নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৎকাল কটকচ্চ-২: ভারতীয় নূপুরের উগ্র ঝনঝনানি ও B-Y-C-O-T-T বাই ভাসুডেভা কুটুম্বাকাম!!!

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪


সাদাত হাসান মান্টো। যাঁরা একটু-আধটু সাহিত্য-টায়িত্য গলাধঃকরণ করতে অভ্যস্ত-টভ্যস্ত, তাঁরা নিশ্চয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা এই গল্পকারের নাম গাত্রকন্ডূয়ন করে থাকবেন। ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা নস্ত্রাদামুস হরেক পদের ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন ষোল শতকে, যার প্রতিফলন একবিংশ শতকেও দৃশ্যগোচর হচ্ছে। ঠিক তেমনই মি: মান্টোও ৫০’র দশকের শুরুর দিকে একটি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন উনার আলোচিত ‘Letters to Uncle Sam’-এর ১৯৫৪ সালে লেখা এক প্রবন্ধে।

তিনি লিখেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র "অবশ্যই পাকিস্তানের সাথে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি করবে কারণ আপনি (পাকিস্তান) বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি সালতানাতের অখণ্ডতা সম্পর্কে গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন এবং কেন নয়, কারণ আমাদের মোল্লারা রাশিয়ার কমিউনিজমের সেরা প্রতিষেধক। যদি (যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃক) সামরিক সাহায্য প্রবাহ শুরু হয়, তাহলে মোল্লাদের কাছে অস্ত্রও যোগান দেয়া শুরু হবে।"

ভাবুন, ৫০’র তাঁর ঐ বাণী পাকিস্তানিরা কীভাবে শতভাগ প্রতিফলন ঘটিয়েছে আশির দশক (আফগান-রুশ যুদ্ধ) থেকে। ফলাফল। এখন পাকি মোল্লারা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে দূরবর্তী কাঁঠালগাছের পাতা চিবানো সীমানার ওপারের আরেক উগ্র গেরুয়া টিকিধারী মোল্লার লম্ফঝম্ফ দেখে দাঁত কেলিয়ে হাসছে। ভাবছে। গেরুয়ারাও আমাদের লাইনেই আসছে। এবং সত্যিই তাঁরা আসছে। কারা এই গেরুয়া? তাদের নূপুরের কর্কশ ঝনঝনানিই এবার শুনব। কারণ পাকি মোল্লারা এখন ‘গন কেইস’। নয়া খাউজানিযুক্ত পাগল আমদানী হলে পুরান চুলকানিযুক্ত পাগলের নর্তন-কুর্দন আর কে দেখতে বা শুনতে চায়? বিশেষ করে, যখন বিশ্বের সামাজিক পরিবর্তনগুলো অগাস্ট কোঁৎ-এর বলে যাওয়া ‘সামাজিক পরিবর্তন ধীর গতি’র সেই বাণীকে ঝেটিয়ে বিদায় করে ‘সিডর’ বেগে সমাজের পরিবর্তন ঘটছে দুই ডিজিটের কারসাজিতে।



“ভারতীয় নূপুরের উগ্র ঝনঝনানি”- আপনি যদি কুম্ভকর্ণের ঘুম দিয়ে না থাকেন তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটা কীসের কর্কশ ঝনঝনানি। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স-ও যে অমানুষকে মানুষে পরিণত করতে পারে না, তা এখনকার স্যোসাল মিডিয়ার কল্যাণে আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখতে পাচ্ছি। এটি একটি স্রেফ উদাহরণমাত্র। এরকম শত শত গ্রাজুয়েটরা এখন স্যোসাল মিডিয়াতে মুখ নিসৃত গরল কিবোর্ডের মাধ্যমে ঢেলে আসমান-জমিন বিষাক্ত করে তুলছেন প্রতিনিয়ত।

সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। আর মিসেস নুপুর শর্মাও কোনো ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ (প্রান্তিক কোনো চরিত্র নয়!)। তিনি একটি বৃহত্তর ভারতীয় দলের নির্বাচিত মুখপাত্র (Spokesperson)। যে দলটা গত ৮ বছর ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রীক(!) দেশকে শাসন করছে। আর তাঁর সেই ঘৃণাসূচক উক্তিও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

এনডিটিভি-তে সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অটোবায়োগ্রাফীর লেখিকা সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ লিখেছেন, “নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দাল বিচ্ছিন্ন কণ্ঠ নয়…মোদি-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপি তাঁদের (ইসলামবিদ্বেষী ঘৃণাসূচক কথাবার্তা যারা র‍্যানডম বলছেন!) চিন্তাধারার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে দুঃখের সাথে অনুতপ্ত হওয়া বা দুঃখজ্ঞাপন (unapologetic) করতে ইচ্ছুক নয়, এবং ইসলাম ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অবজ্ঞার কথা গোপন করছে না (২০১৪ সাল থেকেই)। বরং তাঁরা সবসময়ে (ইসলাম বা মুসলিমদের বিরুদ্ধেঃ গোরক্ষা, লাভ জিহাদ, মব লিঞ্চিং, কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস বাতিল, করোনা ব্লেইম, বাবরি মসজিদ রায়, দিল্লী রায়ট, সিএএ, এনআরসি, হিজাব বিতর্ক, আইএএস বিতর্ক, বুলডোজার চালানো, রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করা, ক্রমাগত ঘৃণাবাণী উক্তি, গদি মিডিয়ার মুসলিম বিদ্বেষ ইত্যাদি) যুদ্ধোংদেহী অবস্থায় রয়েছে এবং প্রকাশ্যে একটি হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে সাফাই গাইছে (সাংবিধানিকভাবে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সত্ত্বেও)।

অর্থাৎ নুপুর শর্মার ‘হেইটস্পিচ’কে ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া আরএসএস/বিজেপি উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আর একটি নব্য হিপোক্রেসী ছাড়া আর কিছুই নয়। গত ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে সংখ্যালঘু ও কিছু ক্ষেত্রে দলিত শ্রেণির মানুষদের বিপক্ষে যা ঘটছে তাঁকে মাছি তাড়ানোর মতো করে এক বাক্যে নিঃশেষ করা ইতিহাসে নয়া আরেক ভণ্ডামীর নজির হয়ে থাকবে।

অনেকেই একে ‘গুড কপ ও ব্যাড কপ’ এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন। একদল নেড়ি কুকুররে ইচ্ছাকৃতভাবে (ডিভাইড অ্যাণ্ড রুল) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পথচারীদের কামড়ানোর জন্য। আর কুকুরের প্রভু চুপচাপ দেখে বলছেন, ওগুলো স্ট্রিট ডগ। আর ভেতরে চাপা উল্লাস ধর্মীয় পোলারাইজেশন ও রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতার স্বাদে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখছে না যে সেই স্ট্রিট ডগ বা নেড়ি কুকুরেরা প্রভুকেও কোনো একসময়ে কামড়ে দিতে পারে কিংবা মতের অমিলে প্রভুর আস্তানাতে বিষ্টা ছড়িয়ে দুর্গন্ধময় করে তুলতে পারে। ঠিক এটিই ঘটেছে নূপুরের কর্কশ আওয়াজে। একটি স্পিচে এখন ভারতে বিষ্টাময় অবস্থা। এগুলো আগেই ভাবা উচিত ছিল।

আর এই বিষয়টাই মিঃ মান্টো বহু দশক আগে পাকিস্তানের জন্য ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। পাকিস্তান এখন যেমন বিষ্টাময়, ভারতও একই পথের সাথী। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না, ইতিহাসের এটি একটি বড় পরিহাস!!!

আচ্ছা, আমরা বাংলাদেশীদের কী অবস্থা?

*******************************
আখেনাটেন: জুন/২০২২
ছবি: scroll.in

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিজেপি ভারত ডুবাবে আরও,কাল হয়তো জুমার নামযের পর বাইতুল মোকারম থেকে প্রতিবাদী মিছিল বের হবে।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: উগ্রবাদীরা সাময়িক সময়ের জন্য হয়ত টিকে যেতে পারে....কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশেই দীর্ঘ দিন নিজ জনগণের একটি বৃহৎ অংশকে ঘৃণা করে, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে কোনো শাসক টিকে থাকতে পারে না। হিটলারও পারে নি। এগুলো নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে।

জুমার নামযের পর বাইতুল মোকারম থেকে প্রতিবাদী মিছিল বের হবে। -- সে জন্যই তো বল্লাম ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। সেই মিছিল থেকেই হয়ত একদল হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে বিষাদাগার করবে।

২| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি আপাতত ভারতীয় সিরিয়াল কে বয়কট করছি।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, কেন কারণটা বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতুম?

৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: অতি সামান্য বিষয়। অথচ মানুষ হই চই শুরু করে দিয়েছে।
হযরত মোহাম্মদ একজন সমান্নিত ব্যাক্তি। কোটি কোটি মানুষ তাকে মানে, ভালোবাসে। এজন্য এই মহা মানবকে নিয়ে এলোমেলো কথা বলা ঠিক না। সব কথা বলতে হয়। কিছু কিছু কথা পেটে রাখতে হয়। নূপুর ভুল করেছেন। তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

এখন কথা হচ্ছে নুপুরের ভুলের জন্য আমি কেন ভারতীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করা বন্ধ করবো? এটা বোকামি।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: অতি সামান্য বিষয়। অথচ মানুষ হই চই শুরু করে দিয়েছে। --- আপনি লেখাটি ভালো করে পড়েন নি। কিংবা পড়লেও বুঝতে পারেন নি। কিংবা বুঝার জন্য যে ধরনের আইকিউ থাকা দরকার সেটাই নেই। কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বুঝতে চাচ্ছেন না তা জানালে ভালো হতো রাজীব নুর ভাইজান। কারণ এটি কোনো অতি সামান্য বিষয় নয়। অনেকগুলো বিষয়ের সামষ্ঠিক রূপ ঐ এক বাক্যে লুকিয়ে আছে। লেখাটা আবার পড়ে বুঝতে পারলে মন্তব্য করুন, না হলে শুধু শুধু কিবোর্ড টাইপ করার দরকার নেই। রূঢ বক্তব্য দেওয়ার জন্য দু:খিত।

এখন কথা হচ্ছে নুপুরের ভুলের জন্য আমি কেন ভারতীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করা বন্ধ করবো? এটা বোকামি। --- এটা কিছুটা ঠিক বলেছেন। তবে সেখানেও ঐ না বুঝার বাণী রয়েছে। বাক্যটা 'নুপুরের ভুলের জন্য' নয়, 'উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মকান্ডে'...?

৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নূপুরের নিক্কন থেমে যাবে এবার।
ফেঁসে গেলো ভারত!!
বেশী বাড়া ভালো নয়, ঝড়ে পড়ে যায়।
মানুষের পতন এভাবে হয়।

০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: নূপুরের নিক্কন থেমে যাবে এবার। -- না, থামবে না। যে ফ্রাংকেনস্টাইন তৈরি করা হয়েছে তা এত সহজে তো থামবেই না উল্টো আমার মতে বাড়বে প্রান্তিক পর্যায়ে। তবে হ্যাঁ, রাষ্ট্রীয়ভাবে যেভাবে মদদ দেওয়া হচ্ছিল ঘৃনা ছড়ানোয়...তার রাশ কিছুটা কমবে এই চপেটাঘাতে।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সুইডেনে কোরান পোড়ানো ও ভারতে নূপূর বক্তব্যের মাঝে আশেপাশের প্রতিক্রিয়ার কি পার্থক্য আছে???

০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: আমি আপাতত এশিয়াতেই থাকতে চাচ্ছি...সুইডেন-ফুইডেনের গল্প আপনি বললে আমাদের মতো আমজনতাও জানত কী পার্থক্য?

৬| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০২

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার নামের মতই লেখার হেডলাইন ও লেখা কঠিন।

০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: :(

৭| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গেরুয়ারা ভারতের ক্ষতি করছে।

০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: শুধু ভারতের না আমাদের এখানে ঘাপটি মেরে থাকা তালেবদেরও ফুয়েল যোগাচ্ছে....কালকে জুম্মার নামাজের পরও এর কিছুটা টের পাবেন হয়ত।

৮| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাই ভাসুডেভা কুটুম্বাকাম শব্দটার মানেতো বুঝলাম না।যাইহোক মৌলবাদ জিনিষটাই ভয়ঙ্কর তা সেটা যেই ধর্মেরই হোক। তবে ভারত , পাকিস্তানের মত একই শিক্ষা পাবে কিনা বলতে পারছিনা কারন ভারতের একটা সু্বিধা হচ্ছে হিন্দু ধর্ম নিয়ে পশ্চিমাদের কোন মাথাব্যথা নাই। বরং পশ্চিমারা ভারতের হিন্দু উগ্রবাদকে সাপোর্ট করে বলেই মনে হয়।তাই ভারতের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে লড়তে হবে মুসলিম বিশ্বের।

আরবদের শুরু করা #BoycottIndiaProducts এর সাথে বাংলাদেশের আমজনতা সমর্থন জ্ঞাপন করলে আমাদের দেশেরই লাভ। ভারতীয় আগ্রাসন ও ভারতের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট স্বৈরাচারী সরকার হটাতে হলে ''বয়কট'' নামক গান্ধীজির আমলের এই অহিংস আন্দোলনের আর কোন বিকল্প নাই। তবে সমস্যা হচ্ছে আমাদের উগ্র মৌলবাদীরা সবকিছু ভেস্তে দেয় । বায়তুল মোকাররম থেকে জিহাদী মিছিল বের করে উলটো পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করাটাই এরা শুধু পারে যা্র মাঝে দেশের কোন মঙ্গল নিহিত নাই।

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: বাই ভাসুডেভা কুটুম্বাকাম --- নিচে ব্লগার ভুয়া মফিজ কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়েছে.....তবে এটি বুঝতে হলে আপনাকে এই নিউজটা পড়তে হবে।

আর ব্যাখ্যা হচ্ছে ভারতের ঐ সংস্কৃতি শব্দগুচ্ছে যেখানে সবাইকে নিজের আত্মীয় বলা হয়েছে, সেখানে কীভাবে এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশের একটি বৃহৎ শ্রেণিকে মারজিনালাইজড করতে আদাজল খেয়ে লেগেছে।

চীন ও ভারতের সুবিধা হচ্ছে তাদের যথাক্রমে ১৪০ ও ১৪৫ কোটি লোকের বাজার। যার জন্যে পশ্চিমারা তাদের মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে চৌদ্দবার ভাবে। ঠিক যেমনটা ভাবে সৌদির বিপক্ষে বলতে কারণ 'তেল'। এভাবেই বিশ্ব বাণিজ্য মানবাধিকারের ঠিকা নেওয়া সভ্য দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে। কে চায় শুকনা বাজার হারাতে? ঠিক একই ভাবে মিডল ইস্টও ভারতে বিপক্ষে কিছু বলতে দশবার ভাবে কারণ ঐ ১৪০ কোটির বাজার...? কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসেরই থ্রেশহৌল্ড রয়েছে। নূপুরের বক্তব্য সেটা অতিক্রম করায় এই প্রতিক্রিয়া। যদিও এতে কারো কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই, তবে ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেভাবে উগ্রতাকে (বিএনপি-জামাত আমলে বাংলাদেশে যেমনটা দেওয়া হত!) মদদ দেওয়া হচ্ছিল তার লাগাম কিছুটা টানা হবে বেইজ্জতির কারণে। আর প্রডাক্ট বর্জন করা আর একটা হিপোক্রেসি। এ নিয়ে অন্য কোনো দিন লেখা যাবে।

৯| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এগুলো ডার্টি। হিংসা বিদ্বেষ অপরের পেছনে লাগা, লোভ, পরকিয়া কি নাই হিন্দি সিরিয়ালে?

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: হুম;

সেক্ষেত্রে নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য বর্জন করা যেতেই পারে।

১০| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতকে সোজা করা যাবে না, এটাই বাস্তবতা। এটার জন্য ভারতের যতোটা না কৃতিত্ব, তার চাইতে বেশী কৃতিত্ব আমাদের আরবের ভাই-বেরাদারদের। নয়তো, গুজরাট গনহত্যা আর বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার সময়েই যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ভারত সাপের মতো সোজা হয়ে গর্তে ঢুকতো। ভারতের রেমিট্যান্স আর ব্যবসার একটা বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। সেটাতে সহায়তা করে মধ্যপ্রাচ্যের তথাকথিত মুসলিম নেতৃবৃন্দই।

বর্তমানে যেই বয়কটের ডাক ফাক আসছে, সেগুলো সরকারী না, অনলাইনে ব্যক্তিকেন্দ্রিক; কিছুদিন পরেই ঝিমিয়ে পড়বে। দুই দিন আগেই ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাতার সফর করেছে। সেখানে কাতারী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য দেখলেই বিষয়টা পরিস্কার হবে। এসব ইসলামী বিশ্ব আর ওঅইসি'র সাময়িক লম্ফঝম্ফের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এদের হাতে ক্ষমতা আছে, সেটা এরা ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থ এখানে গৌণ আর লোক দেখানো। এদের জোব্বা আর চুটকি দাড়ি ছিড়ে ফেলতে পারলে একটা পৈশাচিক আনন্দ পাইতাম!!! X(

তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ঢাবিয়ান যেই বক্তব্য দিয়েছে, সেটাও বহুলাংশে সত্যি।

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাই ভাসুডেভা কুটুম্বাকাম। @ঢাবিয়ানঃ আমি যদি ঠিকমতো বুঝে থাকি, এটা ''বাসুধৈব কুটুম্বকম'' এর মিশরীয় ভার্সান। হায়ারোগ্লিফিক থেকে সরাসরি বাংলায় অনুবাদ করায় বোঝেন নাই। =p~ এটা আসলে একটা সংস্কৃত বাগধারা, যেটা সাধারণতঃ সমগ্র মানবজাতিকে একটি পরিবার হিসেবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর বাই ''বনাম'' অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে! আশা করি, বিষয়টা ঠিকমতো ব্যাখ্যা করতে পারলাম!!!

২, ৩ আর ৯ নং মন্তব্যে প্রচুর আনন্দ পাইলাম। এই রকমের আনন্দের সুযোগ কইরে দেয়ার জন্য আপনেরে আন্তরিক ধইন্যা। আনন্দ কেন পাইলাম জানতে চাইলে আওয়াজ দিয়েন!!! :P

*** আগের পোষ্টের সব মন্তব্যের উত্তর না দিয়া নতুন পোষ্ট দেওয়ার কারন কি??? X((

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভারতকে সোজা করা যাবে না, এটাই বাস্তবতা। এটার জন্য ভারতের যতোটা না কৃতিত্ব, তার চাইতে বেশী কৃতিত্ব আমাদের আরবের ভাই-বেরাদারদের। --- আসলে বর্তমান ভোগবাদী বিশ্বে কেউ কারো শত্রু নয়, আবার বন্ধুও নয়। সবারই নিজেদের টিকে থাকার নাকি সর্বোচ্চ ভোগবাদীতার জন্য রয়েছে ভেস্টেট ইন্টারেস্ট। আর ভারত-মিডলইস্ট একে অপরের বাণিজ্যে কিছুটা মিথোজীবীর ভূমিকায় রয়েছে। তাই চাইলেই ভারত যেমন মিডলইস্টের অটোক্রেসি ও মানবাধিকা লংঘন নিয়ে কথা বলতে পারে না, ঠিক একইভাবে মিডলইস্টও ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাতে পারে না। কারণ ঐ স্রেফ বাণিজ্য। ঢাবিয়ানের মন্তব্যের প্রতিউত্তরে কেন তার কারণ কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়েছি। মিডল ইস্টের টিকে থাকার স্বার্থে চীন ও ভারতের বন্ধুত্ব তথা বাজার দরকার। আবার চীন ও ভারতের ভোগবাদিতা ও উন্নয়নের স্বার্থে জ্বালানীর সরবরাহ দরকার। তাই এ বন্ধুত্ব ঠুনকো ধর্মীয় জিগির তুলে তারা চাইবে না ভাঙতে...মিডল ইস্টের নেতারা ধর্ম নিয়ে থোরাই পরোয়া করে...সেটা করলে মিডল ইস্ট নিজেই জ্বলত না। তবে.....ভারতীয় ভাষায়, 'লক্ষণরেখা' অতিক্রম করলে সমস্যা? ভারত টের পাচ্ছে এই ঘটনায়...এর পেছনেও বাণিজ্য লক্ষীর হাত আছে বলে অনেক পন্ডিত সন্দেহ করছে। আসলে এখন ধর্ম হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা আর আম আদমীর ভূষণ।

২, ৩ আর ৯ নং মন্তব্যে প্রচুর আনন্দ পাইলাম। এই রকমের আনন্দের সুযোগ কইরে দেয়ার জন্য আপনেরে আন্তরিক ধইন্যা। আনন্দ কেন পাইলাম জানতে চাইলে আওয়াজ দিয়েন!!! --ক্যানে ক্যানে? এখানে আবার কী গন্ডগোল?

*** আগের পোষ্টের সব মন্তব্যের উত্তর না দিয়া নতুন পোষ্ট দেওয়ার কারন কি??--- ভুলেই গিয়েছিলাম। দুদিন আগেই পোস্ট করেছি তার আবার উত্তর দেয়া বাকি আছে। :D

১১| ০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফ্যারাও ভাই,

আমি এই পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করছি।
মোদিজী এবং তাদের জাতীয় মুখপাত্রের নামে অহেতুক কুৎসা আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করবো না।
ওনার সাফল্যের খতিয়ান এ প্রসঙ্গে উল্লেখ না করলেই নয়-
১-ছিলেন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাট দাঙ্গায় সফলভাবে নেতৃত্ব দেওয়া ও তথ্য বিলোপ করে বা নাই করে গুজরাট হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টের ক্লিনচিট পেয়ে ভাজপা পার্টিতে নিজের শীর্ষ আসনটি অধিকার করে দিল্লীর সিংহাসন বসেছেন।
তাহলে শুরুতেই বলতেই হয় তার ব্রাইট ক্যারিয়ার সিংহাসন আরোহণের পক্ষে তার সাফল্যের সহায়ক হয়েছে।

২-সিংহাসনে বসে প্রতি লোকসভার আগে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে সংখ্যালঘু তাস খেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নিজের পকেটে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

৩-পার্টির ঘোষিত এজেন্ডা অনুযায়ী অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।

৪-বহুল চর্চিত 370 ধারা বিলোপ করে গোটা কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারতের বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজ্য থেকে পায়ের তলায় নামিয়ে কোটি কোটি ভাজপা সমর্থকের হাততালি কুড়িয়েছেন।

৫-টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আদলে মন করলেই অত্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন বড় শহরগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নজির ঘটিয়ে সংখ্যালঘুর জীবন সম্পদ ধ্বংস করার সুবন্দোব্যস্ত করতে পেরেছেন।

৬-এনআরসি, লাভ জিহাদ, সহ আরো কিছু ঘোষণায় উনি সংখ্যালঘুদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে ভারতবর্ষের কোটি কোটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের নয়নের মনি হতে পেরেছেন।

৭-মোদিজীর অতি বড় নিন্দুকও কখনো বলতে পারবেন না যে বিজেপি কখনো কোনো এজেন্ডায় বিজ্ঞান, শিক্ষা ও কারিগরি উন্নতির বস্তা পচা কথা বলে জনগণকে দ্বিমুখী চালিত করেননি। অনার লক্ষ ধর্মীয় উন্নয়ন।আর সেই উন্নয়নে উনি একজন সফল ব্যক্তি তা কোনমতে অস্বীকার করা যায় না।
উল্টে গো সম্পদ রক্ষার্থে ভারতবর্ষের উনার প্রভাবাধীন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গোসাল তৈরি করে গোটা বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। গোমূত্র সেবনের এমন সুবন্দোবস্ত সেই প্রাচীনকাল থেকে আজও ভারতের অন্য কারোর নজির নেই।

৮-অত্যন্ত নিরবে মোদীজি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার মাধ্যমে, উপরে আপনার দেওয়া ছবিতে হাফপ্যান্ট পরা লোকটির সংগঠনের কর্মীদের ও এবিভিপি কর্মীদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগের সুবন্দোবস্ত করতে পেরেছেন।
৯-ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইআইটি প্রতিষ্ঠানে নিজের সংগঠনের কর্মীদেরকে নিয়োগ দিয়ে তিনি ভারতবর্ষের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিজের বিরল কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পেরেছেন। আপনি বুঝি আমার সঙ্গে বিরোধিতা করবেন না যে একটা দেশ চালাতে গেলে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান সমূহে সম মতাদর্শের লোক না হলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি কিছুতেই সম্ভব নয়। নিন্দুকরা জে এন ইউ এর উপাচার্যকে একটি কলেজের সামান্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যতই গালমন্দ করুন না কেন, নিজের পছন্দ মত লোককে চেয়ারে বসানোর মধ্যে অন্যায় কোথায়?
বিশ্বভারতীর সুকান্ত চক্রবর্তীকে আপনি যতই আরএসএস-এর লোক বলুন না কেন বাস্তবে দেশটাকে নিজের হাতে গড়তে চাইলে এমন নিয়োগগুলোর মধ্যে অন্যায় কোথায় যেখানে মোদিজীর অগাধ পার্টি প্রেমের নিদর্শন প্রমাণ করে।
১০-ভুললে চলবে না যে মোদিজি পার্টির যেকোনো এজেন্ডায় কোথাও বহির্বিশ্বে ভারতের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বা আর্থিক পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংগত কারনেই পার্টির লাইনে চলতে গিয়ে আজকে নুপুর শর্মাদের কথাটা মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়ায় ভারতের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে নুপুরদের দোষারোপ করা হচ্ছে তা কোন অবস্থায় কাম্য নয়। মনে রাখতে হবে নুপুর শর্মা দেশের জাতীয় মুখপাত্র তিনি নিজের কথা বলেননি, দীর্ঘদিন ধরে দল যে সরলরেখায় চলছে তিনি সেটাকেই তুলে ধরেছেন।

ঠিক তেমনি বহির্বিশ্বে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ দেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে মোদীজি তথা ভারতকে যেভাবে গালমন্দ করা হচ্ছে তাতে মোদীজিকে কোনভাবেই দোষারোপ করা যায় না। কারণ বিজেপির জাতীয় এজেন্ডা কোথাও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ বা আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি তথা দেশের বণিক শ্রেণীর স্বার্থসিদ্ধির কথা বলা হয়নি। ধর্মীয় উন্নয়ন ও আর্থিক উন্নয়ন- দুটো কখনোই একলাইনে চলতে পারে না। সেজন্য সেজন্য মোদীজি কৌশলগত কারণে উনার ভাই নীরব মোদির অবস্থান নিয়ে নীরব থেকেছেন।
ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় যদি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সহ মন্দির তৈরি করা, সংখ্যালঘু উৎপীড়ন, এনআরসির ভীতি প্রদর্শন, গোরক্ষার নামে স্রেফ সন্দেহের বশে ইখলাসদের পিটিয়ে হত্যা, লাভ জ্বিহাদের দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিপিরণ না করতো তাহলে আপনাদের মোদিজীর নামে গেল গেল রব তুললে মানতে পারতাম।

সব শেষে আবারো বলি আমাগো মোদির জয় হোক। ভারতবর্ষ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দেখাদেখি হিন্দুয়ানাআইজেশনের দিকে সম্পূর্ণ ঢলে পড়ুক। আর অর্থনীতি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাতে রাজি নই, আমরা ওসব কংগ্রেস আমলে পেয়েছি এখন আমার ধর্ম ধর্ম করেই থাকতে চাই। তয় আমাগো বস্ত্র, দ্রব্য কে রাখল কে পোড়ালো তাতে আমাদের কিচ্ছু আসে যায় না।



০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: পদাতিক দা, আপনাদের এইসব কর্মকান্ড দেখে আমাদের এখানের মোল্লারাও ফুঁসছে। শুধু মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায় আছে। কুমিল্লার ঘটনায় দেখলেন না। ভারতের গুজ্জু গোষ্ঠীর দল উপমহাদেশের এনট্রপি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হবে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মনে হচ্ছে। আর মোদি- অমিত-যোগীরা সেটাই চায়....এতেই আজীবন ক্ষমতার স্বাদ কিংবা শত বছরের পুষে রাখা হিংসার ফসল ঘরে তুলে রাখা।

সময়ের সাথে আপনাদের অবস্থা আরো নাজুক হবে এটা মেনে নিয়েই টিকে থাকতে হবে। ঠিক একই ভাবে পাকিস্তানে ও বাংলাদেশের হিন্দু গোষ্ঠীও বিপদের মুখে পড়বে এখানকার টুপিওয়ালাদের খড়গের নিচে পড়ে। ভারতীয় এই হিটলারেরা শুধু ভারতের জন্যই বিপদ নয়, আমাদের দেশের জন্যও বিপদ। আপনাদের অত্যাচারের কাহিনি পেড়ে এখানে নিপীড়ন চালানো হবে; নিশ্চয় স্যোসাল মিডিয়াতে এগুলো লক্ষ্য করছেন।

১২| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




ঘটোৎকচের মতো দন্ত মোবারক উৎপাটন ঘটানো শিরোনাম। সেইরাম ল্যাহা হৈছে! :D

ঢাবিয়ানভুয়া মফিজ ভালো বলেছেন। সহমত।

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: ঘটোৎকচের মতো দন্ত মোবারক উৎপাটন ঘটানো শিরোনাম। --- আপনার এই এক লাইন পইড়াই তো আমার বাস্তবেই দান্দান শরীফ শহীদ হওয়ার যোগাড়....... :P

সেইরাম ল্যাহা হৈছে! --শুকরিায়া।

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০১

গরল বলেছেন: সামনে কি জাতিয় নির্বাচন নাকি, সব কিছু কি নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে হচ্ছে নাকি? তবে যথার্থই বলেছেন, ভারত হিন্দু পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১০

আখেনাটেন বলেছেন: দেখে তাই মনে হচ্ছে.....।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌ইস!!
এতো কঠিন করে লেখলেন!!! B:-)

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১১

আখেনাটেন বলেছেন: B:-) :D

১৫| ১০ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুনিয়াতে কেউ যদি আল্লাহকে গালি বা নিন্দা করে তওবা করলে আল্লাহ
তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন, কিন্তু কেউ যদি হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে
গালি দেয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না এবং তার সাঁজা তাকে দূনিয়াতেই
পেতে হবে।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: নুরু ভাই আপনি ঘটনার গভীরে প্রবেশ করেন নি। বায়তুল মোকাররমের মিছিলের প্রথম সারিতে ইট হাতে আপনাকে পাওয়ার সম্ভাবনা ফেলে দেয়া যায় না। :(

১৬| ১০ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার পদাতিক চৌধুরি যেসব পয়েন্ট তুলে ধরেছেন , তাতে ধর্মীয় উগ্রবাদী ভারতের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ আরো বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। তবে এখন ভারত ভালই খাদে পড়েছে। নুপুরকে বহিষ্কার ও ক্ষমা প্রার্থনার পরও পন্য বয়কট চলছে মধ্যপ্রাচ্যে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম ''কাতার সরকার জানিয়ে দিয়েছে, নূপুর শর্মার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। কোনও ভারতীয় দর্শককে কাতারে ঢুকতে দেয়া হবে না।''

তবে আমাদের দেশে মোল্লারা এসব ইস্যূতে যা করে তা বহির্বিশ্বে ব্যপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করা আইন করে নিশিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত। বিদেশী চ্যানেলগুলোতে এসব সংবাদ পরিবেশনের ফলে ফরেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা প্রবাসে অহেতুক হয়রানির শিকার হন এবং বিদেশের শ্রমাবাজারেও অনিশ্চিয়তা তৈরী হয়।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: তবে আমাদের দেশে মোল্লারা এসব ইস্যূতে যা করে তা বহির্বিশ্বে ব্যপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করা আইন করে নিশিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত। বিদেশী চ্যানেলগুলোতে এসব সংবাদ পরিবেশনের ফলে ফরেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা প্রবাসে অহেতুক হয়রানির শিকার হন এবং বিদেশের শ্রমাবাজারেও অনিশ্চিয়তা তৈরী হয় -- একমত।

১৭| ১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পদাতিক দাদা মনে হয় কৌতুক করেছেন!

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: দাদারা কৌতুক ভালোবাসেন....যদি মোল্লারাও কৌতুক ভালোবাসত?

১৮| ১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উগ্রবাদী মৌলবাদী মুক্ত পৃথিবী চাই। এরা হাসতে হাসতে মানুষ মারে। বাংলার জামাত আর ভারতের মোদী গোষ্ঠী মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। পৃথিবী মৌলবাদ মুক্ত হোক।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: উগ্রবাদী মৌলবাদী মুক্ত পৃথিবী চাই। -- সহমত।

১৯| ১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: নুপুর শর্মা যা বলেছে তা বিজিপিরই ভাষ্য !! তারা আই ও্যাশ টাইপ কিছু করে সামান্য মলম লাগানোর চেষ্টা করছে । বিজেপি পন্থী যতো মিডিয়া আছে সব মিডিয়া মিলে নুপুর শর্মা কে সাপর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা এতাও বলছে মুসলমান দেহস গুলো যে পরিমানের ভারতীয় বিনিয়গ আছে তা যদি ভারোত তুলে নেয় সেই সব মুসলিম দেশ বিপদে পরে যাবে । এটা সাজানো একটা নাটক !!! আর আমরা সেই নাটকের পাত্রপাত্রী !

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২০

আখেনাটেন বলেছেন: তারা এতাও বলছে মুসলমান দেহস গুলো যে পরিমানের ভারতীয় বিনিয়গ আছে তা যদি ভারোত তুলে নেয় সেই সব মুসলিম দেশ বিপদে পরে যাবে । এটা সাজানো একটা নাটক !!! আর আমরা সেই নাটকের পাত্রপাত্রী ! ---রানার ভাই আপনি ভুল জেনেছেন।

২০| ১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: নুপুর শর্মা যা বলেছে তা বিজিপিরই ভাষ্য !! তারা আই ও্যাশ টাইপ কিছু করে সামান্য মলম লাগানোর চেষ্টা করছে । বিজেপি পন্থী যতো মিডিয়া আছে সব মিডিয়া মিলে নুপুর শর্মা কে সাপর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা এতাও বলছে মুসলমান দশ গুলো্তে যে পরিমানের ভারতীয় বিনিয়গ আছে তা যদি ভারত তুলে নেয় সেই সব মুসলিম দেশ বিপদে পরে যাবে ।

এটা সাজানো একটা নাটক !!! আর আমরা সেই নাটকের পাত্রপাত্রী !

আজতো এটাও দেখলাম নুপুর শর্মা ইসলামপন্থীদের আমন্ত্রন জানাচ্ছে যদি তার তথ্য ভুল প্রমান করতে পারে তখন সে নিজ দায়ীত্বে ক্ষমা চাইবে। তার কথা মোতাবেক সে কাউকে গালাগাল করে নাই ভারতীয় এক মুসলিম নেতা তার বক্তব্য কাটছাট করে মিডিয়াতে প্রকাশ করেছে ।

আমার নিজের মন্তব্য হলো একটা বাহাস হও্য়াই যায় এই বিষয় নিয়ে ইসলাম পরিপন্থীরা অনেক হাকডাক দেয় মুসলিম পন্ডিতদের উচিৎ পুরা ব্যাপারটা পরিষ্কার করা যাতে নতুন করে অন্য কোন নুপুর শর্মা আবার না এমন বক্তব্য দেয়।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি এখনো নূপুর শর্মা নিয়েই পড়ে আছেন।
"To understand the origins of Islamophobia in India, its important to consider its direct link to the Hindutva social imaginary, a poisonous social imaginary that paints a misleading, false, monolithic image of India and then positions Muslims as its nemesis...Finally, now, it seems enough is enough and the Arabian Gulf has decided to retaliate, and it remains to be seen how India will respond." -- এক পত্রিকার আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে কিছু বুঝার কথা।

২১| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:২৪

সোহানী বলেছেন: অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, পাগলা কুকুর শুধু ছেড়ে দেয়াই নয়, পারলে আরো পাগলের ইন্জেকশান দিয়ে দিয়েছে। খোদ রাস্ট্র প্রধান যদি ঘৃনা পোষন করে তাহলে দেশের এক নুপুর কেন সারাদেশেইতো কোটি নুপুরের জন্ম হচ্ছে প্রতি মুহুর্তে।

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: খোদ রাস্ট্র প্রধান যদি ঘৃনা পোষন করে তাহলে দেশের এক নুপুর কেন সারাদেশেইতো কোটি নুপুরের জন্ম হচ্ছে প্রতি মুহুর্তে। ---এটিই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার। গতকাল ভারতীয় আদালত গুজরাট ম্যাসাকার থেকে মোদি ও শাহকে আগের রায়ের 'ক্লিন চিট' দেওয়া সমর্থন করেছে। অর্থাৎ 'নো ওয়ান কিলড জেসিকা'?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.