![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কর্মস্থলে আমাদের কি করা উচিৎ, আমরা কি করছি!!
---------------------------------------------------------
কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, আত্মউপলব্ধিই এ লেখার মূল উদ্দেশ্য।
ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম বলেছিলেন কাজ একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া যা কখনও শেষ হয় না।
সৎ মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা ঠিক সময়ে অফিসে আসেন, কর্তব্য কাজে অবহেলা বা অলসতা করেন না। সরকার ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের অবাধ্য হন না, বিধিসম্মত প্রতিটি আদেশ-নিষেধ আন্তরিকভাবে মেনে নিয়ে তারা চাকরি করেন। ধোকাবাজি, প্রতারণা করা, কাজে ফাকি দেয়া, মিথ্যা বলা- এসব অসৎ গুণাবলি থেকে সৎ কর্মচারীরা দূরে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণেই সর্বদা মনোযোগী থাকেন। চাকরির ক্ষেত্রে বস ও কর্মচারীর সম্পর্কের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার।
ধোকাবাজি, প্রতারণা করা, কাজে ফাকি দেয়া, মিথ্যা বলা- এসব অসৎ গুণাবলি থেকে সৎ কর্মচারীরা দূরে থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণেই সর্বদা মনোযোগী থাকেন। চাকরির ক্ষেত্রে বস ও সাব অর্ডিনেট সম্পর্কের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার। কেননা, প্রতিষ্ঠানের মালিক বা বসের কর্মচারীর অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকা একান্ত কর্তব্য। কর্মচারী নিয়োগের সময় স্বজনপ্রীতি না করা, অযোগ্য লোকদের কাজে নিয়োগ না দেয়া এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কম বেতনে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া উচিত নয়। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, গালমন্দ করা, কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা, তার কথা বা কাজের কোনো মূল্যায়ন না করা ঠিক নয়।
আমাদের দেশে দেখা যায়, অফিস বা প্রতিষ্ঠানের বড় সাহেব বা বস যিনি, তার অনেক দাম। তার কত গর্ব, কত অহঙ্কার। কিছুতে কিছু হলেই চাকরিরত কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, কারণে-অকারণে গালমন্দ করেন, আবার অনেক সময় চাকরিচ্যুত করেন কোনো কারণ ছাড়াই। বস বলে কথা তো, তাই। সবাইকে মনে রাখতে হবে, চাকরিরত সৎ কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই কর্মচারীর সঙ্গে সদাচরণ করা বসের নৈতিক দায়িত্ব।
©somewhere in net ltd.