![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে একজন কবি দাবী করি । কারন কবিতা আমার প্রাণের স্পন্দন , তবে গল্প আমার মনের খোরাক ।
বাহিরে কি অনেক ঠান্ডা?
এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক এবং কমন একটা প্রশ্ন।
কম্বল অথবা ল্যাপের নীচে শুয়ে শুয়ে অনেককেই এই প্রশ্নটা করতে শুনা যায়।
যদি বলা হয় ,"হ্যা বাহিরে প্রচন্ড ঠান্ডা"।
তখন ঠান্ডার তীব্রতার কথা শুনেই কম্বলের পুরুত্ব বেড়ে যায়, শুরু হয় তিন স্তর নিরাপত্তা বেষ্টনী, মাথায় মাংকি টুপি, হাতে পায়ে পশমী মোজা । কম্বলের নিচ থেকেই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলি " ও হু হু হু এত ঠান্ডা, মনে হয় এবার শীতে মারাই যাব" ।
কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখলে মনে হয় মরবো না,
কারন যেই মুহুর্তে শীতের তীব্রতার কথা শুনেই আমরা তিন স্তর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে
আবদ্ধ ঠিক সেই সময়ে ফুটপাতে, রাস্তার পাশে, বস্তিসহ সারাদেশের অনেক গরিব মানুষ প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য হয়ত পাতলা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে শুয়ে আছে। কেউ হয়তো তাও পাচ্ছে না,
হয়তো কোন মা নিজের কাঁথা সন্তানের গায়ে দিয়ে নিজের কথা চিন্তা না করে তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
এভাবেই আমাদের আশেপাশের গরীব শীতার্ত মানুষগুলো শীতের তীব্রতাকে মোকাবেলা করে চলছে। তাদের এই মোকাবেলাকে একটু সহজ করার জন্য আমাদের কি এগিয়ে আসা দরকার না? ১৬ কোটি মানুষের দেশে আমাদের প্রয়াস হয়ত নিতান্তই ক্ষুদ্র। কিন্তু সবাই যদি সবার জন্য এগিয়ে আসি তাহলে সকল শীতার্ত মানুষের শীতের কষ্টকে কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব। আসুন আমরা শীতার্ত মানুষগুলোর সহযোগীতায় নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করি।
মানবতা তো এই কথাই বলে "সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
©somewhere in net ltd.