নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি গোয়ার্তুমি ও অসংখ্য মৃত কিংবা জীবিত লাশের গল্প!!!

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

"সরকার যদি মিথ্যা কথা বলে প্রেসনোট দেয়, তবে সে সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস থাকতে পারে না। জীবন ভরে একই কথা শুনিয়াছি ‘আত্মরক্ষার জন্যই পুলিশ গুলি বর্ষণ করতে বাধ্য হয়’। এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে? যারা মারা গেল তাদের ছেলেমেয়ে, মা-বাবা তাদের কি হবে?...একথা ভেবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি আমি। কিছুতেই মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না। কেন মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য পরের জীবন নিয়ে থাকে?..."

উপরের কথাগুলো বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান ৮ই জুন, ১৯৬৬, রোজ বুধবার-এ লিপিবদ্ধ করেছেন। কারণ তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্রের স্রষ্টা স্বৈরাচার আইয়ুব খান ‘শুট টু কিল’ আদেশের মাধ্যমে কিছু সময় আগেই বৈষম্যবিরোধী মানুষের উপর নির্বিচারে…!

ইতিহাসের কী নির্মম পরিহাস! ঠিক ৫৮ বছর পরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের ঔরসজাত কর্তৃক অনুদার কিংবা জিঘাংসামূলক কর্মকান্ডের ফলস্বরূপ গোটা দেশের মানুষ (গুটিকয়েক বঙ্গালাঙ্গার বাদে) জাতির পিতার সেই বিষাদপূর্ণ কথামালা পুনরাবৃত্তি করে চলেছে গত কয়েকদিন ধরে… ”...কেন মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য পরের জীবন নিয়ে থাকে…?”



ইউটিউবে BBC-র একটি নিউজে চোখ আটকে গেল। প্যারামিলিটারি গ্রুপের সাঁজোয়া যানের ছাদের উপর একটি মানব অবয়ব শুয়ে আছে (প্রথমে প্রাণহীন লাশ মনে করেছিলাম)। সম্ভবত সাভারের মেইন রোডের কাছে এসে সেই লাশকে ছাদ থেকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল। অবাক হয়ে দেখলাম লাশের মাথাটা একটু নড়ে উঠল। মানে তখনও জীবিত। কয়েকজন জওয়ান সেই অর্ধমৃত ছেলেটিকে রাস্তার ডিভাইডারের ওপারে ময়লার বস্তার মতো ছুঁড়ে ফেলল। তখনও কী ছেলেটি জীবিত নাকি মৃত? এ দৃশ্য দেখার পর টানা কয়েক ঘন্টা ট্রমার মধ্যে গেছে। এ আমি কী দেখলাম! ভিজুয়ালাইজ করুন দৃশ্যটা। কী নিষ্ঠুর! কী নির্মম! কী হ্নদয়বিদারক!

একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী যাদের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। সেই তারাই প্রকাশ্য দিবালোকে মধ্যযুগীয় বর্বরতায়…!
চেতনামিশ্রিত হেলমেট বাহিনী, ধর্মমিশ্রিত রগকাটা বাহিনী কিংবা জাতীয়তাবাদমিশ্রিত এরকম সমগোত্রীয় অন্যান্য বাহিনীর নৃশংসতা সম্পর্কে কারো অজানা নয়। তাই বলে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ কিংবা ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’র উর্দিপরা…? এ কোন ধরনের গণতন্ত্রের উদ্ভাবন করেছেন মাননীয় ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’?

এরপর যেভাবে আমরা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জনের দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখে চলেছি, তাতে মনে হচ্ছে ক্রিস্টোফার নোলান কর্তৃক হরর জনারার কোনো মুভি থ্রিডি চশমা লাগিয়ে হল-এ বসে দেখছি। গায়ে চাপিয়েছি গন্ডারের চামড়া। এসব ঘটনা পরম্পরা কি এ জনমে ভোলা সম্ভব? Gen Z - Gen Alpha যে জিনিসের সাক্ষী হিসেবে থেকে গেল তা কীভাবে ভবিষ্যতে সংজ্ঞায়িত হবে? মিথ্যাচারের যে পসরা সাজানো হয়েছে তা দেখে মিঃ গোয়েবলস জীবিত থাকলে লজ্জায় মুখ লুকাতেন কি না?

পলকে পলকে মিথ্যার ছানাপোনা কীভাবে তরুন থেকে যুবা, যুবা থেকে পেকে বয়স্ক মিথ্যাই পরিণত হচ্ছে অতি অল্পসময়ে; তা কি বঙ্গ ইতিহাসে নয়া সংযোজন নয়? কী নিদারূণ রসিকতা জাতির সঙ্গে! যেন কেউ কিচ্ছু দেখছে না; যেন কেউ কিচ্ছু জানে না; যেন কেউ কিচ্ছু ভাবছে না। কানার হাটবাজারে বঙ্গের ম্যাঙ্গো আদমীরা সকলেই অন্ধ!

বঙ্গবন্ধুর কথা দিয়েই শেষ করি, “ …তবে এদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার আদায় করবার জন্য যখন জীবন দিতে শিখেছে তখন জয় হবেই, কেবলমাত্র সময়সাপেক্ষ…।”

যুগে যুগে খেটে খাওয়া বঙ্গসন্তানদের প্রতিপক্ষ বানানোর ভুলের ইতিহাসে মাশুল দিয়ে বাবা, কাকা, চাচারা সেই কবেই চলে গেছে। কাকিমা বিস্মৃতির জাতক হয়ে--যায় যায়…! মহাপরাক্রমশালী আপাকে জাতির পিতার সেই ‘কেবলমাত্র সময়সাপেক্ষ’ কিংবা সময় কি আদৌ ক্ষমা করবে? বঙ্গের ইতিহাস ভিন্ন কথাই বলে…? তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শোধরানোর সময় এখনও ফুরিয়ে যায় নি মনে হয়। কিন্তু মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন, 'শোধরাবেন কী...'?


*******************************************************************
@আখেনাটেন/জুলাই-২০২৪

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০২

নয়া পাঠক বলেছেন: অথচ দেখুন ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, এই রাষ্ট্রিয় বাহিনী আমরাই পুষছি আমাদের রক্ত পানি করা শ্রমের মজুরী দিয়ে তাদের বিলাসিতার অর্থ যোগান দিয়ে যাচ্ছি নিয়মিত, আবার তারাই আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে নির্বিচারে গুলি করে মারছে।

আজকে পত্রিকায় কয়েকজনের বক্তব্য শুনে আম নির্বাক নাকি আহত নাকি চরম বিস্মিত ঠিক বুঝতে পারলাম না, তারা নাকি হামলাকারী নয় বরং তাদের উপরেই হামলা করা হয়েছিল। আরেকজন বলল নতুন করে দেশ স্বাধীন করবেন।

ভয়ে আত্মা কি খাঁচা ছেড়ে পালাচ্ছে আমার?

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব দলই ইনাদের যাচ্ছে তাই ভাবে ব্যবহার করেছে অতীতেও।

যদিও গত তিন-চার দশকের মধ্যে এতটা হিংস্রতা মানুষ লক্ষ্য করে নাই আর কখনও। এর কারণও নিশ্চয় মানুষের আর অজানা নয়।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

এই আন্দোলনে মাধ্যমিকের ছেলে-মেয়ে, কলেজের ছেলে-মেয়ে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েরা তো নেতৃত্ব দিয়েছে এই তিন প্রজন্ম অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে হাসিনা প্রতি ঘৃণ্য নিয়ে বড় হবে, কোন কিছুই তাদের মন থেকে এই হত্যা ভুলা যাবে না।

শেখ হাসিনা তার এই পাপের ফল পাবেই পাবে, আমি দোয়া করি উনি যে আরো বিশ ত্রিশ বছর বেঁচে থাকে, স্বচক্ষে যে দেখে যেতে পারে মানুষ কিভাবে উনাকে ঘৃণ্যা করে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: সাধারণ একটি সমস্যাকে জটিলতর করে ফেলেছেন উনি।

কেন? এটা জানতে পারলে ভালো হত।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২১

অধীতি বলেছেন: এখনো টের পাচ্ছিনা। তবে কিছুদিন পরেই এই দৃশ্যগুলো আমাদের মানষিক রোগের কারণ হবে। কি ভয়াবহ সব ব্যাপার ঘটে যাচ্ছে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: তবে কিছুদিন পরেই এই দৃশ্যগুলো আমাদের মানষিক রোগের কারণ হবে। কি ভয়াবহ সব ব্যাপার ঘটে যাচ্ছে। -- হুম। এগুলো এত সহজে মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪০

করুণাধারা বলেছেন: যাক! আখেনাটেনের পোস্ট পাওয়া গেল!!

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: লিখব না, লিখব না করেও লিখে ফেললাম। এত অন্যায় মানা যায়। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকুক।





৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: শোধরাবেন কে ???? আপনি কি ফাইয়াজের কথা বলেছেন ? শুনেছি ১৭ বছরের এই তরুনকে প্রথমে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তাকে কিশোর শোধনাগারে পাঠানো হয়েছে!!! আন্দোলনে নেমে সে যে অপরাধ করেছে , তা তার বাপের নাম ভুলিয়ে এখন পরিশোধন করা হবে !!!বাংলাদেশে এটার নামই শোধরানো।

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: না শোধরালে আর কি করা?

ইতিহাস সেভাবেই রচনা হবে, যেমনটা অন্যদের ক্ষেত্রে হয়েছে।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এক প্লেট পাস্তায় সব শেষ, ... যারা স্বপ্ন দেখছিল।
অবশেষে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক এর মতই বলেছেন? শেষ হলেই ভালো।

না হলে আরো কত লাশের ছবি দেখতে হয় কে জানে?

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনাকে এতদিন বাদে দেখে বড় আরাম পাচ্ছি। মন্তব্যে পরে আসছি

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখেও ভালো লাগল তপনদা....

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৮

প্রহররাজা বলেছেন: আপনারা কাদতে থাকুন, আন্দোলন শ্যাষ। আবার ফান্ডিং আসলে আন্ডোলন শুরু হোবে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার পিতা-মাতাকে নিশ্চয় এখনও তাদের সন্তানের লাশ দেখতে হয় নি।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: এই মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর আমাদের জীবদ্দশায় পাবার কি সম্ভাবনা আছে?

মানুষ কি মহান বাণী ঝাড়ে আর মহান হয় শুধু শোষিত হলে?

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: এই মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর আমাদের জীবদ্দশায় পাবার কি সম্ভাবনা আছে? -- এর উত্তর আমাদের ব্লগার হাসান সাহেব দিতে পারবেন মনে হয়।

মানুষ কি মহান বাণী ঝাড়ে আর মহান হয় শুধু শোষিত হলে? -- হতে পারে। ক্ষমতা মানুষের বিবেকবোধ লুপ্ত করে দেয় মনে হয়।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনাকে এতদিন বাদে দেখে বড় আরাম পাচ্ছি। মন্তব্যে পরে আসছি

আমিও আরাম পাচ্ছি যদিও লাচ্ছি খাচ্ছি না এখন :)

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ১৯৯১ থেকে আমরা যে দুজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, তারা কেউই কূটনীতির ভাষা বোঝেন না এবং জনগণের সাথে কীরূপ আচরণ করতে হবে, কোন ভাষায় কথা বলতে হবে তা তারা শেখেন নি।

আমাদের রাজনীতিকদের কিছু ভালো বৈশিষ্ট্য অর্জন করা বা রপ্ত করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাদেরকে সত্যবাদিতা কী তা বুঝতে হবে, সত্য কথা বলতেও হবে। তোষামোদি বা তৈলমর্দন আমাদের সংবিধানে ধারা সংযুক্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সংসদে দাঁড়িয়ে 'মাননীয় মন্ত্রী' বা 'মাননীয় স্পিকার' বলার পরই মূল পয়েন্টে চলে যেতে হবে, পাবলিক প্লেসে অ্যাড্রেস দেয়ার সময় নেতা-নেত্রীদের নামে বন্দনা আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আরো নিষিদ্ধ করতে হবে 'আমি পদ্মা ব্রিজ করেছি', 'শেখ হাসিনা পদ্মা ব্রিজ করেছেন' এ ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্তুতি - বরঞ্চ বলতে হবে 'আমাদের সরকার পদ্মা ব্রিজ করেছে', 'আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে পাঠিয়েছি' - সব ধরনের ভাষণ ও বক্তৃতা থেকে 'আমি' ও 'তিনি' - এ ধরনের এক-ব্যক্তিকেন্দ্রিক কথাগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। তোষামোদির একটা মাত্রা থাকা উচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিকগণ তোষামোদি ও মিথ্যাচারের এক নতুন মাত্রা যোগ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এই তোষামোদিতে বর্তমানে অনেক এগিয়ে আছেন আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা, কোনো সংবাদ সম্মেলন হলেই বোঝা যায়, তারা বাংলাদেশ কত বিপুল পরিমাণ তেলের খনিতে ডুবে আছেন।

আর দরকার হলো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনে আপনি ৩০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসুন, কোনো আপত্তি নাই, কিন্তু ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ কিংবা ২০১৩ সালের নির্বাচনের মতো ঘৃণ্যতম ও প্রহসন মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নয়।

একজন নির্বাচিত সাংসদকে সদা সর্বদা জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়াবনত থাকতে হবে। সেখানে অহংকার, জেদ বা গোয়ার্তুমির কোনো জায়গা নেই। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে এই যে কলঙ্কজনক ও ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে গেল, তার জন্য ইতিহাস শুধু একজনকেই চরমভাবে দায়ী রাখবে, তার সাথে থাকবেন তার গোটা কয়েক মন্ত্রী, আর এ 'গণহত্যা' ঘটলো শুধু একজনের জেদ বা গোয়ার্তুমির কারণেই। একজন রাষ্ট্রনায়ক বা সরকার প্রধান পুরো জাতিকে তার শত্রু মনে করবেন, বা শত্রু বানিয়ে ফেলবেন, জনগণের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, জনগণকে বকা দেবেন, সভ্য সমাজে কখনো এটা ঘটতে পারে না।

মাত্র তিনজন ব্যক্তি যদি আগামী ১ মাস মুখ বন্ধ রাখেন, অনেক সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। ঐ তিন ব্যক্তি যদি বিগত দিনগুলোতে চুপ থাকতেন, দেশের এ সাফল্যে মানুষ আজ আত্মহারা হয়ে উঠতো। দুঃখের বিষয়, এখনো তারা যেভাবে যে-সুরে কথা বলছেন, জনমনে রোষ আরো বাড়ছে বই কমছে না। এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক কিছু না।

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকে দেখে খুশি হলুম সোনাবীজ ভাই।

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ১৯৯১ থেকে আমরা যে দুজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, তারা কেউই কূটনীতির ভাষা বোঝেন না এবং জনগণের সাথে কীরূপ আচরণ করতে হবে, কোন ভাষায় কথা বলতে হবে তা তারা শেখেন নি। ---আমাদের দুর্ভাগ্য।

একজন রাষ্ট্রনায়ক বা সরকার প্রধান পুরো জাতিকে তার শত্রু মনে করবেন, বা শত্রু বানিয়ে ফেলবেন, জনগণের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, জনগণকে বকা দেবেন, সভ্য সমাজে কখনো এটা ঘটতে পারে না। ---- বিশ্বের খুব রাষ্ট্রনায়কই আছেন এ ধরনের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। গণতন্ত্রে ঢিবিতে বসে মাননীয়া সকলে ছাড়িয়ে গেছেন ইতোমধ্যে।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনার সহজ চিন্তার লেখা না বুঝার মত সু/য়/র এখনো এই দেশে আছে এবং কমেন্টেই তা দেখতে হল! আফসোস!

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: মানুষ হতে হলে এক্সট্রা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। ইনাদের থেকে তা তিরোহিত হয়েছে। ফলে যা হবার তারা এখন তাই হয়েছে...

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: উপরের দু’একজন খুশি পাচ্ছে আন্দোলন শেষ দেখে! ৬৬ এবং ৬৯-এর আন্দোলনেও জনমনে ক্ষোভ সঞ্চারের পর আন্দোলন থামলেও তৎকালীন সরকারীদলের গুটিকয়েক সমর্থকরা খুশি হয়েছিল, কিন্তু সেই খুশি বেজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি!

মানুষের মনে যে তীব্র ক্ষোভ জন্ম নিল, সেই ক্ষোভ সমস্ত বাংলাদেশকে নতুন করে একত্রিত করেছে!

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: ৬৬ এবং ৬৯-এর আন্দোলনেও জনমনে ক্ষোভ সঞ্চারের পর আন্দোলন থামলেও তৎকালীন সরকারীদলের গুটিকয়েক সমর্থকরা খুশি হয়েছিল, কিন্তু সেই খুশি বেজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি! --- সেই ইতিহাসও তারা জানে না। কিংবা জানলেও হালুয়া-রুটির ভাগ-বাটোয়ারায় ওসব বস্তাপচা ইতিহাসের ধার তারা আর ধারে না। ফলে এত এত উন্নয়ন সত্বেও আইয়ুব গং এখন যে আস্তাকূড়ে এরাও এসময় সেই গুরুর পথেই এগুচ্ছে।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বিদেশে আরামে আছেন তো তাই একটা পোস্ট দিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে পারলেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: আমি তো পোস্ট দিয়ে ক্ষমতাসীনদের জঘন্য আচরণের প্রতিক্রিয়া জানালাম। অনেক বঙ্গালাঙ্গার তো উল্টো লাশকেই দুষছে।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৩৬

এনামেল হউক বলেছেন: চাটার বাচ্চা হাসান কালবৈশাখী খুনী হাসিনারে চাটতে চলে আসছে।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ অন্যায় মানুষের মন থেকে সহজে মুছে যাবেনা।

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: না, কখনই যাবে না। এরশাদকে ছাড়িয়ে নয়া ক্যারেক্টার এখন সামনে। এ নিয়ে এখন অনেক কিছুই হবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সামান্য কথার জন্য এত দিনের সামান্য যে টুকু অর্জন ছিল সেটুকুও ধুলিসাত এখন...

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: না, কখনই যাবে না। এরশাদকে ছাড়িয়ে নয়া ক্যারেক্টার এখন সামনে। এ নিয়ে এখন অনেক কিছুই হবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সামান্য কথার জন্য এত দিনের সামান্য যে টুকু অর্জন ছিল সেটুকুও ধুলিসাত এখন...

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

অরণি বলেছেন: ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর মন্তব্য সুন্দর হয়েছে।

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

প্রহররাজা বলেছেন: এটা ১৯৫২ সাল না, ২০২৪ সাল। রাস্তায় বিপ্লব করে কিছু হবে না। চিন ভারতের প্রভাবে আরব বসন্তের মতো আমেরিকার চাপ কিংবা ইউনুসের লবিং এখানে কোন কাজে আসেনি। একমাত্র ভরসা ছিলো লন্ডন থেকে হুন্ডি করে আসা টাকা, কারফিউ এর জন্য সেটাও ঠিকমতো বন্টন হতে পারলো না।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

নতুন বলেছেন: কিছু সাইকোপ্যাথ আছে যারা ২০০ মানুষের লাশ দেখতে পায় না। তারা দেখে তাদের নেত্রীর চোখে মেট্রোরেলের জন্য কান্না।

গত ১৫ বছরে আয়ামীলীগ সাইকোপ্যাথ, সোসিওপ্যাথের দলে পরিনত হয়েছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: নতুন বলেছেন: কিছু সাইকোপ্যাথ আছে যারা ২০০ মানুষের লাশ দেখতে পায় না। তারা দেখে তাদের নেত্রীর চোখে মেট্রোরেলের জন্য কান্না। --- এ ধরনের আচরণ যারা করছে তাদের ভেতরটা পড়ার চেষ্টা করছি। এরা কী এতটাই নিষ্ঠুর? যে শুধুমাত্র দলান্ধতার জন্য বিবেক বিসর্জন...নাকি আর্থিক কোনো...?

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। বর্তমান এই অস্থির সময়ের দায়ভার বৃহত্তর পরিসরে এই দেশের প্রতিটি মানুষের, কোন একদিন সময় সুযোগ পেলে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইলো। গোল্ডফিশ মেমরীর এই দেশের মানুষেরা এতো নির্মম ঘটনা ভুলে যেতেও খুব বেশী সময় নিবে না, এটাই বাস্তবতা আমাদের সমাজের। শুধু লাভ হলো অমানুষগুলোর ভদ্রতার মুখোশ খুলে বীভৎস কুৎসিত রূপ উন্মোচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাই নিলো আর অন্যদিকে কতগুলো মেধাবী সম্ভাবনাময় তারুণ্য অসময়ে ঝরে গিয়ে প্রমাণ করে গেল এই প্রজন্ম "ফার্মের মুরগী" নয়, তারা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অন্যতম সাহসী, প্রতিবাদী এক প্রজন্ম... যাদের কাছে মাথা নত করে অশ্রুসিক্ত নয়নে পুষ্পাঞ্জলি অর্পন আমাদের সাধারণ প্রতিটি জনগনের পক্ষ থেকে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকে দেখেও ভালো লাগল বোকা মানুষ বলতে চায় ভাই।

বর্তমান এই অস্থির সময়ের দায়ভার বৃহত্তর পরিসরে এই দেশের প্রতিটি মানুষের, কোন একদিন সময় সুযোগ পেলে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইলো। === লিখুন। কালের সাক্ষী হিসেবে থেকে যাবে।

শুধু লাভ হলো অমানুষগুলোর ভদ্রতার মুখোশ খুলে বীভৎস কুৎসিত রূপ উন্মোচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাই নিলো --- যথার্থ...

সব কিছুর শেষ যেমন আছে....এটাও......

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১১

যাযাবর ফররুখ আহমেদ বলেছেন:

"বাতাসে লাশের গন্ধ পাই"
আমরা কি এমন একটা দেশ চেয়েছিলাম। আমাদের পূর্ব পুরুষরা কী এমন দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন? নিশ্চয়ই নয়। মামুলি একটা অধিকার আদায়ের জন্য এত মানুষকে জীবন দিতে হল, যাদের সবাই তরুন, এমনকি শিশুও আছে। এই শৈরাচারের শুধু লাশ হলেই চলবে। দেশের মাটি হলেই চলবে। মানুষ লাগবে না। আজ দেশের গনতন্ত্র হারিয়ে গেল নির্বাচন বলতে কিছুই রইল না। বিচার ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা উঠে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ। সর্বত্র দুর্নীতি। আমরা কোথায় যাব??? তাই, ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই সময়।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখে ভালো লাগলো। আপনার কথার সাথে তাল মিলিয়ে সেই মহামানবের কথাই আমিও কোট করলাম "বঙ্গবন্ধুর কথা দিয়েই শেষ করি, “ …তবে এদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার আদায় করবার জন্য যখন জীবন দিতে শিখেছে তখন জয় হবেই, কেবলমাত্র সময়সাপেক্ষ…।”

আমার মনে প্রশ্ন অবশ্য একটা আছে। অধিকার টা কিসের অধিকার, ভোটের অধিকার? সরকারি চাকরির অধিকার? নাকি ক্ষমতার হালুয়া রুটির অধিকার? আম জনতার একটাই অধিকার চায় " তিন বেলা তিন মুট খাবার সাথে রাত্রীকালীন সুনিদ্রা" এর বেশি অধিকারে আমাদের অম্বল হয়৷ কিন্তু আফসোস ৯০ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত আম জনতার অধিকার নিয়ে একটা পাতাও নড়তে দেখলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.