![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধ হতো। ভর্তি যুদ্ধে তুলনামূলক ভাবে মেধাবীরাই ভর্তির সুযোগ পেত। এবার ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা জিপিএ'র ভিত্তিতে। এই নীতি খুবই যুগউপোযুগী একটি উত্তম নীতি। কিন্তু.......
আমাদের দেশের পাবলিক পরীক্ষায় যে ভাবে দূর্ণীতির(নকল) মাধ্যমে টুল-টেবিল পাশ করে; যে ছাত্র পাওয়ার কথা ২.৫০ সেও পায় ৪.৫০।
জৈনক এক স্কুল শিক্ষকের সাথে সাক্ষাতের সুবাদে তিনি বললেন- আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের অবস্থা যাই ছিল; কিন্তু ছাত্রদের অবস্থা এমন ছিল যে আমরা শিক্ষকরা খুবই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম, এবার না জানি কতজন পাশ করে? কিন্তু পরীক্ষার অসহযোগিতায় এবং রেজাল্টেতো আমরা অবাক দু-চারজন ছাড়া সবাই পাশ তাও ৪.০০ কম কেউ নয়। তারা এত দুষ্টামী করত ঠিকমত অধিকাংশই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকত না। বাড়ীর কাজ দেওয়ার হার ছিল সর্বোচ্চ ৩০%। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়- তারা পূর্বের পরীক্ষার রেজাল্ট ও পূর্বের ছাত্রদের মান বিচার করে বলে পাশ করা এখন খুব সহজ। পড়ালেখা বেশি করে কি লাভ? তাদের মানসিকতা চলে যায় পড়া ফাঁকির দিকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার যে নীতি অবলম্বন করেছে- তা তখনই কার্যকরী ভূমিকা হতো; যখন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হতো অসহযোগীতা ও দূর্ণীতি ছাড়া। যে শিক্ষা অর্জন করে সে হিসাবে পরীক্ষায় অবতীর্ন হয়ে রেজাল্ট অর্জন করা।
এখন ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে একে অপর থেকে হেল্প নিয়ে পরীক্ষা দেয়। শিক্ষক হেল্প করে। নকল হেল্প করে। এই হেল্পার শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার মান কিভাবে অর্জন করা সম্ভব। এমনও অনেক ছাত্র আছে যারা কারো কাছ থেকে হেল্প ছাড়া পরীক্ষা দেয়; তাদের জিপিএ হেল্প নিয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেকাংশে কম হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষাটাও যদি শিক্ষার সঠিক মান প্রশ্নে হতো, তাহলে মেধাবীরা কমপক্ষে একটূ শান্তনা পেত। এখন যে নীতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা মেধার সঠিক অবমূল্যায়ন ছাড়া আর কিছু নয়। এখানে বরাবরই হেল্পার শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবে।
https://www.facebook.com/alamgiruc/posts/1007644305942055
©somewhere in net ltd.