নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া যাযাবর, আমার নেই কোন ঘর।

দেশের মালিক

পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই, আমিত সেই ঘরের মালিক নই।

দেশের মালিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাংস ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধান হবে, ভোক্তাসমস্যার সমাধান হবেকি ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির দাবি দাওয়া মেনে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ঢাকার দুই মেয়রের সঙ্গে কথা বলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। মাংশ ব্যাবসায়ীদের জন্য খবরটি অত্যান্ত আশাব্যাঞ্জক। কারন অনেকদিন ধরেই তারা তাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার রয়েছে। ঘাটে ঘাটে চাদাবাজি, আর ইজারাদারদের অব্যবস্থাপনাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই খাতটি। নির্দিষ্ট নীতিমালা হলে হয়তো তারা স্বস্তি পাবে। কিন্তু একজন সাধারণ ভোক্তা হিসেবে আমরাকি শংকামুক্ত হতে পারছি ?? আমরাকি স্বস্তি পাবো??
যে দিন থেকে বুঝতে শিখেছি, সেদিন থেকে দেখে আসছি কিভাবে বেড়ে চলেছে মাংশের দাম। সেই ৬০ টাকা থেকে শুরু..এখন ৫’শ থেকে সাড়ে ৫’শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অথচ বাজারে সব ধরনের নিত্যপন্যের দামই বাড়ে আবার ক্ষনে ক্ষনে কমেও। সবকিছু মিলিয়ে দাম বাড়া-কমার একটা ব্যালান্সের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বিপরীতে বাজারে মাংশের দাম কমেনি কখনো।
কিছুদিন আগেও গত ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তখন তারা জানিয়েছিল, তাদের দাবি দাওয়া বন্ধ হলে মাংশের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেদিনের কয়দিনের ধর্মঘটের পরে বাজারে মাংশের দাম আরো বেড়ে গেল। হয়তোবা তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়নি।
ওই ঘটনার আড়াই মাস পর রোববার আবারও ব্যাবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান হলে গরুর মাংস ৩০০ টাকা কেজি আর ছাগলের মাংস ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যাবে।
আমরা তার এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে চাই। কিন্তু মন্ত্রনালয়ে মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর সংঙ্গে ব্যাবসায়ীদের যে বৈঠক হয়েছে, তাতেকি ভোক্তা সাধারনের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ?? নাকি আগামী রমজানে ব্যাবসায়ীদের কর্ম বিরতিতে যাওয়ার হুমকিতে ভীত হয়েই থাকবো।
তাই মাননীয়মন্ত্রী মহোদয়, মেয়র দ্বয় তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ব্যাবসায়ীদের সাথে বৈঠকে ভোক্তাসাধারনের স্বার্থও যেন অক্ষুন্ন থাকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৪

রুমি৯৯ বলেছেন: আরে ভাই ভোক্তারা কি মানুষ নাকি?

২| ০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

মানবী বলেছেন: দূর্নীতিগ্রস্ত দেশের সাধারণ মানুষও দুর্ভোগের শিকার হবে সবচেয়ে বেশী এমনটাই স্বাভাবিক তাই ভোক্তাদের দূর্গিতর সীমা নেই তোতদিন যতোদিন তারা নিজেরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে থেকে দূর্নীতি সমূলে উৎপাটনে সচেষ্ট হবে!

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার "চাঁদাবাজ গোষ্ঠি"- এমন কোন সরকার যদি কখনও হয় যে চাঁদাবজির ব্যাপারে "জিরো টলারেন্স" দেখাবে সেদিন এদেশ দূর্নীতিমুক্ত হবে। সেদিন আর ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে নামতে হবেনা, ভোক্তাদেরও ভাবতে হবেনা।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দেশের মালিক!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.