![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই, আমিত সেই ঘরের মালিক নই।
গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অযুহাতে বাস-সিএনজির ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে আরো আগেই। শুধু তাই নয়, ভাড়া আদায় নিয়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যও আমরা দেখেছি। তবে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপে সেই নৈরাজ্য কিছুটা বন্ধ হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনেই হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক আমাদের দিলদরিয়া জনগন তা এখন আর পরিবহন ভাড়া বা সেবার মান নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননা। হয়তো তারা ধরেই নিয়েছেন এসবের আর কোন সমাধান হবেনা, অথবা এসবই গা সওয়া হয়ে গেছে। যাই হোক আজকে আমি পরিবহন ভাড়া কম-বেশি কিনা তাই নিয়ে বলবনা। সেবার মান নিয়ে কিছু বলতে চাই।
অফিস টাইমে বা অন্যকোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে, বাদুর ঝোলা হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও সেবার মান কিন্তু বাড়েনি এতটুকুও। বরং কমেছে।
রাজধানীতে যত ধরনের গণপরিবহন রয়েছে সেগুলোতে না উঠলে কেউ ধারণাও করতে পারবেনা কত রকমের ভোগান্তি হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অপরিচ্ছন্ন ও ময়লাযুক্ত সিট। যদিও আমাদের খুব কম লোকই বসার স্থান পায়। বেশিরভাগ সময় দাড়িয়ে বা ঝুলেই চলাচল করতে হয়। তবুও যারা বসার সুযোগ পান তাদের খুবই অস্বস্তিতে থাকতে হয়। তাছাড়া বসার স্থান এতোই সরু ও কম যে দুইজনতো বসাই যায়না তার উপর ঠিকমত পা ফেলেও বসা যায়না। বাসের মেঝেতেও থাকে বিস্তর ময়লা।
যেহেতু আমাাদের দেশের রাস্তাঘাটগুলো ধুলায় ধুসরিত সেহেতু ধুলাবালি থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপরেও যদি নিয়মিত পরিস্কার না করে তাহলে এর পরিণতি কি হতে পারে তা তো ভুক্তভোগীরাই দেখছে। এসব নিয়ে যাত্রী সাধারণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর আর মনে রাখেননা বা বলার মতো উপযুক্ত যায়গা পাননা।
যাই হোক আমাদের মাননীয় দুই মেয়র সাহেবকে দেখলাম তারা ক্লীন ও সুন্দর ঢাকা গড়তে বেশ তৎপড়। তারা কখনো ড্রেন পরিস্কার করতে, বাড়ি নতুন করে রং করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আবার কখনো কখনো দেখছি নিজেরাই ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তাদের এমন কর্মতৎপড়তা আমাদেরকে আশান্বিত করেছে।
তাই আমি মাননীয় দুই মেয়র সাহেবকেই বলব, প্লীজ...এবার একটু গনপরিবহনের পরিবেশের দিকে নজর দিন। আপনাদের নিজেেএসে এসব করতে হবেনা। বা কোন বাজেটও বরাদ্দ দেয়া লাগবেনা। শুধু মাত্র একটি নির্দেশনা চাই। বাস মালিক-চালকদের একটা নির্দেশনা দিন তারা যেন অন্তত প্রতিদিন তাদের গাড়ীগুলো পরিস্কার করে রাস্তায় বের করে। তাতে আশা করি পুরো নগরবাসী স্বস্তি অনুভব করবে।
আর সম্ভব হলে ঢাকার জন্য একটু সম্প্রসারিত গাড়ি নামানোর ব্যাবস্থা করবেন। গাড়ীতে নির্দিষ্ট সিটের বাইরেও আমাদের যাত্রীদের উঠতে হয়।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইফতেখার রাজু বলেছেন: আপনি গণপরিবহন বানানটার দিকে একটু নজর দিন।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এদিকে নজর দেয়ার কেউ নেই।
মানুষ যেভাবে বাদুরঝুলা হয়ে যাতায়াত করে, দেখে কষ্টই লাগে।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: আমাদের গন পরিবহনের অবস্থা দেখলে মনে হয় এতিম একটি ব্যবস্থা চলছে যার কেউ নাই দেখার।
দুখ হয় সাধারন জনগনের জন্য যা কি না তাদের একটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকায় ৫২ সিটের বড় বাস ছাড়া কোন মিনিবাস রুটপার্মিট দেয়া হবেনা, ১০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
এরপরও কথিত সরকারপন্থিদের ছত্রছায়ায় মিরপুর সহ কিছু রুটে অনেকগুলো মিনিবাস নেমে রুটপারমিট পেয়েছে।
এগুলোর রুটপারমিট লোকাল হয়ে থাকলেও পিক টাইমে এগুলো কথিত "ডাইরেক্ট" হয়ে উচ্চ ভাড়া নেয়া হতে থাকে।
আসলে ঢাকায় সকল লোকাল ও এক্সপ্রেস বাস দোতালা হওয়া উচিত।
ঢাকার বাসরুট নিয়ে আমার একটি লেখা - পড়ুন - রাস্তা দখল করে বাস ডিপো। ত্রুটিপুর্ন বাসরুট, একটি প্রস্তাব
রাস্তা দখল করে বাস জট। ত্রুটিপুর্ন বাসরুট, একটি প্রস্তাব
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। কিন্তু সারাদিনের কাজ শেষে বাড়িই ফিরতে পারি না---অসহ্য যানজটের কারণে !! মনে হয়, এ থেকে মুক্তি দিতে পারে--একমাত্র মৃত্যুই !!
তার উপর আবার, গণ পরিবহনের পরিবেশ !!! গণ পরিবহন চাই--বেশী বেশী.......
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১
মাে:শরিফুল ইসলাম রাহাত বলেছেন: ভাইয়া আপনি যত লিখা লিখি করেন না কেন মেয়রদের চোখে এইটা পড়বে না ।ওরা কালো চশমা পরে এইগুলো এডিয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আর্ময়লা আর্পরিষ্কার এগুলা নিয়া মাথা ঘামায় কে? অফিস্টাইমে দৌড়াইয়া লাফাইয়া কুনোমতে একটা রড ধর্তার্লেই নিজেরে সৌভাগ্যবান্ভাবি।