![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই, আমিত সেই ঘরের মালিক নই।
৫জুলাই শনিবার থেকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক ভিক্ষুক সমাবেশের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে সহস্রাধিক ভিক্ষুকের সমাবেশ ঘটে।
সমাবেশে ‘নবীর শিক্ষা করনা ভিক্ষা’ এই দীক্ষাকে সামনে রেখে করবো না আর ভিক্ষাবৃত্তি আমরা এখন আয়বর্ধক কাজ করি এমন শ্লোগান সম্মিলিত ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে সহস্রাধিক ভিক্ষুকের সমাবেশ ঘটে। ভিক্ষুকদেরকে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্দিকুর রহমান তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন। ক্লিক করুন
শনিবার দুপুরে উপজেলা চত্ত্বরের আম্র কাননে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে হুইপ শওকত চৌধুরী আজ থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন এবং ভিক্ষুকদের ব্যাপারে সার্বিক সাহায্যের প্রতিশ্রতি দেন। জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ৬ই মার্চ যোগদানের পর বিভিন্ন অফিসে ভিক্ষুকের গণউপদ্রব লক্ষ্য করে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেন।
সংসদ সদস্যদ্বয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়, ভিক্ষুক পুনর্বাসন কমিটি গঠন, ভিক্ষুক জরিপ, যাচাই-বাচাই করে গোটা উপজেলায় ৯১৬জন প্রকৃত ভিক্ষুক নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রনীত হয়।
সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় হিসাব নং ৩৪০৭৮৩৩২ ও বিকাশ হিসাব নং ১৭৫২১৪৫৭৫০ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগন ও সর্বোপরি মাননীয় সংসদ সদস্যদ্বয়ের অনুদানে ভিক্ষুক পুনর্বাসন তহবিল গঠনের মাধ্যমে ৯১৬জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন ক্যাটিগরীতে পুনর্বসান করা হয়। এদের মধ্যে ১৩৭ জন ভাতাভোগী ভিক্ষুককে ১৫শ’করে টাকা দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসার উপকরণ ও দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে আয় বর্ধক কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন। ২৩১ জন ভিক্ষুককের অনুকুলে ২ হাজার ৪শত টাকা দিয়ে একটি বাড়ী একটি খামারের সদস্যকরণ। ২৩১ জন ভিক্ষুককে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও ৪০দিনের কর্মসূচীর অন্তর্ভূক্তকরণ। ৫৪৬ জন বয়স্ক ভিক্ষুককে বয়স্ক ভাতা, ২০৯ জন ভিক্ষুককে বিধবা ভাতা ও ৬২ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, উপজেলা পরিষদে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে দু’জন ভিক্ষুককের কর্মসংস্থান সহ অনেক ভিক্ষুককে দু’ধরণের সুযোগ-সবিধা দিয়ে তাদের আর্থিক ও সামাজিক দৈন্যতা দুরীকরণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।
এর পরেও কোন ভিক্ষুকের মৌলিক চাহিদা দেখা দিলে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা পুনর্বাসন কমিটিকে জ্ঞাত করতে হবে অন্যথায় কেউ নেশায় বা পেশায় ভিক্ষা করছে প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সমাবেশে উল্লেখ করা হয়।
এ সমাবেশের মাধ্যমে বক্তারা কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভিক্ষুক পুনর্বাসনে তথা আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার জন্য সকল ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদ প্রেরক- আব্দুর রাজ্জাক রানা
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
গাধা গরু বলেছেন: বাহ ভালো তো