নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
আদ্দিকালের কবিতা
‘বেলা হয়ে গেল, উঠ’ কি সুমধুর মায়ের ডাক--
‘এখনও উঠেই নি’ বজ্র নিনাদে বাবা দিলেন হাঁক
তড়িঘড়ি করি উঠিয়া বসিনু, তক্তপোষের উপর
কল্লা ঘুরিয়া জানালা পেরিয়া দেখিনু মধ্য দুপুর।
দিনগুলি মোর বহিয়া চলিছে এমনি করিয়া হায়
মায়ের আদর বাবার ঝাড়ি সহ্য নাহি আর হয়;
মন চাহিছে ছুটিয়া যাই দিগ্বিদিক যেদিকে চাই,
খামোস, কী হবে, ওদিকে যে বাপের হোটেল নাই।
২
আধুনিক কবিতা
মহুয়ার গন্ধ শুঁকে তেপান্তরের পথে
ছুটে চলা অনির্মেষ প্রেমিক;
‘দাঁড়াও’ বলে কেউ তো ডাকে নি কখনও…
ত্রিমোড়কে কেন্দ্র করে এই ছুটে চলার শেষ কোথায়
তা কি মহাকাল জানবে?
নিদ্রা সে তো হ্যালির ধুমকেতু,
কদাচিৎ আসে, ষোড়শীর চিন্তার ফাঁকে--
কচি লাউয়ের ডগার মতো তরতরিয়ে বেড়ে উঠছে সুবর্ণলতা;
যা করার এখনই করতে হবে; যেটাই হোক ছাতামাতা??
৩
উত্তরাধুনিক কবিতা
আকাশটাকে পাকড়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিল কালো রাত্রি; নিকষ তমসায় অস্থির শিয়ালটাকে ক্রিপসি চিকেন ভেবে কপ করে খেয়ে ফেলল পোষা অশীতিপর বটগাছ।
আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রের ধাঁধানো আলোতেও ভীষণ অন্ধকার; তবুও লাঠি ঠুকিয়ে এগিয়ে চলেছে বুড়ো ভাল্লুকটি; আর ভ্যা ভ্যা করে গাইছে অমরাবতীর তীরের মেদযুক্ত আকাশে ফুটে উঠা বসরায় গোলাপ কলির গান। তারই দু একটি কন্টককলি পুঁতে দিলাম নিশুতি প্রিয়ার খোঁপাতে। আহ, কী অনির্বাণ সুখ!
****************************************************************************************
মহাকবি আখেনাটেন/২০১৯
বিদ্রঃ ব্লগে নাকি কালজয়ী কবিতা আর আসছে না, তাই তাজুল, ব্লগার_সামুরা ও আরইউ সাহেবের কবিতা ও প্রবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় এই অসাধারণ, অকল্পনীয়, অভাবনীয়, অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত কবিতার চাষবাস করলুম। প্রশংসা না করলে রাগ করমু কিন্তু কয়ে দিলুম।
ছবি: অন্তর্জাল
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। ফাস্টো হয়েছেন। অভিনন্দন।
তবে মহাকবির কালজয়ী কবিতা কেমন লাগল তা কিন্তু বললেন না পদাতিক দা।
এ কিন্তু ভারী অন্যায়।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মুগ্ধকর!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
আখেনাটেন বলেছেন:
কালজয়ী কবিতার প্রশংসায় প্রীত হলুম ব্লগার মাহমুদুর রহমান।
আরো কিছু ঐতিহাসিক কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে গেলেন অজান্তেই।
আপনার পদধূলিতে কৃতজ্ঞতা হুজুরে আলা।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
আরোগ্য বলেছেন: আমি তো ফারাও আদ্দিকালের মানুষ, বড্ড সেকেলে। উত্তরাধুনিক মাথায় আসে না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। উত্তরাধুনিকটা সবচেয়ে বেশি কালজয়ী। ক্রিপসী চিকেনের মতোই মুচমুচে। ক্যান যে আপনার মাথায় ঢুকল না সেটা তো গপেষনার বিষয় জনাবে আলা।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছেন ভাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি যখন বলেছেন তখন মনে হয় ফাটিয়েই দিলুম। আচ্ছা, কি যেন ফাটালুম?
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: একদম....
ফাটিয়ে দিলেন গুরু...।
অভিবাদন আর শুভকামনা জানবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
আখেনাটেন বলেছেন: মহাকবির আঙিনায় পাড়া দেওয়ার জন্য রাশি রাশি গোলাপের শুভেচ্ছা নিবেন জনাব।
অভিবাদন গ্রহণ করলুম।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: ট্রিলজি কবিতার চাষবাস। কি ফলন। বাম্পার নাকি দেশী।______
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
আখেনাটেন বলেছেন: এ একেবারে দেশী জমিতে বাম্পার ফলন স্রাঞ্জি সে। ফসলের বাড়বাড়ন্তে আমি নিজেই চমকিত, পুলকিত, আলোকিত।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উফ!! বাবা কি কবিতায় না লিখলেন। কোনটা ছেড়ে কোনটাকে বলি।
আদ্দিকালের কবিতা,( কবিতার পরবর্তী অংশ)
হোটেল না পাইলেও মন যে সয়না বাবার ঝাড়িতে হাই,
পকেট ভর্তি টাকা- কড়ি লইয়া চলিলাম বাইরে ভাই।
বাড়িতে এদিকে মায়ের অবস্থা কাহিল ক্রমশ বুঝিয়া,
বাবা তখন বেশ করিয়া চিঠি দিলেন পেপারে ছাপিয়া।
সেই চিঠি পড়ে বাড়ি এলে বাবা দিলেন আমাকে কথা,
আর কভুনা বকিব তোমাকে দিওনা এমন ধোঁকা।
তারপর থেকে আমি বেচি শুধু ধোকার চপ ভাই,
একবার খেলে জিহ্বার স্বাদ কখনও ভুলিবার নয় ।
আপনার আধুনিক কবিতা ও উত্তর কালের কবিতার শেষ অংশ আশা করি কেউ না কেউ লিখবেন ...
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় আখেনাটেনভাইকে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। বড়িয়া লিখেছেন পদাদিক দা।
তবে আমার কালজয়ী, গগনবিদারী কবিতার ধারেকাছেও নেই এটা কিন্তু আপনাকে মানতেই হবে। ও রকম কবিতা লেখা কি সোজা কথা পদাতিক দা? তা যা কষ্ট করলুম দাদা।
দেখি অন্য দুই কবিতার বিপরীতে আর কে কি লিখছে?
পুনরায় এই গরীব ফারাও এর ঘরে পাড়া দেওয়ায় শুভেচ্ছা নিবেন রাশি রাশি।
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
আরইউ বলেছেন:
বাকরূদ্ধ!!
এসেছি ঘুরতে - উঠেছি এক হোটেলে। এখন হোটেল কাঁপিয়ে হাসার ফলে যে জরিমানা হবে, তার দায় আপনার!!
“কল্লা ঘুরিয়া জানালা পেরিয়া...“ হা হা হা!!!
ধন্যবাদ, মহাকবি আখেনাটেন )
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
আখেনাটেন বলেছেন: মহাকবিদের জন্মই হয় জরিমানা গুনিবার জন্য? আখেনাটেনই বা বাদ থাকবে কেন? করেন যত জরিমানা, আমাকে নিঃস করে, ধ্বংস করে, উদ্বাস্তু করে।
তবুও মহাকবি হওয়ার লালিত স্বপ্ন ঘুচিবে না। এ কথা কিন্তু কয়ে দিলুম।
আপনার পদধূলিতে সন্মানিত বোধ করছি হুজুরে আলা।
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আচ্ছা, কি যেন ফাটালুম?
আরে, কবিতার মোড়ক ফাটিয়ে সেগুলো বের করে এনেছেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
শুভেচ্ছা।
১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: একই সাথে তিন ধারায় কবিতা প্রকাশ, বলতেই হয় দারুণ এক্সপেরিমেন্ট ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: সাইন বোর্ডের নোটিশের রাডারে কালজয়ী কবিতাগুলো ডিটেক্টেড হওয়ায় আপ্লুত হলুম।
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০
সুমন কর বলেছেন: খামোস, ছাতামাথা, ষোড়শীর চিন্তুা...................
মজার এবং ভিন্ন রকম হয়েছে। +।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: মজার এবং ভিন্ন রকম -- চমৎকার লাগল কবির প্রশংসায়।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা.......... আমি হাসতে হাসতে অজ্ঞান
সবতো বুঝলাম কিন্তু প্রিয়া সেই কন্টক কলি খোঁপায় গোঁজার পরের রিয়েকশানটা দেখতে চাই
কেউ কি আছেন এ বিষয়ে ২য় অধ্যায় নিয়ে আসবেন!!!!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: এত সিরিয়াস আধুনিক, উত্তরাধুনিক কবিতা পড়ে হাসির কি হল শুনি? এত সাধনায় চাষবাস করলুম আর আপনি হেসে কবিতার ভার কমে দিচ্চেন। এ কিন্তু কবির জন্য ভারী অপমান সোহানী'পা।
কন্টককলি পুঁতে দেওয়ার পর নিশ্চয় প্রেমিককে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকতে হবে। এতবড় অসাধ্য সাধনের পর গুহামানব হওয়া ছাড়া আর কি উপায় আছে?
২য় অধ্যায় লেখা অত সোজা না। এ কি ছেলেখেলা নাকি? চেষ্টা করলে করুক কেউ। তবে মনে হয় না মহাকবির ধারে কাছে কেউ আসতে পারবে????
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: এখন রাত দেড় টা।
গান শুনছি আর আপনার কবিতা পড়ছি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: তা এই আধ্যাত্মিক আধুনিক, উত্তরাধুনিক কবিতা পড়ে কি বুঝলেন?
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৪
রাফা বলেছেন: বেলা দ্বি-প্রহরে নিদ্রায় থাকিলে ,
পিতার হাক-ডাক শুনিতে হইবে।
ইহাই‘তো স্বাভাবিক।
আধুনিকতায় বয়সন্ধি বড়ই যন্ত্রনাদায়ক।
উত্তরাধুনিককাল এমনি কিছু ঘটতেও পারে।
পরিশেষে জিজ্ঞাসা- ক্রিপসি নাকি ক্রিসপি (মচমচে) ?
ধন্যবাদ,আখে.....।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০
আখেনাটেন বলেছেন: রাফা বলেছেন: বেলা দ্বি-প্রহরে নিদ্রায় থাকিলে ,
পিতার হাক-ডাক শুনিতে হইবে।
ইহাই‘তো স্বাভাবিক।
আধুনিকতায় বয়সন্ধি বড়ই যন্ত্রনাদায়ক। -- খাঁটি কথা। তবে এরকম বয়সন্ধির জন্য কাঁচা কঞ্চির মজুদ করা দরকার বাসায় বাসায়। যেন সময়ে সঠিক সদ্ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্রিপসি নাকি ক্রিসপি ---আধুনিক, উত্তরাধুনিক কবিতায় এরকম কিছু নব্য, কিম্ভুতকিমাকার, জাদুকরী, উলটপালট, মায়াময় শব্দের খেলা না থাকলে কিসের মহাকবি? কবিতা যত আধুনিক ততই শব্দের ভাঙন। আর ততই কবিত্বের জৌলুস। আমি মনে হয় ঠিক লাইনেই আছি হুজুরে আলা।
নিচের দিকে আপনি হয়ত খেয়াল করেন নি নতুন শব্দবন্ধের ঢল যেমন, মেঘযুক্ত আকাশের পরিবর্তে মেদযুক্ত আকাশ; ফুলকলির জায়গায় কন্টককলি;
মহাকবি হতে হলে এগুলোর দরকার জনাব।
১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫০
ল বলেছেন: অস্থির কবিতাগুলো পড়ে হতবাক হলুম --
অগণিত আঁকাবাঁকা প্লাস +++++
এক্কেবারে মনে হয় উরুধুরু কবিতার চাষাবাদ।
অফুরন্ত ভালোলাগা।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২
আখেনাটেন বলেছেন: এক্কেবারে মনে হয় উরুধুরু কবিতার চাষাবাদ। --- পেন্নাম জনাব। চাষাবাদ দেখে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম। আরো নতুন ফসল এখন রোপন করা যেতেই পারে কি বলেন?
১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে আমার বিগত দুইদিনের জর ভালো হয়ে উঠেছে। হাসতে হাসতে জ্ঞান হারা।
আদ্দিকালে কল্লা ঘুরিয়ে জানালায় বসে মধ্যদুপুর দেখা --মধুর ছেলেবেলা
আধুনিককালে প্রেমের চিন্তায় ছাতামাতা, উত্তরাধুনিক কালে তীরে এসে তরী ডোবায় ভালো লেগেছে নিশুতি প্রিয়ার খোঁপাতে
এক কথায় দারুণ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: বুঝায় যাচ্ছে আপনি আমার কবিতার প্রেমে পড়ে গেছেন। মহাকবি হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করলুম মনে হচ্ছে।
হবু মহাকবির পাশে থাকুন। নতুন চাষবাসের খোঁজ রাখুন।
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
জুন বলেছেন: আখেনাটেন আপনার এই আদ্দিকালের কবিতা কাল রাতেই পড়েছি। কিন্ত ঘুম ঘুম চোখে বিশাল এক মন্তব্য লিখে প্রকাশ করুন বাটনে চাপ দিতেই বল্লো আপনাকে লগ করতে হপে ৷
মনের দুখে ঘুমায় পড়লাম আরকি ৷
কবিতা পড়ে তো হাসতে হাসতে কাল রাতেই শেষ আবার আজকেও হাসতে হাসতে মন্তব্য লিখছি। আদ্দিকালের আর উত্তরাধুনিক কবিতা তো জব্বর হইছে
এরপর থেকে বাকিসব ছাইপাশ লেখা বাদ দিয়ে নিয়মিত আপনার কবিতা চাই । দাবী জানিয়ে গেলাম
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
আপনি কবিতার সমঝদার পাঠক। মহাকবির চাষবাস ভালো লেগেছে জেনে মনটা আনন্দে ডিং ডং করে উঠল।
এরপর থেকে বাকিসব ছাইপাশ লেখা বাদ দিয়ে নিয়মিত আপনার কবিতা চাই --আমিও তাই ভাবছি। কি সব লিখি? তার চেয়ে কবিতা চাষে অনেক লাভ মনে হচ্ছে! আপনার দাবী মঞ্জুর করা হল হুজুরানে বতুতা জুনাপা।
পাশে থাকুন। কবিতার চাষবাসে ফুয়েল সরবরাহ করুন।
১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
জুন বলেছেন: শিয়ালের ক্রিসপি চিকেন খাচ্ছে আর ভ্যা ভ্যা করে গাইছে অমরাবতীর তীরে
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
আখেনাটেন বলেছেন:
১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
শিখা রহমান বলেছেন: মিশরীয় সম্রাট আপনিও শেষমেশ কবিতা লিখে ফেললেন?
আবারো মধ্যরাতের পরে আপনার পোস্ট পড়লাম। কবিতা পড়ে নিঃশব্দে এমন কষ্ট করে আমি কক্ষনো হাসিনি।
আপনার উত্তর আধুনিক কবিতাটা দুর্দান্ত হয়েছে। কবিতা নিয়ে এমন স্যাটায়ার পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না।
শুভকামনা নব্য কবি। ভালো থাকুন সবসময় মিশরীয় সম্রাট।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: হঠাৎ কিছু অমর কবিতা লিখতে ইচ্ছে করল। ইচ্ছের সেই লাগামকে আর বেঁধে রাখি নি। দিলাম ছেড়ে। বেরিয়ে এল এইসব কালজয়ী কাব্যগাঁথা। মহাকবি হওয়ার প্রথম ধাপ পার করলুম....
শুভকামনা নব্য কবি। -- আপনার শুভাষিস এই কাব্যসম্রাটের জন্য পাথেয় হুজুরানে শিখাপা।
২০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
ইসিয়াক বলেছেন: ফাটাফাটি
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার ইসিহাক কবতাটি ফাটাফাটি মনে হওয়াতে।
সামনের এরকম আরো ধুন্ধুমার, ফাটাফাটি কবতাতে আপনাকে পাব আশা করি।
২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হে মহা কবি !!
কি দোষ করলো গোবি ?
কণ্টক কলিতে এমন কি আছে !!
যে আপনি গুঁজেছেন তা খোপায় বেবী' র
বাহ! বাহ! বাহ!
তিন জমানার চাষাবাদে তো, প্রদর্শনী প্লট বানিয়েছেন মাইরি
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২১
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
তা মহাকবির প্রদর্শনী প্লট কি মনোহারিনী, ঘৃতকুমারী, রূপমোহনী নয়। যেখানে এসে চোক্ষু থির হয়ে যায়। এ কবতাগুলো যে অনেক কষ্টের ফসল গো দিদি!!!
২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাকবি আখেনাটেন,
আগে আমাদের জমিগুলো ছিলো একফসলা, হালে তাতে তিনটি ফসল হয়। হাইব্রীড কায়কারবার! কবিতার জমিও এখন বহু ফসলা হলেও আপনি শুধু তিন ধরনের কবিতার চাষবাস করেছেন ট্রিলজি পদ্মতিতে। কালজয়ী কবিতা, তিন তিনটি কালের! দুর্দান্ত তো হয়েছেই। অনবদ্য সাহিত্যে মাখানো উত্তরাধুনিক পর্বটি হয়েছে জব্বর । আমাদের ফুচকা খেতে জিহ্বা বাড়িয়ে থাকা উত্তরাধুনিক প্রজাতির জন্যে এখন এধরনের কবিতার কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট খোলা সময়ের চাহিদা মাত্র।
তবে ভালো হতো, একই বিষয়বস্তু নিয়ে তিন কালের তিন বর্ণাঢ্য ষ্টাইলে লিখলে। পার্থ্যকটা বোঝা যেতো , বোঝা যেতো চাহিদা ও মানসিকতার উত্তরনের বিষয়টিও !
আমি ছোডুখাডু কবিতা লেখক । আপনার এই মহান ট্রিলজিতে অনুপ্রানিত হয়ে একখানা "ডুলজি" বা "বাইলজী" ( জুলোজি কিম্বা বায়োলোজি না কিন্তু! ) লিখে রেখেছি । আপনার ট্রিলজির সম্পুরক।
এখনি দিচ্ছি পোস্ট আকারে.... সবুর!!!!!!!!!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হাখা খা খা খা খা খা হা হা হা হা ..........আমি কিন্তু হেসেই যাচ্ছি...........
তবে ভালো হতো, একই বিষয়বস্তু নিয়ে তিন কালের তিন বর্ণাঢ্য ষ্টাইলে লিখলে। ---এটা তো আগে ভাবি নাই। দারুন একটা কথা বলেছেন। আগে মাথায় আসলে সেভাবেই সাজাতাম কালজয়ী কবতাগুলোকে।
আপনার এই মহান ট্রিলজিতে অনুপ্রানিত হয়ে একখানা "ডুলজি" -- কী সৌভাগ্য! কী সৌভাগ্য!
এ যে নব্য মহাকবির জন্য পরম পাওয়া হুজুরে আলা। একটু পরেই আসছি আপনার ডুলজিতে কুলজি গণনা করতে......
২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
কোথায় আছে সেই সংবিধান যেটা দিয়ে প্রভেদ করব আমি কোনটা কবিতা আর কোনটা অকবিতা।
পাঠকের কাছে যেটা ভালোলাগে সেটাই আসল... ত্রি মাত্রিক কবিতার ৩য় পর্ব সেই রকম হয়েছে....
ব্লগার সামুরা'র ঐ পোষ্ট তো দেখি আপনাকেও লিখতে বাধ্য করেছে দেখি , আমাকে বাধ্য করেছে এক প্রবন্ধ লিখতে
সোহানী আপুর এত বড় আবদার কি ফেলে দেয়া যায়! নিন ২য় পর্বের এক দুঃসাহসিক অপ প্রচেস্টা-
নিশুতি প্রিয়ার খোঁপার কন্টককলির অসংগায়িত সুবাসে, নির্মম ত্রিমাত্রিক রেখাপাত হয় প্রিয়ার হৃদয়ের
আটলান্টিসের এক চোরা কুঠরিতে, শ্বাপদসংকুল বিভীষিকায় আতঁঁকে উঠে আলোকবর্ষ দুরের নক্ষত্র, আর
অমরাবতীর তীরেই জীবন্ত মমি হলো উত্তরকালের ফারাওয়ের এক দুর্দান্ত প্রণয় অভিধানের।
ভাই, আমি তো আগেই বলেছি আমি এই ব্লগে আপনার রম্য লেখার চির ভক্ত। আশা করি রম্য কবিতার এক দারুন সিরিজ পাবো।
শুভ কামনা রইল!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: পাঠকের কাছে যেটা ভালোলাগে সেটাই আসল... ---- সেজন্যই এই অসম্ভব ভালোলাগার কবতাগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে পেশ করলুম হুজুর। ভালো লাগার গ্যারিন্টি নিশ্চিত ছিল, কারণ মহাকবির কবতা সেতো ফেলনা নয় কী বলেন?
সোহানীপার আবদার চমৎকারভাবে পুরুন করেছেন আপনি। অভিনন্দন।
আপনার রম্য লেখার--- এ আপনার উদারতা জনাব।
আশা করি আমার এর পরের কালজয়ী কবতাগুলোতেও আপনার পদধূলি পাব। যেহেতু পোস্টমডার্ন কবতাগুলোর খাদকের হার বেশি, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি মহাকবি এখন থেকে শুধুই উত্তরাধুনিক কবতাই লিখে উপাদেয় খাদ্যের সংস্থান করবে জনাবে আলা।
২৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আদ্দিকালেরটাই বেশি ভালো লেগেছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: সাধুবাবারা এখনও যে আদ্দিকালেই পড়ে আছে তা আমি আগেই টের পেয়েছিলুম। তা হুজুর কি বাপের হোটেল এখনও তিয়াগ করেন নাই নাকি!!!!!!!!!
২৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
নীলপরি বলেছেন: এককথায় অসাধারণ । ++++++
শুভকামনা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: মহাকবির বিধ্বংসী কবতার প্রশংসায় প্রীত হলুম ব্লগার নীলপরি।
২৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি এখন থেকে আপনার থেকে উত্তরাধুনিক কবিতা লেখার দীক্ষা নেব !
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা। বেশ বেশ।
দিন-তারিখ ঠিক করেন। বাদ্য-বাজনা বাজান। হয়ে যাক দীক্ষা।
২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৫
রাফা বলেছেন: শব্দের পরিপুর্ণ ব্যাখ্যায় কৃতার্থ।
মহাকালের -আখে......ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জনাব।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: সফল চাষাবাদ হয়েছে! উত্তরাধুনিকতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার উত্তরাধুনিক মুগ্ধতা আমাকেও ছুঁয়ে গেল হুজুর।
আশা করি এমনতর কালজয়ী কবটায় আপনাদের পাশে পাব সামনের অনাগত দিনগুলোতে।
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
কালীদাস বলেছেন: উত্তরাধুনিকটা সবচেয়ে ভাল হয়েছে, হা হা
কবিতা নিয়ে আরেকদফা যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছি নাকি ব্লগে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩১
আখেনাটেন বলেছেন:
কবিতা নিয়ে যুদ্ধ সবকালেই ছিল ও থাকবে; তেমনি ভালো কবিতার কদরও যুগে যুগে থাকবে?
৩০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
চাষাবাদের ফলন দেখছি বেশ ভাল । গোলায় পুরবে অনেক ধান, স্যারি কবিতা ! অসাধারণ !
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
ধন্য এ চাষবাস কবি। ফলনের দাম যেহেতু পাচ্ছি, সেহেতু চাষবাসের হার বাড়িয়ে দিতে হবে মনে হয়।
৩১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কবিতার চাষবাস। ধন্যবাদ
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫
আখেনাটেন বলেছেন:
আরো চাষবাসে পাশে থাকবেন আশা করি প্রামানিক দা।
৩২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬
রাকু হাসান বলেছেন:
উত্তরাধুনিক বেস্ট হয়েছে ।ঐতিহাসিক কোবতে । প্রতিভা থাকলে এভাবেই বের হয়ে আসে । আছেন কেমন ভাইয়া ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
আখেনাটেন বলেছেন:
চাষবাসে ওরগানিক ফার্টিলাইজার সরবরাহের জন্য রাকু সাহেবকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
৩৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হে মিশরীয় সম্রাট,
একি মহাকাব্য রচিয়াছ-
তিন যুগের তিন কবিরূপে আবিভূত হয়ে তাক লাগিয়েছ
ব্লগের এই অক্ষয় ভুবনে.........................................।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১
আখেনাটেন বলেছেন: হাহা হা হা
তা যা বলিয়াছেন জনাব!!!!!
মহাকবির আশির্বাদ গ্রহণ করে ধন্য হোন।
৩৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০০
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আরিব্বাস! তিন যুগের কবিতা! আমি পুরনো মানুষ, আমার কাছে আদ্দিকালের কবিতাই ভালো লাগে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; আমারও আদ্দিকালই পছন্দ। তারমানে 'এখনো ওঠেই নি' অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছেন মনে হচ্ছে।
শুভেচ্ছা ব্লগার অর্থনীতিবিদকে।
৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কবিতা চাষবাস এর জন্য সার আর ষাঁড় এর ব্যবহারের কোন দিক নির্দেশনা কি পাওয়া যাবে ভাই
কবিতাত্রয়ী ভাল লেগেছে। আরও চাওয়া রইবে আগামীতে।
ভাল থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: কবিতা চাষবাস এর জন্য সার আর ষাঁড় এর ব্যবহার... ---আপনি তো মশাই নতুন আইডিয়া ঢুকাই দিলেন। এখন কবিতার চাষবাসে রাসায়নিক ষাঁড় নাকি জৈব ষাঁড় ব্যবহার করব তা নিয়ে ভুগতে হবে মনে হচ্ছে।
শুভকামনা আপনার জন্য ভ্রমণগুরু ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায়।
৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন আগে চাষাবাদ সম্পর্কিত এই কবিতাটা পড়েছিলাম,
'বাঁশবনে ডাকে কাক
কপি বনে মুলোশাক।
ঈশ্বর, তুমি পরম দয়ালু
তোমার কৃপায় দাড়ি গজায়,
শীতকালে খাই শাকালু।'
পড়েছিলাম, আর মুগ্ধ হয়েছিলাম। তারপর থেকে অদ্যাবধি সেই মানের কবিতা আর পড়তে পাই নি! আজ পেলাম; কবিতা ট্রিলজি পড়ে বড় শান্তি পেলাম। যাক, এখন মরার আগে বলতে পারব, তিনটা অসাধারণ কবিতা পড়ে মরেছি!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন:
এই কঠিনপাচ্য কবিতাগুলো গলাধঃকরণে আপনি বিরাট কোনো মুসিবতে পড়েন নাই বরং মুগ্ধ হয়েছেন জেনে নতুন একখান উত্তরাধুনিক সবিতা লিখে ফেললুম। মনে কয় হজমে এই কবিতাও অনেক নব্য কবির কাজে লাগতে পারে। তবে ব্লগে পোস্ট দিতে ডরাই।
শুভেচ্ছা করুণাধারা'পার জন্য।
৩৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবিতাটির তিন ফরমেটেই রয়েছে কবি হৃদয়ের কল্পনা এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও ভবিষ্যত দৃস্টিভঙ্গির সারবত্তা । কবিতা গুচ্ছের প্রথমটিতে তথা আদিকালেরটায় রয়েছে বিগত শতাব্দী ধরে কবিতায় শব্দ ও ভাষা শৈলীর প্রয়োগ ও সেকেলে প্রকাশ ভঙ্গি, পরের দুটিতে দেখা যায় আধুনিক ও উত্তরাধুনিক জগতের নব নব কাব্যবিকীরণ।
সমসাময়িককালে ইউরোপীয় ধাঁচে এবং জীবনানন্দোত্তর বাংলা কবিতায় যে আধুনিকতার প্রবর্তন এই কবিতা গুচ্ছের ২য়টিতে সে সকলের প্রকাশভঙ্গি অবশ্যই লক্ষ্যভেদী। কবিতাবিষয়ক চিন্তায় কবির দৃষ্টিভঙ্গি অভিনব বললে অত্যূক্তি হবে না। যুগ যুগ ধরে কবিতা বিষয়ক বিতর্কের কেন্দ্র হলো কী গুণে একটি রচনা কবিতা হয়ে উঠতে পারে। একজন কবির কবিতা লেখার পশ্চাৎপটে ক্রিয়াশীল থাকে ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক কবিদের বিভিন্ন কাব্য প্রয়াস। কবি সৃজিত শব্দভাষ্যে রচিত কবিতা হয়ে উঠতে পারে অভুতপুর্ব অর্থাৎ অনদৃষ্ট, যা হতে পারে কেবল কবিতার মধ্য দিয়েই উপলব্ধ । স্বীয় অভিজ্ঞতার গহন থেকেই উঠে আসা কল্পনালব্ধ বোধটিরই প্রকাশ বিবিধ ধরণের শব্দপুঞ্জে গঠন ও কাব্যশৈলীতে। কবি ইচ্ছে করলেই কবিতা লিখে ফেলতে পারেন না কেননা কবিতা চিন্তার ব্যায়াম নয়। কবিতা কোন এক বিশেষ মুহূর্তে কবি মনের সততাপ্রসূত অভিজ্ঞতা ও কল্পান প্রতিভার দৈব সন্তান। কবিতা দৃশ্যত মানুষের অধিগম্য শব্দসমষ্টির বিন্যাস মাত্র হলেও কার্যত তা গভীর সৌন্দর্যের উৎস। কবিতা শব্দের সমষ্টি হলেও মানুষের অনুভুতিতে সৃষ্টি করে বিশেষ একটা রস, সঞ্চারিত করে বিশেষ একটি আবেগ যা মানুষের উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলে বিশেষ তৃপ্তিবোধ এবং অনির্বচনীয় আনন্দোচ্ছলতা। এটা স্বিকার্য যে কবিতা সকলের জন্যে নয়, অনেকের জন্যেও নয়। কবিতা কেবল কবিতাবোদ্ধাদের জন্য। শ্রেষ্ঠ কবিতা হলেই তা গণমানুষের কাছে প্রিয়ভাজন হয়ে উঠবে তা কিন্তু নয়। তাই কবিতায় কে কি বলে গেল তা নিয়ে কবির মনোকষ্ট বা রাগের কোন কারণ নাই ।
পোষ্টের তিনটি কবিতার মধ্যে কাব্যগুণের সীমারেখা টানতে গিয়ে অর্থাত এগুলি ‘পদ্য’ না ‘কবিতা’ তা ভাবতে গিয়ে প্রথমেই মনে হল ‘কবিতা’ এবং ‘পদ্য’ অভিন্ন হতে পারে না । 'পদ্য’ এর ভিতর সমাজ-শিক্ষা, লোকশিক্ষা ও মতবাদের অধিষ্ঠানই মুখ্য যা কবিতা থেকে পৃথক; পদ্যের প্রভাব ক্ষণস্থায়ী, পাঠককে দিতে পারে না সম্ভোগানন্দ; পাঠক বড়জোর নিম্নস্তরের তৃপ্তি বোধ করতে পারে। সাংবাদিকী ও প্রচারমর্মী রচনার সঙ্গে কবিতার পার্থক্য মুলত প্রথমোক্ত জিনিসগুলোর ভিতর অভিজ্ঞতা বিশোধিত ভাবনা, প্রতিভার মুক্তি, শুদ্ধি ও সংহতি কিছুই নেই তবে কবিতায় তা আছে। কবিতা ও জীবন একই জিনিসেরই দুরকম উৎসারণ। কবিতার প্রকাশভঙ্গি আসলেই অনেক রকম। কবিতাসৃষ্টি ও কাব্য পাঠ দুইই শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি মনের ব্যাপার; কাজেই পাঠক ও সমালোচকদের উপলব্ধি ও মীমাংসাতেও দেখা যায় বেশ তারতম্য। কারো মীমাংসায় কাব্য একান্তই প্রতীকী, কারো মতে একান্তই বাস্তব ।
যাহোক, শেষ তথা উত্তরাধুনিক কবিতাটিতে মনে হল কবি একটি স্বতন্ত্র কাব্য-ভাষা আবিষ্কার করেছেন । কবিতার গদ্য ভাষারীতি ও প্রকাশ শৈলীটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। কবিতার বাক্য গঠনরীতি এখনো অনেক পাঠকের কাছে হয়তবা তেমন সুপরিচিত নয় । এমনকী মনোযোগী পাঠকের কাছেও তা জটিল প্রতীয়মান হতে পারে। এখানে গদ্য পয়ারে রচিত কবিতার একটি বাক্যের ভেতরে একাধিক গুঢ় অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত অনুবাক্যকে ধারন করার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে । ফলে কবিতায় প্রয়োগকৃত বাক্য দীর্ঘায়িত হয়নি, এবং এর গঠনেও অনুপ্রবেশ করেছেনা কোন জটিলতা। পূর্ণরূপ বাক্য শেষে সেমিকোলন দিয়ে নতুন বাক্য জুড়ে দেয়ায় পরবর্তী বাক্য পূর্ববর্তী বাক্যের বিশেষণ হিসেবেই কাজ করছে। এর ফলে বাক্য দীর্ঘ ও জটিল না হয়ে সহজ রূপই লাভ করছে। কবিতাটি বুঝতেও হচ্ছেনা তেমন কোন অসুবিধা ।এই দৃস্টিকোন হতে বলা যায় কালবিচারে কালান্তরে আধুনিকতা মাত্রই তো উত্তর-আধুনিকতার (পোস্ট-মডার্নিজমের) ফসল। আধুনিকতা পেরিয়ে সময়ান্তরে নব্য আধুনিকতা, যার নাম উত্তরাধুনিকতা। কাব্যের আধুনিকতা বরাবরই কালান্তরের আধুনিকতা, কবিতার চরিত্র বদল নিয়ে আধুনিকতা, উত্তরাধুনিকতা তথা তাকে উত্তর, দক্ষিণ, ডান বা বাম যাই বলি না কেন , তাতে করে কবিতার কাব্যগুণের কোন হের ফের অন্তত আমার কাছে প্রতীয়মান হয়নি।
যদিও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কবিতা বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট ব্যক্তিক বৃত্তে বাঁধা। সেখানে সবাই নিজ নিজ ধারায় আধুনিক। সেখানে কবির হাতে গড়ে ওঠে নিজস্ব শব্দভাণ্ডার অথবা বলা উচিত শব্দ-ব্যবহারের নিজস্ব ভিন্নতা যা একটি বিশেষ অভিনবত্বই বটে । কবিতায় উঠে আসা অনুভূতির সজ্জিত প্রকাশ বা প্রকরণগত আকর্ষণ তৈরির চিত্রকল্প স্থানিক তাৎপর্যেই অর্থবান। এই উত্তরাধুনিক ফরমেটের কবিতাতেও সেরকমই দেখা যায় । তাই নির্দিদ্ধায় চালিয়ে যেতে পারেন উত্তরাধুনিক কবিতা রচনা
প্রয়াশ। অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে বাংলা সাহিত্যের কাব্য ভুবন।
মহাকবির প্রতি অভিনন্দন রইল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ। অসাধারণ। অসাধারণ।
এ ধরণের চমৎকার মন্তব্য শুধু আপনার পক্ষেই সম্ভব। সেজন্যই আপনাকে মিস করি ব্লগে।
কবিতা কোন এক বিশেষ মুহূর্তে কবি মনের সততাপ্রসূত অভিজ্ঞতা ও কল্পান প্রতিভার দৈব সন্তান। কবিতা দৃশ্যত মানুষের অধিগম্য শব্দসমষ্টির বিন্যাস মাত্র হলেও কার্যত তা গভীর সৌন্দর্যের উৎস। কবিতা শব্দের সমষ্টি হলেও মানুষের অনুভুতিতে সৃষ্টি করে বিশেষ একটা রস, সঞ্চারিত করে বিশেষ একটি আবেগ যা মানুষের উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলে বিশেষ তৃপ্তিবোধ এবং অনির্বচনীয় আনন্দোচ্ছলতা। -- কী চমৎকার কথা লিখেছেন। লা জওয়াব।
যাহোক, শেষ তথা উত্তরাধুনিক কবিতাটিতে মনে হল কবি একটি স্বতন্ত্র কাব্য-ভাষা আবিষ্কার করেছেন । --হা হা হা।
আপনার প্রশংসা শুনে তো নিজেকে উত্তরাধুনিক কবিতার দাদাঠাকুর মনে হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে এই কবিতা লেখার মতো উচ্চমার্গীয় অবস্থানে আমি নেই। ফলে এই নাদানের কবিতা লেখাও সম্ভব নয়। সেই মানের প্রতিভা আমার যে আছে সেটাও বিশ্বাস করি না। তারচেয়ে অন্যসব ছাইপাশ নিয়েই থাকি।
অসম্ভব সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ড. এম এ আলী। ভালো থাকুন নিরন্তর। আর ব্লগেও একটু আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন মাঝে মাঝে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ আমি প্রথম হবো।