নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈশব কেটেছে ডাকাতিয়া পাড়ের নিজগ্রামের মাটি আর ধূলাতে। কৈশরেই (১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে) চ’লে আসেন বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা শহরে। মফস্বলের আলো হাওয়ায় অতিক্রান্ত হয় প্রথম যৌবন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।\n\nছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন ১৯৯৯ খ্রীস্টাব্দে।

আলতাফ শেহাব

শৈশব কেটেছে ডাকাতিয়া পাড়ের নিজগ্রামের মাটি আর ধূলাতে। কৈশরেই (১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে) চ’লে আসেন বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা শহরে। মফস্বলের আলো হাওয়ায় অতিক্রান্ত হয় প্রথম যৌবন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন। ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন ১৯৯৯ খ্রীস্টাব্দে। বিপ্লবী ধারার প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। সম্পাদনা করেছেন ছাত্র আন্দোলনের কাগজ ‘প্রেক্ষণ’। লেখালেখির শুরু তারও আগে, প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় সাহিত্যপত্রিকা ‘প্রভাত’-এ ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে। কবিতা ও কথাকাগজ ‘কবিতাপত্র’ সম্পাদনা করেছেন ২০০০ খ্রীস্টাব্দ হতে ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট সাত সংখ্যা। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ’নুন আগুনের সংসার’।

আলতাফ শেহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিই জয় বাংলার লোক

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কোটা প্রথা সমাজের শ্রেণী বৈষম্য দূর করার জন্য একটি অস্থায়ী সমাধান। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে মূলধারার সাথে সামিল করার জন্য কোটা প্রথা প্রয়োজন আছে। কিন্তু রাষ্ট্রের বর্তমান কোটা ব্যবস্থায় উল্টো বৈষম্য তৈরী করছে। তাই কোটা ব্যবস্থার আশু সংস্কার জরুরী। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রেখেই কিছু কথা বলতে চাই-

জয় বাংলা- এই শ্লোগানটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও পূর্ববর্তী সময়ে পুরো একটি জাতিগোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করে, দেশ স্বাধীন হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছু সুবিধাবাদী গোষ্ঠির অতিলোভের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসে জনসম্পৃক্ততাহীন সরকার। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে তুষ্ট করতে এবং তাদের সমর্থন আদায় করতে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানকে দূরে সরিয়ে জিন্দাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লাগে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানকে। সাধারণ জনগণের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয় ‘জয় বাংলা’র, সম্পর্ক শিথিল হয় মুক্তিযুদ্ধের বোধের। তৈরী হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রজন্ম।

এই সুযোগে নব্বই পূর্ববর্তী সময় থেকে আওয়ামী লীগ ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানকে নিজেদের শ্লোগান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সুকৌশলে পুরো মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের অর্জন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা চালায়। অনেকাংশে সফলও হয়। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে নিজেকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা দিতে অনিবার্যভাবে সামনে নিয়ে আসে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু। নতুন প্রজন্ম সাদরে গ্রহণ করে, শুরু হয় যুদ্ধাপরাধের বিচার। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন তরুণ প্রজন্ম আদালতের বিচারে সম্পর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারেনি, শুরু হয় আন্দোলন। এই আন্দোলনের হাত ধরে আবার সামনে আসে ‘জয় বাংলা’।

‘জয় বাংলা’ যখোন আপামরের নিকট পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেছে, আবার উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিক্রিয়াশী মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে জনগণকে কৌশলে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ‘জয় বাংলা’র মুখোমুখি। আন্দোলনের জোশে অথবা কারো প্ররোচণায় বুঝে নাবুঝে তুরুণ প্রজন্মের একটা অংশ নিজেদেরকে ‘আমি রাজাকার’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন। আমি দৃঢ়ভাবে এটা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের কেউ সচেতনভাবে নিজেকে রাজাকার বলে পরিচয় দিতে পারে না।

নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই কেন আপনি নিজেকে একজন ধর্ষক, লুটেরা, খুনির পারিচয়ে পরিচয় দিতে চান? হ্যাঁ, রাজাকার বলতে আমি একজন ধর্ষক, লুটেরা, খুনিকেই বুঝি। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদের পরিবার, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন, সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের আপমর জনগণ সাক্ষী; রাজকার বলতে ধর্ষক, লুটেরা, খুনিই বুঝায়। আর মুক্তিযোদ্ধা বলতে বেয়নেটে লাল-সবুজের পতাকা বাঁধা রাইফেল কাঁধে দুর্বার এক যুবকের ছবি ভেসে ওঠে মানসপটে।

আওয়ামী লীগ একবার ‘জয় বাংলা’ বলে হামলা করলে, আপনারা দশ বার সমস্বরে ‘জয় বাংলা’ বলে চিৎকার করে প্রতিরোধ করুন। নিজেকে ‘জয় বাংলা’র লোক বলে পরিচয় দিন, রাজাকার নয়। ‘জয় বাংলা’ কোন নির্দিষ্ট দলের নয়, ‘জয় বাংলা’ আপামর জনগণের। আমি, আমরাই ‘জয় বাংলা’র লোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ।এই সব দেখে দেখে বড় হয়েছি।’জয়বাংলা বাংলার জয়’৭০রে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পায় এই গানটি।এমন জনপ্রিয় গান বাংলায় আর দ্বিতীয়টি নেই।স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাস লোক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতো,কখন শুরু হবে জয়বাংলা গান দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.