নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
সকাল ৭টায় বন্ধুর ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় ফোন। ভাবলাম এত সকালে বেদনার্ত কণ্ঠে ফোন, কোনো বিপদ নাকি। যদিও ওরই বউ ডাক্তার। হাড় মড়মড়ি রোগ বউ ঠিক করে দেওয়ার কথা।
এ সব চিন্তা করে একপ্রকার উদ্বিগ্ন হয়েই 'হ্যালো' বলতেই,--বন্ধুর প্রতিউত্তর, ‘চল, তুরস্ক অথবা মিশর ঘুরে আসি’।
আমিও আধো ঘুমে জানালাম, ‘একটু দেরী হবে রে। সকালের নাস্তা করে বের হই’।
এরপর বেশ হাসাহাসি। কাশাকাশি। এবং সিদ্ধান্ত পাক্কা। মিশর। কারণ মেরা পেয়ার কা সওয়াল হ্যায়। মেরা নেফারতিতি। এই মিশর নিয়ে আমার একধরণের ফ্যাসিনেশন রয়েছে। কীভাবে হাজার হাজার বছর আগে এমন উন্নততর চিন্তা তারা করতে পেরেছিল? এই উত্তরাধুনিক বিশ্বও তাদের উদ্ভাবনী চিন্তার নাগাল পেতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রাচীন এই ঐতিহ্যগুলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতিটা কেমন হবে ভাবতেই একটি শিহরণ খেলে যায়?
প্রথমে সিদ্ধান্ত নিলাম ট্যুর অপারেটরদের প্যাকেজে খোঁজ নিতে হবে। নিলাম। তাদের বেশির ভাগের প্যাকেজের সাথে আমাদের প্লান মিলে না। কেউ শুধু কায়রো ও আলেক্সান্দ্রিয়া নিয়ে যাবে। কেউ আবার কায়রো ও লুক্সর। শেষে স্বাধীনভাবে ছুটাছুটির জন্য আমরা নিজেদের ইটিনারারিতেই মিশর যাওয়ার প্লান করলাম।
ছবি: আমাদের ট্যুর প্লান: মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়া টু আবু সিম্বেল। অর্থাৎ ভূ-মধ্যসাগরের তীর থেকে নীল নদের পাড় ধরে সুদানের বর্ডার পর্যন্ত।
সময় নয় থেকে দশদিন। সিদ্ধান্ত নিলাম কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়া, লুক্সর, আসওয়ান ও আবু সিম্বেল যাব। এত জায়গায় দশদিন বেশ কম সময়। আমাদেরও উপায় নেই। আরো একটি দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। তাই এটাই ফিক্সড। এর উপরই আমরা একটা খসড়া দাঁড় করালাম।
কায়রো- চার দিন। আলেক্সান্দ্রিয়া-একদিন। লুক্সর-একদিন। আসওয়ান ও আবু সিম্বেল-দুইদিন। সাথে ট্রেন জার্নি রাত দুই। শেষে আমাদের ট্যুরটা শেষ হয়েছিল এরকমঃ
কায়রোতে প্রথম রাত থেকে পরের দিন পিরামিড দর্শন ও অন্যান্য কাজ, যেমন, সিম কেনা, ট্রেনের টিকিট কাটা ইত্যাদি।
দ্বিতীয়দিন সকালের ট্রেনে চেপে আলেক্সান্দ্রিয়া। সেখানে কুইটবে সিটাডেল, আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী, মন্তাজা গার্ডেন প্যালেস ও বাতিঘর, আমর আল মুসা মসজিদ দর্শন এবং রাতের ট্রেনে আবার কায়রো ফিরে এসে রাত্রিযাপন।
তৃতীয়দিন ইজিপ্সিয়ান/কায়রো মিউজিয়াম, তাহরীর স্কয়ার ও অন্যান্য। রাতে ট্রেনে চেপে আসওয়ান।
চতুর্থদিন আসওয়ান হাই ও লো ড্যাম দর্শন, টেম্পল অব ফিলি, নাইল মিউজিয়াম। রাতে আসওয়ান শহরটা ঘুরে টুরে দেখা। ভোররাতে প্রাইভেট ট্যাক্সিতে চেপে আবু সিম্বেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
পঞ্চম দিন সকাল বেলাটা আবু সিম্বেল টেম্পল, টেম্পল অব নেফারতিতি দেখে দুপুরে আবার আসওয়ানে ফেরত। বিকেলে নীল নদের পানিতে নৌকাতে করে ঘুরাঘুরি, এলেফেন্টাইন গার্ডেন, নুবিয়ান ভিলেজ দর্শন শেষে ফিরে রাতে ঘুম।
ষষ্ঠদিন ভোরে উঠে লুক্সরের উদ্দেশ্যে যাত্রা। হোটেলে ব্যাকপ্যাক রেখে লুক্সর টেম্পল দর্শন, ভ্যালি অব কিংস, ভ্যালি অব কুইন, টেম্পল অব হাটসেপ্সুট, কলোসাই অব মেমনন, মেদিনেত হাবুসহ আরো কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন দর্শন। রাতে লুক্সর শহরটা চক্কর দেওয়া।
সপ্তমদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা জায়ান্ট টেম্পল অব কারনাক দর্শন। এবং রাতে ট্রেনে কায়রো ফেরত।
অষ্টম দিন-নবম দিন ইসলামিক কায়রো দর্শন, সালাদিন সিটাডেল, হোসেন মস্ক, আল-আযহার পার্ক, আল-আযহার মসজিদ, খান-ই-খলিলি বাজার ইত্যাদি। রাতে এটা সেটা কেনাকাটা। নবমদিন রাতে বিদায় রাগিণী।
এবারে আমাদের ভ্রমণে ফিরে আসিঃ
কায়রো বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন যখন শেষ করলাম তখন স্থানীয় সময় রাত দুইটা। ডিসেম্বরের শেষে হওয়ায় হালকা শীত। বুকিং ডটকমে হোটেল বুকড করা ছিল। ওদের এয়ারপোর্ট সাটল পাঠানোর কথা। ভাবছি না পাঠালে আমাদের খবর আছে। প্রচুর পর্যটক দেখলাম ইমিগ্রেশন লাইনে। বিশেষ করে চীন, কোরিয়া, জাপান এই সব দেশেরই বেশি। মাঝে মিশরের টুরিজমে বিপর্যয় ঘটেছিল। আবার নতুন করে পর্যটক আসছে। কিছু ট্যাক্সি ড্রাইভার গাড়ির জন্য ছেঁকে ধরল। আমরা ধন্যবাদ বলে পা বাড়াই। গেট পার হওয়ার আগে রেন্ট-এ-কারের লোকজনের হৈ হৈ করে বলতে শুনলাম ‘ইন্ডিয়ান’, ‘ইন্ডিয়ান’। ভাবখানা এমন যেন ভুখানাঙ্গা ইন্ডিয়ানরা এয়ারপোর্ট থেকে হেঁটেই হোটেলে যাবে। মুচকি হেসে জানালাম ‘বাংলাদেশ’। এবার দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ‘রোহিঙ্গা’, রোহিঙ্গা’ বলতে শুনলাম। মর জ্বালা!!
‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি দেখছি ব্রান্ড হয়ে গেছে বিশ্বে। যদিও পরে জানতে পারি এটি তারা পজিটিভ অর্থেই ব্যবহার করে। মানে আমারা যে এই লাখ লাখ ‘রোহিঙ্গা মুসলিম’দের আশ্রয় দিচ্ছি এর জন্য তারাও কৃতজ্ঞ। যেটা পরে অনেকের কাছ থেকেই জানতে পারি আলাপে।
মূল গেটের বাইরে দেখি আমাদের নেমকার্ড ধরে দাঁড়িয়ে আছে এক সুদর্শন বিশ-বাইশ বছরের যুবক। নাম ইশাম।
মিশরে বিমানবন্দরটি বেশ সুন্দর। এত রাতেও লোকে লোকারণ্য। ডিসেম্বর মাস টুরিজমের পিক সিজন। লাখ লাখ পর্যটক আসছে।
আমরা মিসকিন গোত্রের পর্যটক। সাধ্য না থাকলেও সাধটা ষোলআনা থাকায় ঝোলা নিয়ে এখানে-সেখানে বেরিয়ে পড়া আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। থাক তাঁহারা সুখে ঐ নীলের পাড়ের ফাইভ স্টারে। মনে এই সান্তনা নিয়ে উঠেছি ডাউনটাউনের বাজেট হোটেলে। দুই রুমের ভাড়া ৫৮ ডলার প্রতি রাত। আমাদের গাড়ীচালক ইশাম প্রাচীন এক বিল্ডিং এর সামনে এই গভীর রাতে গাড়ি দাঁড় করাল। এই খানে তো আমরা বুকিং দেই নাই। হোটেল ছিল কায়রো প্যারাডাইজ বুটিক হোটেল। আর এটা দেখছি কায়রো প্যারাডাইজ হোটেল। ইশাম জানালো ভিতরে ঐটাও আছে। মানে গ্রুপ হোটেলের ঐটা আরেকটা শাখা। ছবি: সকালবেলা তোলা আমাদের হোটেলের নিচে কায়রো ডাউনটাউন।
বিল্ডিং এর প্রাচীনত্ব দেখে আমরা একে অপরের দিকে তাকাই। কারুকাজ দেখে মনে হচ্ছে ভূতের বাড়ি।
মনে সন্দেহ নিয়ে গেট দিয়ে ঢুকেই শতবর্ষী দরজাওয়ালা ছোট্ট খোলামেলা লিফটে ব্যাগসহ চাপাচাপি করে প্রবেশ করলাম। দরজা লাগাতে একটু দেরী হওয়ায় বিকট স্বরে সাইরেন বেজে উঠল। তাড়াতাড়ি দরজা লাগালাম। ইশাম কাচের দরজার ওপারে আমাদের অসহায় অবস্থায় মুচকি মুচকি হাসছে। উপরে ছয়তলায় উঠে আসলাম। এরপর সেখানে থেকে করিডোর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে আবার সিড়িভেঙে হেঁটে পাঁচ তলায় নামলাম। এরপর আমাদের হোটেলের রিসেপশন দেখতে পেলাম মাথায় ছোট্ট ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় রেসেপশনিস্টকে। মিষ্টি হেসে জানাল তাদের এই পাশের লিফটে কাজ চলছে বিধায় আমাদের অন্য হোটেলের লিফট দিয়ে উঠানো হয়েছে।
পরে হোটেল মালিকের কাছ থেকে শুনেছি এই বিল্ডিং এর বয়স ১০২ বছর। ব্রিটিশরা বানিয়েছে। কিছুটা ঢাকার কার্জন হলের মতো। ছয়টা ফ্লোরের মধ্যে মাঝের দুইটা ফ্লোর এখনো পরিত্যাক্ত। উপরের এই ফ্লোরগুলো লিজ নিয়ে রিনোভেইট করে হোটেল চালু করে করেছে কিছু উদ্যোগতা। বিল্ডিংগুলো সরকারী সম্পত্তি। এরকম শত শত বিল্ডিং রয়েছে কায়রো ডাউনটাউনে। এই জায়গাটা ইউরোপ স্টাইলে বানানো। নিচের সব রাস্তা ওয়ান ওয়ে।
যাহোক তাড়াতাড়ি চেক ইন করে একগ্লাস জুস খেয়ে রুমে ঢুকেই দিলাম একটি ঘুম। দু একটি হাতির মতো মশাও দেখলাম আক্রমন শানানোর চেষ্টা করছে। হোটেলের ভিতরে বেশ ছিমছাম ও গোছালো। সব রুম বুকড পর্যটকে।
সকালে উঠে হোটেলের সরবরাহকৃত ব্রেকফাস্ট। খেয়েই আমাদের প্রথম টার্গেট পিরামিড। সবার আগে সিম কিনতে হবে। হোটেলের নিচের স্ট্রিটেই সারি সারি দোকানের পসরা। একটু হেঁটে গিয়েই ভোডাফোনের আউটলেট। ১০৫ মিশরীয় পাউন্ডে (এক মিশরীয় পাউন্ড = বাংলাদেশী চার টাকা পঁচাত্তর পয়সা) ২ জিবি ডেটা সহ টকটাইমের সিম কিনলাম। নেটের স্পিড বেশ ভালো। আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক ছাত্র আমাদেরকে এ ব্যাপারে বেশ সাহায্য করেছিল।
ছবি: হোটেল থেকে পিরামিড যাত্রা ম্যাপ। নীল নদ পার হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার যাওয়া লাগে।
এরপর হোটেল থেকে ডানদিকে একটু হেঁটেই আটাবা মেট্রো স্টেশন। ট্যাক্সি কিংবা উবারেও আসা যেত তবে সময় বেশি লাগবে। কায়রো ট্রাফিক জ্যাম ঢাকার মতো না হলেও সময় বাঁচাতে মেট্রোতেই সুবিধা। বিশেষ করে একটি দেশের ভিতরের কালচার জানতে হলে পাবলিকের সাথে মিশতে হলে এর চেয়ে ভালো উপায় আর কি হতে পারে? আমি এটা লাইক করি। মেট্রোতে জন প্রতি পাঁচ পাউন্ডে গিজাতে চলে আসলাম। নীল নদের অপর পাশে গিজা বৃহত্তর কায়রোর অংশ। যদিও মিশরীয়রা আলাদা শহর হিসেবেই দেখে। এখানেই সেই বিখ্যাত পিরামিডগুলো। সেখান থেকে চল্লিশ পাউন্ডে এক ট্যাক্সি ঠিক করে রওয়ানা হলাম পিরামিড দর্শনে। ড্রাইভার আমাদের সাথে একটু চালাকি করার চেষ্টা করেছিল। এইসব নানান ঘটনা নিয়ে 'মিশর কড়চা' নামে একটি সিরিজ লেখার ইচ্ছে রয়েছে।
কায়রোর এ পাশটা বাংলাদেশের সাথে ভালো মিল আছে। যত্রতত্র আবর্জনা। ট্রাফিক জ্যাম। হাউকাউ। চ্যাঁওম্যাঁও। ফুটপাতে বন্ধ করে দোকান। তাই গিজা আর গাজীপুরের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করা মুশকিল।
ট্যাক্সি ড্রাইভার টিকিট কাউন্টারের অদূরে এনে মাল আনলোডের মতো করে আমাদের নেমে দিল। সাথে সাথে রজনীকান্তের ছবির ভিলেনের মতো করে আট দশটা বন্দুক মাথার উপর ধরার মতো কোথা থেকে যেন আচম্বিতে ডজনখানেক উট, গাধা ও খচ্চর এসে হাজির। আমিও উটের মতো লাফ দিয়ে অবলাদের আছ থেকে সরে আসলুম। আমাদেরকে সাথে নিয়ে তারা পিরামিড দেখতে যেতে চায়। এই অবলা প্রাণীদের দুই হাত তুলে পেন্নাম করে বল্লুম মাফ চাই। অবলারা হয়ত মাফ করল কিন্তু এদের সাথে লোকগুলো জোঁকের মতো ঘুর ঘুর করতে শুরু করল। তাড়াতাড়ি করে টিকিট কেটে পদব্রজে রওয়ানা হলাম ফ্যারাওদের গোরস্থানের দিকে। সামান্য দূরত্ব। ব্যাটারা হাজার হাজার বছর আগে একটা কাম করে গেছে এ জিনিস বানিয়ে। মরেও বেঁচে থাকার কত আয়োজন।
জন প্রতি ১৬০ মিশরীয় পাউন্ড (৭৭০ টাকা) টিকিটের মুল্য। আমরা যখন ঢুকছি তখন দুপুর কাত হয়ে গড়িয়ে আধা শোয়া অবস্থায় গেছে। তাই হাতে সময় কম। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগল এ রকম একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আর এর প্রবেশমুখ বেশ সাদামাটা। গরীবের সুন্দরী বউরা কি এভাবেই অবহেলা, অনাদরে ক্লিষ্ট বদনে...।
ইতিমধ্যে এই বিস্ময়কর সৃষ্টি ট্যাক্সিতে বসে থাকা অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হয়েছে। হাজার হাজার বছর আগে কীভাবে এসব বানানো সম্ভব হয়েছিল তা আজো আধুনিক বিশবের বিস্ময়। আমি পিরামিডের বিস্তারিত বর্ণনায় যাচ্ছি না। এ নিয়ে কিছু লিংক নিচে যোগ করে দিব।
ছবি: সামনের বালিময় গোলচত্ত্বর পেরিয়েই স্ফিংস।
ঢুকেই ঝোলা থেকে ক্যামেরাটা বের করে দূর থেকে পটাপট কয়টা ছবি তুলে ফেললুম এই বিস্ময়ের। বয়স্ক সাদা পরীদের একটি বড়সড় দলকে দেখলাম চত্বরের দেয়াল টপকে চলচল চলে গেল। বালির গোলচত্বর টপকে স্ফিংসের মূর্তির সামনে এসে অর্ধেক সিংহ ও অর্ধেক মানবের ছবি তুললাম। এই জায়গা থেকে পেছনের দুইটা পিরামিডের দৃশ্যটা ভাল আসে। ফলে পর্যটকের নানা কসরতের ছবি তোলার প্রতিযোগিতা এখানে। আমরাও ট্রাই করলাম বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ফারাও খুফুর পিরামিডের সাথে ছবি তোলার।
ছবি: স্ফিংসসহ গ্রেট পিরামিড অব গিজা।
ছবি: ওহে, বেলা যে গড়িয়ে যাচ্ছে... তাড়াতাড়ি চল ...আমরাও ছবি তুলবার চাই...
ছবি: স্ফিংসকে বায়ে রেখে দুই গ্রেট পিরামিড। সন্ধ্যার আগে লোকজন নেই বললেই চলে। সকালে এই জায়গাতে ছবি তোলায় মুশকিল।
ছবি: স্ফিংসের পাশে থেকে ছবি। এখানে নানা দেশের ক্লিউপেট্রারা গা এলিয়ে দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছে এই সিংহ পুরুষের।
স্ফিংসের মুখ জীবন্ত হয়ে উঠল ক্যামেরার ঝলকানিতে। এরপর ভাঙাচুরা এক মন্দিরের ভেতর দিয়ে স্ফিংসের খুব কাছে চলে আসলাম। অনেকে এখানে এসে জিরিয়ে নিচ্ছে। বিকেলের সোনা রোদে নীল-সাদা-বাদামী পরীরা তা দিচ্ছে। আমরা ওখান থেকে বাম দিকে মোড় নিয়ে সোজা গ্রেট পিরামিড অব গিজা বা খুফুর পিরামিডের দিকে পদযাত্রা শুরু করলাম। সন্ধার কিছু আগে হওয়ায় হাতে গোনা কয়েকটা লোক তখন পিরামিডমুখি। সবাই দর্শন শেষে বাড়ি ফেরত। আমরা আলসে-কুঁড়ার দল সন্ধ্যার আগে এটি দর্শনে এসেছি। অবশ্য এসে ঠকে নি। এরই মাঝে কিছু উট ও খচ্চরের মালিকেরা আমাদেরকে বিরক্ত করা শুরু করেছে। শেষে না পেরে ২০ পাউন্ড চুক্তিতে কয়েকমিনিটের জন্য আমার ভ্রমণ সঙ্গীরা উটের পিঠে উঠে পড়ল। আমিও ঝটঝট কয়েকটা ছবি তুলে ওদেরকে উট থেকে নামতে বলতেই লাগল ক্যাচাল।
ছবি: গ্রেট পিরামিডের দিকে হাঁটা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গী উট ও খচ্চর।
ছবি: মিশরে উট ও পিরামিড একসাথে গাঁথা।
উটের মালিক চায় আরো সময় থাকুক তারা উঠের পিঠে। সামান্য কিছু পাউন্ড বাড়ায়ে দিলেই হবে। নিজে বসে পড়ছে কিন্তু কিছুতেই ব্যাটা উটকে বসাবে না। শেষে আমাদেরকে অতিরিক্ত বিশ পাউন্ড দিতে হল। এভাবে ট্রিকস করে তারা বেশি বেশি পাউন্ড খসায় পর্যটকদের কাছ থেকে। আমরা টুরিস্ট পুলিশের ভয় দেখিয়ে রক্ষা।
তবে এখানে যে সমস্যাটা হচ্ছে তা হল প্রচুর ঘোড়ার গাড়ি ও উঠের চালক আপনাকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবে। কিছুটা নাছোড়বান্দার মতো। আবার চুক্তি করে গাড়িতে বা উটের পিঠে উঠেও ত্যাঁদড়ের মতো কিছু বেশি ঘোরানোর ধান্ধা করবে এবং বেশি টাকা খসিয়ে নেবে। তাই ভ্রমণে গেলে এ থেকে সাবধান। আমরা আগে থেকে এসব জেনে সতর্ক থেকেও অতিরিক্ত বিশ পাউন্ড দিতে হয়েছিল।
ছবি: সন্ধ্যার আগে সিংহ মানবের দৃশ্য।
যাহোক যেহেতু বিকেলে ঢুকেছিলাম পিরামিড দেখতে তাই পর্যটক কম ছিল। আর সন্ধ্যার আগে আগে বের হওয়ার আগে প্রায় পর্যটক শুন্য। সে সময়টা অপার্থিব। একদিকে সূর্য অস্ত যাচ্ছে পিরামিডের কোল ঘেঁষে অন্য দিকে আমরা শুনছি খট খট খট ঘোড়া ও উটের পায়ের আওয়াজ।
ছবি: সন্ধ্যার সোনাঝরা আলোতে পিরামিড
পিরামিড কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে ৪০ পাউন্ডে একটি উবার করে নীল নদের তীরে চলে আসলাম যেখানে তাহরীর স্কয়ার রয়েছে। এই সেই জায়গা যেখানে মিশরের সব পাবলিক আন্দোলনের সূতিকাগার। রাতের বেলা দেখলাম অনেক মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। একপাশে বিখ্যাত ইজিপ্সিয়ান মিউজিয়াম, অন্য পাশগুলোতে ছড়িয়ে আছে ফাইভ স্টার হোটেল। অদূরেই নীল নদ। চারিদিকে রাস্তা। পাশেই ডাউনটাউন কায়রোর জৌলুস। রূপসী কায়রো।
সেখানে আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে টাটকা ডালিমের জুস (১৫ মিশরীয় পাউন্ড) পান করে হেঁটেই হোটেলের দিকে রওয়ানা হলাম দুইপাশের সারি সারি দোকান দেখতে দেখতে। নানা দেশের নানা বর্ণের পর্যটকে টইটুম্বুর কায়রো তখন।
ছবি: রাতের রূপসী নীল পাড়।
পিরামিড দর্শনের সেরা সময় মনে হয় এটাই। না গরম না শীত। অথচ গরমকালে মিশর ভ্রমণে এসে ইউটিউবে অনেককে সারমেয়দের মতো হাঁপাতে দেখেছি। এবং বিকেল বেলাটা আমার মনে হয় শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ সকাল সব ট্যুর অপারেটররা পঙ্গপালের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে চলে আসে। ফলে ভালো মতো একটি ছবি তোলাও মুশকিল। তাছাড়া সন্ধ্যার সময় পিরামিডের উপর সূর্যের আলোর নাচন দেখার মতো। সাথে মরুভূমির মৃদু বাতাস। আজ এপর্যন্ত…
ট্যুর অপারেটরদের প্যাকেজ বাদে যদি আপনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পর্যটক হতে চান, তাহলে মিশর যাবেন কীভাবে?
পাসপোর্ট নিয়ে ৩৩০০ টাকায় ভিসাটা করে ফেলুন। যে কোনো এয়ারলাইন্সের টিকেট কাটুন। ইকোনোমি রাউন্ড টিকেট ৫০,০০০ টাকার আশেপাশেই। ক্রেডিট কার্ড থাকলে সেটাতে ব্যাংক থেকে ডলার এটাচ করে বুকিং ডটকম কিংবা হোটেল ডটকম ইত্যাদি সাইটে গিয়ে হোটেল বুক করতে পারেন। কিংবা মিশরে গিয়েও হোটেল নিতে পারেন। তবে বুক করে যাওয়ায় বেটার, বিশেষ করে কায়রোতে প্রথমে নামলে। এতে এয়ারপোর্ট সাটল (১৫ ডলার) ব্যবহার করে সহজেই হোটেলে গিয়ে পরে অন্য শহরের হোটেল আস্তে ধীরে বুক করতে পারেন কিংবা উপস্থিত হয়ে চেক ইন করতে পারেন।
কারণ সেখানে ইংরেজি জানা লোকের অভাবে প্রথমেই বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। কিছু বেসিক আরবি ভাষার টার্ম জেনে যেতে পারেন। আর অবশ্যই এক থেকে দশ আরবি সংখ্যাটা জেনে যাবেন। কেন বলছি গেলেই সেটা টের পাবেন।
মোটামুটি মানের হোটেল ভাড়া কায়রোতে বাংলাদেশী টাকায় ১৫০০ থেকে শুরু। যার যেমন বাজেট। আর লুক্সর ও আসওয়ানের হোটেল রেট বেশ কম। বাজেট হোটেল ১০০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যেই। এবং বেশ ভালো। সকালের ব্রেকফাস্ট থাকে। সাথে ওয়াইফাইও ফ্রি। আর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মিশর সেফ বলা চলে। আমাদের মতো বাদামী কালারদের সমস্যা নেই। রাত একটায় রামেসিস ট্রেন স্টেশনে নেমে আমরা পনের মিনিট হেঁটে আমাদের হোটেলে এসেছিলাম গুগল ম্যাপ ধরে। রাস্তায় অনেকেই এভাবে চলছে তখন। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে। খাওয়া-দাওয়া খরচও মোর অর লেস বাংলাদেশের মতোই। পাউরুটি খাওয়ার অভ্যসটা পোক্ত করতে পারেন। না হলে কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্টসে ঝাঁপ দিবেন।
শহর থেকে শহরে প্রথম শ্রেণির সিটে ট্রেনে ভ্রমণও অনেকে সাশ্রয়ী বলা যায়। ট্রেনের সিটও সহজলভ্য যদি দু একদিন আগে কাটতে পারেন। এখানে স্থানীয় কারো সাহায্যে টিকিট কাটতে পারেন। কারণ এই সকল লোকাল ট্রেনে টুরিস্টদের সাধারণত যাতায়াতে টিকিট দিতে চায় না। পর্যটকদের জন্য ওয়াতানিয়া নামে অতি উচ্চ মূল্যের একটি ট্রেন রাতে চলে ঐ টা তারা রেফার করে। জন প্রতি ভাড়া সেখানে ৮০ থেকে ১২০ ডলার। যেখানে এই টাকা দিয়ে স্থানীয়দের ট্রেনে চেপে গোটা মিশর সফর করা যায়। অনেক পর্যটকও তাই করে।
আমরা আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমাদের পরিচিত এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সহায়তায় কায়রো-আলেক্সান্দ্রিয়া-কায়রো (প্রথম শ্রেণী রাউন্ড টিকেট ১৯০ মিশরীয় পাউণ্ড জনপ্রতি) এবং কায়রো-আসওয়ান-লুক্সর-কায়রো (টোটাল ২৩৫+ ৯০ + ১৯০ = ৫১৫ পাউণ্ড জনপ্রতি) ট্রেনের টিকেট বুক করেছিলাম।
আর মিশর ভ্রমণের উপযুক্ত সময় আমার মতে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। কারণ এ সময় দিনের তাপমাত্রা মোটামুটি ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি থাকে। আর রাতে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রী। বাংলাদেশের মতোই। আর গরমকালে গেলে কুত্তার মতো হাঁপাবেন কয়ে দিলুম। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীর উপরে হরহামেশায়।
আর একটি কথা মিশরের এই নিদর্শনগুলোতে প্রবেশ ফি অত্যধিক। ফলে আপনাকে মিনিমাম হাজার পনের টাকা এ জন্য বাজেটে রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কায়রো মিউজিয়ামে প্রবেশ ফি + লাইভ মমি দর্শন ফি মিলে ৩০০ মিশরীয় পাউন্ড মানে প্রায় ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। এরকম সব দর্শনীয় স্থানের ক্ষেত্রেই...। আর কেউ ছাত্র-ছাত্রী হলে আইডি কার্ড নিতে ভুলবেন না। এতে অর্ধেক ডিসকাউন্ট পাবেন। ছবি: বিখ্যাত নীল নদের পাশে কায়রো টাওয়ার। পেছনে একটু হাঁটলেই পৃথিবী বিখ্যাত তাহরীর স্কয়ার।
এরপর দেখা হবে আলেক্সান্দ্রিয়ার পথে-ঘাটে…………
@মিশরীয় পিরামিড
@এখানে জুন আপার পিরামিড নিয়ে চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ
@ফ্যারাও খুফুর সাথে ব্লগার জুনাপু
ব্লগার মধুমিতা পিরামিডের কেচ্ছা কাহিনি শুনিয়েছেন এখানে।
***************************************************************************
আখেনাটেন/২০১৯
ছবি: লেখক।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
আখেনাটেন বলেছেন:
ওখে, ওখে নয়া পাঠক ভায়া। উটের পিঠে উঠিয়া আমিও আপনাকে লক্ষ রাখিলুম কখন আসেন পিরামিড দর্শনে।
শুভেচ্ছা।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো মনের মতোন হলো না।
আরও ছবি দেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭
আখেনাটেন বলেছেন:
বেশি ছবি দিলে লোড হতে দেরী হয় মনে হয়। তারপরও দেখি পরে একসময় যোগ করে দিব।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন পোস্ট। সময় নিয়ে পড়তে হবে।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: পোস্ট ভালোলাগার জন্য কৃতজ্ঞতা নকিব ভাই।
শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকুন।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আখেনাটেন (মমি) মহাশয়ের সাথে দেখা হয়েছে ?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
দোস্ত তো মহা রহস্যমানব। তবে কায়রো মিউজিয়ামে পাথরের কিছু ভাস্কর্য দেখেছি। সাথে উনার গ্রেট গ্রেট দাদাদের মমি দেখেছি। সে গুলো নিয়ে অন্য একটি পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
একটি ছবি কায়রো মিউজিয়ামের অাখেনাটেন গ্যালারীতে...
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
নজসু বলেছেন:
সৈয়দ মুজতবা আলীর নীলনদ আর পিরামিডের দেশ' গল্পটির কথা মনে পড়ে গেলো।
লেখকের ভ্রমণের স্বাদের সাথে রসাত্মক বিষয়ও ছিলো। আপনিও পাঠ করে থাকবেন।
উটের প্রসঙ্গ আসায় মনে হলো, উটের চোখের ওপর মোটরের
হেডলাইট পড়েছিলো বলে ওদের চোখগুলো সবুজ দেখাচ্ছিল।
আর লেখক তাতেই ভুতের চোখ বলে ভুল করেছিলেন।
সময় পাল্টেছে। মানুষ পাল্টেছে। প্রযুক্তি এগিয়ে গেছে।
ফলে, লেখালেখিরও ধরণ-ধারণও পাল্টেছে।
আপনার বর্ণনা ভালো লাগে। মুগ্ধতা।
পরের গল্প শোনার প্রতীক্ষায় রইলাম।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের ভ্রমণ বিষয়ক লেখার অন্যতম প্রবাদপুরুষ। ভ্রমণ লেখাও যে উপাদেয় হতে পারে তা উনি করে দেখিয়েছেন। আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। উনার লেখার লেজ ধরে ঝুলে থেকে কিছু লিখতে পারলেও ধন্য হয়ে যেতাম। কিন্তু আপসোস...
আর এখনকার আমার ভ্রমণ বিষয়ক প্রিয় লেখক মঈনুস সুলতান।
আর হ্যাঁ, সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন তো হবেই।
লেখা ভালো লাগায় অনেক অনেক শুভেচ্ছা ব্লগার নজসু'র জন্য।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
মা.হাসান বলেছেন: অতি উমদা চিজ রচনা করেছেন। ম্যাপ দুটি থাকায় বুঝতে অনেক সুবিধা হলো। মিশরের বাস সার্ভিস কি রকম? আশা করি পরের পরব গুলোতে সিমের বিচি খাবার অভিজ্ঞতা আসবে। টুরিস্টদের মাথায় টুপি পরানোর বিষয়ে এদের অনেক সুনাম শুনেছি, তবে গুলিস্তান ফেরত লোকদের সাথে সুবিধা করতে পারবে ভাবিনি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১
আখেনাটেন বলেছেন:
মিশরের বাস সার্ভিস আমাদের মতোই। তবে এক শহর থেকে আরেক শহরে তাদের ট্রেন সার্ভিস চমৎকার। এটাই বেশি ব্যবহার করে পাবলিক। আর কায়রো বাদে অন্য শহরগুলোতে যেমন, আলেক্সান্দ্রিয়া, লুক্সর, আসওয়ানে দেখলাম পাবলিক পরিবহন হিসেবে আমাদের এখানের বড় মাইক্রোবাসগুলোকে ওরা বাসের পরিবর্তে চালাচ্ছে একপাশে খোলা রেখে।
আশা করি পরের পরব গুলোতে সিমের বিচি খাবার অভিজ্ঞতা আসবে। -- হা হা। ঠিক ধরেছেন।
টুরিস্টদের মাথায় টুপি পরানোর বিষয়ে এদের অনেক সুনাম শুনেছি, তবে গুলিস্তান ফেরত লোকদের সাথে সুবিধা করতে পারবে ভাবিনি। ------ আগে থেকে সতর্ক থাকার পরেও টুপি পরায়ে দিল। বহুৎ খতরনক।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার মা.হাসান।
৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
বড় পোস্ট। কেবল পড়া শুরু করলাম। জানিয়ে গেলাম সেটা।
ধন্যবাদ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় থাকলাম নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে....।
শুভেচ্ছা...
৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
ওমেরা বলেছেন: আহারে —— আজকে যদি নেফারতিতি থাকত আপনাকে দেখে কতই না খুশী হত !!
লিখাটা যদিও একটু বড় তবে সুন্দর ছবি গুলোর জন্য মাফ পেয়ে গেলেন । সোজা ভাষায় বলি বর্ণনা ও ছবি দুটোই ভালো হয়েছে ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। মজা পেলুম আপনার মন্তব্য পড়ে ব্লগার ওমেরা।
লেখা ভালো লাগায় অনেক অনেক শুভকামনা রইল বরফকন্যার জন্য।
৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আখেনাটেন নামটার অর্থ নিশ্চয়ই এক খোদার ইবাদাতকারী?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০১
আখেনাটেন বলেছেন: সরাসরি নয়, তবে উনি এই ব্যাপারে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি বহুঈশ্বর ধারণা থেকে এক ঈশ্বর ধারণার উদ্ভাবক। যেটা এখন আব্রাহামিক ধর্ম (ইহুদি, ক্রিশ্চান, ইসলাম) বলা হচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য শুভকামনা জানবেন ব্লগার মাহমুদুর রহমান।
১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯
আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে।
পরে আসছি সময় নিয়ে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০২
আখেনাটেন বলেছেন: টুল নিয়ে বসে পড়লুম...............অপেক্ষা.................।
শুভেচ্ছা....
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইুরোপ, আমেরিকার টুরিষ্ট চোখে পড়লো?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: প্রচুর।
হোটেলে আমার পাশের রূমেই ছিলেন নেভাদা থেকে আসা বয়স্ক এক দম্পতি। এছাড়া লুক্সরের হোটেলে অনেক ইউরোপীয়ানের সাথে দেখা হয়েছে। তবে চায়না, কোরিয়া, ভারতের লোক বেশি দেখেছি কারণ এই দেশগুলোর মিডলক্লাস শ্রেণির বাড় বাড়ন্ত। সামনের বছরগুলোতে ইনারা গোটা বিশ্বে চষে বেড়াবে...এ ক্ষেত্রে পশ্চিমারা এখন মনে হয় ব্যাকসিটে।
শুভেচ্ছা।
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
জাহিদ অনিক বলেছেন: ভ্রমণের আদ্যোপান্ত---
চমতকার খুব।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৮
আখেনাটেন বলেছেন:
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা কবির জন্য।
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বাহ বাহ! ফারাও মহাশয় দেখি আমাদেরকে ভালোই ভ্রমণ করালেন! সুন্দর সুন্দর ছবি আর বিস্তারিত বর্ণনার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১০
আখেনাটেন বলেছেন: সাথে সম্রাট থাকলে নিশ্চয় আরো মজা হত। সম্রাটে সম্রাটে পিরামিড দর্শন.......
লেখা ও ছবি ভালো লাগায় অাপ্লুত হলুম।
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন।
১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
আখেরে বালুতেই আটকে থাকলেন ? শুধু টেম্পলটাই দেখলেন, প্রেয়সী নেফারতিতির সাথে আমাদের বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রেমালাপ করার মতো দুদন্ড জিরিয়ে এলেন না ?
বিসমিল্লাহ বলে রওয়ানা না দিয়ে, "মেরা পেয়ার কা সওয়াল" বলে রওয়ানা দিয়ে তাকে এতো অবহেলা? সইবেনা- সইবেনা! দেখবেন নেফারতিতি আপনাকে অভিশাপ দেবেই! ফেরাউন সম্রাজ্ঞীর অভিশাপ বলে কথা!
বর্ণনা নীল নদের মতোই চমক লাগিয়ে বয়ে গেছে।
আমরাও পাল তুললুম সে নদীতে, দেখি কোনঘাটে , কোন সোনার গা'য়ে ভেড়ে আমাদের তরী.....................
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: আখেরে বালুতেই আটকে থাকলেন ? শুধু টেম্পলটাই দেখলেন, প্রেয়সী নেফারতিতির সাথে আমাদের বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রেমালাপ করার মতো দুদন্ড জিরিয়ে এলেন না ? ------হা হা হা। আপনি রোমান্টিক আছেন মাইরি........
নেফারতিতির অভিশাপ নিয়েই তো বেচারাকে দুনিয়া থেকে বিদায়...।
নীল নদের পাড় ধরে হাঁটাতে সঙ্গী পেয়ে আপ্লুত হলুম। দ্যাখেন, আবার আমার বেশি বকবকে বিরক্ত হয়ে ল্যাং মেরে আমাকে নীলের পানিতে চুবান যেন না দ্যান....। ডর লাগে।
ট্রেডমার্ক মন্তব্যের জন্য খুশিতে লাফালুম। শুভেচ্ছা।
১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
একদিন আমিও যাবো ।
তবে রোহিঙ্গা শব্দটা ভাল লাগল না । আমাদের নিজেদের একটা পরিচয় আছে । সেটাকে ওরা বিলুপ্ত করে দিচ্ছে । এই সমস্যাটার দ্রুত সমাধান করা উচিত ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: একদিন আমিও যাবো । -- অবশ্যই যাবেন। এই গুলো না দেখে মইরা গেলে আপসোসের সীমা-পরিসীমা থাকবে না। আগাম অভিনন্দন রইল।
'রোহিঙ্গা' এখন অনেক পরিচিত শব্দ বিশ্বে, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশের সাথে জড়িয়ে গেছে এই শব্দ। অনেকে আমাকে রোহিঙ্গা প্লাইট নিয়ে জিজ্ঞেস করেছে। এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করে নি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বর্ণনাও ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। মনে হয়েছে সাথেই ছিলাম। শুভকামনা রইল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: সুজন ভাইয়ের ভালো লাগায় প্রীত হলুম।
ভালোবাসা নিবেন। ভালো থাকুন।
১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৩
ল বলেছেন: টাসা তথ্য বহুল ভ্রমণ কাহিনীতে সাজানো পোস্টে ভালোলাগা।
এত সুন্দর করে বর্ণনা করেন কিভাবে???
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৬
আখেনাটেন বলেছেন:
প্রীত হলুম জেনে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার ল'কে।
১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অপূর্ব ! ছবিগুলির সঙ্গে অসাধারণ লাগলো বর্ণনাটি । ++++
অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন প্রিয় আখেনাটেনভাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম জেনে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা পদাতিক দা'র জন্য।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ভ্রমন কাহিনী বলার স্টাইল দেখে মনে হয় তুমি মিচকা টাইপ পাজীর পাঝাড়া মানুষ!
আরও কি মনে হয় জানো?
তুমি ঢ্যাঙ্গামত লম্বা একজন। কাঁধ দুইটা হ্যাঙ্গার মার্কা চওড়া। ভালোমানুষ সেজে বসে আছো কিন্তু পেটে পেটে ....... হা হা হা থাক আর বললাম !
মিশর সম্পর্কে যা শুনেছি তাতে পৃথিবীর ১০০ম আশ্চর্য্য থাকলেও আমার যাবার সাধ নেই। আর তোমার পোস্ট পড়ে তো লিফট,আবর্জনা,চ্যাও ম্যাও, প্যাও প্যাও। না বাবা কোনোই দরকার নেই ঐ ভূতেদের দেশে!
তাছাড়াও শুনেছি মমিদের প্রেত্মাতারা নাকি ওখানে বসে থাকে।
একটা যদি পাও তো ঘাড় মটকায় খাও!!!!!!!!!
তুমি ঘাড়টা নিয়ে ঠিকঠাক ফিরেছো তো নাকি ভূতেদের দেশ থেকেই লিখছো!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: ( দিলেন তো হাটে হাড়ি ভেঙে.......
আরও কি মনে হয় জানো?
তুমি ঢ্যাঙ্গামত লম্বা একজন। কাঁধ দুইটা হ্যাঙ্গার মার্কা চওড়া। ভালোমানুষ সেজে বসে আছো কিন্তু পেটে পেটে ... ---- পরীক্ষায় 'এফ' গ্রেড নিয়ে পাশ করার জন্য বাসায় পৌঁছে বিরাট ঝাড়ি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। পিঠে চেয়ারের খুরা ভাঙলেও আমাকে দোষ দিতে পারবেক লাই।
মিশর সম্পর্কে যা শুনেছি তাতে পৃথিবীর ১০০ম আশ্চর্য্য থাকলেও আমার যাবার সাধ নেই। --- শুধু বাইরের রূপটাই দেখলেন...আপসোস...নীলের পাড়ে জী এস ভাইয়ের মতো আমার সাথে থাকুন। বেঁচেও কীভাবে মরে যাওয়া যায় সেটা জানবেন...সরি মরেও কীভাবে বেঁচে থাকা যায় মানে মমি হিসেবে থাকা যায়...শিখবেন...
পজিটিভলি ঘাড় মটকা-মটকি ওখান থেকে শিখেও নিতে পারেন গিয়ে। সেটা দেশে কাজে লাগত.....
শুভেচ্ছা...............নিরন্তর............
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯
সোহানী বলেছেন: প্রেমীকার পিকতো পাইলাম না।..........
তবে যাবোই যাবো... আজ অর কাল। আপনার প্রেমিকার মামাতো চাচাতো ভাইবোনদেরকে অলরেডি দেখছি অন্য মিউজিয়ামে কিন্তু স্বয়ং মিশরে যেয়ে দেখার মজাই আলাদা।...........
চমৎকার বর্ননাসহ বাস্তবিক ট্যুরের অভিজ্ঞতায় +++++++++++
(জি এস ভাইয়ের মন্তব্যে সুপার +)
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন:
তবে যাবোই যাবো... আজ অর কাল। আপনার প্রেমিকার মামাতো চাচাতো ভাইবোনদেরকে অলরেডি দেখছি অন্য মিউজিয়ামে কিন্তু স্বয়ং মিশরে যেয়ে দেখার মজাই আলাদা।...... ---- অবশ্যই যাবেন। না গেলেই বরং হতাশ হব। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে কেউ যদি গোটা দুনিয়া হাজার বার চষে বেড়ায় কিন্তু মিশর, গ্রিস, তুরস্ক, ইতালী, চীন ও ভারত এই ছয়টা দেশে না যায়.........আপসোস করে বলব, 'উনারা দুনিয়ার কিছুই দেখে নাই। অান্ধা একখান। এদের চোখে কেউ গুঁড়া মরিচ দেয় না ক্যারে'।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা সোহানীপার জন্য। ভালো থাকুন।
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৪
জুন বলেছেন: আখেনাটেন গত দুদিন ধরে সামুতে প্রবেশ দুয়ার রুদ্ধ
আজ অনেক কায়দা কানুন করে ঢুকতে পেরেছি আর তাতেই আপনার লেখাটি চোখে পরলো। আমার প্রথম প্রশ্ন আপনারা কায়রোতে যেই ভবনে উঠেছিলেন তার নাম কি হালোয়া ভবন?
পরে আবার সময় করে আসছি লেখায়। আমার পোষ্টের লিংক ব্যবহারের জন্য কৃতজ্ঞ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: আমারও একই অবস্থা। শেষে বিকল্প উপায়ে সামুতে প্রবেশ করতে হচ্ছে। কাভা ভাইয়ের লেখা দেখে মনে হচ্ছে কোথাও গিট্টু লেগেছে। অদ্ভুত এক সমাজের অংশ আমরা।
হালোয়া ভবন কিনা তাতো খেয়াল করি নাই। ভবনের নাম একটা ছিল। তবে এরকম অনেক হোটেলই ডাউনটাউনে দেখলাম। আর হোটেলের ভেতর বাইরের কারুকাজ-টারুকাজ দেখে তো ভিমড়ি খাওয়ার দশা। ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল। হোটেল মালিক তাই বলল। অনেক দিন পরিত্যক্ত থাকার পর লিজ নিয়ে এখন নতুন করে চালু হচ্ছে। অামরা থাকার সময়ও কাজ চলছিল।
শুভেচ্ছা জুনাপা।
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
তথ্যবহুল লেখাটাকে চমৎকার ছবিগুলি এক অনন্য বৈশিস্ট্য দিয়েছে। ছবির নীচে কাপশ্যন দেয়াটা খুব ভালো লাগলো। লেখাটা ঝরঝরে মনে হলো, তবুও কেন জানি মনে হলো আপনি লেখাটা কিছুটা স্কুইজ করতে চেয়েছেন। আরও পর্ব দিবেন মনে হয়ে সেজন্য তাইনা.....
পর্যটক মানে যারা ওখানে যেতে চায় তাদের জন্য একটা প্যারা দিয়ে খুব ভালো করেছেন। খরচ বেশ ভালোই পরে মনে হলো। বৌ আন্ডাবাচ্চা নিয়ে গেলে মনে হয় বেশ ভালোই খরচ পরবে। বাজেট দেখতে হবে.........
কোন মিউজিয়ামে যান নি? কোন মিউজিয়ামের ছবি দেখলাম না তো? নাকি আরেকটা পর্বে পাবো?
মিশর নিয়ে কত কত লেখা, গল্প, উপন্যাস আর ছিনেমা দেখেছি যে সেটা গুনে বলা সম্ভব না। তাই বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়লাম দেশীয় আখেনাটেনের মিশর তথা মিশরীয় আখেনাটেনের স্বদেশ ভ্রমন। নিশ্চয় আর কিছু পরের পর্বে পাবো। সেটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম........
প্রিয়তেই থাক, সময় পেলে মাঝে মাঝে পড়তে মন্দ লাগবে না!! ডিফারেন্ট টপিক!!
অফ টপিক: ২ নতুন ব্লগার তো মহা ক্ষ্যাপা আপনার উপর!! আপনার মন্তব্যের স্ট্যাইল বুঝতে পারেনি মনে হ্য়। বড় করে একটা মন্তব্য দিয়েছিলাম ওখানে, আপনার এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়া ভাইয়ের মন্তব্যের লেখা এবং মন্তব্যের ধরনের ব্যাখ্যা করে। শেষমেশ পোস্টই গাপ হয়ে গেছে, আর পুরো কষ্টটাই বিফলে গেল।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল, প্রিয় ভাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
আখেনাটেন বলেছেন: আরও পর্ব দিবেন মনে হয়ে -----------হুম, ঠিক ধরেছেন; কায়রো মিউজিয়াম ও ইসলামিক কায়রো নিয়ে আরো দুটি পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে।
খরচ বেশ ভালোই পরে মনে হলো। --- না না। এয়ার ফেয়ারটাই দেখতে বেশি লাগছে। এছাড়া সবই বাংলাদেশের মতো খরচ। শুধু মিশর ভ্রমণে গেলে আর আগে টিকেট ক্রয় করলে আরো কমে যেতে পারবেন অাশা করি।
কোন মিউজিয়ামে যান নি? কোন মিউজিয়ামের ছবি দেখলাম না তো? নাকি আরেকটা পর্বে পাবো? -- মিশর ভ্রমণ করে মিউজিয়ামে না গেলে তো ভ্রমণই বৃথা। সময় পেলে উনাদেরকে নিয়ে অাসব........যদি আপনাদের মতো নিষ্ঠাবান পাঠক থাকে।
কায়রোর চাইতে অালেক্সান্দ্রিয়া, অাসওয়ান-আবু সিম্বেল ভ্রমণ বেশি এক্সাইটিং ছিল...........
*আর অফটপিক নিয়ে যা বলেছেন.......কিছু মানুষ ব্লগে লগ ইন করেই ফেমাস হতে চায় উল্টাপাল্টা লিখে....অসংলগ্ন কথা বলবে... অথচ মাইল্ড সমালোচনা হজম করার মতোও...ইনারা আসবে-যাবে......ব্লগ ব্লগের জায়গায় থাকবে......ইগনোর দেম........
আর আপনার জন্যও একটি বিশেষ তথ্য... ঐ দুই নিকের মালিক একই.... । ....ইনারা লিখে সমাজ উদ্ধার করবে....
শুভকামনা আপনার জন্য ব্লগার নীল আকাশ।
শীঘ্রই আপনার ক্লিউপেট্রাকে নিয়ে নেফারতিতির দেশ ঘুরে আসুন এই কামনা।
২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: আখেনাটেন কে নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ আছে। এই ভদ্রলোক যথেষ্ট রহস্য নিয়ে বসে আছে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
আখেনাটেন বলেছেন:
ফ্যারাও আখেনাটেনকে নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইজিপটোলজিস্টদের অাগ্রহের কোনো সময়েই কম ছিল না। এটি উত্তরোত্তর বাড়ছেই। এই একবিংশ শতাব্দীতেও এই ব্যাটার রহস্য উৎঘাটনে শত রাত কাবার করছেন গবেষকরা। আশা করি শীঘ্রই এর পর্দা উন্মোচন হবে......
রহস্যময় মন্তব্যের জন্য সাদা গোলাপের শুভেচ্ছা ব্লগার রানার ব্লগের জন্য। ভালো থাকুন।
২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
আরোগ্য বলেছেন: আপনার সাথে আমিও ফ্রিতে পিরামিড ঘুরে নিলাম।
সূর্যাস্তের দৃশ্যটা দারুণ ছিলো।
আলেকজান্দ্রিয়া পথে ঘাটে হাটার অপেক্ষায় রইলুম।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন: সময় ও সুযোগ হলে বাস্তবেই একদিন দেখে আসবেন অাশা করি।
ছবি ভালোলাগায় খুশি হলুম।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার আরোগ্যের জন্য।
২৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বন্ধুর প্রতিউত্তর, ‘চল, তুরস্ক অথবা মিশর ঘুরে আসি’।
আমিও আধো ঘুমে জানালাম, ‘একটু দেরী হবে রে। সকালের নাস্তা করে বের হই’।
আপনার এই পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম। অপেক্ষার ফল মিঠা হওয়ার কথা। হয়েছেও তাই।
পোষ্ট যেহেতু আরো হবে, কথাও হবে। আপাততঃ কিছু প্রশ্ন। কোনোটার উত্তর দিতে না চাইলে ইগনোর করতে পারেন। আগেই জানিয়ে রাখি, আপনার পুরো ভ্রমনে আরো প্রশ্ন করবো।
১। ইজিপ্টে কোন দেশ থেকে গিয়েছেন? বাংলাদেশ নাকি অন্য কোন দেশ?
২। আপনারা কতোজন ছিলেন? সোলো ট্রাভেলারের জন্য রাতে ঘোরাঘুরি করাটা কতোটা নিরাপদ?
৩। ভাষাগত কোন সমস্যা হয়নি? সাধারনভাবে ইংলিশ কেমন বোঝে?
৪। আবু সিম্বেল থেকে কায়রো ফেরত না এসে আসওয়ান থেকেই তো ফিরতে পারতেন; মানে ওখানেও তো একটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট আছে। আবার কায়রো আসলেন কেন?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। কাঠখোট্টা জীবনে কিছুটা ফানি বিষয় না ঘটলে ক্যামন যেন সব পানসে পানসে লাগে।
১। বাংলাদেশ
২। একদম নিরাপদ মনে হয়েছে। মধ্যরাতের পরেও অনেক ট্যুরিস্টকে রাস্তার উপর বসে হুকা টানতে দেখেছি, চলতে দেখেছি। অামাদের কয়দিনের ভ্রমণে বেশ কয়টা মেয়ে সলো ট্টাভেলারও পেয়েছি। একজনের বয়স আবার ৭০'র কাছাকাছি। জার্মান।
৩। ব্যাপক সমস্যা। বিশেষ করে সলো ট্রাভেলিং করলে কায়রোর বাইরের শহরগুলোতে। সেজন্য বেসিক কিছু আরবি টার্ম শিখে নিতে পারলে কিছুটা সমস্যা দূরীভূত হবে।
৪। আমরা আসওয়ান থেকে লুক্সরে এসেছিলাম ট্রেনে এবং সেখান থেকে কায়রো। কায়রোতে তখনও অনেক কিছু দেখার বাকী ছিল। সেভাবেই ট্যুর প্লান করা ছিল। আর ঐ সব ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট শুধুমাত্র চার্টার্ড প্লেনের ক্ষেত্রে মনে হয়।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
২৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজের দেশটাই ঠিকমতো দেখতে পারলাম না! আফসোস! গরিব হওয়ার জ্বালা অনেক!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১০
আখেনাটেন বলেছেন: নিজের উপর আস্থা হারাবেন না। পরিশ্রম করে যান। দেখবেন ঠিকই একদিন সুযোগ চলে অাসছে।
শুভকামনা আপনার জন্য।
২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
গরল বলেছেন: পোষ্ট টা পড়ে মিশর যাওয়ার ইচ্ছাটা আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: তাহলে তো পোস্ট দেওয়া স্বার্থক। তবে আমার কাছে কায়রোর চাইতেও অন্য শহরগুলো বেশি ভালো লেগেছে। বেড়াতে গেলে নিশ্চয় ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ ব্লগার গড়ল। ভালো থাকুন। আর শীঘ্রই গিয়ে আমাদের সাথে পিরামিডের ছবি শেয়ার করুন।
২৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: খুব লম্বা পোস্ট!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। লম্বা ভ্রমণের তো লম্বা পোস্টই হবে।
শুভেচ্ছা নিবেন ব্লগার হাসিব।
২৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০
রানার ব্লগ বলেছেন: মজার ব্যাপার কি জানেন কিছু কিছু অতি আশাবাদী লোক জন বলে থাকেন আখেনাটেন এলিয়েন ও মানুষের সংকর, এর কারন তার মাথার ধরন, পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত আকৃতির মাথা আর কার নাই। সম্ভাবত তিনি নিজেও এই আদ্ভুত দেখতে মাথা নিয়ে বিব্ররত ছিলেন তাই খুব সযত্নে ঢেকে রাখতেন। আর এই আখেনাটেনের এর সমাধি যতটা বৈজ্ঞানিক উপায় নিখুত ভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল এমন টা অন্য কার ক্ষেত্রে দেখা যায় নাই। প্রত্যেক রাজাদের সমাধি ক্ষেত্রে কিছু কল্প চিত্র আঁকা থাকে যাতে তারা জীবিত হয়ে তাদের অবস্থান বুঝতে পারে সেই মোতাবেক সকল রাজাদের সমাধিতে তাদের রাজাতন্ত্র ও ওই বিষয়ে চিত্র আঁকা থাক্ত একমাত্র আখেনাটেনের সমাধিতে অন্য কিছু পাওয়া গিয়েছিল যা অন্যান্য রাজাদের সাথে মেলে না, যতটা না মেলে মহাকাশ বিজ্ঞানের সাথে। ব্যটা আস্ত একটা রহস্যের ডিম।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এ ব্যাটা বিরাট এক রহস্য সৃষ্টি করে গেছে। যদিও বলা হচ্ছে কেভি৫৫ চেম্বারে তার মমি পাওয়া গেছে, কিন্তু এখনও কেউ শতভাগ নিশ্চিত হতে পারে নি সেটাই উনার মমির অংশ। এ নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রয়েছে।
আমি লুক্সরের ভ্যালি অব কিংসে উনার সেই কেভি৫৫ চেম্বারে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম। হাজারো হলেও দোস্ত আমার। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি ছিলগালা করা ছিল। ফলে রামেসিস ৩, ৯, ১৪ এর চেম্বারে প্রবেশ করে ফিরে এসেছিলাম। আর পাহাড়ের ভিতরের সমাধিগুলোর যে চিত্রগুলোর কথা বলেছেন তা ঠিক। তবে এগুলোর বেশির ভাগই এখন উঠে গেছে, যাচ্ছে। যদিও যত্নের অবহেলা নেই ইজিপ্শিয়ানদের। আমার তোলা একটি সমাধির ভেতরের চিত্র:
৩০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০
করুণাধারা বলেছেন: কদিন সামুতে ঢুকতে পারিনি দেখে এই চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী আগে পড়া হয়নি! বর্ণনা ভালো, ছবিগুলো খুব ভালো। সবচেয়ে ভালো লেগেছে পোস্টের শেষে ভ্রমনেচ্ছুদের জন্য দেয়া খরচের হিসাব দেখে। ভালো একটা ধারণা পাওয়া গেল। মনে হচ্ছে আমাদের কক্সবাজারের হোটেলে এর চেয়ে বেশি খরচ হয়! খাবারের কোন বর্ণনা দেন নি, ভালো হতো দিলে।
হাড় মড়মড়ি রোগ.......... পড়ে পরশুরামকে মনে পড়ল অনেকদিন পর!!!
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা.......
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হলুম আপনার মন্তব্য পড়ে করুণাধারাপা।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে পোস্টের শেষে ভ্রমনেচ্ছুদের জন্য দেয়া খরচের হিসাব দেখে। -- এটা দেওয়ার কারণ, অনেকেই আছে বিদেশ ভ্রমণ মানেই ভারত-নেপাল-থাইল্যান্ড বোঝে। মনে করে অন্য দেশ ভ্রমণ অনেক খরচের হ্যাপা। অথচ সামান্য বেশি খরচেই এইসব দেশ ঘুরে আসা যায় অনায়াসেই। সাথে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়াও যায়।
মনে হচ্ছে আমাদের কক্সবাজারের হোটেলে এর চেয়ে বেশি খরচ হয়! ---অবশ্যই। সাথে পাওয়া যায় অন্যান্য সুবিধা।
আর খাবারের বর্ণনা অন্য পর্বগুলোতে আশা করি কিছু দেওয়া যাবে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপার জন্য।
৩১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পৃথিবীর বাঘা বাঘা সব ঈজিপ্টোলজিস্টদের ঘুম হারাম করা রহস্যময়ী রমণী নেফারতিতির দেশে চমকপ্রদ ভ্রমন কাহিনী পাঠে ও ছবিদৃশ্যে মুগ্ধ হলাম । শুনেছি নেফারতিতির মত সুন্দরী নারীর আগমন মিশরে নাকি ঘটেনি। দীর্ঘদিন পর আখেনআতেন এর সাথে নিশ্চয়ই তার অনেক স্মৃতিময় সময় কেটেছে , সেগুলির বিষদ বিবরণ শুনতে পারলে ভাল লাগত । জার্মান প্রত্নতাত্বিক গবেষকদের দ্বারা খুঁজে পাওয়া অপুর্ব সুন্দর কাদামাটির একটি রেলিক থেকেই যেখানে নেফারতিতি সস্পর্কে বিশ্ববাসী এত কিছু জানতে পারছে তখন ভাবছিলাম এযুগের আখেনটান তার প্রেয়সির জীবনের কত না জানা অধ্যায়ের কথাই না জানি তুলে ধরেন এ পোষ্টের লেখাতে । শুনেছি এই রাজারাণী দম্পতি (আখেনাতেন-নেফারতিতি) সে সময়কার প্রাচীন মিশরীয়দের নিজেদের পুরোনো ধর্ম ত্যাগ করে নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন । ঐ নতুন ধর্মের বিস্তারিত কিছু তথ্যচিত্র মিশর ভ্রমনকালে উঠিয়ে আনতে পারলে আমারা আরো অনেক কিছু জানতে পারতাম। আশা করছি পরের পর্বে আরো অনেক চমকপ্রদ তথ্যমালা উঠে আসবে।
আরো একটি কথা , ঠাকুর মার ঝুলি ও দাদা মশায়ের থলে নামক বিখ্যাত দুটি রূপকথা সমৃদ্ধ গল্পের বই এ সেই ছোটবেলায় কবে পঢ়েছিলাম রাণীর হার মুরমুরী বেরাম হয়েছে , সতীনের ছেলেদের গায়ের রক্ত না দিলে নাকি তার রোগ ভাল হবেনা .. যাহোক, অনেকদিন পরে আপনার এ লেখাটিতে এই রোগটির কথা উঠে আসায় আমায় আমার ভাবনাকেও নিয়ে গেছে অনেক পিছনে , ভাবছি ফারাও রানী নেফারতিতিরও কি এ রোগ ছিল নাকি !!!!!
তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: অালী ভাইয়ের ট্রেডমার্ক মন্তব্যে ভীষণ খুশি হলুম।
নেফারতিতিরে নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছে রয়েছে।
ঐ নতুন ধর্মের বিস্তারিত কিছু তথ্যচিত্র মিশর ভ্রমনকালে উঠিয়ে আনতে পারলে আমারা আরো অনেক কিছু জানতে পারতাম। --------আখেনাটেনের সম্পর্কে একটি একক পোস্টই মনে হয় লিখতে হবে।
ভাবছি ফারাও রানী নেফারতিতিরও কি এ রোগ ছিল নাকি !!! ----হা হা হা। আপনি রোমান্টিক আছেন মাইরি। মনে হচ্ছে কম্পিউটেড টমোগ্রাফি কিংবা টেরাহার্টজ ইমেজিং করতে হবে সত্যিই এ রোগ ছিল কিনা মহারাণীর।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলায় মিশর বা পিরামিড বা এর লিজেন্ডদের নিয়ে ভাল কোন বই নাই, যা আছে সব ইংরাজিতে আর দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি ইংরাজিতে দুগ্ধ শিশু। ভালই হয় আপনি যদি লেখেন অনেক কিছু জানা যাবে। অপেক্ষায় থাকলাম। আমি ওই সময়কার এক খানা ধর্ম গ্রন্থ একটি ওয়েবসাইট থেকে নামিয়েছিলাম পরে তা গুগুল ট্রান্সেলেটরের মাধ্যমে ট্রান্সলেট করে দেখলাম এমনেতেই গ্রন্থ খানা দুর্বোধ্য তার উপর অদ্ভুত বাংলায় তা আর দুর্বোধ্য।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: আরে, নাহ.....এত ডিটেইলস কি আমার মতো নাদান পারিন্দার পক্ষে লেখা সম্ভব। তাছাড়া বড় লেখা অনলাইন-অফলাইন কোথাও কেউ পড়তে চায় না। তারপরও যতটুকু পারা যায় লিখব সময় পেলেই। কথা দিলুম।
ইজিপ্টের উপর লেখা হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের লেখাগুলো পড়ে এক ধরণের ঘোরলাগা কাজ করত অল্প বয়সে। সেই থেকেই মিশরীয় সভ্যতার প্রতি জানার অাগ্রহটা সীমাহীন.......।
আপনিও উনার লেখা পড়তে পারেন। ফিকশন হলেও নিশ্চয় মজা পাবেন। সেবা প্রকাশনীর বাংলায় অনুবাদগুলো দেখতে পারেন। আমার অন্যতম ফেবারিট একটি বই হ্যাগার্ডের 'মর্নিং স্টার'।
৩৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ বাহ !!
এ যে দেখছি আপনার নেফারতিতি র কাছে যাবার আদ্যপান্ত; দারুণ ভ্রমণ !!
অপেক্ষা পরবর্তী পর্বের।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
আখেনাটেন বলেছেন:
নিজেদের নেফারতিতির কাছে যাওয়ার জন্য সক্কলে আদ্যপান্তই টেরাই করে। ভাইজানরে জিগাতে পারেন....ভুল কী ঠিক? ভুল বললে নিশ্চয় আমার চাকরি থাকবে না।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা মনিরা'পার জন্য।
৩৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
রানার ব্লগ বলেছেন: সেবার সাথে এখন যতটুকু যোগাযোগ আছে তা ওই হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের জন্য। আগে আমাকে আমার বন্ধুরা কখন কিশর কখন মাসুদ রানা কখন সদর ঘাটের আধ মরা ঘোড়া দেখিয়ে বলতো ওই যে তোর ঘোড়া যায়। হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের সেবা দারা অনুবাদকৃত সব বই আমি পড়ে ফেলেছি। মাসুদ রানা তেও এই ব্যাপারে কিছু লেখা আছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি তো দেখছি তাহলে আমার গুরুমশাই। পেন্নাম।
...সদর ঘাটের আধ মরা ঘোড়া দেখিয়ে বলতো ওই যে তোর ঘোড়া যায়-----হা হা হা। রসিক আছেন মাইরি!
এক সময় সেবা'র পাঁড় ভক্ত ছিলাম। রাত-দিন ধ্বংস করেছি দুই হাতে পেপারব্যাক ধরে রেখে। কি সব দিন!!! এখন নন-ফিকশন টানে বেশি। সময় ও বয়সের সাথে সাথে মানুষের পঠন-পাঠনেও বেশ পরিবর্তন আসে মনে হয়। নিজে সেটা টের পাচ্ছি।
৩৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
সামিয়া বলেছেন: বাহ! দারুন তো --------
অসাধারণ পোস্ট ।।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
আখেনাটেন বলেছেন:
পোস্ট ভালো লাগায় খুশি হলুম।
শুভেচ্ছা নিবেন।
৩৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৫
সুমন কর বলেছেন: গতকাল অর্ধেক পড়েছিলাম, এখন পুরোটা পড়লাম। বিস্তারিত লেখায় পড়তে ভালো লেগেছে। কখনো যাওয়া হবে না, তাই আপনাদের বর্ণনাতে অানন্দ পাই। +।
তবে কায়রো'র পাশটা বাংলাদেশের সাথে মিল আছে, শুনে খারাপ লাগল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: নিশ্চয় আপনারও একদিন সময় ও সুযোগ আসবে এই কামনা করি। 'ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়' বলে একটা কথা আছে না।
হ্যাঁ, কায়রোর ওপাশ মানে গিজা শহরটা অনেকটাই বাংলাদেশের সাথে মিল আছে। তারপরও অনেক অনেক এগিয়ে তারা। মিশরের অনেকের সাথে কথা হয়েছে। মানুষ অনেকটা ভীত মন খুলে কথা বলাতে। মিলিটারি সিসি শাসিত মিশরে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ কমে গেছে।
কেউ বললে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। মত প্রকাশ অনেক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে একপাশে দারিদ্রতা বাড়ছে, আরেকপাশে গড়ে উঠছে পশ্চিমা স্টাইলের বাড়িঘর। মিলিটারীরা এখানে রাজা-বাদশার মতো লাইফ লিড করে। আলেক্সান্দ্রিয়াতে ভূ-মধ্যসাগরের তীরে এদের সারি সারি অবকাশ কেন্দ্র। বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব উনাদের দখলে। অদ্ভুত এক অবস্থা!! যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ের ধারা ব্যহত হয়ে এখন নাজুক। অথচ ডাউন-টাউন কায়রোসহ কিছু এলাকা কিংবা আলেক্সান্দ্রিয়ার পশ এলাকাগুলো দেখে মনে হতে পারে ইউরোপীয়ান কোনো শহর।
আমাদের মতোই আয়-বৈষম্য প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে সেখানে। একটি সম্ভাবনাময় দেশ কীভাবে অন্ধকারের পতিত হয় পাকিস্তান ও মিশর তার উদাহরণ। দুটোই মিলিটারীরা সামনে কিংবা পিছনে থেকে নিয়ন্ত্রন করছে...ধর্মীয় গোঁড়ামীর বীজ এরাই গেঁথে দিয়েছে...নন-স্টেট এ্যাকটর হিসেবে। বাংলাদেশের এ থেকে শেখা উচিত...যাদের যেখানে থাকা দরকার সেখানেই থাকা বা রাখা উচিত। ব্যতিক্রম হলেই সমস্যা...আমাদের দেশে আমরা কি কিছু টের পাচ্ছি..............?
অনেক অনেকে শুভেচ্ছা কবি সুমন কর। ভালো থাকুন।
৩৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
নীলপরি বলেছেন: চোখ জোড়ানো , মন ভরানো পোষ্ট ।
শুভকামনা
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০
আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হলুম শুনে ব্লগার নীলপরি।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা রইল।
৩৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ভালোই লাগল পড়ে নিলাম। স্বপ্ন মিশর যাব।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: স্বপ্ন মিশর যাব। ---- অবশ্যই যাবেন। দুনিয়ার আর কোথাও যান বা না-যান অন্তত: মিশর, গ্রিস, তুরস্ক, ইতালি, চীন ও ভারত এই ছয়টি দেশকে সামনে রাখবেন। যদি আপনার সত্যিকারের একটি হৃদয় থাকে। এই দেশগুলোর সবকিছুই আসল, বাকিগুলোর সব ফেইক? এখন আপনিই ভাবুন--আপনি আসল নাকি নকলে বিশ্বাসী।
শুভেচ্ছা সুন্দর মন্তব্যের জন্য ব্লগার হাসিব।
৩৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩
রানার ব্লগ বলেছেন: পেন্নাম !!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
আখেনাটেন বলেছেন: সাধু!!! সাধু!!!!
৪০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মোট তিনবার পড়া হল পোস্টখানি। প্রতিবার পড়ি আর মুগ্ধ হই, কবে যাব মিশর... আর তুরস্ক। বহুদিনের ইচ্ছে এই দুই দেশ ভ্রমণের। আল্লাহ চাহে তো কোন একদিন যাবই যাব, ইনশাআল্লাহ।
পোস্ট প্রসঙ্গে আর কি বলব, ঝরঝরে বর্ণনা, চমৎকার সব ছবি সাথে ক্যাপশন, শেষে আগামীর ভ্রমণকারীদের জন্য গাইড লাইন। এককথায় পরিপূর্ণ ভ্রমণ পোস্ট। ইস... আগের মত যদি ভ্রমণ সংকলন করতাম, এই পোস্ট নিয়ে কি চমৎকার একটা রিভিউ না লেখা হত!!! যদিও এখন সারামাসে খুব একটা ভ্রমণ পোস্ট আসে না সামুর আঙিনায়। এই মাসে হাতে অবসর সময় থাকায় সারা মাসের প্রতিদিন পোস্টকৃত সকল লেখায় চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম। খুব হতাশ হয়েছি ভ্রমণ পোস্টের খরা দেখে, সাথে আগে যারা নিয়মিত ভ্রমণ পোস্ট দিত, সেসব ব্লগারদের বেশীরভাগ অনিয়মিত বর্তমানে। আশা করি, সময় সুযোগ হলে মিশর ভ্রমণ নিয়ে বেশ কিছু পর্ব পাওয়া যাবে আপনার কাছ থেকে।
ভবিষ্যতের জন্য প্রিয়তে তুলে রাখলাম।
ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা সতত।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: আমি মনে করেছিলাম আপনি ইতিমধ্যে সেখানে ঘুরে এসেছেন। আমার লেখা ভ্রমণ পোস্ট ভ্রমণ গুরুকে উৎসাহিত করেছে জেনে শ্লাঘা বোধ করলুম জনাব।
আপনি নিজেও ইদানিং আর আপনার ট্রেডমার্ক ভ্রমণ পোস্টগুলো দিচ্ছেন না। আমিও যেখানে যেতে ইচ্ছুক সেই জায়গার ভ্রমণ পোস্টগুলো বার বার পড়ে দেখার চেষ্টা করি। এতে আগেই একটি ধারণা পাওয়া যায় জায়গা সম্পর্কে।
সামুতে এখন অনেক কিছুরই খরা চলছে এক অপেশাদার লোকের খামখেয়ালীতে। হতাশা কাজ করছে আমাদের মতো অ্যামেচার লিখিয়েদের, যারা এটিকে জীবনের চলতি পথের খেরো খাতা হিসেবে বিবেচনা করে ছাঁইপাশ লিখে যাচ্ছি।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
৪১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি মূলত গত পাঁচ বছরে শুধু বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছি। মাঝে একবার নেপাল গিয়েছিলাম। তবে এই বছরের শেষ নাগাদ ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশগুলো ভ্রমণ করার তীব্র ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, সাধ এবং সাধ্যের কতটুকু সমন্বয় করা যায়।
পুরাতন ঢাকার করুন পরিস্থিতি আমাকে ভ্রমণ পোস্ট থেকে বিচ্যুত করেছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে ফের ভারত ভ্রমণের লেখা আবার শুরু করবো।
গোপনে একটা কথা বলি, আমি কিন্তু এক চুনোপুঁটি টুরিস্ট; কিন্তু সবাই ভাবে আমি এক মহারথী... এমনকি আপনিও! বোকা মানুষ কিন্তু সবাইকে বোকা বানাতে পারে
০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ইচ্ছা শীঘ্রই পূর্ণ হোক এই কামনা।
শুরু করুন। এগুলোই অনলাইনের সম্পদ হয়ে থাকবে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ জানতে পারবে অনেক কিছু।
সকলেই বলবে আপনি ব্লগের মহারথী ভ্রমণকারীই, আমাদের গুরু। আমরা তো কেবল করলাম শুরু। বোকা মানুষ বেশি চালাক হওয়া ভালা না।
শুভকামনা নিরন্তর।
৪২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: #বাংলাদেশ এর স্থলে #বাংলাদেশ এবং ভারত হবে
০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক আছে।
৪৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
নয়া পাঠক বলেছেন: নেফারতিতি, পিরামিড, ফারাও, মিশর সেই ছোট্টবেলা থেকেই আমার আগ্রহের একটি বিষয়। ফলে অনেক যায়গাতেই অনেকে ভ্রমণকাহিনী বা অনেক গল্প, ছবি এসব দেখা হয়ে গিয়েছে। তবে আপনার বর্ণনা আর ছবি আরও একবার ভার্চুয়ালি আমাকে আপনার ভ্রমণসঙ্গি হতে বাধ্য করল। সিনেমাটি অনেক ভালো লাগলো।
তবে শায়মাপু-কে ঘাড় মটকাবার পদ্ধদি শেখাবার কোন দরকার ছিলো বলে মনে হয় না। তিনি এমনিতেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।
১৪ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: সময় ও সুযোগ মতো একদিন ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন ক্লিউপেট্রার দেশে। ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হবেই নয়া পাঠক।
তবে শায়মাপু-কে ঘাড় মটকাবার পদ্ধদি শেখাবার কোন দরকার ছিলো বলে মনে হয় না। তিনি এমনিতেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। --- তা আর বলতে! পেত্নীরা থুক্কু পরীরা ঘাড় মটকা-মটকিতে অবশ্য বেশ পারদর্শী শুনেছি।
৪৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জায়গাটা তো মনে হলো- মরুভূমি।
সুযোগ পেলে কোন একদিন দেখে আসতে হবে।
পোস্টে এ প্লাস।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
আখেনাটেন বলেছেন: অবশ্যই ঘুরে আসবেন এই ঐতিহাসিক জায়গা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
ভালো থাকুন।
৪৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আখেনাতেন এর আবার টিকিট, সিম লাগে নাকি
ভালো লাগলো
০৩ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
আখেনাটেন বলেছেন: .....সম্রাট মানুষের কাতারে নেমে এসেছে তো তাই লাগে!!
শুভকামনা জুরাসিক বার্ডকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
নয়া পাঠক বলেছেন: কিছুটা পড়ে আপ্লুত হয়ে শোকেসে সাজিয়ে রেখে দিলুম, পড়ে সময় নিয়ে সিনেমাটি দেখিব বলিয়া।