![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে হবে বিচারকঃ সবাই যখন ধর্ষক
জৈনক ব্যক্তির ফসলের ক্ষেত; ফসল নষ্ট বা খেয়ে ফেলল এক রাখালের একটি ষাঁড়। জমির মালিক ভাবল বিচার দিবে বিচারকের কাছে। কিন্তু যখন বিচারকের বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা করল; পথিমধ্যে দেখল ঐ বিচারকের সাহেবের আরেকটি ষাঁড় আরেকটি ক্ষেত থেকে ফসল নষ্ট করতেছে। জমির মালিক ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল; এখন কি করি? যাও একটি ক্ষতিপূরণের আশা করেছিলাম; এখন দেখছি ক্ষতিপূরণ পাওয়া দূরে থাক, উল্টো জরিমানা গুনার উপক্রম হয়েছে। আরেকদিন জমির মালিক রাস্তায় হাটতেছে চোখের পড়ল একটি দৃশ্য পোষ্টার-ব্যানার নিয়ে কিছু লোক মানববন্ধন করছে, সেখানে ঐ বিচারকও উপস্থিত এবং তিনি হলেন প্রধান অতিথি। মানববন্ধনের বিষয়বস্তু- “কৃষকদের অধিকার নিশ্চিত হোক; তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক”।
একটি খোসা বিহীন আম এবং আরেকটি খোসাসহ আম; কোনটিতে মাছি আগে পড়বে। একটি আম খোলামেলা রেখে দেন; দেখেন কি হয়? –মাছি কি তাতে ধরবে না? এখন মাছির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চারদিকে বন্দুক/কামান দিয়ে কি লাভ? কয়টা মাছি মারবেন? পূর্ণজন্মভাবে আসতেই থাকবে। আমটিকে ভালো একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখলে এর থেকে কিছুটা হলে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম দিকে চোখ দিলে দেখা যায় নারী শুধু ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে! নারীকে উত্যক্ত করা হচ্ছে; নির্যাতন করা হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। ধর্ষণকারী, উত্যক্তকারীকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য যারা এই কর্মসূচিতে আসছে তারা কি কখনও বলতে পারবে; তারা কখনও এই শিরোনামগুলোর সাথে নিজের ইচ্ছায় সম্পৃক্ততা হয়নি? বড় সমস্যা হলে তারা যখন নিজেরাই এই কাজগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে করে যায় বা ছেলেদের উৎসাহ প্রদান করে; তখন আর এগুলো ধর্ষণ হয়না, হয়না ইভটিজিং বা উত্যক্ত করা। তারা যখন নিজের ইচ্ছামত ছেলেসঙ্গী নিয়ে ঘুরে ফিরে সব উপভোগ্য করে তখন তা Rape (ধর্ষণ) হয়না wrap (কোন কিছু ঢেকে ফেলা)হয়। তাদের অবস্থা এমন হয় - অপরিচিত কোন ব্যক্তি বা জোরপূর্বক কোন ব্যক্তি উপরোক্ত কাজগুলো করলে সে অপরাধী হয়ে যায়। সে হয়ে যায় ধর্ষক বা ধর্ষনকারী।
আজকালের মেয়েদের আঁটসাঁট পোশাক; যৌন কর্মীর মত করে নিজেদের ফুটিয়ে তোলে। যে ভাবে চলাফেরা করে; আমাদের (কলুষিত) যুবসমাজ তাদেরকে রাস্তায় যে কিছু করেনা, তাতে তো ওদের ভাগ্য ভালো। নিজকে যৌন কর্মীর মতো করে ভাব ফুটাবে আর (কলুষিত) যুবকের কিছু করতে পারবে না। আবার বিচারের দাবিতে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ এবং মানববন্ধন করে। এই ভাবেতো প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
আজকাল যতগুলো ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে; কখনো বিশ্লেষণ করেছেন? বিশ্লেষণ করলে আপনার বিবেক ধর্ষকদের বাহবা দিতে সদা প্রস্তুত হয়ে যাবে। চিলে কান নিয়ে গেছে তার পিচু কেন দৌড়াবেন অযথা কেন সময় নষ্ট করবেন; আগে দেখে নিন কানে আছে কিনা পড়ে চিলের পিছে দৌড়ান। আজ নারীরা যদি তাদের উপযুক্ত ক্ষেত্রে আসীন না করতো তাহলে কি ধর্ষকেরা সাহস পেত? অথবা তারা কি অভ্যস্ত হতো? আজ একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা হয়ে চলছে, কিন্তু কমেছে কি বা কয়টি ঘটনার প্রতিকার হয়েছে? দিন দিন তো তা আনুপাতিক হারে বেড়ে চলছে। এর একটি বিহিত করা দরকার নয়? কারা করবে বিহীত, কারা করবে সমাধান? খোজ নিয়ে দেখেন সমাজের অনেক কর্ণদ্বার তারাইতো স্ব-ইচ্ছাকৃত ধর্ষণের সাথে জড়িত। আপনি খুজে পাবেন এমন কোন বাড়ী বা স্থান যেখানে কোন ধর্ষক নেই? নিশ্চয় এমন বাড়ী বা স্থান খুজে পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে যাবে। আজকাল যৌনতা হয়ে গেছে একটি (অপ)সংস্কৃতি। যৌন (অপ)সংস্কৃতি হয়ে গেছে মাধক চেয়ে বড় ধরণের নেশা। এই নেশা থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখা যাবে কিনা তাতে সন্দেহ আছে।
আজকাল সব শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে কমবেশি যৌন সম্পর্কীয় তথ্য সঞ্চালন হয়েছে। ছাত্ররা করবে কি? –তারাতো মাত্র প্র্যাক্টিস (চর্চা) করতেছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমরা শারীরিক শিক্ষা বইয়ের ব্যায়াম বা খেলাধূলা চর্চা করতাম। চারু পাঠ থেকে সেলাইসহ বিভিন্ন ধরণের কাজে চর্চা করতাম। আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী সেলাই এবং নৌকাসহ অনেক মাটির জিনিস বানানোর কৌশল রপ্ত করেছিলাম। এখন ঐ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের দোষ আপনি কিভাবে দিবেন? মাধ্যমিক বা কলেজ পড়ুয়া ঐ কিশোর বা যুবকের দোষ কি ভাবে দিবেন? যে পাঠ্য বইয়ের রয়েছে অন্যের স্ত্রীকে কিভাবে ভাগিয়ে নেওয়া যায়? অন্যের স্ত্রীর সাথে কিভাবে প্রেম করা যায়? সাধু সেজে কিভাবে নারীদের শ্লীতাহানি করা যায়? মেয়েদের বা ছেলেদের কখন কি হয় তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। একটি ছেলে একটি মেয়ে যখন পাশাপাশি বসে বসে এই পাঠ্য বইয়ে যৌন চর্চাগুলো করে তখন বাইরে চর্চা করলে দোষ কি? ছেলে/মেয়েদের রুম আলাদা আলাদা হলে ভিন্ন কথা। আমাদের সু-শীল সমাজ বলে ছাত্র-ছাত্রীদের নাকি এইগুলো শিখা দরকার আছে; তাই পাঠ্য বইয়ে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে; তো বাইরে প্র্যাক্টিস হলে বিচারে ধোঁয়া তোলার কারণ কি? খোঁজ নিলে তথ্য প্রমাণে বেড়িয়ে আসবে তারাইতো এইসব যৌন (অপ)সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
দোষ আমাদের ছাত্রসমাজ বা যুব সমাজের নয়,- দোষ আমাদের সমাজ ব্যবস্থার; দোষ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থাগুলো আমাদের সমাজের মানুষগুলোকে কলুষিত করে তোলেছে। যার ফলে আইনে শাসনেরও কোন প্রয়োগ হচ্ছে না। প্রবাহমান স্রোতের মধ্যে কোন বস্তুকে ঠেকিয়ে রাখা কখনো সম্ভব নয়। স্রোত বন্ধের ব্যবস্থা করলে সবই থেমে যাবে। ধর্ষণের শিকারে যে নারীরা আন্দোলন অব্যহত রেখেছে তারা সমাজ বা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটু ভূমিকা রাখতে পারলে আজ আর তাদের ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে হতো না, পুলিশের লাঠি পেঠায় জর্জরিত হতে হতো না।
ধর্মকে বাদ দিয়ে কখনও নারীর অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়। ধর্ম হলো মনুষত্বের প্রাণ; ধর্মবিহীন মনুষত্বের বিকাশ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। যার যার কাছে তারা তার ধর্ম সবচেয়ে বড় সত্য। যে ধর্মের হোক না কেন প্রত্যেকে স্ব স্ব ধর্মের নিয়ম-কানুন মেন চলুক দেখি আর ব্যানার করে মিছিল করতে হয় কিনা। ধর্মে বিধানে অনুসারীদের সত্য ভাবে চলতে আহবান করেছে। তা মানলে সকল সমস্যা সমাধান সম্ভব।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২
মজুমদার আলমগীর বলেছেন: Click This Link
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩
মজুমদার আলমগীর বলেছেন: অজ্ঞতা এবং ভন্ডামী এর জন্য দায়ী...
উক্তিটি যথার্থ সঠিক। ধর্মের নামে ভন্ডামী এবং ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতাও একধরণের মূর্খতা।
৯০%...........ধর্মালম্বী কথাটি সম্পূর্ণ ভূল। ধর্মালম্বী বলতে আপনি হয়তো শুধু ইসলামকে বুঝাতে চেয়েছেন। ধর্মালম্বী হিসাব শুধু মাত্র কাগজে-কলমে হয়না; ধর্মালম্বীর সংজ্ঞা হিসাবে হয় না বাস্তবতার নিরিখে হতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
নতুন বলেছেন: ধর্মকে বাদ দিয়ে কখনও নারীর অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়। ধর্ম হলো মনুষত্বের প্রাণ; ধর্মবিহীন মনুষত্বের বিকাশ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। যার যার কাছে তারা তার ধর্ম সবচেয়ে বড় সত্য। যে ধর্মের হোক না কেন প্রত্যেকে স্ব স্ব ধর্মের নিয়ম-কানুন মেন চলুক দেখি আর ব্যানার করে মিছিল করতে হয় কিনা। ধর্মে বিধানে অনুসারীদের সত্য ভাবে চলতে আহবান করেছে। তা মানলে সকল সমস্যা সমাধান সম্ভব।
বিশ্বের অনেক দেশেই ধম` মানেনা কিন্তু সেখানে সমস্যাও তো কম... কিন্তু আমাদের দেশে ৯০% ধমালম্বী কিন্তু এতো দূনিতি/নারী নিযা`তন কেন?
অজ্ঞতা এবং ভন্ডামী এর জন্য দায়ী...