![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমিকা: ব্যস্ত সময় কাটাতে কাটাতে হাঁফিয়ে উঠেছেন? আপনার এই কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু বিনোদনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন আহসান মঞ্জিল থেকে।
অবস্থান :আহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
নামকরণ :এটি একসময় নবাবদের প্রাসাদ ছিল।এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওয়াব আবদুল গণি। তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
ইতিহাস :অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে জামালপুর পরগণার জমিদার শেখ এনায়েত উল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থানে রংমহল নামে একটি প্রমোদ ভবন তৈরি করেন।পরবর্তীতে তার পুত্র বাড়িটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।যা ফরাসিরা বাণিজ্য কুঠি হিসেবে ব্যবহার করতো।১৮৩৫ সালে নওয়াব আবদুল লতিফের পিতা এটি ক্রয় করেন।পরবর্তীতে নওয়াব আবদুল লতিফ ভবনটির নির্মাণ শুরু করেন।১৮৫৯ সালে এর নির্মাণ শুরু হয় আর শেষ হয় ১৮৭২ সালে।সুরম্য এই ভবনটি ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভূমিকম্পে ভবনটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।পরবর্তীতে নবাব আহসান উল্লাহ তা পুন:নির্মাণ করেন।ভবনটি অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ফলে পুরনো সেই ভবনের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
নির্মাণশৈলী : আহসান মঞ্জিলের নির্মাণশৈলী ও দেখার মতো।এর উপরে একটি গম্বুজ রয়েছে।এক সময় এই গম্বুজের চূড়া ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ চূড়া ছিল।প্রাসাদটি দুটি অংশে বিভক্ত।পূর্বাংশে বৈঠকখানা, গ্রন্থাগার, কার্ডরুম ও মেহমান কক্ষ রয়েছে।পশ্চিমাংশে রয়েছে নাচঘর ও আবাসিক কক্ষ নিচতলায় রয়েছে দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ। ১৯৯২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আহসান মঞ্জিল জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করা হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।ক
প্রদর্শনীতে যা আছে: নওয়াব আমলের ডাইনিংরুম,তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিশপত্র যেমন:আয়না,আলমারি, সিন্দুক,থালাবাসন, চেয়ার টেবিল,হাতির মাথার কংকাল, বিভিন্ন তৈলচিত্র, ফুলদানি, পানদান,ড্রয়িংরুম, নাচঘর ইত্যাদিসহ মোট ৪ হাজার ৭৭ টি নিদর্শন।
কখন আসবেন: গ্রীষ্মকালে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং শীতকালে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। সব ঋতুতে শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।বৃহ:স্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি।এছাড়া সরকারি ছুটির দিনে জাদুঘর বন্ধ থাকে।
প্রবেশ মূল্য:প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।শিশুদের জন্য ৫ টাকা।প্রতিবন্ধিদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশ করানো হয়।এছাড়া বিদেশিদের জন্য ৭৫ টাকা করে প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে।
যেভাবে যাবেন: ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে সদরঘাটের গাড়িতে উঠবেন।সদরঘাট নেমে একটু হাঁটলেই চোখে পড়বে সুরম্য অট্টালিকা আহসান মঞ্জিল।
দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসে আহসান মঞ্জিলে।পরিবার-পরিজন,বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আপনিও আসতে পারেন আহসান মঞ্জিলে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বাহ! অল্পকথায় ভালভাবে সাজিয়ে লিখেছেন।
প্রবেশমূল্য তো কমই। অবশ্যই ঘুরে আসার মত জায়গা।