![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেয়ার মত কিছু নাই,, আমার জন্য কেউ স্পেশাল কিছু রেখে যায়নি, তাই এখন আমি স্পেশাল হইনি, আর আমার জন্য স্পেশাল কেউ নেই শুধু আমার মা ছাড়া।।
সিরিয়াল কিলারের গল্প অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু আজ আমি বলব একটি ভাল ছেলে কিভাবে সিরিয়াল কিলার হয়?
.
রাহুলের আজ কিছু বলার নেই, কারন সে নিজেই আদালতের কাছে বলেছে যে সে এই পর্যন্ত তিনটা খুন করেছে।
বিস্মিত হওয়ার বিষয়, বর্তমান যুগে একজন সিরিয়াল কিলারকে খুঁজে বের করা ও তাকে গ্রেফতার করা খুব সহজ নয়।
.
আর রাহুল নিজে থানায় গিয়ে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
এই নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
একজন সিরিয়াল কিলার যে কিনা পরপর তিনটি খুন করেছে,সে স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে তার অপরাধ স্বীকার করল কেন?
.
রাহুল তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান, বাবা একজন ট্রাক চালক, মা গৃহীনি।
সে ব্যারিস্টারি পড়ছে, তার বাবার খুব ইচ্ছা সে ব্যারিস্টার হবে, তারপর তিনি ট্রাক চালানো ছেড়ে দিবেন।
রাহুলের বাবা তার উপার্জিত সমস্ত টাকা তার পড়াশোনায় খরচ করছেন, কারণ উনার ছেলে ব্যারিস্টার হবে।
.
রাহুলের সাথে একটি মেয়েও ব্যারিস্টারি পড়তো, সে রাহুলের সবচেয়ে ভাল বন্ধু,
তার নাম নাইমা।
নাইমাও রাহুলের মত বন্ধু পেয়ে খুব খুশী।
দুইদিন যাবত রাহুলের মন খারাপ, নাইমা তা লক্ষ্য করছে, কিন্তু রাহুল তাকে কিছুই বলছেনা।
নাইমা: রাহুল কি হয়েছে রে তর?
রাহুল: কিছুনা, জাস্ট একটু মন খারাপ।
নাইমা: কেন মন খারাপ, আমাকে বলবিনা?
রাহুল: বলবনা কেন তোকে না বললে কাকে? বলব।
নাইমা: তো বল।
রাহুল: হুম, কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করছি রেখা আমাকে ইগনর করছে, সে আমার কাছে কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা করছে, তাই মন খারাপ।
( আগেই বলছি, রেখা রাহুলের প্রেমিকা)
নাইমা: অহ, আচ্ছা ঠিক আছে আমি রেখার সাথে কথা বলব, তুই চিন্তা করিস না।
অকে,বাই বলে তারা চলে গেল যে যার দিকে।
পরের দিন রেখার সাথে দেখা করলো রাহুল।
.
রাহুল: কি ব্যাপার রেখা আচানক তুমি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ কেন, কি হয়েছে আমাকে বল?
রেখা: না, কিছুনা, কেমন আছ তুমি?
রাহুল: ভাল নেই তোমাকে ছাড়া।
রেখা: আচ্ছা, দেখ রাহুল আমি আমার বাবা-মায়ের কথা ফেলতে পারবনা, আর তোমার অনেক বাকি আছে ব্যারিস্টারি শেষ করার।
রাহুল: কি বলছ তুমি, তাহলে আমাদের এতদিনের সম্পর্ক, তুমি এসব ভুলে যাবে?
রেখা: তুমি ব্যারিস্টারি শেষ কর, তারপর একটি সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে কর, আমাকে ভুলে যাও।
রাহুল: না আমি তোমাকে ভুলতে পারবনা। আর আমি ছাড়া তোমাকে কার সাথে বিয়ে হতে দেব না।
রেখা: দেখ রাহুল,আমি তোমার মত একজন ট্রাক চালকের ছেলেকে বিয়ে করতে পারবনা।
এই বলে রেখা চলে গেল।
.
রাহুল ঠিক করল রেখার বাবার পছন্দের ছেলে রাজিবের সাথে দেখা করবে।
রাজিব ও রেখা শপিং করতে মার্কেটে গেছে।সেখানে রাহুলও গেছে।
রাজিব তাদের ব্যাপারে সব জানত। তাই রাহুল কিছু বলার পূর্বেই সে তার ভাড়াটে লোক দিয়ে রাহুলকে মারতে শুরু করল।
আর এসব দেখে রেখা কিছুই বলল না। তখনি রাহুল ঠিক করল রেখার জীবন থেকে সে সরে যাবে।
.
কিন্তু নিয়তি তাকে ছাড়লে তো। পরেরদিন পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল রাজিবের সাথে মারামারি করার অপরাধে।
সে যতই বলছিল আমি কিছু করিনি তারা আমাকে মেরেছে, কে শুনে কার কথা।
রাহুলকে তিন মাসের সাজা দেয়া হয়।
এখবর শুনা মাত্রই রাহুলের বাবা ট্রাক দূর্ঘটনায় মারা যান।
তার সাথে মারা যায় তার বাবার সপ্নও। রাহুল জেলে থাকার কারনে তার ফাইনাল পরিক্ষা দিতে পারেনি।
আর এর ভিতরেই রেখা ও রাজিবের বিয়ে হয়ে যায়।
.
নাইমা রাহুলের বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারে, তারপর তাকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
জেল থেকে আসার পরই রাহুল প্রতিশোধ নিতে চায় রেখার প্রতিটি অত্যাচারের।
রাহুল নাইমাকে না জানিয়ে চলে যায় রেখার খুঁজে।
রেখা ও রাজিব বিয়ের পর হানিমুনে চলে যায়।
রাহুল প্রথমে রাজিব কে খুন করে তার সপ্ন ভাঙার প্রতিশোধ নেয়।
.
তারপর লক্ষ্য রেখা, তার জীবন নষ্ট করার জন্য রেখাই দায়ী।
একজন সর্বদা হাসি খুশী থাকা, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর সপ্ন দেখা রাহুলের জীবন নষ্ট করেছে রেখা।
তাই সে ক্ষমার অযোগ্য, রাহুল ভাবতে থাকে রেখাকে ক্ষমা করলে আরও রেখার জন্ম হবে।
তার পবিত্র ভালবাসায় অপবিত্র কাল ছায়া যে ফেলেছে তাকে সে ক্ষমা করবেনা।
.
এই ঘন অন্ধকারে সাদা শাড়িতে তোমাকে দেখে খুব ভালই লাগছে।
পিছনে ফিরে তাকালো রেখা, সাদা ঝকঝকে একটা ছুরী হাতে দাঁড়িয়ে রাহুল এই কথাটি রেখাকে বলছে।
অভিনন্দন তোমাকে, আমার জীবন ধংস করার জন্য, এবং আজ তোমাকে পুরোষ্কীত করার জন্য আমি এসেছি,
রেখা চিৎকার চেঁচামিচি করছে, এবং তার ভূলের প্রতি ক্ষমা চাচ্ছে, পিছন থেকে রেখার বাবা রাহুলকে আঘাত করতে যাবে তখনি রাহুল সরে যায়, আর রেখার বাবার ধারালো ছুরীর আঘাত রেখার উপর লেগে যায় ফলে রেখার মৃত্যু হয়।
পরে নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে রাহুল রেখার বাবাকেও মেরে ফেলে।
.
আজ শেষ দেখায় রাহুল নাইমার কাছে এসব বলছে আর কাঁদছে।
কেন এমন হল আমার জীবনে,
একজন নারী এসে আমার জীবনে বিষ ঢেলে চলে গেল।
আর তর মত বন্ধুর জন্য নারী জাতকে গালিও দিতে পারছিনা।
নারীই একটি ছেলের সবচেয়ে ভাল বন্ধু হতে পারে।
আর, নারীই একটি ছেলের জীবন ধংস করতে পারে।
.
লিখা: Al-Amin Ahmed।
( কাজী নজরুলের ছাত্র)
©somewhere in net ltd.