![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল জটিল একটা সমস্যা, ভয়ানক একটা রোগে ভুগছি আমি কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণের কোন পথ খুঁজে পাচ্ছি না। উপসর্গগুলো কি বলব তবে তোমায়! জানতে কি চাইছ তুমি! তবে শুনো, কেমন যেন এক ধরণের শুন্যতা কাজ করে আমার হৃদপিন্ড জুড়ে, ক্ষণে ক্ষণেই, আমার সমস্ত ভিতরটা জুড়ে। শুধু মনে হয় কি যেন একটা নেই, কিছু একটা নেই। কেমন পাগল করা একটা বিষন্নতা ক্রমাগত ঘুরছে আমার চারপাশ জুড়ে, কেমন একটা অস্থিরতা কাজ করে প্রতিনিয়ত আমার নিশ্বাসের প্রান্ত জুড়ে। এটা কেমন যেন শ্বাসক্রিয়া অচল হয়ে যাওয়ার মত যখন এই শুন্যতাটা ফিরে আসে। যেন অবশ করে দেয় আমাকে, করে দেয় নিস্তেজ। এ কেমন রোগে ভুগছি আজকাল, এ যে বড়ই অদ্ভুত!
আমার এখন, প্রায়ই খুব মনে পড়ে একটা সময় ছিল যখন ওরা বলত আমি নাকি বড্ড বেশি "তুমি" পাগল! তোমাকে ছাড়া নাকি আমি বুঝতাম না কিছুই। অথচ দেখ কতটা ভুল ছিল ওরা। দিব্যি তো বেঁচে আছি আমি। শ্বাসক্রিয়াও চলছে যেভাবে চলত আগে। খাচ্ছি, ঘুমুচ্ছি, টিভি দেখছি, পড়ছি। কোনকিছুই তো থেমে নেই, দিব্যি চলছে প্রতিদিনের কাজগুলি। সবকিছুই তো ঠিক থাকছে কেবল তুমি নেই, তোমার থাকার সমস্ত সময় জুড়ে শুধু তুমি নেই। এ জন্যই কি তাহলে একটা বিষন্নতা কাজ করে আমার মাঝে, কেমন যেন একটা ঘোরলাগা শুন্যতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে চারপাশে! তবে কি আমি "তুমিহীনা" রোগে ভুগছি আজকাল!? তুমি হয়ত এটাকে হাস্যকর ভেবেই উড়িয়ে দিবে যেমনটা তুমি দিতে আগে এবং প্রায়ই দিতে, যখন আমি তোমাকে ভালোবাসার বাণী শোনাতাম, বলতাম স্বপ্নের কথা। কতটা বিরক্ত হয়ে যেতে তুমি। বলতে বাস্তবতায় বসবাস করো। আমি কি করতে চাই নি! কিন্তু কেউ প্রেমেও পড়বে আবার বাস্তবতায় বসবাসও করবে তাও কি কখনও হয় বলতো!
আমার কিন্তু এখনও খুব মনে আছে আমাদের প্রথম পরিচয়ের স্মৃতি, তোমারও কি তাই নাকি ভুলে গিয়েছ খুব সহজেই! ঐ যে বৃষ্টিস্নাত বিকেলটাতে, কেমন কাক ভেজা হয়ে গিয়েছিলে তুমি আর আমি কিন্তু কেবলমাত্র বেরিয়েছিলাম অফিস থেকে আর তুমি চেনা নেই জানা নেই হুট করে চলে এলে আমার ছাতার নিচে?! মনে পড়ে কি মায়া মায়া মুখ করে তুমি বলেছিলে আমায়-"দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না, হাতে কিছু প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট আছে এবং দরকারি কিছু কাগজপত্রও। এমনিতেই অনেকটা ভিজে গিয়েছে, বুঝতেই পারছেন কতটা দরকারি। আসলে একটা ইন্টারভিউ থেকে ফিরছিলাম কিন্তু পথে এই বৃষ্টি। তারউপর একটা সিএনজি কি রিক্সা কিচ্ছু নেই। আপনাকে দেখে মনে হল ঐ দিকটাতেই যাচ্ছেন আর সামনেই তো বাসস্ট্যান্ড... তাই ভাবলাম.....!" এখন মনে পড়লে কিন্তু হাসিই পায় তোমার ঐ বোকা বোকা মায়া মায়া কথাগুলোতে কিন্তু ভাবতে পারো কি, কতটাই না ক্ষেপে গিয়েছিলাম আমি তোমার উপর সে সময়টায়! খুব যে ইচ্ছে করছিল একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে আসি তোমাকে সেখানেই আর চেঁচিয়ে বলি-"তাই ভাবলেন!? তাই কি ভাবলেন আপনি শুনি! আর আমাকে দেখে আপনার মনে হয়ে গেল আমি বাসস্ট্যান্ডের দিকেই যাচ্ছি! বাহ, বেশ তো! তা কি করে মনে হল, আমার মুখে কি লেখা ছিল যে আমি ঐ দিকটাতেই যাব!? যত্তসব ঢং হচ্ছে! আর কি অদ্ভুত! সাহায্য পাওয়ার জন্য একটা মেয়েকেই পেলেন তো তাও আবার চেনা নেই জানা নেই, সব বুঝতে পারি আমি। আর সার্টিফিকেটগুলোই দরকারি ছিল তো! বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সেগুলো আমার হাতে ধরিয়ে দিলেই হত। নিজের এত্ত বড় মাথাটাকে ছাতার মাঝে নিয়ে আসার কি এমন দরকার ছিল! সব যে ন্যাকামো সে আমি দিব্যি বুঝতে পারছি...!" ইচ্ছে তো হচ্ছিল আরো কত কিছুই বলে ফেলি তোমাকে, শুনিয়ে দেই আরো অনেক কথা কিন্তু পারছিলাম কোথায়! কেবল ভদ্রতার খাতিরেই তো! নয়ত আমিও কখনও কম যাই নাকি!
মনে পড়ে কি তোমার কিভাবে সহ্য করে নিয়েছিলাম সে সময়টায় আমি তোমাকে... বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত! অথচ আজ দেখ, বেলায়-অবেলায় সময় কিভাবে বদলে দিয়েছে সবকিছু... তোমার উপরের সকল সহ্য সীমা কিভাবে পরিবর্তিত হয়ে ভয়ানক অসহ্য রূপে ফিরে এসেছে আমারই উপর!
আচ্ছা, এরপরের কথাগুলো কি মনে আছে তোমার নাকি তাও ভুলে গিয়েছ। আমি কিন্তু ভেবেই নিয়েছিলাম সেটাই তোমার সাথে আমার শেষ দেখা ছিল। কিন্তু ভাগ্য যে এতকিছু ভেবে রেখেছিল আমাদের জন্য তার আমিই বা কি জানতাম তুমিই বলো! আমিই বা কি করে বুঝতে পেতাম তোমাকে আবার আমার দেখতে হবে, তাও হুট করে কোন একদিন নয় বরং প্রতিদিন, আমার... অফিসে... আমার বস রূপে! যে পোস্টে আমার প্রমোশনের কথা ছিল, সেখানে কি না বসবে উড়ানচন্ডি একটা ছেলে! যে বর্ষাকাল জেনেও সাথে ছাতা রাখতে জানে না! যে নিজের সার্টিফিকেট রক্ষা করতে ন্যাকামো করে বেড়ায়! তাকে ডাকতে হবে আমার বস! তুমি কি জানতে পেরেছিলে কখনও, কতটা রেগেছিলাম আমি তোমার উপর?! হাসি হাসি মুখে অভিনন্দন তোমাকে আমি জানিয়েছিলাম ঠিক কিন্তু তোমার ঐ হুতুম পেঁচার মত নাক বরাবর একটা ঘুষি দিয়ে তোমাকে ঐ চেয়ার থেকে ফেলে দেয়ার ইচ্ছেটাকে দমন করতে যে কি ভয়ানক পরিমান কষ্ট হয়েছিল আমার তার বিন্দুমাত্রও কি কখনও বুঝতে পেরেছিলে তুমি!? কতটা আফসোস হয়েছিল আমার সে দিনের জন্য, তোমাকে সাহায্য করার জন্য। আচ্ছা, তুমি কি জানলে রাগ করবে একবার আমার মনেও হয়েছিল সেদিন তোমাকে সাহায্য করার পরিবর্তে গুম করে দিয়ে এলে হয়ত সবচেয়ে ভালো হত! কতটা পাগলাটে ছিল আমার চিন্তা-ভাবনা তাই না বলো! কিন্তু জানো ওটা তো ছিল একটা ক্ষোভের বিষয় যা সময়ের সাথে সাথেই মিলিয়ে গিয়েছিল। আর যখন আমি প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম, জানতে পেরেছিলাম তুমি আর আমি যে ছিলাম একই স্কুলের এমনকি একই ক্লাসের! কিন্তু কি অদ্ভুত দেখ কখনও এটা খেয়ালই করিনি আমি! আরো কতটা বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম আমি, কতটা অবাক করে দিয়েছিলে তুমি আমাকে যখন আমি জানতে পেলাম এই অফিসে তোমার যোগদান করাটাও আমারই জন্যে! বলতে পারো! আমিও কি কখনও ভেবেছিলাম যে এমনটাও হতে পারে আমার সাথে নাকি তুমি ভেবেছিলে কখনও! কি অদ্ভুত রকমের সুন্দর ছিল সেই সব দিনগুলো তাই না। তোমার কি মনে পড়ে... অনুভব করতে পারো কি তুমি!
আমার কিন্তু খুব মনে পড়ে, ঐ যে সেবার যখন আমরা নিম্মিপির বিয়েতে গিয়েছিলাম, তার বোন অনু কিভাবে তাকাচ্ছিল তোমার দিকে ঘুরে ঘুরে সেই কখন থেকে অথচ তুমি খেয়াল করতে পারনি তার বিন্দুমাত্র বরং কি হেসে হেসেই না কথা বলছিলে ওর সাথে। আমি কিন্তু মুখে বলিনি তখন কিছুই আর বেরিয়ে এসেছিলাম কতটা নীরবে সেখান থেকে আর তুমি এটাও খেয়াল করেছিলে। তুমি নিজ থেকেই বুঝে নিয়েছিলে কিছু একটা আঘাত করেছে আমাকে গভীরভাবে, কতটা বুঝতে তুমি আমাকে! মনে পড়ে কিভাবে দৌঁড়ে এসেছিলে তুমি পিছু পিছু কিন্তু বুঝতে পারোনি তোমার প্রতি রাগ করিনি আমি বিন্দুমাত্র, ছিল না কোন ক্ষোভও কারন আমি তো জানতাম, শুরু থেকে তুমি আমারই ছিলে! আমি তো কেবল নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র! তবে কি অবাক করা দেখ আমি কিন্তু কখনই এ রকম ছিলাম না। একটা কেয়ারলেস ছেলের সাথে চলতে গিয়ে আমিও যে কতটা কেয়ারলেস হয়ে গিয়েছিলাম সেটা কি কখনও বুঝতে পেরেছিলে তুমি?! দেখ, এটা বর্ষাকাল জানা স্বত্বেও দিব্যি ছাতাটাকে ভুলে ফেলে আসতাম বাসায়! কি অদ্ভুত তাই না!
তোমার কি মনে পড়ে এক বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তুমি আমাকে পাঁচটা মিনিট অপেক্ষা করতে বলে এসেছিলে আধ'ঘন্টা পর। আর তোমার দেরি দেখে কতটা পাগলের মত হয়ে গিয়েছিলাম আমি সে সময়টায়, তুমি কি কখনও বুঝতে পেরেছিলে! আর কেঁদে কেটে অস্থির আমি যখন বসে পরেছিলাম সেই ফুটপাথেই ঠিক তখন তুমি এসেছিলে যেন আমাকে আমার মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে অবশেষে তুমি এসেছিলে। আর আমি আমার এই এতক্ষণ কান্নার প্রতিশোধ নিতে যাব, বলতে যাব তোমাকে কিছু এবং অনেক কিছু কিন্তু তার আগেই তুমি আমাকে আবার কান্না করিয়ে দিলে! মনে পড়ে তোমার, সেখানেই হাঁটু গেড়ে কতটা মায়া মায়া কন্ঠে তুমি বলেছিলে-"মায়াবতী মেয়ে, তোমার জন্যে... তোমায় দিলাম বাদলা দিনের বৃষ্টিস্নাত একগুচ্ছ স্নিগ্ধ কদম ফুল। বড্ড দেরি হয়েছে বলে রাগ করেছ বুঝি! তোমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল দেখ, কোথাও পাচ্ছিলাম না। জানই তো আমি গাছে উঠতে পারিনা তবুও চেষ্টা করলাম আরকি! যদিও বেশিকিছু হয়নি শুধু হাতটা একটু কেটে গেছে। তবে ভেব না আমি ঠিক গাছে উঠা শিখে নিব, কখনও... তুমি শুধু বলো, প্রতিটি বর্ষায় তুমি এভাবেই আমাকে সুযোগ দিবে তোমাকে কদম ফুল এনে দেয়ার, তোমার ভালোবাসার বর্ষণে নিজেকে সিক্ত করার সুযোগ তুমি সারাজীবন আমাকে দিবে, বলো তবে জীবনের প্রতিটি বর্ষায়...!" তুমি কি আরো কিছু বলতে চেয়েছিলে সে দিন! অথচ মনে পড়ে কি তোমার, তোমাকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েই কিভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম আমি তোমার উপর! তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে আমার কান্নার সময়টা কি তুমি মনে করতে পারো?! কতটা সুখের ছিল সে কান্না, কতটা আনন্দের ছিল সেসব দিন তুমি কি বুঝতে পেরেছিলে কখনও! অথচ আজ দেখ, বেলায়-অবেলায় জীবনের সকল বর্ণ কিভাবে বিবর্ণতায় ধূসঢ় হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। মনে পড়ে একবার প্রতিজ্ঞা করেছিলে তুমি প্রতিটি বর্ষায় কদম ফুল এনে দিবে, অথচ দেখ, একটা বর্ষায় সেই যে গেলে আজ কতগুলো বর্ষাকে নিঃসংগতায় রেখে-তুমি কোথায়?!!
আচ্ছা তোমার কি মনে পড়ে আমাদের বিয়ের দিনটার কথা! যে দিনটা ঘিরে স্বপ্ন থাকে চোখের পাতাজুড়ে, প্রতিটি মেয়েরই। মনে আছে তোমার, সে দিনটাতেও কিন্তু বৃষ্টি ছিল, হচ্ছিল প্রবল বর্ষণ, সকাল থেকেই যেমনটা আমরা চেয়েছিলাম। কতটা আগ্রহ থাকে হৃদয় জুড়ে এই দিনটাকে ঘিরে, থাকে কতটা স্বপ্ন! আমি কিন্তু তোমার নামের মেহেদী হাতে নিয়ে বঁধু সেজে অপেক্ষা করেছিলাম সমস্ত সময় জুড়ে কিন্তু তুমি এলে না। বারবার এবং কতশত বার আমি পড়ে গিয়েছিলাম তোমার সেই শেষ এস.এম.এস.টা যেটাতে তুমি লিখেছিলে,-"অপেক্ষায় থেক কন্যা, তোমার জন্যে
রয়েছে তোমার প্রিয় সারপ্রাইজ!" তবে এ কোন অপেক্ষায় রেখে চলে গিয়েছিলে তুমি আমায়, এ যেন অনন্তকালের অপেক্ষা, শেষ কেন হয় না! আমি এখন বুঝতে পারি কি দিতে চেয়েছিলে তুমি আমাকে কিন্তু আমি তো কখনই চাইনি অশ্রুসিক্ত অভিশপ্ত কদমফুল। আমি তো কেবল তোমাকে চেয়েছিলাম, শুধুই তোমার তোমাকে চেয়েছিলাম!
তুমি কি কখনই জানতে পেরেছিলে কতটা খুঁজেছিল তোমাকে ওরা সবাই, কিন্তু তুমি আসোনি। কি অদ্ভুত ওরা বলে, তোমাকে পাচ্ছি না আমি আর কখনই... কি আশ্চর্য ওরা জানে না, হারিয়ে ফেলার জন্যে তো তোমাকে খুঁজে নেইনি আমি। অদ্ভুত! কতটা সহজেই ওরা বলে আমি পাগল হয়ে গেছি, কিন্তু ওরা কি কখনই বুঝতে পারেনি আমি তো শুরু থেকেই পাগল ছিলাম। "তুমি" পাগল-তোমার জন্যে পাগল! তুমিও কি কখনও জানতে পারনি! তুমি কি দেখতে পেয়েছিলে কখনও সময় কিভাবে আমার হাত থেকে তোমার নাম ধূসঢ় করে দিয়েছিল ধীরে ধীরে, সেটা মেহেদি রাঙা ছিল বলেই কি!? কিন্তু যে নাম আমি খোদাই করে নিয়েছিলাম খুব গভীরভাবে, আমার হৃদয়পটে সেটা কি আদৌ ধূসঢ় করা সম্ভব ছিল! কোনভাবেই!? ওরা বলে সময় সব ক্ষত ভুলিয়ে দেয়, তোমারও কি মনে হয় আমি ভুলে গিয়েছি সব!
সমস্তটাই! তবে কি জানো, আমি কিন্তু দিব্যি বেঁচে আছি, শ্বাসক্রিয়াও চলছে যেভাবে চলার কথা ছিল কিন্তু কেবল একটা শুণ্যতা কাজ করে, খুব গভীরে... মাঝে মাঝেই চঞ্চল হয়ে উঠে নিয়ন্ত্রনহীন একটা অস্থিরতা! আর যখন বৃষ্টি নামে.. এটা কি আমাকে এখনও কাঁপিয়ে দেয়! আমি কি ভিতরে ভিতরে তখনও অস্থির হয়ে উঠি না! আমি তো কেবল ছুটে যেতে চাই, না জানি কোন পথে কাক ভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার অপেক্ষায়! আমি ছাতা নিয়ে আসব আর তুমি বলা নেই কওয়া নেই হুট করে চলে এসে বলবে-"এই সময় হল তোমার আসার! কেমন ভিজে একাকার হয়ে গেছি দেখ। এবার জ্বর বাঁধলে সেবাটা কিন্তু তোমাকেই করতে হবে বুঝে নিও! আর চুলও তোমাকেই মুছে দিতে হবে, মনে রেখে দিও কিন্তু!" তবে কি জানো, আমি এবার ক্ষেপে যাব না মোটেও আর তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা! সে তো ধূসঢ়। কিন্তু জানো, ওরা আমার কোন কথা শুনে না, তুমি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছ আমার জন্য, জেনেও ওরা আমাকে যেতে দেয় না। ঐ যে কোঁকড়া চুলের মোটা মহিলাটা, ওকে অপছন্দ করি আমি। বলে কিনা '২১ নং কেবিনের মেয়েটা আবার পাগলামি শুরু করেছে!' বলেই কিছু একটা পুশ করে দেয় আমার হাতে আর আমি নিস্তেজ হয়ে যাই। আচ্ছা, তুমি কি বলতে পার ওরা কেন বুঝেনা, সারাটা সময় তো আমি অবশই হয়ে থাকি আর যেই একবার মাত্র জেগে উঠি তাও সহ্য হয় না ওদের! তুমি কি কখনও অনুভব করতে পেরেছিলে কিভাবে আমার চোখ দু'টো বন্ধ হয়ে আসে ধীরে ধীরে! কিন্তু তারপরও আমি তোমাকে দেখতে পাই। তুমি সেই চিরচেনা পথেই দাঁড়িয়ে থাকো আমার জন্য কাক ভেজা হয়ে তাই না!? মন খারাপ করে চলে যেও না আমি ঠিক চলে আসব কখনও.. ওদের একদিন ফাঁকি দিয়ে আমি ঠিক চলে আসব দেখে নিও। কিন্তু তুমি কি জানো বরাবরের মত ইচ্ছে করে এবারও ভুলে আমি ছাতা বাসায় ফেলে রেখে আসব। ওহ! তোমাকে কি বলা হয়নি, সেই যে তুমি চলে এলে কতকাল বৃষ্টিতে আমার ভেজা হয়ে উঠেনি। আমি যে আর একটাবার বৃষ্টির স্পর্শ চাই। অনুভব করতে চাই এটাকে। আর একটাবার আমি যে ছুটে যেতে চাই সেই পথে, তোমার হাতে হাত রেখে, তোমার চোখে চোখ রেখে আর একটাবার আমি হেঁটে যেতে চাই সেই পথ ধরে... আর একটাবার.. কিন্তু নাহ! আর কখনও এনো না তুমি, আমি চাই না অভিশপ্ত কোন ফুল আমার হাতে থাকুক.. কেননা আমি তো কেবল তোমাকে চাইছিলাম, তোমার তোমাকে, শুধু তোমাকেই চাইছিলাম.....!
"কিছু চোখের পাতায় তুমি থাকো,
তবু তোমার স্মৃতি থাকুক!
আমার একলা থাকার খুব প্রহরে,
হৃদয়ে সুর বাঁধুক!"
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আমার ব্লগ বাড়ীতে দাওয়াত রইল।
আর হ্যা আমি আপনার ফেসবুকে আড ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনডা নায়ক আর কোনডা নায়িকা বুঝতেই অনেক সময় লেগে গেলো।
লেখা ভালো লেগেছে।