নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশপ্রেম ছাড়া; দেশ ও জনগণের উন্নতি কামনা করা যায় না।

মজুমদার আলমগীর

মজুমদার আলমগীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুশ বিবেকঃ বেহুশ মন

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

 হুশ বিবেকঃ বেহুশ মন 
জৈনক ভদ্রলোক আমাকে প্রশ্ন করল – ভাই একটু মন থেকে বলুনতো আপনার প্রিয় ও ভালবাসার শব্দটা কি? আমি আমার উত্তর মোবাইলে লিখে তার উত্তরটা আগে পাবার জন্য তাকে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনি আগে বলেন আপনার প্রিয় শব্দ কোনটি? তখন সে বলল- অন্য বাড়ি থেকে অপরিচিত একজন মহিলা আপনার স্ত্রী হয়ে আসলো আপনার ঘরে। আপনার স্ত্রীর জ্বর, সর্দি কাশি হলে আপনি খুব তাড়াহুড়া করে বলেন চল ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আপনার স্ত্রী কষ্টের কাজ আপনার কাছে সহ্য হয়না। আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য আপনার জীবনও দিয়ে দিতে পারেন। তাই না? এই দৃষ্টি কোন থেকে চিন্তা করলে উত্তর কি হবে? হয়তো হ্যাঁ সবাই বলে ফেলবে “মা” আসলে কি তাই! বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “মা” শব্দ থেকে “স্ত্রী” শব্দটি সবচেয়ে বেশি প্রিয় ও ভালবাসাময়। আপনি দেখেন আপনার স্ত্রীর কোন সমস্যা হলে আপনি যে ভাবে তাদারিক করেন; তা কি মায়ের জন্য করা হয়? স্ত্রীর কোণ সমস্যা হলে আপনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। পক্ষান্তরে মায়ের ক্ষেত্রে এগুলো কখনো কি ভেবে দেখেছেন? এই বিচারে মানুষ মায়ের চেয়েও স্ত্রীকে মূল্যায়ন করে বেশি। তাহলে আপনার কাছে মা শব্দটা প্রিয় ও ভালবাসাময় হয় কিভাবে? আমি শুধু তার প্রতিউত্তরে রাইট, রাইট, হ্যাঁ আপনার কথাটা বাস্তব বলে আসছি। তার কথা শেষ হলে এবার আমি প্রতি উত্তরে বললাম আসলে সব দিক বিশ্লেষণ করলে বেরিয়ে আসে “মা”। একথাটা কিন্তু আপনার নয় এটা আপনার মায়ের পক্ষ থেকে “মা” শব্দটা সন্তানের জন্য মনে হয় সবচেয়ে বেশি প্রিয় ও ভালবাসাময়। সে ভাবে তাকে গর্ভেধারণ করেছি; তার জন্য কতইনা কষ্ট ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছি। কিন্তু আপনি সন্তান হিসাবে কি ভেবে দেখেছেন? কথাটি বাস্তবিক ভাবে আপনার পক্ষ থেকে হলে আপনি স্ত্রীর চেয়ে মায়ের জন্য বেশি করতেন। আমি বলবনা যে আপনার স্ত্রীর জন্য কোন কিছু করার দরকার নেই। আপনার স্ত্রীর জন্য যতটুকু কর্তব্য আপনি করবেন। বাট(কিন্তু) মায়ের জন্য যা করবেন তার(স্ত্রীর) থেকে যেন তা কম না হয়ে যায়। আপনি যদি আপনার শরীরে সাথে এই দুইটা শব্দকে তুলনা করেন তাহলে মন হলো আপনার স্ত্রী। আর বিবেক হলো আপনার মা। মন হলো আবেগপ্রবণ কিন্তু বিবেক হলো চিন্তা প্রবণ। আপনি যখন আপনার মা অপেক্ষায় স্ত্রীর জন্য বেশি করতে যান আপনি বিবেক দিয়ে ভাবলে তা কখন অতিরঞ্জিত হতো না। আপনিতো করেন আবেগে পড়ে। কিন্তু বিবেক দিয়ে করতে যান; আপনার পক্ষে অতিরঞ্জিত কিছুই করা সম্ভব হবে না। মা কে মায়ের স্থান থেকে সেবা করেন, পক্ষান্তের স্ত্রীকে স্ত্রীর স্থান থেকে সেবা করেন। পরিবারের প্রতি আপনার দায়িত্ব-কর্ত্যব্য ঠিকমত পালন করেন। তাহলে “মা” শব্দটি প্রিয় ও ভালবাসাময় অর্থের সার্থকতা বেরিয়ে আসবে। আরেকটি কথা কি ভেবেছেন?- আপনি ২ দিন না খেয়ে থাকলে আপনার মা ঠিকই কাঁদবে পক্ষান্তরে আপনার স্ত্রী শুধু একটু আফসোস করে যাবে। আসলে “মন” হলো “বেহুশ” জিনিস আর “বিবেক” হলো “হুশ” জিনিস। এই কথাটি বলার সাথে সাথে সে আমাকে বলল- “ভাই আপনি এত সুন্দর কথা পেলেন কোথায়? এতো রহস্যময় কথা”। আপনার এই উক্তিটি নিয়ে আমার খুব ভাবতে হবে। আমি বললাম- “আপনি আমার ব্লগসাইটের পোষ্ট করা লেখা কি পড়েন? সেগুলোতে আমার নিজের থেকে সাজানো কিছু কথা”। তিনি বলল “ওফ! সময় হলে পড়ে নেব”। আমি তাকে বললাম মানুষ যত কিছু করে সব কিন্তু বেহুশ হয়েই করে অর্থাৎ আবেগ প্রবণ হয়ে করে; হুশ অবস্থায় অর্থাৎ বিবেক দিয়ে কোন কাজ করলে এত সমস্যার সৃষ্টি হতো না। আমি তাকে আরো বললাম এই যে মানুষ একে অন্যকে ঠকাচ্ছে, একজন আরেকজনার উপর জুলুম-নির্যাতন করতেছেন, একে অন্যের উপর অবিচার করছে; এগুলো মূল কারণ হলো সে আবেগের বশীভূত হয়ে করে; সে বিবেক দিয়ে ভাবলে এমন কাজ তার পক্ষে করা সম্ভবঃপর হবেনা । আপনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তাতে আপনার চোখের পানি আসে তাও কিন্তু আপনার বেহুশ মনের কারণেই আসে; আপনার হুশ বিবেক দিয়ে পানি না আসার কথা। সে আমাকে প্রশ্ন করল তাহলে কি এই চোখের পানির দাম নাই; আমি বললাম আল্লাহর কাছে অব্যশই আছে। লক্ষ্য করুন আজ আপনি যে খারাপ কাজটি করতেছেন তা বিবেক দিয়ে ভাবলে কখনো কি করতেন? বিবেক দিয়ে ভেবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আপনি ঐ খারাপ কাজের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি একটি খারাপ লোভনীয় কাজের দিকে চেয়ে আছেন; এখন আপনার সামনে যদি জাহান্নাম এনে রাখা হয় আপনি কি তার থেকে চোখ ফিরাবেন? সে উত্তরে বলল না। আমি বললাম তার কারণ জানেন কি তাহলো আপনার বিবেকের মধ্যে এখনো জাহান্নামের অনুভূতি জাগ্রত হয়নি। যার কারণের আপনি বেহুশ হয়ে ঐ দিকে চেয়ে থাকবেন। কেননা আপনিতো বেহুশ হয়ে পড়ে আছেন। আপনার সামনে যতকিছুই আসুক না আপনি তাতো বুঝবেন না। সে আমার থেকে এইধরণের কথা শুনে সে আশ্চর্যনিত হয়ে গেল (যদিও আমার এই কথা আমি হিসাবে কিছুইনা) এমন সময় তাকে একজন ডাক দিলে আমি তাকে বললাম কথাটা শেষ করে নেই এরপর যাবেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। তার ভাব দেখে বুঝলাম কথা আর বাড়ানো যাবে না। তার সময় না থাকাতে আমি তাকে সর্ব শেষ উপদেশ দিলাম- “একটি বাস্তব সত্য কথা প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ধর্ম আছে; মানুষ তাদের ধর্মগ্রন্থ বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করলে, তার নিয়ম-কানুন, বিধি-নিষেধ মান্য করলে মানুষের মধ্যে হুশ ফিরে আসবে। আর বেহুশ হয়ে কোন কাজ করার দরকার হবেনা, হুশ হয়েই সব কাজ করবে। কলুষিত সমাজে বয়ে আসবে শান্তি কলতান। ধর্ম মানুষকে কখনো খারাপ কাজে উৎসাহিত করেনা। ধর্মের বিধানই হলো মানব কল্যাণ”। জনৈক ভদ্রলোক চলে গেল তার কাজে............।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.