চাঁদ পেটুক

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৩

চাঁদ নিয়ে সবার এত প্রেম কোত্থেকে যে আসে!!
আজো আমি তা ভেবে কোন কুল পাইনা
নীল রোদ গিলে মাতাল হবার ককটেল রেসিপি
মাথার উপর দিয়েই যায় আজো, ধরতে পারিনা।

দোষটা সুকান্তর, বাচ্চা পেয়ে সেদিন আমায় খুব জ্ঞান দিল
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি
ভাগ্যিস বেটা বাঁচেনি বেশি দিন, তাই বাকি সব বেঁচে গেছে।
নইলে সুয্যিটারও রক্ষা ছিলনা, হয়ে যেত তেলে ভাজা লুচি।

যত জ্বালা হল আমার,
সেই থেকে আজ অব্দি, চাঁদ দেখলেই শুধু খিদে পায়
খাবার যখন জুটছেনা, তখন স্বপ্ন দেখাই শেষ উপায়।
স্বপ্নটা বড্ড বেয়াড়া, উড়িয়ে আমাকে বসিয়ে দিল দুর আকাশে
চোখ মেলে তো আনন্দে আটখানা, চাঁদটা ঠিক আমারই পাশে

তবে ভাই আর দেরি কেন? এক বাটি স্বপ্নের ঝোলে
এক টুকরো চাঁদ ডুবিয়ে, সযত্নে নেই মুখে তুলে।
আহা! স্বাদ যেন অমৃত!! সুকান্ত চাঁদটা ঝলসেছে খাসা করে।
কত্তদিনের বাসি অথচ খেয়ে মনে হল মনটাই গেছে ভরে।

অত সাধের চাঁদ সবার, চেটে পুটে খেয়ে করে দিলাম শেষ।
ভাবছি এমন রাজভোগ শেষে মিষ্টি পেলে হত বেশ।
ক্ষতি কি একটু মেঘ ভেঙ্গে তাতে চিনি মাখিয়ে নিলে
বলি মেঘ খাওয়ার সুযোগ কি আর হরহামেসা মেলে?

একটু ভেঙ্গে মুখে নিয়েই যেন স্বর্গে আছি আমি
হতেই হবে, যে সে মিষ্টি তো আর না, মেঘ মিছরি বড্ড দামি।

৪ টি +০/-০