নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইচ্ছে পূরণ-১
নিচু তলার উকিল
পতিতা বালা ঝর্ণা ফিরিঙ্গি মৃত্যুবরণ করিবার দুই দিন পূর্বে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে একবার ডাকিলেন।বারবার সংবাদ প্রেরণ করিবার পরেও তিনি আসিলেন না।তবে তিনি আসিয়াছিলেন বটে তবে ঝর্ণার প্রতি দয়াপরবশ হইয়া নহে পঞ্চায়েত প্রধানের দিলে একটু দয়ার সঞ্চয় হইয়াছিল বলিয়াই।অতঃপর পঞ্চায়েত প্রধান ও তাহার সহিত মসজিদের মহামান্য ইমাম মহোদয় আসিলে ঝর্ণা ফিরিঙ্গি পঞ্চায়েত প্রধানকে কাছে ডাকিয়া বলিলেন"আমার তো দুই কূলেই কেহ নেই যার দরুন আমার সকল গচ্ছিত অর্থ গ্রামের মসজিদের উন্নয়নে দান করিয়া যাইতে চাই"
পঞ্চায়েত প্রধান বলিলেন"জ্বী আজ্ঞে ইহাই যেহেতু আপনার শেষ ইচ্ছা তবে ইহাই হউক"
ঝর্ণা ফিরিঙ্গি এইবার বেশ উচ্চস্বরে পঞ্চায়েত প্রধানের মুখের উপর বলিয়া উঠিলেন"নহে নহে ইহা আমার শেষ ইচ্ছে নহে"
পঞ্চায়েত প্রধান ও ঝর্ণা ফিরিঙ্গির এমন সহজ স্বীকারোক্তি ও কঠিন দৃঢ়প্রত্যয়ী আওয়াজ কর্ণকুহরে প্রবেশ করিবামাত্র ইমাম মহোদয় একটু নড়িয়া চড়িয়া উঠিলেন।
ইতোমধ্যে অনেকে পাড়াপড়শিরাই উপস্থিত হইয়াছেন। পাড়াপড়শির কেহ কেহ ইহা উত্তম প্রস্তাব বলিয়া মানিয়া লইতে পারিলেন না।
পশ্চাৎ হইতে কোন এক বৃদ্ধকে ইহাও বলিতে শোনা গেল যে মাগীদের আবার শেষ ইচ্ছা।
বৃদ্ধ'র কথায় কেউ একজন প্রতিবাদ করিয়া উঠিলেন বেশ ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলিয়া উঠিলেন"মাগী হইয়াছে তো কি হইয়াছে,ঝর্ণা ফিরিঙ্গি কি মানুষ নহে?নাকি বানের জলে ভাসিয়া আসিয়াছে?"
ঐ ব্যক্তির মুখের কথা কাড়িয়া লইয়া আর একজন বেশ কর্কশ গলায় বলিয়া উঠিলেন"ঝর্ণা ফিরিঙ্গিরা তো সমাজের কীট নারী ও মুসলিম জাতির কলঙ্ক,উহার পক্ষ লইয়া দালালি করিতে আসিবেন না"!
বিশেষ করিয়া মুসলিম সমাজে বাস করিতে হইলে,ইসলামিক অনুশাসন বিধি নিষেধ ও যে মানিয়া লইতে হইবে উহা একপ্রকার অঘোষিত শিরোধার্য বলিয়াই যুগ যুগ ধরিয়া বিবেচিত হইয়া থাকিবে।
তবুও তো উহা মানুষ সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত ভিন্ন সম্প্রদায়ের নহে।
মানবিক দৃষ্টিই বলি কিংবা মানবিক গুণাবলী কিংবা এর থেকেও মহান ওজনদার শব্দ মানবিকতা,মনুষ্যত্ব,বিবেক বলিয়াই থাকি তাহা হইলে এইরূপ মানবিক শব্দ গুলোর ব্যবহার কিংবা প্রয়োগ ঠিক কোন জায়গায় করিলে এদের প্রতি যথাযথ সম্মানপ্রদর্শন করা হয় বলিয়া বিবেচিত হইবে উহা উকিল বাবুর বোধগম্য নহে।
ঝর্ণা ফিরিঙ্গির উঠানে ইতোমধ্যে বেশ শোরগোল বাঁধিয়া গেল।
উকিলবাবু উঠানের একপাশে বাঁশের তৈরি চাটাইয়ের উপর বসিয়া একাগ্রচিত্তে সমাজের এইরূপ কার্যাদি একইসাথে শ্রবণ ও দর্শন করিতে লাগিলেন..............
চলবে-----<
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা সাথেই থাকুন
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: গল্পটি পাঠ করিয়া কিছুই পাইলাম না; ইচ্ছে পূরণ তো দূরের কথা!
বরং মনের ভিতরে গল্প পড়িবার ইচ্ছা বহুগুণ বাড়িয়া গেল।
ধন্যবাদ দিয়া আপনাকে থামাইতে চাহিনা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা,আমিও থামিতে চাইনা।সাথেই থাকুন
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: বাকীটুকু পড়ার অাগ্রহ বেড়ে গেলো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা অতি দ্রুতই পোস্ট হবে।সাথেই থাকুন
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: গল্পের শুরু আকর্ষণীয়। পরের অংশ পড়ার ইচ্ছা জেগেছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা সাথেই থাকুন
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখিতেছেন নিচু তলার এডভোকেট সাহেব
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১১
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।সাথেই থাকুন
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: উকিল এবং রাজনীতিকদের পলিসিই বেষ্ট।।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: তা অবশ্য মন্দ বলেননি
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।