নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া যাযাবর, আমার নেই কোন ঘর।

দেশের মালিক

পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই, আমিত সেই ঘরের মালিক নই।

দেশের মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেশা হিসেবে ‘রাজনীতি’ ও কতিপয় প্রশ্ন

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২


জীবিকার তাগিদে আমাদের কোন না কোন কর্ম করতেই হয়। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই আমাদের বিচরণ। এর মধ্যে কেউ মালিক কেউ শ্রমিক। এর মধ্যে আমরা যে ব্যাক্তি যে ধরনের কাজ করি সেটাকে আমাদের পেশা হিসেবে উল্লেখ করি। তাছাড়া ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত প্রায় আড়াইশতাধিক পেশার নাম আমরা জানি। এত শত পেশার মধ্যে একটা মহান পেশার নাম আমরা জানি রাজনীতি। বাস্তবে এই পেশার সম্পর্কে কারো সম্মক ধারনা না থাকলেও প্রায়সই আমরা অনেক নেতা-নেত্রীর পেশা পরিচয়ে রাজনীতি শব্দটা দেখতে পাই। রাজনীতিবিদদেরে আমরা সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখেই দেখি। কারন দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে দেশের উন্নতি অগ্রগতি তাদের দুরদৃষ্টি নেতৃত্বের কারনেই হয়ে থাকে। দেশের স্বাধীণতা সার্ভভৌত্ব এমনকি সাধারণ মানুষের সুখ, দু:খ নিয়ে তারাই ভেবে থাকেন।
তারপরেও পেশা হিসেবে রাজনীতিকে ব্যাবহার করা আমার কাছে নীতি বহির্ভূতই মনে হয়। কারন আমাদের বর্তমান পূজিবাদী সমাজ ব্যাবস্থায় পেশাকে মূলত অর্থনৈতিক হিসেবেই দেখে থাকি। যার কারনে আমি দেখেছি প্রায় প্রত্যেক ধরনের পেশাজীবির মধ্যেই তাদের নিজ নিজ পেশা বা কর্ম অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। যেমন বর্তমানে সব শিক্ষিত তরুন যুবকেরই ঝোক ব্যাংকিং সেক্টরের দিকে। তারা মনে করে একজন ব্যাংকার মানে অনেক টাকা। কিন্তু এই ব্যাংকার কর্মজীবিদেরই অনেকের মধ্যে আমি হতাশার ছাপ দেখেছি। তারা মনে করে পরিশ্রম ও কর্মঘন্টা অনুযায়ী তারা যৎ সামান্যই সুবিধা পেয়ে থাকে। তাছাড়া বর্তমানে সরকারি চাকরীতে পে-স্কেল দ্বিগুন হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশার পরিমান দ্বিগুন হয়েছে। অথচ নিজেদের পেশাগত সন্তুষ্টি নিয়ে অসন্তোষ্টি রয়েছে খোদ সরকারি কর্মচারিদের মধ্যেও। কয়েকদিন আগে সরকারি কোন এক দপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলাম বিষয়টি নিয়ে যিনি এর আগে একটি ব্যাংকে চাকরী করতেন। তিনি নিজেও তার বর্তমান অবস্থানে অসন্তুষ্ট। যাই হোক সেদিকে আমরা আর যেতে চাইনা।

এতো কথা বললাম এই জন্যে যে আসলে আমরা সবাই যারা যার পেশাকে মূল্যায়ন করে থাকি অর্থনৈতিক সুবিধার দিক থেকে। আমাদের সমাজে সেই ব্যাক্তিকেই বেশি মূল্যায়ন করা হয় যিনি অর্থনৈতিক মানদন্ডে ভালো অবস্থানে আছে। তো যাই হোক কথা বলছিলাম রাজনীতি কি পেশা হতে পারে কিনা? এই বিষয়ে।
আমার দৃষ্টিতে যেহেতু সব ক্ষেত্রেই পেশাকে মূল্যায় করা হয় অর্থনৈতিক মানদন্ডে। সেহেতু রাজনীতিতেও টাকার যোগান থাকতে পারে। কিস্তু কিভাবে। তা আমার বোধগম্য নয়। যেহেতু এই পেশায় নিয়োজিতদের আয়ের উৎস খুবই যত সামান্য। (যদিও দলীয় ভাতা কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা ছোড়া কেউ পায়না।) এমতাবস্থায় তারা তাদের পরিবারের ব্যায় ভার বহন করেন কিভাবে?? এটা শুধু আমার একার প্রশ্ন না এমন প্রশ্ন আমার মতো হাজারো নাগরিকের।
এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়েছিলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কাছে, শুধু মাত্র রাজনীতি কারো পেশা হতে পারেনা। আদর্শ গত কারনেই রাজনীতি করতে হয়। তার মতে যারা রাজনীতি করেন তাদের এর পাশাপাশি অন্যকোন পেশাও থাকা উচিত।
এছাড়াও আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের কাছেও এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাও একই মত দিয়েছেন।

আর তাদের মতে রাজনীতিত দের বিকল্প পেশা বা আয়ের উৎস না থাকার কারনে অনেক অসৎ লোকই এর সুযোগ নেয়। তারা আদর্শের দ্বার ধারেনা। তারা এটিকে নিজেদের অবৈধ আয়ের বৈধ পন্থা হিসেবে গ্রহন করে। কিন্তু এভাবেতো চলতে দেয়া যায়না। এসব অসৎ, ভন্ড, ও বাটপারদের হাত থেকে রাজনীতিকে রক্ষা করতে হবে। আর এ উদ্যোগ নিতে হবে রাজনীতি বিদদেরই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: শুধু মাত্র রাজনীতি কারো পেশা হতে পারেনা। আদর্শ গত কারনেই রাজনীতি করতে হয়। তার মতে যারা রাজনীতি করেন তাদের এর পাশাপাশি অন্যকোন পেশাও থাকা উচিত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

দেশের মালিক বলেছেন: হুম...ঠিক বলেছেন

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

বিজন রয় বলেছেন: রাজনীতি এখন কলুষিত কয়েকজনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.