নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন ও সমাজ নিয়ে আমার ভাবনার ভিত্তি মূলত দর্শনশাস্ত্র, বিশেষত স্টোয়িক দর্শনের ওপর গঠিত। আমি বিশ্বাস করি আত্মনিয়ন্ত্রণ, প্রজ্ঞা, এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা একজন মানুষের প্রকৃত শক্তির উৎস। আমি একজন সেকুলার মানুষ—যে যুক্তি, মানবিকতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুমসডে ক্লক মানবতা সর্বনাশের প্রহর গুনছে

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

মূল প্রতিবেদন আলেক্সান্দ্রা উইটসে, নেচার.কম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভুল তথ্যের যুগে পরমাণু যুদ্ধ এড়ানোর পথ

ডুমসডে ক্লকের হাড় কাঁপানো সতর্কতা:
বিশ্বখ্যাত ডুমসডে ক্লক এখন মাত্র ঊননব্বই সেকেন্ড দূরে মধ্যরাত বা সর্বনাশের মুহূর্ত থেকে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়। জলবায়ু সংকট ও জৈবিক অস্ত্রের পাশাপাশি পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা এই বিপদের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া চীন ভারত পাকিস্তান উত্তর কোরিয়া ও ইরানসহ পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা নজিরবিহীন।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিকৃত তথ্য নতুন মাত্রার হুমকি
স্নায়ুযুদ্ধের সময় পরমাণু ভারসাম্য মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান বহুপাক্ষিক বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মিথ্যা তথ্য এই ঝুঁকিকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিডিও ও অডিওর মাধ্যমে নেতৃবৃন্দ ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন গুজব ও বিকৃত তথ্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা ভুল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হামলা চালাতে পারে একটি এআই প্রক্রিয়ায় তৈরি মিথ্যা সংকেত বা তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্তই বিশ্বকে পরমাণু ধ্বংসযজ্ঞের দিকে ঠেলে দিতে পারে

পারমাণবিক যুদ্ধের নতুন সমীকরণ :
স্নায়ুযুদ্ধের সময় পারস্পরিক নিশ্চিত ধ্বংসের নীতি কিছুটা স্থিতিশীলতা এনে দিলেও বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন। ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে যা পুরো পৃথিবী ধ্বংস না করলেও ভয়াবহ ক্ষতি ঘটাবে কূটনৈতিক যোগাযোগের অভাব দেখা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী গোপন আলোচনার চ্যানেলগুলো এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞানীদের জরুরি পরামর্শ
সম্প্রতি শিকাগোতে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ও নিরস্ত্রীকরণ বিশেষজ্ঞদের এক সম্মেলনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক আলোচনা জোরদার করতে হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের ওপর স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে মানবিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে কোনো অবস্থাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরমাণু হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া যাবে না ভুল তথ্য মোকাবিলায় সরকার গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

উপসংহার তৃতীয় পারমাণবিক যুগের চ্যালেঞ্জ
প্রথম যুগ ছিল স্নায়ুযুদ্ধের লড়াইয়ের সময়কাল দ্বিতীয় যুগ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আপেক্ষিক স্থিতিশীলতার সময় তৃতীয় যুগে দেখা দিচ্ছে বহুপাক্ষিক উত্তেজনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও তথ্য যুদ্ধ যেখানে একটি ভুল সিদ্ধান্তই সভ্যতার সমাপ্তি টানতে পারে এখনই
সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও কূটনীতির সমন্বয় সাধন করতে হবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিগুলো পুনরায় সক্রিয় করতে হবে সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে।

সতর্কবার্তা
একটি মাত্র পারমাণবিক বিস্ফোরণ শুধু লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবে না বরং এর ফলে সৃষ্ট পারমাণবিক শীতকাল মানবসভ্যতাকে আবারও অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে পারে। আমাদের হাতে সময় খুবই সীমিত এবারই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত সময়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম ।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৩:৪৩

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.