নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা এবং সমসাময়িক

কবি আলমগীর গৌরিপুরী

আ‌মি নি‌জে‌কে একজন ক‌বি দাবী ক‌রি । কারন ক‌বিতা আমার প্রা‌ণের স্পন্দন , ত‌বে গল্প আমার ম‌নের খোরাক ।

কবি আলমগীর গৌরিপুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইদুঁরের একতা তথ‍্য ফাঁস

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০


আমার ঘরে ইদুঁরে খুব উপদ‍্রব শুরু করেছে। তাই আমি একটা বিড়াল ভাড়া করে এনেছি । যাতে ইদুঁর গুলোকে আচ্ছা করে ধোলাই দেয়। কিন্তু যা ঘটল তা আমি বর্ননা করছি।
বিড়ালকে দেখে ইদুঁরগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। একদলে ইদুঁরের সংখ্যা কম। অন‍্যদলে বেশি। কমদলের ইদুঁর গুলো বিড়ালের কাছে গিয়ে বলছে বিড়াল মশায় আমাদেরকে মারবেন না । আমরা সংখ্যা লঘু। বিড়াল তো বিড়ালেই তার দরকার ইদুঁর । কে সংখ্যা লঘু, কে সংখ্যা গরিষ্ঠ এইটা কি তার চিন্তার বিষয় নাকি?
যখন সংখ্যালঘু কয়েকটা ইদুঁর বিড়ালের কাছে আসল, বিড়ালতো মহাখুশি, যাক কষ্ট থেকে বাঁচা গেল। তা নাহলে কতক্ষণ যে ঔৎপেতে বসে থাকতে হতো! কাছে আসতেই একটা ইদুঁরকে মেরে ফেলল। অন‍্য ইদুঁররা অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলো। বিড়াল মশায় এটা কি করলেন? আর দুর তোমরা রাগ করছো কেন? তোমরাতো ঠিক আছো? অন‍্যইদুঁরগুলো উত্তর দিল : জ্বি ! আমরা ঠিক আছি। তাহলে এত চিন্তা কিসের,আর আমার মাথাটা একটু গরম ছিল তার সাথে আবার মালিককে শান্তনাও দিতে হবে । তাই মেরে ফেলেছি। তবে তোমরা বাকি সংখ্যা লঘুদের বুঝাবে, একে সংখ্যা গরিষ্ঠরা মেরে ফেলেছে। তাহলে তোমাদের আর কোন ক্ষতি আমার দ্বারা হবেনা। তারা বাকিদের বুঝাতে সংখ‍্যা গরিষ্টদের দালালী মিডিয়া গুলোকে ব‍্যবহার করলো। সবাই বুঝালো যে, তাদের সহপাঠীকে সংখ্যা গরিষ্টরাই মেরেছে। কারন তাদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই, বিড়াল আরো একটি ইদুঁর মেরে ফেললো। বাকিদের আগের মত বুঝালো। তারা এবার আর সংখ্যা গরিষ্ঠ দালাল মিডিয়া ব‍্যবহার না করে সমাজের বুদ্ধিজীবি সংখ্যালঘুদের কাছে গিয়ে সব খুলে বলল।
বুদ্ধিজীবীরা এই বিষয় নিয়ে, সংখ্যা গরিষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের সাথে মিটিং করলো। সংখ্যা গরিষ্ঠদের নেতা বললো- শুনেন মনোযোগ দিয়ে, আমরা ইদুঁরের জাত। আমাদের বন্ধু আমরাই। বিড়াল হচ্ছে আমাদের চিরশত্রু। বিড়াল কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে না। আমরা কেন আমাদের অন‍্য ভাইদের মারবো? তাতে আমাদের কোন লাভ আছে কি? সকল সংখ‍্যা লঘুরা ভাল ভাবে বুঝতে পারলো। তারপর তিনি আরও বললেন,দেখ আমাদের সমাজকে জুলুমবাজ বিড়ালের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে একসাথে জুলুমবাজ বিড়ালের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তাহলেই কেবল আমরা সবাই বেঁচে থাকতে পারবো। তা না হলে এক এক করে সবাইকে জুলুমবাজ বিড়ালের হাতে প্রাণ দিতে হবে।
সকলেই বুঝতে পারলো কোথায় তাদের সমস‍্যা ছিল।
এবার প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। বিড়াল ঔৎ পেতে বসে আছে, আজ আর কোন ইদুঁর কে পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছুক্ষণ পর দেখতে পেল ইদুরেরা দল বেঁধে আসছে বিড়াল এবার ভয়ে পালালো।
ইদুঁরেরা বেজায় খুশি। তারা এখনো আমার ঘরের সিলিং এর কর্কশীট গুলো কাটছে মনের আনন্দে। বিড়াল যে গেল আর কোনদিন এই বিড়ালকে আমি দেখেনি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৬

বাতাস০০০১ বলেছেন: আমাদের দেশের সাম্প্রদায়ীকতা আসলে একটি রাজনৈতিক সৃষ্টি।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

কবি আলমগীর গৌরিপুরী বলেছেন: আমিও একমত,







িঈ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.