নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেঘের ঘর্ষণে আকাশটা ডাকছে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে অনবরত।
চৈত্রের আকাশ অনেকদিন ধরে গোমড়া হয়ে বসে আছে।
ইদানীং আর সহ্য হচ্ছেনা চিতল মাছের মত মেঘগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে আকাশের বুকে।
মেঘ গুলোরে সেকি হাহাকার কী একটা আর্তনাদে ফেটে পড়ছে চারিদিক।
অপেক্ষা যেন আর তাদের সইছেনা।অপেক্ষা বড় কষ্টের বড় যন্ত্রণার অপেক্ষার ভয়াল স্রোতে নেমে আসে কাল বৈশাখীর ঝর যা হঠাৎ এলোমেলো করে দিতে পারে একটি সাজানো সংসার।
মেঘের শরীরে সেকি উত্তেজনার তেজ ঘর্ষণে ঘর্ষণে বৃষ্টি নামানোর জন্য উৎসুক হয়ে উঠেছে আজকাল।
প্রকৃতিও হাসফাস করছে একফোঁটা জল নামুক ফোঁটা ফোঁটা জলে নেমে যাক শতশত প্রহরের অপেক্ষা।ফোঁটা জলের শরীর বেয়ে নেমে আসুক এক পশলা সুখ।
বাহিরে প্রচণ্ড বাতাস বইছে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে রীতিমতো।
জানালার পর্দা ভেদ করে সেটা ঘরে ঢুকে তানিশার চোখেমুখেও আঘাত হানছে খানিকটা।
রাত দুটো ছুই ছুই করছে তবু চোখে ঘুম নেই তানিশার।
এত বড় বিছানায় তানিশা এপাশ ওপাশ গড়াগড়ি করছে।
সেই রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু সে কোনভাবেই ঘুমাতে পারছেনা।
প্রতিটি সকাল প্রতিটি দুপুর প্রতিটি বিকেল প্রতিটি সন্ধ্যা কাটে একটা দুঃস্বপ্নের মতো।
রাত বাড়ার সাথে শরীরে ভর করে অপেক্ষা।
অপেক্ষা মধুর কিন্তু সেটি রোমান্টিক কবির কবিতায় মানায় বাস্তবিকে নয়।
অপেক্ষা যে কতটা কষ্টের কতটা যন্ত্রণার সেটা তানিশা ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারবেনা।
আজ তানিশা একটু বেশিই আপসেট তার আর অপেক্ষা সইছেনা।
আজ কাল পরশু এক মাস দুই মাস করতে করতে দুই দুইটি বছর অতিবাহিত হতে যাচ্ছে কিন্তু হাবিবের দেশে ফেরার নাম নেই।
সেই যে বিয়ের পর এক সপ্তাহ হাবিবের সঙ্গ পেয়েছিল তানিশা তারপর থেকে আজ অবধি অপেক্ষা করেই যাচ্ছে।
এ অপেক্ষা আর কতকাল? প্রকৃতিও অপেক্ষা করেনা কারো জন্য তার নিয়মে ছুটে চলে অনবরত।
আজকাল তানিশার মস্তিষ্কে অপেক্ষার পারদ জমে তার সঠিক ভাবনার নিয়ন্ত্রণটা অন্য কেউ নিয়ে নিচ্ছে।
বাহিরে মেঘের গর্জন বেড়েই চলছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে তানিশার শ্বাসপ্রশ্বাস।
সেই মূহুর্তে কোনকিছু ভাববার অবকাশ তানিশার ছিলনা,ফোনটা হাতে নিয়েই উকিলবাবুকে ফোন।
মিনিটে দশেক বাদে কলিং বেলের আওয়াজ হলে তানিশা দরজা খুলে দিল।
উকিলবাবু ব্যাচেলর এক ছন্নছাড়া ছেলে তানিশাদের ঠিক নিচের ফ্ল্যাটেই থাকে।
সিঁড়ি দিয়ে উঠতে নামতেই পরিচয় হয় তানিশার সাথে।
তারপর টুকটাক কথাবার্তা মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নেয়া।
দুবছর ধরেই দুজনের চোখেই কী যেন একটা খুঁজে চলছিলো, একে অন্যকে একটা কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছিলো না।
আজো বলতে পারছেনা উকিলবাবু বিছানায় বসে আছে তানিশাও পাশে বসে।
দুজন দুজনের দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ সমস্তা লাজলজ্জা ভুলে তানিশা
।
উকিলবাবুকে জড়িয়ে ধরলো যেন আজ এই মূহুর্তটুকুর জন্যই কতবছরের অপেক্ষা করেছিলো সে।
গোলাপের মত ঠোঁট দুটোয় আলতো পরশ দিতেই তানিশা চিতল মাছের মত ছটফট করতে লাগলো।
লাল রঙের ব্রাটা খুলতেই একটা উত্তপ্ত গুমোট বাতাস যেন সগর্বে বেরিয়ে গেলো।
উত্তেজনায় টানটান হয়ে বেঁকে যাচ্ছিলো তানিশা।
এলোমেলো চুল সরিয়ে উত্তপ্ত নরম ঠোঁট চষে বেড়াতে লাগলো কপাল, কানের লতি দিয়ে বুকের আল বেয়ে সুগভীর ছোট হৃদ নাভীমূল অবধি।
ততক্ষণে বাহিরে তুমুল বৃষ্টি নেমেছে।বৃষ্টি নেমেছে এপাড়াতেও।
বৃষ্টির সাথে মেঘের গর্জনে গর্জনে শতশত প্রহরের অপেক্ষার অবসানে সিক্ত হচ্ছে প্রকৃতি।
সুখ নেমেছে আকাশের বুকে সমস্ত রাগ,অভিমান দূরে ঠেলে এক হয়েছে দুজনে।
আজ এ পাড়ায় বৃষ্টি নেমেছে ধুয়ে মুছে গেছে অপেক্ষা দিয়ে গেছে এক পশলা সুখ।
কাল ও পাড়ায় বৃষ্টি নামবে তারপর আর এক পাড়ায় এভাবে বৃষ্টি নামবে মেঘে মেঘে ঘর্ষণ হবে।
এক ঝটকায় দুমড়ে মুচড়ে নিয়ে যাব সব,,লণ্ডভণ্ড হবে সাজানো প্রকৃতি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এ ধরা।
'
'
'
অপেক্ষা/নিচু তলার উকিল
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: না দাদা তা আর হতে পারলাম কই।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
মোহাম্মদ শাহারিয়া বলেছেন: অপেক্ষাটা তাহলে হাবিবের জন্য ছিল নাহ
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪১
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: সময়, পরিবেশ পরিস্থিতি কারো জন্য অপেক্ষা করলেও তা কনভার্ট হতে সময় লাগেনা
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
মোহাম্মদ শাহারিয়া বলেছেন: অপেক্ষাটা তাহলে হাবিবের জন্য ছিল নাহ
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, বাস্তব জীবনে আপনি কি উকিল?