![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্তর দিয়ে প্রকৃতিকে দেখো, তুমি সবই দ্রুত বুঝতে পারবে।
লেখাটা আপনাদের কাছে বেশ খাপছাড়া মনে হতে পারে। আসলেই বিষয়টিই খাপছাড়া অসম্পূর্ন। জন ম্যাকার্থি যখন একে সমন্বিত করতে চেয়েছেন তখন তার কাছেও খাপছাড়াই মনে হয়েছে। মানুষের জন্য সহজ বিষয়টি একটু চিন্তা করতে গেলেই গড়ল।
যদি কেউ প্রশ্ন করে বুদ্ধি কি? উত্তরটি দেবার জন্য আপনাদের সময় দেওয়া প্রয়োজন...
এখন যদি বলি আমার বুদ্ধি আর একটা পাঙ্গাশ মাছের বুদ্ধি সমান। এবার নিশ্চয়ই সমস্বরে বলবেন আমি পাগল হয়ে গেছি। দেখেছেন কেমন খাপ ছাড়া একটি কথা বলে ফেললাম। দুইটি প্রাণীর বুদ্ধি এক হয় কিভাবে?
দেখুন এই দুনিয়া এমনিতেই আমরা মানুষরা অনেক পরিবর্তন করে ফেলেছি। আমাদের বুদ্ধি এত বেশি হয়ে গেছে যে এখন তা আমরা জড় বস্তু কে দেবার চেষ্টা করছি। অবিশ্বাস্য না!!!!
আমাদের বুদ্ধির লজিক্যাল মডেল গুলো দিচ্ছি ইলেক্ট্রনিক্স আর মেকানিক্যল যন্ত্রগুলোকে আর বার বার বলছি তারা বুদ্ধিমান হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য এজন্য আমাদের কম খাটাখাটনি করতে হচ্ছে না। বেশ পরিশ্রম করছি। বেশ পরিশ্রম করছি ভবিষ্যতে অলসতার জন্য।
আপনি জানেন কি আপনার ফেসবুক কতটা বুদ্ধি মান। জানেন কি গুগল তার বুদ্ধিমান সার্ভিস দিয়ে আপনাকে কতটা ভরকে দিতে পারে। আপনার সাচিং অভিজ্ঞতার সাথে সাথে এই সফট্ বট গুলোও বেশ অভিজ্ঞতা অজর্ন করছে। ফেসবুকে আপনার চ্যাট লিস্টে একটু খেয়াল করে দেখুন যার সাথে বেশি কথা হয় তাও আবার ঠিক কোন সময়, ঠিক সেই সময় ধরেই বন্ধুদের নাম গুলো আসে। আবার মনে করুন একটি পেজ লাইক করবেন দেখুন কত অল্প সময়ে আপনাকে ওই পেজে আপনার বন্ধু বা আপনার বন্ধুর বন্ধু নাম দেখাবে। এমনকি আপনার বন্ধুদের সাথে পর্যালোচনাও সে করতে পারে। বুদ্ধিমান না। অনেক তেনা পেচানো হয়েছে এবার আসুন আমরা নিজেরাই একটা বুদ্ধিমান “কিছু” তৈরী করি।
কোন কিছুকে বুদ্ধিমান বানানো খুব সহজ একটি কাজ নয়। আর আমরা খুব সহজেই একটা রোবট বানাতে পারবো না। ম্যাকনিক্যাল প্রসেস বাদ দিলেও আর অনেক অনেক ইসুৎ জড়িত একটি রোবট বানাতে গেলে। আমরা বরং একটা সফট্ বট বানাই।
একটা কৃত্রিম ট্যাক্সি ড্রাইভার যার কাজ হবে আমাদের যাত্রীর ইচ্ছামাফিক লোকেশনে নিয়ে যাওয়া। আমি আগেই বলে নিচ্ছি এইখানে আমরা খুব সরল একটি গঠন নিয়ে আলোচনা করবো। বেশি গভিরে যাব না।
আমরা একে ট্যাক্সি ড্রাইভার এজেন্ট প্রোগ্রাম বলতে পারি। এজেন্টে যা থাকবে তা হল PAGE।
P=Precepts যা আসলে ইনপুট হিসেবে কাজ করবে
A=Action যা হল কাজ
G=Goal এই এজেন্টের উদ্দেশ্য।
E=Environment এজেন্টের সামগ্রীক পরিবেশ।
এবার আসি আমাদের ড্রাইভারের জন্য এই চারটায় কি কি লাগবে
Percepts: ক্যামেরা, জিপিএস, মাইক্রোফোন, কিছু সেন্সর
Action: গাড়ী চালানো, গতি উঠানো, ব্রেক করা, যাত্রীর সাথে কথা বলা।
Goal: নিরাপদ, দ্রুত এবং আরামদায়ক যাএা আর তার সাথে প্রফিট বাড়ানো।
Environment: রাস্তা, যানবাহন, পথচারী এবং যাত্রী।
আমাদের এই ড্রাইভারকে কিন্তু বাস্তব ড্রাইভারের মতই হতে হবে।
ক্যামেরার মাধ্যমে ড্রাইভার রাস্তা দেখবে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে সেই সামনে পিছনে দুদিকেই দেখতে পারবে। সঠিক রাস্তায চলার জন্য তার লাগবে GPS। আর বিভিন্ন ধরনের সেন্সর লাগবে আশেপাশে গাড়িগুলো থেকে সংকেত পাওয়ার জন্য। আমাদের রাস্তার বাক থাকবে তাই সেই সেন্সরও লাগবে যে বাকগুলো ধরতে পারবে। সবশেষে লাগবে মাইক্রোফোন যা সাহায্য করবে যাত্রী থেকে ডেস্টিনেশন জেনে নিতে।
গাড়ীটি চালানো আমাদের ড্রাইভারের মূল কাজ। তাছাড়াও সঠিক সময়ে গাড়ি ব্রেক করা, গাড়ির গতিবেগ কমানো বাড়ানো গাড়ির অন্যতম কাজ। অন্যগাড়ীর অবস্থান লক্ষ রাখতে হবে যাতে গাড়ির সাথে ধাক্কা না লাগে।
Goal এর ব্যাপার যদি বলতে বলতে তা হলে বলতে হবে যাত্রীকে তার চাহিদামত জায়গা নামানোই আমাদের ড্রাইভারের প্রধান কাজ। তাছাড়া সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ এবং আরামদায়ক যাত্রাও তার অন্যতম প্রধান লক্ষ। মজার কথা হল এইগুলো খুব বেশি অপরিষ্কার অর্থ্যাৎ গানিতিক বা লজিক্যালি খুবই কঠিন।
সবশেষে আমাদের তৈরী করতে হবে পরিবেশ্। ড্রাইভার কোন পরিবেশে গাড়িটি চালাবে তা আমাদের নির্ধারন করতে হবে। ঢাকার রাস্তা আর টোকিওর রাস্তা নিশ্চয়ই এক নয়। তাছাড়া হাইওয়ে না শহরের ভিতর গাড়ী চলবে তাও আমাদের নির্ধারন করতে হবে। আসলে এই পরিবেশের উপরই নির্ভর করে আমাদের ড্রাইভারের ক্ষমতা। পরিবেশ যত বেশি কমপ্লেক্স্ আর জটিল করবো ততই আমাদের ড্রাইভার তৈরির কাজও জটিল হয়ে যাবে।
যেহেতু এটা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা “কি” টাইপের লেখা তাই আর গভিরে যাব না। ইতোম্যধে আমরা যত গভিরে গেছি তার গানিতিক বা লজিক্যাল বিশ্লেষন অনেক জটিল হয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বানাতে হলে আমাদের নিজেদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। যদিও মানব মস্তিষ্কের অংক করার ক্ষমতা প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক কম কিন্তু সে এমন কিছু এলগরিদম লিখতে পারে যার মাধ্যমে খুব সহজেই গাণিতিক শক্তি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র আমরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। (চলবে)
ফেসবুকে এই পেজটি খেয়াল রাখতে পারেন। তথ্যগুলো বাংলায় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
https://www.facebook.com/pureai
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
মেঘলা মানুষ বলেছেন: এই ব্যাপারটা নিয়ে বাংলায় কেউ তেমন একটা লেখেন না।
ভালো লাগলো আপনার লেখাটা।
চালিয়ে যাবার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
আলামিনস্টাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আশা করি চালিয়ে যেতে পারবো, সবসময় ধৈর্য্য থাকে না লেখার।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আপনি তো নলেজ বেস এর উদাহরণ দিলেন ।এই দিয়ে সত্যিকারের কৃত্তিম বুদ্ধি গড়ে তোলা সম্ভব ?
এই লেখা টা একটু পরে দেখুন তো
Click This Link
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
আলামিনস্টাইন বলেছেন: না এদিয়ে পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অজর্ন সম্ভব নয়। আমি যা বলেছে সবই মোটা দাগে। নলেজ বেস এর উদাহরন নয় বরং আমি একটা এজেন্ট বানানোর উদাহরন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি সরল ভাবে দেখলেই কোন সমস্যা থাকে না। এই সাবজেক্টটিই এমন যে এর সাথে সবগুলো বিষয়ই জড়িত। আস্তে আস্তে সবগুলোই আসবে।
আপনার লেখাটি পড়লাম। বেশ ভাল লাগল। কনট্রেক্স ফ্রি গ্রামার বিষয়টি হল Natural language processing এর একটি অংশ। সব সময় এই গ্রামার দিয়েই যে সব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হবে এমন কোন কথাও নেই।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
খেপাটে বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো,,,AI নিয়ে রিসার্চ করার স্বপ্ন অনেক
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভেতরে বহু কাজ বাকি তবে এগুলো হচ্ছে। দশকের পর দশকের গবেষনার সম্মিলিত ফল দিয়েই এর ফল বেরুবে। এই কনসেপ্ট তো ওয়ারলেস নেটওয়ার্কেও কাজ করার কথা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
রোহান খান বলেছেন: চালিয়ে যান ভাই। ভাল লেগেছে।