন। ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: অর্ধেক পড়লাম, আশা করি সম্পূর্ণ পড়বো। ভালো ছিলো।