নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশপ্রেম ছাড়া; দেশ ও জনগণের উন্নতি কামনা করা যায় না।

মজুমদার আলমগীর

মজুমদার আলমগীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পদঃ মানব সম্পদ

২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

২০০ বৎসর শাসনের পর ১৯৪৭ সালে চলে গেল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তথা বৃটিশ। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হল ভারত উপমহাদেশ- পাকিস্তান, ভারত নামে। ২০০ বছর ইংরেজদের শিকলের বেড়ির মধ্যে ছিল ভারত উপমহাদেশ; বৃটিশদের অত্যাচার নিযার্তন শিকল থেকে স্বাধীন হলো। ভারতে থেকে স্বাধীন হলো পাকিস্তান; পাকিস্তান থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলো পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ নামক একটি ছোট ব-দ্বীপ রাষ্ট। বৃটিশ থেকে ভারত উপমহাদেশ; ভারত থেকে পাকিস্তান; পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া একটি সূত্রে গাঁথা -তা হলো ক্ষমতার দ্বন্দ নতুবা জুলম-অত্যাচারের শিকার। “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, জিয়ারউর রহমানকে হত্যা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় অসংখ্য লোকজন হত্যা, বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকান্ড এবং যুদ্ধাপরাধ ইস্যু” সবই কিন্তু একই সূত্রে গাঁথা। যতগুলো রাজনৈতিক অনাকাংখিত ঘটনা ঘটল সবগুলোর সূত্র একই। সূত্র একই কিন্তু আমরা জাতিগত ভাবে বিছিন্ন। জাতিগত ভাবে এক হলে আমাদের এতগুলো সূত্র মুখস্থ করতে হতে না। আমাদের পক্ষে এই সুত্রগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আমাদের জাতিগত বিভেদ স্ব-মূলে নির্মূল হয়ে যাবে; এটাই স্বাভাবিক।
আজ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের নেতৃত্ব বিশ্বের মাঝে বিভিন্ন জায়গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিশেষত যে ইংরেজরা আমাদের খেকশিয়ালের মত লালন পালন করেছে; করেছে আমাদের উপর অনেক অত্যাচার নিযার্তন, তাদের দেশেও আমাদের নেতৃত্ব রয়েছে। এখন শুধু বাকি যে পাকিস্তানিরা আমাদের উপর জুলুম-নিযার্তন করেছে তাদের দেশে আমাদের নেতৃত্ব দেওয়া, সাথে রয়েছে ভারত সেখানেও আমাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্টা করে বুঝিয়ে দিতে হবে আমাদের পক্ষ অনেক কিছুই সম্ভব, যা অন্যদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমাদের জাতিগত বিভেদ ভূলে গিয়ে ঐক্য আসা একান্ত জরুরী। তা না হলে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের রয়েছে প্রাকৃতি ভূ-সম্পদ। গ্যাস, কয়লা, তৈল, স্বর্ন, চীনা মাটির পাহাড়, ইউরেনিয়াম। উল্লেখ্য আমাদের দেশে চীনা মাটি থাকতে এখনো এই কাঁচা মাল বিদেশ থেকে আমাদানি করতে হয়। ইউরেনিয়ামে বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যতম। এক গ্যালন ইউরেনিয়াম দিয়ে বাংলাদেশের ১ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আজ বিশ্ব ইরানকে ভয় পাওয়ার কারণই হলো ইউরেনিয়াম; যা ইরান মজুদকরণ করে চলছে। ইরান যদিও বলে আসছে তারা এই কর্মসূচি তাদের দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য করছে কিন্তু বিশ্বশক্তিগুলো এতে আশ্বস্ত হতে পারছেনা। তাদের বারবার অভিযোগ ইরান এই উপাদান পরামানু কর্মসূচিতে প্রয়োগ করছে। পাকিস্তানে জাতিগত দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণেই হলো এই ইউরেনিয়াম। বিশ্ব শক্তিগুলো তাদের মধ্যে বিভেদ ঢুকিয়ে দিয়েছে যাতে করে তারা এই বিভেদ নিয়ে ব্যস্ত থাকে; ইউরেনিয়াম কর্মসূচিতে কারযকারী পদক্ষেপ না নিতে পারে। এই ইউরেনিয়াম হলো পরামানু বোমার প্রধান উপাদান। কুমিল্লার লালামাই পাহাড়ে রয়েছে তৈলের খনি; যা শিসা দিয়ে ঢালাই করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ গ্যাস যে ভাবে অপচয় করছে তাতে পরের বছরও ঐ গ্যাস ব্যবহার করলেও শেষ না হওয়ার কথা। পাইপ লাইন না টেনে গ্যাসকে বোতলজাত করে কমমূল্যে সরকারী ভাবে গ্যাস সরবরাহ করলে গ্যাসের এই অপচয় দূর করা সম্ভব। পক্ষান্তের বেসরকারী ভাবে বিভিন্ন কোম্পানী গ্যাস সরবরাহ করছে অনেক উচ্চ মূল্যে।
আমাদের দেশের সরকার যদি আস্তে আস্তে এই সকল প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগায়। তাহলে আমাদের দেশের যে বেকার জনগোষ্টি রয়েছে তারা তখন সম্পদের পরিণত হবে। বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে। পক্ষান্তরে আজ আমরা বেকার জনগোষ্টিকে ভয় পাই। ভয় পেলেতো সমাধান হবে না। হয় এই বিশাল জনগোষ্টিকে হত্যা করে ফেলতে হবে নতুবা কাজে লাগাতে হবে। আর কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আছে তাহলে কিসের এত ভয়। মালেশিয়ার রূপকার ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষের রয়েছে ২৮ কোটি হাত; এই হাতগুলোকে কাজ লাগালে বেকার আর বেকার থাকবে না, বেকার হয়ে যাবে জনসম্পদে রূপান্তর।
আমাদের রয়েছে অনেক সম্পদ। আমাদের সবকিছু আছে। আমরা ইচ্ছা করলে আমাদের রাস্তা ঘাট স্বররন-রৌপার ঢালাই দিয়ে করতে পারি। শুধু মাত্র একটি জিনিস বড় অভাব- তা হলো আমাদের নৈতিক চরিত্র(Main Character)। আমরা যত দিন পর্যন্ত এই চরিত্রে অর্জন করতে পারব না, ততদিন আমরা উন্নয়নের আশা কিভাবে করতে পারি? আর এই ভাবে অনেক শিক্ষিত বেকার ঝড়ে পড়ে হতাশা বেড়াজালে। শুরু করে ধান্ধা নামক ব্যবসা!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.